আজকের এই আর্টিকেলে সুন্দর সুন্দর ওয়ালপেপারের ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
Sunday, October 8, 2023
Friday, October 6, 2023
আলট্রাসনোগ্রাফি What is Ultrasonography?
ডায়গনসটিক করার জন্য, কিংবা গর্ভাবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য অথবা পেটে ব্যাথা, টিউমার সনাক্ত এবং হার্টের মত সমস্যা গুলো ধরার জন্য বা রোগ নির্ণয় করার জন্য আমাদেরকে করতে হয় আল্ট্রাসনোগ্রাফি। কিন্তু কি এই আল্ট্রাসনোগ্রাফি? এটা কাজ করে কিভাবে?
আলট্রাসনোগ্রাফি দিয়ে শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্ঙ্গ, মাংসপেশি ইতাদির ছবি তোলা হয়। এটি করার জন্য খুব উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ ব্যবহার করে তার প্রতিধ্বনিকে শনাক্ত করা হয়। শব্দের কম্পাঙ্ক 1-10 মেগাহার্টজ হয়ে থাকে, তাই একে আলট্রাসনোগ্রাফি বলা হয়ে থাকে।
আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রে ট্রান্সডিউসার নামে একটি স্ফটিককে বৈদ্যুতিক শক্তি নিয়ে উদ্দীপ্ত করে উচ্চ কম্পাঙ্কের আলট্রাসনিক তরঙ্গ উৎপন্ন করা হয়। আলট্রাসনিক যন্ত্রে এই তরঙ্গকে একটা সরু বিমে পরিণত করা হয়। শরীরের ভেতরের যে অঙ্গটির প্রতিবিম্ব দেখার প্রয়োজন হয় ট্রান্সডিউসারটি শরীরের উপরে সেখানে স্পর্শ করে বিমটিকে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়, রোগী সে জন্য কোনো ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করে না। যে অঙ্গের দিকে বিমটি নির্দেশ করা হয় সেই অঙ্গের প্রকৃতি অনুযায়ী আলট্রাসনিক তরঙ্গ প্রতিফলিত, শোষিত বা সংবাহিত হয়। যখন বিমটি মাংসপেশি বা রক্তের বিভিন্ন ঘনত্বের বিভেদতলে আপতিত হয় তখন তরঙ্গের একটি অংশ প্রতিধ্বনিত হয়ে পুনরায় ট্রান্সডিউসারে ফিরে আসে। এই প্রতিধ্বনিগুলোকে বৈদুতিক সংকেতে রূপান্তর করে সমন্বিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবিম্ব তৈরি করে।আলট্রাসনোগ্রাফি: নিচের কাজগুলো করার জন্য ব্যবহার করা হয়:
আলট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার স্ত্রীরোগ এবং প্রসুতিবিজ্ঞানে। এর সাহায্যে ভূণের আকার, গঠন, শাতাধিক বা অন্যাতাবিক অবস্থান ইত্যাদি জানা যায়, প্রসুতিবিজ্ঞানে এটি একটি দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
আলট্রাসনোগ্রাফি দিয়ে জরায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য পেলভিক মাসের (Pelvic Mass) উপস্থিতিও শান্ত করা যায়।
পিত্তপাথর, হৃদযন্ত্রের জুটি এবং টিউমার বের করার জন্যও আলট্রাসনোগ্রাম ব্যবহার করা হয়। হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা করার জন্য যখন আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা হয় তখন এই পরীক্ষাকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলে।
এক্স-রের তুলনার আলট্রাসনোগ্রাফি অনেক বেশি নিরাপদ, তবুও এটাকে ঢালাওভাবে ব্যবহার না করে সীমিত সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। ট্রান্সডিউসারটি যেন কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সময়ের জন্য একটানা বিম না পাঠায় সেজন্য আলট্রাসাউন্ড করার সময় ট্রান্সডিউসারটিকে ক্রমাগত নড়াচড়া করাতে হয়।
বাংলাদেশে বিদ্যমান কর্মক্ষেত্র সমূহ
সময় গতিশীল। সময়ের এই গতিময়তার সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় সমাজ, পরিবর্তিত হয় আমাদের চারপাশ, কাজের পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট। আমাদের দেশের কর্মক্ষেত্রেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। আজ থেকে চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগেও আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের পেশা ছিল কৃষিকাজ কিংবা কৃষিভিত্তিক শিল্পে শ্রম দেওয়া।
{getToc} $title={Table of Contents}
আজ বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপক বৈচিত্র্য। আজকের দিনে আমাদের দেশে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কী কী ধরনের কাজের সুযোগ আছে, কোন কোন পেশা গ্রহণ করা সম্ভব তা আজকের আর্টিকেলে জানাবো। পাশাপাশি, আমাদের জন্য ভবিষ্যতে কী ধরনের কাজের সুযোগ তৈরি হতে পারে, সে বিষয়েও জানার চেষ্টা করব। কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে গভীরভাবে জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তবেই আমরা স্বপ্ন ও আগ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পেশা গ্রহণ করতে পারব।আর্টিকেলের সূচিপত্রঃ চাকরি
Thursday, October 5, 2023
পলিমার কাকে বলে? What is Polymer?
