একজনের রক্তের সাথে আরেকজনের রক্ত মেশানো হলে কেন সেটি কখনো কখনো স্বাভাবিকভাবে মিশে যায় আবার কেন কখনো কখনো গুচ্ছবদ্ধ হয়ে যায়? সেটি বুঝতে হলে প্রথমে আমাদের দুটি বিষয় বুঝতে হবে, একটি হচ্ছে অ্যান্টিজেন অন্যটি হচ্ছে অ্যান্টিবডি।
Sunday, November 27, 2022
বিন সার্টিফিকেট কিভাবে বাতিল করে?
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়মঃ
কোন কারণে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই উপকর অফিসে গিয়ে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য আবেদন করতে হবে। কারণ টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে তৈরি করা গেলেও এর বাতিল করার কাজ আপনাকে অফিসে গিয়ে সম্পাদন করতে হবে।
সেক্ষেত্রে আপনাকে যে সব কাগজপত্র সাথে করে নিতে হবেঃ
১) আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ।
২) আপনার আয়করের ফটোকপি।
৩) আপনার টিন সার্টিফিকেট।
৪) মালিক মৃত হলে তার সনদ।
৫) বাতিলের প্রকৃত কারণ (উপযুক্ত প্রমাণসহ)।
উল্লেখিত সকল কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে উপকর বিভাগের অধীনে জমা দিতে হবে। সেখানে আপনাকে একটি ফর্ম দিবে।আপনার কাগজের তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনি ফরম পূরণ করে জমা দিবেন। ৩ থেকে ৫ কার্য দিবসের মধ্যেই টিন সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত কপি আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে। অথবা আপনি নিজে গিয়ে জেনে নিতে পারেন আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা। আর বাতিল হয়েছে কিনা। উপরোক্ত নিয়ম মেনে আপনি খুব সহজে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারবেন।
এজন্য সরকারকে কোন ফি পরিশোধ করতে হয় না।
Saturday, November 26, 2022
AIDS রোগের কারণ কী? এইডস রোগ কী?
সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী রোগ হচ্ছে 'এইডস'। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানাবো AIDS রোগ সম্পর্কে ও এইডস রোগ কেন হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এইডস রোগ কী?
AIDS রোগের কারণ?
Thursday, November 24, 2022
BSTI কী? বিএসটিআই কি? What is BSTI?
১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের জারীকৃত অধ্যাদেশ ৩৭ (The Bangladesh Standards and Testing Institution Ordinance, 37 of 1985) এর মাধ্যমে সেন্ট্রাল টেস্টিং ল্যাবরেটরী (CTL) এবং বাংলাদেশ স্ট্যন্ডার্ডস ইন্সটিটিউশন (BDSI) কে একীভূত করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যন্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (BSTI) প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি পণ্য বিপণন ও শ্রেনীবিন্যাস পরিদপ্তরটিও (Department of Agricultural Grading and Marking) বিএসটিআই’র সঙ্গে একীভূত হয়।
ভিশনঃ মান প্রণয়ন ও মানসম্মত পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে যুগোপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে রুপান্তর।
মিশনঃ পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন, গুণগতমান ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত সেবাসমূহকে আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক মানদন্ডে উন্নীতকরণ এবং সেবাগ্রহীতাদের স্বার্থ রক্ষাক্রমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহায়তা ।
বিএসটিআই’র দায়িত্ব
দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসটিআই’র মূল দায়িত্ব হচ্ছেঃ
ক) দেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্য, বৈদ্যুতিক ও প্রকৌশল পণ্য, খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়া ও পরীক্ষণ পদ্ধতির জাতীয় মান প্রণয়ন।
খ) প্রণীত মানের ভিত্তিতে পণ্যমাসগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষণ/বিশেষণ এবং পণ্যের গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান।
গ) দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন, বাস্তবায়নসহ ওজন ও পরিমাপের সঠিকতা তদারকি ও নিশ্চিতকরণ।
সুষ্টুভাবে এ সকল কর্মকান্ড সম্পাদনের মাধ্যমে দেশে শিল্পের বিকাশ, মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য মানকে বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রতিযোগিতায় উপযোগী করে তোলা বিএসটিআই’র লক্ষ্য। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে অবাধ বাণিজ্যের পরিবেশে পণ্য মানকে আন্তর্জাতিক বাজারের উপযোগী করে তুলতে বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় মান প্রতিষ্ঠান (National Standards Body) হিসেবে বিএসটিআই জনসেবামূলক যেসব কাজ করছে সংক্ষেপে তা নিম্নে দেয়া হলোঃ
১) মান উইং দেশের আর্থ সামাজিক প্রযুক্তি, কারিগরী জ্ঞান এবং রপ্তানী বাণিজ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে কৃষি ও খাদ্য, পাট ও বস্ত্র, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, রসায়ন ও প্রকৌশল এ পাঁচটি বিভাগের মাধ্যমে পণ্যের জাতীয় মান প্রণয়ন করে থাকে। ৬টি বিভাগীয় কমিটির অন্তর্গত ৭২ টি শাখা কমিটি/কারিগরী কমিটি জাতীয় মান প্রণয়নের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিএসটিআই ১৯৭৪ সালে আইএসও সদস্যপদ লাভ করে। National Standards Body (NSB) হিসেবে বিএসটিআই ISO, Codex, AFIT এর ফোকাল পয়েন্ট।
