Sunday, October 1, 2023

ইয়ামাহার ইতিহাস  History of Yamaha

ইয়ামাহার ইতিহাস History of Yamaha

ইয়ামাহার ইতিহাস নিয়ে বলতে গেলে যেই ব্যাক্তির কথা প্রথমেই আসবে তিনি হচ্ছেন "Torakusu Yamaha" যিনি ছিলেন পেশায় একজন "ওয়াচ মেকার" ওয়াচ মেকার হিসেবে ব্যাবসায়ীক কর্মকান্ড শুরু করলেও এই ব্যবসায় তিনি সেভাবে সাফল্য লাভ করতে পারেনি। 

এরপর তিনি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট রিপেয়ারের কাজ করতে থাকেন। যার ফলে তাকে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছিল! এমনি একটি শহরে অবিস্থান কালীন সময়ে, সে সময়ের স্কুলের প্রিন্সিপাল ইয়ামাহাকে তাদের মিউজিক্যাল টিমের অর্গানটি ঠিক করতে দেন। 

অর্গানটি ঠিক করতে গিয়ে তিন। মিউজিক্যাল অর্গানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন, এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি নিজেই একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করে ফেলেন।

প্রোটোটাইপটি তৈরি হওয়ার পর ইয়ামাহা সেটি একটি মিজিক্যাল ইন্সটিটিউটে নিয়ে গেলে প্রোটোটাইপের টিউনিং ঠিক না থাকায় তাকে অনেক ক্রিটিসিসিজেমের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এত কিটিসি সিজমের পরেও দমে যাননি তোরা কুছু ইয়ামাহা। 

তারা চার মাস মিউজিক থিওরি ও টিউনিং নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার এক পর্যায় উপযুক্ত বাদ্যযন্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হন। 

সফলভাবে রিড অর্গানের উন্যত প্রোটোটাইপ উৎপাদনের সক্ষম হওয়ার পর তোরা কুছু ইয়ামাহা ১৮৮৯ সালে জাপানের Hamamatsu শহরে Japanese প্রথম ওয়েস্টার্ন মিজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি "Yamaha Organ Manufacturing Company" প্রতিষ্ঠা করে। 

ওয়েস্টার্ন মিউজিক কালচারের প্রতি জাপানিস সরকারের আগ্রহ জাপানের ইন্সট্রুমেন্ট এর প্রসারও বেশ উল্যেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলো। যার ফলশ্রুতিতে ফ্যাক্টরি চালু করার ২ বছরের মধ্যেই ফ্যাক্টরি কর্মি সংখ্যা দারায় ১০০ জন! আর সে সময় ইয়ামাহা বছরে ২৫০টি বাদ্য যন্ত্র ম্যানুফ্যাকচার করছিলো। অর্গান ম্যানুফ্যাকচারিং এর ব্যবসায় ইয়ামাহা বেশ ভালো করছিলো এবং তার ধারাবাহিকতায় অন্য ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর দিকে ফোকাস করছিল। 

১৮৯৭ সালে তিনি নতুন আরেকটি প্লান্ট ওপেন করে এবং সেখানে তার হেড কোয়াটার রি-লোকেট করে, এবং কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখেন, Nippon Gakki Company Ltd. 

১৯০০ সালে কোম্পানিটি প্রথম Apart Piano ম্যানুফ্যাকচার করে। যার ধারাবাহিকতায় ১৯০২ সালে কোম্পানিটি, Grand Piano ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করে। 

১৯০৩ সালে কোম্পানিটি ২৩ পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচারিং করেছিলো। পরবর্তী দশকগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ম্যানুফ্যাকচার করা পিয়ানো ও অর্গান গুলোর জন্য বেশ কিছু এওয়ার্ড জিতে নেয়! যার মধ্যে ১৯০৪ সালে St. Luies Word Acosition অন্যতম! 

এদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ব শুরু হলে জাপানে, জার্মান হার্মনিয়াম মেকারদের সেলস কমতে থাকে। যা ইয়ামাহা অপর্চুনুটি হিসেবে নেন এবং ধীরে ধীরে তার প্রোডাক্ট লাইন-আপ বাড়াতে থাকেন৷ 

১০১৪ সালে Nippon Gakki Harmonica প্রস্তুত করা শুরু করে। নতুন প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির এক্সিটিং প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে যে ধরনের রো ম্যাটারিয়ালস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং স্কিল প্রয়োজন পরে? সেরকমই নতুন লাইন-আপের ব্যবসা এক্সপেন্ড করা। 

যুদ্ধ চলা কালীন সময় হুট করে Yamaha মারা গেলে, ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব প্রাপ্ত হোন ভাইস প্রেসিডেন্ট Chiyomary Amano - President, Nippon Gakki. 