মেলামাইনের থালা-বাসন, বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড, কার্পেট, পিভিসি পাইপ, পলিথিনের ব্যাগ, পাটের ব্যাগ, সিল্কের কাপড়, উলের কাপড়, সুতি কাপড়, নাইলনের সুতা, রাবর:- এসব জিনিস আমাদের খুবই পরিচিত, আমরা সবসময়েই এগুলো ব্যবহার করছি। এগুলো সবই পলিমার। পলিমার (Polymer) শব্দটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ পলি (Poly) ও মেরোস (Meros) থেকে। পলি শব্দের অর্থ হলো অনেক (Many) এবং মেরোস শব্দের অর্থ অংশ (Part)। অর্থাৎ অনেকগুলো একই রকম ছোট ছোট অংশ জোড়া দিয়ে যে একটি বড় জিনিস পাওয়া যায়, সেটি হচ্ছে পলিমার। তোমরা একটা লোহার শিকলের কথা চিন্তা করতে পার। লোহার ছোট ছোট অংশ জোড়া দিয়ে একটি বড় শিকল তৈরি হয়। অর্থাৎ বড় শিকলটি হলো এখানে পলিমার রসায়ন বিজ্ঞানের ভাষায়, একই ধরনের অনেকগুলো ছোট অণু পর 1 পর যুক্ত হয়ে পলিমার তৈরি করে। যে ছোট অণু থেকে পলিমার তৈরি হয়, তাদেরকে বলে মনোমার (Monomer)।
আমরা যে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করি, তা হলো "ইথিলিন” নামের মনোমার থেকে তৈরি পলিমার। একইভাবে আমরা যে পিভিসি পাইপ (PVC) ব্যবহার করি, তা হলো ভিনাইল ক্লোরাইড নামের মনোমার থেকে তৈরি পলিমার। তবে সব সময় একটি মনোমার থেকেই পলিমার তৈরি হবে এমন কোনো কথা নেই, একের অধিক মনোমার থেকেও পলিমার তৈরি হতে পারে।যেমন:
বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড বা বৈদ্যুতিক সুইচ হলো বাকেলাইট নামের একটি পলিমার, যা তৈরি হয় ফেনল ও ফরমালডিহাইড নামের দুটি মনোমার থেকে। আবার মেলামাইনের থালা-বাসন হলো মেলামাইন রেজিন নামের পলিমার, যা তৈরি হয় মেলামাইন ও ফরমালডিহাইড নামের দুটি মনোমার থেকে। শুরুতে আমরা পলিমারের যে উদাহরণগুলো দেখেছি, তাদের মধ্যে কিছু কিছু প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। এদেরকে আমরা বলি প্রাকৃতিক পলিমার।
প্রাকৃতিক পলিমার
পাট, সিল্ক, সুতি কাপড়, রাবার, এগুলো প্রাকৃতিক পলিমার। অন্যদিকে মেলামাইন, রেজিন, বাকেলাইট, পিভিসি, পলিথিন—এগুলো প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না, শিল্প-কারখানায় কৃত্রিমভাবে তৈরি করতে হয়। তাই এরা হলো কৃত্রিম পলিমার।
পলিমার কিভাবে তৈরি করা হয়?
মনোমার থেকে পলিমার তৈরি হয় নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মনোমার সংযুক্ত করে পলিমার তৈরি হয়, তাকেই বলে পলিমারকরণ প্রক্রিয়া। সাধারণত পলিমারকরণে উচ্চ চাপ এবং তাপের প্রয়োজন হয়। যদি দুটি মনোমার একসাথে যুক্ত হয় তাহলে উৎপন্ন পদার্থটি কেমন হবে? বুঝতেই পারছ তাহলে উৎপন্ন পদার্থটিতে দুটির বেশি মনোমার থাকতে পারবে না। আমরা এটিকে এভাবে লিখতে পারি:-
১টি মনোমার + ১টি মনোমার→মনোমার-মনোমার
কিংবা এটাকে আমরা অন্যভাবেও লিখতে পারি ( মনোমার) 2 তিনটি মনোমার হলে উৎপন্ন পদার্থটিতে তিনটি মনোমার থাকবে অর্থাৎ আমরা লিখতে পারি:
১টি মনোমার + ১টি মনোমার + ১টি মনোমার→ মনোমার - মনোমার - মনোমার বা (মনোমার) 3
আমরা যদি n সংখ্যক মনোমার নিয়ে একটি পলিমার বানাতে চাই, তাহলে পলিমারকরণ প্রক্রিয়াটি নিম্নলিখিত উপায়ে দেখানো যায়:
মনোমার + মনোমার + মনোমার → (মনোমার) n কিংবা n মনোমার → (মনোমার)
আমরা পলিথিনের কথা বলেছি, তোমরা কি জান কিভাবে পলিথিন তৈরি হয়? ইথিলিন গ্যাসকে ১০০০-১২০০ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে ২০০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে পলিথিন পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে পলিমারকরণ দ্রুত করার জন্য প্রভাবক হিসেবে অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
তবে উচ্চ চাপ পদ্ধতি সহজসাধ্য না হওয়ায় বর্তমানে পদ্ধতিটি তেমন জনপ্রিয় নয়। এখন টাইটেনিয়াম ট্রাইক্লোরাইড (TiCl) নামক প্রভাবক ব্যবহার করে বায়ুমণ্ডলীয় চাপেই পলিথিন তৈরি হয়।
Wednesday, October 4, 2023
পরমাণু কি? ইলেকট্রন কি? নিউট্রন কি?
পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বাইরে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান অথবা পরমাণু থেকে মুক্ত হওয়া ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট মৌলিক কণাকে ইলেকট্রন বলে। আজকের আর্টিকেলে জানাবো ইলেকট্রন কত প্রকার ও কি কি! তাই সবাই মোনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন।
অণু ও পরমাণুর সংজ্ঞা
পৃথিবীর সকল পদার্থই কতগুলি ক্ষুদ্র কণার সমষ্টি মাত্র। এ কণার নামই অণু । মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের যে ক্ষুদ্রতম কণা ঐ পদার্থের ধর্মাবলি অক্ষুণ্ণ রেখে স্বাধীনভাবে বিরাজ করতে পারে, তাকে ঐ পদার্থের অণু বলা হয় । অণুসমূহ খালি চোখে দেখা যায় না । পদার্থের অণুতে ঐ পদার্থের গুণাবলি বিদ্যমান থাকে। বিভিন্ন পদার্থের অণুতে পরমাণুর সংখ্যাও বিভিন্ন হয়। পানির অণুতে পানির সকল গুণ বিদ্যমান থাকে। যেমন— ২টি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং ১টি অক্সিজেন পরমাণু দ্বারা পানির ১টি অণু গঠিত হয়। অনুরূপভাবে, একটি নাইট্রোজেন পরমাণু এবং তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু যুক্ত হয়ে একটি অ্যামোনিয়ার অণু গঠন করে।
পরমাণু
অণুর ক্ষুদ্রতম কণাই পরমাণু। কোনো মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ যার মধ্যে ঐ মৌলের বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ থাকে, যা স্বাধীনভাবে অবস্থান করতে পারে না কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে তাকে ঐ মৌলের পরমাণু বলা হয়। সাধারণত একটি মৌলিক পদার্থ একই ধরনের অসংখ্য পরমাণু দিয়ে গঠিত । তবে, ভিন্ন ভিন্ন মৌলিক পদার্থ ভিন্ন ভিন্ন পরমাণু দিয়ে গঠিত। হাইড্রোজেনের একটি অণুতে হাইড্রোজেনের ২টি পরমাণু এবং অক্সিজেনের একটি অণুতে অক্সিজেনের ২টি পরমাণু থাকে। পরমাণুকে ভাঙলে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন নামক অতি ক্ষুদ্র কণিকা পাওয়া যায়।
পরমাণুর গঠন
প্রাচীনকালে ধারণা ছিল পরমাণু অবিভাজ্য। কিন্তু কালক্রমে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে পরমাণু বিভাজ্য । এটি সূক্ষ্ম কণিকার সমষ্টি । পদার্থের ৩টি ক্ষুদ্র কণিকা হচ্ছে- (ক) ইলেকট্রন, (খ) প্রোটন ও (গ) নিউট্রন।
পরমাণুর কণিকাসমূহের অবস্থান নিম্নে দেখানো হলো-
ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রনের বৈশিষ্ট্য
ইলেকট্রন (Electron)
প্রোটন
নিউট্রন (Neutron)
সি প্রোগ্রামিং C Programming
'সি' প্রোগ্রামিং ভাষা (Programming Language C 'সি' ভাষার প্রাথমিক ধারণা (Primary Concept of C Language) আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরির ডেনিস রিচি ১৯৭০ সালে এ ভাষার উদ্ভাবন করেন। ভাষাটির নাম 'C' রাখা হয়েছে কারণ, B নামের অপর একটি ভাষা আগেই তৈরি হয়েছে।
C যাতে তার গুণাগুণ না হারায় সে জন্য ১৯৮৩ সালে কম্পাইলার এবং সফটওয়্যার প্রস্তুতকারকদের একটি গ্রুপ আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট (ANSI)-কে C এর জন্য একটি নীতি নির্ধারণের আবেদন জানান। অতঃপর ১৯৮৯ সালের শেষের দিকে নির্ধারিত কমিটি C এর জন্য ANSI নীতি নির্ধারণ করে। সিস্টেম প্রোগ্রামিং-এর ক্ষেত্রে এ ভাষা অধিক হারে ব্যবহৃত হয় । উপাত্ত সঞ্চালনের বর্ণনার জন্য এ ভাষার সুবিধা অনেক বেশি বলে ভাষাটি অন্যান্য ভাষার চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় । C ভাষাকে কম্পিউটার ভাষার জনক বলা হয়ে থাকে। এ ভাষারও অনেক সংস্করণ রয়েছে। যেমন C, C++, ANSI C, Visual C, Turbo C প্রভৃতি। বর্তমানকালের অধিকাংশ প্যাকেজ প্রোগ্রামই এ ভাষার মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে। যে কোনো সফটওয়্যার উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ ভাষা ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ভাষার সাহায্যে সাধারণত নিম্নলিখিত ধরনের প্রোগ্রাম লেখা যায়।- Operating System
- Editors
- Assemblers
- Database
- Programme Compilers
- Games
- Interpreters
- Virus and Antivirus ইত্যাদি
কম্পিউটার প্রোগ্রামের সকল ভাষার কাজ প্রায় একই রকমের । প্রতিটি ভাষাই ডাটা গ্রহণ করে, গৃহীত ডাটা প্রক্রিয়াকরণ করে এবং ফলাফল প্রদান করে। প্রতিটি ভাষারই কিছু লাইব্রেরি ফাংশন থাকে। ডাটা গ্রহণ, ডাটা প্রক্রিয়াকরণ এবং ফলাফল প্রদানের জন্য C, BASIC এবং FORTRAN এর Library Function-এর তুলনামূলক পার্থক্য দেখানো হলো-
Tuesday, October 3, 2023
চুম্বক কাকে বলে? চুম্বক কিভাবে কাজ করে? চুম্বক কি
চুম্বক হলো এমন একটি বস্তু যা বিশেষ আকর্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন। চুম্বকের এই ক্ষমতাকে চুম্বকত্ব বলা হয়। চুম্বকের চুম্বকত্বের কারণে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। এই চৌম্বকক্ষেত্র অদৃশ্য, কিন্তু এর মাধ্যমেই চুম্বকের প্রায় সব ধর্ম প্রকাশ পায়!
