Saturday, May 7, 2022

মিডি কাকে বলে? মিডি কি জিনিস?

মিডি কাকে বলে? মিডি কি জিনিস?

মিডি (MIDI) হলো একধরনের কমিউনিকেশন প্রটোকল যা ইলেক্ট্রনিক মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট বা মিউজিক সিনথেসাইজারকে কন্ট্রোল করে। আর MIDI এর পুর্নরুপ হচ্ছে Musical Instrument Digital Interface. 

এই মিউজিক সিনথেসাইজার এককভাবে, পিসির সাউন্ড কার্ডে বিল্ট ইন অথবা কোন সফটওয়্যারের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে। মিডিতে রেকর্ড, প্লেব্যাক এবং সাউন্ড তৈরির যন্ত্রপাতি গুলোর সেটিং, সিনক্রোনাইজ করার ব্যাবিস্থা থাকে। 

MIDI পোর্ট ৩ ধরনের যা নিম্নে উল্যখ করা হলো

  1. মিডি ইন
  2. মিডি আউট
  3. মিডি থ্রো

যে কোন মাল্টিমিডিয়া সিস্টেমে একটি মিডি পোর্ট থাকবে।

একটি মিডি যন্ত্রের সাথে অন্য একটি মিডি যন্ত্রের সংযোগ হয় MIDI ক্যাবলের সাহায্যে। ৫ পিন DIN কানেক্টর তার দিয়ে ৫০ ফুট দুরুত্ব পর্যন্ত মিডি যন্ত্রের সংযোগ দেওয়া যায়। একটি যন্ত্র মিডি মাস্টার হিসেবে কাজ করে এবং এই চেইনে মোট ৩টি যন্ত্র ব্যাবহার করা যায়। তবে MIDI থ্রো বক্স এর সাহায্যে যন্ত্রের পরিমাণ বাড়ানো যায়। 

আজকের দিনে পার্সোনাল কম্পিউটারে MIDI ব্যাবস্থা সংযোজনের সহজ উপায় রয়েছে যা পূর্বে ছিলোনা।



অপটিক্যাল মাউস কাকে বলে

অপটিক্যাল মাউস কাকে বলে

আজকাল বল মাউসের পরিবর্তে অপটিক্যাল মাউস ব্যাবহৃত হচ্ছে। একটি অপটিক্যাল মাউসে বলের পরিবর্তে নড়াচড়ার মুভমেন্ট সনাক্ত করার জন্য ব্যাবহার করা হয় সেন্সর (Sensor)। সাথে থাকে অপটিক্যাল এনকোডার (Optical Encoder) যা হরিজন্টাল (Horizontal) এবং ভার্টিক্যাল (Vertical) পজিশন এনকোড করে।

এইসব মাউস গুলোতে লাইট সোর্স ব্যাবহৃত হয়, এই লাইট গুলো এনার্জি সরবরাহ করে। এনকোডার এর প্রতিটি Window দিয়ে আসা লাইট ডিটেক্ট করে লাইট সেন্সর। 

উল্ল্যেখ যে, এই সেন্সর থেকে সিগনাল নিয়ে কোর্সর মুভমেন্ট (Coursor Movement) সহ কমান্ড এক্সিকিউট সিগনাল (Command Execute Signal) পাঠায়। 

কোন কমান্ড সিলেকশনের পর পুশ বাটন বা সুইচে ক্লিক করলেই উপরোক্ত যায়গায় মাউস ক্লিক হয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। 

একটি মাউসে সাধারণত ২ টি বাটন থাকে, একটি ডান দিকের অন্যটি বাম দিকের। এবং সাথে একটি স্ক্রোলিং বার বা হুইল থাকে যা দিয়ে কোন একটি পেইজ বা ডকুমেন্ট আপ-ডাউন করা যায়।



বিশেষ্য পদ

বিশেষ্য পদ

বিশেষ্য পদ ছয় প্রকার:

১|সংজ্ঞা বা নামবাচক বিশেষ্য (prper Noun).

২|জাতিবাচক বিশেষ্য (common Noun).

৩|বস্তূ বা দ্রব্য বাচক বিশেষ্য (Metarial Noun).

৪|সমষ্টিবাচক বিশেষ্য (collective Noun).

৫|ভাববাচক বিশেষ্য (verbal Noun).

৬|গুণবাচক বিশেষ্য (Abstract Noun).