২) সার্টিফিকেশন মার্কস কার্যক্রমের মাধ্যমে পণ্যসামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণ ও গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়। উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও গুণগত মান উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণ ও পরামর্শ প্রদানও এ উইং এর দায়িত্ব। স্বেচ্ছা ও বাধ্যতামূলক উভয় পদ্ধতিতেই এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত সরকার কর্তৃক গেজেটের মাধ্যমে ১৬৬ টি পণ্যকে বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেশন মার্কস এর আওতায় আনা হয়েছে। গুণগতমান সনদ কিংবা গুণগতমানের প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার ছাড়া এ সকল পণ্য বাজারজাতকরণ আইনত দন্ডনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতকল্পে বাজার আকাষ্মিক পরিদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য মান যাঁচাই করা হয়। এ ছাড়া নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নকল/ ভেজাল পণ্য চিহ্নিতকরণ ও নিম্নমানের পণ্য উৎপাদন/ আমদানী ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
৩। ‘The Standards of Weights and Measures Ordinance, ১৯৮২’ অধ্যাদেশের মাধ্যমে সারাদেশে ওজন ও পরিমাপের মেট্রিক পদ্ধতি প্রচলন ও বাস্তবায়ন তদারকি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিতকরণ ছাড়াও ক্যালিব্রেশন ও ভেরিফিকেশন কাজ সম্পাদন করা হয়। এ কার্যক্রমের আওতায় বিএসটিআই সারাদেশে বাটখারা, দাঁড়িপালা, মিটার, লিটার ইত্যাদি যন্ত্রপাতির ভেরিফিকেশন কাজও করে থাকে।
৪। পরীক্ষণ উইং এর মাধ্যমে পণ্যের সঠিকতা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডর্ডস বা মান অনুযায়ী সঠিক আছে কিনা তা যাঁচাই করা হয়।
৫। বিএসটিআই’র সেবামূলক কার্যক্রম জনগনের নিকট পৌছানোর লক্ষ্যে বিএসটিআই প্রধান অফিস ছাড়াও ৫টি আঞ্চলিক অফিস কাজ করে যাচ্ছে। ঐ সকল অফিসের মাধ্যমে অধিকতর জনগোষ্ঠী বিএসটিআই এর সেবা গ্রহনে সক্ষম হচ্ছেন।
৬। জনসাধারন/ভোক্তা সাধারণকে বিভ্রান্তি ও হয়রানির হাত হতে রক্ষার্থে সকল প্যাকেটজাত পণ্যের উপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড ওজন এবং পরিমাপ (পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৭’’ শিরোনামে একটি বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত বিধিমালা অনুযায়ী পণ্যের মোড়কে উৎপাদিত পণ্যের উপাদান, প্রকৃত ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, খুচরা বিক্রয়মূল্য ইত্যাদি সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৭। বিএসটিআই’র সেবামূলক কার্যক্রম আরো স্বচ্ছ ও ত্বরান্বিত করতে সিটিজেন চার্টার (নাগরিক অধিকার সনদ) তৈরী করা হয়েছে। যেখানে বিএসটিআই’র সেবা ধর্মী কার্যক্রম সম্পাদনের সময়সীমা নির্ধারন এবং এসব সেবা পেতে কি হারে ফি দিতে হবে তার উলেখ রয়েছে। সিটিজেন চার্টারটি জনগনের জন্য বিএসটিআই ওয়েবসাইটে সন্নিবেশ করা আছে।
৮। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার :
নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী সকল সেবা এক জায়গা থেকে প্রদানের লক্ষ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০০৮ তারিখ থেকে বিএসটিআইতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে। এ সেন্টারের সেবা সমূহঃ
ক) জনসাধারণকে সিটিজেন চার্টার মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে পন্য পরীক্ষণ প্রতিবেদন প্রদান নিশ্চিত করা;
খ) অকৃতকার্য পণ্যের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অকৃতকার্যতার কারণসহ পরীক্ষণ ফলাফল গ্রাহককে অবহিত/সরবরাহ নিশ্চিতকরণ;
গ) এসএমই শিল্প এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের দ্রুত সেবা প্রদান;
ঘ) পণ্যের গুণগত মানের লাইসেন্স দ্রুত প্রদান;
ঙ) মিডিয়া সেলের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনয়ন;
চ) মান বিক্রয়।
ছ) স্বেচ্ছায় লাইসেন্স গ্রহনেচ্ছু উদ্যোক্তাদের জন্য (V.P.C.S ) বিশেষ কাউন্টার স্থাপন এবং সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ।
Wednesday, November 23, 2022
কে এই গানিম আল মুফতাহ? ghanim al muftah
তিনি গানিম আল মুফতাহ। কাতার বিশ্বকাপে সেরা এবং সর্বোচ্চ স্পটলাইটে এই তরুন। তিনি তাঁর শারীরিক অক্ষমতাকে শক্তিতে রুপান্তর করেছেন। দিন যাচ্ছে আর প্রতিনিয়ত নিজেকে শ্রেষ্ঠত্বের দিকে ধাবিত করছেন। গানিম জেনে গেছেন তাঁর হারাবার কিছু নেই, তাই বিশ্বজয়ের একতরফা স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজের সাহসিকতার জানান দিয়েছেন বিশ্বকে।
ছোট বেলা থেকেই গানিম আল মুফতার রয়েছে পায়ে সমস্যা। এবং সে কখনোই হাল ছারেনি বরং তৈরি করেছে সেচ্ছা সংগঠন।