বৈশিষ্ট্য জানার কোনো সুযোগ ছিলনা, বিজ্ঞানীরা তখনও মানতেন যে চুম্বক এবং চৌম্বক পদার্থ যে খেল দেখাচ্ছে তার সাথে তড়িতের কোনো না কোনো সম্পর্ক রয়েছে। চৌম্বকবলরেখা সম্পর্কে সবচেয়ে পরিচিত ছবিটির ব্যাখ্যা দেয়া যাক।
একটি দণ্ড চুম্বক। এর উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু নামক দুটি মেরু রয়েছে। সর্বজনস্বীকৃত বিধান অনুযায়ী বলবো উত্তর মেরু থেকে চৌম্বকবলরেখা নামক কিছু রেখা বেরিয়ে দক্ষিণ মেরুতে প্রবেশ করছে। তড়িতের ক্ষেত্রে যেমন সর্বদা ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্ত থেকে ঋণাত্মক প্রান্তের দিকে প্রবাহের দিক ধরা হয় তেমনই একটি ব্যাপার।
এক্ষেত্রে দুটি বিষয় লক্ষণীয়, প্রথমত এই রেখাগুলো হচ্ছে বলরেখা বা শক্তিরেখা অর্থাৎ কোনো এক প্রকার শক্তির সূচনা হচ্ছে একটি প্রান্তে এবং সমাপ্তি অপর প্রান্তে। দ্বিতীয়ত, শক্তিরেখাগুলো এলোমেলোভাবে না ছড়িয়ে একটি নির্দিষ্ট পথ অনুসরণ করছে। কিন্তু গতিপথের চেহারা ঠিক এরূপই কেন? উত্তর দেবার আগে একটু পরমাণু জগতে ঢুঁ মারি।
বেশ, একটি ইলেকট্রন এবং একটি প্রোটন এরুপ দূরত্বে থাকলে একে অপরকে আকর্ষণ করবে, এবার চুম্বকের পোলের দিকে খেয়াল করিঃ-
একটি উত্তর মেরু এবং একটি দক্ষিণ মেরু এর মধ্যে ঠিক একই রূপ আকর্ষণ বিদ্যমান। এখনঃ
চার্জ দুটির আশেপাশে কোথাও একটি ধনাত্মক আধান রেখে আমরা তার ওপর চার্জ দুটির প্রভাব যদি খেয়াল করি তবে দেখব ধনাত্মক আধানটি প্রোটনের বিকর্ষণ বলের দিক এবং ইলেকট্রনের আকর্ষণ বল,দুই বলের লব্ধি বলের দিকে ভ্রমন করছে।
এখন একটি শক্তিশালী দণ্ড চুম্বকের পাশে আমরা যদি বিভিন্ন অবস্থানে একটি চুম্বক শলাকাকে স্থাপন করি তবে স্বাভাবিকভাবেই শলাকা এবং চুম্বকের সম পোলগুলোর মধ্যে আকর্ষণ এবং বিপরীত পোলগুলোর মধ্যে বিকর্ষণের ফলে লব্ধি বলের দিকে শলাকা অবস্থান নেবে। এখন শলাকার যে কোনো একটি পোলের অবস্থানের গতিপথ যদি আমরা যোগ করে দিই তবে সেই আকাঙ্ক্ষিত বলরেখার পথটিই পাবো।
ব্যাপারটি আরও পরিষ্কার হবে যদি আমরা বলরেখা বা magnetic line of flux বা magnetic line of force এর তাত্ত্বিক সংজ্ঞাটি খেয়াল করিঃ-
“যখন একটি বিচ্ছিন্ন একক চুম্বক মেরু(হয় উত্তর অথবা দক্ষিণ) একটি চুম্বক ক্ষেত্রে রাখা হয়, এটি আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ উভয় বল অনুভব করে, বিপরীত এবং সমমেরুর প্রভাবে, দুটি বলের লব্ধি বলের কারণে মেরুটি একটি পথে ভ্রমন করবে, সেই পথের নামই চৌম্বকবলরেখা। এরকম অসংখ্য পথকে সম্মিলিতভাবে magnetic flux বলা যায়।”
এই সংজ্ঞার মধ্যে একটু ঘাপলা আছে যা পরে ব্যাখ্যা করছি।
আমরা যদি উপরের ছবির প্রতিটা অবস্থানে একক মেরুটি বসিয়ে তার গতিপথ গাণিতিকভাবে নির্ণয় করতাম তবে ছোট ছোট যেই অভিক্ষেপগুলো পেতাম তার যোগফল হল একটি রেখা। তাই বলা যায় মেরুটি রেখা বরাবর যাত্রা করেনা বরং তার যাত্রাপথের ওপর লক্ষ করেই রেখাটি আঁকা হয়েছে।
এই বলরেখাগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছেঃ-
(১)বলরেখার দিক ধরা হয় উত্তর মেরু থেকে দক্ষিনের দিকে।
(২)বলরেখাগুলো একে অপরকে ছেদ করেনা।
(৩)বলরেখাগুলো বদ্ধ লুপ বা প্যাঁচ তৈরি করে। ইলেকট্রন-প্রোটনের সাথে তুলনা বা analogy দেয়ার সময় আমরা একটি একক মেরুর সাথে একক চার্জের মিল পেলেও চার্জ এবং পোলের মধ্যে যেই সুস্পষ্ট পার্থক্যটি রয়েছে তা হল একক অস্তিত্ব। একক চার্জ খুবই সাধারণ একটি বিষয় হলেও বাস্তবজগতে একক মেরু বলে কিছু নেই, এটি একটি গাণিতিক ধারণামাত্র। ফলস্বরূপ একটি একক চার্জের চারিদিকে তার যে শক্তিরেখা তা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।যেমনঃ
কিন্তু একক মেরু বলতে যেহেতু কিছুর অস্তিত্বই নেই তাই চুম্বকের শক্তিরেখা আবদ্ধ। প্রশ্ন হতে পারে চুম্বককে দুভাগ করলেই তো হয়? তখন যা হয়:
অর্থাৎ ভগ্ন অংশ নিজেই আরেকটি স্বকীয় চুম্বকে পরিণত হয়। তখন এক মেরু থেকে যেই শক্তিরেখা বের হয় তা চারিদিকে না ছড়িয়ে বিপরীত মেরুর দিকে আকৃষ্ট হয়। একারণে চৌম্বকবলরেখা বদ্ধ হয়।
