Saturday, April 30, 2022

পাসওয়ার্ড

পাসওয়ার্ড

 আমরা কোথাও বেড়াতে গেলে বাড়ির বাইরে তালা লাগিয়ে যায়। কারণ বাড়ি  যেন নিরাপত্তা থাকে কোন কিছু জানা চুরি না হয়ে যায়। আর বাড়ির বাইরে তালা লাগানো থাকলে, সেই তালা চাবি ছাড়া।চেয়েও তালা খুলতে পারে না। কারণ পৃথিবীর প্রত্যেকটি তার জন্য ভিন্ন ভিন্ন চাবি রয়েছে। 

ঠিক তেমনি আমাদের তথ্য-উপাত্তে নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড প্রয়োজন। পাসওয়ার্ড আইসিটির এর যুগে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, উপাত্ত সফটওয়্যার নিরাপত্তায় এক ধরনের তালা হিসেবে কার্যকরী। 

 আমাদের দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার নিরাপত্তার জন্য এ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।  আমাদের ব্যক্তিগত সকল তথ্য যেমন ব্যাংক একাউন্,আয়করের হিসাব ,  চাকরির বিভিন্ন তথ্য ইত্যাদি ছাড়াও নানা তথ্য উপাত্ত এখন ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় আসছে। 

এছাড়াও আইসিটি এর যন্ত্রপাতি যেমন -

কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এর কিংবা মোবাইল ফোনগুলোর সফটওয়্যার দ্বারা পরিচালিত হয়।আমরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করি তখন পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে কম্পিউটার বা আইসিটি যন্ত্রের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। এর মাধ্যমে গত গোপনীয় তথ্য অন্যের কাছে চলে যেতে পারে কিংবা কেউ আমাদের যন্ত্রের সফটওয়ারের ক্ষতি করতে পারে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে আমাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন। এসব তথ্য আমাদের যন্ত্রের সফটওয়্যার সমূহ রক্ষা করতে পাসওয়ার্ড এর কোন বিকল্প নেই । পাসওয়ার্ড দেয়া থাকলে যে কেউ ইচ্ছা করলে এমন তথ্য নিতে পারবে না বা ক্ষতি করতে পারবেনা। 




সংখ্যা পদ্বতির প্রকারভেদ

সংখ্যা পদ্বতির প্রকারভেদ

আমরা সাধারণত গণনার কার্যাদি সম্পাদনের জন্য ১০ টি অংক ব্যাবহার করে থাকি। যেমনঃ ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ এই পদ্ধতিকে ডেসিম্যাল পদ্ধতি বলে। আবার কম্পিউটারের সকল কার্যাদি সম্পাদিত হয় ০, ১ এই অংকের মাধ্যমে। গণিতের এই পদ্ধতিকে বাইনারি বলে।



সংখ্যা পদ্ধতি ৪ প্রকার, যথাঃ-

  1. ডেসিম্যাল নাম্বার (Decimal Number)
  2. বাইনারি নাম্বার (Binary Number)
  3. অকটাক নাম্বার (Octal Number)
  4. হেক্সাডেসিম্যাল নাম্বর (Hexadecimal Number)

১. দশমিক পদ্ধতি (ডেচিমাল System)

আমরা সচরাচর যে পদ্ধতিতে সংখ্যা লিখে থাকি এতে ১০ টি প্রতিক ব্যাবহার করা হয়। প্রতিক দশটি হলোঃ ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ এই পদ্ধতিতে গণনার কার্য করে থাকি। দশমিক সংখ্যার পদ্ধতির বেজ ভিত্তি সংখ্যা ১০। সকল পদ্ধতিতেই অংকের অবস্থানের এর মান নির্ভর করে। নিচের ছবিটি লক্ষ করুন।


২. বাইনারি পদ্ধতি (Binary System)

কম্পিউটারে ব্যাবহৃত প্রায় সব প্রোগ্রামগুলিতে দশমিক পদ্ধতিতে উপাত্ত গ্রহণ করে। তবে বিদ্যুতের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি ছাড়া অন্য কিছু বুঝতে পারে না। এজন্য বাইনারি সংখ্যা নামে একটি সংখ্যা পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয়। এই পদ্ধতিতে কম্পিউটারে বিদ্যুতের উপস্থিতিকে ১ এবং অনুপস্থিতিকে ০ ধরা হয়, যা মেশিনের জন্য সহজে বোধ্যগম্য হয়। এজন্য কম্পিউটারের আভ্যন্তরিণ কাজে বাইনারি পদ্ধতি ব্যাবহার হয়। এই পদ্ধতি সবচেয়ে সরলতম সংখ্যা পদ্ধতি; যার বেজ বা ভিত ২। এতে ০ ও ১ এই দুটি মৌলিক সংখ্যা ব্যাবহার করা হয়। তবে এ পদ্ধতির উপস্থাপিত সংখ্যাগুচ্ছ দীর্ঘকৃতির হয়ে থাকে।

৩. অকটাল পদ্ধতি (Octal System)

বাইনারি অংক বেশ দীর্ঘকৃতি। তাই একে সহজে ও ছোট আকারে উপস্থাপনের জন্য অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির উদ্ভব। এই পদ্ধতির বেজ বা ভিত ৮। এখানে ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭ এই আটটি মৌলিক সংখ্যা ব্যাবহার করে গানিতিক হিসাব নিকাশ সম্পাদন করা হয়। এই পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সংখ্যা হলো ৭। এই সংখ্যা পদ্ধতিটি কম্পিউটারের অভ্যান্তরিন বাইনারি সংখ্যায় প্রক্রিয়াকরণের কাজে ব্যাবহৃত হয়। 

৪. হেক্সাডেসিম্যাল পদ্ধতি (Hexadecimal System)

হেক্সাডেসিম্যাল পদ্ধতিতে মোট ১৬ টি মৌলিক অংক ব্যাবহৃত হয়। সেগুলো হল ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯, A, B, C, D, E ও F. এই ১৬ টি মৌলিক অংক ব্যাবহার করে সকল প্রকার গানিতিক হিসাব সম্পাদন করা হয়। এই সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ১৬। এই পদ্ধতিতে দশমিক পদ্ধতির ১০ এর মান A এবং ১৫ এর মান F, এবং একি ভাবে B মান হলো ১১ ও C এর মান হলো ১২ এইভাবে বাকি মান গুলো নির্ণয় হয়। F এই পদ্ধতির বড় সংখ্যা। ফলে এর চেয়ে বড় সংখ্যা লিখতে হলে একাধীক হেক্সাডেসিমেল অংকের বিন্যাস করে ব্যাবহার করতে হয়। 

 যোগাযোগ ও আইসিটি

যোগাযোগ ও আইসিটি

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে বসবাস করার জন্য সামাজিক যোগাযোগের প্রয়োজন। তবে আইসিটিতে সামাজিক যোগাযোগ বলতে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের মানুষের মিথস্ক্রিয়া কে বঝায়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যোগাযোগ ও ভাব প্রকাশের জন্য যা কিছু সৃষ্টি , বিনিময় বা আদান-প্রদান করে তাই সামাজিক যোগাযোগ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের ফলে মেইল,মোবাইল ফোন ও মেসেজ ইন সিস্টেম, ব্লগিং এবং সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্ম সমূহ ব্যবহার করে বর্তমানে আইসিটি ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ অনেকাংশ সহজ। 



ইন্টারনেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু মাধ্যমের নাম নিচে উল্যেখ করা হলো

  1. ফেসবুক 
  2. টুইটার
  3. ইন্সটাগ্রাম
  4. হোয়াটসঅ্যাপ

ফেসবুক (www.facebook.com)  

ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট। ফেসবুক ২০০৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি মার্ক জুগারবার্গ ও তার বন্ধুদের  নিয়ে এই ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করেন। এ ফেসবুক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য বলি প্রকাশ আদান-প্রদান ও হালনাগাদ করতে সক্ষম হয়। এছাড়া এই ওয়েবসাইটটিতে অডিও এবং ভিডিও প্রকাশ করা যায়। www.stastica.com  এর রিপোর্ট অনুযায়ী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৮ অনুযায়ী বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২.৭বিলিয়ন। 

টুইটার (www.twitter.com) 

ফেসবুকের মত  টুইটারো একটি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট। কিন্তুু  ফেসবুক ও টুইটারের মাঝে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।  টুইটার ব্যবহারকারী  সর্বোচ্চ ১৪০,character-  এর মধ্যে মনোভাব প্রকাশ ও আদান প্রদান করতে হয় ।এই জন্য এটিকে মাইক্রোব্লগিংয়ের  একটি ওয়েবসাইট বলা হয়।  ১৪০ এর এই বার্তাকে টুইট ( tweet) বলা হয় । টুইটারে সদস্য অন্য সদস্য কে টুইট করার জন্য অনুসরণ  বা (Follow)করে। আর যারা অনুসরণ করে তাদের অনুসরণকারী বা (Follower)বলে।

ইন্সটাগ্রাম (www.instagram.com)