                               বিশেষ্য পদ                                                                 _ _____________

১. নামবাচক।            ২. জাতিবাচক।

৩. দ্রব্য বাচক।            ৪. সমষ্টিবাচক।

৫. ভাববাচক।              ৬. গুণবাচ।

১. নামবাচক বিশেষ্য: যে পথ দিয়ে কোন ব্যক্তির, ভৌগোলিক স্থান এবং গ্রন্থের নাম বিজ্ঞাপিত হয়, তখন তাকে নাম বাচক বিশেষ্য বলে ‌। যেমন:

(ক) ব্যক্তির নাম: মনি, অন্তর, অন্তরা, মনিরা।

(খ) ভৌগোলিক স্থান: ঢাকা, দিল্লি, লন্ডন, মক্কা।

(গ) ভৌগোলিক সংজ্ঞা: (নদী, পর্বত, সমুদ্র ইত্যাদি)                মেঘনা, হিমালয়, আরব সাগর।

(ঘ) গ্রন্থের নাম: গীতাঞ্জলি, অগ্নিবীণা, দেশেবদেশে,                               বিশ্বনবী।


২|জাতিবাচক বিশেষ্য: যে পদ্ম কোন প্রাণী বা পদার্থের নাম বোঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন:

মানুষ, গরু, ছাগল, পাখি, মাছ, পর্বত, নদী, ইংরেজ।

৩|বস্তুবাচক বা দ্রব্য বাচক বিশেষ্য: যে-পথ কোন উপাদান বাচক পদার্থের নাম বোঝায় তাকে বস্তুবাচক ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন:

  কলম, থালা, বাটি, মাটি, চাল, চিনি।

৪|সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: জেপদে অনেক কিছু সংখ্যক ব্যাক্তি বা প্রানীর সমষ্টি বোঝায় তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন:

  সভা, জনতা, সমিতি, পঞ্চায়েত, মাহফিল।

৫|ভাববাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ এ কোন ক্রিয়ার ভাব বা কাজ প্রকাশিত হয় তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন:

      গমন, দর্শন, ভজন, শয়ন, দেখা।

৬| গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য দ্বারা কোন বস্তুর দোষ গুণ নাম বোঝায় তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন:

     মধুরতা, তরল, তিক্ত, ভালো।



ইমেইল সফটওয়্যার

ইমেইল সফটওয়্যার

বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য যে কোন প্রান্তে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মেইল বা মেসেজ আদান-প্রদান করাই হলো ইমেইলের কাজ। ইমেইল প্রেরণের জন্য ইমেইল সফটওয়্যার প্রয়োজন। যে কোন কম্পিউটার বা স্মার্টডিভাইসে ইমেইল ব্যাবহার করার পুর্ব শর্ত হলোঃ-

  1. ইন্টারনেট সংযোগ
  2. ব্যাবহারকারীর ইমেইল অ্যাকাউন্ট
  3. ইমেইল সফটওয়্যার 

ইমেইল ব্যাবহার করার বিভিন্ন সফটওয়্যার বাজারে প্রচলিত আছে। এদের মধ্যে মাইক্রোসফট আউটলুক, আউটলুক এক্সপ্রেস, নেটস্কেপ মেসেঞ্জার, ইউডোরা, পাইন ইত্যাদি খবই জনপ্রিয়। যে কোন ইমেইল সফটওয়্যার ব্যাবহার করার জন্য নিচের ৩ টি কাজ জানা জরুরি। কাজগুলো হলোঃ-

  1. ইমেইল সফটওয়্যার কনফিগার (Configure)
  2. ইমেইল তৈরি (Create Mail)
  3. ইমেইল পাঠানো ও গ্রহণ (Send & Receive)


Friday, May 6, 2022

ওয়েব ব্রাউজার কি জিনিস?

ওয়েব ব্রাউজার কি জিনিস?

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা পরস্পরের সংযোগযোগ্য Web Page বা WWW পরিদর্শন করাকে Web Browsing বলে। ওয়েব ব্রাউজিং করে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আসা যায়। ওয়েব ব্রাউজিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে। ত্রা মধ্যে জনপ্রিয় Web Browsing সফটওয়্যার হচ্ছে গুগল ক্রোম (Google Chrome), মজিলা ফায়ার ফক্স (Mozilla Firefox), সাফারি (Safari), নেটস্কেপ ও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। 

ইন্টারনেটকে তথ্যের মহাসমুদ্র বলা হয়, কারণ ইন্টারনেটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা নেটওয়ার্কে সংযুক্ত সকল কম্পিউটার গুলোতে যে সকল ইনফরমেশন রয়েছে তা ব্যাবহারের সুযোগ করে দেয়। 