(৪) বলরেখাগুলো স্থিতিস্থাপক ইলাস্টিকের মত আচরণ করে।মোট কথা,বলরেখার স্থিতিস্থাপক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিপরীত মেরুর মধ্যে আকর্ষণ আর সমমেরুর বিকর্ষণের ব্যাখ্যা দেয়া যায় এইভাবেঃ-
ধরা যাক উত্তর মেরু থেকে কিছু রেখা দক্ষিণ মেরুতে প্রবেশ করল। স্থিতিস্থাপক বস্তুর ধর্ম হল টানলে সরণের বিপরীত দিকে একটি বলের সৃষ্টি হয়, তাই পোল দুটি দূরত্ব কমিয়ে স্থিত অবস্থা লাভের চেষ্টা করে।
যেহেতু সমপোল হতে বলরেখা সমপোলে প্রবেশ করবেনা এবং একটি রেখা আরেকটিকে ছেদ করবেনা বা আরেকটির অভ্যন্তরে ঢুকে যাবেনা তাই দুটি বিপরীত পোল কাছাকাছি আনলে অনেকটা সঙ্কুচিত রাবার ব্যান্ডের মত অবস্থা সৃষ্টি হয় যা প্রসারিত হয়ে স্থিত অবস্থায় আসতে চায়, ফলে বিকর্ষণ বলের সৃষ্টি হয়।
চলমান চার্জের চৌম্বকীয় ধর্মঃ-
চৌম্বকবলরেখা ব্যাখ্যা করার সময় একটি দণ্ড চুম্বকের চারপাশে বিভিন্ন অবস্থানে রেখে চুম্বক শলাকা রেখে প্রভাব দেখা হয়েছিল। দণ্ড চুম্বকের বদলে যদি ওখানে কিছু চার্জ রাখা হত তবে শলাকায় কোনো বিক্ষেপ হতনা। তবে সেই চার্জগুলোই চলমান অবস্থায় থাকলে তার চারপাশে একটি চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি হত যার কারণে শলাকা বিক্ষেপ দেবে। আমরা চৌম্বকক্ষেত্রকে সংক্ষেপে B বলব। এই ব্যাপারটি প্রথম ব্যাখ্যাসহ প্রমান করেন Oersted নামক একজন অসাধারণ বিজ্ঞানী।
চিত্রঃ একটি বর্তনীতে প্রবাহের দরুন সৃষ্ট B শলাকার বিক্ষেপ ঘটাচ্ছে।
এখানে দুটো জিনিস রয়েছে, একটি বদ্ধ বর্তনী এবং একটি চুম্বক। এইযে তড়িৎ প্রবাহের ফলে একধরনের চৌম্বকত্ব সৃষ্টি হল,একেই বলে তড়িৎচুম্বক বা electromagnet। যদি পরিবর্তনশীল বা alternating current(A.C) ব্যবহার করা হয় তবে B এর মান এবং দিক দুটিই পরিবর্তিত হবে।
তার ১২ বছর পর বিজ্ঞানের আরেক দিকপাল মাইকেল ফ্যারাডে বলেনঃ-
“যখন কোনো বদ্ধ তার কুণ্ডলীতে আবদ্ধ চৌম্বক আবেশরেখার সংখ্যা বা ফ্লাক্সের পরিবর্তন ঘটে তখন উক্ত বর্তনীতে একটি তড়িচ্চালক শক্তি আবিষ্ট হয়।”
এটি তড়িৎচুম্বকীয় আবেশের প্রথম সূত্র হিসেবে বিখ্যাত।
উপরের সূত্র দুটির সম্পর্কের ব্যাপারে বলা যায়, অনেকটা এরকম, দিনের শেষে রাত আসবে আর রাতের শেষে দিন। তড়িৎ প্রবাহ থেকে চুম্বক পাব আর চুম্বক থেকে তড়িৎ। ফ্যারাডের প্রথম সূত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বর্তনী ও চুম্বকের মধ্যে আপেক্ষিক গতি থাকতে হবে তবেই তড়িৎ উৎপন্ন হবে, গতির ফলে প্রতি মুহূর্তে কুণ্ডলী দিয়ে অতিক্রান্ত ফ্লাক্স সংখ্যার ভিন্নতা ঘটবে, গতি যদি না থাকে তবে অন্য কোনো উপায়ে প্রতি মুহূর্তে ফ্লাক্স সংখ্যার ভিন্নতা ঘটাতে হবে(সেটি কি হতে পারে?!)। উৎপন্ন তড়িচ্চালক শক্তি ফ্লাক্সের পরিবর্তনের হারের সমানুপাতিক হবে। এই ব্যাপারটিকে বলা হচ্ছে তড়িৎচুম্বকীয় আবেশের দ্বিতীয় সূত্র।
বেশ পরিচিত এই সূত্র দুটি উল্লেখ করলাম যেই কারণে সেখানে এখন আসছি।
বেশ বহুল পরিচিত একটি সূত্র এটি, তড়িৎ প্রবাহের দিকে ডানহাতের বুড়ো আঙ্গুল দিলে বাকি আঙ্গুলগুলো উৎপন্ন B এর দিক নির্দেশ করে।
যদি একটা কাগজের তল বরাবর ওপরের দিকে তড়িৎ প্রবাহিত হয় তবে উৎপন্ন B এর দিক এমন হবে যেন পরিবাহীর ডান পাশের কাগজ ফুঁড়ে উপরে উঠছে এবং বাম পাশের কাগজে ঢুকে যাচ্ছে।
এখন কথা হচ্ছে ডান হাতের প্যাঁচ অনুসরন করে B উৎপন্ন হয়নি কাকতালীয়ভাবে দেখা গিয়েছে যে একটি পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হলে যেভাবে B উৎপন্ন হয় তা আঙ্গুলের ওরকম অবস্থানের সাথে মিলে যাচ্ছে।
বেশ, আমরা এখন বিপরীত দৃশ্যটি দেখার চেষ্টা করি।একটি বদ্ধ বর্তনীতে B প্রয়োগ করা হবে এবং প্রবাহের দিক কোনো দিকে হওয়া উচিত তা দেখবঃ
উপরের চিত্রে কুণ্ডলীর ভেতরে B প্রয়োগ করা হচ্ছে(কাগজের তলের ভেতর থেকে আমাদের দিকে), কুণ্ডলীটি পুরোপুরি দ্বিমাত্রিক কাগজ তলে অবস্থিত, যে কোনো একদিকে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হবে, তার দরুন পরিবাহীর নিজস্ব একটি ক্ষেত্রও সৃষ্টি হবে।যদি প্রথম কেসটি সত্য হয় তবে প্রবাহের দরুন প্রয়োগকৃত B এর মতই উৎপন্ন B এর দিক হবে প্রথমত কাগজ ফুঁড়ে আমাদের দিকে, ঠিক তখন দুটি ক্ষেত্র একই দিকে ক্রিয়াশীল, সম্মিলিত ক্ষেত্র প্রবাহ আরও বাড়াবে, প্রবাহ আবার নিজস্ব B বাড়াবে এভাবে কুণ্ডলীর মধ্যে একটি সর্বদা চলমান অস্থিতিশীল সিস্টেমের উদ্ভব ঘটবে যা শক্তির নিত্যতার সূত্রকে ভাঙবে।