সোয়াসিয়াল প্লাটফর্ম ফেসবুকের অধিনে থাকা আরেকটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। এই সোসিয়াল এপ্লিকেশনটি মূলত ইন্ডিয়াতে সব থেকে বেশি ব্যাবহৃত হয়। যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার সমান। যদিও বাংলাদেশের ইন্সটাগ্রাম খুব একটা ভালো যায়গা করতে পারেনি তবে মেটা কোম্পানির ফেসবুকে বাংলাদেশে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।


Friday, April 29, 2022

মেসেঞ্জারে দেওয়া ভয়েস কিভাবে ডাউনলোড করবো how to download voice on facebook messenger

মেসেঞ্জারে দেওয়া ভয়েস কিভাবে ডাউনলোড করবো how to download voice on facebook messenger


ফেসবুক বর্তমান বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোসিয়াল অ্যাপ্লিকেশন এবং এই ফেসবুকের রয়েছে একটি নিজস্ব চ্যাট অ্যাপ যার নাম মেসেঞ্জার (Messenger). ফেসবুকের এই মেসেঞ্জার অ্যাপটি, ফেসবুক ব্যাবহার কারীর মধ্যে ৯৫% মানুষ ব্যাবহার করে থাকে যা বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়। 

দৈনিক বন্ধুদের সাথে আড্ডা, কথা বলা, অডিও ও ভিডিও কল করা এবং বিভিন্ন ইমুজি ও স্টিকার সহ রয়েছে সরাসরি ভয়েস এসএমএস দেওয়ার সুযোগ। এবং এই ভোয়েস আমরা সুধু ফেসবুকেই শুনতে পারি বা অন্যকে ফরওয়ার্ড করতে পারি, আমরা চাইলেও মেসেঞ্জারে দেওয়া ভোয়েস হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোথায় দিতে পারিনা! 

আজকের এই আর্টিকেলে মূলত শেয়ার করবো কিভাবে আপনি খুব সহজে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কারো শেয়ার করা ভয়েস ডাউনলোড করতে পারেন। এবং সেই ভয়েস বা অডিওটি অন্য যে কোন যায়গায় ব্যাবহার করতে ও শেয়ার করতে পারেন।


নিচের স্ক্রিনশট একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, আমার ছোট বোন একটা ভয়েস পাঠিয়েছে তবে আমি ভিয়েসটি একটা কাজে ব্যাবহার করতে চাচ্ছি। এর জন্য ভয়েস ডাউনলোড দেওয়া প্রথম কাজ। তবে চলুন দেখি ভয়েসিটি কিভাবে ডাউনলোড করা যায় সেটা দেখি।

উপরের দেখানো স্ক্রিনশটের ভয়েস আমি ডাউনলোড করতে চাচ্ছি। ফেসবুকে কারো দেওয়ার ভয়েস ডাউনলোড করার জন্য আপনার সর্বপ্রথম আপনার ফোনে থাকা Google Chorome অ্যাপটি ওপেন করবেন এবং এরপর সার্চবারে লিখবেন facebook অথবা সরাসরি ভিজিট করুন https://www.facebook.com ওয়েবসাইটে।

নিম্নে দেখানো প্রথম ওয়েবপেইজ লিংকে আমি ক্লিক করছি।

এবারে ফেসবুকের হোম পেইজ আসবে যা নিম্নের স্ক্রিনশটে দেখানো হলো।

এখানে আপনার ফেসবুকের মোবাইল নাম্বর অথবা ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করবেন। যা দিয়ে আপনার ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে। ফেসবুকে লগিন দিলে ফেসবুক ওয়েবসাইট মোবাইল ভার্শনে ওপেন হবে।

এখান থেকে চ্যাট/মেসেজ আইকনে ক্লিক দিতে হবে যা উপরের ছবিতে লাল মার্ক করে দেখানো হলো।

এবারে যেই ভয়েসটি ডাউনলোড করতে চান সেই ভয়েসটি যে পাঠিয়েছে তার মেসেঞ্জারে প্রবেশ করুন।

এবার S HI ZU Ka নামের আইডির ইনবক্স ওপেন হবে। 


নিম্নে দেখানো স্ক্রিনশটে লাল মার্ক করা এই ভয়েসটি আমি ডাউনলোড করবো!

ভয়েসটি ডাউনলোড করতে, ভয়েস উপর একটি ক্লিক দিতে হবে। ক্লিক দেবার সাথে সাথেই ভয়েসটি আপনার মোবাইল স্টোরেজে ডাউনলোড হয়ে যাবে।

এবার ডাউনলোড কৃত ফাইলটি পেতে File Manager থেকে Download ফোল্ডার চেক করলেই পাবেন।


আশা করি সবাই খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে মেসেঞ্জার ভয়েস ডাউনলোড করবেন।

এই টপিকে কোন প্রকার সমস্যা ফেস করে থাকলে ও না বুঝে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে। 

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লিখতে সহযোগিতা করেছেন Miss Mony


Thursday, April 28, 2022

দর্শনার কেরু এন্ড কোম্পানির ইতিহাস

দর্শনার কেরু এন্ড কোম্পানির ইতিহাস

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশন (BSFIC) এর অধিনে থাকা দেশের একমাত্র সরকারি ডিস্টিলারি প্রতিষ্ঠান। ৮০ বছরের বেশি পুরাতন এইসুগার মিলটিকে ন্যাশনালাইস করা হয় ১৯৭৩ সালে। দেশের এই লিডিং এলকোহোলিক ভেবারেজ প্রিসিউডিং বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ বোতল ফরেন লিকার ও ২৬ লক্ষ লিটার বাংলা লিকার প্রডিউস করে। 

কেরু এন্ড কোম্পানির যাত্রা শুরু হয় ১৯০০ শতকের শুরু দিকে। ঢাকা ট্রিবিউন এর একটি তথ্য সুত্রে জানা যায়, ১৮০৫ সালে জন ম্যাক্সোয়েল নামে এক ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট সাব কন্টেনেন্টের  প্রথম ডিস্টিলারি স্থাপন করেন ব্রিটিশ ভারতের কানপুলে এই অঞ্চলে ব্রিটিশদের উপস্থিতি বাড়ার সাথে সাথে মেক্সওয়েলের ডিস্টিলারির পরিধিও বাড়তে থাকে, এই বার্তি চাহিদা মেটানোর কাজে এসিস্ট করার জন্য উনি একজন সুগার কিং এবং স্পিরিট স্পেসিয়ালিস্ট আনেন যার নামে রবার্ট রাসেল কেরু। 

এর ঠিক পরপরই ভারতে এই বিজনেসের প্রফিট দেখে ২ জন পার্টনার নিয়ে এই ডিস্টিলারি কোম্পানিটি কিনে নেয় রবার্ট কেরু।  

২০২০ সালের জুন পর্যন্ত কেরু এন্ড কোম্পানির কারেন্ট ও নন কারেন্ট এসেস্ট ১১০০ কোটি টাকার বেশি যা রাশিয়া ১৫ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেবল কেরু এন্ড কোম্পানি গত কয়েকবছর ধরে সরকারকে লাভের মুখ দেখাচ্ছে। কেবল ২০২০-২০২১ ফিস্কালিয়ারে কেরুর লিকার বিক্রির মাধ্যমে প্রফিট করেছে ১৯৫ কোটি টাকা। 


Wednesday, April 27, 2022

পরিস্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

পরিস্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

দৈনন্দিন জীবনে কোন কিছু অর্জন করতে হলে নিরলস পরিশ্রম ও এক নিষ্ঠ সাধনার বিকল্প অপরিসীম। পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ভাগ্যকে উজ্জ্বল ও মসৃণ করা 

যাই। ভাগ্যের কথা না ভেবে ভাগ্য বিশ্বাসী লোক অনেক   অলস   এবং শ্রম বিমুখ হয়। তাদের চিন্তাধারা অনেক নিচু মানের হয় । তারা মনে করে ভাগ্যে থাকলে পাবে, না থাকলে পাবে না। কিন্তু তারা,  মনে করে না যে এই, আশায় বসে থাকলে, জীবনে কোনো মতে উন্নতি করা সম্ভব না। কঠিন, কঠোর পরিশ্রম করে বিরূপ ভাগ্যকে জয় করতে হয়। লক্ষ্য স্থির করে, সঠিক পদ্ধতিতেকৃষক ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে ফসল ফলায় না  পরিশ্রম করলে সৌভাগ্য আপনা‌_আপনি ধরা দেয়। এই পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যারা সফল হয়েছেন, তাদের পিছনে রয়েছে পরিশ্রমের জাদু । 



কৃষক ভাগ্যের উপরে বসে থেকে ফসল ফলায় না, তাকে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপন্ন করতে হয় । তেমনি পরিশ্রম ছাড়া দুনিয়াতে ভালো কিছু অর্জিত হয় ন। 

★জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য পরিশ্রম অপরিহার্য । 

,,.....যে জাতি যত পরিশ্রমী, সে জাতি তত উন্নত।.........

