Friday, December 23, 2022

AI কী? এআই কিভাবে কাজ করে? What is Artificial Intelligence

AI কী? এআই কিভাবে কাজ করে? What is Artificial Intelligence

Ai বা Artificial intelligence এই কথাটার সাথে এখন অনেকেই পরিচিত। AI সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেরই সঠিক ধারনা নেই। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে AI সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কী?

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই এর বাংলায় অনুবাদ করলে হয় 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা'। সাধারণভাবে মানুষের বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজনীয় কাজগুলি করতে সক্ষম কম্পিউটার বা মেশিনকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলা হয়। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এমন একটা টেকনোলজি যেটা মানুষের মতই কাজ করতে পারে এবং একটি মেশিন হবার কারণে এটাকে একবার কমান্ড দিলে মানুষের চেয়েও অনেক গুন ফাস্ট কাজ করতে পারে। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বর্তমানে অনলাইন সেক্টরে বহুল ব্যাবহৃত হচ্ছে। যেটাকে সোসিয়াল ভাষায় AI Technology বলা হয়ে থাকে। এআই টেকনোলজি এর অ্যাডভান্টেজ তাক লাগিয়ে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। আপনি হয়ত খেয়াল করলে বুঝবেন যে আপনার সারাদিনের বেহাবিওর ও কাজ কর্ম যাই করেন না কেন ফেসবুকের মত সোসিয়াল সাইটগুলোতে পরবর্তীতে সেই রিলেটেড তথ্য গুলোই বেশি বেশি শো করানো হয় যেটা সম্পুর্ন AI Technology!

সোসিয়াল মিডিয়ায় এইআই টেকনোলজি

সোসিয়াল মিডিয়া গুলোতে বর্তমানে ব্যাপক ভাবে AI ব্যাবহার করা হচ্ছে। আপনি হয়ত জানেন না বর্তমানে প্রত্যেকটা সোসিয়াল মিডিয়া জানে যে আপনি কি চান? একবার ভেবে দেখুন কোথাও একটা জিনিস সার্চ করছেন হয়ত ১-২ ঘন্টা আগে কিন্তু হটাত করেই দেখবেন ফেসবুকের মত অ্যাপগুলোতে আপনি যেটা ভাবছেন বা জানতে চাচ্ছেন সেটা সামনে চলে আসছে🫡 বিষয়টাকে যদি একটু কঠিন ভাবে দেখেন ফেসবুকেএ AI এতটাই শক্তিশালী যে আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে জাই করেন না কেন সব কিছুর খরবর তারা রাখতে পারে। যাতে করে আপনার চাহিদা অনুযায়ী কন্টেন্ট আপনার সামনে ডিস্প্লে করাতে পারে এবং আপনি বেশি বেশি এই অ্যাপের প্রতি আকৃষ্ট হোন। এই সম্পুর্ন ইকো সিস্টেমটাই AI Technology.



স্মার্ট ঘড়িতে যুক্ত হচ্ছে জিমেইল ও ক্যালেন্ডার অ্যাপ

স্মার্ট ঘড়িতে যুক্ত হচ্ছে জিমেইল ও ক্যালেন্ডার অ্যাপ

গুগলের তৈরি ওয়্যারওএসে (স্মার্ট ঘড়ির অপারেটিং সিস্টেম) চলা স্মার্ট ঘড়িতে  ব্যবহার করা যাবে জিমেইল ও ক্যালেন্ডার অ্যাপ। ফলে স্মার্ট ঘড়িতে জিমেইল ও   ক্যালেন্ডার অ্যাপের সব সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে ওয়্যারওএসে  চলা স্মার্ট ঘড়িতে শুধু জিমেইল এবং ক্যালেন্ডার অ্যাপের নোটিফিকেশন বার্তা  পাওয়া যায়।


নতুন এ সুবিধা চালু হলে গ্যালাক্সি ওয়াচ ফোর, ওয়াচ ফাইভ, পিক্সেল ওয়াচসহ  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি স্মার্ট ঘড়িতে অন্যদের পাঠানো ই-মেইল পড়ার  পাশাপাশি পাঠানোও যাবে। ফলে হাতের কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকলেও  জরুরি তথ্য দ্রুত জানা যাবে।


প্রাথমিকভাবে নিজেদের তৈরি পিক্সেল স্মার্ট ঘড়িতে জিমেইল ও ক্যালেন্ডার  অ্যাপযুক্ত করে কার্যকারিতা যাচাই করছে গুগল। শিগগিরই ওয়্যারওএসে চলা সব  স্মার্ট ঘড়িতে অ্যাপগুলো ব্যবহার করা যাবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া.



Thursday, December 15, 2022

চলমান চাকরির নিয়োগের তালিকা | চাকরির সার্কুলার ২০২২ সালের সর্বশেষ আপডেট Job Circular

চলমান চাকরির নিয়োগের তালিকা | চাকরির সার্কুলার ২০২২ সালের সর্বশেষ আপডেট Job Circular

চলমান সরকারি বেসরকারি সকল চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আজকে আমাদের সাইটে প্রকাশ করা হলো যারা চাকরি করতে ইচ্ছু আর্টিকেলটা সম্পুর্ন পড়ুন ও আপনি যেই কাক করত্র চান সেটায় অ্যাপ্লাই করুন আশা করি চাকরি পাবেন।


১। ৪৫ তম বিসিএসঃ

পদসমূহঃ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৩০৯টি পদ (ক্যাডার), ১০২২টি পদ (নন ক্যাডার)।

আবেদনের সময়সীমাঃ ৩১-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://bpsc.teletalk.com.bd/bcs45/home.php


২। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনঃ

পদসমূহঃ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫০টি পদ (বিজ্ঞপ্তি নম্বর (৫৪-৬৯)।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৭-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://bpsc.teletalk.com.bd/ncad/apply.php


০৩। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডঃ

পদসমূহঃ ০৩ ক্যাটাগরিতে ৭৭টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১২-১২-২০২২ থেকে ২৯-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://brebhr.teletalk.com.bd


৪। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনঃ

পদসমূহঃ ০৯ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১১-১২-২০২২ থেকে ২৯-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://brtc.teletalk.com.bd


৫৷ গ্রামীণ ব্যাংকঃ

পদসমূহঃ ট্রেইনী অফিসার এবং ট্রেইনী অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২২-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://gbrecruit.ghrmplus.com


৬। ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডঃ

পদসমুহঃ

(i) Management Trainee Officer (MTO)

(ii) Trainee Officer (TO)

আবেদনের সময়সীমাঃ ৩১-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://app.dutchbanglabank.com/Online_Job/

৭। ট্রাষ্ট ব্যাংকঃ

পদের নামঃ Management Trainee Officer (MTO)

আবেদনের সময়সীমাঃ ১৫-০১-২০২৩ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://career.tblbd.com


৮। বাংলাদেশ পুলিশঃ

পদের নামঃ সার্জেন্ট।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২২-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://police.teletalk.com.bd


৯। বাংলাদেশ পুলিশঃ

পদের নামঃ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৮-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://police.teletalk.com.bd/home.php


১০। কর অঞ্চল-২, চট্টগ্রামঃ

পদসমূহঃ ০৭ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১৪-১২-২০২২ থেকে ০৫-০১-২০২৩ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://ctax2.teletalk.com.bd

http://ctgtaxeszone2.gov.bd/public_controller/SingleNoticeView/149


১১। শিক্ষা মন্ত্রণালয়

পদসমূহঃ ০৫ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ৩১-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://shed.teletalk.com.bd


১২। শিল্প মন্ত্রণালয়

পদসমূহঃ ০৫ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ৩১-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://moind.teletalk.com.bd


১৩। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডঃ

পদের নামঃ Customer Service Attendant - ২২টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৯-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://dpdc.org.bd/career


১৪। বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড

পদসমূহঃ ০২ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৯-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://erecruitment.bcc.gov.bd


১৫। বিস্ফোরক পরিদপ্তর

পদসমূহঃ ০২ ক্যাটাগরিতে ৭৭টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৮-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://doexp.teletalk.com.bd


১৬। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

পদসমূহঃ ০৪ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৮-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://dscc.teletalk.com.bd


১৭। বাংলাদেশ পুলিশ, রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, চট্রগ্রাম

পদের নামঃ অফিস সহায়ক - ০৩টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৮-১২-২০২২ ইং।


১৮। ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড

পদসমূহঃ ১১ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৬-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://egcb.teletalk.com.bd


১৯। বন সংরক্ষকের কার্যালয়, খুলনা অঞ্চল

পদসমূহঃ ০২ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২২-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://bfdkc.teletalk.com.bd


২০। স্থাপত্য অধিদপ্তর

পদসমূহঃ ০৮ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৬-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://architecture.teletalk.com.bd


২১। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ

পদসমূহঃ ০৩ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২২-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://eservice.bba.gov.bd/recruitment


২২। মোংলা কাস্টম হাউস

পদসমূহঃ ১৪ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২১-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://mch.teletalk.com.bd


২৩। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল

পদসমূহঃ ০৬ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২০-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://barcouncil.teletalk.com.bd


২৪। প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার কার্যালয়

পদসমূহঃ ০৩ ক্যাটাগরির পদ (বেসামরিক পদ)।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১৭-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://dcd.teletalk.com.bd


২৫। কারা অধিদপ্তর

পদসমূহঃ

(i) কারারক্ষী - ৩৫৪ টি পদ।

(ii) মহিলা কারারক্ষী - ২৯ টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১৭-১২-২০২২ ইং

অনলাইনে আবেদনঃ http://prison.teletalk.com.bd


২৬। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

পদের নামঃ ফার্মাসিস্ট (ডিপ্লোমা) - ৬২৭টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১৬-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://dghsp.teletalk.com.bd


২৭। বাংলাদেশ ন্যাশনাল সায়েন্টিফিক এন্ড টেকনিক্যাল ডকুমেন্টেশন সেন্টার

পদসমূহঃ ১৫ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১৫-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://bansdoc.teletalk.com.bd


২৮। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ

পদসমূহঃ ০৯ ক্যাটাগরির ৫৮টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১৫-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://eservice.bba.gov.bd/recruitment


২৯। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ

পদসমূহঃ ১০ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১৩-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://www.mpajobsbd.com


৩০। বাংলাদেশ হাই- টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ

পদের নামঃ কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাম অফিস সহকারী- ০৪টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১৩-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://erecruitment.bcc.gov.bd


৩১। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ

পদের নামঃ উপ সহকারী প্রকৌশলী সিভিল - ০৫টি পদ (জরাজীর্ণ ডাকঘরসমূহের শীর্ষক প্রকল্প)।

আবেদনের সময়সীমাঃ ০৪-০১-২০২৩ ইং।


সামরিক বাহিনীসমূহঃ

৩২। বাংলাদেশ নৌবাহিনী

পদের নামঃ অফিসার ক্যাডেট।

আবেদনের সময়সীমাঃ ০৯-০৪-২০২৩ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://joinnavy.navy.mil.bd


৩৩। বাংলাদেশ নৌবাহিনী

পদের নামঃ কমিশন্ড অফিসার (২০২৩ বি ডিইও)।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১০-০১-২০২৩ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://joinnavy.navy.mil.bd


৩৪। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

পদের নামঃ সৈনিক।

আবেদনের সময়সীমাঃ ৩১-০১-২০২৩ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://army.teletalk.com.bd


৩৫। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী

পদের নামঃ এমওডিসি (এয়ার)।

আবেদনের সময়সীমাঃ ০৩-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ https://joinairforce.baf.mil.bd


জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সমূহঃ

৩৬। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ

পদের নামঃ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব – ০৩টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ০৫-০১-২০২৩ ইং।


৩৭। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ফরিদপুর

পদসমূহঃ ০৫ ক্যাটাগরিতে ৪৬টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৯-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://dcfaridpur.teletalk.com.bd


৩৮। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, গাইবান্ধা

পদসমূহঃ ০৮ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৯-১২-২০২২ ইং।

আবেদন ফরমঃ http://www.gaibandha.gov.bd/site/view/notices


৩৯। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, লক্ষ্মীপুর

পদসমূহঃ ০৬ ক্যাটাগরির পদ (১৬তম গ্রেড)।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২৪-১২-২০২২ ইং।

অনলাইনে আবেদনঃ http://dclakshmipur.teletalk.com.bd


৪০। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

পদসমূহঃ ০২ ক্যাটাগরির পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ২২-১২-২০২২ ইং।

বিস্তারিতঃ http://file-rajshahi.portal.gov.bd/uploads/82771659-e204-42e5-a4b3-720b48311a5f//638/824/a69/638824a699c80944450234.pdf