তাই এমন একদিকে প্রবাহ সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন যার নিজস্ব ক্ষেত্র প্রয়োগকৃত ক্ষেত্রকে কমানোর চেষ্টা করবে, দ্বিতীয় চিত্রটি সঠিক কিনা তা পাঠক বিচার করুন।
লেনজ নামক অসাধারণ এক বিজ্ঞানী এই ব্যাপারটি প্রথম ব্যাখ্যা করেন। লেঞ্জের সূত্রটি হলঃ
“আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি বা তড়িৎ প্রবাহের দিক এমন হয় যে এটি উৎপন্ন হবার মুল কারণের বিরোধিতা করে।”
ভেক্টরের ক্রস গুননের ব্যাপারটি আমরা জানি, দুটি ভেক্টর রাশির ক্রসগুননের ফলে উভয়ের লম্ব বরাবর আরেকটি ভেক্টর উদয় হয়। প্রথম ভেক্টর থেকে দ্বিতীয় ভেক্টরের দিকে একটি স্ক্রু ঘুরালে সেটি যেদিকে যায়, উৎপন্ন ভেক্টরের দিক সেদিকে।
এখানে ডান হস্ত সূত্র নামক একটি ব্যাপার আছে, যদি ডান হাতের তর্জনী প্রথম ভেক্টর, মধ্যমা দ্বিতীয়টি হয় তবে বৃদ্ধাঙ্গুলি লব্ধি ভেক্টরের দিক বলবে, যে কোনো ভাবে আমরা দিকটি বের করতে পারি।
এতক্ষণ আমরা হয় তড়িতের প্রয়োগে চুম্বক বা চুম্বকের কারণে তড়িৎ এরূপ ব্যাপার দেখছিলাম।তড়িৎ হল চার্জের প্রবাহ যা একটি ভেক্টর রাশি আবার চুম্বকক্ষেত্রের নির্দিষ্ট দিক থাকায় সেটিও ভেক্টর রাশি,ফলস্বরূপ দুটি একসাথে কাজ করলে আরেকটি ভেক্টর রাশির উদয় ঘটবে উভয়ের লম্ব বরাবর। যা একটি বল, প্রকাশ করা হয়ঃ-
F=qVxB=qVBsin(angle)
এখানে q একটি ধনাত্মক চার্জ, যার বেগ v,B হল প্রয়োগকৃত ক্ষেত্র। ব্যাপারটি হল একটি চুম্বকক্ষেত্রে একটি আধান ক্রিয়াশীল থাকলে তা একটি বল অনুভব করবে, বলের দিক পাব ডান হস্ত সূত্র থেকে। অবশ্য চার্জটি যদি ঋণাত্মক হয় তবে ডান হস্তের বদলে বাম হস্ত সূত্র ব্যবহার হবে।তখন বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি বলের দিক বোঝাবে। চিত্রে কাগজের বাইরে বেরিয়ে আসা ক্ষেত্র ও ভেতরে প্রবেশ করা ক্ষেত্রের জন্য উদ্ভূত বল F এর দিক দেখানো হয়েছে।
ইউনিকোড কাকে বলে?
বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোড ভুক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলো একটি মান তৈরি করেছেন যাকে ইউনিকোড বলা হয়। ইউনিকোড এর পূর্ণ অর্থ Universal Code বা সার্বজনীন কোড। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত আসকি কোডের পাশাপাশি ইউনিকোড সিস্টেম চালু হয়েছে।
ইউনিকোড হচ্ছে ১৬ বিট কোড। বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টার ও টেক্সটকে প্রকাশ করার জন্য ইউনিকোড ব্যবহার করা হয়। ইউনিকোডের মাধ্যমে ২×১৬ = ৬৫৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায় । পৃথিবীর সব ভাষাভাষীর জন্য তাদের ভাষায় কম্পিউটিং করা সহজ করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে অ্যাপল কম্পিউটার কর্পোরেশন এবং Xerox Corporation-এর একদল কম্পিউটার প্রকৌশলী যৌথভাবে ইউনিকোড উদ্ভাবন করেন। Unicode Consortium-এর সদস্য হয়ে বাংলা ভাষাও ইউনিকোডভুক্ত হয়েছে।
ইউনিকোডের বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা (Advantages of Uni Code)
- এটা ১৬ বিট বিশিষ্ট কোড ফলে ৬৫,৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়।
- বিশ্বের ছোট বড় সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোডভুক্ত করা যায় ।
- ক্যারেক্টারকে কোড করার জন্য ১৬ বিটই ব্যবহার করা হয়।
- ইউনিকোড ASCII কোডের সাথে কম্প্যাটিবল। অর্থাৎ ইউনিকোডের প্রথম ২৫৬টি কোড অ্যাসকি ২৫৬টি কোডের অনুরূপ।
- ইউনিকোড থেকে অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ড কোডে পরিবর্তন করা যায় ।
ASCII কোড ও ইউনিকোড (Uni Code) এর মধ্যে পার্থক্য
Monday, October 2, 2023
3D প্রিন্টার কি?