তাই অযথা ভাগ্যের পিছনে না দৌড়ে, লক্ষ্য স্থির করে  সঠিক পদ্ধতিতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা উচিত। ★

Sunday, April 24, 2022

স্কোয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড Square Pharmaceuticals Ltd. বাংলাদেশের সব থেকে বড় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি

স্কোয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড Square Pharmaceuticals Ltd. বাংলাদেশের সব থেকে বড় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি

স্কোয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডঃ ঔষধ উৎপাদনে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ফার্মাসিটিক্যালস এই কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করে ১৯৫৪ সালে Samson H. Choudhury এবং আরো ৩ জন মিলে দেশের শীর্ষ এই ঔষধ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে এবং ১৯৯১ সালে পাবলিক কোম্পানিতে রুপান্তর করা হয় এবং এরই দ্বারাবাহিকতায় ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে DSEL (Dhaka Stock Exchange Ltd.)  তে লিস্ট করা হয়।

বর্তমানে টেবলেট থেকে শুরু করে সিরাপ, ক্যাপ্সুউল, ইনজেকশন, ইনফুইশন, সাবিঞ্জুটারিসহ নানান ধরনের ঔষধ প্রস্তুত করছে স্কোয়ার ফার্মাসিটিক্যালস। ঔষধের পাশাপাশি কোম্পানিটি ব্যাসিক ক্যামিক্যাল, এনিমেল হেলথ প্রোডাক্ট, এগ্রোভেট এবং পেস্টিসাইড প্রোডাক্টও ম্যানুফ্যাকচার করে থাকে।



কোম্পানিটি ৬৬৯ টি ফার্মাসিটিক্যাল প্রোডাক্টের পাশাপাশি, ৭৪ টি এগ্রোভেট প্রোডাক্ট, ৩২ টি পেস্টিসাইড ও ১৪ টি পেলেট এবং ৮ টি বেসিক ক্যামিক্যাল প্রস্তুত করে। ১৯৮৭ সালে এন্টিবায়টিক এবং অন্যান্য ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাক্টের মাধ্যমেই যাত্রা শুরু করে স্কোয়ার।

বর্তমানে এসিয়া, আফ্রিকা এবং অস্ট্রোলিয়া মহাদেশের মোট ৪২ টি দেশে ঔষধ রপ্তানি করছে স্কোয়ার। এর পাশাপাশি স্কোয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বাংলাদেশের সর্ব প্রথম পজিশন হিসেবে কেনয়ার রাঝধানি নাইরবিতে ১৭০ কোট টাকা খরচে একটি ঔষধ ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট প্রতিষ্টা করেছে। 

বর্তমানে প্ররিষ্ঠানটতে ১০,০০০ এর বেশি মানুষ কর্মরত রয়েছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট রেভিনিউ ছিলো ৫,৮৩৫ কোটি টাকা যার মধ্যে ৫,৬৮৪ কোটি টাকা রেভিনিউ এসেছে ডোমেস্টিক সেলের মাধ্যমে এবং বাকি ১৫১ কোটি টাকা এসেছে এক্সপোর্ট থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি ১৭.৭৩% মার্কেট শেয়ার নিয়ে স্কোয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড মার্কেট ডমিনেট করছে।

Thursday, April 21, 2022

ফেসবুকের ইতিহাস

ফেসবুকের ইতিহাস

ফেসবুক (Facebook) পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৩% ব্যাবহার করে নিয়ে বিস্বের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম, যা গ্লোবাল ভিলেজ কন্সেপ্টকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।

কোটি কোটি ব্যাবহার কারী ফেসবুকে তাদের প্রোফাইল তৈরি করে তাদের ছবি ভিডিও এবং টেক্সট ব্যাবহার করে নিজেদের অনুভুতি প্রকাশের মাধ্যমে কানেকশন তৈরি করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বিজনেস গুলোর জন্য এ্যডভার্টাইজিং ও এনালিটক্সের আধুনিক টুল ব্যাবহার করে প্লাটফর্মটিতে থাকা ডিজার্ড অডিয়েন্সের কাছে পৌছার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

একটি ডম রেন্ট প্রজেক্ট পৃথিবীর সকল কোণায় পৌছে যাওয়া ফেসবুক বর্তমানে ফেসবুক সোসিয়াল মিডিয়া হায়ারার্কির শীর্ষে অবস্থান করছে। 

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠানা মার্কা জাকার বার্গ (Mark Zukerbark ) ডেন্টিস বাবা এবার্ড জাকার্বার্গের দ্বিতীয় সন্তান যিনি ১৯৮৪ সালের ১৪ ই মে USA এর New York এ জন্ম গ্রহণ করেন।

ছোটবেলা থেকেই মার্ক কম্পিউটারের প্রতি বেশ আগ্রহ ছিলেন পরবর্তিতে তার বাবার কাছ থেকে অল্টিয়ার বেসিক সম্পর্কে ধারনা লাভ করে। মার্ক কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ দেখে সফটওয়্যার ডেভেলপার ডেভিড নিউম্যানকে হায়ার করা হয় মার্ককে প্রোগ্রামিংস শেখানোর জন্য। এরপর মার্ক প্রোগ্রামিং শিখতে থাকে এবং মাত্র ১২ বছর বয়সে মার্ক নিজে Zucknet নামে একটি মেসেজিং প্লাটফর্ম তৈরি করেন।


মার্কের বাবা এই মেসেজিং প্রোগ্রামটি ডেন্টাল চেম্বারে রিসিপশন স্টেশনে যোগাযোগ কাজের জন্য ব্যাবহার করতো, এমনকি তাদের বাসায়ও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য এই প্রোগ্রামটি ব্যাবহার করত। এছাড়াও মার্ক তার বন্ধুদের করা আর্ট থেকেও বিভিন্ন গেম তৈরি করেছে। 

ছোট বেলা থেকেই মার্ক ছিলেন একজন জিনিয়াস, তাকে যাই শেখানো হতো সে তাই অল্প সময়ের মধ্যে শিখে ফেলতেন। যার প্রেক্ষিতে মার্ককে মার্সি কলেজে (Mercy College) গ্রাজুয়েট কোর্সের জন্য ভর্তি করা হয়। কিন্তু মার্সি কলেজের কারিকলাম তার কাছে চেলেঞ্জিং মনে না হওয়ায় হাইলি কম্পারেটিং স্কুল Phillips Exceter Academy তে তাকে ভর্তি করা হয়। 

নিজের ফ্যসিনেশন থেকে মার্ক নতুন নতুন কম্পিউটার প্রোগ্রাম ডেভলপ করতে থাকে। এক পর্যায় তিনি সিন্যাপ্স যা ছিলো প্যান্ড্রোরা স্ট্রিমিং এ্যাপ্সের আর্লি ভার্শন। এওএল (AOL) এবং মাইক্রোসফট (Microsoft) এর মত জায়েন্ট কোম্পানি গুলো তার এই প্রোগ্রামটি কেনার জন্য ১ মিলিয়ন ডলার অফার করার পাশাপাশি মার্কে তাদের কোম্পানিতে জব করার জন্য অফার করা হয়েছিলো। কিন্তু মার্ক কোম্পানি গুলোর সকল অফার ফিরিয়ে দিয়ে ২০০২ সালে Exceter Academy থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হোন। হার্ভার্ডে গ্রাজুয়েশনের দ্বিতীয় বছরে কোর্স ফেসম্যাস (FaceMash) নামে একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিতি লাভ করে। 

এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্টুদেন্টরা তাদের কোর্সের ভিত্তিতে ক্লাসের স্কেজুয়াল করতে সহায়তা করত। 

ফেসবুকের ইতিহাস শুরুটা হয়েছিলো এই ফেসম্যাশ থেকে অর্থায় ফেসবুকের ইতিহাস নিয়ে বলতে গেলে শুরুতেই চলে আসবে ফেসম্যাশের নাম। এটি মূলত ইউজারদের ভোটের মাধ্যমে হার্ভার্ডের বিভিন্ন স্টুডেন্ট যেমন ফিমেলদের মধ্যে কে বেশি আকর্ষণীয় ছিলো তা ডিটার্মাইন করার একটি ওয়েবসাইট। সাইট হার্ভার্ডে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠে যে হার্ভার্ডের সার্ভার পর্যন্ত ক্রাশ করে। 

যার প্রেক্ষিতে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি সিকিউরিটি, কপিরাইট ইস্যু ও প্রাইভাসি ভায়োলেশনের জন্য মার্কে জরিমানা করে।

ফেসম্যাশের এমন সফলতায় হার্ডভার্ডের ৩ সিনিয়র মার্কে খুজে পান। এই ৩ জন তখন হার্ভার্ড কানেকশন (HarvardConnection) নামে একটি সোসিয়াল নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছিলো, এই সাইটটি মূলত হার্ভার্ডের এলিট ক্লাসের ডেটিং সাইট হিসেবে ডিজাইন করা হচ্ছিলো। তবে যেহুতু তারা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং জানতনা তাই তারা কোডার হিসেবে মার্ককে এই প্রজেক্টির সাথে যুক্ত করে। হার্ভার্ডকানেকশনের কাজ করার শুরুতে মার্ক বেশ প্রগ্রেস দেখালেও কিছুদিনের মধ্যেই মার্ক তার নিজের সোসিয়াল সাইট Thefacebook নিয়ে কাজ করার জন্য প্রজেকটি থেকে সরে আসে। 

