Saturday, November 19, 2022

সেভেন আপের ইতিহাস | 7up নাম কেন রাখা হলো?

সেভেন আপের ইতিহাস | 7up নাম কেন রাখা হলো?

সেভেন আপ (7up), বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই, কোমলপানীয়গুলোর মধ্যে সেভেনআপের জনপ্রিয়তা সবার শীর্ষে! এছাড়াও বিশ্বকাপ আসলেই সবার মাথায় চেপে বসে, গোল হলে ৭ টাই হতে হবে নাইত যে সেভেন আপ হবে না! কেউ যদি কোন টিমকে ৭ টি গোল দেয় তাহলে তাদেরকে মজা করে বলা হয় সেভেন আপ! তো এই যে এতদিকে শুধু সেভেন আপ সেভেন আপ, আসলে আমাদের মধ্যে কয়জনই বা জানে এই সেভেন আপের ইতিহাস সম্পর্কে? সেভেন আপ সম্পর্কে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানানো হবে এবং সেই সাথে জানাবো এর নাম সেভেন আপ কেন রাখা হলো? তাহলে চলুন জেনে নেই সেভেন আপের ইতিহাস!

চার্লস লিপার গ্রিগ

১৮৬৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে জন্ম তার। প্রাপ্ত বয়স্ক হলে সেন্ট লুইসে (Sent Louis) চলে যান তিনি। এবং ঐখানে গিয়ে কাজ শুরু করেন এডভার্টাইজিং এবং সেলস সেক্টরে। সে সময় কোমল পানীয়র সাথে পরিচয় হয় গ্রিগের। 

১৯১৯ সালে Vess Soda company এর মালিকানাধীন এক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে চাকরি করছিলেন গ্রিগ! সেখানে থাকাকালীন Jenkinson এর এক ফার্মের জন্য গ্রিগ উদ্ভাবন করেন অরেঞ্জ ফ্লেভারের এক কোমল পানীয়! আর তার নাম রাখা হয়েছিলো হুইসেল (Whistle). বাজারযাতও করা হয় সেটা কিন্তু পরবর্তীতে মেনেজমেন্টের কোন এক ঝামেলার কারণে সেখান থেকে চলে আসেন গ্রিগ আর রেখে আসেন তার বানানো হুইসেল (Whistle).

এরপর তিনি যোগ দেন Warner Jenkinson Company তে সেখানেও কোমলপানীয়র ফ্লেভার নিয়ে কাজ করতে থাকেন। সেখানে কাজ করার সময়ই গ্রিগের হাত ধরে আসে দ্বিতীয় কোমলপানীয় হাউডি (Howdy) পরবর্তীতে যখন গ্রিগ Warner Jinkinson থেকে চলে আসেন তখন আর আগের ভুলটা করেনি, তিনি এবারে তার বানানো হাউডির সকল ধরনের সত্ত নিয়ে আসেন। 

ততদিনে গ্রিগ বুঝতে পারছিলেন তার মাধ্যমে কোমল্পানীয় ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বড় কিছু করা সম্ভব! এবং এই চিন্তা মাথায় আসার পর গ্রিগ একজন অর্থলগ্নিকারী খুজে নিলেন। যার নাম ছিলো এডমুন্ড জি. রিজওয়ে। ততদিনে তিনি ২ টা অরেঞ্জ ফ্লেভারের কোমলপানীয় নিয়ে মার্কেটে থাকা ততকালীন কোমল পানীয় জায়ান্ট Crush Orange বা অরেঞ্জ ক্রাশের সামনে ঠিক কুলে উঠতে পারছিলেন না। তাই তিনি এদিকে আর মন না দিয়ে মাতলেন লেমন লাইম সোডা নিয়ে। 

১৯২৯ সালের অক্টোবর মাসে অবশেষে সফলতার মুখ দেখলেন গ্রিগ। উদ্ভাবন করলেন এক নতুন কোমলপানীয়র ফর্মুলা, যার না দিলেন Bib-Label Lithiated Lemon-Lime Soda! অল্প কিছুদিন পরেই এর নাম পালটে ওটা হয়ে গেলো Seven Up Lithiated Lemon Soda. অবশেষে ১৯৩৬ সাল থেকে এটা হলো কেবলই সেভেন আপ (7up).

সেভেন আপের (7up) একেবারে মূলফর্মুলার একটি উপাদান ছিলো লিথিয়াম সাইট্রিক। সে সময় ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যাবহৃত হত এটি। পরবর্তীতে ১৯৩৯ সালে মার্কিন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোমলপানীয়তে এই উপাদানের ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা ঝারী হয়। ফলে আলাদা হয়ে যায় সেভেন আপ ও লিথিয়াম সাইট্রেকের চলার পথ। Calsium, Disodium, UDTA  এর উপাদানের তালিকা থেকে সরিয়ে নেইয়া হয় ২০০৬ সালে। ঐদিকে সোডিয়ামের পরিমাণ কমাতে সোডিয়াম সাইট্রিকের বদলে যোগ করা হয় Potassium Citrate.

এখন প্রশ্ন হলো

সেভেন আপ নাম কেন দেওয়া হলো?

সেভেন আপ নাম কেন সেওয়া হলো? বিশস্ত কি এই নামের? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে গ্রিগ কোনোদিনি খোলাসা করেন নি এই ব্যাপারে। ফলে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য রয়েছে। 

যার মধ্যে সবাই বিশ্বাস করেন এবং বিশেষজ্ঞরাও দ্বারনা করেন সেভেন আপ তৈরি করা হয়েছিলো ৭ টি উপাদান দিয়ে, সে গুলো হলো চিনি, কার্বোনেটেড ওয়াটার, লেমন ও লাইম, অয়েলেএ নির্যাস, সাইট্রিক এসিড, সোডিয়াম এবং লিথিয়াম সাইট্রেট। আর এই পানীয়টির বাবল উপর দিকে উঠার কারণেই এর নাম রাখা হয় 7up! 