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ জাপানের ইন্ডাস্ট্রি গুলোকে গ্রো করতে বেশ সাহায্য করে। নিপ্পোম গাক্কিও অন্যদের মত বেশ গ্রো করছিলো। ইনফেক্ট ১৯২০ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটির ১০০০ জন কর্মী ছিলো। এবং প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১০,০০০ অর্গান ও ১২০০ পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচার করছিলো। 

এরপর ১৯২২ সালে অডিও ইকুইপমেন্ট সহ অন্যান্য মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট উতপাদনের দিকে মনোযোগ দিতে থাকেন, নিপ্পোন গাক্কি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট চিওমানারি আমানোর দায়িত্বের শেষ ৫ বছরে কোম্পানিটি প্রায় ব্যাংক ক্রাফট হতে বসেছিলো। 

এর কারণ হিসেবে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের মূল্য বৃদ্ধি একটি বড় কারণ ছিল! কেননা মুদ্রার ভ্যালু বেরে যাওয়ায় মার্কেটের অন্যান্য প্রোডাক্টের তুলনায় নিপ্পোন গাক্কির প্রোডাক্ট কম্পিটিটিভ প্রাইসিং করতে পারছিলনা।

এছাড়াও ১৯২২ সালে তাদের মুল প্লান্টের পাশাপাশি আরো একটি প্লান্ট আগুনে পুড়ে যায়। এতসব কিছুর মধ্যে কোম্পানি ভালোভাবে রিকোভার করার আগেই লেবার ইউনিয়নের স্ট্রাইকের কারণে প্রতিষ্ঠানটির রিজার্ভ কমতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য ডিরেক্টরদের অনুরোধে আরেকজন বীর্ড মেম্বার Kaichi Kawakami ১৯২৭ সালে, নিপ্পোন গাক্কির প্রেসিডেন্ট সিট গ্রহণ করে।

তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে রিমার্কেবল পরিবর্তন এনে মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির টোটাল ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করে ফেলতে সক্ষম হোন। তিনি মূলত প্রতিষ্ঠানটিকে ঠেলে সাজিয়ে ও প্রোডাকশন কোস্ট কমিয়ে আনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে ঘুরে দারাতে সাহায্য করেছেন। 

শুধুমাত্র দামের ক্ষেত্রেই নিজেদের কম্পিটিটিভ না রেখে কোয়ালিটিতে ডিফারেন্সিয়াল আনার জন্য ১৯৩০ সালে তিনি একুয়েস্টিভ ল্যাব ও রিসার্চ সেন্টার চালু করেন। 

এছাড়াও ১৯৩০ এর দশকে জাপানে পাবলিক স্কুল সিস্টেমের গ্রোথের সাথে সাথে ওয়েস্টার্ন মিউজিক্যার মার্কেটও এক্সপান্ড হচ্ছিলো। 

যার ফলে নিপ্পন গাক্কি সুলভ মুল্যের একোর্ডিয়ন্স ও গিটার উতপাদন শুরু করেছিল নতুন এই মার্কেটটি ধরার জন্য। 

এর মধ্যে ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিপ্পন গাক্কি তাদের প্লান্টগুলোতে ফাইটার প্লেনের জন্য প্রোভলার, ফুয়েল ট্যাংক আর উড়জাহাজের ইউং পার্টস উৎপাদন করতে বাধ্য হয়েছিলো। 

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার এইসব কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানটির ভবিশ্যত এক্সপানসেশনের গ্রাউন্ডার তৈরি করে দেয়। যদিও যুদ্ধে নিপ্পন গাক্কির কেবলনাত্র একটি ফ্যাক্টরি অখ্যত ছিলো। 

যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফাইনান্সিয়াল এসিস্ট্যান্টস পাওয়ার পর, ২ মাসের মধ্যেই হার্মোনিকা ও জাইলোফোন ম্যানুফ্যাকচার শুরু করে। ৬ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি আগের মত কার্যক্রম শুরু করতে থাকে। 

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি এর প্রথম অডিও কম্পোনেন্ট ফোনোগ্রাফ তৈরি করে! তবে ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর নিপ্পন গাক্কির র‍্যাপিড এক্সপেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি হেল্প করেছে? সেটি হলো ১৯৪৮ সালে জাপানে এডুকেশন মিনিস্ট্রি, মিউজিক এডুকেশন বাধ্যতামূলক করে দেয়।

ফলোশ্রুতিতে জাপানে মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টের চাহিদা বেড়ে যায় বেশ কয়েকগূন! 