৪১। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নড়াইল

পদের নামঃ অফিস সহায়ক - ১৪টি পদ।

আবেদনের সময়সীমাঃ ১২-১২-২০২২ ইং।



Saturday, December 3, 2022

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য লোকাল কমিউনিটি

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য লোকাল কমিউনিটি

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য লোকাল কমুনিটি, আজকের এই আর্টিকেলটি ফেসবুক থেকে এক ভাই পাঠিয়েছেন এবং এতে তার জীবনে ঘটে যাওয়া ফ্রীল্যান্সিং যগতের অনেক কিছু উল্লেখ আছে। অনুগ্রহ সবাই মনযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়বেন।

ফ্রিল্যান্সিং করছি ২০১৪ সাল থেকে, সত্যি বলতে ফ্রিল্যান্সিং লাইফের প্রথম ৫ বছর আমার চারপাশে কোন ফ্রিল্যান্সার আছে কিনা বা এলাকায় ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কে কি করছে সেটা কখনো মাথায় আনিনি। নিজের মত শুধু কাজ করেই গিয়েছি। শুধু সুযোগ পেলে ঢাকায় ফ্রিল্যান্সারদের প্রগ্রামগুলোতে এটেন্ড করেছি। লেখালেখির সুত্র ধরে পুরা বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গার ফ্রিল্যান্সারদের সাথে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ থাকলেও, অবাক ব্যাপার হচ্ছে, নিজের এলাকায় আমাকে কেউ তেমন চিনত না, এমনকি আমার নিজ জেলা ময়মনসিংহের ফ্রিল্যান্সারদের কারো সাথে তেমন যোগাযোগ ছিল না। একটু অন্তর্মুখী টাইপের বলে, কোন কালেই আমার বন্ধুবান্ধব তেমন ছিল না। সৌভাগ্যক্রমে ঢাকার একটা প্রোগ্রাম থেকে আমাদের ময়মনসিংহের ফ্রিল্যান্সার সুবর্ণ ইসলাম ভাইকে বন্ধু হিসাবে পাই, মাত্র ১ বছরের চলাফেরায় তিনি হয়ে ওঠেন আমার সব থেকে কাছের বন্ধু। নিজেদের সুখদুঃখ আনন্দ বেদনা এক সাথে ভাগাভাগি করে নিতাম, এক সাথে ঘুরতে যেতাম, প্রচুর সময় এক সাথে কাটিয়েছি। বলায় যায় তার সাথে আমার প্রায় ৯০% মিল ছিল।

১৯শে জুলাই ২০১৯ সালে তিনি আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নেন। আমি পুরাপুরি একা হয়ে পড়ি, এর পরে শুরু হয় কভিডের লকডাউন, বাড়ীতে থাকতে থাকতে একাকীত্ব প্রচন্ডভাবে পেয়ে বসে। তখন থেকেই নিজের এলাকায় ফ্রিল্যান্সারদেরকে খোঁজ করা শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ্‌ বেশ কিছু ফ্রিল্যান্সার ভাই ব্রাদারকে খুজে পাই। তাদের কয়েকজনের সাথে সরাসরি দেখা করি এবং ঠিক করি যে লোকাল ফ্রিল্যান্সার এবং ফ্রিল্যান্সিংএ আগ্রহীদেরকে নিয়ে একটু কমুনিটী করার। এবং আপনাদের দোয়ায় আমার নিজ এলাকা ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহে একটা লোকাল কমুনিটি গঠন করি, এবং দুই মাস আগে আমাদের বৃহত্তর ময়মনসিংহের সব জেলা নিয়ে বড় একটা গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছে। মাত্র দেড় বছরের পথ চলায় আমদের এত অর্জন এবং অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, ভাবলাম এটা নিয়ে আলাদা ভাবে লেখা দরকার। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে ফ্রিল্যান্সারদের লোকাল কমুনিটির গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা শুরু করছি।

নতুন বন্ধুত্বের সন্ধানেঃ

সুবর্ণ ইসলাম ভাইকে হারানোর বেদনায় অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এই লোকাল কমুনিটির কল্যানে অনেকগুলো ভাই ব্রাদার পেয়েছি, যারা আমার নিজের ভাইয়ের মত। তাদের জন্য কিছু করতে আমার যেমন ভাল লাগে, তেমনি ভাবে আমিও অনুভব করি তারা আমাকে কতটা ভালবাসে। লোকাল কমুনিটি করার পর এটা আমার বড় প্রাপ্তি। আমরা ফ্রিল্যান্সারের মুলত চার দেয়ালে বদ্ধ জীবনযাপন করি, ফলে আমাদের বাস্তব জীবনের বন্ধু থেকে ভার্চুয়াল বন্ধু বেশি। কিন্তু বিশ্বাস করেন, বাস্তব জীবনের একজন প্রকৃত বন্ধু ফেসবুকের হাজারো ভার্চুয়াল বন্ধুর থেকে বেশি কাজে আসে। আমার সাথে একজন ফ্রিল্যান্সারের ৭ বছর ধরে যোগাযোগ ছিল, নিজেকে তার অনেক কাছের একজন মনে করতাম। কিন্তু কিছুদিন আগে আমার এক পোষ্টের সুত্র ধরে তিনি আমাকে ইসলাম বিরোধী আখ্যা দিয়ে আনফ্রেন্ড করে দেন। অথচ আমাদের মধ্যে যদি বাস্তব যোগাযোগ থাকত, তবে আমার মনে হয় আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে তিনি ১০০ বার ভাবতেন। তিনি আমাকে যেমনটা মনে করেছেন, আমি আসলে তেমনটা মোটেও না। সত্যি বলতে এসব বায়বীয় ভার্চুয়াল বন্ধুত্বের কোন মূল্য নেই। তাই লোকাল কমুনিটী গঠন করুন বাস্তবের বন্ধুত্ব তৈরি করুন, বিপদে আপদে সব সময় তাদেরকে পাশে পাবেন।

আনন্দময় সময়ের জন্যঃ

আগেই বলেছি আমরা প্রকৃত ফ্রিল্যান্সারেরা একটা বোরিং লাইফ যাপন করি। সেদিন একজন ফ্রিল্যান্সার ভাইয়ের কথা শুনে কষ্ট লাগছিল, তিনি সপ্তাহে ৫ দিন বেশ কিছু কোম্পানিতে ভার্চুয়াল সার্ভিস দেন। সারারাত কাজ করেন, সারাদিন ঘুমান। শনি রবি দুই দিন ছুটি, এই দুই দিন তিনি পার্কে যেয়ে মন খারাপ করে বসে থাকেন। অথচ তিনি জানতেনই না তার আশে পাশেই অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে, এমনকি তার অফিস থেকে ৫ মিনিটের হাটা দূরত্বে, একটা ফ্রিল্যান্সিং অফিস আছে সেটাও জানতেন না। কমুনিটী গঠন হবার পরে আস্তে আস্তে সব জেনেছেন এবং অবাক হয়েছেন। এখন তার আর বোরিং সময় কাটাতে হয় না। এখন আমরা কেউ কোথাও গেলে, নিজেদের

মেসেঞ্জার গ্রুপে নক দেই, ৪/৫ জন একত্রিত হই, চা কফির সাথে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে তুমুল আড্ডা চলে। সময়গুলো অনেক সুন্দর কাটে। আপনারাও এটা ফলো করতে পারেন, সময়গুলো অনেক আনন্দে কাটবে।

নলেজ শেয়ারিং

আগেই বলেছি যে যে কোন ফ্রিল্যান্সিং আড্ডা মানে নলেজ শেয়ারিং। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সামনে অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ আসছে। মিডীয়াতে  বলা হচ্ছে ২০২৩ সালে পুরা বিশ্ব মহামন্দার দিকে ধাবিত হবে, এতে অনেকে চাকরি হারাবে বা কাজের সুযোগ কমে যাবে। এছাড়া Articial Intellence (AI) এর ব্যাবাহার বহুগুনে বেড়ে যাবে। যার প্রভাব ইতিমধ্যে আমরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে দেখতে পাচ্ছি। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে টিকে থাকতে হলে নিজেকে আপগ্রেডের কোন বিকল্প নেই। লোকাল কমুনিটির মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে সহজেই নলেজ শেয়ারিং এর মাধ্যমে লেটেস্ট বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছি। কোন একজনের কাছে থেকে পাওয়া সামান্য একটা ইনফরমেশন আপনার চিন্তা ধারণাকেই পুরোপুরি পরিবর্তন করে দিতে পারে।  এইজন্য লোকাল কমিউনিটির গুরুত্ব অপরিসীম, নিজেদের মধ্যে নলেজ শেয়ারিংএর মাধ্যমে আমরা একে অপরকে হেল্প করতে পারি।

সৃষ্টির সেবায়

আমরা সবাই সৃষ্টির সেবায় নিজেকে নিবেদন করতে চাই। একা একা কোনো ভালো কিছু করা খুবই কঠিন। লোকাল কমিটির মাধ্যমে আমরা অনেক বড় বড় কাজ সবাই মিলে করতে পারি। আমাদের কমিটিতে ইতিমধ্যে আমরা ব্লাড ব্যাংক গঠন করেছি। এবং ইতিমধ্যে আমাদের লোকাল কমুনিটীর কয়েকজনকে হেল্পও করতে পেরেছি। কিছুদিন আগে আমাদের কমিটির এক ভাই আমাদের এলাকায় এসেছিলেন তার বোনের চিকিৎসার জন্য। আমাদের লোকাল ফ্রিল্যান্সিং কমুনিটীর মেম্বারেরা তাদের আন্তরিকতা দিয়ে তাদের সর্বচ্চ চেস্টা করেছে। আমাদের কমিউনিটি থাকার কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে। আরো উদাহরণ দিতে পারি, গত কয়েক মাস আগের সিলেট বিভাগের বন্যার সময়, আমরা আমাদের লোকাল কমুনিটীর মাধ্যমে বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রায় ৩২০টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছিলাম, আমাদের অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সবাই মিলে যদি একত্রিত না হতাম, তাহলে এত বড় একটা প্রোগ্রাম আমরা কোনমতেই করতে পারতাম না। গত রোজার ঈদের সময় আমরা ঈদ উপহার হিসেবে বেশ কিছু দরিদ্র পরিবারকে ঈদের বাজার ঈদ উপহার দিয়েছিলাম। আমাদের শক্তিশালী লোকাল কমুনিটি আছে বলেই অন্তত কিছু দরিদ্র  পরিবারের মাঝে আমরা হাসি ফোটাতে পেরেছি। এর জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি। এই বছর হয়ত মাত্র ২৩টী পরিবারের জন্য ঈদ উপহারের ব্যাবস্থা আমরা করতে পেরেছি। পরের ঈদে যেন শত পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিবতরন করতে পারি এই জন্য সবার নিকট দোয়াপ্রার্থী।  ফ্রিল্যান্সারদের অনেকেই নিয়মিত যাকাত দেন এবং সাধ্যমত দান করেন, তাদের এই দানের টাকা একত্রিত করে অনেক বড় কিছু করা সম্ভব। সামনে শীতকাল আসছে তীব্র শীতে অনেক অসহায় মানুষজন কষ্ট পাবেন, আমরা লোকাল কমিটির মাধ্যমে আমাদের দরিদ্র মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পারি, কম্বল বিতরণ করতে পারি।  ফ্রিল্যান্সারদের লোকাল কমিটির মাধ্যমে সহজেই এমন অনেক ভালো ভালো কাজ করা সম্ভব, যেটা ব্যাক্তি উদ্যোগে করা সম্ভব না।

আনন্দ ভ্রমণে

লোকাল কমিউনিটির অন্যতম বড় একটা আকর্ষণ হচ্ছে বিভিন্ন আনন্দভ্রমণে সবাই একত্রিত হওয়া। আমরা আমাদের লোকাল কমুনিটি থেকে ইতিমধ্যে অনেকগুলো ছোট ছোট আনন্দ ভ্রমনের আয়োজন করেছি, আমরা আমাদের জেলার আশপাশের দর্শনীয় অনেকগুলো স্থান পরিদর্শন করেছি, বাকিগুলো দ্রুত ভ্রমনের ইচ্ছা আছে। আমাদের কমুনিটী থেকে নৌকাভ্রমণে করেছি, রাতে ক্যাম্পিং করেছি, জংগলের মাঝে রিসোর্টে থেকেছি, বারবিকিউ পার্টী করেছি, ডে লং ট্যুর করেছি। এসব প্রোগ্রামগুলোতে যে পরিমাণ মজা হয়েছে, সেগুলো আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আসলে এসব আনন্দ ভ্রমণে আমরা খুবই আনন্দ করেছি এবং শুধু তাই না নিজেদের ভিতর নলেজ আইডীয়া শেয়ার করেছি, আমাদের ভাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় হয়েছে। তাই এরকম এলাকা ভিত্তিক ছোট ছোট লোকাল কমিটি গঠনের মাধ্যমে, আপনারাও দেশের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন এলাকায় ট্যুর দিতে পারেন। এই শীতে আমাদের বেশ কিছু ট্যুর প্লান আছে, এছাড়া বছরব্যাপী আমাদের কমুনিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ট্যুরের আয়োজন করা হবে, আপনাদেরকে অগ্রিম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম। আপনার এলাকায় যদি আমরা আসি তবে আশা করি আপনাদের সাথে দেখা হবে এবং আপনাদের কাছ থেকে হেল্প পাব। আমাদের এলাকাতেও আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ রইল।