কিছু বিশেষজ্ঞরা আবার বলেন সেভেন আপ যখন প্রথম বাজারে আসে তখন এটা মোট সাটটি সাইজের বোতলে করে বাজারজাত করা হতো, তাই এর নাম করণ করা হয় সেভেন আপ। 

আবার অনেকেই বলে অত্যাধিক নেশার ফলে ৭ ধরনের জিনিস কাটাতে সাহায্যে করবে সেভেন আপ, এমনটাই একবার দাবী করেছিলেন গ্রিগ। তবে গ্রিগ কথাটি সিরিয়াসলি বলেন নি। 

এছাড়াও আরো অনেক ধরনের কথা শুনা যায় যেই কারনে এর নাম সেভেন আপ। আপনার মতে কি বলে? সেভেন আপ নাম কেন রাখা হয়েছে?

Friday, November 18, 2022

সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি কতটা নিরাপদ? সামাজিক নেটওয়ার্কে আসক্তি

সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি কতটা নিরাপদ? সামাজিক নেটওয়ার্কে আসক্তি

মানুষ সামাজিক প্রাণী এবং মানুষের নিজেদের ভেতর সবসময়েই একধরনের সামাজিক যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ইদানীং সামাজিক যোগাযোগের কথা বলা হলে সেটি মানব সভ্যতার সেই চিরন্তন সামাজিক যোগাযোগ বা সামাজিক নেটওয়ার্কের কথা না বুঝিয়ে ইন্টারনেট-নির্ভর সম্পুর্ন ভিন্ন এক ধরনের নেটওয়ার্কের কথা বোঝানো হয়। 

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, লিংকডইন, টিকটক, লাইকি এ ধরনের অনেক সামাজিক যোগাযোগ সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেগুলোতে মানুষ নিজেদের পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে। এক সময় এই সাইটগুলো ছিল কম বয়সী তরুন-তরুণীদের জন্যে, এখন সব বয়সী মানুষই সেটি ব্যাবহার করে। শুধু যে একে অন্যের সাথে যোগাযোগের জন্য এটি ব্যাবহার করে তা নয়, একটা বিশেষ আদর্শ বা মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যেও এটি ব্যাবহার করা হয়। যে উদ্দেশ্যে এটি শুরু হয়েছিল যদি এটি সেই উদ্দেশ্যে মাঝে সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে এটি কোনো সমস্যার জন্ম দিত না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি সামাজিম যোগাযোগ সাইটে আসক্তি ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীর জন্যেই একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে শুরু করছে।

মনোবিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন এবং এখন এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত বলা যায় এই সাইটগুলোর সাফল্য নির্ভর করে, সেগুলো কত দক্ষতার সাথে ব্যাবহারকারীদের আসক্ত করতে পারে। পুরো কর্মপদ্ধতির মাঝেই যে বিষয়টি রয়েছে সেটি হচ্ছে কত বেশিবার এবং কত বেশি সময় একজনকে এই সাইটগুলতে টেনে আনা যায় এবং তাদেরকে দিয়ে কোনো একটা কিছু করানো যায়। যে যত বেশিবার এই সাইট ব্যাবহার করবে সেই সাইটটি তত বেশি সফল হিসেবে বিবেচিত হবে এবং অবশ্যই সেটি তত বেশি টাকা উপার্জন করবে। কাজেই কেউ যদি অত্যান্ত সতর্ক না থাকে তাহলে তার এই সাইটগুলোতে পুরোপুরি আসক্ত হয়ে যাবার খুব বড় আশঙ্কা রয়েছে। 

মনোবিজ্ঞানীরা এই সাইটগুলো বিশ্লেষণ করে আরো একটি কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় আবিষ্কার করেছেন। সব মানুষের ভেতরেই নিজেকে প্রকাশ করার একটা ব্যাপার রয়েছে কিংবা নিজেকে নিয়ে মুগ্ধ থাকার এক ধরনের সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা থাকে, সেটাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় Narcissism বলে। সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে মানুষের এই সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে দেয়। 

সবার ভেতরেই তখন নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জেনে হোক না জেনে হোক ব্যাবহারকারীরা নিজের সম্পর্কে অত্যান্ত তুচ্ছ খুঁটিনাটি তথ্য সবার সামনে উপস্থাপন করতে থাকে, কেউ সেটি দেখলে সে খুশি হয়, কেউ পছন্দ করলে আরো বেশি খুশি হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি অনেকটা আসক্তির মতো কাজ করে এবং একজন ব্যাবহারকারী ঘন্টার পর ঘন্টা এই যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের সময় অপচয় করতে থাকে। 

সামাইম যোগাযোগের এই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে সারা পৃথিবীতে অনেক সময়ের অপচয় হচ্ছে।

Thursday, November 17, 2022

কম্পিউটার গেমে আসক্তি | কম্পিউটার গেম খেলা কত টুকু নিরাপদ?

কম্পিউটার গেমে আসক্তি | কম্পিউটার গেম খেলা কত টুকু নিরাপদ?