কাতার বিশ্বকাপে বিয়ার বিনোদনটা ঝাঁপসা থাকলেও বাকী সব বিষয়ে বিশ্বের সর্বকালের সেরা আয়োজন হতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। নেতা উপনেতা শাখা নেতা কাঁচা নেতা পাকা নেতার বাংলাদেশী সংস্কৃতির সাথে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে পৌঁছে গেছে এদের সভ্যতা। আমার দেখা ২০০২ সালে কাতার এয়ারপোর্ট ছিল টিনশেডের ছোট্ট ছাউনি, এখন তো সব চোখের সামনে। মাত্র বিশ বছরের ব্যবধানে কাতার সেরা গর্জিয়াস বিশ্বকাপ আয়োজক। ২০২২ সালে এই বিশ্বকাপ খেলার ঘোষনা দেয়া বাফুফে বস দেশকে ১৯২তম স্থান উপহার দিয়েছেন, কপাল ভাল আমরা এখনো ফুটবল গোলার্ধের ভিতরেই আছি।
গানিম আল মুফতাহ বাংলাদেশের সব পর্যায়ে কারনে অকারনে বাকবাকুম করা জাতির জন্য একজন শিক্ষনীয় সুপারম্যান হতে পারেন। গানিমের অর্জন থেকে শিখতে পারলে লেকচার সর্বস্ব দুনিয়ায় আনন্দিত হবার কোন কারনও থাকবে না।
স্যালুট গানিম আল মুফতাহ- দ্যা বেসিক হিরো অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড।
অভিনন্দন কাতার। সফলভাবে চলুক কাতার বিশ্বকাপ- ২০২২।
ভালবাসা অবিরাম…
Tuesday, November 22, 2022
আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বড় অঘটন সৌদি আরবের
একেবারে অপ্রত্যাশিত। এমন একটি ফল হবে কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। অথচ, ভাবনারও অতীত সে ঘটনা ঘটলো আজ দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে। সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেলো লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনাকে নিজেদের রূপেই দেখা গিয়েছিল; কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মেসিদের দেখা গেলো সৌদি আরবের আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যাস্ত। ৪৮-৫৩ এই মাত্র ৫ মিনিটের দুটি আক্রমণেই তছনছ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার ডিফেন্স। এই দুটি আক্রমণ থেকেই ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা অঘটনের দুটি গোল হজম করলো লা আলবিসেলেস্তারা।
তবে, দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি আরবের খেলা সবার মন জয় করে নিয়েছে। মনে হচ্ছিল সৌদি আরব আর্জেন্টাইনদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং আর্জেন্টিনা হয়ে গেছে সৌদি আরব।
তবুও শেষ দিকে প্রায় ১০ মিনিট এবং অতিরিক্ত (ইনজুরি টাইম) আরও ১০ মিনিট এককভাবে খেলেছে আর্জেন্টিনা। চেষ্টা ছিল একটি গোল অন্তত বের করে আনা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। সৌদি আরবের ডিফেন্স এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, মেসিদের একের পর এক চেষ্টা বিপলে চলে যায়। এমনকি শেষ মুহূর্তে (ইনজুরি টাইমে) আর্জেন্টিনার নিশ্চিত একটি গোল লাইনে দাঁড়িয়ে হেড করে ফিরিয়ে দেন সৌদির এক ডিফেন্ডার।
তবে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন মোহাম্মদ আল ওয়েইসিস। অসাধারণ গোলকিপিং করেছেন তিনি। আর্জেন্টিনার অনেকগুলো নিশ্চিত গোলের সুযোগ তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। উল্টো আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে দিয়েছেন ব্যর্থতার পরিচয়।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাদের ডিফেন্সের মারাত্মক ভুলে গোল হজম করে বসে লিওনেল মেসির দল। ৪৮তম মিনিটে বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত এক শটে লা আলবিসেলেস্তেদের জালে বল জড়ান সৌদি আরবের সালেহ আল সেহরি।
৫৩তম মিনিটে আবারও গোল। এবার সৌদি আরবের ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় সালেম আল দাওসারি রদ্রিগো ডি পল এবং নিকোলাস ওতামেন্দিকে কাটিয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শটে বল জড়ান আর্জেন্টিনার জালে।প্রথমার্ধে মোট চারবার সৌদি আরবের জালে বল জড়ায় আর্জেন্টিনা; কিন্তু অফসাইডের কারণে তিনটিই বাতিল হয়ে গেলো। পেনাল্টি থেকে করা মেসির গোলটি ছাড়া আর কোনোটিই বৈধ হলো না। ফলে, সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ১-০ গোলেই এগিয়ে থাকলো আর্জেন্টিনা।
সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের ১০ মিনিটেই পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গেলো আর্জেন্টিনা। ভিএআর চেক করে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক নেন লিওনেল মেসি। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে সহজেই বলটি সৌদি আরবের জালে জড়িয়ে যায়।
খেলার ৮ম মিনিটেই কর্নার কিক পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিক নেন মেসি। এ সময় বক্সের মধ্যে লিয়ান্দ্রো প্যারেদেসকে ফেলে দেন আল বুলাইহি। এরপরই ভিএআর চেক করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
৭ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসির এটাই শেষ বিশ্বকাপ এবং এবারই শেষ সুযোগ তার বিশ্বকাপ জয়ের। সে লক্ষ্যেই সৌদি আরবের বিপক্ষে সূচনাটা ভালোই হয়েছে বলা যায় মেসির।
তবে এই পেনাল্টির পর দারুণ একটা পরিসংখ্যানও সামনে চলে এলো। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম পেনাল্টি থেকে গোল করলো আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বল নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রভাব বিস্তার করে খেলার চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই মেসির বাঁ পায়ের দুর্দান্ত একটি শট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন সৌদি গোলরক্ষক আল ওয়েসিস।