Thursday, August 31, 2023

কিভাবে ট্রেনের পুরো একটি কোচ রিজার্ভ করবেন?

কিভাবে ট্রেনের পুরো একটি কোচ রিজার্ভ করবেন?

বছরের প্রায় শেষের দিকে শুরু হয় পিকনিক ও বিয়ের সিজন। আমাদের অনেকেরই তখন মনে হয়-পুরো কোচটি রিজার্ভ করতে পারলে ভালো হতো। রেলওয়ে কিন্তু সেই সুযোগ রেখেছে! তবে তার জন্য আপনাকে অফিশিয়ালি এগোতে হবে এবং অবশ্যই মাসখানেক সময় হাতে রেখে।

প্রথমে, পারিবারিক ভ্রমণ বা অফিশিয়াল ভ্রমণ সেটি জানিয়ে একটি দরখাস্ত প্রস্তুত করুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের প্যাডে হতে হবে সেটি। তাতে উল্লেখ থাকতে হবে যে বিষয়গুলোঃ- ট্রেনের নাম ও নম্বর, কবে, কোন শ্রেণির কতটি টিকেট। যিনি টিকেটগুলো কালেক্ট করবেন তার পরিচয় ও মোবাইল নম্বর অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে তাতে। খুবই সিম্পল একটি এপ্লিকেশন যথেষ্ট। তারপরেও যাদের প্রয়োজন হতে পারে তাদের জন্য আমার এই কপিটি সংযুক্ত করে দিলাম, কিছুটা ঢেকেঢুকে। 

এবার কমপক্ষে ১৫-২০ দিন আগে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে। আপনি যদি ঢাকায় থাকেন, তাহলে রেলভবনে দরখাস্তটি জমা দিবেন “এডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল/অপারেশন” বরাবরে। তিনি এটি ফরোয়ার্ড করবেন চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার/পূর্ব অথবা পশ্চিম বরাবরে। তবে আপনি যদি চট্টগ্রাম বা রাজশাহীতে থাকেন, তবে সরাসরি এড্রেস করে জমা দিতে পারবেন সিসিএম/পূর্ব অথবা পশ্চিম অফিসে যথাক্রমে।

আপনি যেখানেই এপ্লিকেশনটি জমা দিন না কেন, এবার বলে দেয়া তারিখ মোতাবেক আপনাকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। কারন এবার আপনার জন্য একটি অনুমতিপত্র ইস্যু করা হবে সিসিএম সাহেবের অফিস থেকে এবং আপনাকে সেটি কালেক্ট করতে হবে। সাধারনত সেটির একটি কপি আপনাকে এবং আরেকটি কপি স্টেশন ম্যানেজার বা স্টেশন সুপারিনটেন্ডেন্টদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সাধারনতঃ কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়, তবে আপনার অনুরোধে হাতে হাতেও সেটি পাবার সুযোগ রয়েছে। 

নির্ধারিত তারিখে সেটি কালেক্ট করে নিয়ে এবার চলে যাবেন রেলস্টেশনে স্টেশন ম্যানেজার/সুপারিনটেন্ডেন্টের কাছে। তার নির্দেশনা আপনাকে অনুসরন করতে হবে। খেয়াল রাখবেন, যিনি টিকেট কালেক্ট করবেন মর্মে এপ্লিকেশনে নাম্বার দিয়েছিলেন, তিনিই যেন উপস্থিত থাকেন তখন। তো আপনি নির্ধারিত দিন ও সময়ে তার নির্দেশিত কাউন্টারে পুরো টাকা জমা দিয়ে আপনার জন্য বরাদ্দকৃত আসনগুলোর বিপরীতে টিকেট সংগ্রহ করবেন।

অন্যান্য দিন আপনি চাহিদার সব কয়টি টিকেটই পাবেন আশা করা যায়, তবে বৃহস্পতিবার ও রবিবার এবং এরকম ছুটির পাল্লা থাকলে রাতের ট্রেনে আপনার ডিমান্ডের সকল টিকেট নাও দেয়া হতে পারে। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছিল তা হলো আমি এসি কেবিন কোচ চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে দেয়া হয়েছিল ননএসি কেবিন কোচ। আমি আবারও বলছি  আপনার ক্ষেত্রে সেরকম নাও হতে পারে, এবং এসব ক্ষেত্রে রেলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। 