কম্পিউটার গেমে আসক্তিটা প্রায় সময়েই শুরু হয় শৈশব থেকে এবং বেশিরভাগ সময়ই সেটা ঘটে অভিভাবকদের আজ্ঞতার কারণে। কম্পিউটার একটা Tool এবং এটা দিয়ে নানা ধরনের কাজ করা যেতে পারে। এই প্রযুক্তি সম্পর্কে এত সুন্দর সুন্দর কথা বলা হয়েছে যে অনেক সময়ই অভিভাবকরা ধরে নেন এটা দিয়ে যা কিছু করা হয় সেটাই বুঝি ভালো, তা তখন যখন ত্রা দেখেন তাদের সন্তানেরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে আছে তারা বুঝতে পারেন না তার মাঝে সতর্ক হওয়ার ব্যাপার রয়েছে। 

কম্পিউটার গেম এক ধরনের বিনোদন এবং এই বিনোদনের নানা রকন মাত্রা রয়েছে। যারা সেটি খেলছে তারা সেটাকে নিছক বিনোদন হিসেবে মাত্রার ভেতরে ব্যাবহার করলে সেটি যেকোনো সুস্থ বিনোদনের মতই হতে পারে। কিন্তু প্রায়ই সময় সেটি ঘটেনা। দেখা গেছে একটি ছোট শিশু থেকে পুর্ন বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সবাই কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যেতে পারে।

কোরিয়ায় একজন মানুষ টানা পঞ্চাশ ঘন্টা কম্পিউটার গেম খেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেছিল। চীনের এক দম্পতি কম্পিউটার গেম খেলার অর্থ জোগাড় করতে তাদের শিশু সন্তানকে বিক্রয় করে দিয়েছিল। এই উদাহরণগুলো আমাদের মনে করিতে দেয় কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যাওয়া মোটেও বিচিত্র কিছু নয়। এবং একটু সতর্ক না থাকলে একজন খুব সহজেই আসক্ত হয়ে যেতে পারে। 

কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার গেমে আসক্তির বিষয়টা যেহুতু নতুন, তাই সেগুলো নিয়ে গবেষণা এখনো খুব বেশি হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে পুরো বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা আরো নিশ্চিতভাব্ব দিক-নির্দেশনা দিতে পারবেন। এখনই গবেষণায় দেখা গেছে কোনো একটা কম্পিউটার গেমে তীব্রভাবে আসক্ত একজন মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ উত্তেজক রাসায়নিক দ্রব্যের আবির্ভাব হয়। শুধু তাই নয় যারা সপ্তাহে আন্তত ছয় দিন টাকা দশ ঘন্টা করে কম্পিউটার ব্যাবহার করে তাদের মস্তিষ্কের গঠনেও এক ধরনের পরিবর্তন হয়ে যায়। 

কএই কম্পিউটার গেম চমৎকার একটা বিনোদন হতে পারে, কিন্তু এতে আসক্ত হওয়া খুব সহজ এবং তার পরিণতি মোটেও ভালো নয়। সেটা সবাইকে মনে এয়াখতে হবে। 

পাইরেসি কি? What is Piracy?

পাইরেসি কি? What is Piracy?


লেখক, শীল্পিসহ সৃজনশীল কর্মীরা তাদের নিজেদের সৃষ্টকর্মকে সংরক্ষন করার অধিকার দেওয়া কপিরাইট আইনের লক্ষ্য। সাধারণতভাবে একটি মুদ্রিত পুস্তকের কপিরাইট ভংগ করে সেটি পুণর্মুদ্রণ করা যথেষ্ট ঝামেলাপূর্ন এবং ব্যায়বহুল। কিন্তু কম্পিউটারের বেলায় যেকোন কিছুর 'কপি' বা 'অবিকল প্রতিলিপি' তৈরি করা খুবই সহজ কাজ। এজন্য এমনকি বিষেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পরেনা। এ কারণে কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটারে করা সৃজনশীল কর্ম যেমন ছবি, এনিমেশন, ভিডিও ইত্যাদির বেলায় কপিরাইট সংরক্ষনে বাড়তি ব্যাবস্থতা নিতে হয়। যখনই এরুপ কপিরাইট আইনের আওতায় কোনো কপিরাইট হোল্ডারের অধিকার ক্ষুগ্ন হয় তখনই কপিরাইট বিঘ্নিত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। এই ধরনের ঘটনাকে সাধারণভাবে পাইরেসি বা সফটওয়্যার পাইরেসি নাম্ব অভিহিত করা হয়। 

পাইরেসি কি

কপিরাইট আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা, নির্মাতা বা প্রোগ্রামার তাদের কম্পিউটার সফটওয়্যারের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে পারেন। ফলে, তাদের অনুমতি ব্যাতীত ঐ সফটওয়্যারের প্রতিলিপি করা বা সেটির পরিমার্জন করে নতুন কিছু সৃষ্টি করা আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ্য হয়ে যায়। ফলে, কপি বা নতুন সৃষ্টির আইনগত ভিত্তি আর থাকে না। কম্পিউটার সফটওয়্যারের পাইরেসি সোজা হলেও বিশ্বব্যাপী পাইরেসির প্রকোপ খুব বেশি একথা বলা যায় না।

সফটওয়্যার পাইরেসি কি

বড় বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের মেধাসত্ব সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপী পাইরেসি নজরদারি করার জন্য বিজন্বস সফটওয়্যার এলায়েন্স (BSA) নামে একটি সংস্থা তৈরি করেছে। সংস্থাটির ২০১১ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যাবহারকারীদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই পাইরেসিমুক্ত। যেহুতু সফটওয়্যার  পাইরেসি খুবই সহজ, তাই এর হিসাব করাটা কঠিনই বটে। বাংলাদেশেও সফটওয়্যার পাইরেসি নিষিদ্ধ।

পাইরেসি কি, এক কথায় পাইরেসি মানে চুরি 

Tuesday, November 15, 2022

ম্যানুয়াল ডাটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার দিয়ে ডাটা প্রসেসিং এর মধ্যে পার্থক্য

ম্যানুয়াল ডাটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার দিয়ে ডাটা প্রসেসিং এর মধ্যে পার্থক্য