3D প্রিন্ট কি?
ধরুন আপনি কোন একটি প্রোডাক্টের ডিজাইন নিয়ে কাজ করছেন। 3D প্রিন্টিং ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে সেই প্রোডাক্টির ডেমো বা প্রোটোটাইপ তৈরি করে নিতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের ডিজাইন ঠিক আছে কিনা সেটি চেক করে নিতে পারেন।প্রোডাক্টের প্যাকেজিং ডেভেলপ করার কথা ভাবছেন? প্যাকেজিং এর মোক-আপস বানাতে ব্যবহার করুন 3D Printing
আপনি যদি আর্কিটেক্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ডিজাইন করা কোন বিল্ডিং বা স্ট্রাকচার এর মডেল বানিয়ে নিতে পারেন 3D Printing এর সাহায্যে। পিভিসি বোর্ড কেটে হাতে করে মডেল বানানোর কোন ঝামেলাই নেই।
ইঞ্জিনিয়ার স্ট্যাডি বা রিসার্চ প্রজেক্টের জন্য পার্টস বানাতে হবে? 3D প্রিন্ট এর মাধ্যমে করে ফেলুন। কমিক ক্যারেক্টার পছন্দ করেন? 3ডি প্রিন্ট করে বানিয়ে নিতে পারেন এরকম যে কোন ক্যারাক্টার, কস্টিউমস ইত্যাদি মডেল বা অবজেক্ট।
কিভাবে করে 3ডি প্রিন্ট?
3D প্রিন্ট করার জন্য প্রথমেই আমাদের একটু অটোক্যাড বা ব্লেন্ডারের মত সফটওয়্যার দিয়ে 3D ডিজাইন করতে হবে এবং উক্ত ডিজাইনটি আমাদের 3D প্রিন্টার মেশিনে প্রিন্ট করার জন্য কমান্ড প্রদান করতে হবে বা ফাইলটি দিয়ে এরকম নির্দেশ দিতে হবে যেনো সে সেটা প্রিন্ট করে।
প্রিন্ট করার জন্য প্রিন্টার মেশিনে প্রয়োজন এক ধরনের বিশেষ PVC Pipe বা পিভিসির চিকন এক ধরনের পাইপ। যেটা মেশিনে দেওয়ার মাধ্যমে মেশিন ঐটাকে গলিয়ে একটি 3D Model আপনাকে তৈরি করে দিবে, 3D প্রিন্টিং।
Sunday, October 1, 2023
ইয়ামাহার ইতিহাস History of Yamaha
ইয়ামাহার ইতিহাস নিয়ে বলতে গেলে যেই ব্যাক্তির কথা প্রথমেই আসবে তিনি হচ্ছেন "Torakusu Yamaha" যিনি ছিলেন পেশায় একজন "ওয়াচ মেকার" ওয়াচ মেকার হিসেবে ব্যাবসায়ীক কর্মকান্ড শুরু করলেও এই ব্যবসায় তিনি সেভাবে সাফল্য লাভ করতে পারেনি।
এরপর তিনি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট রিপেয়ারের কাজ করতে থাকেন। যার ফলে তাকে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছিল! এমনি একটি শহরে অবিস্থান কালীন সময়ে, সে সময়ের স্কুলের প্রিন্সিপাল ইয়ামাহাকে তাদের মিউজিক্যাল টিমের অর্গানটি ঠিক করতে দেন।
অর্গানটি ঠিক করতে গিয়ে তিন। মিউজিক্যাল অর্গানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন, এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি নিজেই একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করে ফেলেন।
প্রোটোটাইপটি তৈরি হওয়ার পর ইয়ামাহা সেটি একটি মিজিক্যাল ইন্সটিটিউটে নিয়ে গেলে প্রোটোটাইপের টিউনিং ঠিক না থাকায় তাকে অনেক ক্রিটিসিসিজেমের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এত কিটিসি সিজমের পরেও দমে যাননি তোরা কুছু ইয়ামাহা।
তারা চার মাস মিউজিক থিওরি ও টিউনিং নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার এক পর্যায় উপযুক্ত বাদ্যযন্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হন।
সফলভাবে রিড অর্গানের উন্যত প্রোটোটাইপ উৎপাদনের সক্ষম হওয়ার পর তোরা কুছু ইয়ামাহা ১৮৮৯ সালে জাপানের Hamamatsu শহরে Japanese প্রথম ওয়েস্টার্ন মিজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি "Yamaha Organ Manufacturing Company" প্রতিষ্ঠা করে।
ওয়েস্টার্ন মিউজিক কালচারের প্রতি জাপানিস সরকারের আগ্রহ জাপানের ইন্সট্রুমেন্ট এর প্রসারও বেশ উল্যেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলো। যার ফলশ্রুতিতে ফ্যাক্টরি চালু করার ২ বছরের মধ্যেই ফ্যাক্টরি কর্মি সংখ্যা দারায় ১০০ জন! আর সে সময় ইয়ামাহা বছরে ২৫০টি বাদ্য যন্ত্র ম্যানুফ্যাকচার করছিলো। অর্গান ম্যানুফ্যাকচারিং এর ব্যবসায় ইয়ামাহা বেশ ভালো করছিলো এবং তার ধারাবাহিকতায় অন্য ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর দিকে ফোকাস করছিল।
১৮৯৭ সালে তিনি নতুন আরেকটি প্লান্ট ওপেন করে এবং সেখানে তার হেড কোয়াটার রি-লোকেট করে, এবং কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখেন, Nippon Gakki Company Ltd.