সবশেষ অনুরোধ থাকবে, সদলবলে ভ্রমণ করলে দয়া করে কোচের চেয়ার-টেবিলের কোন রকম ক্ষতি করবেন না। কোনো রকম উছশৃঙ্খলতা করে সহযাত্রীদের বিড়ম্বনা তৈরী করবেন না। এটেনডেন্টকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন। রাতের ট্রেনের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন। 

ধন্যবাদ। নিরাপদ ও আনন্দময় ভ্রমণের জন্য রেলের থেকে বেস্ট আর কিছু হতে পারে না।

Tuesday, August 29, 2023

পাসপোর্ট করার উপায় : কোথায় করবেন, কি লাগবে? পাসপোর্ট করার নিয়ম

পাসপোর্ট করার উপায় : কোথায় করবেন, কি লাগবে? পাসপোর্ট করার নিয়ম

বিদেশ ভ্রমণে প্রথমে যে জিনিসটা প্রয়োজন তা হল “পাসপোর্ট”। এই পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া অনেকের কাছে বেশ জটিল মনে হলেও আসলে এত জটিল কিছু নয়। দেশে ই-পাসপোর্ট চালুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। তাই প্রচলিত এমআরপি MRP (Machine Readable Passport) পাসপোর্টই সবার জন্য প্রযোজ্য। আর আজকের এই আর্টিকেল তাদের জন্য যারা প্রথম পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন।


পাসপোর্ট করার ধাপসমূহঃ পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ আছে যা ক্রমান্বয়ে নিচে দেওয়া হল-  

পাসপোর্ট করার নিয়ম

১) পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

২) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা

৩) পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ

৪) পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা

৫) আবেদন ফর্ম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া

৬) পাসপোর্ট টোকেন সংগ্রহ ও পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা

৭) পুলিশ ভেরিফিকেশন

৮) পাসপোর্ট সংগ্রহ করা

১. পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

পাসপোর্টের প্রথম কাজ শুরু হয় পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে। পাসপোর্টের ফি দুই ভাবে জমা দেওয়া যায়। আপনি যদি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে ফি জমা দিতে হবে ব্যাংকে। যদি আপনি সরাসরি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে অনলাইনে আবেদন পক্রিয়া শেষে সেখান থেকেই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার অপশন আছে। পাসপোর্ট ফি বা খরচ কত তা নির্ভর করে কতদিনের ভিতর আপনি পাসপোর্ট পেতে চান তার উপর। MRP পাসপোর্ট পাওয়ার জন্যে দুই ধরণের সুযোগ আছে। একটা হচ্ছে সাধারণ পাসপোর্ট যা পেতে আপনাকে কমপক্ষে ২১ দিন অপেক্ষা করতে হবে (সর্বমোট ৩৪৫০ টাকা ফি) এবং আরেকটি হচ্ছে জরুরী পাসপোর্ট যা আপনি ৭ দিন পর পাবেন (সর্বমোট ৬,৯০০ টাকা ফি)। আপনি কোন ধরণের পাসপোর্ট পেতে চান সেই মত আপনাকে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে।

১.১ ব্যাংকে ফি জমা দেওয়া

অফলাইনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের দ্বারা নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে হবে। ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্টের টাকা জমা দিবেন এটা বললেই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্লিপ দিবে। স্লিপে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে স্লিপ সহ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। টাকা জমা হবার পর একটি রশিদ পাবেন যার দুইটি পার্ট থাকে। এক পার্ট কাস্টমার কপি যা নিজের কাছে থাকবে আর আরেক পার্ট পাসপোর্ট অফিসের কপি যা পাসপোর্ট আবেদন ফর্মের উপর আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন –

যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করাবেন সে এলাকার ব্যাংকের শাখায় টাকা জমা দেওয়া ভালো।

স্লিপে যেভাবে নাম লিখবেন পাসপোর্টেও সেই একই নাম হবে তা না হলে পেমেন্ট ভেরিফিকেশনে ঝামেলা হবে।

টাকা জমা দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে অবশ্যই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে তা না হলে ৬ মাস পার হলে আবার নতুন করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।

মানি রিসিটের ট্রানজেকশন নাম্বারটি কোথাও টুকে রাখুন এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

রিসিটে কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকে যা পরবর্তীতে পাসপোর্টের ফর্মের জন্য কাজে লাগবে তাই রিসিটের নির্দেশনা গুলো ভালো ভাবে পড়বেন।