২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে মার্ক ও তার আরো ৩ বন্ধু মিলে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি ডমিটরিতে thefacebook তৈরি করে। তার ৩ বন্ধুদের মধ্যে Edua Afrin নিজে ১০০০ মার্কিন ডলার ইনভেস্ট করে। সে বছরের জুন মাস পর্যন্ত এই সাইটটি ডমিটরি থেকে পরিচালনা করা হয়েছিল। thefacebook যখন লঞ্চ করা হয় তখন friendsten ও myspace নামে এই সোসিয়াল সাইট গুলো বেশ জনপ্রিয় ছিলো। 

Monday, April 18, 2022

বাংলাদেশের ফার্মাসিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি মার্কেট সাইজ

বাংলাদেশের ফার্মাসিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি মার্কেট সাইজ

বাংলাদেশের ফার্মাসিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, ২৭০০০ কোটি টাকারর বেশি মার্কেট সাইজ নিয়ে দেশের মোট ডিমান্ডের ৯৮ শতাংশই পূরণ করছে দেশের অন্যতম এই গ্রোয়িং ইন্ডাস্ট্রি। প্রতিবছর গড়ে ১৫ শতাংশের (১৫.৬%) বেশি হারে গ্রো কররা এই সেক্টরটির ২০২০-২১ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১৬৯ মিলিয়ন ডলার। যা ১৫০টি দেশে ঐষধ রপ্তানি করে জেনারেট হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে গ্লোবাল ফার্মাসিটিক্যাল এক্সপোর্টের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৭১ তম। বর্তমানে দেশে ২৫৭ টি ফার্মাসিটিক্যাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতষ্ঠান রয়েছে।




বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট মার্কেট সাইজ কত বড়?

বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট মার্কেট সাইজ কত বড়?

প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা মার্কেট সাইজ নিয়ে কাঞ্জুমার ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশের অন্যতম গ্রোয়িং সেক্টর। একসময় সতভাগ আমদানি নির্ভর এই সেক্টরটির বেশীরভাগ প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির মার্কেট লিডার বর্তমানে লোকাল ব্রান্ড গুলোর দখলে। 

লোকাল মার্কেটের ডিমান্ড মেটাতে দেশীয় ব্রান্ডগুলোর এ ধরনের সাফল্য ফরেইন ব্রান্ডগুলোও লোকালি ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করেছে। এমনকি বর্তমানে দেশীয় ব্রান্ডগুলো লোকাল কঞ্জুমারদেরর ডিমান্ড মিট করে গ্লোবালিও প্রোডাক্ট এক্সপোর্ত করছে।

উল্লেখ্য দেশের সবচেয়ে বড় কঞ্জুমার ইলেক্ট্রনিক্স ওয়ালটন ইতিমধ্যে বিশ্বের কয়েকটি দেশে নিজেদের অফিস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্লোবাল প্রেজেন্সও ইনসিউর করছে। 

২০২২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ সরকার "শেখ হাসিনা" ঘোষনা করেন যে, বাংলাদেশের সতভাগ মানুষ এখন ইলেক্ট্রিসিটি কভারেজের আহতায় যা ২০০৯ সালে ছিলো মাত্র ৪৭ শতাংশ। তাছাড়া পার কেপিটা ইনকাম বৃদ্ধির পাশাপাশি রেপিড অর্গানাইজেশন বাংলাদেশের মানুষের বায়িং পেটার্ন ও বেহিবিয়ারও বেশ পরিবর্তন এনেছে। যার প্রেক্ষিতে বর্তমানে বাংলাদেশে কঞ্জুমার ইলেক্ট্ররনিক্স ও হোম এপ্লাইয়েন্সের ব্যাবহারও বেড়েছে কয়েকগুন। 

বাংলাদেশের ইলেক্ট্রকিক্স নিয়ে যাত্রা শুরু হয় ১৯৫০ এর শতকে, ততদিনে দেশে রেডিও স্টেশন প্রতিষ্টা ও রেডিও ব্যাবহার বাড়তে থাকাইয় দেশে কঞ্জিউমারের চাহিদা মেটাতে কয়েকটি প্রাইভেট কোম্পানি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বা রেডিও এসেম্বল করার জন্য কয়েকটি প্রাইভেট কোম্পানি প্রতিষ্টা করে। পরবর্তি দশকে প্রতিষ্ঠান গুলো টেলিভিশন সেটয়াপ রিডিউস করতে শুরু করে। ্তবে ১৯৮০ দশকের আগের দিকে বাংলাদেশের প্রাই সকল ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট যেমন- রেডিও, টেলিভিশন, কেসেট ও অডিও প্লেয়ার বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভর থাকলেও ১৯৮০ দশকের পর থেকে বাংলাদেশে কিছু এসেম্বলি প্লান্ট প্রতিষ্টা করা হয়।

এরপর ধীর গতিতে দেশ যাচ্ছিলো এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ মার্কেটে ওয়ালটন ইলেক্ট্রনিক্স যাত্রা শুরু করে। এবং বর্তমানে ওয়ালটনের অবদান বাংলাদেশে অপরিশীম।


 

Sunday, April 17, 2022

হোয়াটসঅ্যাপ কেন এত জনপ্রিয়?

হোয়াটসঅ্যাপ কেন এত জনপ্রিয়?

হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) সোসিয়াল মিডিয়া জায়েন্ট ফেসবুক (Facebook) এর অধিনে একটি ইন্সটান্ট মেসেজিং ও কলিং অ্যাপ। বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়নের বেশি ইউজার নিয়ে ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ গুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তা রয়েছে সবার শীর্ষে হোয়াটসঅ্যাপ।

২০০৯ সালে ব্রাইন এক্টন এবং জোহন হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠা করে। শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপ শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপ ইন্ডিভিজুয়াল স্ট্যাটাস আপলোড করার জন্য তৈরি করা হলেও 

২০১৪ সালে ফেসবুক কর্তৃক একোজিশনের পর হোয়াটসঅ্যাপকে ধীরে ধীরে ফেসবুক ইকো সিস্টেমে ইন্ট্রিগ্রিটেড করা হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে হেড অফ মিস্টার উইল ক্যাথকার্ট জানান যে অ্যাপটিতে প্রতিদিন ১০০ বিলিয়নের বেশি এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। যদিও মেসেজিং ও কলিং এর মত ফিচার গুলো ব্যাবহারের জন্য ইন-অ্যাপ পার্চেস বা কোন রকমের সার্ভিস চার্জ প্রয়োজন পরেনা। এবং অন্যান্য সোসিয়াল অ্যাপের মত কোন এডস শো করেনা। তাহলে এই অ্যাপটির আয়ের মূল উৎস কি? 


হোয়াটসঅ্যাপ ২০০৯ সালে প্রতিষ্টিত হয়, হোয়াটসঅ্যাপ ইন্ডিভিজুয়াল স্ট্যটাস আপডেট করা জন্য তৈরি করা হলেও পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপ ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে লঞ্চ করা হয়। ২০১০ সালে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের এন্ড্রয়েড ভার্শন রিলিজ করে এরপরেই হোয়াটসঅ্যাপ দ্রুত গ্রো করতে থাকে এবং ২ বছরের মধ্যে এর মান্থলি এক্টিভ ইউজার 100 Million ছাড়িয়ে যায়! এর ঠিক পরবর্তী বছরেই এর সংখ্যা দ্বীগুন অর্থাৎ ৪০০ মিলিয়নে গিয়ে ছাড়িয়ে যায়। 

সহজ ইউজার ইন্টারফেস এসএমএস টু এসএমএস ইনক্রিপশন সুবিধা এবং ফাস্ট ও রিলাবেল মেসেজিং এর জন্য প্রতিবছরি এর ইউজার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। 

হোয়াটসঅ্যাপ প্রথম পর্যায় আইফোনে যখন কেউ অ্যাপ ডাউনলোড করত তাহলে তার থেকে 0.99$ চার্জ করতো। যদিও ধিরে ধিরে অন্যান্য প্লাটফর্মের জন্য অ্যাপটি রিলিজ করা হলে অ্যাপটি ফ্রী ডাউনলোড ও ফ্রী ব্যাবহারের জন্য একবছরের জন্য ট্রায়েল ও দেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তী বছর ০.৯৯$ চার্জ নিতো। 

যদিও হোয়াটসঅ্যাপ কখনোই ট্রায়েল শেষে কাস্টমাএ/ইউজারদের সেরকম ভাবে পুশ করেনি কারন তারা মূলত ইউজার বাড়ানোর দিকে বেশি ফোকাস করছিলো।

সব মিলিয়ে মূলত সহজ ইন্টারফেস, ফাস্ট, স্মুথ ও লাইটওয়েট ও ফ্রী ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপসের জন্যই হোয়াটসঅ্যাপ এত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।

E-Cab E-commerce Association of Bangladesh ইক্যাব কী?

E-Cab E-commerce Association of Bangladesh ইক্যাব কী?

