Wednesday, December 27, 2023

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence)

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence)

চিন্তাশক্তি, বুদ্ধি কিংবা বিশ্লেষণ ক্ষমতা মানুষের সহজাত, একটি যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা দিয়ে, সেটিকে চিন্তা করানো কিংবা বিশ্লেষণ করানোর ক্ষমতা দেওয়ার ধারণাটিকে সাধারণভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়। কিছুদিন আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ছিল দূর ভবিষ্যতের একটি কাল্পনিক বিষয়।

আজকের আর্টিকেলে থাকছেঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি,আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে,আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স কি,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা মেশিন লার্নিং কি ?,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি,আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই,আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি?,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স hsc
{getToc} $title={এই পোস্টে যা যা থাকছে}

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো: চিন্তাশক্তি, বুদ্ধি কিংবা বিশ্লেষণ ক্ষমতা মানুষের সহজাত, একটি যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা দিয়ে, সেটিকে চিন্তা করানো কিংবা বিশ্লেষণ করানোর ক্ষমতা দেওয়ার ধারণাটিকে সাধারণভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়। কিছুদিন আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ছিল দূর ভবিষ্যতের একটি কাল্পনিক বিষয়। কিন্তু অতি সম্প্রতি এই দূরবর্তী ভবিষ্যতের বিষয়টি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হতে শুরু করেছে। তার প্রধান কারণ, পৃথিবীর মানুষ ডিজিটাল বিশ্বে এমনভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে যে, হঠাৎ করে অচিন্তনীয় পরিমাণ ডেটা সৃষ্টি হয়েছে এবং সেই ডেটাকে প্রক্রিয়া করার মতো ক্ষমতাশালী কম্পিউটার আমাদের হাতে চলে এসেছে।

What is AI

এই ডেটা বা তথ্যকে প্রক্রিয়া করার জন্য বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদরা এমন একটি পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন যেটি মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ করে। সাধারণভাবে এটা নিউরাল নেট নামে পরিচিত। সহজভাবে বলা যায় এর একটি ইনপুট স্তর এবং আউটপুট স্তর রয়েছে যার মাঝখানের স্তরটি হচ্ছে 'লুক্কায়িত' স্তর (Hidden Layer)।

প্রথমে এই নিউরাল নেটকে ইনপুট এবং তার সাথে যুক্ত উদাহরণ আউটপুট ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, তখন "লুক্কায়িত” স্তরটি এমনভাবে পরিবর্তিত হতে থাকে যেন প্রশিক্ষণের জন্য দেওয়া ইনপুটের জন্য সত্যি আউটপুটটি পাওয়া যায়। একবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে গেলে এই নিউরাল নেটকে সম্পূর্ণ নতুন ইনপুট দিলেও সেটি তার জন্য সম্ভাব্য সঠিক আউটপুটটি দিতে পারবে। যত বেশি ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, নিউরাল নেটটি তত ভালো কাজ করবে।

Artificial Intelligence

একটি লুক্কায়িত স্তর না রেখে একাধিক স্তর দিয়ে এই নেটকে আরো অনেক 'বুদ্ধিমান' করা সম্ভব। তখন নেটটি নিজেই ডেটা ব্যবহার করে শিখে নিতে পারবে। এই প্রক্রিয়ার নাম 'ডিপ লার্নিং' এবং বলা যেতে পারে এটি সত্যিকারের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সবচেয়ে কাছাকাছি একটি প্রক্রিয়া।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে তৈরি করা হয়? 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানত C/C++, Java, MATLAB, Python, SHRDLU, PROLOG, LISP, CLISP, R ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয়। কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে ডেভে লপারগণ তাঁদের পছন্দসই প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সবচেয়ে সফল ক্ষেত্র হিসেবে মেশিন লার্নিংয়ের কথা বলা যায়। বর্তমান Reinforcement Learning গবেষণার মূল ভিত্তি হচ্ছে একটি যন্ত্রকে আলাদাভাবে কোনো কিছু শেখানো হবে না। মেশিনের সামনে উপস্থিত বিশাল পরিমাণ ডেটা থেকে একটি যন্ত্র নিজেই শিখে নেবে। প্রথম প্রথম সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হবে, কিন্তু ঠিক মানুষের মতোই যন্ত্র ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখবে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার

ইনপুট স্তর লুক্কায়িত স্তর আউটপুট স্তর আমরা আমাদের জীবদ্দশাতেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কিছু সফল প্রয়োগ দেখতে পাব, তার একটি হচ্ছে ড্রাইভারবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি। আবহাওয়ার সফল ভবিষ্যৎবাণী আমরা ইতোমধ্যে দেখতে শুরু করেছি। এ ছাড়াও বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর এমন কোনো ক্ষেত্র খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারিক প্রয়োগ নেই।

যেমন চিকিৎসাবিদ্যা, অটোমোবাইল, ফাইন্যান্স, সার্ভেইল্যান্স, সোশাল মিডিয়া, এন্টারটেনমেন্ট, শিক্ষা, স্পেস এক্সপ্লোরেশন, গেমিং, রোবটিক্স, কৃষি, ই- কমার্সসহ স্টক মার্কেটের শেয়ার লেনদেন, আইনি সমস্যার সম্ভাব্য সঠিক সমাধান, বিমান চালনা, যুদ্ধক্ষেত্র পরিচালনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এর ব্যাপক ব্যবহার বর্তমানে পরিলক্ষিত হচ্ছে।




তথ্য সুত্র: ১১-১২ শ্রেণির তথ্য ও প্রযুক্তি বই থেকে সংগ্রহীত!




Tuesday, December 26, 2023

Apple iPhone 16 Pro and iPhone 16 Pro Max Rumored to Feature Wi-Fi 7 and 48-Megapixel Ultra Wide Camera

Apple iPhone 16 Pro and iPhone 16 Pro Max Rumored to Feature Wi-Fi 7 and 48-Megapixel Ultra Wide Camera

Apple's iPhone 16 Pro and iPhone 16 Pro Max are rumored to feature Wi-Fi 7 support and a 48-megapixel Ultra Wide camera lens.

The information comes from Jeff Pu, a tech analyst at Hong Kong investment firm Haitong International Securities. Pu revealed this information in a research note about the tech industry released today.

Wi-Fi 7 is the latest version of the Wi-Fi standard, and it offers significant improvements over Wi-Fi 6. Wi-Fi 7 can support faster speeds, lower latency, and better capacity than Wi-Fi 6. This will be beneficial for users who download large files, stream high-quality video, or play multiplayer games on their iPhones.

The 48-megapixel Ultra Wide camera lens would be a significant upgrade over the 12-megapixel Ultra Wide camera lens found on current iPhones. The 48-megapixel lens would allow for more detail to be captured in photos and videos, especially in low-light conditions. This would be a welcome addition for iPhone users who take a lot of photos and videos in low-light conditions.