৬ষ্ঠ মিনিটেই মেসির দারুণ একটি শট ঠেকিয়ে দেন সৌদি গোলরক্ষক। ৮ম মিনিটে কর্নার কিক করেন মেসি। আল ওয়েসিস পাঞ্চ করে বল ঠেকিয়ে দিলেও প্যারেদসকে ফেলে দেন আল বুলাইহি। ভিএআর চেক করে রেফারি জানালেন এটা ফাউল এবং পেনাল্টি।
২২তম মিনিটে একটি গোল করেন মেসি। কিন্তু লাইন্সম্যান আগেই ফ্ল্যাগ তুলে দাঁড়িয়ে থাকেন। জানালেন এটা ছিল অফসাইড। ২৮ মিনিটে লওতারো মার্টিনেজ গোল করেন। কিন্তু এবারও ভিএআরের কারণে দেকা গেলো তিনি ছিলেন অফসাইডে। সুতরাং গোল বাতিল। ৩৪ মিনিটে আরও একবার সৌদির জালে বল জড়ায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু তার আগেই সাইড রেফারি জানিয়ে দেন- এটা ছিল অফসাইড।
Monday, November 21, 2022
HSC পরিক্ষার মান বন্টন
এইচ,এস,সি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা, তাই সবাই এক নজরে দেখে নাও
এইচএসসি ২২ এর পরীক্ষায় কত মার্কে পাশ এ নিয়ে সবার মনেই প্রশ্ন আছে। পূর্বের পরীক্ষায় যেমন মার্ক ধরে পাশ দেওয়া হতো সেই সমীকরণে পাশের মান বন্টন।
মৌলিক বিষয় সমূহঃ ( সকলের জন্য প্রযোজ্য )
বাংলা ১ ম পত্রঃ সৃজনশীল অংশে ১৩ নাম্বার এবং বহুনির্বাচনী অংশে ৫ নাম্বার অর্থাৎ , মোট ১৮ নম্বর পেতে হবে ।
( CQ এবং MCQ অংশে আলাদাভাবে পাশ করতে হবে )
বাংলা ২ য় পত্রঃ ৩৩ % নম্বর পেলেই পাশ । (৩৩%=১৭ মার্ক)
( দুই পত্র অর্থাৎ , বাংলা ১ ম ও ২ য় মিলে ৩৩% পেলেই পাশ নয় , পেতে হবে আলাদা ভাবে )
ইংরেজি ১ ম ও ২ য় পত্রঃ ১ ম পত্র ও ২ য় পত্র মিলে মোট ৩৩% নম্বর পেলেই পাশ । (৩৩%=৩৩ মার্ক)
বিষয়টা আরেকটু সহজ করিঃ এক পত্রে যদি ১০ নাম্বার পাও এবং অন্য পত্রে ২৬ নম্বর পাও অর্থাৎ মোটে দুই মিলে ৩৬ নাম্বার তাহলেই ইংরেজিতে তুমি পাশ ।
বিজ্ঞান বিভাগের বিষয় সমুহঃ
সৃজনশীল অংশঃ ১ ম এবং ২ য় পত্রে মিলে ২২ নম্বর পেলেই পাশ । এক পত্রে ২ ও অন্যটিতে ২৫ পেলেও পাশ ।
বহুনির্বাচনী অংশঃ দুই পত্র মিলে ১০ পেলেই পাশ এক পত্রে ০২ ও অন্য পত্রে ৯ পেলেও পাশ ।
মানবিক বিভাগের বিষয় সমুহঃ
সৃজনশীল অংশঃ ১ ম এবং ২ য় পত্র মিলে ২৬ নাম্বার পেলেই পাশ । এক পত্রে ৫ নম্বর ও অন্যটিতে ২৬ নম্বর পেলেও পাশ ।
বহুনির্বাচনী অংশঃ দুই পত্র মিলে ১০ পেলেই পাশ এক পত্রে ০৫ এবং অন্য পত্রে এ ৮পেলেও পাশ ।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের বিষয় সমুহঃ
সৃজনশীল অংশঃ ১ ম এবং ২ য় পত্র মিলে ২৬ নাম্বার পেলেই পাশ । এক পত্রে ৫ নম্বর ও অন্যটিতে ২৬ নম্বর পেলেও পাশ ।
বহুনির্বাচনী অংশঃ দুই পত্র মিলে ১০ পেলেই পাশ এক পত্রে ০৫ এবং অন্য পত্রে এ ০৮ পেলেও পাশ ।
**মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ব্যবহারিক থাকা সাবজেক্ট -ঃ
সৃজনশীল অংশঃ ১ ম এবং ২ য় পত্রে মিলে ২২ নম্বর পেলেই পাশ । এক পত্রে ২ ও অন্যটিতে ২৩ পেলেও পাশ ।
বহুনির্বাচনী অংশঃ দুই পত্র মিলে ০৮ পেলেই পাশ এক পত্রে ০২ ও অন্য পত্রে ৭ পেলেও পাশ ।
MCQ এবং CQ তে আলাদা পাশ করতে হবে।
এ+ দুই পত্র মিলিয়ে ৮০% নাম্বার পেতে হবে।
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট যেভাবে তৈরি করা হয়েছে
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল যেভাবে তৈরি করা হয়েছেঃ
• এই বছর পরিক্ষার আয়োজন করা হয়েছে মাত্র ৭ বিষয় কিন্তু রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে ১২ টি বিষয়।
• এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে ৭ টি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হয়েছে। এর সাথে জেএসসি থেকে ৩টি বিষয় নম্বর যোগ করা হবে, তার সাথে শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা নম্বর যোগ করে সর্বমোট ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
• এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে জেএসসি তে শিক্ষার্থীরা যে নম্বর পেয়েছে এসএসসি তাদের যোগ করা হবে।
• তাছাড়া এইবার শিক্ষার্থীরা ৭টি বিষয় পরীক্ষা দিয়েছে 45, 50 এবং 55 নম্বরে। যা পরবর্তীতে 100 নম্বরের রূপান্তর করা হবে।
• এক্ষেত্রে 45 নম্বর রূপান্তর প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে 45 নম্বর 75 নম্বর রূপান্তর করা হবে। এর সাথে ব্যবহারিক খাতা25 নম্বর যোগ করে 100 নম্বরের ফলাফল প্রস্তুত করা হবে।
• অন্য দিকে যে সকল বিষয় 55 ও 50 নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে তা সরাসরি 100 নম্বরের রূপান্তর করা হবে। এক্ষেত্রে মার্কশিট সহ শিক্ষার্থীরা এই ফলাফলগুলো দেখতে পারবে তাদের রেজাল্টের সময়।
• তাছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়েছে এই নম্বর রূপান্তর কারণে। এ বছর শিক্ষার্থীরা বেশ ভালো ফলাফল করতে পারবে কারণ এই প্রক্রিয়ায় এ প্লাস এর সংখ্যা অনেক বেশি হবে।
• কতগুলো বিষয়ে এ প্লাস পেলে মূল রেজাল্ট এ প্লাস হবে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে যদি শিক্ষার্থীরা দশটি বিষয়ে মূল ফলাফল প্রকাশ করা হবে সেখানে সাতটি বিষয় প্লাস এবং তিনটি বিষয়ে যদি সে এ গ্রেড পায় তবে ও তার ফলাফল এ প্লাস থাকবে।
• আবার যদি কোনো শিক্ষার্থী 8 টি বিষয়ে এ প্লাস একটি বিষয় এ গ্রেড ও একটা বিষয়ে এ – পায় তা হলেও তার ফলাফল এ প্লাস থাকবে আবার যদি কোনো শিক্ষার্থী নয়টি বিষয়ে প্লাস এবং একটি বিষয়ে সি পায় তাহলেও তার এ প্লাস থাকবে।
কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ কী? What is Query Language?