যে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের ইনফরমেশন বা Web Page বা World Wide Web-WWW প্রদর্শনের কাজ করে, তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে। ওয়েব ব্রাউজার গুলো সাধারনত বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত সার্ভার কম্পিউটারগুলোতে যে সকল ওয়েব পেইজ (Web Page) রয়েছে তা প্রদর্শনের ব্যাবস্থা করে।

নিচে জনপ্রিয় কিছু ওয়েব ব্রাউজারের নাম দেওয়া হলো, যথাঃ-

  1. গুগল ক্রম (Google Chrome)
  2. ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার (Inernet Explorer)
  3. নেটস্কেপ কমিউনিকেটর (Netscape Communicator)
  4. সাফারি (Safari)
  5. ওপেরা (Opera)
  6. মজিলা ফায়ারফক্স (Mozilla Firefox)

Web Browsing সফটওয়্যারে ব্যাবহৃত বিভিন্ন শব্দ নিচে দেওয়া হলোঃ-

http: hyper text transfer protocol

URL: Web Page এর এড্রেসকে URL বলা হয়। URL হচ্ছে Uniform Resource Locator.

পৃথিবীতে এক নামে কেবল মাত্র একটি ওয়েব পেইজ থাকে। 



ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

ভ্রাতৃত্ব শব্দের অর্থ হলো অনুভুতি প্রকাশ করা। অর্থাৎ কোন ব্যক্তির ওপর ব্যক্তিকে ভাই এর সমতুল্য মনে করা। ভ্রাতৃত্ব সুলভ আচার আচরণ করা। নিজের ভাইয়ের সাথে আমরা ভালো ব্যবহার করি, তাদের সাহায্যে এগিয়ে যায়, সব সময় তাদের কল্যাণ কামনা করি, তাদের জন্য নিজেদের নানা স্বার্থ ত্যাগ করি। তেমনি ভাবে দুনিয়ার সকল মানুষের প্রতি এরূপ মনোভাব পোষণ ও নিজের কর্মের মাধ্যমে এর প্রাণ উপস্থাপনই হলো ভাতৃত্ববোধ।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হলো নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। আমাদের সমাজে বহু ধর্ম , ভাষা ও জাতির লোক বসবাস করে। সমাজে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাব হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিগন এ জীবনে যথাযথভাবে এগুলো অনুশীলন করে থাকবে।
ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। ভাতৃত্ববোধ মানুষকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে, মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। ফলে মানব সমাজের ঐক্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়। অন্যদিকে ভাতৃত্ববোধ না থাকলে মানুষ  একে অন্যকে ভালবাসে না। অন্যের কল্যাণ কামনা করে না । বন্নি স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন করতেও দ্বিধাবোধ করে না।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, পরমত সহিষ্ণুতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। মানুষ একে অন্যকে শ্রদ্ধা করতে শেখে। বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন জাতের সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে বসবাসের ফলে দেশীয় সভ্যতা উন্নত হয়। সবার চেষ্টায় দেশ ও জাতির উন্নতির শীর্ষে আহরণ করে। পক্ষান্তরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে দেশে মারামারি-হানাহানি সূত্রপাত ঘটে। বস্তুত দেশের শান্তি উন্নতির জন্য ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অপরিহার্য উপাদান।


অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে?

অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে?

কম্পিউটার পরিচালনার জন্য ব্যাবহৃত হার্ডওয়্যারের সাথে অন্যান্য সফটওয়্যারের সমন্বয়ে সাধনের উপাদান হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম। হার্ডওয়্যারের সাথে সমন্বয় করে ব্যাবহারিক প্রোগ্রাম পরিচালনা, প্রাথমিক সৃতিসহ সকল ধরনের সহায়ক সৃতিতে তথ্য সংরক্ষন ব্যাবস্থাপনা প্রভৃতি কার্যক্রম প্রধানত অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হয়। এক কথায় বলা যায় কম্পিউটার সংগঠনের যন্ত্রাংশ সমুহকে কার্যক্রম করাই হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম। তবে হ্যা স্মার্ট ডিভাইসের সকল ক্ষেত্রেই অপারেটিং সিস্টেম থাকে। যেমন স্মার্টফোনের জন্য রয়েছে এন্ড্রয়েড।

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের ভিন্নতা এবং কার্যক্রমের ধরন অনুসারে বিভিন্ন প্রকারের অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহৃত হয়। বর্ণ ভিত্তিক নির্দেশ প্রদান সম্পন্ন একটি অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে DOS. নেটওয়ার্ক ভিত্তিক কাজের জন্য ইউনিক্স, লিনাক্স প্রভৃতি চিত্রভিত্তিক নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে কার্য সম্পাদনে সক্ষম। মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হলো Windows.