Pu's research note also suggests that the iPhone 16 Pro and iPhone 16 Pro Max will feature a new A17 Bionic chip, a 6.1-inch and 6.7-inch OLED display, and a triple-lens rear camera system. The phones are expected to be released in September 2023.

These are just rumors at this point, so it is important to take them with a grain of salt. However, Pu has a good track record of accuracy when it comes to Apple rumors, so it is worth paying attention to this one.

Concept of Communication System | Exploring the Intricacies of Communication Systems in Our Interconnected World

Concept of Communication System | Exploring the Intricacies of Communication Systems in Our Interconnected World

In today's world, communication systems play a crucial role in connecting people across vast distances. It is an unsung hero that orchestrates the seamless exchange of thoughts and ideas. The intricate dance of signals and messages is an integral part of our daily lives, shaping the way we connect, collaborate, and comprehend the world around us.

The Essence of Communication Systems

A communication system is a dynamic network designed to transmit, receive, and process information between two or more entities. Whether it's the spoken words between individuals, the written messages on a screen, or the invisible signals traveling through the airwaves, communication systems are the unsung architects of our interconnected society.

Components of Communication Systems

1. Source

The journey begins with a source capable of generating data, like a person, computer, or device. It's the storyteller with a message to share.

2. Transmitter

The message from the source needs a translator to be understood. The transmitter acts as a bridge, converting the information into a suitable form for transmission. For instance, in a conversation, your vocal cords turn thoughts into spoken words, or in the digital world, a device encodes data into electronic signals.

3. Channel

Imagine the channel as a pathway that allows the message to travel. This pathway could be the air for sound waves, cables for electrical signals, or even the internet for digital data. The channel plays a crucial role in ensuring the safe and efficient passage of information.

4. Receiver

At the end of a communication, someone is receiving the message, like a listener paying attention. This person or entity decodes the message to understand it. They can be a friend understanding your words or a computer decrypting a digital file.

5. Destination

The final destination of any communication is achieving its intended purpose, whether it's reaching an understanding between friends, making a decision in a boardroom, or completing a successful data transfer.

Modes of Communication

Communication systems take on different forms to cater to the various requirements of human interaction.

1. Verbal Communication

The oldest and perhaps the most primal mode, verbal communication involves spoken words. From ancient conversations around a fire to modern phone calls, the spoken word remains a potent force.

2. Written Communication

With the advent of writing, messages gained longevity. Letters, books, and now digital text have allowed us to communicate across time and space, transcending the limitations of immediate interaction.

3. Non-verbal Communication

Sometimes, actions speak louder than words. Facial expressions, gestures, and body language convey a wealth of information without the need for verbalization, adding depth to our interactions.

4. Digital Communication

In our technologically advanced era, digital communication reigns supreme. Emails, instant messaging, and social media platforms have revolutionized the speed and scope of information exchange, shrinking the world into a global village.

Challenges in Communication Systems

While communication systems are marvels of human ingenuity, they are not without challenges. Noise, interference, and signal degradation can distort messages, leading to misunderstandings. Moreover, the sheer volume of information in the digital age poses challenges in terms of security and privacy.

The Future of Communication Systems

As technology continues to advance, so too will communication systems. The integration of artificial intelligence, the development of faster and more reliable networks, and innovations in virtual and augmented reality are poised to redefine how we connect and share information.

Communication systems are a testament to humanity's desire to connect, share, and understand. They have been the silent enablers of progress, from the ancient art of storytelling to the complexities of digital data transmission. As we navigate an ever-evolving landscape of connectivity, the essence of communication systems remains steadfast, fostering the human experience in ways both tangible and intangible. In conclusion, communication systems continue to play a vital role in our lives and will continue to shape our future.

Sunday, December 24, 2023

বায়োইনফরমেটিক্স কি? What is Bioinformatics

বায়োইনফরমেটিক্স কি? What is Bioinformatics

বায়োইনফরমেটিক্স জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশান ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত এবং পরিসংখ্যানের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিষয়। মূলত এই বিষয়টির জন্ম হয়েছে জীববিজ্ঞানের বিশাল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করে সেগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য।

বায়োইনফরমেটিক্সের প্রথম বড় সাফল্য এসেছিল যখন 13 বছরের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মানব জিনোম প্রথমবার সিকোয়েন্স করা হয়েছিল এবং সেই তথ্য অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল যেন সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা সেটি পেতে পারে।

এখন প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে কয়েক ঘণ্টার ভেতর পুরো মানব জিনোম সিকোয়েন্স করা সম্ভব। বায়োইনফরমেটিক্সের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হচ্ছে ক্যান্সারের উপর গবেষণা। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা মানুষের জন্য আলাদা আলাদাভাবে তার নিজস্ব ওষুধ ব্যবহৃত হবে, সেটিও সম্ভব হবে বায়োইনফরমেটিক্সের গবেষণার ফলে। প্রোটিনের গঠন বহুদিন থেকে বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বায়োইনফরমেটিক্স এই ব্যাপারেও মূল গবেষণায় বড় ভূমিকা পালন করছে। বিজ্ঞানে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিবর্তন। এই বিবর্তনের রহস্য উন্মোচনে বায়োইনফরমেটিক্স অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করছে।

সাধারণত নিচের চারটি ভিন্ন ভিন্ন শাখার উপাদান ও কৌশলের সমন্বয়ে বায়োইনফরমেটিক্স পদ্ধতি কাজ করে থাকে:

১. আণবিক জীববিদ্যা ও মেডিসিন: ডেটা উৎস বিশ্লেষণের কাজ করে।
২. ডেটাবেজ : টেক্সট মাইনিং ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন করে থাকে। ৩. প্রোগ্রাম: উপাত্ত বিশ্লেষণ অ্যালগরিদম যার মাধ্যমে বায়োইনফরমেটিক্স কঠোরভাবে সুনির্দিষ্ট করা হয়।
৪. গণিত ও পরিসংখ্যান: এর সাহায্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়।

বায়োইনফরমেটিক্সের ব্যবহার

মূলত জৈবিক পদ্ধতি বিশ্লেষণ সম্পর্কে সম্যক এবং সঠিক ধারণা অর্জন করার ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত হয়। আর এই জৈবিক তথ্য হিসাব-নিকাশ এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যার সমাধানে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহারও অপরিহার্য। তবে জিনোম সিকোয়েন্স, প্রোটিন সিকোয়েন্স ইত্যাদি গঠন উপাদানের ইলেকট্রনিক ডেটাবেজ গঠনে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়াও মলিকুলার মেডিসিন, জিনথেরাপি, ওষুধ তৈরিতে, বর্জ্য পরিষ্কারকরণে, জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণায়, বিকল্প শক্তির উৎস সন্ধানে, জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে, ডিএনএ ম্যাপিং ও অ্যানালাইসিস, জিন ফাইন্ডিং, প্রোটিনের মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত হয়।

Wednesday, December 20, 2023

সেন বংশ (১০৬১-১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ) - বাংলা ইতিহাস