কোন প্রকার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া শুধুমাত্র হাতে কলমে ডাটা প্রসেসিং করাকে ম্যানুয়াল ডাটা প্রসেসিং বলে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ক্যালকুলেটরের বাটন চেপে হাতে কলমে লিখে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি করে ফলাফল তৈরি হয়। এতে সময় বেশি লাগে এবং ভূল হবার সম্ভবনা থাকে।

অন্যদিকে কম্পিউটারের কী বোর্ডের সাহায্যে অতিদ্রুত গতিতে সর্বাপেক্ষ কম সময়ে এবং নির্ভুলভাবে ডাটা প্রসেসিং করা যায়। 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে ম্যানুয়াল ও কম্পিউটার দিয়ে করা ডাটা প্রসেসিং এর মধ্যে থাকা তুলনামূলক পার্থক্য জানাবো।

কজের গতি ও সময়

উপাত্ত সংগ্রহ থেকে শুরু করে ইনপুট প্রদান পর্যন্ত কাজগুলো মানুষকেই করতে হয়। খাতা কলমে লিপিবদ্ধ করে অথবা সরাসরি কম্পিউটারের কী বোর্ডের সাহায্যে টাইপ করে, অর্থাৎ এই অংশটুকু ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই করতে হয়। ফিল্ড ইনপুট হিসেবে পাওয়া উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের কাজ মানুষ হাতে কলমে করলে সে সময় লাগে, কম্পিউটারের সাহায্যে সেই কাজ তুলনামূলকভাবে নামমাত্র সময়ে সম্পন্ন করা যায়। উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের কাজ কম্পিউটার অত্যান্ত দ্রুত গতীতে করতে পারে। যা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে কম্পিউটারের সাহায্যে উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণে অনেক কম সময় লাগে।

উপাত্ত সংরক্ষণ

প্রক্রিয়াকরনের কাজ শুরু করার আগে সংগৃহীত উপাত্ত কাজগে লিপিবদ্ধ অবস্থায় সংরক্ষন করলে কাগজে অনেক বড় স্পতুপ তৈরি হতে পারে। এই বিপুল পরিমাণ কাগজ সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়ে রাখা এবং ব্যাবহার করা শ্রমসাধ্য এবং অত্যান্ত কঠিন কাজ। কিন্তু সকল উপাত্ত কম্পিউটারের মেমরিতে রাখলে সংরক্ষণের জন্য আর কোন কষ্ট করতে হয়না।  আবার কাগজপত্র ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভবনাও থাকে। কিন্তু কম্পিউটারের উপাত্ত সংরক্ষন করলে বছরের পর বছর একই রকম থাকে। তবে ভালো মানের হার্ড ডিস্ক ও এসএসডি যত্ন সহকারে ব্যাবহার করা উচিত। 

ক্লামতিহীনতা

মেনুয়্যালি ডেটা প্রসেসিং করতে যেমন অনেক বেশি সময় লাগে তেমনি মানুষ অতি অল্প সময়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে কাজের গতি মন্থর হয়ে যায়। কিন্তু কম্পিউটার ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লান্তহীনভাবে ডাটা প্রসেসিংয়ের কাজ করে যেতে পারে।

কাজের পুনরাবৃত্তি

একই কাজ ম্যানুয়ালি বার বাবার করতে মানুষ যেমন ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে যায়, তেমনি তাতে ভূল হবার সম্ভবনাও বাড়তে থাকে। অর্থাৎ ম্যানুয়াল কাজের পুনরাবৃত্তি একটা ঝামেলাপুর্ন বিরক্তিকর কাজ। কিন্তু কাজের পুনরাবৃত্তিতে কম্পিউটারের কোন অসুবিধা নেই। 

ভুল শনাক্তকরণ ও সংশোধন

যেকোম উপাত্তেই ভুল থাকতে পারে, মানুষ যেসব ভুল নিজ চোখে খুজে বের করে ব্যাবহারকারীর দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী খুব সহজে ভুল শনাক্ত করতে পারে এবং তা সংশোধন করতে পারে।

যাচাইয়ের মাধ্যমে ভুল শনাক্তকরণ ও সংশোধন

মানুষ নিজের বুদ্ধি বিবেচনার দ্বারা অনেক নতুন তথ্য উদঘাটন করতে পারে, কিন্তু কম্পিউটার তাকে দিয়ে দেওয়া বুদ্ধি বাইরে কোন কিছু তৈরি করা লাভ করতে, ভুল করতে, কিংবা সংশোধন করতে পারেনা। অর্থাৎ বুদ্ধি ও নতুনত্ব সৃষ্টির ব্যাপারে ম্যানুয়াল কাজ করা কম্পিউটারে কাজের চেয়ে লাভজনক। কিন্তু দক্ষতার বিচারে কম্পিউটারে ম্যানুয়াল ডাটা প্রসেসিং এর চেয়ে অনেক এগিয়ে। 
 
রূহ আফজার ইতিহাস |  রুহ আফজা ও হামদর্দ ইতিহাস

রূহ আফজার ইতিহাস | রুহ আফজা ও হামদর্দ ইতিহাস



রূহ আফজা বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানেও জনপ্রিয় পানীয় গুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ করে রমজান মাস আসলেই বাংলাদেশের মুদি দোকান থেকে শুরু করে ঔষধের দোকানেও পাওয়া যায় লাল রঙের এই পানীয়টি। বর্তমানে শর্বত হিসেবে পান করা হলেও ১০০ বছরেরও বেশি ঐতিহ্যবাহী এই পানীয়টি একটা সময় ইউনানি মেডিসিন হিসেবে ব্যাবহার করা হতো। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানাবো রুহ আফজার ইতিহাস সম্পর্কে! 