প্রোটোকল Protocol

প্রোটোকল Protocol

ভিন্ন ভিন্ন নেটওয়ার্ক সিস্টেম সমূহ পরিচালিত হয় ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের অধীনে, ক্ষেত্রবিশেষ হার্ডওয়্যারও ভিন্ন হতে পারে (যেমন IBM ও ম্যাক)। এ সকল নেটওয়ার্ক সিস্টেমের অপারেটিং সিস্টেম এমনকি হার্ডওয়্যার সিস্টেমের ভিন্নতা হওয়া সত্তেও ডেটা কমিউনিকেশন সম্ভব হচ্ছে। কারণ যোগাযোগের সময় দু'টি পিসি বা নেটওয়ার্ক সিস্টেম একটি অভিন্ন নিয়ম অনুসরণ করে, যা মূলতঃ নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল। অর্থাৎ কমিউনিকেশন সিস্টেম কম্পিউটার এবং বিভিন্ন ডিভাইস বা কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিট পদ্ধতি সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই নিয়ন্ত্রন করার প্রক্রিয়া হচ্ছে প্রটোকল।

প্রোটোকল কী?

প্রোটোকল হচ্ছে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমের এক SET Rules যা দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে নির্ভুলভাবে ডেটা কমিউনিকেশনে সহায়তা করে। 

এক কথায় নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলোর জন্য সু-পরিকল্পিতভাবে নির্ধারিত রীতি-নীতি হচ্ছে নেটওয়ার্ক প্রোটোকল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের প্রোটোকল তৈরি করেছে। যেমনঃ- TCP/IP, FTP, IPX/SPX, NETBEUI, APPLETALK, ETHERNET ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে ইন্টারনেটে ব্যাবহৃত প্রোটোকল হলো TCP/IP


আরো পড়ুন

FTP কী? What is FTP?

ডেটা এনক্রিপশন কী? What is data encryption

ডেটা এনক্রিপশন কী? What is data encryption

যে সকল গোপনীয় ডেটা পাবলিক পথ দ্বারা স্থানান্তরিত হয় তাদেরকে সাধারনত বিশেষ কোডের মাধ্যমে এনক্রিপ্ট করে প্রেরণ করা হয়। অর্থাৎ ডেটার গোপনীয়তা রক্ষা বা সিকিউরিটির জন্য ডেটাকে এনক্রিপ্ট করা হয়। ফলে ঐ ডেটাকে অন্য কোন অনির্দিষ্ঠ (Unauthorized) ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান ব্যাবহার করতে পারেনা। 

উৎস বা প্রেরক ডেটাকে এনক্রিপ্ট করলে প্রাপক বা গন্তব্য ঐ এনক্রিপ্টেড ডেটা ব্যাবহারের পূর্বে ডিক্রিপ্ট (Decrypt) করে। প্রেরককে এনক্রিপ্ট করার নিয়ম এবং প্রাপককে ডিক্রিপ্ট করার নিয়ম জানতে হয়। এনক্রিপ্টেড ডেটাকে একই পদ্ধতি বা অ্যালগরিদম ব্যাবহার করে ডিক্রিপ্ট করে অরিজিনাল ম্যাসেজে পরিবর্তন করা হয়। উদাহরণ স্বরুপ এনক্রিপ্ট করার একটি পদ্ধতি সিজার কোডের কথাই ধরা যাক, সিজার কোডে কোন অক্ষরকে তার পরিবর্তীত ৩য় অক্ষর দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। কাজেই JULIA ROBERT এর এনক্রিপ্টড সাইফারটেক্সট হলো MWPLD TQETHV

এনক্রিপশনের মূল চারটি অংশ রয়েছেঃ- যথা

  1. প্লেন্টেক্সট (Plaintext)
  2. সাইফারটেক্সট (Ciphertext)
  3. এনক্রিপশন অ্যালগরিদম (Encryption Algorithom)
  4. কী (Key)

প্লেইন্টেক্সট

এনক্রিপ্ট করার পুর্বে মেসেজ যা মানুষের পাঠযোগ্য রুপে থাকে।

সাইফার

এনক্রিপ্ট করার পরের মেসেজ যা মানুষের পাঠযোগ্য রুপে থাকেনা।

এনক্রিপশন এলগরিদম

গাণিতিক ফর্মূলা যা প্লেইন্টেক্সট থেকে সাইফারটেক্সয়ে এনক্রিপ্ট করার জন্য বা সাইফারটেক্সট থেকে প্লেইন্টেক্সটয়ে ডিক্রিপ্ট করার জন্য প্রয়োজন।

কী

গোপন কোড যা এনক্রিপ্ট বা ডিক্রিপ্ট করার জন্য প্রয়োজন

এনক্রিপশন করার কারণ কী?