আর যে যে ব্যাংকে পাসপোর্ট করার টাকা জমা দিতে পারবেন তা হল-  

১. সোনালি ব্যাংক

২. প্রিমিয়ার ব্যাংক

৩. ব্যাংক এশিয়া

৪. ট্রাস্ট ওয়ান ব্যাংক

৫. ঢাকা ব্যাংক

৬. ওয়ান এশিয়া

তবে সোনালি ব্যাংকের ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু শাখাতেই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। পাসপোর্ট অফিস থেকেই এই ব্যাপারে জানতে পারবেন। আর অন্যান্য ব্যাংকের যেকোনো শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন।

১.২ অনলাইনে আবেদন শেষে ফি জমা দেওয়া

অনলাইনে পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, www.passport.gov.bd এর সাইটে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করে শেষের দিকে বিভিন্ন ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে (যেমন ব্যাংকের কার্ড, বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে) পেমেন্ট করতে পারবেন। আর খুব সামান্য কিছু চার্জ ব্যাংক তাদের ফি হিসেবে ( ৩-৫ টাকা) কেটে রাখে। এই ক্ষেত্রে টাকা পে করার পর একটি চালান ফর্ম পাবেন। এই ফর্মটি এক পেজে দুইটা প্রিন্ট করে একটা নিজের জন্য ও অন্যটা পাসপোর্ট ফর্মের জন্য ব্যবহার করবেন।

অনলাইন পাসপোর্ট পূরণ

২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দরকারী বিষয় হল প্রয়োজনীয় কাগজ রেডি করা। অনেক সময় পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার পর দেখা যায় সব ডকুমেন্ট ঠিকভাবে রেডি করা নেই সেই ক্ষেত্রে বাড়তি অনেক ঝামেলা হয় আর পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতেও দেরি হয়ে যায়। তাই পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার আগেই সব ডকুমেন্ট ঠিকমতো আছে কিনা তা চেক করে দেখা উচিত। যে সব ডকুমেন্ট লাগবে পাসপোর্ট করার জন্য- 

পাসপোর্ট ফর্ম ২ কপি (তবে সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং ১৫ বছরের কম বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে একটি ফর্ম)

সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি

ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপির সত্যায়িত কপি। তবে যাদের NID কার্ড নেই বা ১৮ বছরের নিচে বয়স তাদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপির সত্যায়িত ফটোকপি। তবে বর্তমানে ১৮ বছর হলে অবশ্যই NID কার্ড লাগবে।

পেশাগত সার্টিফিকেটের ফটোকপির সত্যায়িত কপি

সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ব্যাক্তির কর্মস্থল থেকে ইস্যু করা NOC (No Objection Certificate) বা জিও GO ( Govt. Order) জমা দিতে হবে।

৩. পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ

দুই ভাবে পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড বা সংগ্রহ করে নিজে নিজে হাতে পূরণ করে। অথবা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে।

৩.১ অফলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ

এই ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্টের ফর্ম চাইলে অফিস থেকে তা বিনামুল্যে দিয়ে দিবে, আবার www.passport.gov.bd এই লিঙ্কের Download Form অপশনে গিয়ে DIP Form 1 ফর্ম ওপেন করে PDF ফরম্যাটে ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন।

৩.২ পাসপোর্ট ফর্ম

হাতে লিখে ফর্ম ফিল আপ করার সময় খুব সাবধানে করবেন তাই কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখলে ভালো তাতে লেখার সময় কাটাকাটি হলেও সমস্যা নেই। আর সব জায়গায় নিজের সাইন একই রকম দিবেন। যেভাবেই পাসপোর্ট পূরণ করেন অবশ্যই ভাল মত তথ্য যাচাই, বানান দেওয়া, সঠিক তথ্য দেওয়া এই ব্যাপার গুলো খেয়াল রাখবেন। কোন কিছু ভুল হলে আপনাকে এই জন্যে ঝামেলা পোহাতে হবে।

৪. পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা

ফর্ম ফিল আপ শেষ হলে পুরো ফর্মটি দুই সেট প্রিন্ট করে নিবেন। এক কপি পাসপোর্ট অফিসের জন্য ও আরেক সেট SB OFFICE এ পাঠানো হবে।

ফর্ম প্রিন্ট হলে ফর্মের ছবির জায়গায় পাসপোর্ট সাইজের একটি সদ্য তোলা ছবি লাগাতে হবে। আর দুই কপি ফর্মের যেকোনো একটাতে ব্যাংকের রশিদের পাসপোর্ট অফিসের কপিটা কেটে ডান পাশে লাগাতে হবে।