রূহ আফজার ইতিহাস

বাংলাদেশে রূহ আফজা বেশ জনপ্রিয় একটি পানীয় হওয়া সত্তেও অনেকেই হয়ত জানেনা যে রূহ আফজা প্রস্তুত কারক আদতে Hamdard বাংলাদেশ। অনেক দীর্ঘ সময় ধরে দেশেই রূহ আফজা ম্যানুফ্যাকচার করা হলেও মার্কেটিংয়ে তেমন বিশেষত্ব দেখা যায়না বিধায় অনেকেরই মনে হতে পারে এটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান। 

যদিও রুহ আফজা এবং  Hamdard এর ইতিহাস বাংলাদেশ, ভারত কিংবা পাকিস্তানের চেয়েও পুরোনো! হামদর্দের (Hamdard) শুরুটা হয়েছিলো মূলত ভারতের দিল্লিতে। হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা Hakim Hafiz Abdul Majeed এর জন্ম ১৮৮৩ সালে ততকালীন ভারতের পেরিফেটে। শিক্ষাজীবনের শুরুতে আব্দুল মজীদ (Abdul Majeed) পবিত্র কোরআন সম্পুর্ন মুখস্ত করেন এবং পরবর্তীতে উর্দু ও ফরাসি ভাষা শেখায় মনানিবেশ করেন। ভাষা সম্পর্কীত জ্ঞান অর্জনের পর উচ্চ শিক্ষা হিসেবে তিনি সে সময় ইউনানী চিকিৎসার উপর সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন।

পরাশোনা শেষে ১৯০৬ সালে হাফিজ আব্দুল মজীদ ততকালীন পুরোনো দিল্লিতে স্বাধারন জনগনকে ইউনানী চিকিৎসা দেওয়ার জন্য Hamdard নামে একটি ছোট ইউনানি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। 

হামদর্দ শব্দটি মূলত  ফরাসি শব্দ হাম এবং দর্দ এই ২ টি সব্দের সমন্বয় গঠিত। যার অর্থ ব্যাথার সহোযোগি। সে সময় তিনি বিভিন্ন ইউনানি ঔষধের সাহায্যে রোগীদের নানাধরনের রোগের চিকিৎসা করতেন এবং এর পাশাপাশ নিজেই নানা রোগের ভেষজো ও ইউনানি ঔষধ তৈরি করতেন। এ ধরনের ঔষধ তৈরি করতে গিয়েই ১৯০৭ সালে হাকিম হাফিজ আব্দুল মাজিদ নানা ধরনের ভেশজো ও ফলের মিশ্রণে একটি নতুন সিরাপ তৈরি করেন, যার নাম দিয়েছিলেন রুহ আফজা। 

ঘন লালা রঙের এই সিরাপটি তিনি মূলত Heat Stroke, Dehydration ও Diarrhea এর মত রোগের চিকিৎসার জন্য একটি ইউনানি ঔষধ হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন।  যদিও ঠান্ডা পানি বা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে বেশ সুস্বাদু এবং গরমকালে ক্লান্তি দূর করতে ততকালীন ভারত বর্ষে বেশদ্রুতই শর্বত হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে সিরাপটি। যার পরিপ্রেক্ষিতে হাফিজ আব্দুল মাজিদ তার এই পণ্যটিকে প্রোপার চ্যানেলে মার্কেটিং এর সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৯১০ সালে মির্জানুর আহমেদ নামে একজনকে নিয়ে রূহ আফজার লোগো ডিজাইন করিয়ে নেন। তবে ততকালীন দিল্লির প্রিন্টিং প্রেস গুলো ততখানী এ্যাডভান্স না হওয়ায়, ফুল কালার কন্ট্রাস ঠিক রেখে তা প্রিন্ট করা যাচ্ছিলোনা বিধায় তারা প্রিন্টিয়ের কাজটি বম্বে থেকে করিয়ে আনেন। বিভিন্ন মার্কেটিং এক্টিভিটির কারনে  রূফ আফজা নামটি সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে যায়, এবং পন্যটি স্বাদ ও মানের দিক থেকেও ভালো হওয়ায় বেশ দ্রুতই এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। 

বিশেষ করে ১৯১৫ সালে নাগাদ ততকালীন দিল্লির মুস্লিম কমিউনিটিতে রূহ আফজা বেশ ডমিনেট হয়ে উঠে।

কিন্তু রূহ আফজার এরূপ জনপ্রিয়তা হাফিজ আব্দুল মাজিদ দেখে যেতে পারেনি। ১৯২২ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যু বরন করেন।  



Coming Soon...

Monday, November 14, 2022

Netflix এর ইতিহাস

Netflix এর ইতিহাস

Netflix হলো এক ধরণের সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক স্ট্রিমিং সার্ভিস, যা সাবস্ক্রাইবড সদস্যদের ইন্টারনেট-সংযুক্ত ডিভাইসে বিজ্ঞাপনহীনভাবে টিভি শো ও সিনেমা দেখতে দেয়। নেটফ্লিক্সে আপনি বিভিন্ন মুভি, টিভি শো, ডোকুমেন্টরি ভিডিও ইত্যাদি সাবস্ক্রিবশনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন। তবে আদতে নেটফ্লিক্স কিভাবে প্রতিষ্ঠা হলো? জানাবো আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে।

নেটফ্লিক্স এর ইতিহাস

১৯৯৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়াতে Reed Hasting ও Marc Randolph নামে দুইজন এন্টারপ্রেনার নেটফ্লিক্স (NETFLIX) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে মাত্র ৩০ জন কর্মচারী এবং ৯২৫ টি ডিভিডি (25 DVD) নিয়ে মুভি রেন্টাল সার্ভিস হিসেবে যাত্রা শুরু করে Netflix. যেটি ছিলো বিশ্বের প্রথম অনলাইন ডিভিডি রেন্টাল সার্ভিস।