ইক্যাব বা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়াশন অফ বাংলাদেশ ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে (ই-ক্যাব) মূলত অনলাইন ভিত্তিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বা ই-কমার্স ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর কথা চিন্তা করেই এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। 

ই-ক্যাব দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশের ই-কমার্স উদ্যোক্তা এবং অনলাইন ব্যাবসাকে ই-ব্যাবসায় রুপান্তর করতে সারাদেশে ই-ব্যাবসা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ই-ক্যাব ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের সম্প্রসারণ এবং আন্তরজাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিদেশে আমাদের স্থানীয় ব্যাবসা করার জন্যও কাজ করছে। 

বর্তমানে ই-ক্যাবে প্রায় ২০০০+ ট্রেডিং মেম্বার রয়েছে যারা সবাই অনলাইন বিজনেস বা ই-ব্যাবসা করে আসছে। অ্যাসোসিয়াশন বাংলাদেশে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের বিকাশ ও সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত সেমিনার, কর্মশালা এবং প্রশিক্ষনের আয়োজন করে।

ই-ক্যাব বাংলাদেশ গভার্মেন্টের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অনলাইন বিজনেস বা ই-ব্যাবসা যারা করে তাদেরকে ভালো মেইনটেইন করা। যেমন একজন ব্যাক্তি একটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক।  এখন সে এই অনলাইন বিজনেসের মাধ্যমে কাউকে ঠকাচ্ছে কিনা? ভালো সার্ভিস দিচ্ছে কিনা? পাবলিকেদ টাকা আবার মেদে খাচ্ছেনাত? এরকম আরো অনেক ধরনের সমস্যা থেকে স্বাধারন পাবলিকদের মুক্ত রাখার জন্য সরকার ২০১৫ সালে ই-ক্যাব নামে এই প্রতিষ্ঠান করেন। 

এখন অনলাইনে কেউ যদি বেশ ভালোভাবে আইনের বাধা ছাড়া ব্যাবসা করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই ই-ক্যাব মেম্বার হতে হবে। 

এখন আসি ই-ক্যাব মেম্বার কেন হবো? বা সুবিধা কি? এটার উত্তর না বললেই নয়। ই-ক্যাব বাংলাদেশ গভার্মেন্ট একটি প্রতিষ্ঠান যা তৈরি করা হয়েছে ই-বিজনেস ভালোভাবে করার জন্য। এবং সেই প্রেক্ষাপটে উল্যেক্ষ্য একটি উদাহরন হচ্ছে ধরুন হটাত কোন কারনে লগডাউন ঘোষনা হলো তাও পুরো বাংলাদেশ তবে আপনার ব্যাবসা অনলাইনে। এখন আপনি স্বাধারন মানুষের থেকে যেই অর্ডার গুলো অনলাইনে নিবেন এইগুলো অবশ্যই ফিজিক্যালি ডেলিভারি দিতে হবে। আর এই ডেলিভারি লিগডাউনে দিতে হলে অনেক জবাদিহি করতে হবে এবং এর জন্য আলিনার জেল জরিমানা হতে পারে। তবে যদি ই-ক্যাব মেম্বার হোন তাহলে আপনার প্রোডাক্ট ডেলিভারি কৃত গাড়ি কেউ আটকাবেনা এবং আপনার জবাবদিহি করতে হবেনা। এর বাহিরেও আরো অনেক ফ্যাসিলিটি আছে। 



Saturday, April 16, 2022

Oppo, Vivo, Realme, Oneplus By BBK Electronics  অপো, ভিভো, রিয়ালমি এই ব্রান্ড গুলোর মূল কোম্পানি কী?

Oppo, Vivo, Realme, Oneplus By BBK Electronics অপো, ভিভো, রিয়ালমি এই ব্রান্ড গুলোর মূল কোম্পানি কী?

চায়নার সুপার জায়েন্ট BBK Electronics. বর্রমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্মার্টফোন ম্যানুফাকচারিং কোম্পানি। কাউন্টার পয়েন্টের একটি তথ্য সুত্রে, ২০২১ সালের প্রথম কুয়াটারে Oppo, Vivo ও Realme প্রায় ৮৬ মিলিয়ন স্মার্টফোন বিক্রি করতে সক্ষম হয়। যার ফলে স্যামসাং, অ্যাপল ও সাওমিকে পেছনে ফেলে ২৫% মার্কেট শেয়ার নিয়ে BBk Electronics বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। 

তবে কোম্পানিটর অন্যতম সফল ব্রান্ড ONEPLUS, IQOO এবং Vsum এর মত ব্রান্ডের স্মার্টফোন বিক্রির সংখ্যা যোগ না করেই এচিপ করতে পেরেছে। 

যদিও Oppo, Oneplus, Vivo ও Realme এর মত ব্রান্ড গুলোর প্রতিষ্ঠাতা BBK Electronics হলেও কোম্পানি গুলো নিজেদের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে BBK Electronics কে প্রোমট করেনা। তবে এই ব্রান্ড গুলো ছাড়াও Vsum, Iqoo, Imoo, Xtc, Dizo এর মত আরো বেশ কয়েকটি ব্রান্ড ও সাব ব্রান্ডের প্রতিষ্ঠাতাও এই কোম্পানিটি। 

এত এত ব্রান্ড ও সাবব্রান্ড এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে BBK Electronics আদোতে কত বড়? (এর পরের আর্টিকেলে পাবেন)



Wednesday, April 13, 2022

 ওয়ালটন মাদারবোর্ড ম্যানুফ্যাকচারিং

ওয়ালটন মাদারবোর্ড ম্যানুফ্যাকচারিং

বাংলাদেশের লিডিং টেক কোম্পানি ওয়ালটন এখন মাদার ম্যানুফ্যাকচারিং করা শুরু করেছে। এটি বাংলাদেশের জন্য আরো একটি গর্বের বিষয়। কারন উন্নত প্রযুক্তি-সচেতন হওয়ার এবং উন্নত প্রযুক্তির জন্য আমদানির উপর নির্ভরতা কোমানোর জন্য এটি বেশ ভালো একটি মাধ্যম! 

যদিও ওয়ালটনের এর আগে থেকেই নিজস্ব মাদারবোর্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি ছিলো এবং অইখানে যেইগুলো তৈরি হতো তা তাদের নিজেদের জন্য ছিলো। তবে এবারে তারা তা ডাবল করেছে এবং এবার তারা বাহিরেও সেল করবে। 

ওয়ালটন জানিয়েছে নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে সম্পূর্ণ অটোমেশন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে দেশেই সিংগেল লেয়ার, ডাবল লেয়ার ও মাল্টি লেয়ার পিসিবি উৎপাদন করছে ওয়ালটন পিসিবি।

এই মাদারবোর্ড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ঢাকা গাজীপুর, কালিয়াকইর।

এবং কিছুদিন আগেই ওয়ালটন বিদেশি ৩ টি টেক কোম্পানি কিনে নেয়। সেই সাথে রিসেন্টলি মাদারবোর্ড ম্যানুফ্যাকচারিং এর কথা ভাবে।

একবার ভেবে দেখুন নিজের দেশে মাদারবীর্ড তৈরি হবে। এবং সেই মাদারবোর্ড বিভিন্ন দেশে যাবে ও পেকেজিং এ লিখা থাকিবে Made in Bangladesh. ওয়ালটনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বাংলাদেশকে এইভাবে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য। 


আরো পড়ুন

  1. ওয়ালটনের ইতিহাস Walton History

Monday, April 11, 2022

রবির ইতিহাস Robi History

রবির ইতিহাস Robi History

রবি প্রায় ৫১ মিলিয়ন গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শীর্ষ টেলিকম অপারেটর। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম ভিত্তিক AKK (AK Khan & Company) এবং টেলিকম মালেসিয়ার একটি জায়েন্ট ভেনচারে AkTEL নামে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ২০১০ রবি নামে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে কোম্পানিটি। ২ দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিচালনা করার পর ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ ৫২৩ কোটি টাকা IPO নঞ্চের মাধ্যমে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টোক মার্কেটে আত্বপ্রকাশ করে। 

বিঃদ্রঃ রবি এবং এয়ারটেল/একটেল এইগুলো সব একি কোম্পানি।

সাবস্ক্রাইবার সংখ্যার ভিত্তিতে কোম্পানিটির মার্কেট শেয়ার বর্তমানে ২৯.৭%। টেলিকম সার্ভিস দেওয়ার পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরটি গ্রাহকদের বিভিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস ও দিয়ে আসছে। এছাড়াও কোম্পানিট তার B2B Business inspection এর লক্ষ্যে Cloud, Analytics এবং মোবাইলের বিভিন্ন ডিজিটাল সার্ভস প্রোভাইড করছে। 