কোয়েরি ভাষা দিয়ে ব্যাবহারকারী সহজেই ডাটাবেজ হতে তথ্য বা ডাটা আহরণ করতে পারে। ডাটাবেজে ডাটা প্রবেশ করানো, ডাটা রিট্রাইভ করা, ডাটা মডিফাই অথবা ডিলেট করা ইত্যাদি অপারেশনগুলোকে কোয়েরি বলে। যে ল্যাংগুয়েজের সাহায্যে কোয়েরি করা হয় তাকে কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ বলে।
অধিকাংশ ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডাটাবেজ হতে ডাটা অ্যাকসেস করার জন্য কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ ব্যাবহার করে। এটি খুব উচ্চস্তরের ভাষা। এ ভাষা ব্যাবহার কএএ সহজেই ডাটাবেজ হতে ডাটা সার্চ করা, সংগ্রহ করাসহ ব্যাবহারকারীর ইচ্ছানুযায়ি বিভিন্ন ধরনের ক্যালকুলেশন করা সম্ভব। এ ভাষা যেকোন স্টানডার্ড প্রোগ্রামিং ভাষার তিলনায় উচ্ছস্তরের। বর্তমানে মাইক্রো কম্পিউটার SQL এবং QUEL কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ ব্যাবহার করা হয়।
নিম্নে সব চেয়ে জনপ্রিয় ৪ টি কোয়েরি ভাষার নাম লিখা হলো।
- Quel (Query Language)
- QBE (Query by Example)
- SQL (Structure Query Language)
- Server SQL
বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটি
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন কর্মক্ষেত্রে আইসিটির বহুমুখী প্রভাব ও ব্যাবহার লক্ষা করা যাচ্ছে। এই প্রভাব ও পরিসর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। কর্মক্ষেত্রে আইসিটির দুই ধরনের প্রভাব লক্ষা করা যায়। প্রথমত প্রচলিত কর্মক্ষেত্রগুলোতে আইসিটির প্রয়োগের ফলে কর্মদক্ষতার বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণ, অন্যদিকে আইসিটি নিজেই নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে।
প্রচলিত কর্মক্ষেত্র এবং পুরাতন ব্যাবসা বাণিজ্য আইসিটি ব্যাবহারের ফলে কর্মীদের দক্ষতা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা বেড়েছে। অন্যদিকে এর ফলে সেবার মানও উন্নত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে আইসিটি ব্যাবহারের সাধারণ দক্ষতা একটি প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
ব্যাংক, বিমা থেকে শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি, সরকারি দপ্তরে কাজ করার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর থেকে উপস্থাপনা সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং থেকে ই-মেইল, নানান ধরনের বিশ্লেষণী সফটওয়্যার ইত্যাদিতে দক্ষ হতে হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষায়িত সফটওয়্যার (যেমনঃ ব্যাংকিং সফটওয়্যার) ব্যাবহারেরও পারদর্শিতা অর্জন কররে হয়।
অন্যদিকে আইসিটি নিজেই একটি বড় আকারের কর্মবাজার সৃষ্টি করেছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি এখন নতুন দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি বিরাট কর্মক্ষেত্র। কেবল দেশে নয়, আইসিটিতে দক্ষ কর্মীরা দেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানে অথবা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে পারে। এই কাজের একটি বড় অংশ দেশে বসেই সম্পন্ন করা যায়। আউটসোর্সিং করে এখন অনেকেই বাংলাদেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।
Saturday, November 19, 2022
সেভেন আপের ইতিহাস | 7up নাম কেন রাখা হলো?
সেভেন আপ (7up), বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই, কোমলপানীয়গুলোর মধ্যে সেভেনআপের জনপ্রিয়তা সবার শীর্ষে! এছাড়াও বিশ্বকাপ আসলেই সবার মাথায় চেপে বসে, গোল হলে ৭ টাই হতে হবে নাইত যে সেভেন আপ হবে না! কেউ যদি কোন টিমকে ৭ টি গোল দেয় তাহলে তাদেরকে মজা করে বলা হয় সেভেন আপ! তো এই যে এতদিকে শুধু সেভেন আপ সেভেন আপ, আসলে আমাদের মধ্যে কয়জনই বা জানে এই সেভেন আপের ইতিহাস সম্পর্কে? সেভেন আপ সম্পর্কে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানানো হবে এবং সেই সাথে জানাবো এর নাম সেভেন আপ কেন রাখা হলো? তাহলে চলুন জেনে নেই সেভেন আপের ইতিহাস!
চার্লস লিপার গ্রিগ
এখন প্রশ্ন হলো
সেভেন আপ নাম কেন দেওয়া হলো?
Friday, November 18, 2022
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি কতটা নিরাপদ? সামাজিক নেটওয়ার্কে আসক্তি
মানুষ সামাজিক প্রাণী এবং মানুষের নিজেদের ভেতর সবসময়েই একধরনের সামাজিক যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ইদানীং সামাজিক যোগাযোগের কথা বলা হলে সেটি মানব সভ্যতার সেই চিরন্তন সামাজিক যোগাযোগ বা সামাজিক নেটওয়ার্কের কথা না বুঝিয়ে ইন্টারনেট-নির্ভর সম্পুর্ন ভিন্ন এক ধরনের নেটওয়ার্কের কথা বোঝানো হয়।
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, লিংকডইন, টিকটক, লাইকি এ ধরনের অনেক সামাজিক যোগাযোগ সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেগুলোতে মানুষ নিজেদের পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে। এক সময় এই সাইটগুলো ছিল কম বয়সী তরুন-তরুণীদের জন্যে, এখন সব বয়সী মানুষই সেটি ব্যাবহার করে। শুধু যে একে অন্যের সাথে যোগাযোগের জন্য এটি ব্যাবহার করে তা নয়, একটা বিশেষ আদর্শ বা মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যেও এটি ব্যাবহার করা হয়। যে উদ্দেশ্যে এটি শুরু হয়েছিল যদি এটি সেই উদ্দেশ্যে মাঝে সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে এটি কোনো সমস্যার জন্ম দিত না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি সামাজিম যোগাযোগ সাইটে আসক্তি ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীর জন্যেই একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে শুরু করছে।
মনোবিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন এবং এখন এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত বলা যায় এই সাইটগুলোর সাফল্য নির্ভর করে, সেগুলো কত দক্ষতার সাথে ব্যাবহারকারীদের আসক্ত করতে পারে। পুরো কর্মপদ্ধতির মাঝেই যে বিষয়টি রয়েছে সেটি হচ্ছে কত বেশিবার এবং কত বেশি সময় একজনকে এই সাইটগুলতে টেনে আনা যায় এবং তাদেরকে দিয়ে কোনো একটা কিছু করানো যায়। যে যত বেশিবার এই সাইট ব্যাবহার করবে সেই সাইটটি তত বেশি সফল হিসেবে বিবেচিত হবে এবং অবশ্যই সেটি তত বেশি টাকা উপার্জন করবে। কাজেই কেউ যদি অত্যান্ত সতর্ক না থাকে তাহলে তার এই সাইটগুলোতে পুরোপুরি আসক্ত হয়ে যাবার খুব বড় আশঙ্কা রয়েছে।
মনোবিজ্ঞানীরা এই সাইটগুলো বিশ্লেষণ করে আরো একটি কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় আবিষ্কার করেছেন। সব মানুষের ভেতরেই নিজেকে প্রকাশ করার একটা ব্যাপার রয়েছে কিংবা নিজেকে নিয়ে মুগ্ধ থাকার এক ধরনের সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা থাকে, সেটাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় Narcissism বলে। সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে মানুষের এই সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে দেয়।
সবার ভেতরেই তখন নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জেনে হোক না জেনে হোক ব্যাবহারকারীরা নিজের সম্পর্কে অত্যান্ত তুচ্ছ খুঁটিনাটি তথ্য সবার সামনে উপস্থাপন করতে থাকে, কেউ সেটি দেখলে সে খুশি হয়, কেউ পছন্দ করলে আরো বেশি খুশি হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি অনেকটা আসক্তির মতো কাজ করে এবং একজন ব্যাবহারকারী ঘন্টার পর ঘন্টা এই যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের সময় অপচয় করতে থাকে।
সামাইম যোগাযোগের এই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে সারা পৃথিবীতে অনেক সময়ের অপচয় হচ্ছে।
Thursday, November 17, 2022
কম্পিউটার গেমে আসক্তি | কম্পিউটার গেম খেলা কত টুকু নিরাপদ?
