আমাদের দেশে প্রিপেইড সিম সবথেকে জনপ্রিয়। কেননা প্রিপেইড সিম সবথেকে সাশ্রয়ী। প্রিপেইড সিম আসলে কী এই নিয়ে অনেকেরই জানা নেই। প্রিপেইড সিম বলতে আসলে বুঝানো হয়ে যেখানে আপনি সিম সেবা ব্যবহার করার জন্য আগেই পেমেন্ট করে দেন। অর্থাৎ আপনি মোবাইল অপারেটরকে টাকা দেয়ার পরে আপনি তাদের সমস্ত সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। বেশিরভাগ ব্যবহারকারী এই ধরণের সিম ব্যবহার করে থাকেন ব্যবহারের সুবিধার জন্য।
আমরা সবাই মোবাইল রিচার্জ করে থাকি। মূলত প্রিপেইড সিম বলেই রিচার্জ করবার প্রয়োজন হয়। আপনি রিচার্জ করার মাধ্যমে আপনার মোবাইল অপারেটরকে আগে থেকেই পেমেন্ট করে দিচ্ছেন। মোবাইল অপারেটর সেই পরিমাণ অর্থ আপনাকে ব্যালেন্স হিসেবে দিচ্ছে। এবার আপনি এই ব্যালেন্স ব্যবহার করে মোবাইল অপারেটরের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করতে পারছেন। আপনার ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে সিম থেকে আপনি কোন ধরণের সেবাই আর পাবেন না। আপনার আবারও রিচার্জ করার দরকার পড়বে। আর তাই আগে থেকেই আপনি মোবাইল অপারেটরকে পেমেন্ট করছেন বলে এই সিমকে প্রি-পেইড বলা হয়।
যদিও বর্তমানে সব অপারেটর জরুরি সময়ের কথা চিন্তা করে আপনাকে ছোট পরিমাণে ইমারজেন্সি লোন দিয়ে থাকে যেখানে ফি এর বিনিময়ে আগে পেমেন্ট না করলেও আপনার ব্যালেন্সে টাকা যুক্ত হয়ে যায়। এই সেবার মাধ্যমে বিভিন্ন শর্ত মেনে আপনি আগে পেমেন্ট না করেও প্রিপেইড সিমে মোবাইল অপারেটরের সেবা নিতে পারেন। তবে এটিও আসলে প্রিপেইড সিমের একটি সার্ভিস ছাড়া আর কিছু নয়।
অর্থাৎ প্রিপেইড সিম বলতে সেই সিমকেই বুঝানো হচ্ছে যে সিমে আপনি আগে থেকেই মোবাইল অপারেটরের সেবা পেতে পেমেন্ট করে রাখেন।
পোস্টপেইড সিম প্রিপেইড সিম থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। এখানে মোবাইল অপারেটর থেকে সেবা গ্রহণ করে এরপর আপনার মোবাইল অপারেটরকে পেমেন্ট করতে হয়। অর্থাৎ বারবার রিচার্জ করা বা ব্যালেন্স শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর মোবাইল অপারেটরকে আপনার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে পেমেন্ট করে দিতে পারবেন।
পোস্টপেইড সিমে আপনার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করেই বিল পেমেন্ট করা হয়। তবে এটি তেমন সাশ্রয়ী নয়। কলরেট কম হলেও আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যবহার করতে হয় যার ফলে সেটা অনেকের কাছে বোঝা মনে হতে পারে। ফলে পোস্টপেইড ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিছুটা কম। পোস্টপেইড এর অর্থই হচ্ছে যেখানে সেবা নিয়ে তার পরে আপনাকে পেমেন্ট করতে হয়। সুতরাং এই ধরণের সিমে আপনি মোবাইল অপারেটরের যে কোন ধরণের সেবা যে কোন সময় ব্যবহার করতে পারবেন কোন বাঁধা ছাড়াই। তবে এই সেবা নেবার জন্য পরবর্তীতে আপনার অপারেটরকে পেমেন্ট করে দিতে হবে।
আশ্চর্য এক লাইট সম্পর্কে আলোচনা করবো আজকের এই আর্টিকেলে। আজকে আপনাদেরকে জানাব সেন্সর লাইট সম্পর্কে জেই লাইট রাতের অন্ধকারে জ্বলবে এবং দিনের আলোতে অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ এই লাইট ব্যবহারে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবেত হবেই সেই সাথে আপনার কষ্ট করে আর সুইচ অন অফ করতে হবে।
সেন্সর লাইট কি?