মিটাপ প্রোগ্রামে

ফ্রিল্যান্সারদের লোকাল কমিউনিটির আরেকটা বড় আনন্দের জায়গা হচ্ছে বিভিন্ন মিটাপ। এমনিতেই ঢাকাতে বড় বড় ফ্রিল্যান্সার মিটাপ হয়, তবে ঢাকার বাহিরে বড় মিটাপ খুব একটা হয় না। তবে আপনাদের এলাকার লোকাল ফ্রিল্যান্সার কমুনিটী গঠন করার  মাধ্যমে আপনারা ছোট ছোট মিটাপের আয়োজন করতে পারেন।  আমরা আমাদের লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে অনেকগুলো ছোট ছোট মিটআপ করেছি। গত রোজায় আমরা বড় আকারের ইফতার মাহফিল করেছিলাম প্রায় ৭৫ ফ্রিল্যান্সার এবং ফ্রিল্যান্সিংএ আগ্রহীদের নিয়ে খুবই সফল সে প্রোগ্রাম ছিল। সামনের রোজাতেও ইফতার মাহফিল করার ইচ্ছা আছে। আমরা ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে নৌকা ভ্রমন আয়োজন করেছিলাম। সামনের ডিসেম্বারে আমাদের বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশের সকল ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে, ফ্রিল্যান্সার কমুনিটীকে নিয়ে বড় আকারের একটা মিটাপ হতে যাচ্ছে। আপনাদের অগ্রিম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম। এসব মিটাপে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে  আলোচনা করছি, আমাদের সমস্যা এবং সম্ভবনা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এসব মিটাপ থেকে আমাদের ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনাগুলো সাজিয়েছে নিয়েছি। এসব মিটাপকে বলা যায় আমাদের লোকাল কমুনিটীর প্রাণ। এখান থেকে আমরা অনেক ভালো কিছু পেয়েছি, আপনারাও এটা ফলো করতে পারেন।

বিনিয়োগে

ফ্রিল্যান্সারদের প্লান B নিয়ে আজ থেকে চার বছর আগে আমি পোস্ট দিয়েছিলাম, কারণ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা অনিশ্চিত পেশা যেটাকে বাঁধাধরা বেতনের চাকরির সাথে তুলনা করা যায় না। আজকে কেউ হয়তো কেউ খুব ভালো করছে কিন্তু আগামীতে সে যে ভালো করবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই, যে কারো যে কোনো সময় আর্থিক অনিশ্চিয়তা আসতে পারে, এজন্য আমি সবসময় বলি আপনার পালন B রেডি  রাখতে। অর্থাৎ কোন কারনে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়াতে কোন সমস্যা হলে আপনি যেন প্লান B এর মাধ্যমে টিকে যেতে পারেন। অনেকে আছেন ব্যাংকে টাকা রেখে মুনাফা বা সুদ খেতে চান না, কোথাও টাকা বিনিয়োগ করে হালাল ইনকাম করতে চান। তাদের জন্য লোকাল কমুনিটী একটা আদর্শ প্লাটফর্ম হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি আমার জানা মতে ঢাকায় এবং ঢাকার বাহিরে অনেক ফ্রিল্যান্সারেরা গ্রুপ করে জমিতে বিনিয়োগ করছেন এবং শুধু তাই নয় সে জমি কিনে সেই জমিতে ফ্লাট নির্মাণ শুরু করেছেন। এটা এখন হালাল বিনিয়গের বেশ ভাল একটা মডেল। এবং এখান থেকে ভাল পরিমানে মুনাফা হালাল ভাবে পাওয়া সম্ভব। যেহেতু ছোট লোকাল কমুনিটীতে সবাই সবার সাথে পরিচিত এবং সবার সাথে একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান কাজেই আমি মনে করি এখানে চাইলেই সম্মিলিত বিনিয়োগের মাধ্যমে ভাল কিছু করা সম্ভব।  তাই আপনারা লোকাল কমিউনিটিতে বেশ কয়েকজন একত্রিত হয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করে সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে আপনারা শহরের ভিতরে বা শহরের আশপাশে জমি কিনে রেখে দিতে পারেন। পরবর্তীতে সেই জমির দাম বেড়ে গেলে জমি বিক্রি করে ভালো পরিমাণ মুনাফা পেতে পারেন। শুধু তাই না সেই জমিতে আপনারা ফ্ল্যাট বানিয়ে বিক্রি করে সেখান থেকে ভালো ইনকাম করতে পারেন এবং এটা পুরোপুরি হালাল। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ করে আপনারা ব্যবসা করতে পারেন, যেমন রেন্ট এ কারের ব্যাবসা। নিজেদের ভিতরে যদি নীতিমালা ঠিক থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আশা করা যায় আপনারা ভাল কিছু করতে পারবেন।

কাজের হেল্পে

নিজের কাজে হেল্প লোকাল কমিউনিটি বিশাল একটা ভূমিকা রাখতে পারে। হতে পারে আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার, ডিজিটাল মার্কেটার, গ্রাফিক ডীজাইনার বা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যে বিষয়ের একজন এক্সপার্ট। বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে ক্লায়েন্টকে আপনার নির্দিষ্ট কাজের বাহিরে সার্ভিস দেয়া লাগতে পারে। প্রায় সময় মারকেটপ্লেস বা অন্য কোথাও থেকে সার্ভিস নিতে যেয়ে  আমাদেরকে বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। লোকাল কমুনিটী থাকলে সহজেই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। যেমন আমাদের লোকাল কমুনিটির কে কি কাজ করে সেটা আমরা জানি। আমাদের কোন সার্ভিস লাগলে আমাদের লোকাল কাউকে দিয়ে আমরা সেই কাজটা করিয়ে নেই। ফলে কোন ধরনের ঝামেলা হবার কোন সুযোগ নেই। আমাদের কমুনিটির অনেকেই এখন তাদের বাড়তি কাজগুলো লোকাল মেম্বারদের দিয়ে করিয়ে নিচ্ছেন এবং এতে যেটা হচ্ছে যে, নতুন ফ্রিল্যান্সারদের উপকার হচ্ছে পাশাপাশি একজন এক্সপার্ট এর কাছ থেকে কাজ শিখতে পারছেন যেটা অমূল্য।

নিজের নিরাপত্তায়

আমাদের নিরাপত্ত একটা চিন্তার বিষয়, কারণ হচ্ছে আমাদের ইনকাম সাধারণ মানুষ থেকে একটু বেশি। ফলে দেখা যায় যখন যখন একজন ফ্রিল্যান্সার এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে বা কোন  বিনিয়োগ করে, তখন মানুষ বাঁকা দৃষ্টিতে দেখে। বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে গ্রামে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের টাউট-বাটপার এই সুযোগটা বেশি নেয়। এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করতে যেয়ে হেনস্তার স্বীকার হয়েছে এবং সেই চিন্তায় ডায়াবেটিস হয়ে গেছে এমন ফ্রিল্যান্সারকেও দেখেছি। আসলে আপনি যদি একাকী বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেন, তাহলে এরা সুযোগ বেশি নেবে। কিন্তু সংঘবদ্ধ কোন লোকাল কমুনিটি থাকে, তবে বিপদে আপদে তাদেরকে পাশে পাবেন। এটাই লোকাল কমুনিটির বড় শক্তি। লোকাল কমুনিটি গঠন করে নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি  যোগাযোগ রাখেন, যেন কেউ বিপদে পড়লে, সহজেই একজন আরেকজনকে সহযোগিতা করতে পারেন। এটা করলে দেখবেন আপনার মধ্যে একটা নিরাপত্তাবোধ চলে আসবে।

মেন্টরশিপে

অনেক এক্সপার্ট আছেন অন্যদের শেখাতে পছন্দ করেন। অর্থাৎ মেন্টরশিপ করতে পছন্দ করে। আমাদের দেশে যেটা দেখি মেন্টরেরা ভাল ছাত্র পায় না, আর ভাল ছাত্ররা শেখার জন্য ভাল মেন্টর পায় না। লোকাল কমুনিটি এর সুন্দর সমাধান হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, আমাদের কমুনিটিতে একজন ভাই যিনি একজন UX/UI এক্সপার্ট তিনি বাছাই করে আমাদের কমুনিটির ৬ জন আগ্রহিকে সরাসরি মেন্টরিং এর মাধ্যমে হাতে কলমে কাজ শেখাচ্ছেন। শুধু তাই না তার এজেন্সির মাধ্যমে তাদেরকে, হাতে কলমে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাদের ইচ্ছা আছে এরকম যারা এক্সপার্ট আছেন যারা মেন্টরিং করতে আগ্রহী। তাদেরকে এমন ছোট ছোট গ্রুপের মাধ্যমে, যারা আসলেই শিখতে আগ্রহী তাদেরকে কাজ শেখার সুযোগ করে দেওয়া। শুধু তাই না তারা যেন কাজ ভালভাবে শেখার পরে কাজ পায়, সেটার ব্যবস্থা করে দেওয়া।

সরকারকে সহযোগিতায়

ফ্রিল্যান্সিং এখন সরকারের টপ প্রায়োরিটির মধ্যে একটি। কারণ দেশের এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতিদের সবাইকে চাকরী দেয়া সম্ভব না। তাই সরকার চাচ্ছে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে অনলাইনের বিভিন্ন কাজের ব্যাপারে দক্ষ করে গড়ে তোলা যেন তারা ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করে নিজের কর্মসংস্থান করতে পারে। এই জন্য সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চালু রয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরা প্রকৃত ফ্রীলান্সারেরা নিজেদের নিয়ে এতই ব্যাস্ত থাকি যে এসব কাজে নিজেদের জড়াই না। ফলে সুযোগটা নেয় বিভিন্ন টাউট বাটপাড়েরা। ফ্রিল্যান্সার নামধারী স্ক্যামারেররা নিজেদেরকে ফ্রিল্যান্সার দাবি করে, সরকারের ওপর মহলের সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদেরকে বিভ্রান্তির মাধ্যমে নিজেদেরকে নিজেদের সুযোগ সুবিধা গুলো আদায় করে নিচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভাল কিছু শিখতে বঞ্চিত হচ্ছে। লোকাল কমুনিটী গঠনের মাধ্যমে এগুলো খুব সহজেই প্রতিরোধ করতে পারি।  আমরা আমাদের নিজেদের জেলা দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে দেখা সাক্ষাত করতে পারি। আমাদের কার্যক্রমগুলো তাদেরকে জানাতে পারি এবং শুধু তাই না আমাদের মিটআপে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাতে পারি, তাদের পক্ষ থেকে তারা তাদের বক্তব্য দেবেন আমরা আমাদের দাবীদাওয়াগুলো তাদের মাধ্যমে দিতে পারব এবং এভাবেই আমরা সরকারের সাথে একটা সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে, আমাদের উপস্থিতি জানান দিতে পারব এবং ভালো কিছু করতে পারব।

স্কামার প্রতিরোধে

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বর্তমানে স্কামারদের রামরাজত্ব চলছে, চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে অসহায় বেকার যুবক যুবতীদেরকে ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকামের গ্যারান্টি দিয়ে তাদেরকে সর্বস্বান্ত করছে। প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আমাদেরও কিছু দায়বদ্ধতা আছে। লোকাল ফ্রিল্যান্সিং কমুনিটি গঠন করে আমরা মাঝে মাঝেই ফেসবুক লাইভ বা এলাকার কোন কলেজে প্রগ্রাম করে বেকার যুবক যুবতীদের ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ধারনা দিতে পারি। এতে তারা প্রতারণার হাত থেকে বেচে যাবে।

খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে

ফ্রিল্যান্সারদের অনেকেই এক সময় ভাল খেলাধুলা করতেন, অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রতিভা ছিল। কেউ হয়ত ভাল গিটার বাজাতেন, কেউ হয়ত বাঁশি, কারো হয়ত অভিনয় প্রতিভা ছিল। কিন্তু ব্যাস্ততার কারনে এসবের চর্চা এখন আর করা হয়ে ওঠে না। কমুনিটী হলে আমাদের এসব হারানো প্রতিভা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। যেমন ঢাকাতে ফ্রিল্যান্সারেরা নিয়মিত ক্রিকেট ফুটবল ব্যাডমিন্টন খেলে থাকেন। এমনকি তাদের প্রফেশনাল টুর্নামেন্ট নিয়মিত হয়। ঢাকার বাহিরে এসব খুব একটা দেখা যায় না। আমরা লোকাল কমুনিটির মাধ্যমে সহজেই বিভিন্ন প্রতিযগিতার আয়োজন করে আমাদের প্রতিভাগুলো আবারো ঝালাই করে দেখতে পারি। এতে শরীর মন দুইটাই ভাল থাকবে। আমাদের লোকাল কমুনিটির প্লান আছে সামনে বড় কোন টুর্নামেন্ট আয়োজন করার।