ইউজাররা নেটফ্লিক্সের ওয়েবসাইট থেকে মুভি অর্ডার করত, দেখা শেষ হলে আবার তা মেইলের মাধ্যমেই ফেরত দিয়ে দিত। স্বাধারনত রেন্টাল কোস্ট ধরা হতো 4$ এবং পোস্টেড চার্জ 2$। 

সে সময় USA তে সব চেয়ে বড় ভিডিও রেন্টাল সার্ভিস ছিলো "BLOCKBUSTER". প্রায় ৯ হাজারটি ভিডিও রেন্টাল শোপ ছিলো তাদের। যদিও পরবর্তীতে নেটফ্লিক্সের সাথে পেরে উঠতে পারেনি তারা। 

Netflix  এর Reed Hastings বলেন, তিনি ব্লকবাস্টার থেকে একটি Apollo13 এর DVD রেন্টে এনে সময় মত ফেরত দিতে ব্যার্ত হওয়ায় তাকে 40$ ফাইন করা হবে। সেই জন্য তিনি নেটফ্লিক্সের ক্ষেত্রে DVD রেন্টে নেওয়ার পর তা ফেরত দেওয়ার কোন সময়সীমা দেন নি। তবে নতুন একটি DVD নিতে হলে আপনাকে পুরোতনটি ফেরত দিতে হতো। 

১৯৯৯ সালে নেটফ্লিক্স তাদের প্রথম সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস চালু করেন। যার মাধ্যনে ইউজাররা একটি মান্থলি প্যাকেজের আহতায় আনলিমিটেড DVD ভাড়া নিতে পারত। 

২০০০ সালে নেটফ্লিক্সের ইউজার সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে যায়। সে সময় নেটফ্লিক্স ব্লকবাস্টারকে ৫০ মিলিয়ন ডলার প্রস্তাব দেয় তাদের সার্ভিসটি কিনে নেওয়ার জন্য, যদিও তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় ব্লোকবাস্টার! কিছুদিন পর নেটফ্লিক্স পার্সোনালিজ মুভি রিকোমেন্ডেশন সিস্টেম নিয়ে আসে। যার মাধ্যমে ইউজারদের রেটিং এর উপর নির্ভর করে মুভি রিকোমেন্ড করা হতো। 

২০০২ সালে নেটফ্লিক্সকে পাবলিক করা হয়। এবং সে বছরের শেষ পর্যন্ত নেটফ্লিক্সের রেজিস্ট্রেড ইউজার সংখ্যা গিয়ে দারায় ৮ লাখ ৫৭ হাজারে! তার পরের বছরই (২০০৩) নেটফ্লিক্স ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রিপশনের মাইল ফলকে পৌছায়। তবে একই বছর নেটফ্লিক্সের কো-ফাউন্ডার, মার্ক রেন্ডাফ নেটফ্লিক্সে তার মালিকার অংশ ছেড়ে দেন।

২০০৩ অর্থবছরে নেটফ্লিক্স প্রথমবারের মত প্রফিটের মুখ দেখে। সে বছর তাদের প্রফিট ছিলো ৬.৫ মিলিয়ন ডলার। এবং রেভিনিউ ছিলো ২৭২ মিলিয়ন ডলার। 

২০০৫ সালে নেটফ্লিক্সের কালেকশনে প্রায় ৩৫,০০০ মুভি ছিলো। এবং প্রতিদিন তারা গড়ে ১ মিলিয়ন ডিভিডি শিপিং করছিলো। 

২০০৬ সালে এসে নেটফ্লিক্সের ইউজার সংখ্যা ৫ মিলিয়নে পৌছায়! সে সময় ব্লকবাস্টারের আউটলেটে ডিভিডি রেন্টাল সার্ভিস থাকলেও নেটফ্লিক্স তাদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে ছিলো। কেননা নেটফ্লিক্স তাদের সার্ভিসটি অনলাইনে অফার করতে পারছিলো। কিন্তু ব্লকবাস্টার থেকে ডিভিডি আনতে হলে আপনাকে তাদের আউটলেটে ভিজিট করতে হতো। আবার ব্লকবাস্টারের তুলনায় নেটফ্লিক্সের কাছে অনেক বেশি মুভি কালেকশন ছিলো।

বেশ কিছুদিন ধরে ডিভিডি রেন্টাল দিয়ে এন্টারটেইনমেন্ট মার্কেট ডমিনেট করার সত্তেও নেটফ্লিক্স বুঝতে পারছিলো যে ভবিষ্যতে স্ট্রিমিং সার্ভিসই সবার চাহিদার শীর্ষে থাকবে। 



Sunday, November 13, 2022

সুইস ব্যাংকে সবাই কেন টাকা রাখে? ধনী ব্যাক্তিরা Swiss Bank এ টাকা কেন রাখে?

সুইস ব্যাংকে সবাই কেন টাকা রাখে? ধনী ব্যাক্তিরা Swiss Bank এ টাকা কেন রাখে?

সুইজারল্যান্ড বলতেই সবার আগে সেইখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুর্য, বাহাড়, কিং রিসোর্ট, চকলেট এবং সুইটস চিজের পাশাপাশি সুইস ব্যাংকের (Swiss Bank) কথা মাথায় আসে। দেশটির ব্যাংকিং আইনে সিকিউরিটিজ ও প্রাইভেসির কল্যাণে পৃথিবীর বড় বড় পলিটিশিয়ান, বিজনেস ম্যান থেকে শুরু করে মানি লন্ডারার, ড্রাগ ব্যাবসায়ী ও ক্রিমিনালরাও তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে জমা রাখছে।

সুইজ ব্যাংকে কেন টাকা রাখবেন?