আমরা অনেকেই জানি সেন্সর মানেই ওয়্যারলেসকে বোঝানো হয়, আর এই ওয়্যারলেসের এই যুগে আমরা অনেক কিছুই দেখি দিন দিন ওয়্যারলেসে রুপান্তর হচ্ছে। যেমন বিগত কয়েকবছর ধরেই আমরা দেখছি বর্তমানে স্মার্টফোনগুলো চার্জ দেওয়ার জন্য ক্যাবলের পরিবর্তে ম্যাগনেটিক রেডিওশের মাধ্যমে বা ওয়্যারলেস চার্জারের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া হচ্ছে।
উন্নত টেকনোলজির রেভোলিউশনের সাথে সাথে লাইটের সাথে যুক্ত হয়েছে দুইটি নতুন প্রযুক্তি একটি হচ্ছে দিনের আলোতে লাইট বন্ধ থাকবে এবং রাতে আধারে লাইট অটোমেটিক জ্বলে উঠবে, এবং আরো একটি প্রযুক্তি হলো মশন সেন্সর! যেটা মানুষকে দেখলেই জ্বলে উঠবে এবং মানুষ না দেখলে লাইট বন্ধ হয়ে যাবে। আজকে মূলত কথা বলবো সেন্সর লাইট সম্পর্কে।
বাজারে ইতিমধ্যে অনেক কোম্পানি সেন্সর লাইট এনেছে যার মধ্যে বড় বড় ব্রান্ডগুলোর সাথে কম্পায়ার করার মত একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ই.এফ.আই ইলেক্ট্রনিক্স এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে খুব জরে সরে মার্কেটিং করার পাশাপাশি লাইটের সর্বোচ্চ ভালো সার্ভিস প্রোভাইড করছে।
সেন্সর লাইট নিয়ে ব্যবসা
আপনারা যারা সেন্সর লাইট নিয়ে ব্যবসা করতে চান তারা চাইলেই ই.এফ.এই ইলেক্ট্রনিক্সের পন্য কিনে ব্যবসা করতে পারেন। ই.এফ.আই ইলেক্ট্রনিক্সের পন্য নিয়ে ব্যবসা করতে চাইলে নিম্নে দেওয়া ভিডিওর স্ক্রিনে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করুন এবং এই ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পুর্ন ভিডিওটি দেখুন।
বাংলাদেশের সুনাম ধন্য একটি ইলেক্ট্রিক প্রতিষ্ঠান EFI Electronic Ltd. যেই কোম্পানির শুরুটা ছিলো সিমিত পরিসরে, তবে বর্তমানে এই কোম্পানিতে রয়েছে ৫০টিরও বেশি ইলেক্ট্রিক প্রোডাক্ট! তাদের এমন কিছু প্রোডাক্ট রয়েছে যেই পণ্যগুলো বাংলাদেশের অন্য কোন ইলেক্ট্রিক কোম্পানিতে পাওয়া যায়না।
ব্যবসা ও চাকরি করার সুযোগ
EFI কম্পানির আরো দ্রুত মার্কেটিং করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনপ্রিয় বিজনেস ভ্লগার ব্যবসার আইডিয়া দেওয়ার আমিন টিভির আমিন ভাইয়ের মাধ্যমে কয়েকটা ভিডিও করার পর, সমগ্র বাংলাদেশে অসংখ্য ডিলার এবং ডিপু নিয়ে বিজনেস করতেছে।
গত (১১ই ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা জোনে আমিন টিভির ভিডিও দেখে ডিপু নিয়েছেন, আজকে কুমিল্লা ডিপো উদ্ভোবন করার সময় উপস্থিত ছিলেন এবং পুরস্কার হাতে তুলে দিচ্ছেন-
মোঃ শাহ আলম , মাননীয় ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল , রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়াটার।
মোঃ আশিকুর রহমান , মাননীয় ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ই.এফ.আই. ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড!