পাসপোর্টের ফর্ম পূরণ করে, ছবি ও মানি রিসিট লাগিয়ে ফর্মের সাথে জন্ম নিবন্ধন বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পেশাগত সার্টিফিকেট ও নাগরিক সনদের (এই সনদের ব্যাপারে কোথাও নির্দিষ্ট করে বলা নেই তবে অনেক সময়ই এই সনদ দেখতে চায়) ফটোকপির সত্যায়িত কপি পিন দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে।

৫. পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম জমা দেওয়া

এই ক্ষেত্রে ফর্ম হাতে পূরণ করলে নিজের বর্তমান ঠিকানা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে হলে রিজিওনাল অফিস আর সিটি কর্পোরেশনের বাইরে হলে আঞ্ছলিক অফিসে জমা দিতে হবে। আর অনলাইনে জমা দিলে ফর্মেই লেখা থাকবে কোন অফিসে জমা দিতে হবে।

সরাসরি ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, ফর্ম প্রথমে জমা নিয়ে কম্পিউটার সফট ওয়্যারে ফর্মের তথ্য গুলো নিবে তারপর ফর্মে সিল মেরে আবার ফর্ম আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে। তারপর ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিকের জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার জন্য ফর্ম নিয়ে অন্য একটি রুমে যেতে হবে। এখানে বেশ কয়েকটি ধাপ আছে। সব প্রক্রিয়া শেষ হতে মোটামুটি বেশ সময় লাগে। এছাড়া জমা দেওয়ার সিরিয়াল যদি দীর্ঘ হয় তাহলে সময় আরও বেশি লাগবে। তাই জমা দিতে গেলে সকাল সকাল চলে যাওয়া ভালো।

৬. পাসপোর্ট টোকেন সংগ্রহ ও স্ট্যাটাস চেক করা

ফর্ম জমা দেওয়া শেষ হলে কম্পিউটারে প্রিন্ট করা একটি টোকেন দেওয়া হবে যেখানে আপনার তথ্য, পাসপোর্ট ডেলিভারির সময়সহ অন্যান্য কিছু তথ্য থাকবে। এই টোকেনের তথ্য গুলো খুব ভালো ভাবে চেক করবেন কারন এই তথ্য অনুসারেই পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হবে।

কোনও ভুল ধরা পড়লে তখনই সাথে সাথে জানাবেন তাহলে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর টোকেনটি যত্ন সহকারে রেখে দিবেন কারণ এই টোকেন দেখিয়েই পরবর্তীতে পাসপোর্ট নিতে হবে।

আর পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য www.passport.gov.bd এই সাইটের Application Status অপশনে গিয়ে এনরোলমেন্ট আইডি ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। পাসপোর্ট টোকেনে Enrollment ID (EID) দেওয়া থাকে।

আর মেসেজ অপশনের ক্ষেত্রে, MRP<SPACE<EID NO লিখে ৬৯৬৯ নাম্বারে সেন্ড করে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস জানা যাবে।

পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকলে এই স্ট্যাটাস চেক করে আপনি জানতে পারবেন। তবে সব কাজ শেষ হবার পরও পাসপোর্টের স্ট্যাটাস ঠিকমতো না পেলে কিছুদিন অপেক্ষা করবেন কারন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্যই মূলত পাসপোর্ট পেতে সময় লাগে বা পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

৭. পুলিশ ভেরিফিকেশন

ফর্ম জমা হওয়ার কিছু দিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ বাসায় ও আসতে পারে আবার ফোন করে তাদের অফিসেও আপনাকে যেতে বলতে পারে। এই ক্ষেত্রে পুলিশ বিভিন্ন কাগজ রেডি করে রাখতে বলে যেমন- প্রোপার্টি পেপার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।

৮. পাসপোর্ট সংগ্রহ

সব টিক থাকলে আপনার পাসপোর্টের ধরণ অনুযায়ী ১ সপ্তাহ বা ২০-৩০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। পাসপোর্ট রেডি হলে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে আপানকে জানানো হবে। অথবা অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করেও জেনে নিতে পারবেন।

পাসপোর্ট করতে খরচ ও সময়

পাসপোর্টের ধরণখরচকতদিন সময় লাগে
সাধারনসর্বমোট খরচ ৩৪৫০ টাকা২১ দিন সময় লাগে
জরুরীসর্বমোট খরচ ৬,৯০০ টাকা৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

১) সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে সাধারন ফি জমা দিয়েও জরুরী সুবিধা পাওয়া যাবে।

২) সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ২১ দিনের ভিতর হয়ে যাবে বলা হলেও অনেক সময় তার চেয়েও বেশীদিন লাগে। জরুরী পাসপোর্টের বেলাতেও দিন অনেক সময় বেশি লাগে।