আপনার করনীয়

আমাদের দেশের অধিকাংশ এলাকায় ফ্রিল্যান্সারদের তেমন কোন সংগঠন সেভাবে নেই। আর যে সকল সংগঠনগুলো আছে, তারা মূলত বছরে একবার একটা প্রোগ্রাম করে তাদের দায়িত্ব শেষ করে দেয়। পরবর্তীতে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমি এমন সংগঠনের কথা বলছি যে সংগঠনগুলো সারা বছর ধরে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি জানান দিলে উপকার করবে এখন আপনার করনীয় হচ্ছে আপনার এলাকায় যদি কোন লোকাল কমুনিটি থাকে তবে তার সাথে যুক্ত হওয়া। আর যদি না থাকে তাহলে আমি বলব যে, আপনি আপনার এলাকার আশপাশে ফ্রিল্যান্সারদেরকে খুঁজে বের করেন, নিজেদের নিজেদের ভেতর যোগাযোগ বাড়ান এরপরে নিজেরা বসে আপনারা ফেসবুক গ্রুপ খুলেন এবং আস্তে আস্তে কাজ শুরু করে দেন। পথে নামলে পথই পথ দেখায়। আমরা লোকাল কমিউনিটি নিয়ে কাজ করছি প্রায় দুই বছর হয়ে গেল। প্রথমে আমরা নিজের এলাকা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম, আলহামদুল্লাহ সেখানে সফল হওয়ার পরে আমরা জেলা পর্যায় শুরু করেছি, এখন আমরা আমাদের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমাদের বৃহত্তর ময়মনসিংহের গ্রুপ সুন্দর ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। শুনে খুশি হবেন যে, প্রায় ৩৫০ জন ফ্রিল্যান্সার নিয়ে আমাদের বড় মিটাপ আগামি ২৪শে ডিসেম্বর, শনিবার ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে হতে যাচ্ছে। আপনাদের সবাইকে অগ্রিম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।

পরিশিষ্ট

আমার অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে আমি আমার পোষ্টের ইতি টানব, সেটা হচ্ছে, লোকাল কমুনিটি গঠন করলেই যে সমস্ত ফ্রিল্যান্সাররা যে একত্রিত হবে এমনটি না। অনেকে আছেন যে এগুলো পছন্দ করেন না, কেউ যদি লোকাল কমুনিটিতে আসতে না চান তাকে জোর করে আনার কোন দরকার নেই। কেউ যদি স্বইচ্ছায় আসেন তবেই তাকে আমন্ত্রণ জানান। আমি দেখেছি অনেক ফ্রিল্যান্সার আছেন যারা নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সবার সামনে পরিচয় দিতে বিব্রতবোধ করেন, অনেকে আছেন এই ধরনের ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটির ধারনাকেই সমর্থন করেন না। আমি মনে করি তাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত। সবাইকে সংগঠন করতে হবে এমন কোন কথা নেই। একটা সংগঠন করা খুবই সহজ, কিন্তু সে সংগঠন কে টিকিয়ে রাখা খুবই খুবই কঠিন। কাজেই লোকাল কমিউনিটি ছোট হোক, কিন্তু সেটা যেন সক্রিয় হয় এবং ভাল কাজের সাথে যুক্ত থেকে নিজেদের মধ্যে বন্ধন যেন দৃঢ় হয়। তাহ্লেই সংগঠন টীকবে। আর আর একটা কথা মনে রাখতে হবে, সেটা হচ্ছে এই লোকাল কমুনিটী করতে যেয়ে নিজের কাজের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। আগে নিজের কাজ এর পরে হচ্ছে অন্য কিছু।

পরিশেষে বলব, আমাদের ফ্রিল্যান্সারদের সংগঠিত হতে হবে, লোকাল কমিনিটী গঠন করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। নলেজ শেয়ারিঙের মাধ্যমে নতুন কিছু জানতে হবে। সবাই একত্রিত হয়ে ভাল কোন কাজের সাথে যুক্ত থাকতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য লোকাল ফ্রিল্যান্সিং কমুনিটীর মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আর এভাবেই আমরা পুরো বাংলাদেশ আমাদের উপস্থিতি জানান দিতে পারব, আমরা বড় কিছু করতে পারব, দেশ ও সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে পারব।

কারো যদি কোন কিছু জানার থাকে বা পরামর্শ থাকে তবে কমেন্টে জানাতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের পোস্ট এখানে শেষ করছি


Friday, December 2, 2022

ঘুমানোর দোয়া, ঘুমানোর আগে ও পরে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবি

ঘুমানোর দোয়া, ঘুমানোর আগে ও পরে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবি

জরত হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের বেলায় নিজ বিছানায় শোয়ার (ঘুমানোর আগে) সময় নিজ হাত গালের নিচে রাখতেন।


অতঃপর বলতেন-
‏ اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’

আর যখন (ঘুম থেকে) সজাগ হতেন, তখন বলতেন-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
উচ্চারণ- ‘আলহামদু লিল্লাহিল লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’
অর্থ : ‘সব প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করেছেন এবং তার দিকেই আমাদের পুনরুত্থান।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবির ঘুমানোর এ ছোট্ট আমলটি নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন

Tuesday, November 29, 2022

ড্রাগ আসক্তি নিয়ন্ত্রণ

ড্রাগ আসক্তি নিয়ন্ত্রণ

কোন ব্যক্তির ড্রাগের উপর আসক্ত হলে তা বন্ধ করা বেশ কঠিন কাজ। কারণ ড্রাগ আসক্ত মানুষ নিজের শরীরে মাদকের কুপ্রভাব বুঝতে পেরেও সেটা ছাড়তে পারে না। সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় মাদকদ্রব্যে আসক্তি কমানো যায়, তবে সে ক্ষেত্রে মাদকাসক্ত ব্যক্তি যদি সহযোগিতা না করে তাহলে তেমন ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। মাদক নিরাময় হাসপাতাল অথবা কেন্দ্রে মাদকাসক্ত মানুষকে ভর্তি করতে হবে এবং যথেষ্ট সহানুভূতির সাথে তার চিকিৎসা করতে হবে। 

প্রথমে আসক্ত ব্যক্তিকে তার ড্রাগ নেওয়া বন্ধুদের কাছ থেকে আলাদা করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে কোনভাবেই যেন তার কাছে মাদকদ্রব্য পৌঁছাতে না পারে। এরপর তার মানসিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন হয়, যেন সে ড্রাগের কথা মনে আনতে না পারে, তার জন্য তাকে বিশেষ কোনো কাজে যুক্ত করতে হয়। সে যে মাদকদ্রব্য আসক্ত হয়, সেটি একবারে হঠাৎ করে বন্ধ না করে ধীরে ধীরে মাত্রা কমিয়ে কমিয়ে শেষে একেবারে বন্ধ করতে হয়। হঠাৎ করে বন্ধ করা শারীরিকভাবে বিপদজনক হতে পারে।

ঘুম ঠিক মতো না হলে বা বেশি অস্থিরতা বা বিদ্রোহী ভাব দেখা দিলে ডাক্তাররা স্নায়ু শীতিলকারক ঔষধ এবং ঘুমের ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন।

মাদক সেবন শুধু যে দাগাযুক্ত মানুষটির ব্যক্তিগত ব্যস্ত সমস্যা তা নয়, মাদক সেবন যে কোন পরিবারে বড় রকমের সমস্যা ও বিশৃঙ্খলা বয়ে আনে। এই সমস্যা সামগ্রিকভাবে সমাজ ও দেশের উন্নতির পরিপন্থী। মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করে সমাজের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ধনী হয়, কিন্তু অন্যদিকে অনেক মানুষের এবং সমাজজীবনে ভয়াবহ দুর্যোগের কালো ছায়া নেমে আসে। সম্ভাবনাময় ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুধু তাই নয় মাদকাসক্তির কারণে অকাল মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এজন্য মাদকদ্রব্য সেবন ও এর ব্যবসা-বাণিজ্য কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। এর জন্য ব্যক্তিগত এবং সমাজ সেবামূলক সংস্থাগুলোর পাশাপাশি দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এবং সরকারি প্রচেষ্টা মাদক নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ফলপ্রসু হতে পারে। 

সামাজিক প্রচেষ্টা 

১। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
২। মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে পরামর্শ দেওয়া।
৩। পুনর্বাসন করে সমাজের স্বাভাবিক স্রোতে এনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা।

সরকারি প্রচেষ্টা

১। মাদক সেবন, বিক্রয় নিষিদ্ধ করা। এ ব্যাপারে করা আইন প্রণয়ন করে কঠোরভাবে সেগুলো প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
২। মাদক সেবনের কুপ্রভাবগুলো সরকারি ও বেসরকারি প্রচার মাধ্যম দ্বারা মানুষকে অবহিত করা।
৩। আমাদের দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন বলবৎ আছে। আইনগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হলে মাদকের বিষাক্ত ছোবল থেকে মানুষ ও দেশকে অনেকটুকু বাঁচানো সম্ভব হবে।


Sunday, November 27, 2022

রক্তের গ্রুপ | কোন গ্রুপের রক্ত কাকে দেওয়া যাবে? গ্রুপ কিভাবে কাজ করে?

রক্তের গ্রুপ | কোন গ্রুপের রক্ত কাকে দেওয়া যাবে? গ্রুপ কিভাবে কাজ করে?

একজনের রক্তের সাথে আরেকজনের রক্ত মেশানো হলে কেন  সেটি কখনো কখনো স্বাভাবিকভাবে মিশে যায় আবার কেন কখনো কখনো গুচ্ছবদ্ধ হয়ে যায়? সেটি বুঝতে হলে প্রথমে আমাদের দুটি বিষয় বুঝতে হবে, একটি হচ্ছে অ্যান্টিজেন অন্যটি হচ্ছে অ্যান্টিবডি।

অ্যান্টিজেন

ইন্তিজেন হচ্ছে বহিরাগত কোন বস্তু বা প্রোটিন যেটা আমাদের রক্তে প্রবেশ করলে আমাদের শরীরের নিরাপত্তাব্যবস্থা (Immune System)  সেটাকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর মনে করে তাকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। 

অ্যান্টিবডি

অ্যান্টিজেনকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের রক্ত যে পদার্থ তৈরি করে, সেটাই হচ্ছে অ্যান্টিবডি। অ্যান্টিজেন এবং তাকে প্রতিরোধ করার জন্য সৃষ্ট অ্যান্টিবডি যখন একই দ্রবণে থাকে, তখন একটি বিশেষ ধরনের বিক্রিয়া ঘটে। অ্যান্টিজেনকে আক্রমণ করার এই বিক্রিয়াকে অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেন বিক্রিয়া বলা যায় এবং রক্তের মাঝে এই বিক্রিয়ায় কারণে রক্তকণিকা গুলো গুচ্ছ বদ্ধ হয়ে যায়। 

কোন গ্রুপের রক্ত কাকে দেওয়া যাবে?