দেবিদ্দার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের মাননীয় চেয়ারম্যানমোঃ জাহিদুল আলম।
ই. এফ. আই. কোম্পানির হেড অফ সেলস, মোঃ মিজানুর রহমান
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাওয়া অনেক কর্মী।
উক্ত ডিপোটি উদ্ভোবনের সময় AminTV সত্বাধীকার মোঃ আমিনুল ইসলাম ভাইয়ের হাতে তারা ই.এফ.আই. ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড কোম্পানির পক্ষ থেকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন।
চাকরি নিয়োগ
এছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন আরো কিছু বিজনেস ভ্লগার তাদেরকেও এই কোম্পানির পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানো হয় এবং পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
ই.এফ.আই ইলেক্ট্রনিক্স
কোম্পানিটি দেশব্যাপী প্রায় ১ হাজারেরও বেশি ইলেক্ট্রিক ব্যবসায়ীকে সমন্বিত সহায়তা প্রদানের জন্য ৫০টিরও বেশি বিক্রয় কেন্দ্র বা ডিলারের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিপণন করছে। এটির বিপণন এবং প্রযুক্তিগত বিভাগে একদল অভিজ্ঞ কর্মী রয়েছে যারা গ্রাহকদের পরিষেবা প্রদানের জন্য সুসজ্জিত।
বর্তমানে এই কোম্পানি সারা বাংলাদেশ ব্যাপী ডিলার ও এস.আর এর নিয়োগ দিচ্ছে। আপনারা যারা ই.এফ.আই কোম্পানির সাথে ডিলার বিজনেস করতে চান তারা অতি দ্রুত যোগাযোগ করতে পারেনঃ-
ডিলার নিতে যোগাযোগ
01845-257277, 01961-223344
এছাড়া যারা ই.এফ.আই ইলেক্ট্রনিক্সে চাকরি করতে চান তারা নিচে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
চাকরি করার জন্য যোগাযোগ
01966-909050, 01958-586888
আপনার বন্ধুদের মাঝে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন জেনো তারা চাকরি করার সুযোগ পায়।
উক্ত ডিপোটি উদ্বোধন ও সফলতার গল্পটি নিম্নে দেখানো ভিডিওটি দেখুন-
S.R পদে চাকরি করে ইনশাল্লাহ আপনিও সাভলম্ভী হতে পারেন, তাই দ্রুত যোগাযোগ করুন ই.এফ.কোম্পানির সাথে।
চাকরির খবর ২০২৩
গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেজিস্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ কর্তৃক নিবন্ধিত (নিবন্ধন নং-KHC-1874) প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে এর ১১, ২৬৭+ গ্রাহককে মোট ১৭ টি শাখায় নিজস্ব এবং চায়নার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য বাজার জাত করে আসছে। বর্তমানে নিজস্ব বিভিন্ন গ্যারান্টি/নন-গ্যারান্টি বাল্ব, সুইচ, সকেট, ক্যাবল, মাল্টিপ্লাগ, 2পিন, হোল্ডার সহ সর্বমোট ৫০ টি পন্য সারা দেশে বাজার জাত করার লক্ষ্যে, বিভিন্ন পদে স্মার্ট বেতনে বিশাল নিয়োগ চলছে যার সকল পদ সংখ্যা অনির্দিষ্ট।