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

  • অনেকেই মনে করে দালাল ছাড়া বা প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি টাকা না দিলে পাসপোর্ট করা যায় না বা করতে অনেক ঝামেলা হয়, এই কথা পুরোপুরি সঠিক না। বর্তমানে অযৌক্তিক  হয়রানি অনেক কমে গিয়েছে আর সরকারিভাবে পাসপোর্টের পুরো প্রক্রিয়াও অনেক সহজ করা হয়েছে আগের চেয়ে। তাই দালালের মাধ্যমে বাড়তি টাকা খরচ না করে নিজেই পাসপোর্টের কাজ গুলো করে নিতে পারবেন।
  • কোনও মাধ্যম বা কারো সাহায্য ছাড়া নিজে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে পাসপোর্টের কাজ শুরু করবেন। আর তাই জরুরী প্রয়োজনে নিজে না করে অন্য কোনও মাধ্যমের সাহায্য নিয়েই পাসপোর্ট করা ভালো।
  • পাসপোর্টের ফর্ম ফিল আপা করার আগে ও ফিল আপ করার পরে পুরো ফর্মের কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখবেন।
  • পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সকল ডকুমেন্টের ইনফরমেশন অবশ্যই সঠিক হতে হবে।
  • নামের বানানের ক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। এক এক ডকুমেন্টে নামের বানান যেন ভিন্ন ভিন্ন না হয়।  বিশেষ করে NID কার্ডের তথ্য গুলো যেন একই থাকে। তা না হলে পাসপোর্ট করার জন্য বাড়তি অনেক ঝামেলা হবে।
  • পাসপোর্ট করার আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সময় সব সার্টিফিকেটের মূল কপি সাথে নিয়ে যাবেন।
  • অনলাইন থেকে পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে দুটো পেজের উভয় দিকেই প্রিন্ট করতে হবে যা হাতে লেখার ফর্মের ফরমেটের মতো হবে বা এই ক্ষেত্রে একটা ফরমেট অনলাইনে দেখে নিতে পারেন।
  • পাসপোর্ট অফিসে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১.৩০ টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ফর্ম জমা নেয়। তবে অবশ্যই আগে আগে যাওয়া ভালো কারন অনেক লম্বা লাইন থাকে।      
  • ফর্মে ছবি ও মানি রিসিট অবশ্যই আঠা দিয়ে লাগাবেন, স্ট্যাপল পিন দিয়ে লাগাবেন না।
  • ফর্ম জমা নেওয়ার সময় কিছু প্রশ্ন করা হয় যার উত্তর যথেষ্ট আত্নবিশ্বাসের সাথে দেওয়ার চেষ্টা করবেন আর সবসময় সঠিক তথ্য জানাবেন।
  • ফর্ম জমা দেওয়ার সময় ছবি তোলার জন্য সাদা রঙ বাদে অন্য কোনও রঙের কাপড় পড়বেন।
  • অনেক সময় ফর্ম জমা নেওয়ার সময় অযৌক্তিক প্রশ্ন করে বা ফর্ম কোনও কারন ছাড়াই জমা নিতে চায় না সেই ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কোনও কর্মকর্তাকে বা অফিসের সহকারী পরিচালক এর সাথে কথা বললে সাহায্য পাবেন।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশনে অনেক সময় টাকা চাওয়া হয়, ঝামেলা এড়াতে চাইলে কিছু টাকা দিয়ে দেওয়াই ভালো। যদিও এই টাকা দেওয়াটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
  • যারা নতুন ভাবে পাসপোর্ট করবে শুধু মাত্র তারাই অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
  • আরও বিশেষ কিছু নির্দেশনা জানার জন্য www.dip.gov.bd ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও খোঁজ নিতে পারেন। 

তথ্যসূত্রঃ www.dip.gov.bd


Friday, August 25, 2023

Google is Preparing Chromebooks to Support UWB

Google is Preparing Chromebooks to Support UWB

Ultra-wideband (UWB) is a short-range wireless technology that offers high bandwidth, low latency, and precise positioning. It has the potential to revolutionize the way we interact with devices and the world around us.

Google is reportedly preparing to bring UWB support to Chromebooks. This would allow Chromebooks to communicate with other UWB-enabled devices, such as smart home devices, smartphones, and wearables. This could enable a variety of new features, such as:

  • Precise device location: UWB could be used to precisely locate devices in space, making it ideal for applications such as augmented reality and navigation.
  • Low-latency gaming: UWB could be used to reduce latency in gaming, making it possible to play multiplayer games with minimal lag.
  • Easy screen sharing: UWB could be used to easily share screens between devices, making it ideal for classroom collaboration and presentations.
  • Proximity-activated devices: UWB could be used to activate devices when they come into close proximity, such as unlocking doors or making payments.