২০২১ সাল পর্যন্ত সুইস ব্যাংকে মোট ডিপোজিটকৃত অর্থের পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন সুইস ফ্রাংকের বেশি! যেখানে ফরেন ক্লায়েন্টের ডিপোজিট কৃত অ্যামাউন্টের পরিমান ১.৫ ট্রিলিয়ন সুইস ফ্রাংক। ২০২১ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী ক্লায়েন্টের জমা কৃত অর্থের পরিমাণ ছিলো ৮৭১.১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাংক বা ৮,২৬৫ কোটি টাকা। যা ২০২০ সালেও ছিলো ৫,৩৩৩ কোটি টাকা।

মূলত সর্বচ্চ লেভেলের প্রাইভেসি এন্ড সিকিউরিটির কারণে মানুষ তাদের সৎ ও অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ সুইস ব্যাংক গুলোতে জমা রাখতে পছন্দ করেন।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাবো সুইস ব্যাংক কি? ও কিভাবে ক্লায়েন্টের সিকিউরিটি এনসিউর করা হয়। 

সুইস ব্যাংক বলতে আদতে কোন একটি নির্দিষ্ট  ব্যাংককে বোঝায়না। বরং সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং আইনের অধীনে অপারেট করা ২৪০ টিরও বেশি ব্যাংকে একত্রে সুইস ব্যাংক হিসেবে কনসিডার করা হয়। 

১৬০০ শতকের দিকে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের ব্যাংকিং ব্যাবস্থা গড়ে উঠে। ১৭১৩ সালে গ্রান্ড কাউন্সিল অফ জেনেবা (Grand Counsil of Geneba) তাদের আপার ক্লাস সিটিজেন ফিনান্সিয়াল ইনফরমেশন ডিসক্লোজ না করার সিদ্বান্ত নেন। যার অরেক্ষিতে এয়াজা রানী থেকে শুরু করে সেখানকার বড় ব্যাবসায়ী ও লর্ডরা তাদের স্বর্ণ ও অন্যান্য দামী জহরত জমা রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ স্তানের সন্ধান করলে ততকালীন সুইস ব্যাংক গুলো তাদের এই সুবিধা দিতে শুরু করে। 

১৮০০ সালের শুরু দিকে গ্রান্ড কাউনসিল অফ জেনেবার ক্লোজ এসোসিয়েশন ফ্রান্সের অনেক ব্যাংকাররাই সুইজারল্যান্ডে বসবাস করতে শুরু করে।  অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে ১৮৬৫ সালে সুইজারল্যান্ডে ক্রেডিট সুইজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেখানে মোট ক্যাপিটালের অর্ধেক জার্মানি থেকে অর্থায়ন করা হয়েছিলো। 

১৯১২ সালে সুইজ ব্যাংকারস এসোসিয়েশন (Swiss Bangkers Association) বা SBA নামে সুইজারল্যান্ডে প্রথম ব্যাংকিং এসোসিয়েশন গড়ে উঠে। 

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং সিস্টেম মূলত প্রাইভেসি, পলিটিক্যাল ইস্টাবিলিটি এবং অর্থনৈতিক ঐক্যমতের উপর টিকে রয়েছে। ১৯৩০ এর দশকে গ্রেড ডিপ্রেশন চলাকালীন ২ জন সুইজ ব্যাংকার তাদেএ ক্লায়েন্টের ব্যাংক ইনফরমেশন ফাস করে দেয়! যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে যেনো এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এর জন্য ফ্রান্স ও জার্মান্দের চাপে পরে ১৯৩৪ সালে সুইজারল্যান্ডে ব্যাংকিং আইন পাস করানো হয় যা সুইজ ব্যাংকিং আর্ট (Swiss Bangking Art) হিসেবেও পরিচিত।

অবশ্য বর্তমান সময়ে সুইজাল্যান্ডের ব্যাংকগুলো সকল প্রকার এক্টভিটি সুপার ভিশনের জন্য ২০০৯ সালে Federal Office of Provate Insurance (FOPI), Swiss Federal Banking Commission (SFBC), Anti-Money Laundering Control Authority (AMLCA) এই ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মার্জ (একসাথে) করে ফিনান্সিয়াল মার্কেট সুপার ভাইজর অথরিটি (Financial Market Supervisor Authority) বা finma প্রতিষ্ঠা করা হয়! 

সুইজ ব্যাংকিং এর একটি আর্টিকেল ৪৭ এর অধীনে ক্লায়েন্টের ব্যাক্তি ব্যাতীত তার ব্যাংকিং এর কোন ইনফরমেশন সুইজারল্যান্ডের কোন ব্যাংক কিংবা ব্যাংকের কোন ব্যাক্তি অন্য দেশের সরকার বা ট্যাক্স অথরিটির সাথে ডিস-ক্লোজ করতে পারবেনা। আইনটি ভঙ্গ করলে উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাকে ৫ বছরের কারাদন্ডিত করারও বিধান রয়েছে। এর পাশাপাশি কোন ক্লায়েন্টের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল এক্টিভিটির অভিযোগ সামনে আসলে যদি সেই অপরাধীর সাথে তার সরাসরি সম্পর্কিত প্রমাণ হয় তবেই সুধুমাত্র তার ব্যাংকিং ইনফরমেশন ডিস-ক্লোজ করা যাবে বলেও আর্টিকেলটিতে উল্যেখ করা হয়। 



Thursday, November 10, 2022

বিশ্বের সব চেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি SoftBank এর ইতিহাস

বিশ্বের সব চেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি SoftBank এর ইতিহাস

SoftBank Corporation, একটি জাপানিজ মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্ট এবং হোল্ডিং কোম্পানি। বিশ্বের সব চেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ১০০ বিলিয়ন ডলারের ভিশিয়ন ফান্ড নিয়ে বিশ্বের ছোট বড় টেক কোম্পানি গুলোতে ইনভেস্ট করে যাচ্ছে SoftBank. এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ টি কোম্পানিতে ইনভেস্ট করেছে সফট ব্যাংক। বাংলাদেশেও সফটব্যাংকের বেশ কয়েকটি ইনভেস্টমেন্ট আছে। বিকাশ, দারাজ, হ্যাংরিনাকি, আলিবাবা গ্রুপ ও এন্ট ফাইনান্সিয়ালেও ইনভেস্ট রয়েছে এবং আলিবাবা ও এন্ট ফাইনান্সিয়ালের অন্যতম স্টোক হোল্ডার SoftBank. এছাড়াও বিশ্বক্ষেত রাইড শেয়ারিং Uber এ-ও ইনভেস্ট আছে SoftBank এর। এত সব কিছুতে ইনভেস্ট করা SoftBank আদকে কিভাবে প্রতিষ্ঠা হলো? বা সফটব্যাংকের ইতিহাস কি?