সেন বংশ (১০৬১-১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ) - বাংলা ইতিহাস

পাল বংশের পতনের পর বারো শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলাদেশে সেন রাজবংশের সূচনা হয়। ধারণা করা হয় তাঁরা এদেশে বহিরাগত। তাদের আদি নিবাস ছিল দক্ষিণাত্যের কর্ণাট। কেউ কেউ মনে করেন তারা ছিলেন 'ব্রহ্মক্ষত্রিয়'। যে বংশের লোকেরা প্রথমে ব্রাহ্মণ থাকে এবং পরে পেশা পরিবর্তন করে ক্ষত্রিয় হয়, তাদেরকে বলা হয় 'ব্রহ্মক্ষত্রিয়'। বাংলার সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সামন্ত সেন। তিনি যৌবনে কর্ণাটে বীরত্ব প্রদর্শন করে শেষ বয়সে বসতি স্থাপন করেন রাঢ় অঞ্চলে গঙ্গা নদীর তীরে। তিনি কোনো রাজ্য প্রতিষ্ঠা না করায় সেন বংশের প্রথম রাজার মর্যাদা দেওয়া হয় সামন্ত সেনের পুত্র হেমন্ত সেনকে। ধারণা করা হয় পাল রাজা রামপালের অধীনে তিনি একজন সামন্ত রাজা ছিলেন।
সেন বংশ (১০৬১-১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ)

হেমন্ত সেনের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র বিজয় সেন (১০৯৮-১১৬০ খ্রিষ্টাব্দ) সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর এই সুদীর্ঘ রাজত্বকালেই সেন বংশের শাসন শক্তিশালী ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনিই সম্ভবত সামন্তরাজা থেকে নিজেকে স্বাধীনরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কৈবর্ত্য বিদ্রোহের সময় তিনি রামপালকে সাহায্য করেন। একাদশ শতকে দক্ষিণ রাঢ় শূর বংশের অধিকারে ছিল। এ বংশের রাজকন্যা বিলাসদেবীকে তিনি বিয়ে করেন।

বরেন্দ্র উদ্ধারে রামপালকে সাহায্য করার বিনিময়ে বিজয় সেন স্বাধীনতার স্বীকৃতি পান। আবার দক্ষিণ রাঢ়ের শূর বংশের সঙ্গে বৈবাহিক আত্মীয়তার সূত্র ধরে রাঢ় বিজয় সেনের অধিকারে আসে। এরপর বিজয় সেন বর্ম রাজাকে পরাজিত করে পূর্ব ও দক্ষিণ বাংলা সেন অধিকারে নিয়ে আসেন। শেষ পাল রাজাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিজয় সেন মদনপালকে পরাজিত করে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বাংলা থেকে পালদের বিতাড়িত করে নিজ প্রভুত্ব বিস্তার করেন।

এরপর তিনি কামরূপ, কলিঙ্গ ও মিথিলা আক্রমণ করেন। হুগলী জেলার ত্রিবেণীতে অবস্থিত বিজয়পুর ছিল বিজয় সেনের প্রথম রাজধানী। দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করা হয় বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে। বিজয় সেন পরম মাহেশ্বর, পরমেশ্বর, পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ, অরিরাজ-বৃষভ-শঙ্কর প্রভৃতি উপাধি গ্রহণ করেন। সেন বংশের অধীনেই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলা দীর্ঘকালব্যাপী একক রাজার অধীনে ছিল। ধর্মের দিক থেকে বিজয় সেন ছিলেন শৈব।

বিজয় সেনের পর সিংহাসনে আরোহণ করেন তাঁর পুত্র বল্লাল সেন (১১৬০-১১৭৮ খ্রিষ্টাব্দ)। তাঁর রাজত্বকালে তিনি শুধু পিতৃরাজ্য রক্ষাই করেননি, মগধ ও মিথিলাও সেন রাজ্যভুক্ত করে সেন শাসন শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেন। চালুক্য রাজকন্যা রমা দেবীকে তিনি বিয়ে করেন। অন্যান্য উপাধির সাথে বল্লাল সেন নিজের নামের সাথে 'অরিরাজ নিঃশঙ্ক শঙ্কর' উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে পুত্র লক্ষণ সেনের হাতে রাজ্যভার অর্পণ করে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ত্রিবেণীর নিকট গঙ্গাতীরে বানপ্রস্থ অবলম্বন করে শেষ জীবন অতিবাহিত করেন।

বল্লাল সেন অত্যন্ত সুপণ্ডিত ছিলেন। বিদ্যা ও বিদ্বানের প্রতি তাঁর যথেষ্ট অনুরাগ ছিল। তিনি বেদ, স্মৃতি, পুরাণ প্রভৃতি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেছিলেন। তাঁর একটি বিরাট গ্রন্থাগার ছিল। কবি বা লেখক হিসেবে সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর দান অপরিসীম। তাঁর পূর্বে বাংলার কোনো প্রাচীন রাজা এরূপ লেখনী প্রতিভার পরিচয় দিতে পারেননি। তিনি 'দানসাগর' ও 'অদ্ভুতসাগর' নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। অবশ্য 'অদ্ভুতসাগর' গ্রন্থের অসমাপ্ত অংশ তাঁর পুত্র লক্ষণ সেন সম্পূর্ণ করেছিলেন। গ্রন্থদ্বয় তাঁর আমলের ইতিহাসের অতীব মূল্যবান উপকরণ।

তিনি রামপালে নতুন রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। বল্লাল সেন তন্ত্র হিন্দুধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ফলে তাঁর রাজত্বকালে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায় এবং বৌদ্ধ ধর্ম দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেকে মনে করেন তিনি হিন্দু সমাজকে নতুন করে গঠন করার উদ্দেশ্যে 'কৌলীন্য প্রথা' প্রবর্তন করেছিলেন। এর ফলে সামাজিক আচার-ব্যবহার, বিবাহ অনুষ্ঠান প্রভৃতি বিষয়ে কুলীন শ্রেণির লোকদিগকে কতকগুলো বিশেষ রীতিনীতি মেনে চলতে হতো।

বল্লাল সেনের পর তাঁর পুত্র লক্ষণ সেন (১১৭৮-১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ) প্রায় ৬০ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। পিতা ও পিতামহের ন্যায় লক্ষণ সেনও সুদক্ষ যোদ্ধা ছিলেন এবং রণক্ষেত্রে নৈপুণ্যের পরিচয় দেন। তিনি প্রাগ-জ্যোতিষ, গৌড়, কলিঙ্গ, কাশী, মগধ প্রভৃতি অঞ্চল সেন সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। কিন্তু তাঁর শেষ জীবন খুব সুখের ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিগ্রহ পরিচালনা ও বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ও অন্যান্য কারণে তিনি শেষ পর্যন্ত শাসনের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন এবং পিতার ন্যায় গঙ্গাতীরে দ্বিতীয় রাজধানী নবদ্বীপে বসবাস শুরু করেন। ফলে গৌড় ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ও অন্তর্বিরোধের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং অভ্যন্তরীণ গোলযোগের সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে ১১৯৬ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান সুন্দরবন অঞ্চলে ডোম্মন পাল বিদ্রোহী হয়ে একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