"ব্যাকরণ" একটি সংস্কৃত শব্দ যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করা। কোন ভাষাকে বিশ্লেষণ করলে সেই ভাষার উপকরণ এবং উপাদানগুলোকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করে ভাষার অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা সম্পর্কে জানা যায়। ব্যাকরণ ভাষার শৃঙ্খলা রক্ষা করে নিয়ম-কানুন প্রণয়ন করে এবং তা প্রয়োগের রীতি সুত্রবদ্ধ করে। সুতরাং, ব্যাকরণকে ভাষার আইন বলা যায়।
যে শাস্ত্রের সাহায্যে ভাষার স্বরূপ ও গঠণপ্রকৃতি নির্ণয় করে সুবিন্যস্ত করা যায় এবং ভাষা শুদ্ধরূপে বলতে, পড়তে এবং লিখতে পারা যায়, তাকে ব্যাকরণ বলে। প্রত্যেক ভাষার মতো বাংলা ভাষারও নিজস্ব ব্যাকরণ আছে।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, “যে শাস্ত্র জানলে বাংলাভাষা শুদ্ধরূপে লিখতে, পড়তে ও বলতে পারা যায় তার নাম বাংলা ব্যাকরণ। “ সব ভাষার ব্যাকরণের মতো বাংলা ব্যাকরণেও চারটি আলোচ্য বিষয় আছে। যেমন: ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology), শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology), বাক্যতত্ত্ব (Syntex) এবং অর্থতত্ত্ব (Semantics)
গোল্ড বা স্বর্ণ প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের সম্পদ, অলংকার এবং বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে আসা একটি মুল্যবান ধাতু! সময়ের সাথে সাথে গোল্ডের ব্যাবহারে নানান পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে গোল্ড অলংকারের পাশাপাশি ব্যাংকিং ও ফাইনান্স এমনকি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসেও ব্যাবহার করা হচ্ছে। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৪ হাজার টনের বেশি গোল্ডের ডিমান্ডের বিপরীতে সাপ্লায়ের পরিমাণ ছিলো প্রায় ৪ হাজার ৭০০ টন। কিন্তু ডিমান্ডের তুলনায় সাপ্লায়ের পরিমাণ বেশি থাকা সত্তেও, গোল্ড প্রাচীনকাল থেকেই অনেক এক্সপেন্সিভ একটি মেটাল। বর্তমানে ১ গ্রাম গোল্ডের দাম প্রায় 60$ ডলার, অর্থাৎ প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দারায় প্রায় 670$।
অন্যদিকে বাংলাদেশে ২২ কেরেটের প্রতি ১ গ্রাম গোল্ডের দাম প্রায় ৭৫০০/- টাকা। অর্থাৎ প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম, প্রায় ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার টাকা)। সে তুলনায় ২২ কেরেটের প্রতি ভরি রুপার দাম মাত্র ১৫০০ টাকা (এক হাজার পাচশত টাকা) কিন্তু আদোতে স্বর্ণের দাম কেন এত বেশি?
স্বর্ণের দাম এত বেশি কেন?