The addition of UWB support to Chromebooks would make them even more versatile and useful devices. It would also make them more compatible with other UWB-enabled devices, opening up new possibilities for innovation.

Google has not yet announced any specific plans to bring UWB support to Chromebooks. However, the fact that the company is working on it is a positive sign. It suggests that Google is committed to making Chromebooks the best possible devices for users.

Thursday, August 24, 2023

Google Workspace Announces AI-Powered Security to Protect Customer Data

Google Workspace Announces AI-Powered Security to Protect Customer Data

Google Workspace, the productivity suite that includes Gmail, Docs, Drive, and more, announced today that it is expanding its use of artificial intelligence (AI) to protect customer data. The new AI-powered security features are designed to help organizations prevent cyberattacks, detect and respond to threats, and comply with data regulations.

One of the key features of the new AI-powered security is zero trust access. Zero trust is a security model that assumes that no user or device can be trusted by default. Instead, access to resources is granted based on the user's identity and the context of the request. Google's AI-powered zero trust features use machine learning to continuously assess the risk of each access request and make a decision about whether to grant access.

Another key feature of the new AI-powered security is data loss prevention. Data loss prevention (DLP) is a set of technologies that are used to prevent the unauthorized disclosure of sensitive data. Google's AI-powered DLP features use machine learning to identify and classify sensitive data, and then to detect and prevent attempts to share that data.

In addition to zero trust and DLP, Google's AI-powered security also includes features for detecting and responding to threats, such as phishing attacks and malware. These features use machine learning to analyze data from a variety of sources, such as email, documents, and network traffic, to identify potential threats.

Google says that the new AI-powered security features are designed to help organizations of all sizes protect their data from cyberattacks. The features are available now in preview for Google Workspace Enterprise customers.

Benefits of AI-powered security in Google Workspace

There are several benefits to using AI-powered security in Google Workspace. These benefits include:

  • Increased security: AI-powered security can help organizations prevent cyberattacks, detect and respond to threats, and comply with data regulations.
  • Reduced workload: AI-powered security can help organizations automate many of the tasks involved in security, such as data classification and threat detection. This can free up IT staff to focus on other tasks.
  • Improved efficiency: AI-powered security can help organizations improve the efficiency of their security operations. For example, AI-powered threat detection can help organizations identify and respond to threats more quickly.
  • Cost savings: AI-powered security can help organizations save money on security costs. For example, AI-powered data classification can help organizations reduce the amount of data that needs to be stored and protected.

Conclusion

Google Workspace's AI-powered security is a significant step forward in the fight against cyberattacks. The new features are designed to help organizations of all sizes protect their data from the latest threats. If you are looking for a way to improve the security of your Google Workspace environment, then AI-powered security is a good option to consider.

Tuesday, August 22, 2023

Xiaomi 14 Pro to Feature Special Version with Satellite Connectivity and Titanium Alloy Body

Xiaomi 14 Pro to Feature Special Version with Satellite Connectivity and Titanium Alloy Body

Xiaomi 14 Pro to Feature Special Version with Satellite Connectivity and Titanium Alloy Body

According to a recent report from Digital Chat Station, Xiaomi is planning to release a special version of the Xiaomi 14 Pro smartphone. The device will have a body made of titanium alloy and ceramic, as well as a display with a protective glass made of nanoceramics. It will also support satellite communication, similar to the iPhone 14.

In terms of technical specifications, the Xiaomi 14 Pro is expected to be equipped with an OLED display with a high refresh rate and the latest Snapdragon 8 Gen 3 processor. Other features may include a triple-camera system on the back, a large battery, and fast charging support.

The special version of the Xiaomi 14 Pro is said to be released in limited quantities. It is not yet known when the device will be officially announced or how much it will cost.

Here are some additional details about the Xiaomi 14 Pro special version:

  • Body made of titanium alloy and ceramic
  • Display with protective glass made of nanoceramics
  • Support for satellite communication
  • OLED display with high refresh rate
  • Snapdragon 8 Gen 3 processor
  • Triple-camera system on the back
  • Large battery
  • Fast charging support

The Xiaomi 14 Pro is expected to be a high-end smartphone with premium features. The special version with satellite connectivity and titanium alloy body will be even more exclusive and sought-after. I will keep an eye out for more information about this upcoming device and let you know as soon as it becomes available.