কম্পিউটার গেমে আসক্তিটা প্রায় সময়েই শুরু হয় শৈশব থেকে এবং বেশিরভাগ সময়ই সেটা ঘটে অভিভাবকদের আজ্ঞতার কারণে। কম্পিউটার একটা Tool এবং এটা দিয়ে নানা ধরনের কাজ করা যেতে পারে। এই প্রযুক্তি সম্পর্কে এত সুন্দর সুন্দর কথা বলা হয়েছে যে অনেক সময়ই অভিভাবকরা ধরে নেন এটা দিয়ে যা কিছু করা হয় সেটাই বুঝি ভালো, তা তখন যখন ত্রা দেখেন তাদের সন্তানেরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে আছে তারা বুঝতে পারেন না তার মাঝে সতর্ক হওয়ার ব্যাপার রয়েছে।
কম্পিউটার গেম এক ধরনের বিনোদন এবং এই বিনোদনের নানা রকন মাত্রা রয়েছে। যারা সেটি খেলছে তারা সেটাকে নিছক বিনোদন হিসেবে মাত্রার ভেতরে ব্যাবহার করলে সেটি যেকোনো সুস্থ বিনোদনের মতই হতে পারে। কিন্তু প্রায়ই সময় সেটি ঘটেনা। দেখা গেছে একটি ছোট শিশু থেকে পুর্ন বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সবাই কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যেতে পারে।
কোরিয়ায় একজন মানুষ টানা পঞ্চাশ ঘন্টা কম্পিউটার গেম খেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেছিল। চীনের এক দম্পতি কম্পিউটার গেম খেলার অর্থ জোগাড় করতে তাদের শিশু সন্তানকে বিক্রয় করে দিয়েছিল। এই উদাহরণগুলো আমাদের মনে করিতে দেয় কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যাওয়া মোটেও বিচিত্র কিছু নয়। এবং একটু সতর্ক না থাকলে একজন খুব সহজেই আসক্ত হয়ে যেতে পারে।
কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার গেমে আসক্তির বিষয়টা যেহুতু নতুন, তাই সেগুলো নিয়ে গবেষণা এখনো খুব বেশি হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে পুরো বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা আরো নিশ্চিতভাব্ব দিক-নির্দেশনা দিতে পারবেন। এখনই গবেষণায় দেখা গেছে কোনো একটা কম্পিউটার গেমে তীব্রভাবে আসক্ত একজন মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ উত্তেজক রাসায়নিক দ্রব্যের আবির্ভাব হয়। শুধু তাই নয় যারা সপ্তাহে আন্তত ছয় দিন টাকা দশ ঘন্টা করে কম্পিউটার ব্যাবহার করে তাদের মস্তিষ্কের গঠনেও এক ধরনের পরিবর্তন হয়ে যায়।
কএই কম্পিউটার গেম চমৎকার একটা বিনোদন হতে পারে, কিন্তু এতে আসক্ত হওয়া খুব সহজ এবং তার পরিণতি মোটেও ভালো নয়। সেটা সবাইকে মনে এয়াখতে হবে।
পাইরেসি কি? What is Piracy?
পাইরেসি কি
সফটওয়্যার পাইরেসি কি
পাইরেসি কি, এক কথায় পাইরেসি মানে চুরি
Tuesday, November 15, 2022
ম্যানুয়াল ডাটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার দিয়ে ডাটা প্রসেসিং এর মধ্যে পার্থক্য
কোন প্রকার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া শুধুমাত্র হাতে কলমে ডাটা প্রসেসিং করাকে ম্যানুয়াল ডাটা প্রসেসিং বলে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ক্যালকুলেটরের বাটন চেপে হাতে কলমে লিখে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি করে ফলাফল তৈরি হয়। এতে সময় বেশি লাগে এবং ভূল হবার সম্ভবনা থাকে।
অন্যদিকে কম্পিউটারের কী বোর্ডের সাহায্যে অতিদ্রুত গতিতে সর্বাপেক্ষ কম সময়ে এবং নির্ভুলভাবে ডাটা প্রসেসিং করা যায়।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে ম্যানুয়াল ও কম্পিউটার দিয়ে করা ডাটা প্রসেসিং এর মধ্যে থাকা তুলনামূলক পার্থক্য জানাবো।
কজের গতি ও সময়
উপাত্ত সংরক্ষণ
ক্লামতিহীনতা
কাজের পুনরাবৃত্তি
ভুল শনাক্তকরণ ও সংশোধন
যাচাইয়ের মাধ্যমে ভুল শনাক্তকরণ ও সংশোধন
রূহ আফজার ইতিহাস | রুহ আফজা ও হামদর্দ ইতিহাস
রূহ আফজার ইতিহাস
Monday, November 14, 2022
Netflix এর ইতিহাস
Netflix হলো এক ধরণের সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক স্ট্রিমিং সার্ভিস, যা সাবস্ক্রাইবড সদস্যদের ইন্টারনেট-সংযুক্ত ডিভাইসে বিজ্ঞাপনহীনভাবে টিভি শো ও সিনেমা দেখতে দেয়। নেটফ্লিক্সে আপনি বিভিন্ন মুভি, টিভি শো, ডোকুমেন্টরি ভিডিও ইত্যাদি সাবস্ক্রিবশনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন। তবে আদতে নেটফ্লিক্স কিভাবে প্রতিষ্ঠা হলো? জানাবো আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে।
নেটফ্লিক্স এর ইতিহাস
Sunday, November 13, 2022
সুইস ব্যাংকে সবাই কেন টাকা রাখে? ধনী ব্যাক্তিরা Swiss Bank এ টাকা কেন রাখে?