প্রাচীন মিশরীয়রা গোল্ডকে দেবতার শরীরের অংশ হিসেবে বিশ্বাস করত! আবার ESTEC এর মতে ইশ্বরের ঘাম থেকে গোল্ডের উৎপত্তি হয়েছিল। গোল্ড নিয়ে যুগে যুগে বিভিন্ন সভ্যতায় ভিন্ন মতে প্রচলন থাকলেও, আধুনিক বিজ্ঞান অনুসারে অন্যান্য হেভি মেটাল গুলোর মত মহাকাশে নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছিলো। যা পৃথিবী সৃষ্টির প্রায় ২০ কোটি বছর পর, উল্কার সাথে ভূপৃষ্ঠে পৌছায়। পরবর্তীতে পৃথিবীর ফর্মেশনের সময় এই গোল্ড, অন্যান্য মেটাল যেমন- লোহা, এ্যালুমিনিয়াম, কোপার এবং রুপার সাথে সাথে ভূপৃষ্ঠের অভ্যান্তরে পৌছে যায়। খ্রিষ্ট পুর্ব ২৪৫০ সালে প্রাচীন মিশরে (Egypt) প্রথম গোল্ড পাওয়া যায়। এবং ধাতুটির উজ্জ্বল রঙের কারণে, মিশরীয়দের কাছে তখন থেকে মুল্যবান একটু ধাতু হিসেবে ব্যাবসা বানিজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন অর্নামেন্ট তৈরির কাজেও গোল্ড ব্যাবহার করা হতো।
World Gold Counsil এর মতে প্রাচীনকাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভুগর্ভ থেকে উত্তলিত গোল্ডের পরিমাণ ২ লক্ষ টনেরও বেশি, যা বিশ্বের মোট গোল্ডের ৩ ভাগের ২ ভাগ। বর্তমানে চীন, রাশিয়া, কানাডা, ইউএসএ, খানা এবং মেক্সিকোতে সব চেয়ে বেশি স্বর্ণ প্রডিউস করা হয়। ২০২১ সালে ৩৩২ টোন বা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৯% স্বর্ণ উতপাদন করে চীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ গোল্ড প্রডিউসার ছিলো।
চীন ছাড়াও রাশিয়া ৩৩০ টন,, অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৩১৫ টন, এবং কেনাডা ১৯২ টন গোল্ড উৎপাদন করে। উৎপাদন দিক থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ প্রার্থনা করার জন্য বানানো মুর্তি থেকে শুরু করে জুয়েলারি হিসেবে গোল্ডের ব্যাবহার করে এসেছে। এরপর ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে গোল্ডের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে কাগজের নোটের ব্যাবহার বাড়তে থাকলে, একটা সময় গোল্ড বিশ্বের কারেন্সি গুলোর ভিত্তি হয়ে ওঠে। যাকে মূলত গোল্ড স্টান্ডার্ড বলা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু, পদ্মা বহুমুখী সেতু। কোনাে রূপ বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত সর্ববৃহৎ প্রকল্প এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটা দেশের বৃহত্তম প্রকল্প এবং এটা দেশের সর্ববৃহৎ সেতু।
পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া থেকে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পর্যন্ত সংযুক্ত এই সেতুটি দুই স্তর বিশিষ্ট। এর উপরের স্তরে রয়েছে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি রেলপথ।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর সম্পূর্ণ নকশা এইসিওএমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি দল তৈরি করে। সেতুটি তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এর আওতাধীন চায়না মেজর ব্রীজ নামক একটি কোম্পানী।
কাজ শুরু হয় ২৬ নভেম্বর ২০১৪ এবং ২৩ জুন, ২০২২ পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। এই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহন করেন এবং এর মাধ্যমে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযােগে বিশ্বব্যাংক ও দাতাগােষ্ঠী সরে গেলেও বাংলাদেশ সরকার পিছু হটেনি। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ করা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে বাংলাদেশের কেন্দ্রের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি হয়। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কিঃমিঃ (১৭,০০০ বর্গ মাইল) বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯% অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। ফলে প্রকল্পটি দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এই সেতুটি নির্মিত হলে বাংলাদেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নে আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যোগাযোগের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
প্রসেসর হলো কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান হার্ডওয়্যার। মূলত একে CPU = Central Processing Unit (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) বলে।
প্রকৃত অর্থে মাইক্রো প্রসেসর একটি সয়ংসম্পন্ন এবং প্রোগ্রামেবল গানিতিক ইন্জিন। যা ইন্সটকশনের মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় অপারেশন নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পাদন করে। অর্থাৎ আমরা যখন কম্পিউটার চালানোর সময় বিভিন্ন কমান্ড দিয়ে থাকি, সেগুলোকে প্রসেসর প্রসেসিং করে আমাদের ডিসপ্লেতে শো করে। প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো - intel এবং - AMD.