লক্ষণ সেন নিজে সুপণ্ডিত ও বিদ্যোৎসাহী ছিলেন। পিতার অসমাপ্ত গ্রন্থ 'অদ্ভুতসাগর' তিনিই সমাপ্ত করেছিলেন। লক্ষণ সেন রচিত কয়েকটি শ্লোকও পাওয়া গেছে। তাঁর রাজসভায় বহু পণ্ডিত ও জ্ঞানী ব্যক্তির সমাবেশ ঘটেছিল।

লক্ষণ সেন পিতা ও পিতামহের শৈব ধর্মের প্রতি অনুরাগ ত্যাগ করে বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। পিতা ও পিতামহের 'পরম মহেশ্বর' উপাধির পরিবর্তে তিনি 'পরম বৈষ্ণব' উপাধি গ্রহণ করেন। তিনি শাস্ত্র ও ধর্ম চর্চায় পিতার উপযুক্ত পুত্র ছিলেন। ঐতিহাসিক মিনহাজ তাঁর দানশীলতা ও ঔদার্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

তেরো শতকের প্রথম দিকে মুসলমান সেনাপতি বস্তিয়ার খন্জি নদীয়া আক্রমণ করেন। বৃদ্ধ লক্ষণ সেন কোনো প্রতিরোধ না করে নদীপথে পূর্ববঙ্গের রাজধানী বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর আশ্রয় গ্রহণ করেন। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বাংলা বখতিয়ার খলজি সহজেই অধিকার করে নেন। লক্ষণাবতীকে (গৌড়) কেন্দ্র করে বাংলায় মুসলিম সামাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় অবস্থান করে লক্ষণ সেন আরও ২/৩ বছর রাজত্ব করেন। খুব সম্ভব ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে (মতান্তরে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দে) তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। লক্ষণ সেনের মৃত্যুর পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন কিছুকাল (১২০৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত) পূর্ব বাংলা শাসন করেন। এভাবে লক্ষণ সেনের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলায় সেন শাসনের অবসান ঘটে।

Tuesday, December 19, 2023

বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত ২০২২

বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত ২০২২

বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত ২০২২? বাংলাদেশে বর্তমানে দিন দিন কি জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে? দেশের জনসংখ্যা জানার পূর্বে আমরা প্রথমেই জনসংখ্যা ও পপুলেশন সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।

জনসংখ্যা কী

জনসংখ্যা শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ Population। সাধারণ অর্থে জনসংখ্যা বলতে কোনো দেশ বা অঞ্চলে বসবাসকৃত সংখ্যাকে বোঝায়। তবে ভৌগোলিক অর্থে জনসংখ্যা বলতে কোনো নির্দিষ্ট ভূখণ্ড বা অঞ্চলে বসবাসকারী এবং পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত লোকজনকে বোঝানো হয়।

জনশুমারি

কোনো দেশের বা কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ গণনাকেই জনশুমারি বলা হয় । জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়ে জনশুমারি একটি জনগোষ্ঠীর বা দেশের জনসংখ্যা গণনার সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ, তথ্য একত্রীকরণ এবং জনমিতিতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক তথ্যাদি প্রকাশ করা বোঝায় । ইতিহাসে সর্বপ্রথম নথিভুক্ত জনশুমারি হিসেবে পরিচিত ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম উইলিয়াম কর্তৃক ১০৮৬ সালে ডুমস ডে বুক বা জমিতে বসবাসকারী মানুষের উপর পরিচালিত জরিপ। ১৭৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আধুনিক জনশুমারি পরিচালিত হয়। অবিভক্ত বাংলায় প্রথম জনশুমারি শুরু হয় ১৮৭২ সালে । আর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। সর্বশেষ ১৫-২১ জুন ২০২২ ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহ গণনা অনুষ্ঠিত হয়।




ওয়ারেন হেস্টিংসের বৈদেশিক নীতি (Foreign policy of warren Hastings)

ওয়ারেন হেস্টিংসের বৈদেশিক নীতি (Foreign policy of warren Hastings)

ওয়ারেন হেস্টিংস যখন গভর্নর তখন "ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি" ভারতে সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম না হলেও  বাংলায় তারা বণিক সম্প্রদায় থেকে শাসক সম্প্রদায় এ রূপান্তরিত হয়।" ফলে ভারতের অপরাপর রাজ্য ও রাজনৈতিক শক্তির প্রতি তিনি সুনির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন। তিনি বুঝতে পারেন যে, ভারতে ইংরেজদের অধিপত্যকে স্থায়ী রূপ দিতে হলে দেশীয় রাজাদের ইংরেজদের ওপর নির্ভরশীল করে তোলা প্রয়োজন। 

অযোধ্যা নীতি(Ayodhya policy)

ওয়ারেন হেস্টিংস মারাঠা আক্রমণ থেকে বাংলা ও বিহারকে নিরাপদ রাখার জন্য অযোধ্যাকে মধ্যবর্তী রাজ্য "বাফার স্টেট (Buffer State) হিসেবে পেতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি মারাঠাদের আশ্রয় বাস করার অজুহাতে বারাণসীর সন্ধ্যী দ্বারা মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমকে কারা ও এলাহাবাদ প্রদেশ দুটি ফেরত দিতে বাধ্য করেন। এরপর এ প্রদেশ দুটি ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি অযোধ্যা নবাবের কাছে বিক্রি করে দেন।  এভাবে তিনি অযোধ্যার শক্তি বৃদ্ধি করে একে বাফার স্টেট (Buffer State) হিসেবে ব্যবহার করেন।

রহিলা নীতি (Rohila Policy)

বর্তমান ভারতের যুক্ত প্রদেশ সেকালে রহিল খন্ড নামে পরিচিত ছিল। সেখানে রোহিলা - আফগানগন স্বাধীনভাবে শাসন করতেন। অযোধ্যারা উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এ রাজ্যটির সরদার হাফেজ রহমত খাঁ মারাঠা আক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যার নবাবের সাথে এই মর্মে চুক্তি করেন যে, মালা ছাড়া রোহিলা খন্ড আক্রমণ করলে নবাব তাকে সৈন্য দিতে সাহায্য করবেন এবং বিনিময় নবাবকে ৪০ লক্ষ টাকার দেওয়া হবে। ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে মারাঠারা রহিল খন্ড আক্রমণ করলে অযোধ্যার নবাব সুজন তোলা ইংরেজ কোম্পানির সাহায্য পুষ্ট হয়ে মারাঠাদের বিরুদ্ধে  অগ্রসর হন। খবর পেয়ে মারাঠারা ভীত হয়ে বিনা যুদ্ধে ফিরে যায়। 