রবির ইতিহাস

১৯৯৬ সালে টেলিকম মালেসিয়া এবং চট্টগ্রামের AKK মধ্যকার জয়েন্ট ভেঞ্চারে প্রতিষ্ঠিত হয় TM International Bangladesh Ltd. এই কোম্পানিটিতে যথাক্রমে ২ কোম্পানির শেয়ার ছিলো। যার মধ্যে TM (Telecom Malysia) ছিলো ৭০% এবং AKK এর ছিলো ৩০%। সে বছর বাংলাদেশ সরকার Grameenphone, Sheba Telecom এবং TM International Ltd কে বাংলাদেশে GSM টেকনোলজি অপারেটর সার্ভিস হিসেবে চালু করার লাইসেন্স প্রোভাইড করে।

রবি ১৯৯৭ সালের ইতিহাস

১৯৯৭ সালের ১৫ নভেম্বর জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানিটি AkTEL নামে ঢাকায় সেলুলার সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তিতে ২৬ মার্ভ ১৯৯৮ সালে AkTEL চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করে। একি বছর কোম্পানিটি তাদের কার্যক্রম নারায়নগঞ্জ ও কক্সবাজার এক্সপেইন করে। 

রবি ১৯৯৯ সালর ইতিহাস

১৯৯৯ সালে  এক্টেল প্রিপেইড সার্ভিসের পাশাপাশি প্রথমবারের মত এসএমএস সার্ভিস চালু করে। এদিকে গ্রাহকদের নিরুবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটেল ঢাকা এবং চট্টগ্রাম হাইওয়েতে সিমলেস নেটওয়ার্ক কাভারেজ প্রতিষ্টা করে, যা CDC বা Chittagong Dhaka Carridor হিসেবে পরিচিত ছিল। 

২০০১ সালের রবি

২০০১ সালে AKTEL ওয়ান প্রিপেইড (One Prepaid) চালু করে এবং বাংলাদেশের টেলিকম মার্কেটে সর্বপ্রথম পুর্নাঙ্গ ইন্ট্রিগ্ররেটেড ভোয়েস রেস্পন্স ভিত্তিক কল সেন্টার সেবা প্রদান করতে শুরু করে।

২০০২ সালের রবি 

২০০২ সালে AKTEL প্রথম BTTB Incoming সেবা চালু করে। The Lawyers n Jurists এর একটি আর্টিকেল সুত্রে ২০০২ সালে AKTEL প্রথম দেশের উত্তর অঞ্চলে রংপুর এবং দিনাজপুরে সেলুলার সার্ভিস দিতে শুরু করে। এছাড়াও সে বছরি প্রতিষ্ঠানটি POST Paid কাস্টমারের জন্য পেমেন্ট রিকুএস্ট (Payment Request) ও Automatic Bill Generation সার্ভিস দিতে শুরু করে। 

২০০৪ সালে রবির ইতিহাস

২০০৪ সালে AKTEL (একটেল) দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে চট্টগ্রামের ৩ টি জেলা ছাড়া বাকি ৬১ জেলাতে সফল ভাবে অপারেট করার পাশাপাশি ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবের মাইলফলক অতিক্রম করে। তাছাড়া সে বছরেই তারা Inter Operator এর SMS Service এবং International Roaming Service চালু করে করে। 


আরো পড়ুনঃ

বাংলালিংক কেন সবার থেকে পিছিয়ে? 

Sunday, April 10, 2022

মোবাইল দিয়ে কিভাবে জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়? How to create Gmail Account on Mobile Phone

মোবাইল দিয়ে কিভাবে জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়? How to create Gmail Account on Mobile Phone

Gmail বা Google Mail এটি ছাড়া বর্তমানে এন্ড্রয়েড মোবাউল অচল বললেই চলে। কারন এন্ড্রয়েড মোবাইলে আপনি নেট যগতের যে কোন কাজই করেন না কেন এই জিমেইল আপনার থেকে চাইবেই। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে ইউটুব, গুগল প্লে স্টোরসহ আরো অনেক যায়গায় জিমেইল ছাড়া প্রবেশ করা যায়না। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমি দেখাবো কিভাবে আপনি খুব সহজে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে জিমেইল (Gmail) অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। মোবাইল দিয়ে জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য মোবাইলে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকা লাগবে। 

জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য জেতে হবে মোবাইলের সেটিংসে এবং মোবাইলের সেটিং থেকে Accounts Tab খুজে বের করুন (যেমন্টা নিচের ছবিতে দেখছেন SC-1) এই ট্যাব যদি না পান সেইক্ষেত্রে সেটিংস এর উপরের অংশে সার্স করার একটি অপশন আছে অইখানে Account লিখে সার্স করুন। 

এবারে অ্যাকাউন্ট অপশনে ক্লিক দিন, যেটা উপরের স্ক্রিনশটে মার্ক করা দেখতে পারছেন। Account Option ক্লিক দেবার পর নিচের স্ক্রিনশটের মত একটি স্ক্রিনআসবে। এখানে আপনার সকল অ্যাকাউন্ট দেখা যাবে। 

এখান থেকে Add Account ক্লিক দিতে হবে। Add Account ক্লিক দিলে নিচে দেখানো স্ক্রিনশটের মত একটা স্ক্রিন আসবে। 


যেহুতু Gmail গুগলের সেহুতু আমাদেরকে Google সিলেক্ট করে নিতে হবে। ঠিক উপরে দেখানো স্ক্রিনশটের মত। এবং Google অপশনে ক্লিক দেবার পর নিচে দেখানো স্ক্রিনশটের মত একটি স্ক্রিন আসবে।


উপরে দেখানো স্ক্রিনশট যদি লক্ষ করেন তাহলে দেখুন Create Account ক্লিক দেওয়া হয়েছে। এবং এর পর উপরে আরো ২টা অপশন আসছে। এখান থেকে আপনি যে কোন একটি অপশন সিলেক্ট করে নিতে পারেন। আমি এখান থেকে For Myself সিলেক্ট করছি। 

For Myself ক্লিক দেবার পর নিচে দেখানো স্ক্রিনশটের মত স্ক্রিন আসবে। এবং এখানে আপনার নামের প্রথম অংশ ও দ্বিতীয় অংশ দিন। চাইলে কোন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েও খুলতে পারবেন। যেমন আমি এখানে লিখেছি Jibannagar প্রথম অংশ হিসেবে আর IT Park দ্বিতীয় অংশ হিসেবে।


প্রথম নাম ও দ্বিতীয় নাম দেওয়ার পর Next বাটনে ক্লিক দিতে হবে। Next বাটনে ক্লিক দিলে নিচে দেখানোর স্ক্রিনশটের মত একটি স্ক্রিনআসবে।এবং এই স্ক্রিনে আপনার জন্ম তারিখ লিখবেন। চেষ্টা করবেন যেনো ১৮ বছরের বেশি বয়স হয় এরকম জন্ম তারিখ লিখতে।


যেমন আমি এখানে জন্ম তারিখ হিসেবে 5 Day January Month 2000 এবং Gender এখানে ছেলে হলে Male এবং মেয়ে হলে Female এবং আপনি যদি তৃতীয় লিংগের হোন তাহলে Others সিলেক্ট করুন। সব শেষে Next বাটনে ক্লিক দিন। Next বাটোনে ক্লিক দিলে নিচে দেখানো স্ক্রিনশটের মত একটি স্ক্রিনআসবে। 

এখান থেকে আপনার Gmail Address বেছে নিন।  স্ক্রিনশট যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন গুগল আমাকে ২ টি জিমেইল সাজেস্ট করেছে এবং এই গুলো আমি জেই নাম দিয়েছি তার সাথে মিল আছে। আপনি চাইলে এখান থেকে যে কোন একটি ক্লিক দিয়ে সিলেক্ট করতে পারেন। বা আপনি কাস্টম ভাবে তৈরি করতে চাইলে Create your own Gmail address এখানে ক্লিক করতে পারেন। তবে আমি এখান থেকে গুগলের দেওয়া একটি জিমেইল সিলেক্ট করছি।



যদি লক্ষ্য করেন উপরে দেখানো স্ক্রিনশটে কিন্তু আমার মোবাইল নম্বর চাচ্ছে। এটা দেওয়া খুবি জরুরি যার কারন আপনি যদি কখনো জিমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে খুব সহজে মোবাইল নাম্বর দিয়ে রিকভারি করে নিতে পারবেন। তবে আমার অলরেডি কিছু পার্সোনাল জিমেইল আছে তাই আমি এটা Skip এ ক্লিক দিচ্ছি। তবে আপনি অবশ্যই আপনার নাম্বর দিয়ে রাখবেন। 

Skip ক্লিক দেওয়ার পর আপনার থেকে আপনার জিমেইলের পাসওয়ার্ড সেট করতে বলা হবে।
 

উপরে দেখানো স্ক্রিনশটের মত একটি স্ক্রিন আসবে এখানে আপনার পাসওয়ার্ডটি দিয়ে দিবেন।  আর হ্যা পাসওয়ার্ডে সব কিছু মিলিয়ে দিবেন, যেমন কিছু লেটারর, কিছু নাম্বর এবং কিছু সিম্বল ইত্যদি দেওয়ার পর Next ক্লিক দিবেন। 

এরপর কিছু ডকুমেন্ট আসবে এইগুলো পরে নিবেন অন্যথায় Agree তে ক্লিক দিবেন। তাহলেই আপনার মোবাইল জিমেইল অ্যাকাউন্ট হয়ে যাবে। 