সুইজারল্যান্ড বলতেই সবার আগে সেইখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুর্য, বাহাড়, কিং রিসোর্ট, চকলেট এবং সুইটস চিজের পাশাপাশি সুইস ব্যাংকের (Swiss Bank) কথা মাথায় আসে। দেশটির ব্যাংকিং আইনে সিকিউরিটিজ ও প্রাইভেসির কল্যাণে পৃথিবীর বড় বড় পলিটিশিয়ান, বিজনেস ম্যান থেকে শুরু করে মানি লন্ডারার, ড্রাগ ব্যাবসায়ী ও ক্রিমিনালরাও তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে জমা রাখছে।
সুইজ ব্যাংকে কেন টাকা রাখবেন?
২০২১ সাল পর্যন্ত সুইস ব্যাংকে মোট ডিপোজিটকৃত অর্থের পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন সুইস ফ্রাংকের বেশি! যেখানে ফরেন ক্লায়েন্টের ডিপোজিট কৃত অ্যামাউন্টের পরিমান ১.৫ ট্রিলিয়ন সুইস ফ্রাংক। ২০২১ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী ক্লায়েন্টের জমা কৃত অর্থের পরিমাণ ছিলো ৮৭১.১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাংক বা ৮,২৬৫ কোটি টাকা। যা ২০২০ সালেও ছিলো ৫,৩৩৩ কোটি টাকা।
মূলত সর্বচ্চ লেভেলের প্রাইভেসি এন্ড সিকিউরিটির কারণে মানুষ তাদের সৎ ও অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ সুইস ব্যাংক গুলোতে জমা রাখতে পছন্দ করেন।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাবো সুইস ব্যাংক কি? ও কিভাবে ক্লায়েন্টের সিকিউরিটি এনসিউর করা হয়।
সুইস ব্যাংক বলতে আদতে কোন একটি নির্দিষ্ট ব্যাংককে বোঝায়না। বরং সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং আইনের অধীনে অপারেট করা ২৪০ টিরও বেশি ব্যাংকে একত্রে সুইস ব্যাংক হিসেবে কনসিডার করা হয়।
১৬০০ শতকের দিকে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের ব্যাংকিং ব্যাবস্থা গড়ে উঠে। ১৭১৩ সালে গ্রান্ড কাউন্সিল অফ জেনেবা (Grand Counsil of Geneba) তাদের আপার ক্লাস সিটিজেন ফিনান্সিয়াল ইনফরমেশন ডিসক্লোজ না করার সিদ্বান্ত নেন। যার অরেক্ষিতে এয়াজা রানী থেকে শুরু করে সেখানকার বড় ব্যাবসায়ী ও লর্ডরা তাদের স্বর্ণ ও অন্যান্য দামী জহরত জমা রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ স্তানের সন্ধান করলে ততকালীন সুইস ব্যাংক গুলো তাদের এই সুবিধা দিতে শুরু করে।
১৮০০ সালের শুরু দিকে গ্রান্ড কাউনসিল অফ জেনেবার ক্লোজ এসোসিয়েশন ফ্রান্সের অনেক ব্যাংকাররাই সুইজারল্যান্ডে বসবাস করতে শুরু করে। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে ১৮৬৫ সালে সুইজারল্যান্ডে ক্রেডিট সুইজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেখানে মোট ক্যাপিটালের অর্ধেক জার্মানি থেকে অর্থায়ন করা হয়েছিলো।
১৯১২ সালে সুইজ ব্যাংকারস এসোসিয়েশন (Swiss Bangkers Association) বা SBA নামে সুইজারল্যান্ডে প্রথম ব্যাংকিং এসোসিয়েশন গড়ে উঠে।
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং সিস্টেম মূলত প্রাইভেসি, পলিটিক্যাল ইস্টাবিলিটি এবং অর্থনৈতিক ঐক্যমতের উপর টিকে রয়েছে। ১৯৩০ এর দশকে গ্রেড ডিপ্রেশন চলাকালীন ২ জন সুইজ ব্যাংকার তাদেএ ক্লায়েন্টের ব্যাংক ইনফরমেশন ফাস করে দেয়! যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে যেনো এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এর জন্য ফ্রান্স ও জার্মান্দের চাপে পরে ১৯৩৪ সালে সুইজারল্যান্ডে ব্যাংকিং আইন পাস করানো হয় যা সুইজ ব্যাংকিং আর্ট (Swiss Bangking Art) হিসেবেও পরিচিত।
অবশ্য বর্তমান সময়ে সুইজাল্যান্ডের ব্যাংকগুলো সকল প্রকার এক্টভিটি সুপার ভিশনের জন্য ২০০৯ সালে Federal Office of Provate Insurance (FOPI), Swiss Federal Banking Commission (SFBC), Anti-Money Laundering Control Authority (AMLCA) এই ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মার্জ (একসাথে) করে ফিনান্সিয়াল মার্কেট সুপার ভাইজর অথরিটি (Financial Market Supervisor Authority) বা finma প্রতিষ্ঠা করা হয়!