নবাব চুক্তি অনুযায়ী ৪০ লক্ষ টাকা দাবি করলে আফগান সরদার হাফেজ রহমত খাতা দিতে অস্বীকার করেন। তিনি যুদ্ধের ব্যয় ছাড়াও ৪০ লক্ষ টাকা প্রদানের বিনিময়ে রহিলাখন্ড দখলে ইংরেজ সহায়তা কামনা করলে হেস্টিংস সানন্দে এ প্রস্তাবে রাজি হন। মনিপুর কাচার যুদ্ধে রোহীনারা পরাজিত হয়, হাফেজ রহমত খান নিহত হন এবং প্রায় ২ লক্ষ রহিলা বিতাড়িত হয়।

প্রথম ইঙ্গ -মারাঠা যুদ্ধ (১৭৭৩ - ১৭৮৩)

First Anglo- Maratha war (1773-1783)

পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠা শক্তির বিপর্যয় ঘটলেও তারা একেবারে ধ্বংস হয়নি। মারাঠা নায়ক বালাজি বাজিরাও- এর পুত্র পেশা মাধব রাওয়ের নেতৃত্বে মারাঠা শক্তির পুনরূপ জীবন ঘটে। কিন্তু মাধব রাওয়ের মৃত্যুর পর পেশোয়া পদের জন্য মাধব রাওয়ের ভাই নারায়ন রাও এবং পিতৃত্ব রঘুনাথ রাওয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা শুরু হয়। মারাঠাদের এই দ্বন্দ্বে অভ্যন্তরীণ ইংরেজরা হস্তক্ষেপ করলে ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ইঙ্গো- মারাঠা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়।

১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে সুরাটের সন্ধি অনুযায়ী বোম্বাইয়ের ইংরেজ সরকার রঘুনাথ রাওকে পেশোয়া দ্বিতীয় মাধব রাওয়ের বিরুদ্ধে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে সম্পাদন অনুযায়ী ইংরেজ সরকার এই সন্ধি বাতিল করে দেয় এবং সানসেট বন্দরের বিনিময়ে  পুরন্দরের সন্ধি সম্পাদন করেন। 

১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ বাহিনী বোম্বাই হতে "পুনা"এবং সানসেট অভিমুখে রওনা হয় কিন্তু তেলিগাঁও এর যুদ্ধে মারাঠাদের কাছে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। ফোলে ওয়াদগাঁও এর সন্ধি দ্বারা ইংরেজরা সকল বিজিত স্থান প্রত্যাহার্পন করতে এবং আশ্রিত রঘুনাথরাওকে হস্তান্তর করতে স্বীকৃত হয়। এরপর ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় যুদ্ধের গাডার্ডের নেতৃত্বে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যান।

 তবে মধ্য ভারতের ইংরেজরা সেনাপতি ও পপহামের নেতৃত্বে সিন্ধিয়ার গোয়ালিয়র অধিকার করলে সিন্ধিয়ার প্রচেষ্টায় ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে ইঙ্গো - মারাঠা স্বাক্ষরিত হয়।  এর সন্ধি অনুযায়ী ইংরেজরা বিজিত রাজ্যগুলো মারাঠাদের ফেরত দেয়, বিনিময়ে "সলসেট" বন্দর লাভ করে। ইংরেজরা মাধব রাও নারায়নকে পেশোয়া বলে স্বীকার করে নেয়। রঘুনাথ রাওকে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। এভাবে প্রথম ইঙ্গো- মারাঠা যুদ্ধে অবসান ঘটে।

Friday, December 15, 2023

নিটিং কাকে বলে? নিটিং এর ইতিহাস । নিটিং কিভাবে করে? What is Knitting?

নিটিং কাকে বলে? নিটিং এর ইতিহাস । নিটিং কিভাবে করে? What is Knitting?

নিটিং নিয়ে যত প্রশ্নের উত্তর আজকের আর্টিকেলটি পড়লেই উত্তর জানতে পারবেন। নিটিং কি? নিটিং কিভাবে কাজ করে? নিটিং কিভাবে করে? নিটিং এর মূল কাজটি কি?  নিটিং এর ইতিহাস, নিটিং মেশিন, সার্কুলার নিটিং, নিটিং করতে কি কি প্রয়োজন? এরকম যাদের প্রশ্ন রয়েছে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।
What is Knitting, History of Knitting
তো প্রথমেই আমরা জেনে নেই নিটিং কি?

নিটিং কি?

যে প্রক্রিয়ায় মেশিন বা হস্ত দ্বারা এক ধরনের বিশেষ সূচ ব্যবসা করে বিশেষ নিয়মে লুপ তৈরি করে উক্ত লুপগুলোতেই পরস্পরের সাথে লম্বালম্বি বা সমান্তরালভাবে সংযোজিত করে কাপড় তৈরি কয়া হয় তাকে নিটিং বলে।

এক কথায় নিটিং বলতে সুতা (Yarn) এবং সুচ (Needle) এর মাধ্যমে লুপ (Loop) তৈরি করে কাপড় তৈরি করাকে বুঝায়।

নিটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সুতা থেকে কাপড় তৈরি করা হয়। এটি একটি প্রাচীন শিল্প যা হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিটিং মূলত দুই ভাবে করা হয়, যেমন-
  1. হাত দিয়ে নিটিং
  2. মেশিন দিয়ে মেশিন দিয়ে নিটিং

হাত দিয়ে নিটিং

হাত দিয়ে নিটিং করার জন্য, নিটাররা একটি বড় ও মজবুত রড বা এ জাতিয় কিছুর সাথে সংযুক্ত একাধিক সুতা লাগায় এবং লুপ তৈরি করে। তারপর সেই লুপগুলিকে একটির সাথে আরেকটি সংযুক্ত করে। তারপর কাপড় তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ধরণের হাতের নিটিং রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সোয়েটার নিটিং, মোজা নিটিং এবং স্কয়ার নিটিং।

মেশিন দিয়ে নিটিং

মেশিন দিয়ে নিটিং করার জন্য, নিটাররা একটি নিটিং মেশিন ব্যবহার করে। এই মেশিনগুলিতে অনেকগুলো সুতা যুক্ত করা হয় যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লুপ তৈরি করে এবং তারপর সেই লুপগুলিকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করে। এরপর কাপড় বা ফেব্রিক্স তৈরি করা হয়। মেশিন দিয়ে নিটিং বিভিন্ন ধরণের কাপড় তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে টি-শার্ট, স্কার্ট, এবং প্যান্ট।

নিটিং এর ইতিহাস (History of Knitting)