এখানে দেখানো স্ক্রিনশট আপনার অ্যাকাউন্ট খোলার সময় নাও মিলতে পারে তবে প্রসেস হুবুহু সেম থাকবে। আর তারপরো কেউ যদি কোন কিছু জানতে আমাদের আর্টিকেল পরে কমেন্ট করতে পারেন ধন্যবাদ।

Thursday, April 7, 2022

ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করুন কোন অ্যাপ ছাড়াই

ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করুন কোন অ্যাপ ছাড়াই

দৈনন্দিন জীবনে আমরা সবাই আমাদের অর্ধেক সময়টা ফেসবুক বা অন্যান্য সোসিয়াল অ্যাপ বা সাইটে দিয়ে থাকি। বর্তমান সময়ে কয়েক হাজার সোসিয়াল অ্যাপ রয়েছে যার মধ্যে বিলিয়ন এ্যক্টিভ ইউজার আছে। এবং তার মধ্যে একটি অ্যাপ হচ্ছে Facebook ফেসবুক পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ও YouTube এর ঠিক পরেই এর অবস্থান। ফেসবুকে লাইভ চ্যাট, কথা বলা, পোস্ট করা, ভিডিও স্ট্রিম করা, ব্রান্ড বা পাবলিক ফিগারর পেইজ খোলা এবং বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করা সহ, আরো অনেক ফ্যাসিলিটি আছে যা অন্যান্য অ্যাপ গুলো প্রোভাইড করলেও খুব একটা জনপ্রিয়তা ল্যাভ করতে পারেনি। 

আজকে আমি শেয়ার করবো বিশ্বের সব থেকে বড় সোসিয়াল মাধ্যম ফেসবুক থেকে কিভাবে ভিডিও ডাউনলোড করবেন তাও ফ্রীতে এবং কোন প্রকার অ্যাপ ছাড়াই। 



আমরা যারা ফেসবুক ব্যাবহার করি তাদের মধ্যে অনেকেই জানি যে ফেসবুকে ভিডিও নামক একটি ট্যাব আছ যেখানে হাজার হাজার ভিডিও আছে। তবে সমস্যা হলো ভিডিও গুলো ফ্রীতে ডাউনলোড করা যায়না। আর আপনি যদি ডাউনলোড করতে চান সেই ক্ষেত্রে গুগল প্লে বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে অনেক অ্যাপ পাবেন ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য, তবে অ্যাপ গুলো আমি সাজেস্ট করবোনা কারন প্রতিটা অ্যাপ নুন্যতম 5-20 MB হয়ে থাকে। এবং অ্যাপ ব্যাবহার করলে দৈনিক তাতে কিছু ক্যাচ ডাটা জমা হয়ে যায় এবং এটা 5-20 থেকে 100-200 MB হয়ে যায়.

আমরা আজকে কোন অ্যাপ ছাড়াই ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করে দেখাবো এবং সম্পুর্ন ফ্রীতে।

ফেসবুক ভিডিও ফ্রীতে ডাউনলোড করতে হলে প্রথমেই একটি ভিডিও চয়েজ করুন যেটি আপনি ফেসবুকে দেখছেন এবং ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন। 

যেই ভিডিওটি আপনি দেখছেন সেই ভিডিওটির পাশে থাকা (৩টি ডট) ক্লিক দিন। এবং আপনার সামনে নিচে দেখানো একটা স্ক্রিন চলে আসবে। 

এখান থেকে Copy Link এ ক্লিক দিন, এতে করে আপনার Clipboard এ এই ভিডিওর লিংক কপি হয়ে যাবে। এরপর আপনাকে যেতে হবে যে কোন একটি ব্রাউজারে যেটি হতে পারে গুগল ক্রম বা অপেরা মিনি। 

যে কোন ব্রাউজার ওপেন করে টাইপ করুন- https://snapsave.app/ এর পর নিচে দেখানো স্ক্রিনশটের মত একটি স্ক্রিন আসবে। এটি হচ্ছে এই ওয়েবসাইটের হোম স্ক্রিন।


এখানে ছবিতে দেখানো যায়গায় আপনার কপি করা লিংক পেস্ট করে দিন। কপি লিংক পেস্ট করতে টেক্সট ইনপুট ফিল্ডে ক্লিক করে ধরে রাখুন তাহলে Past নামক একটি অপশন আসবে। এবং Past ক্লিক দিবেন। Past এ ক্লিক দেবার পর পাশে থাকা ডাউনলোড বাটনে ক্লিক দিন।


ডাউনলোড বাটনে ক্লিক দেবার পর একটু পরেই এরকম একটা স্ক্রিন আসবে এবং এখান থেকেই আপনি খুব সহজেই আপনার কুয়ালিটি অনুযায়ী ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিবেন। 

আর্টিকেলে কোন উপস্থাপনা যদি না বুঝতে পারেন তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান অথবা  আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এসএমএস দিন। 



Monday, April 4, 2022

ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসা করার উপায়

ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসা করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম, আজকের এই আর্টিকেল সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের এই আর্টিকেল যদি মনযোগ দিয়ে পরেন তাহলে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি আপনিও সফল হতে পারবেন।

বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমি মূলত কথা বলবো ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইন ব্যাবসা কিভাবে করা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা টাকার জন্য ব্যাবসা করতে পারছেন না। তাদের কথা মাথায় রেখেই আজকের এই আর্টিকেল। আজকে আমি ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসার সকল টেকনিক শেয়ার করবো! তাহলে চলুন সবাই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ি।

ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসা বিষিয়টা শুনে হাসির মনে হতে পারে! কিন্তু এটা সম্ভব। 

ব্যাবসা করতে গেলে প্রথমেই মাথায় চিন্তা আসে কিসের ব্যাবসা করবেন? এবং কিভাবে করবেন। প্রোডাক্ট কই পাবেন? মার্কেটিং কিভাবে করবেন? 

কিসের ব্যাবসা করবেন?

ব্যাবসা করতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি পণ্যের প্রয়োজন। এখন আপনি কোন পণ্য নিয়ে ব্যাবসা কিরবেন এটা একান্ত আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার, তবে হ্যা-আমি সাজেস্ট করবো পোশাক বা জুতা নিয়ে ব্যাবসা করার জন্য! কারন এই 2 টা প্রোডাক্ট মার্কেটে অনেক ডিমান্ড। 

এখন কথা হলো যদি পোশাক নিয়ে ব্যাবসা করেন তাহলে পোশাক কোথায় পাবো এবং টাকা ছাড়া কে দিবে?

আপনি যদি ব্যাবসা করতে চান তাও টাকা ছাড়া এবং অনলাইনে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঢাকা নিউ মার্কেট আসতে হবে। এবং এখানে আসলে আপনি বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের ৮০% প্রোডাক্ট সব এখান থেকেই ডেলিভারি দেওয়া হয়। মানে বুঝতেই পারছেন আপনি এখানে আসা মানে অনলাইন সেক্টর অনেক ভালোভাবে বুঝতে ও শিখতে পারবেন আর সেই সাথে আপনি টাকা ছাড়া ব্যাবসাও করতে পারবেন। 

টাকা ছাড়া প্রোডাক্ট কিভাবে? 

টাকা ছাড়া প্রোডাক্ট নেবার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিশস্ত হতে হবে এবং আপনার একটা ভালো পরিচয় থাকা লাগবে যা দেখে মানুষজন আপনাকে বিশ্বাস করবে। তারপর আপনি প্রোডাক্ট টাকা ছাড়া মেনেজ করতে পারবেন। টাকা ছাড়া প্রডাক্ট মেনেজ করার জন্য নিউ মার্কেট বিশ্বাস বিল্ডার্স সব থেকে বিসস্থ একটি প্লেস।

এখান থেকে টাকা ছাড়া প্রোডাক্ট নেবার জন্য আপনাকে বিভিন্ন দোকানে বা শোরুমে জেতে হবে। এবং তাদের সাথে বেশ ভালোভাবে কমিউনিকেশন করা লাগবে। এবং তাদের থেকে আপনি রিসেলারের হিসেবে কথা বলবেন এবং মনে রাখবেন আপনার কোথায় দম থাকা লাগবে। রিসেলার হিসেবে তাদের থেকে প্রোডাক্টের ছবি চাইবেন দাম জিজ্ঞাসা করবেন, কন্ডীশন কেমন কি সব ডিটেইলস নিবেন, সাইজ, কালারসহ আরো অন্যান্য পেসিফিকেশন জেনে নিবেন। এর পর আপনি মার্কেট এনালাইসিস করবেন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করবেন যে ভাই এইগুলো এখন কেমন চলে? যদি বলে ভালো তাহলে জিজ্ঞাসা করুন আছে আপনাদের কাছে? থাকলে দেখি কয়েকটা দেখানত আমি অনলাইনে সেল করি। 
এবার যদি দেখেন তাদের কাছে নেই তাহলে বুঝবেন তারা ফাউ ঢপ দিচ্ছে যে এইগুলো চলছে। এইভাবেই কয়েকটা দোকানে যাচাই করুন এবং সর্বোশেষ যদি আপনার মনে হয় যে আপনি বিক্রি করতে পারবেন তখন প্রোডাক্টির ছবি তাদের থেকে নিন নিয়ে বলুন এটা নিয়ে আমি কাজ করবো অর্ডার নিলে দিতে পারবেন? যদি বলে হ্যা তাহলেত আর কোন কোথাই নেই। 