তবে আমাদের দেশে intel প্রসেসরের জনপ্রিয়তা একটু বেশি। intel এবং AMD এর মধ্যে পার্থক্য এবং এই দুইটা প্রসেসর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পরে আরেকটি আর্টিকেলে আলোচনা করবো।
যাই হোক এখন তাহলে মূল টপিকে ফিরে আসি। আমরা যখন কোন প্রসেসর বাছাই করবো, তখন যে বিষয় গুলোর উপর ফোকাস করা উচিৎ, সেগুলো হলো-
CLOCK SPEED - ক্লক স্পিড
NUMBER OF CORES - নাম্বার অফ কোর
CACHE MEMORY - ক্যাশ মেমোরি
FSB - এফ এস বি
প্রথমে আসি ক্লক স্পিড বিষয়ে। "ক্লক স্পিড" এটাকে গিগাহার্জ ও বলা হয়। প্রতিটা প্রসেসরের গায়ে এটা লিখা থাকে যেমন- 3.00 GHz, 3.4 GHz, 4.00 GHz ইত্যাদি।
তো এখন আসি ক্লকস্পিড বা গিগাহার্জ এটা কি? সহজ ভাষায় আপনার কম্পিউটার কত দ্রুত হিসাব করতে পারে তা নির্ধারণ করে। অর্থাৎ প্রসেসর প্রতি সেকেন্ড কতগুলো ক্যালকুলেশন করতে পারে তা মাপার জন্য ক্লক স্পিড ব্যবহার করা হয়। তার পর হলো- NUMBER OF CORE - নাম্বার অফ কোর। এই জিনিসটা কি? Suppose, আমাদের দুটি হাত আছে, আমরা আমাদের দুই হাত দিয়ে একসাথে দুটি কাজ করতে পারি।
এখন ধরুন আমাদের যদি চারটা বা পাঁচটা হাত থাকতো, তাহলে ঠিক ঐ পরিমাণ কাজ আমরা একসাথে করতে পারতাম। NUMBER OF CORE - নাম্বার অফ কোর মূলত এভাবেই কাজ করে থাকে। তার মানে প্রসেসরের কোর যত বেশি থাকবে সেই প্রসেসরটি তত বেশি কার্যক্ষমতা সম্পন্ন হবে। প্রসেসরের NUMBER OF CORE: - নাম্বার অফ কোর- এরও আবার প্রকারভেদ আছে।
ফর এক্সাম্পল- আমরা যখন মার্কেটে কোন স্মার্টফোন কিনতে যাই, তখন সবার প্রথম আমরা ফোনের কনফিগারেশন গুলো দেখি। একই ভাবে আমরা যদি প্রসেসরের দিকে লক্ষ করি তাহলে দেখবো সেখানে-
Dual Core - ডুয়াল কোর
Quad Core - কোয়াড কোর
Hexa Core - হেক্সা কোর
Octa Core - অকটা কোর
Deca Core - ডেকা কোর
এই জিনিস গুলো লেখা থাকে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে এগুলোকি? Dual Core হলো দুটি কোর, অর্থাৎ Dual Core কোর প্রসেসরে দুটি প্রসেসিং ইউনিট থাকে। ঠিক তেমনি-
Quad Core = চারটি
Hexa Core = ছয়টি
Octa Core = আটটি
Deca Core = দশটি
প্রসেসিং ইউনিট থাকে। আবার প্রসেসরের বিভিন্ন সিরিজ থাকে।
আমাদের এই সিরিজের উপরও নজর দেওয়া উচি। সিরিজ যত উন্নত হবে প্রসেসরের মান তত বাড়বে। ইনটেল প্রসেসর সিরিজঃ
Pentium Series - পেন্টিয়াম সিরিজ
Seleron Series - সেলেরন সিরিজ
Core Series - কোর সিরিজ
i Series - আই সিরিজ
তেমনই AMD এর প্রসেসর গুলোহলোঃ
Sempron - সেম্পরন
A Thlon - এ থ্লন
AMD A Thlon X2 - এ,এম,ডি, এ থ্লন এক্স টু
AMD A Thlon 2 X2 - এ,এম,ডি, এ থ্লন টু এক্স টু AMD Phenom - এ,এম,ডি ফেনম
AMD FX - এ,এম,ডি এফ এক্স
AMD APU - এ,এম,ডি এ পি ইউ
আর তাই সবসময় নতুন মডেলের প্রসেসর কেনা ভালো। তবে হ্যা, প্রসেসরটি যেন আপনার মাদার্বোডে সাপোর্ট করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত গ্রাফিক্স ডাইজাইনারদের কথা চিন্তা করে পাবলিশ করা হচ্ছে। আজকে এমন একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করা শেখাবো যেটা সবারই খুব প্রয়োজন, বিশেষ করে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের।
এডোবি ইলাস্ট্রেটর ডাউনলোড করার পুর্বে জেনে নেই এডোবি এলাস্ট্রেটর কি?