নিটিং (Knitting) কোথায় এবং কখন উৎপত্তি হয়েছে তার ইতিহাস এখনও অস্পষ্ট। তবে ১৭৬৯ সালে প্রথম নিটিং মেশিন ব্যবহার করে কাপড় তৈরি করা হয়েছিল। ইউলিয়াম লি নামক ধর্ম ধর্মযাজক প্রথম হস্তচালিত নিটিং মেশিন আবিষ্কার করেন।  প্রবর্তীকালে ফ্রান্স ও আফ্রিকায় দুইটি পার্টস তৈরি করা হয়। পরে টর্নমাউন্টেড নামে জনৈক ইংরেজ অটোমেটিক নিটিং মেশিন (Automatic Knitting Machine) আবিষ্কার করেন। 
Knitting Machine
১৭৯৮ সালে ফ্রান্সে প্রথম সার্কুলার নিটিং মেশিন আবিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে লেচ নিডিল (Latch needle) আবিষ্কারের ফলে এর সাহায্যে প্রথম ফেন্সি ডিজাইন তৈরি করা হয়। ধীরে ধীরে এই মেশিনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের সার্কুলার নিটিং মেশিন আবিষ্কার এবং ব্যবহার শুরু হয়।
Circular Knitting Machine
বর্তমানে বহুলভাবে ব্যবহৃত আধুনিক মেশিনগুলোর মধ্যে নিম্ন লিখিত মেশিনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

১. সার্কুলার নিটিং মেশিন (Circular knitting machine)
২. ডালায় সিলিন্ডার নিটিং মেশিন (Dial cylinder knitting machine)
৩. সিংকার হুইল নিটিং মেশিন (Sinker wheel knitting machine)
৪. ডাবল সিলিন্ডার নিটিং মেশিন (Double cylinder knitting machine)
৫. ফুটওয়্যার নিটিং মেশিন (Foot wear knitting machine)

নিটিং একটি বহুমুখী এবং আকর্ষণীয় শিল্প যা বিভিন্ন ধরণের কাপড় তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। নিটিং একটি শিথিল এবং আনন্দদায়ক ক্রিয়াকলাপও বটে, যা লোকেদের তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে দেয়।


আজকের আর্টিকেলটি পড়লে যেই সকল বিষয় জানতে পারবেন-  নিটিং কি? নিটিং কাকে বলে? নিটিং এর ইতিহাস, নিটিং লুপ, সার্কুলার নিটিং, নিটিং এর ইতিহাস, সার্কুলার মেশিনের ইতিহাস ইত্যাদি।
বিঃদ্রঃ আমার দেওয়া কোন তথ্যে ভুলত্রুটি থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন😊
টেক্সটাইল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন

সাইবার সিকিউরিটি কি | ডিজিটাল প্রযুক্তির রক্ষণায়ন

সাইবার সিকিউরিটি কি | ডিজিটাল প্রযুক্তির রক্ষণায়ন

সাইবার সিকিউরিটি কি? সাইবার সিকিউরিটি কেন প্রয়োজন?  সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল! সাইবার সিকিউরিটি 

সাইবার সিকিউরিটি

সাইবার সিকিউরিটি বা সাইবার নিরাপত্তা হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় তথ্যের রক্ষণায়ন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া। সাইবার সিকিউরিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা নেটওয়ার্ক, কম্পিউটার, মোবাইল ডিভাইস, ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, ইন্টারনেট ব্যবহার, আরও অনেক কাজে প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রযুক্ত। অর্থাৎ এইসকল সিস্টেমে নিরাপত্তা দেওয়াই সাইবার সিকিউরিটি।
সাইবার সিকিউরিটি কি

কেন গুরুত্বপূর্ণ?

1. সাইবার আক্রমণ ও সাংবাদিকতা

আধুনিক সমাজে তথ্য প্রযুক্তির অভাবে দেশের অর্থনীতি, সংবাদ, ও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তার জন্য সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে সংবাদপত্র, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিতর্ক, আরও অনেক ক্ষেত্রে মার্জিত সংবাদ প্রকাশে হুরুত হয়ে থাকে।

2. ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিরাপত্তা

ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির জন্য তথ্য বা ডেটা একটি অমূল্যবান সম্পদ। এই তথ্যগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, প্রতিষ্ঠানের রহস্যমূল্য তথ্য, বা পরিচিতির সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা সাইবার সিকিউরিটির মাধ্যমে নিরাপদ রাখা হয়।

মৌলিক মাধ্যম

1. করণীয়

সাইবার সিকিউরিটির সুরক্ষার জন্য তথ্যের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীদের কাছে জেনো সরাসরি ডেটার এক্সেস না থাকে বা নির্দিষ্ট ব্যাক্তির তথ্য অন্য কেউ না দেখে এরকম ভাবে ইউজার এক্সপিরিয়েন্স তৈরি করতে হবে।

2. প্রযুক্তি

এনক্রিপশন, ফায়ারওয়াল, অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার, মালওয়্যার স্ক্যানার, এবং আধুনিক সিকিউরিটি সফটওয়্যার দ্বারা সাইবার আক্রমণের প্রতি সুরক্ষা প্রদান করা হয়।

শেষ কথা

সাইবার সিকিউরিটি বদলানো প্রযুক্তি এবং আমাদের ডিজিটাল জীবনের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এটি নিজস্ব জীবনের সাথে সাথে ব্যক্তিগত, প্রতিষ্ঠানিক, ও সামাজিক দিকে আমাদের সম্প্রদায় ও অর্থনীতিক উন্নতির সাথে সংযোজিত। আমাদের এই ডিজিটাল পথে প্রগতির হারানো চেষ্টা করতে হবে না, বরং এটির সাথে সাথে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য সঠিক পথে চলতে হবে।

আরো পড়ুন

সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

সার্চ কোয়েরিঃ সাইবার সিকিউরিটি কি? সাইবার সিকিউরিটি কি, সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার সিকিউরিটি,সাইবার সিকিউরিটি কি,সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট এর ফিউচার কি?,সাইবার সিকিউরিটি কোর্স,সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট কি,সাইবার সিকিউরিটি টিম,সাইবার সিকিউরিটি ক্যারিয়ার,সাইবার সিকিউরিটি,সাইবার সিকিউরিটি প্রফেশনাল,সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট,সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে সচেতনতা,সাইবার ৭১,সাইবার সিকিউরিটিতে বাংলাদেশ,ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার সিকিউরিটি কোর্স,কিভাবে সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট হওয়া যায়,সাইবার এটাক কি

Thursday, December 14, 2023

উপন্যাসের ধারণা ও সংজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

উপন্যাসের ধারণা ও সংজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

উপন্যাস গদ্যে লেখা এক ধরনের গল্প। মানুষ গল্প বলতে ভালোবাসে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই এটা চলে আসছে। মানুষ তখন মুখে মুখে বলত। লিখে রাখার চল ছিলোনা। পরে এরই ধারাবাহিকতায় আবির্ভার ঘটে উপন্যাসের। তবে উপন্যাস শুধু চোখে দেখা গল্প নয়, সেই সব ঘটনার সঙ্গে লেখকেরা নিজের ভাবনা, কল্পনাকে মিশিয়ে দিয়ে রচনা করেন উপন্যাস। উপন্যাসে তাই আমরা পাই ঐপন্যাসিকের জীবনানুভূতির প্রকাশ। এভাবেই উপন্যাস হয়ে উঠেছে এক ধরনের সৃষ্টিশীল রচনা।