১৯০০ সালে ডঃ কাল ল্যান্ডস্টাইনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবিষ্কার করলেন, বিভিন্ন মানুষের রক্তের লোহিত কণিকায় দুই ধরনের অ্যান্টিজেন পাওয়া যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই দুইটি অ্যান্টিজেনকে প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন মানুষের সিরামে (যে তরল লোহিত কণিকা ভাসমান থাকে) দুটি অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়। লোহিত কণিকায় থাকা এই দুটি অ্যান্টিজেনকে A এবং B নাম দেওয়া হয়েছে। তোমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ একজন মানুষের রক্তের লোহিত কণিকায় যদি A অ্যান্টিজেন থাকে তাহলে কোনভাবেই তার রক্তে A অ্যান্টিজনের অ্যান্টিবডি থাকতে পারবে না যদি থাকে তাহলে এই অ্যান্টিবডি নিজেই নিজের রক্তের লোহিত কণিকাকে আক্রমণ করে মৃত্যুর কারণ হয়ে যাবে। 

A অ্যান্টিজেনের এন্টিবডি না থাকলেও, B অ্যান্টিজেনের অ্যান্টিবডি থাকে। একইভাবে যে রক্তের লোহিত কণিকায় B অ্যান্টিজেন আছে সেখানে A অ্যান্টিজানের অ্যান্টিবডি আছে।

অ্যান্টিজেন এবং তার অ্যান্টিবডির বিষয়টি বুঝে থাকলে আমরা মানুষের রক্ত কিভাবে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে সেটি বুঝতে পারব। যদি লোহিত রক্তকণিকায় A এবং B এই দুটি অ্যান্টিজেন থাকা সম্ভব হয় তাহলে আমরা রক্তকে নিচের চার ভাগে ভাগ করতে পারি।
 এখন তোমরা নিজেরাই বলতে পারবে কোন মানুষের কোন গ্রুপের রক্ত দেওয়া সম্ভব।

O গ্রুপের রক্তের লোহিত কণিকায় যেহেতু কোন অ্যান্টিজেনি নেই তাকে যে কোন গ্রুপেই দেওয়া সম্ভব। সেই গ্রুপে যে অ্যান্টিবডি থাকুক কোন ক্ষতি করা সম্ভব নয় এজন্য ও গ্রুপকে বলা হয় ইউনিভার্সাল ডোনার।

আবার অন্যদিকে AB গ্রুপের রক্ত, নিজের গ্রুপ ছাড়া অন্য কোন গ্রুপকে দেওয়া সম্ভব নয় কারণ অন্য সব গ্রুপে কোন না কোন অ্যান্টিবডি আছে। এবং AB গ্রুপ দুটো অ্যান্টিজেনই থাকার কারণে যে কোন একটি বা দুটি অ্যান্টিবডিই লোহিত কণিকাকে আক্রান্ত করে গুচ্ছ বন্ধ করে দেয়। 

A গ্রুপ এবং B গ্রুপের রক্ত নিজের গ্রুপ ছাড়া শুধু AB গ্রুপকে দেওয়া যেতে পারে কারণ AB গ্রুপে কোন অ্যান্টিবডি নেই, তাই A কিংবা B অ্যান্টিজেনকে আক্রান্ত করতে পারবে না।

আবার আমরা যদি গ্রহীতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি তাহলে উল্টোটা দেখতে পাবো। O  গ্রুপ কারো রক্তই নিতে পারবে না কারণ অন্য কোন গ্রুপের সিরামে দুই ধরনের অ্যান্টিবডিই আছে। অন্যদিকে এবি (AB) গ্রুপ সবার রক্তই নিতে পারবে কারণ তার সিরামে কোন ধরনের অ্যান্টিবডিই নেই। এজন্য এবিকে বলা হয় ইউনিভার্সাল একসেপ্টর (Universal Acceptor).




বিন সার্টিফিকেট কিভাবে বাতিল করে?

বিন সার্টিফিকেট কিভাবে বাতিল করে?

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়মঃ

কোন কারণে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই উপকর অফিসে গিয়ে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য আবেদন করতে হবে। কারণ টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে তৈরি করা গেলেও এর বাতিল করার কাজ আপনাকে অফিসে গিয়ে সম্পাদন করতে হবে।

সেক্ষেত্রে আপনাকে যে সব কাগজপত্র সাথে করে নিতে হবেঃ

১) আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ।

২) আপনার আয়করের ফটোকপি।

৩) আপনার টিন সার্টিফিকেট।

৪) মালিক মৃত হলে তার সনদ।

৫) বাতিলের প্রকৃত কারণ (উপযুক্ত প্রমাণসহ)।


উল্লেখিত সকল কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে উপকর বিভাগের অধীনে জমা দিতে হবে। সেখানে আপনাকে একটি ফর্ম দিবে।আপনার কাগজের তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনি ফরম পূরণ করে জমা দিবেন। ৩ থেকে ৫ কার্য দিবসের মধ্যেই টিন সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত কপি আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে। অথবা আপনি নিজে গিয়ে জেনে নিতে পারেন আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা। আর বাতিল হয়েছে কিনা। উপরোক্ত নিয়ম মেনে আপনি খুব সহজে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারবেন। 


এজন্য সরকারকে কোন ফি পরিশোধ করতে হয় না।

Saturday, November 26, 2022

AIDS রোগের কারণ কী? এইডস রোগ কী?

AIDS রোগের কারণ কী? এইডস রোগ কী?

সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী রোগ হচ্ছে  'এইডস'। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানাবো AIDS রোগ সম্পর্কে ও এইডস রোগ কেন হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

এইডস রোগ কী?

সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী রোগ হচ্ছে 'এইডস'। এটি একটি সংক্রমক রোগ। ১৯৮১ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম আমেরিকায় AIDS চিনহিত হয় এবং তখন থেকে সারা বিশ্বে AIDS মরণব্যাধি হিসেবে পরিগনিত হয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে এর প্রকোপ সব চেয়ে বেশি।

প্রাকৃতিক নিয়মে সব মানুষের দেহেই রোগ-জীবাণু আক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে। একে ইমিউনিটি বলা হয়। আমাদের রক্তের মধ্যে এমন কিছু ব্যাবস্থা আছে, যার মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক সবরকম জীবাণুর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারি। রক্তের লিম্ফোসাইট এ্যান্টিবডি প্রস্তুতের মাধ্যমে জীবাণুর আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। AiDS- এ আক্রান্ত ব্যাক্তির নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষনতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় এবং একসময় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ঘটে। এ জন্য এই রোগটির নাম দেওয়া হয়েছে "অ্যাকুয়ার্ড ইম্যুন ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রম" যা সংক্ষেপে AIDS (Acquired Immune Deficiency Syndrome)। এক ধরনের ভাইরাস, যার নাম Human Immuno Deficiency Virus. এবং যাকে সংক্ষেপে HIV বলা হয়, এই AiDS রোগের সংক্রমন করে থাকে Hiv.

AIDS রোগের কারণ?

HIV দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। দেহের রক্ত স্রোতে প্রবেশ করার পর HIV রক্তের শ্বেত কণিকার T- লিম্ফোসাইট কে আক্রমণ করে। এ কারণে এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে নানা রকমের বিরল রোগের সংক্রমণ ঘটে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, মস্তিষ্কের রোগ পুরিতন্ত্রের রোগ এবং টিউমার। দেখা গেছে HIV ভাইরাস সংক্রমণের পর প্রথম পাঁচ বছর পর্যন্ত মানুষের দেহে কোন রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় না এসব মানুষ তখনই এই রোগ বাহক হিসেবে কাজ করে এবং  তখন তারা অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে।

এ রোগে কারা বেশি আক্রান্ত হতে পারে সে সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক তথ্যই জানা গেছে। প্রধানত যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে HIV সুস্থ ব্যক্তির দেহের সংক্রামিত হয়। সমকামী কিংবা নারী-পুরুষের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত আনপ্রোটেক্টেড যৌন সংযোগের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। গর্ভবতী নারী এ রোগে আক্রান্ত হলে তার সন্তানদের মধ্যে এ রোগ দেখা দিতে পারে। মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে আক্রান্ত নারীর দেহ থেকে সদ্যজাত শিশুর দেহে HIV সঞ্চয়িত হতে পারে। এছাড়া রক্ত সঞ্চালনের সময় এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে কিংবা ড্রাগ ব্যবহারকারীদের শিরিঞ্জের মাধ্যমে হিপ সঞ্চয়িত হয়ে থাকে। খাদ্য, পানি, মশা বা কীটপতঙ্গ অথবা এইডস রোগীর সাধারণ স্পর্শের দ্বারা এ রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না। তবে রক্ত, বীর্য, লালা, অশ্রু ইত্যাদি শারীরিক তরলের মাধ্যমে AIDS সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

এইডস প্রতিরোধ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হিব (HIV) সংক্রমণ কিভাবে ঘটে সে সম্বন্ধে সবাইকে শিক্ষা দেওয়া। অন্যকে সংক্রমিত না করার ব্যবস্থা অবলম্বন করা এবং নিজেকে হিভ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখা। রক্তদান বা গ্রহণ অনিয়ন্ত্রিত আনপ্রোটেক্টেড যৌন সম্পর্ক এবং ড্রাগ ব্যবহারকারীদের সইরিঞ্জের মাধ্যমে হিভ সংক্রমনের ঝুঁকি সম্বন্ধে অবহিত করে এইডস রোগের বিস্তার কমানো যায়। সরকার এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্থাগুলো মরণব্যাধি AIDS- এর সংক্রমণ কীভাবে ঘটে সে সম্বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে এ রোগ থেকে জনসাধারণকে মুক্ত করা যেতে পারে।


Thursday, November 24, 2022

BSTI কী? বিএসটিআই কি? What is BSTI?

BSTI কী? বিএসটিআই কি? What is BSTI?

১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের জারীকৃত অধ্যাদেশ ৩৭ (The Bangladesh Standards and Testing Institution Ordinance, 37 of 1985) এর মাধ্যমে সেন্ট্রাল টেস্টিং ল্যাবরেটরী (CTL)  এবং বাংলাদেশ স্ট্যন্ডার্ডস ইন্সটিটিউশন (BDSI) কে একীভূত করে  শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যন্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (BSTI) প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি পণ্য বিপণন ও শ্রেনীবিন্যাস পরিদপ্তরটিও (Department of Agricultural Grading and Marking) বিএসটিআই’র সঙ্গে একীভূত হয়।

ভিশনঃ  মান প্রণয়ন ও মানসম্মত পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে যুগোপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে রুপান্তর।   

মিশনঃ  পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন,  গুণগতমান ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত সেবাসমূহকে আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক মানদন্ডে উন্নীতকরণ এবং সেবাগ্রহীতাদের স্বার্থ রক্ষাক্রমে  জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে  সহায়তা ।

বিএসটিআই’র দায়িত্ব 

দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসটিআই’র মূল দায়িত্ব হচ্ছেঃ

ক) দেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্য, বৈদ্যুতিক ও প্রকৌশল পণ্য, খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়া ও পরীক্ষণ পদ্ধতির জাতীয় মান প্রণয়ন।

খ) প্রণীত মানের ভিত্তিতে পণ্যমাসগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষণ/বিশে­­ষণ এবং পণ্যের গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান।

গ) দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন, বাস্তবায়নসহ ওজন ও পরিমাপের  সঠিকতা তদারকি ও নিশ্চিতকরণ।

সুষ্টুভাবে এ সকল কর্মকান্ড সম্পাদনের মাধ্যমে দেশে শিল্পের বিকাশ, মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য মানকে  বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রতিযোগিতায় উপযোগী করে তোলা বিএসটিআই’র লক্ষ্য। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে অবাধ বাণিজ্যের পরিবেশে পণ্য মানকে আন্তর্জাতিক বাজারের উপযোগী করে তুলতে বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে।

জাতীয় মান প্রতিষ্ঠান (National Standards Body) হিসেবে বিএসটিআই জনসেবামূলক যেসব কাজ করছে সংক্ষেপে তা নিম্নে দেয়া হলোঃ

১)       মান উইং দেশের আর্থ সামাজিক প্রযুক্তি, কারিগরী জ্ঞান এবং রপ্তানী বাণিজ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে কৃষি ও খাদ্য, পাট ও বস্ত্র, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, রসায়ন ও প্রকৌশল এ পাঁচটি বিভাগের মাধ্যমে পণ্যের  জাতীয় মান প্রণয়ন করে থাকে। ৬টি  বিভাগীয় কমিটির অন্তর্গত ৭২ টি শাখা কমিটি/কারিগরী কমিটি জাতীয় মান প্রণয়নের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিএসটিআই ১৯৭৪ সালে আইএসও সদস্যপদ লাভ করে। National Standards Body (NSB) হিসেবে বিএসটিআই  ISO, Codex, AFIT এর ফোকাল পয়েন্ট।

২)       সার্টিফিকেশন মার্কস কার্যক্রমের মাধ্যমে পণ্যসামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণ ও গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়। উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও গুণগত মান উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণ ও পরামর্শ প্রদানও এ উইং এর  দায়িত্ব। স্বেচ্ছা ও বাধ্যতামূলক উভয় পদ্ধতিতেই এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত সরকার কর্তৃক গেজেটের মাধ্যমে ১৬৬ টি পণ্যকে বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেশন মার্কস এর আওতায় আনা হয়েছে। গুণগতমান সনদ কিংবা গুণগতমানের প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার ছাড়া এ সকল পণ্য বাজারজাতকরণ আইনত দন্ডনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতকল্পে বাজার আকাষ্মিক পরিদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য মান যাঁচাই করা হয়। এ ছাড়া  নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমান আদালত  পরিচালনার  মাধ্যমে নকল/ ভেজাল পণ্য  চিহ্নিতকরণ ও  নিম্নমানের  পণ্য উৎপাদন/ আমদানী ও বাজারজাতকরণ  বন্ধ করার  কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