সুইজ ব্যাংকিং এর একটি আর্টিকেল ৪৭ এর অধীনে ক্লায়েন্টের ব্যাক্তি ব্যাতীত তার ব্যাংকিং এর কোন ইনফরমেশন সুইজারল্যান্ডের কোন ব্যাংক কিংবা ব্যাংকের কোন ব্যাক্তি অন্য দেশের সরকার বা ট্যাক্স অথরিটির সাথে ডিস-ক্লোজ করতে পারবেনা। আইনটি ভঙ্গ করলে উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাকে ৫ বছরের কারাদন্ডিত করারও বিধান রয়েছে। এর পাশাপাশি কোন ক্লায়েন্টের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল এক্টিভিটির অভিযোগ সামনে আসলে যদি সেই অপরাধীর সাথে তার সরাসরি সম্পর্কিত প্রমাণ হয় তবেই সুধুমাত্র তার ব্যাংকিং ইনফরমেশন ডিস-ক্লোজ করা যাবে বলেও আর্টিকেলটিতে উল্যেখ করা হয়।
Thursday, November 10, 2022
বিশ্বের সব চেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি SoftBank এর ইতিহাস
SoftBank Corporation, একটি জাপানিজ মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্ট এবং হোল্ডিং কোম্পানি। বিশ্বের সব চেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ১০০ বিলিয়ন ডলারের ভিশিয়ন ফান্ড নিয়ে বিশ্বের ছোট বড় টেক কোম্পানি গুলোতে ইনভেস্ট করে যাচ্ছে SoftBank. এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ টি কোম্পানিতে ইনভেস্ট করেছে সফট ব্যাংক। বাংলাদেশেও সফটব্যাংকের বেশ কয়েকটি ইনভেস্টমেন্ট আছে। বিকাশ, দারাজ, হ্যাংরিনাকি, আলিবাবা গ্রুপ ও এন্ট ফাইনান্সিয়ালেও ইনভেস্ট রয়েছে এবং আলিবাবা ও এন্ট ফাইনান্সিয়ালের অন্যতম স্টোক হোল্ডার SoftBank. এছাড়াও বিশ্বক্ষেত রাইড শেয়ারিং Uber এ-ও ইনভেস্ট আছে SoftBank এর। এত সব কিছুতে ইনভেস্ট করা SoftBank আদকে কিভাবে প্রতিষ্ঠা হলো? বা সফটব্যাংকের ইতিহাস কি?
আমাদের আজকের এই আরটিকেলে জানাবো SoftBank এর ইতিহাস ও সফটব্যাংক কে কিভাবে প্রতিষ্ঠা করলো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
SoftBank Founder History
Yahoo Japan
Wednesday, November 9, 2022
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন কিভাবে? How to invest in share market
শেয়ার বাজার বা শেয়ার মার্কেট, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ার বাজারের মার্কেট বেশ ভালো হলেও বাংলাদেশও খুব একটা কম নয়। তবে আমাদের স্বাধারন মানুষের অনেকেই জানেন না শেয়ার বাজারে কিভাবে ইনভেস্ট করতে হয় এবং শেয়ার বাজারে নিজের নাম কিভাবে লিখাতে হয়। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে শেয়ার করবো শেয়ার বাজারে কিভাবে ইনভেস্ট করতে হয়।
বাংলাদেশে শেয়ারে ইনভেস্ট করতে চাইলে বিনিয়োগ কারীকে প্রথমেই একটি BO Account ওপেন করতে হবে। BO ফুল ফর্ম Beneficiary Owner। BO Account স্টোক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরদের জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মত কাজ করে। ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে যেমন কেউ টাকা জমা রাখতে পারে, তেমনি বিও এ্যাকাউন্টে ইনভেস্টরের বিনিয়োগ কৃত টাকা অথবা সেই টাকা দিয়ে কেনা শেয়ার জমা থাকে। মূলত এই বিও অ্যাকাউন্টটি ব্যাবহার করে ইনভেস্টর তার শেয়ার কেনা বেচা করে।
তবে বিও অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য ইনভেস্টরের নিজের নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হয় যেটি তার বিও অ্যাকাউন্ট এর সাথে লিংক করা থাকে।
BO Account টি Central Depository Bangladesh Limited বা CDBL নামের একটি প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয়। ইনিভেস্টরের সকল লেনদেনের হিসাব CDBL এর অ্যাকাউন্টে মেন্টেইন করা হয়।
ইনভেস্টরের এই বিও অ্যাকাউন্ট কোন একটি ব্রোকারেজ হাউজের (BROKERAGE HOUSE) মাধ্যমে ওপেন করতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩০২ টি লাইসেন্স ব্রোকারেজ রয়েছে। যদিও এদের মধ্যে ২৫০ টির ও কম ব্রোকার কমার্সিয়ালি ট্রেডিং করে।
একজন আগ্রহী ইনভেস্টর DSE (Dhaka Stock Exchange) বা CSE (Chittagong Stock Exchange) এর ওয়েবসাইট থেকে তার সুবিধামত লিস্টেড যে কোন একটি ব্রোকারেজ হাউজ সিলেক্ট করে সহজেই একটি BO Account ওপেন করতে পারে।
BO Account একজন আগ্রহী ইনভেস্টর একক ভাবে অথবা যৌথভাবে ওপেন করতে পারেন।
CDBL এর ২০২১ সালে জুলাই মাসের ডেটা অনুযায়ী দেশে এ্যাক্টিভ বিও অ্যাকাউন্ট গুলোর মধ্যে ব্যাক্তিগত বা একক BO Account এর পরিমান ১৬ লক্ষেরও বেশি। যৌথ অ্যাকাউন্ট এর পরিমাণ ৮.৫ লক্ষ এবং বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত অ্যাকাউন্টের পরিমান ১৫ হাজারটি।
একটি BO Account ওপেন করতে পাসপোর্ট সাইজে ছবি, NID বা পাসপোর্টের ফটোকপি, এবং আবেদন কারীর ব্যাংক ডিটেইলস ইত্যাদি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও আবেদন কারীর নমিনির পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং NID এর ফটোকপিও প্রোভাইড করতে হয়।
অ্যাকাউন্ট অপেনিং চার্জ ব্রোকারেজ ভেদে ৪৫০ থেকে ১০০০ টাকা হতে পারে, তাছারাও প্রতিবছর BO Account রিনিউ করার জন্য DSE এর নির্ধারিত ৪৫০/- টাকা পরিশোধ করতে হয়। সাধারনত ফর্ম ফিলাপ এবং চার্জ পে করার ১-২ দিনের মধ্যে আবেদনকারী তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বর পেয়ে যান। এসব কাজ বর্তমানে খুব সহজেই অনলাইনে করা সম্ভব।
BO Account ওপেন হয়ে গেলে যে কেউ সহজে স্টোক এক্সচেঞ্জে ট্রেডিং শুরু করে দিতে পারেন।
BO Account অপেনের পর ইনিভেস্টরের তার ফান্ড BO Account এ ট্রান্সফার করতে হয়। অথবা তিনি যে পরিমানে টাকা ইনিভেস্ট করতে চান সে পরিমান টাকা অ্যাকাউন্টটিতে জমা করতে হয়।
টাকা জমা জরার পর সাধারনত ৩ ভাবে স্টোক ক্রয় করা সম্ভব। নিজে ব্রোকারেজ হাউজে উপস্থিত হয়ে। ব্রকারকে কল করে বা মেসেজ করে এবং স্টোক এক্সচেঞ্জের মোবাইল অ্যাপ ব্যাবহার করে।