উপন্যাসের ধারণা

মানুষ এরপর যখন লিখে রাখতে শেখে, তখনই আবির্ভাব ঘটে উপন্যাসের। পনেরো শতকে ছাপাখানার আবির্ভাবের পর বিলুপ্তি ঘটে গল্পকথকদের। শুরু হয় আধুনিক উপন্যাসের কাল। প্রথমে এই আধুনিক উপন্যাসের সুত্রপাত ঘটে ইউরোপে, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। শুরু হয় আধুনিক উপন্যাস লেখা।

শুরুতেই বলেছি, উপন্যাসে থাকে একটি প্রধান বা মুল গল্প। এই গল্পটি গড়ে তোলার জন্যে থাকতে পারে আরও কিছু পার্শ্বগল্প। ফলে, উপন্যাসের আকার সাধারনত ছোট হয় না, আবার এটি নিতান্ত ছোট গল্প ও নয়। তবে এর আকার কত টুকু হবে, মূল গল্পটি গড়ে তুলতে গিয়ে পার্শ্বগল্পের আশ্রয় নেওয়া হবে কিনা, এ বিষয়ে সাহিত্য তাত্ত্বিকগণ একমত হতে পারেন নি। এ. এম. ফাস্টার তার আসপেক্টস অব দ্যা নভেল গ্রন্থে বলেছেন, উপন্যাস হচ্ছে 'সুনির্দিষ্ট আয়তনের গদ্যকাহিনি'।

উপন্যাসের সংজ্ঞা

এই আয়তনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, উপন্যাসের শব্দসংখ্যা কমপক্ষে পঁচিশ হাজার হওয়া বাঞ্চনীয়। তবে এর সর্বোচ্চ সংখ্যা কত হবে, ফাস্টর সে সম্পর্কে কিছু বলেন নি। প্রখ্যাত ফরাসি ঐপন্যাসিক মার্সেল প্রুস্তের লেখা একটি উপন্যাসের (In Search of Lost Time) শব্দসংখ্যা বারো লাখের মতো। এটিই এ পর্যন্ত লেখা পৃথিবীর সবচেয়ে পড় উপন্যাস। লেভ তলস্তয়ের ওয়্যার অ্যান্ড পিসের শব্দসংখ্যাও অনেক - পাঁচ লাখ সাতাশি হাজারের মতো।

ইতালির বিখ্যাত নন্দনতাত্ত্বিক ও ঐপন্যাসিক উমবার্তো একো আবার সাত শব্দের এক বাক্যে রচিত একটি লেখাকে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম উপন্যাস বলে দাবি করেছেন শুধু আকার নয়, উপন্যাসের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধেও সাহিদ্য তাত্ত্বিকগণ একমত হতে পারেন নি। এর কাহিনি কিভাবে উপস্থাপন করা হবে, কাহিনির বিষয়-আশয় কী হবে, ভাষারীতির ধরন কেমন হবে- এসব বিষয়ে সাহিত্য তাত্ত্বিকগণ নিজেদের স্বাতন্ত্র প্রকাশের জন্য আলাদা আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন।

উপন্যাস সাধারণভাবে বড় ধারাবাহিক বা বৃহত্তর সময়ে বা স্থানে ঘটিত ঘটনাবল্ল মৌল্য নিয়ে সম্পর্কিত থাকে। এটি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে এবং চরিত্রগুলি কাহিনীটি বাস্তব ও ভাবনামূলক ভূত দেয়।

একটি ভালো উপন্যাস তার পাঠকদের উত্তেজনা এবং ভাবনার সাথে জড়িত করতে সক্ষম হতে হবে, এবং সামাজিক বা ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তার মূল ধারণা বোঝাতে হবে।




ডেটাবেজ কিভাবে তৈরি করা হয়? How to Create Database

ডেটাবেজ কিভাবে তৈরি করা হয়? How to Create Database

ডেটাবেজ কিভাবে তৈরি করা হয়? কিভাবে ডেটাবেস তৈরি করবেন? How to create a Database? "CREATE" কুয়েরি দিয়ে কিভাবে ডেটাবেস তৈরি করা হয়? আজকের আর্টিকেল সম্পুর্ন পড়লে আপনি নিজেই ডেটাবেস তৈরি করতে পারবেন। Database,What is,ডেটাবেজ কি, ডেটাবেজ কাকে বলে, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিজিটর। আজকের টপিক তা ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গেছেন। ডেটাবেস কিভাবে তৈরি করা হয় তার আগে আমরা ডেটাবেসের বেসিক কিছু বিষয় জেনে নেই। 

ডেটাবেজ কি?

ডেটাবেজ হচ্ছে এক ধরনের তথ্য ভান্ডার যেখানে অগনিত ডেটা থাকে। যা কম্পিউটার স্টোরেজে ডেটাবেজ আকারে তথ্য উপাত্ত সঞ্চিত থাকে। এবং এই ডেটাগুলো এক্সেস করার জন্য রয়েছে ডেটাবেস ল্যাঙ্গুয়েজ। ডেটাবেজ স্বাধারনত ২ ধরনের একটি হচ্ছে টেবিল ফরমেটে কাজ করে যেটাকে SQL বলে সবাই চিনে থাকে। অপরটি হচ্ছে No-Sql যেটা টেবিল ফরমেটে থাকেনা বরং ডকুমেন্ট আকারে থাকে যেমন MongoDB। ডেটাবেজের ধরণ অনুযায়ী আলাদা আলাদা ভাষা ব্যবহার করা হয়। তবে আমরা আজকে শিখবো SQL Language দিয়ে ডেটাবেস তৈরি করা। 

ডেটাবেজ কিভাবে তৈরি করে?

নিচের ধামগুলো মানলেই আপনি ডেটাবেস তৈরি করতে পারবেন।

ধাপ ১: ডেটাবেজ ডিজাইন করা

ডেটাবেস তৈরি করার আগে, ডেটাবেজ ডিজাইন করতে হবে। ডেটাবেস ডিজাইনের মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে আপনি কি ধরনের ডেটা সংরক্ষণের করতে চান সেই অনুযায়ী জেনো ডেটাবেসে ডেটা এন্ট্রি করাতে পারেন। 

ধাপ ২: টেবিল তৈরি করা

ডেটাবেসে তথ্য সংরক্ষণের জন্য আপনাকে টেবিল তৈরি করতে হবে। আপনি যত ইচ্ছা তত টেবিল তৈরি করতে করতে পারেন তবে আপনার তথ্য ইনপুট কি কি হবে সেই অনুযায়ী টেবিল বানাতে হবে।

ধাপ ৩: স্কিমা ডিফাইন করা

প্রতিটি টেবিলে কোন কোন ফিল্ড থাকবে তা নির্ধারণ করতে হবে এবং এটা করার জন্য আপনি স্কিমা ডিফাইন করতে পারেন। স্কিমা হচ্ছে  প্রতিটি ফিল্ডের ধরণ, মান, ইনডেক্স, ডেটাটাইপ ইত্যাদি।