১৯০০ সালে কোম্পানিটি প্রথম Apart Piano ম্যানুফ্যাকচার করে। যার ধারাবাহিকতায় ১৯০২ সালে কোম্পানিটি, Grand Piano ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করে।
১৯০৩ সালে কোম্পানিটি ২৩ পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচারিং করেছিলো। পরবর্তী দশকগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ম্যানুফ্যাকচার করা পিয়ানো ও অর্গান গুলোর জন্য বেশ কিছু এওয়ার্ড জিতে নেয়! যার মধ্যে ১৯০৪ সালে St. Luies Word Acosition অন্যতম!
এদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ব শুরু হলে জাপানে, জার্মান হার্মনিয়াম মেকারদের সেলস কমতে থাকে। যা ইয়ামাহা অপর্চুনুটি হিসেবে নেন এবং ধীরে ধীরে তার প্রোডাক্ট লাইন-আপ বাড়াতে থাকেন৷
১০১৪ সালে Nippon Gakki Harmonica প্রস্তুত করা শুরু করে। নতুন প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির এক্সিটিং প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে যে ধরনের রো ম্যাটারিয়ালস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং স্কিল প্রয়োজন পরে? সেরকমই নতুন লাইন-আপের ব্যবসা এক্সপেন্ড করা।
যুদ্ধ চলা কালীন সময় হুট করে Yamaha মারা গেলে, ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব প্রাপ্ত হোন ভাইস প্রেসিডেন্ট Chiyomary Amano - President, Nippon Gakki.
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ জাপানের ইন্ডাস্ট্রি গুলোকে গ্রো করতে বেশ সাহায্য করে। নিপ্পোম গাক্কিও অন্যদের মত বেশ গ্রো করছিলো। ইনফেক্ট ১৯২০ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটির ১০০০ জন কর্মী ছিলো। এবং প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১০,০০০ অর্গান ও ১২০০ পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচার করছিলো।
এরপর ১৯২২ সালে অডিও ইকুইপমেন্ট সহ অন্যান্য মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট উতপাদনের দিকে মনোযোগ দিতে থাকেন, নিপ্পোন গাক্কি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট চিওমানারি আমানোর দায়িত্বের শেষ ৫ বছরে কোম্পানিটি প্রায় ব্যাংক ক্রাফট হতে বসেছিলো।
এর কারণ হিসেবে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের মূল্য বৃদ্ধি একটি বড় কারণ ছিল! কেননা মুদ্রার ভ্যালু বেরে যাওয়ায় মার্কেটের অন্যান্য প্রোডাক্টের তুলনায় নিপ্পোন গাক্কির প্রোডাক্ট কম্পিটিটিভ প্রাইসিং করতে পারছিলনা।
এছাড়াও ১৯২২ সালে তাদের মুল প্লান্টের পাশাপাশি আরো একটি প্লান্ট আগুনে পুড়ে যায়। এতসব কিছুর মধ্যে কোম্পানি ভালোভাবে রিকোভার করার আগেই লেবার ইউনিয়নের স্ট্রাইকের কারণে প্রতিষ্ঠানটির রিজার্ভ কমতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য ডিরেক্টরদের অনুরোধে আরেকজন বীর্ড মেম্বার Kaichi Kawakami ১৯২৭ সালে, নিপ্পোন গাক্কির প্রেসিডেন্ট সিট গ্রহণ করে।
তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে রিমার্কেবল পরিবর্তন এনে মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির টোটাল ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করে ফেলতে সক্ষম হোন। তিনি মূলত প্রতিষ্ঠানটিকে ঠেলে সাজিয়ে ও প্রোডাকশন কোস্ট কমিয়ে আনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে ঘুরে দারাতে সাহায্য করেছেন।
শুধুমাত্র দামের ক্ষেত্রেই নিজেদের কম্পিটিটিভ না রেখে কোয়ালিটিতে ডিফারেন্সিয়াল আনার জন্য ১৯৩০ সালে তিনি একুয়েস্টিভ ল্যাব ও রিসার্চ সেন্টার চালু করেন।
এছাড়াও ১৯৩০ এর দশকে জাপানে পাবলিক স্কুল সিস্টেমের গ্রোথের সাথে সাথে ওয়েস্টার্ন মিউজিক্যার মার্কেটও এক্সপান্ড হচ্ছিলো।
যার ফলে নিপ্পন গাক্কি সুলভ মুল্যের একোর্ডিয়ন্স ও গিটার উতপাদন শুরু করেছিল নতুন এই মার্কেটটি ধরার জন্য।
এর মধ্যে ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিপ্পন গাক্কি তাদের প্লান্টগুলোতে ফাইটার প্লেনের জন্য প্রোভলার, ফুয়েল ট্যাংক আর উড়জাহাজের ইউং পার্টস উৎপাদন করতে বাধ্য হয়েছিলো।
২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার এইসব কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানটির ভবিশ্যত এক্সপানসেশনের গ্রাউন্ডার তৈরি করে দেয়। যদিও যুদ্ধে নিপ্পন গাক্কির কেবলনাত্র একটি ফ্যাক্টরি অখ্যত ছিলো।
যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফাইনান্সিয়াল এসিস্ট্যান্টস পাওয়ার পর, ২ মাসের মধ্যেই হার্মোনিকা ও জাইলোফোন ম্যানুফ্যাকচার শুরু করে। ৬ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি আগের মত কার্যক্রম শুরু করতে থাকে।
১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি এর প্রথম অডিও কম্পোনেন্ট ফোনোগ্রাফ তৈরি করে! তবে ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর নিপ্পন গাক্কির র্যাপিড এক্সপেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি হেল্প করেছে? সেটি হলো ১৯৪৮ সালে জাপানে এডুকেশন মিনিস্ট্রি, মিউজিক এডুকেশন বাধ্যতামূলক করে দেয়।
ফলোশ্রুতিতে জাপানে মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টের চাহিদা বেড়ে যায় বেশ কয়েকগূন!