৩।      ‘The Standards of Weights and Measures Ordinance, ১৯৮২’ অধ্যাদেশের মাধ্যমে সারাদেশে ওজন ও পরিমাপের মেট্রিক পদ্ধতি প্রচলন ও বাস্তবায়ন তদারকি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিতকরণ ছাড়াও ক্যালিব্রেশন ও ভেরিফিকেশন কাজ সম্পাদন করা হয়। এ কার্যক্রমের আওতায় বিএসটিআই সারাদেশে বাটখারা, দাঁড়িপাল­­া, মিটার, লিটার ইত্যাদি যন্ত্রপাতির ভেরিফিকেশন কাজও করে থাকে।

৪।       পরীক্ষণ উইং এর মাধ্যমে পণ্যের সঠিকতা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডর্ডস বা মান অনুযায়ী সঠিক আছে কিনা তা যাঁচাই করা হয়।

৫।       বিএসটিআই’র সেবামূলক কার্যক্রম জনগনের নিকট পৌছানোর লক্ষ্যে বিএসটিআই প্রধান অফিস ছাড়াও ৫টি আঞ্চলিক অফিস কাজ করে যাচ্ছে। ঐ সকল অফিসের মাধ্যমে অধিকতর জনগোষ্ঠী বিএসটিআই এর সেবা গ্রহনে সক্ষম হচ্ছেন।

৬।      জনসাধারন/ভোক্তা সাধারণকে বিভ্রান্তি ও হয়রানির হাত হতে রক্ষার্থে  সকল প্যাকেটজাত পণ্যের উপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড ওজন এবং পরিমাপ (পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৭’’ শিরোনামে একটি বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত বিধিমালা অনুযায়ী পণ্যের  মোড়কে উৎপাদিত পণ্যের উপাদান, প্রকৃত ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, খুচরা বিক্রয়মূল্য ইত্যাদি সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা বাধ্যতামূলক  করা হয়েছে।

৭।      বিএসটিআই’র  সেবামূলক কার্যক্রম আরো স্বচ্ছ ও ত্বরান্বিত করতে সিটিজেন চার্টার (নাগরিক অধিকার সনদ) তৈরী করা হয়েছে। যেখানে বিএসটিআই’র সেবা ধর্মী কার্যক্রম সম্পাদনের সময়সীমা নির্ধারন  এবং এসব সেবা পেতে কি হারে ফি দিতে হবে তার উলে­­খ রয়েছে। সিটিজেন চার্টারটি জনগনের জন্য বিএসটিআই ওয়েবসাইটে সন্নিবেশ করা আছে। 

৮।       ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার :

নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী সকল সেবা এক জায়গা থেকে প্রদানের লক্ষ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০০৮ তারিখ থেকে বিএসটিআইতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে। এ  সেন্টারের সেবা সমূহঃ

ক)      জনসাধারণকে সিটিজেন  চার্টার মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে  পন্য পরীক্ষণ প্রতিবেদন প্রদান  নিশ্চিত করা;

খ)       অকৃতকার্য পণ্যের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অকৃতকার্যতার  কারণসহ  পরীক্ষণ ফলাফল গ্রাহককে  অবহিত/সরবরাহ নিশ্চিতকরণ;

গ)       এসএমই শিল্প এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের দ্রুত সেবা প্রদান;

ঘ)       পণ্যের গুণগত মানের  লাইসেন্স দ্রুত প্রদান;

ঙ)       মিডিয়া সেলের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনয়ন;

চ)       মান বিক্রয়।

ছ)       স্বেচ্ছায় লাইসেন্স গ্রহনেচ্ছু উদ্যোক্তাদের জন্য (V.P.C.S ) বিশেষ কাউন্টার স্থাপন এবং সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ।



Wednesday, November 23, 2022

কে এই গানিম আল মুফতাহ? ghanim al muftah

কে এই গানিম আল মুফতাহ? ghanim al muftah

তিনি গানিম আল মুফতাহ। কাতার বিশ্বকাপে সেরা এবং সর্বোচ্চ স্পটলাইটে এই তরুন। তিনি তাঁর শারীরিক অক্ষমতাকে শক্তিতে রুপান্তর করেছেন। দিন যাচ্ছে আর প্রতিনিয়ত নিজেকে শ্রেষ্ঠত্বের দিকে ধাবিত করছেন। গানিম জেনে গেছেন তাঁর হারাবার কিছু নেই, তাই বিশ্বজয়ের একতরফা স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজের সাহসিকতার জানান দিয়েছেন বিশ্বকে। 

ছোট বেলা থেকেই গানিম আল মুফতার রয়েছে পায়ে সমস্যা। এবং সে কখনোই হাল ছারেনি বরং তৈরি করেছে সেচ্ছা সংগঠন।

কাতার বিশ্বকাপে বিয়ার বিনোদনটা ঝাঁপসা থাকলেও বাকী সব বিষয়ে বিশ্বের সর্বকালের সেরা আয়োজন হতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। নেতা উপনেতা শাখা নেতা কাঁচা নেতা পাকা নেতার বাংলাদেশী সংস্কৃতির সাথে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে পৌঁছে গেছে এদের সভ্যতা। আমার দেখা ২০০২ সালে কাতার এয়ারপোর্ট ছিল টিনশেডের ছোট্ট ছাউনি, এখন তো সব চোখের সামনে। মাত্র বিশ বছরের ব্যবধানে কাতার সেরা গর্জিয়াস বিশ্বকাপ আয়োজক। ২০২২ সালে এই বিশ্বকাপ খেলার ঘোষনা দেয়া বাফুফে বস দেশকে ১৯২তম স্থান উপহার দিয়েছেন, কপাল ভাল আমরা এখনো ফুটবল গোলার্ধের ভিতরেই আছি। 


গানিম আল মুফতাহ বাংলাদেশের সব পর্যায়ে কারনে অকারনে বাকবাকুম করা জাতির জন্য একজন শিক্ষনীয় সুপারম্যান হতে পারেন। গানিমের অর্জন থেকে শিখতে পারলে লেকচার সর্বস্ব দুনিয়ায় আনন্দিত হবার কোন কারনও থাকবে না। 


স্যালুট গানিম আল মুফতাহ- দ্যা বেসিক হিরো অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড। 

অভিনন্দন কাতার। সফলভাবে চলুক কাতার বিশ্বকাপ- ২০২২। 

ভালবাসা অবিরাম…

Tuesday, November 22, 2022

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বড় অঘটন সৌদি আরবের

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বড় অঘটন সৌদি আরবের

একেবারে অপ্রত্যাশিত। এমন একটি ফল হবে কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। অথচ, ভাবনারও অতীত সে ঘটনা ঘটলো আজ দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে। সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেলো লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।

প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনাকে নিজেদের রূপেই দেখা গিয়েছিল; কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মেসিদের দেখা গেলো সৌদি আরবের আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যাস্ত। ৪৮-৫৩ এই মাত্র ৫ মিনিটের দুটি আক্রমণেই তছনছ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার ডিফেন্স। এই দুটি আক্রমণ থেকেই ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা অঘটনের দুটি গোল হজম করলো লা আলবিসেলেস্তারা।

তবে, দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি আরবের খেলা সবার মন জয় করে নিয়েছে। মনে হচ্ছিল সৌদি আরব আর্জেন্টাইনদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং আর্জেন্টিনা হয়ে গেছে সৌদি আরব।

তবুও শেষ দিকে প্রায় ১০ মিনিট এবং অতিরিক্ত (ইনজুরি টাইম) আরও ১০ মিনিট এককভাবে খেলেছে আর্জেন্টিনা। চেষ্টা ছিল একটি গোল অন্তত বের করে আনা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। সৌদি আরবের ডিফেন্স এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, মেসিদের একের পর এক চেষ্টা বিপলে চলে যায়। এমনকি শেষ মুহূর্তে (ইনজুরি টাইমে) আর্জেন্টিনার নিশ্চিত একটি গোল লাইনে দাঁড়িয়ে হেড করে ফিরিয়ে দেন সৌদির এক ডিফেন্ডার।

তবে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন মোহাম্মদ আল ওয়েইসিস। অসাধারণ গোলকিপিং করেছেন তিনি। আর্জেন্টিনার অনেকগুলো নিশ্চিত গোলের সুযোগ তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। উল্টো আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে দিয়েছেন ব্যর্থতার পরিচয়।

প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাদের ডিফেন্সের মারাত্মক ভুলে গোল হজম করে বসে লিওনেল মেসির দল। ৪৮তম মিনিটে বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত এক শটে লা আলবিসেলেস্তেদের জালে বল জড়ান সৌদি আরবের সালেহ আল সেহরি।

৫৩তম মিনিটে আবারও গোল। এবার সৌদি আরবের ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় সালেম আল দাওসারি রদ্রিগো ডি পল এবং নিকোলাস ওতামেন্দিকে কাটিয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শটে বল জড়ান আর্জেন্টিনার জালে।প্রথমার্ধে মোট চারবার সৌদি আরবের জালে বল জড়ায় আর্জেন্টিনা; কিন্তু অফসাইডের কারণে তিনটিই বাতিল হয়ে গেলো। পেনাল্টি থেকে করা মেসির গোলটি ছাড়া আর কোনোটিই বৈধ হলো না। ফলে, সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ১-০ গোলেই এগিয়ে থাকলো আর্জেন্টিনা।

সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের ১০ মিনিটেই পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গেলো আর্জেন্টিনা। ভিএআর চেক করে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক নেন লিওনেল মেসি। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে সহজেই বলটি সৌদি আরবের জালে জড়িয়ে যায়।

খেলার ৮ম মিনিটেই কর্নার কিক পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিক নেন মেসি। এ সময় বক্সের মধ্যে লিয়ান্দ্রো প্যারেদেসকে ফেলে দেন আল বুলাইহি। এরপরই ভিএআর চেক করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

৭ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসির এটাই শেষ বিশ্বকাপ এবং এবারই শেষ সুযোগ তার বিশ্বকাপ জয়ের। সে লক্ষ্যেই সৌদি আরবের বিপক্ষে সূচনাটা ভালোই হয়েছে বলা যায় মেসির।

তবে এই পেনাল্টির পর দারুণ একটা পরিসংখ্যানও সামনে চলে এলো। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম পেনাল্টি থেকে গোল করলো আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের শুরু থেকেই বল নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রভাব বিস্তার করে খেলার চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই মেসির বাঁ পায়ের দুর্দান্ত একটি শট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন সৌদি গোলরক্ষক আল ওয়েসিস।

৬ষ্ঠ মিনিটেই মেসির দারুণ একটি শট ঠেকিয়ে দেন সৌদি গোলরক্ষক। ৮ম মিনিটে কর্নার কিক করেন মেসি। আল ওয়েসিস পাঞ্চ করে বল ঠেকিয়ে দিলেও প্যারেদসকে ফেলে দেন আল বুলাইহি। ভিএআর চেক করে রেফারি জানালেন এটা ফাউল এবং পেনাল্টি।

২২তম মিনিটে একটি গোল করেন মেসি। কিন্তু লাইন্সম্যান আগেই ফ্ল্যাগ তুলে দাঁড়িয়ে থাকেন। জানালেন এটা ছিল অফসাইড। ২৮ মিনিটে লওতারো মার্টিনেজ গোল করেন। কিন্তু এবারও ভিএআরের কারণে দেকা গেলো তিনি ছিলেন অফসাইডে। সুতরাং গোল বাতিল। ৩৪ মিনিটে আরও একবার সৌদির জালে বল জড়ায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু তার আগেই সাইড রেফারি জানিয়ে দেন- এটা ছিল অফসাইড।

Monday, November 21, 2022

HSC পরিক্ষার মান বন্টন

HSC পরিক্ষার মান বন্টন

এইচ,এস,সি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা, তাই সবাই এক নজরে দেখে নাও 

এইচএসসি ২২ এর পরীক্ষায় কত মার্কে পাশ এ নিয়ে সবার মনেই প্রশ্ন আছে।  পূর্বের পরীক্ষায় যেমন মার্ক ধরে পাশ দেওয়া হতো সেই সমীকরণে পাশের মান বন্টন।

মৌলিক বিষয় সমূহঃ ( সকলের জন্য প্রযোজ্য ) 

বাংলা ১ ম পত্রঃ সৃজনশীল অংশে ১৩ নাম্বার এবং বহুনির্বাচনী অংশে ৫ নাম্বার অর্থাৎ , মোট ১৮ নম্বর পেতে হবে । 

( CQ এবং MCQ অংশে আলাদাভাবে পাশ করতে হবে ) 

বাংলা ২ য় পত্রঃ ৩৩ % নম্বর পেলেই পাশ । (৩৩%=১৭ মার্ক)

( দুই পত্র অর্থাৎ , বাংলা ১ ম ও ২ য় মিলে ৩৩% পেলেই পাশ নয় , পেতে হবে আলাদা ভাবে ) 

ইংরেজি ১ ম ও ২ য় পত্রঃ ১ ম পত্র ও ২ য় পত্র মিলে মোট ৩৩% নম্বর পেলেই পাশ । (৩৩%=৩৩ মার্ক)