ধাপ ৪: ডেটাবেজ তৈরি করা

এবার SQL কোড ব্যবহার করে ডেটাবেস তৈরি করতে পারেন। কোড দেখে একদম ঘাবরাবেন না। আমি পরবর্তীতে সব এক্সপ্লেইন করে দিবো কোন লিখাটার জন্য কি ধরনের কাজ হয়। নীচে আমি সাধারণ এক লাইন কোড লিখে দিয়েছি যা লিখলে একটি ডেটা বেস তৈরি হবে আপনার সার্ভারে।
CREATE DATABASE your_database_name;
CREATE DATABASE এটা যেহুতু SEQUEL এখানে `your_database_name` হলো আপনার ডেটাবেসের নাম।

ধাপ ৫: টেবিল তৈরি করুন

টেবিল তৈরি করার জন্য নীচের মতো একটি SQL কোড ব্যবহার করতে পারেন:
CREATE TABLE your_table_name (
    column1 datatype1,
    column2 datatype2,
    column3 datatype3,
    ...
);
এখানে `your_table_name` হলো আপনার টেবিলের নাম, এবং `column1`, `column2`, `column3` হলো আপনার টেবিলের ফিল্ড গুলির নাম। `datatype1`, `datatype2`, `datatype3` হলো প্রতিটি ফিল্ডের ধরণ, যেমন `INT`, `VARCHAR`, `DATE` ইত্যাদি।

এই ভাবে, আপনি একটি বেসিক ডেটাবেজ তৈরি করতে পারবেন। এরপর, আপনি আপনার ডেটাবেসে ডেটা বা তথ্য ইনপুট করতে পারবেন এবং রিট্রিভ করতে করতে পারেন SQL কোড ব্যবহার করে।

কিভাবে ডেটা রিট্রিভ করতে হয় তা জানতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং কোন কোড বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন মতামত।
ডেটাবেজ সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন

ডেটাবেজ সম্পর্কে নিত্য নতুন তথ্য জানতে ও জানাতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন নিচের কন্টাক্ট ফর্মের মাধ্যমে।

ডেটাবেজ কি? ডেটাবেজ কিভাবে তৈরি করা হয়? এই নিয়েই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেলটি। যদি কারো কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।😊




Thursday, December 7, 2023

ফেসবুকের নতুন ইমেজ জেনারেটর এআই | Facebook Image Generator | Meta AI

ফেসবুকের নতুন ইমেজ জেনারেটর এআই | Facebook Image Generator | Meta AI

ফেসবুক সম্প্রতি একটি নতুন ইমেজ জেনারেটর এআই চালু করেছে যা একজন ইউজার তার দেওয়া টেক্সট দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি ইমেজ তৈরি করতে পারবে। এই নতুন প্রযুক্তিটিকে "মেটাভার্সের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার" হিসাবে দেখা হচ্ছে, যেখানে ইউজাররা তাদের নিজস্ব ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তৈরি করতে এবং একসাথে যোগাযোগ করতে পারবে।

নতুন ইমেজ জেনারেটর এআইকে "আইমেজ টেক্সট-টু-ইমেজ" বলা হয়। তবে ওয়েবসাইট অনুসারে নাম দেওয়া আছে Imagine With Meta Ai এটি একটি Ai Tools। এই এআইটি একটি ভাষা মডেল যা চিত্রের একটি বিশাল ডেটাসেটে প্রশিক্ষিত। এই ডেটাসেটটিতে বাস্তব বিশ্ব থেকে নেওয়া চিত্র এবং কল্পিত বিশ্ব থেকে নেওয়া চিত্র উভয়ই রয়েছে।

একজন ইউজার AI Image টেক্সট-টু-ইমেজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরণের আর্ট/ছিবি তৈরি করতে পারবে। তারা একটি নির্দিষ্ট বিষয়, শৈলী বা বাস্তবসম্মততা বেছে নিতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি প্রাণী, একটি প্রকৃত দৃশ্য বা একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী চিত্র তৈরি করতে চান? সেটা কমান্ড আকারে বা টেক্সট আকারে লিখে দিলেই জেনেরেট হয়ে যাবে।  

Meta Imagine Ai

টেক্সট-টু-ইমেজ এখনও উন্নয়নাধীন, তবে এটি ইতিমধ্যেই অনেক ধরণের সৃজনশীল উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এটি ব্যবহার করা হচ্ছে:

  • নতুন পণ্য এবং পরিষেবার ধারণাগুলির জন্য দ্রুত প্রাথমিক ধারণা তৈরি করতে
  • বিজ্ঞাপন এবং বিপণন সামগ্রী তৈরি করতে
  • শিক্ষামূলক উপকরণ তৈরি করতে
  • শিল্প এবং সাহিত্যের জন্য নতুন ধারণাগুলি অন্বেষণ করতে

Meta AI টেক্সট-টু-ইমেজ একটি শক্তিশালী টুলস যাতে আমাদের সৃজনশীলতা এবং যোগাযোগের উপায়কে পরিবর্তন করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদেরকে আমাদের চারপাশের বিশ্বকে নতুন উপায়ে দেখতে এবং আমাদের চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলিকে নতুন উপায়ে প্রকাশ করার জন্য এই টুলস।

Meta Ai Image Tools টেক্সট-টু-ইমেজের সম্ভাব্য ব্যবহার

আইমেজ টেক্সট-টু-ইমেজের সম্ভাব্য ব্যবহারগুলি অসীম। এখানে কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে:

  • শিল্প: শিল্পীরা আইমেজ টেক্সট-টু-ইমেজ ব্যবহার করে নতুন ধারণাগুলি অন্বেষণ করতে এবং তাদের কাজের জন্য নতুন শৈলী তৈরি করতে পারেন।
  • সাহিত্য: লেখকরা আইমেজ টেক্সট-টু-ইমেজ ব্যবহার করে তাদের গল্পগুলিকে চিত্রিত করতে এবং তাদের পাঠকদের জন্য একটি আরও বাস্তব অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারেন।
  • শিক্ষা: শিক্ষকরা আইমেজ টেক্সট-টু-ইমেজ ব্যবহার করে শিক্ষামূলক উপকরণ তৈরি করতে পারেন যা শিক্ষার্থীদের জন্য আরও আকর্ষক এবং বোঝার মতো।
  • বিপণন: বিপণকরা আইমেজ টেক্সট-টু-ইমেজ ব্যবহার করে নতুন বিজ্ঞাপন এবং বিপণন সামগ্রী তৈরি করতে পারেন যা আরও আকর্ষণীয় এবং কার্যকর।

আইমেজ টেক্সট-টু-ইমেজ এখনও উন্নয়নাধীন, তবে এটি ইতিমধ্যেই অনেক ধরণের সৃজনশীল উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি একটি শক্তিশালী টুলস। যাতে আমাদের সৃজনশীলতা এবং যোগাযোগের উপায়কে পরিবর্তন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: https://ai.meta.com/