তাদের সকল নাম্বার যেমন হোয়াট'স অ্যাপ, ইমু এইগুলোর নাম্বর নিন এবং তাদের সাথে রেগুলার একটা যোগাযোগ রাখুন এবং এইভাবে আরো অনেক দোকান ঘুরে বিভিন্ন রকমের ড্রেস বা অন্য প্রোডাক্ট মেনেজ করুন।  (প্রোডাক্ট যখন অর্ডার হবে তখন সেই দোকান থেকে নিয়ে যাবেন। যদি সম্পর্ক ভালো গরতে পারেন ১০০% টাকা ছাড়াই দিবে)

ফেসবুক মার্কেটিং

  1. মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন একটি পেইজ যেখানে প্রতিদিন পোস্ট করবেন। এবং সেই একটি ফেসবুক গ্রুপ। মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন অনলাইন সেলিং পেইজে যুক্ত হবেন এবং সেখানে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন এবং সেল করার জন্য পোস্ট দিবেন। আপনারর প্রোডাক্টের ছবি আপনার পার্সোনাল প্রোফাইলের স্টোরিতে শেয়ার করুন, ইনশাল্লাহ ফ্রেন্ড লিস্টের কারো না কারো যে কোন সময় পছন্দ হয়ে যেতেও পারে এবং অর্ডার দিতে পারে। 

  2. এরপর বিভিন্ন সেলারের সাথে কথা বলা যা সহজেই বায়-সেল গ্রুপ্ব বা পেইজে পেয়ে যাবেন। 

  3. বেইজ বুস্ট করা, ২-৩ টা প্রোডাক্ট সেল হবার পর ৫০০ টাকা দিয়ে অর্থাৎ 5 Doller দিয় পেইজের যে কোন একটি পোস্ট বুস্ট দিন যেই প্রোডাক্টটা বিক্রি করতে চাচ্ছেন। পেইজ বুস্ট করাতে অবশ্যই অভিজ্ঞ কাউকে দিইয়ে করাবেন। বুস্ট করতে যেহুতু ডুয়াল কারেন্সির কার্ড লাগে সেহুতু আপনার যদি থেকে থাকে আপনি নিজেই বুস্ট করতে পারবেন। অন্যথায় কারো দিয়ে করিয়ে নিবেন।  আমাকে দিয়ে বুস্ট করাতে চাইলে আমার পেইজে এসএমএস দিন। 





Saturday, April 2, 2022

এডোবি ফটোশপ

এডোবি ফটোশপ

গ্রাফিক্স ডিজাইনার থেকে শুরু করে কম্পিউটারের স্বাধারন ব্যাবহারকারী যারা মাঝে মধ্যেই গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করতে চান বা করেন। তাদের সকলের কাছেই ফটোশপ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। গ্রাফিক্স সম্পাদনা এবং তৈরির ক্ষেত্রে সফটওয়্যারটি তার কাজের পরিধি ও বিশেষ ফিচারগুনে সবার নিকটই হয়ে গেছে একটি অত্যাবষ্যকীয় টুল। 

এর নির্মাতা এডোবি সিস্টেম ইনকর্পোরেটেড আমেরিকার একটি বিখ্যাত প্রিন্টিং, পাবলিশিং এবং গ্রাফিক্স উন্নয়ন কারী প্রতিষ্ঠান। ডেস্কটপ পাবলিশিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম পোস্ট স্ক্রিপ্ট প্রিন্টার ল্যাংগুয়েজ তৈরির মাধ্যমে বিখ্যাত হয়ে উঠে এই প্রতিষ্ঠানটি। মাইক্রোসফট ও অরাকল কর্পোরেশনের পর এডোবি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সফটওয়্যার পাবলিশিং কোম্পানি। আশির শেষের দকে এই প্রতিষ্ঠানটি Adobe Photoshop নামে এই কোম্পানিটি একটি ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার প্রকাশ করে, প্রথম দিকে যা কেবল মাত্র ম্যাক কম্পাটিবল ছিলো। পরবর্তিতে এটি ম্যাক ও উইন্ডোজ উভয় কম্পার্টিবল ভার্সন বাজারে ছাড়ে। যা খুব অল্প দিনেই প্রচন্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ব্যাবহারিকারীর চাহিদা মিটাতে সময়ের সাথে সাথে উন্নত করা হয়েছে সফটওয়্যারটির। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি Adobe Photoshop এর। 



Friday, April 1, 2022

মেটাভার্স কী?

মেটাভার্স কী?

সময়ের সাথে সাথে ইন্টারনেট টেকনোলজি প্রতিনিয়তি পরিবর্তন হচ্ছে।  শুরুর দিকে যেখানে ইন্টারনেট ওয়েবসাইট গুলো সুধু টেক্সট বেসেড ছিলো, সেখানে বর্তমানে ইমেজ, ভিডিও, এনিমেশন এবং বিভিন্ন ভেরিয়াস থিংক সহ আপডেট হয়েছে। একিভাবে মেটা ভার্স ইন্ট্রডিউস করার মাধ্যমে ইন্টারনেটের আরো একটি ইন্টারেকশন  সামনে আসতে যাচ্ছে। 

২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ফেসবুকের CEO মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুকের সকল ফেসবুক কোম্পানির নাম যা দিয়ে ফেসবুক কর্তৃক তাদের সকল সার্ভিস গুলো দিয়ে যেতো সেখানে তারা ফেসবুকের পরিবর্তে Meta Inc. দেয়। মূলত তখন থেকেই মেটা ভার্স কন্সেপ্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। মার্ক জাকারবার্গ একটি প্রেজেন্টেশনে মটা ভার্স কিভাবে ইন্টারনেটের ভবিশ্যৎ হয়ে উঠবে সে বিষয়ে আলোচনা করে। 


What is Meta lnc.?

বর্তমানে ইন্টারনেটে থাকা কন্টেন্ট গুলো এনজয় করতে স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখতে হয়। তবে মেটা ভার্সে ইউজার সরাসরি সেই কন্টেন্টে গুলোতে সরাসরি ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে পারবে যা অনেকটাই রিয়ালস্টিক এক্সপিরিয়েন্স প্রোভাইড করবে। এই কন্সেপ্টিকে ইন্টারনেটের ফিক্সোনাল ভার্সন হিসেবে এক্সপ্লেন করা যায়। মেটা ভার্সে একজন আরেকজনের সাথে দেখা করা থেকে শুরু করে গেমিং, স্টাডি এবং অন্যান্য কাজ কর্ম করতে পারবে। এমনকি অনলাইন বিজনেস এক্সপিরিয়েন্সকেও পরিবর্তন করে দিবে। অর্থাৎ মেটা মার্স ইউজারের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ট্রান্সফর্ম করতে যাচ্ছে।



Meta Verse History

১৯৯২ সালে নীল স্টেফনশনের লেখা SNOW CRUSH এর মধ্যে প্রথমবারের মত মেটা ভার্সের ট্রামটি লেখা হয়। যেখানে মেটা ভার্স বলতে একটি ভার্চুয়াল প্লেসকে বোঝায়। পরবর্তিতে ১৯৯৯ সালে রিলিস হওয়া সাইন্স ফিক্সেন মুভি The Matrix এ দেখানো দৃষ্য যা ছিলো কাল্পনিক তবে দেখতে সেম রিয়াল পৃথীবির মতই ছিলো।

২০০৩ সালে সেকেন লাইফ নামে একটি অনলাইন গেম রিলিজ করা হয়। যার মাধ্যমে একটি Avatar মাধ্যমে ভার্চুয়াল পৃথীবিতে সেকেন্ড লাইফ এক্সপিরিয়েন্স করতে সক্ষম হয়। এর পাশাপাশি মেটা ভার্সের উপর বেইস করে রোবলক্স এবং মাইন ক্রাফটের মত আরো অনেক গেইম ডিজাইন করা হয়! DIGIDAY এর একটি তথ্য সুত্রে এই গেইম গুলো ফানের জন্য তৈরি করা হলেও এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল মিটিং ও কোওয়ার্কিং এর মত পটেনসিয়াল তখন থেকেই অনুধোবন করা যায়। 

ফেসবুকের পাশাপাশি বর্তমানে মাইক্রোসফট ও আরো বেশ কিছু টেক কোম্পানি তাদের Meta Verse নিয়ে কাজ করছে। মাইক্রোসফট তাদের সিস্টেমে মাইক্রোসফট মেশ নামক একটি অব মেন্টেন্ট এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ইন্টেগ্রেট করতে যাচ্ছে যা ভার্চুয়াল টিম মিটিং এবং কনফারেন্সে রিয়াল ওয়ার্ল্ড এক্সপিরিয়েন্স প্রোভাইড করবে।