বিষয়টা আরেকটু সহজ করিঃ এক পত্রে যদি ১০ নাম্বার পাও এবং অন্য পত্রে ২৬ নম্বর পাও অর্থাৎ মোটে দুই মিলে ৩৬ নাম্বার তাহলেই ইংরেজিতে তুমি পাশ । 

বিজ্ঞান বিভাগের বিষয় সমুহঃ

সৃজনশীল অংশঃ ১ ম এবং ২ য় পত্রে মিলে ২২ নম্বর পেলেই পাশ । এক পত্রে ২ ও অন্যটিতে ২৫ পেলেও পাশ । 

বহুনির্বাচনী অংশঃ দুই পত্র মিলে ১০ পেলেই পাশ এক পত্রে ০২ ও অন্য পত্রে ৯ পেলেও পাশ । 

মানবিক বিভাগের বিষয় সমুহঃ 

সৃজনশীল অংশঃ ১ ম এবং ২ য় পত্র মিলে ২৬ নাম্বার পেলেই পাশ । এক পত্রে ৫ নম্বর ও অন্যটিতে ২৬ নম্বর পেলেও পাশ ।

বহুনির্বাচনী অংশঃ দুই পত্র মিলে ১০ পেলেই পাশ এক পত্রে ০৫ এবং অন্য পত্রে এ ৮পেলেও পাশ ।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের বিষয় সমুহঃ 

  সৃজনশীল অংশঃ ১ ম এবং ২ য় পত্র মিলে ২৬ নাম্বার পেলেই পাশ । এক পত্রে ৫ নম্বর ও অন্যটিতে ২৬ নম্বর পেলেও পাশ ।

বহুনির্বাচনী অংশঃ দুই পত্র মিলে ১০ পেলেই পাশ এক পত্রে ০৫ এবং অন্য পত্রে এ ০৮ পেলেও পাশ ।

**মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ব্যবহারিক থাকা সাবজেক্ট    -ঃ

সৃজনশীল অংশঃ ১ ম এবং ২ য় পত্রে মিলে ২২ নম্বর পেলেই পাশ । এক পত্রে ২ ও অন্যটিতে ২৩ পেলেও পাশ । 

বহুনির্বাচনী অংশঃ দুই পত্র মিলে ০৮ পেলেই পাশ এক পত্রে ০২ ও অন্য পত্রে ৭ পেলেও পাশ ।


MCQ এবং CQ তে আলাদা পাশ করতে হবে। 


এ+ দুই পত্র মিলিয়ে ৮০% নাম্বার পেতে হবে।


২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট যেভাবে তৈরি করা হয়েছে

২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট যেভাবে তৈরি করা হয়েছে

২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল যেভাবে তৈরি করা হয়েছেঃ 


• এই বছর পরিক্ষার আয়োজন করা হয়েছে মাত্র ৭ বিষয় কিন্তু রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে ১২ টি বিষয়।


• এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে ৭ টি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হয়েছে। এর সাথে জেএসসি থেকে ৩টি বিষয় নম্বর যোগ করা হবে, তার সাথে শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা নম্বর যোগ করে সর্বমোট ফলাফল প্রকাশ করা হবে।


• এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে জেএসসি তে শিক্ষার্থীরা যে নম্বর পেয়েছে এসএসসি তাদের যোগ করা হবে।


• তাছাড়া এইবার শিক্ষার্থীরা ৭টি বিষয় পরীক্ষা দিয়েছে 45, 50 এবং 55 নম্বরে। যা পরবর্তীতে 100 নম্বরের রূপান্তর করা হবে।


• এক্ষেত্রে 45 নম্বর রূপান্তর প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে 45 নম্বর 75 নম্বর রূপান্তর করা হবে। এর সাথে ব্যবহারিক খাতা25 নম্বর যোগ করে 100 নম্বরের ফলাফল প্রস্তুত করা হবে।


•  অন্য দিকে যে সকল বিষয় 55 ও 50 নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে তা সরাসরি 100 নম্বরের রূপান্তর করা হবে। এক্ষেত্রে মার্কশিট সহ শিক্ষার্থীরা এই ফলাফলগুলো দেখতে পারবে তাদের রেজাল্টের সময়।


• তাছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়েছে এই নম্বর রূপান্তর কারণে। এ বছর শিক্ষার্থীরা বেশ ভালো ফলাফল করতে পারবে কারণ এই প্রক্রিয়ায় এ প্লাস এর সংখ্যা অনেক বেশি হবে।


• কতগুলো বিষয়ে এ প্লাস পেলে মূল রেজাল্ট এ প্লাস হবে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে যদি শিক্ষার্থীরা দশটি বিষয়ে মূল ফলাফল প্রকাশ করা হবে সেখানে সাতটি বিষয় প্লাস এবং তিনটি বিষয়ে যদি সে এ গ্রেড পায় তবে ও তার ফলাফল এ প্লাস থাকবে।


• আবার যদি কোনো শিক্ষার্থী 8 টি বিষয়ে এ প্লাস একটি বিষয় এ গ্রেড ও একটা বিষয়ে এ – পায় তা হলেও তার ফলাফল এ প্লাস থাকবে আবার যদি কোনো শিক্ষার্থী নয়টি বিষয়ে প্লাস এবং একটি বিষয়ে সি পায় তাহলেও তার এ প্লাস থাকবে।



কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ কী? What is Query Language?

কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ কী? What is Query Language?

কোয়েরি ভাষা দিয়ে ব্যাবহারকারী সহজেই ডাটাবেজ হতে তথ্য বা ডাটা আহরণ করতে পারে। ডাটাবেজে ডাটা প্রবেশ করানো, ডাটা রিট্রাইভ করা, ডাটা মডিফাই অথবা ডিলেট করা ইত্যাদি অপারেশনগুলোকে কোয়েরি বলে। যে ল্যাংগুয়েজের সাহায্যে কোয়েরি করা হয় তাকে কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ বলে। 

অধিকাংশ ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডাটাবেজ হতে ডাটা অ্যাকসেস করার জন্য কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ ব্যাবহার করে। এটি খুব উচ্চস্তরের ভাষা। এ ভাষা ব্যাবহার কএএ সহজেই ডাটাবেজ হতে ডাটা সার্চ করা, সংগ্রহ করাসহ ব্যাবহারকারীর ইচ্ছানুযায়ি বিভিন্ন ধরনের ক্যালকুলেশন করা সম্ভব। এ ভাষা যেকোন স্টানডার্ড প্রোগ্রামিং ভাষার তিলনায় উচ্ছস্তরের। বর্তমানে মাইক্রো কম্পিউটার SQL এবং QUEL কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ ব্যাবহার করা হয়। 

নিম্নে সব চেয়ে জনপ্রিয় ৪ টি কোয়েরি ভাষার নাম লিখা হলো।

  1. Quel (Query Language)
  2. QBE (Query by Example)
  3. SQL (Structure Query Language)
  4. Server SQL
এই চারটি কোয়েরি ল্যাংগুয়েজের মধ্যে SQL সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ANSI-এর স্টানডার্ড অনুযায়ী SQL রিলেশনাল ডাটাবেজের জন্য আদর্শ কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ হিসেবে প্রচলিত রয়েছে। 

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটি

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটি

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন কর্মক্ষেত্রে আইসিটির বহুমুখী প্রভাব ও ব্যাবহার লক্ষা করা যাচ্ছে। এই প্রভাব ও পরিসর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। কর্মক্ষেত্রে আইসিটির দুই ধরনের প্রভাব লক্ষা করা যায়। প্রথমত প্রচলিত কর্মক্ষেত্রগুলোতে আইসিটির প্রয়োগের ফলে কর্মদক্ষতার বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণ, অন্যদিকে আইসিটি নিজেই নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে। 

প্রচলিত কর্মক্ষেত্র এবং পুরাতন ব্যাবসা বাণিজ্য আইসিটি ব্যাবহারের ফলে কর্মীদের দক্ষতা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা বেড়েছে। অন্যদিকে এর ফলে সেবার মানও উন্নত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে আইসিটি ব্যাবহারের সাধারণ দক্ষতা একটি প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। 

ব্যাংক, বিমা থেকে শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি, সরকারি দপ্তরে কাজ করার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর থেকে উপস্থাপনা সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং থেকে ই-মেইল, নানান ধরনের বিশ্লেষণী সফটওয়্যার ইত্যাদিতে দক্ষ হতে হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষায়িত সফটওয়্যার (যেমনঃ ব্যাংকিং সফটওয়্যার) ব্যাবহারেরও পারদর্শিতা অর্জন কররে হয়।

অন্যদিকে আইসিটি নিজেই একটি বড় আকারের কর্মবাজার সৃষ্টি করেছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি এখন নতুন দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি বিরাট কর্মক্ষেত্র। কেবল দেশে নয়, আইসিটিতে দক্ষ কর্মীরা দেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানে অথবা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে পারে। এই কাজের একটি বড় অংশ দেশে বসেই সম্পন্ন করা যায়। আউটসোর্সিং করে এখন অনেকেই বাংলাদেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। 

Saturday, November 19, 2022

সেভেন আপের ইতিহাস | 7up নাম কেন রাখা হলো?

সেভেন আপের ইতিহাস | 7up নাম কেন রাখা হলো?

সেভেন আপ (7up), বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই, কোমলপানীয়গুলোর মধ্যে সেভেনআপের জনপ্রিয়তা সবার শীর্ষে! এছাড়াও বিশ্বকাপ আসলেই সবার মাথায় চেপে বসে, গোল হলে ৭ টাই হতে হবে নাইত যে সেভেন আপ হবে না! কেউ যদি কোন টিমকে ৭ টি গোল দেয় তাহলে তাদেরকে মজা করে বলা হয় সেভেন আপ! তো এই যে এতদিকে শুধু সেভেন আপ সেভেন আপ, আসলে আমাদের মধ্যে কয়জনই বা জানে এই সেভেন আপের ইতিহাস সম্পর্কে? সেভেন আপ সম্পর্কে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানানো হবে এবং সেই সাথে জানাবো এর নাম সেভেন আপ কেন রাখা হলো? তাহলে চলুন জেনে নেই সেভেন আপের ইতিহাস!

চার্লস লিপার গ্রিগ

১৮৬৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে জন্ম তার। প্রাপ্ত বয়স্ক হলে সেন্ট লুইসে (Sent Louis) চলে যান তিনি। এবং ঐখানে গিয়ে কাজ শুরু করেন এডভার্টাইজিং এবং সেলস সেক্টরে। সে সময় কোমল পানীয়র সাথে পরিচয় হয় গ্রিগের। 

১৯১৯ সালে Vess Soda company এর মালিকানাধীন এক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে চাকরি করছিলেন গ্রিগ! সেখানে থাকাকালীন Jenkinson এর এক ফার্মের জন্য গ্রিগ উদ্ভাবন করেন অরেঞ্জ ফ্লেভারের এক কোমল পানীয়! আর তার নাম রাখা হয়েছিলো হুইসেল (Whistle). বাজারযাতও করা হয় সেটা কিন্তু পরবর্তীতে মেনেজমেন্টের কোন এক ঝামেলার কারণে সেখান থেকে চলে আসেন গ্রিগ আর রেখে আসেন তার বানানো হুইসেল (Whistle).

এরপর তিনি যোগ দেন Warner Jenkinson Company তে সেখানেও কোমলপানীয়র ফ্লেভার নিয়ে কাজ করতে থাকেন। সেখানে কাজ করার সময়ই গ্রিগের হাত ধরে আসে দ্বিতীয় কোমলপানীয় হাউডি (Howdy) পরবর্তীতে যখন গ্রিগ Warner Jinkinson থেকে চলে আসেন তখন আর আগের ভুলটা করেনি, তিনি এবারে তার বানানো হাউডির সকল ধরনের সত্ত নিয়ে আসেন। 

ততদিনে গ্রিগ বুঝতে পারছিলেন তার মাধ্যমে কোমল্পানীয় ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বড় কিছু করা সম্ভব! এবং এই চিন্তা মাথায় আসার পর গ্রিগ একজন অর্থলগ্নিকারী খুজে নিলেন। যার নাম ছিলো এডমুন্ড জি. রিজওয়ে। ততদিনে তিনি ২ টা অরেঞ্জ ফ্লেভারের কোমলপানীয় নিয়ে মার্কেটে থাকা ততকালীন কোমল পানীয় জায়ান্ট Crush Orange বা অরেঞ্জ ক্রাশের সামনে ঠিক কুলে উঠতে পারছিলেন না। তাই তিনি এদিকে আর মন না দিয়ে মাতলেন লেমন লাইম সোডা নিয়ে। 

১৯২৯ সালের অক্টোবর মাসে অবশেষে সফলতার মুখ দেখলেন গ্রিগ। উদ্ভাবন করলেন এক নতুন কোমলপানীয়র ফর্মুলা, যার না দিলেন Bib-Label Lithiated Lemon-Lime Soda! অল্প কিছুদিন পরেই এর নাম পালটে ওটা হয়ে গেলো Seven Up Lithiated Lemon Soda. অবশেষে ১৯৩৬ সাল থেকে এটা হলো কেবলই সেভেন আপ (7up).