ইলাস্ট্রেটর কী?
অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর হচ্ছে একটি ভেক্টর গ্রাফিক্স সম্পাদনাকারী সফটওয়্যার। যা শুধু ইলাস্ট্রেটর নামেই বেশি পরিচিত। এই সফটওয়্যারটি তৈরি ও বাজারজাত করেছে অ্যাডোবি সিস্টেমস। অ্যাডোবির সবথেকে জনপ্রিয় সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এর মাধ্যমে সকল গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো, ব্যানার তৈরি করা যায়। বিশেষ করে ভেক্টর ইমেজ খুব সহজে তৈরি করা যায়। আর এই এডোবি ইলাস্ট্রেটরের এর সর্ব শেষ সংস্করণ ইলাস্ট্রেটর সিসি যা ২০২২ সালে বের হয়েছে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এডোবি ইলাস্ট্রেটর ২০২২ ডাউনলোড করা শেখাবো এবং এই সফটওয়্যারটি বিনা মূল্য যে কোন কম্পিউটারে নিশ্চিন্তে ব্যাবহার করতে পারবেন।
Adobe Illustrator Download for Free
এডোবি ইলাস্ট্রেটর ডাউনলোড করার পুর্বে জেনে নেই যে ২০২২ সালের আপডেট ভার্শন ব্যাবহার করতে হলে আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন কিরকম হতে হবে।
এডোবি ইলাস্ট্রেটর ২০২২ ব্যাবহার করার জন্য সিস্টেম কনফিগারেশন কেমন হতে হবে?
উপরে দেওয়া তথ্য গুলোর সাথে আপনার সিস্টেম কনফিগারেশন যদি সেম হয়ে থাকে তাহলে আপনি আমাদের দেওয়া এডোবি ইলাস্ট্রেটর ডাউনলোড করে ব্যাবহার করতে পারেন।
এডোবি ইলাস্ট্রেটর ২০২২ ডাউনলোড
এডোবি ইলাস্ট্রেটর ২০২২ ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম এখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর নিচে দেখানো স্ক্রিনশটের মত একটি পেইজ আসবে।
ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করার পর নিচে দেখানো আরেকটি স্ক্রিনশটের মত স্ক্রিন আসবে-
এরপর Download Anyway এখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর সাথে সাথে ডাউনলোড হয়ে যাবে। ডাউনলোড হওয়া অবস্তায় এই ফাইলটি Zip ফর্মেটে থাকবে, তাই ডাউনলোড হওয়ার পর এটাকে এক্সট্রাক্ট করে নিতে হবে।
এক্সট্রাক্ট করার পর-
Set-up.exe এই ফাইলে ক্লিক করে ইন্সটল করতে পারবেন। সফটওয়্যারটি ইন্সটল করার সময় অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন অফ করে রাখবেন অন্যথায় Creative Cloud এর বিভিন্ন এক্সেস চাইতে পারে।
এটা ইন্সটল করতে কোনো প্রকার সমস্যা ফেস করে থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে সমস্যার কথা জানিয়ে দিন।