এনক্রিপশনের মূল কারণ হলো হ্যাকাররা নেটওয়ার্কের মধ্য থেকে কোন ডেটার কপি নিলে তখন এটি পাঠকরা যাতে সুঃসাধ্য হয়। সে জন্য অবশ্য উপযুক্ত এনক্রিপশন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। এনক্রিপ্টেড ডেটাকে পড়ার জন্য গন্তব্য স্থানে অবশ্যই ডিক্রিপশন করতে হয়। সে ক্ষেত্রে গন্তব্য স্থানে অবশৈ ডিস্ক্রিপশন কী থাকে। সাধারনত দু-ধরনের এনক্রিপশন বর্তমানে দেখা যায়। যথাঃ-
  1. গোপন কী এনক্রিপশন (Secret Key Encryption) বা সিমেট্রিক এনক্রিপশন (Symmectric Encryption) 
  2. পাবলিক কী এনক্রিপশন (Public Key Encryption) বা অ্যাসিমেট্রিক এনক্রিপশন (Asymmectric Encryption)

What is Mail Server? ই-মেইল সার্ভার

What is Mail Server? ই-মেইল সার্ভার

ই-মেইল সার্ভার হলো নেটওয়ার্কের একটি কম্পিউটার যা একটি ভার্চুয়াল পোস্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। মেইল সার্ভারে সাধারণত পর্যাপ্ত যায়গা বা স্টোরেজ থাকে যাতে ঐ নেটওয়ার্কের সকল ব্যাবহারকারীদের ই-মেইল জমা রাখতে পারে।

সাধারণত পোস্টাল সিস্টেম কোন চিঠি কোথাও পাঠাতে চাইলে তা পোস্ট বক্সে রাখা হয়। নির্ধারিত বিরতিতে পোস্ট বক্স থেকে চিঠিগুলো স্থানীয় পোস্ট অফিসে জমা হয়। স্থানীয় পোস্ট অফিস থেকে চিঠিগুলো তাদের ঠিকানা অনুসারে প্রাপকের এলাকায় পোস্ট অফিসে পাঠানো হয়। প্রাপকের এলাকার পোস্ট অফিসের ডাকপিয়ন চিঠিগুলো প্রাপকের নিকট বিতরণ করে থাকেন। 

মেইল সার্ভার বা ভার্চুয়াল পোস্ট অফিসে সাধারণত এই কাজগুলো ঘটে থাকে। এই কাজ গুলো সুসম্পন্ন করার জন্য মেইল সার্ভার POP বা IMAP এবং SMTP প্রটোকল ব্যাবহার কএয়া হয়।

POP কাকে বলে?

POP এর পুর্নরুপ হলো Post Office Protocol. মেইল সার্ভার থেকে মেইল গ্রহণ বা রিসিভ করার জন্য এই প্রটোকল ব্যাবহার করা হয়। ব্যাবহারকারী যে সকল মেইল গ্রহণ করে বা তার কাছে আসে সেগুলোকে অর্ন্তমুখী বা ইনকামিং (Incoming) মেইল বলা হয়। 

POP3 কাকে বলে?

POP3 হলো POP প্রটকোলের সর্বশেষ সংস্করণ বা ভার্শন। মেইল সার্ভার থেকে অর্ন্তমূখী বা ইনকামিং মেইল গ্রহণ করার জন্য সর্বাধীক জনপ্রীয় এই POP3 প্রটোকল।  তবে এই একই কাজের জন্য IMAP নামে আরো একটি জনপ্রিয় প্রটোকল রয়েছে। 

What is SMTP? 

SMTP এর পূর্ণ রুপ হলো Simple Mail Transfer Protocol। যে সকল মেইল বাইরে পাঠানো হয় সেগুলোকে বর্হিমুখী বা আউটগোয়িং মেইল (Outgoing Mail) বলা হয়। আউটগোয়িং বা বর্হিমুখী মেইল পাঠানোর জন্য SMTP প্রটোকল ব্যাবহার করা হয়। 

ইন্টারনেট প্রটোকল নেটওয়ার্কে ই-মেইল মেসেজ পাঠানোর জন্য বর্তমানে স্টান্ডার্ড প্রটোকল হিসেবে SMTP ব্যাবহার করা হয়। এই প্রটোকলের সাহায্যে মেইলে ডেটা, অডিও, ভিডিও, ভয়েস, গ্রাফিক্স এবং যে কোন ফাইল পাঠানো যায়।