সেভেন আপের (7up) একেবারে মূলফর্মুলার একটি উপাদান ছিলো লিথিয়াম সাইট্রিক। সে সময় ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যাবহৃত হত এটি। পরবর্তীতে ১৯৩৯ সালে মার্কিন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোমলপানীয়তে এই উপাদানের ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা ঝারী হয়। ফলে আলাদা হয়ে যায় সেভেন আপ ও লিথিয়াম সাইট্রেকের চলার পথ। Calsium, Disodium, UDTA  এর উপাদানের তালিকা থেকে সরিয়ে নেইয়া হয় ২০০৬ সালে। ঐদিকে সোডিয়ামের পরিমাণ কমাতে সোডিয়াম সাইট্রিকের বদলে যোগ করা হয় Potassium Citrate.

এখন প্রশ্ন হলো

সেভেন আপ নাম কেন দেওয়া হলো?

সেভেন আপ নাম কেন সেওয়া হলো? বিশস্ত কি এই নামের? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে গ্রিগ কোনোদিনি খোলাসা করেন নি এই ব্যাপারে। ফলে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য রয়েছে। 

যার মধ্যে সবাই বিশ্বাস করেন এবং বিশেষজ্ঞরাও দ্বারনা করেন সেভেন আপ তৈরি করা হয়েছিলো ৭ টি উপাদান দিয়ে, সে গুলো হলো চিনি, কার্বোনেটেড ওয়াটার, লেমন ও লাইম, অয়েলেএ নির্যাস, সাইট্রিক এসিড, সোডিয়াম এবং লিথিয়াম সাইট্রেট। আর এই পানীয়টির বাবল উপর দিকে উঠার কারণেই এর নাম রাখা হয় 7up! 

কিছু বিশেষজ্ঞরা আবার বলেন সেভেন আপ যখন প্রথম বাজারে আসে তখন এটা মোট সাটটি সাইজের বোতলে করে বাজারজাত করা হতো, তাই এর নাম করণ করা হয় সেভেন আপ। 

আবার অনেকেই বলে অত্যাধিক নেশার ফলে ৭ ধরনের জিনিস কাটাতে সাহায্যে করবে সেভেন আপ, এমনটাই একবার দাবী করেছিলেন গ্রিগ। তবে গ্রিগ কথাটি সিরিয়াসলি বলেন নি। 

এছাড়াও আরো অনেক ধরনের কথা শুনা যায় যেই কারনে এর নাম সেভেন আপ। আপনার মতে কি বলে? সেভেন আপ নাম কেন রাখা হয়েছে?

Friday, November 18, 2022

সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি কতটা নিরাপদ? সামাজিক নেটওয়ার্কে আসক্তি

সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি কতটা নিরাপদ? সামাজিক নেটওয়ার্কে আসক্তি

মানুষ সামাজিক প্রাণী এবং মানুষের নিজেদের ভেতর সবসময়েই একধরনের সামাজিক যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ইদানীং সামাজিক যোগাযোগের কথা বলা হলে সেটি মানব সভ্যতার সেই চিরন্তন সামাজিক যোগাযোগ বা সামাজিক নেটওয়ার্কের কথা না বুঝিয়ে ইন্টারনেট-নির্ভর সম্পুর্ন ভিন্ন এক ধরনের নেটওয়ার্কের কথা বোঝানো হয়। 

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, লিংকডইন, টিকটক, লাইকি এ ধরনের অনেক সামাজিক যোগাযোগ সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেগুলোতে মানুষ নিজেদের পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে। এক সময় এই সাইটগুলো ছিল কম বয়সী তরুন-তরুণীদের জন্যে, এখন সব বয়সী মানুষই সেটি ব্যাবহার করে। শুধু যে একে অন্যের সাথে যোগাযোগের জন্য এটি ব্যাবহার করে তা নয়, একটা বিশেষ আদর্শ বা মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যেও এটি ব্যাবহার করা হয়। যে উদ্দেশ্যে এটি শুরু হয়েছিল যদি এটি সেই উদ্দেশ্যে মাঝে সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে এটি কোনো সমস্যার জন্ম দিত না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি সামাজিম যোগাযোগ সাইটে আসক্তি ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীর জন্যেই একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে শুরু করছে।

মনোবিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন এবং এখন এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত বলা যায় এই সাইটগুলোর সাফল্য নির্ভর করে, সেগুলো কত দক্ষতার সাথে ব্যাবহারকারীদের আসক্ত করতে পারে। পুরো কর্মপদ্ধতির মাঝেই যে বিষয়টি রয়েছে সেটি হচ্ছে কত বেশিবার এবং কত বেশি সময় একজনকে এই সাইটগুলতে টেনে আনা যায় এবং তাদেরকে দিয়ে কোনো একটা কিছু করানো যায়। যে যত বেশিবার এই সাইট ব্যাবহার করবে সেই সাইটটি তত বেশি সফল হিসেবে বিবেচিত হবে এবং অবশ্যই সেটি তত বেশি টাকা উপার্জন করবে। কাজেই কেউ যদি অত্যান্ত সতর্ক না থাকে তাহলে তার এই সাইটগুলোতে পুরোপুরি আসক্ত হয়ে যাবার খুব বড় আশঙ্কা রয়েছে। 

মনোবিজ্ঞানীরা এই সাইটগুলো বিশ্লেষণ করে আরো একটি কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় আবিষ্কার করেছেন। সব মানুষের ভেতরেই নিজেকে প্রকাশ করার একটা ব্যাপার রয়েছে কিংবা নিজেকে নিয়ে মুগ্ধ থাকার এক ধরনের সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা থাকে, সেটাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় Narcissism বলে। সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে মানুষের এই সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে দেয়। 

সবার ভেতরেই তখন নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জেনে হোক না জেনে হোক ব্যাবহারকারীরা নিজের সম্পর্কে অত্যান্ত তুচ্ছ খুঁটিনাটি তথ্য সবার সামনে উপস্থাপন করতে থাকে, কেউ সেটি দেখলে সে খুশি হয়, কেউ পছন্দ করলে আরো বেশি খুশি হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি অনেকটা আসক্তির মতো কাজ করে এবং একজন ব্যাবহারকারী ঘন্টার পর ঘন্টা এই যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের সময় অপচয় করতে থাকে। 

সামাইম যোগাযোগের এই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে সারা পৃথিবীতে অনেক সময়ের অপচয় হচ্ছে।

Thursday, November 17, 2022

কম্পিউটার গেমে আসক্তি | কম্পিউটার গেম খেলা কত টুকু নিরাপদ?

কম্পিউটার গেমে আসক্তি | কম্পিউটার গেম খেলা কত টুকু নিরাপদ?

কম্পিউটার গেমে আসক্তিটা প্রায় সময়েই শুরু হয় শৈশব থেকে এবং বেশিরভাগ সময়ই সেটা ঘটে অভিভাবকদের আজ্ঞতার কারণে। কম্পিউটার একটা Tool এবং এটা দিয়ে নানা ধরনের কাজ করা যেতে পারে। এই প্রযুক্তি সম্পর্কে এত সুন্দর সুন্দর কথা বলা হয়েছে যে অনেক সময়ই অভিভাবকরা ধরে নেন এটা দিয়ে যা কিছু করা হয় সেটাই বুঝি ভালো, তা তখন যখন ত্রা দেখেন তাদের সন্তানেরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে আছে তারা বুঝতে পারেন না তার মাঝে সতর্ক হওয়ার ব্যাপার রয়েছে। 

কম্পিউটার গেম এক ধরনের বিনোদন এবং এই বিনোদনের নানা রকন মাত্রা রয়েছে। যারা সেটি খেলছে তারা সেটাকে নিছক বিনোদন হিসেবে মাত্রার ভেতরে ব্যাবহার করলে সেটি যেকোনো সুস্থ বিনোদনের মতই হতে পারে। কিন্তু প্রায়ই সময় সেটি ঘটেনা। দেখা গেছে একটি ছোট শিশু থেকে পুর্ন বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সবাই কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যেতে পারে।

কোরিয়ায় একজন মানুষ টানা পঞ্চাশ ঘন্টা কম্পিউটার গেম খেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেছিল। চীনের এক দম্পতি কম্পিউটার গেম খেলার অর্থ জোগাড় করতে তাদের শিশু সন্তানকে বিক্রয় করে দিয়েছিল। এই উদাহরণগুলো আমাদের মনে করিতে দেয় কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যাওয়া মোটেও বিচিত্র কিছু নয়। এবং একটু সতর্ক না থাকলে একজন খুব সহজেই আসক্ত হয়ে যেতে পারে। 

কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার গেমে আসক্তির বিষয়টা যেহুতু নতুন, তাই সেগুলো নিয়ে গবেষণা এখনো খুব বেশি হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে পুরো বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা আরো নিশ্চিতভাব্ব দিক-নির্দেশনা দিতে পারবেন। এখনই গবেষণায় দেখা গেছে কোনো একটা কম্পিউটার গেমে তীব্রভাবে আসক্ত একজন মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ উত্তেজক রাসায়নিক দ্রব্যের আবির্ভাব হয়। শুধু তাই নয় যারা সপ্তাহে আন্তত ছয় দিন টাকা দশ ঘন্টা করে কম্পিউটার ব্যাবহার করে তাদের মস্তিষ্কের গঠনেও এক ধরনের পরিবর্তন হয়ে যায়। 

কএই কম্পিউটার গেম চমৎকার একটা বিনোদন হতে পারে, কিন্তু এতে আসক্ত হওয়া খুব সহজ এবং তার পরিণতি মোটেও ভালো নয়। সেটা সবাইকে মনে এয়াখতে হবে। 

পাইরেসি কি? What is Piracy?

পাইরেসি কি? What is Piracy?


লেখক, শীল্পিসহ সৃজনশীল কর্মীরা তাদের নিজেদের সৃষ্টকর্মকে সংরক্ষন করার অধিকার দেওয়া কপিরাইট আইনের লক্ষ্য। সাধারণতভাবে একটি মুদ্রিত পুস্তকের কপিরাইট ভংগ করে সেটি পুণর্মুদ্রণ করা যথেষ্ট ঝামেলাপূর্ন এবং ব্যায়বহুল। কিন্তু কম্পিউটারের বেলায় যেকোন কিছুর 'কপি' বা 'অবিকল প্রতিলিপি' তৈরি করা খুবই সহজ কাজ। এজন্য এমনকি বিষেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পরেনা। এ কারণে কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটারে করা সৃজনশীল কর্ম যেমন ছবি, এনিমেশন, ভিডিও ইত্যাদির বেলায় কপিরাইট সংরক্ষনে বাড়তি ব্যাবস্থতা নিতে হয়। যখনই এরুপ কপিরাইট আইনের আওতায় কোনো কপিরাইট হোল্ডারের অধিকার ক্ষুগ্ন হয় তখনই কপিরাইট বিঘ্নিত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। এই ধরনের ঘটনাকে সাধারণভাবে পাইরেসি বা সফটওয়্যার পাইরেসি নাম্ব অভিহিত করা হয়। 

পাইরেসি কি

কপিরাইট আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা, নির্মাতা বা প্রোগ্রামার তাদের কম্পিউটার সফটওয়্যারের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে পারেন। ফলে, তাদের অনুমতি ব্যাতীত ঐ সফটওয়্যারের প্রতিলিপি করা বা সেটির পরিমার্জন করে নতুন কিছু সৃষ্টি করা আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ্য হয়ে যায়। ফলে, কপি বা নতুন সৃষ্টির আইনগত ভিত্তি আর থাকে না। কম্পিউটার সফটওয়্যারের পাইরেসি সোজা হলেও বিশ্বব্যাপী পাইরেসির প্রকোপ খুব বেশি একথা বলা যায় না।

সফটওয়্যার পাইরেসি কি

বড় বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের মেধাসত্ব সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপী পাইরেসি নজরদারি করার জন্য বিজন্বস সফটওয়্যার এলায়েন্স (BSA) নামে একটি সংস্থা তৈরি করেছে। সংস্থাটির ২০১১ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যাবহারকারীদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই পাইরেসিমুক্ত। যেহুতু সফটওয়্যার  পাইরেসি খুবই সহজ, তাই এর হিসাব করাটা কঠিনই বটে। বাংলাদেশেও সফটওয়্যার পাইরেসি নিষিদ্ধ।

পাইরেসি কি, এক কথায় পাইরেসি মানে চুরি