আমাদের আজকের এই আরটিকেলে জানাবো SoftBank এর ইতিহাস ও সফটব্যাংক কে কিভাবে প্রতিষ্ঠা করলো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

SoftBank Founder History

সফটব্যাংক এর কথা আসলেই যার কথা আসে তিনি হচ্ছেন Masayoshi Son. 

১৯৫৭ সালে জাপানের তসু সহরে ওক কোরিয়ান ইমিগ্রেন্ট পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জাপানের বিল গেইটস খেত Masayoshi Son. 

খুব অল্পবয়স থেকেই ব্যাবসায়ের প্রতি সানের প্রবল আগ্রহ ছিলো এবং জাপানের McDonald's President, Den Fujita ছিলেন Masayoshi Son এর সানের Inspiration.  Den Fujita এর পরামর্শে সান মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমেরিকার San Francisco  তে মুভ করেন এবং University of California Berkeley থেকে Economics এবং কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পরাশোনা করেন। UC Berkely তে আন্ডার গ্রাজুয়েন্ট স্টাডি অবস্থায় সান জাপান থেকে প্যাক ম্যাম ও স্পেস ইনভেটর এর মত আর্কেট গেম গুলো ইমপোর্ট করে নরদেন ক্যালিফোর্নিয়ার লোকাল বাজারে ও রেস্টুরেন্ট গুলোতে রেন্ট দেওয়ার উপার্জন শুরু করেন। 

US এর একটি মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায় সান তার প্রথম মিলিয়ন ডলার আয় করেন আর্কেট গেমের মাধ্যমে। এছাড়াও তিনি তার কলেজের প্রফেসরের সাহায্যে একটি পকেট ইলেক্ট্রনিক্স ট্রান্সলেটর পেকিং করেন তা পরবর্তীতে সার্ফ করপোরেশনের কাছে ১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন। 

UC Berkeley তে পরাশোনা শেষ করার পর ১৯৮০ সালে Masayoshi Son জাপানে ফিরে জান, জাপানে ফিরে যাবার পর ফিরে জাবার পর তিনি বিভিন্ন বিজনেস আইডিয়া ও মডেল নিয়ে গবেষণা করতে থাকেন।

১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে Software Distributor Company হিসেবে ২ জন পার্টনার ও এম্পলয় নিয়ে SoftBank যাত্রা শুরু করে। ব্যাবসার প্রথম বছরে SoftBank এর মাসিক সেলস ১০ হাজার মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছে যায়। এদিকে ১৯৮১ সালে মে মাসের মে মাসে SoftBank OhPC এবং OhMZ  নামে ২টি ম্যাগাজিন পাবলিশ করার মাধ্যমে পাবলিশিং ব্যাবসায় প্রবেশ করেন।

 
এদিকে ১৯৮৩ সালে মধ্যে SoftBank ২০০টির ও ব্বশি ডিলার ও আউটলেটকে সার্ফ করছিলো। ১৯৮৪ সালে SoftBank, Japan Telecom Co. Ltd প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে টেলিকম ব্যাবসায় প্রবেশ করে। ১৯৮৬ সালে কোম্পানিটি রেইল ওয়ে টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড এস্টাবিলিশ করে এবং ১৯৮৯ সালে কোম্পানিটিকে মার্জ করে Japan Telecom Co. Ltd রাখা হয়। 

Masayoshi Son এর সফটব্যাংক (SoftBak) ইনভেটিভ টেকনোলজি এবং কাস্টমার একোজিশন স্কিমের মাধ্যমে বেশ সফল লাভ করতে থাকে। 

১৯৯০ সালে ইনিভেস্টমেন্ট পরিচালনা কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে Japan Telecom কে নাম পরিবর্তন করে SoftBank Corporation রাখা হয়। ১৯৯৪ সালে কোম্পানিটিকে পাবলিক করা হয় এবং সে সময় কোম্পানিটির ভ্যালুএশন ছিলো ৩ বিলিয়ন ডলার। 

Yahoo Japan

১৯৯৫ সালে সফটব্যাংক আমেরিকার স্টার্টাপ Yahoo তে ২ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে। ১৯৯৬ সালে কোম্পানিটি আরো ১০৫ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে এবং Yahoo এর সাথে পার্টনার শীপে জাপানে Yahoo Japan প্রতিষ্ঠা করে। Yahoo Japan মূলত Yahoo নাম ব্যাবহার করলেও কোম্পানি মূল আমেরিকান কোম্পানি থেকে ভিন্ন ভাবে পরিচালিত হচ্ছিলো জাপানে! সময়ের সাথে সাথে বিশ্বে Yahoo এর অবনতি ঘটলেও জাপানে এখনো বেশ জনপ্রিয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। 

১৯৯ সালে Masayoshi Son চায়নার এক অখ্যাত মার্কেটপ্লেস Alibaba তে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। বর্তমানে আলিবাবা গ্রুপ বিশ্বের অন্যতম বড় অনলাইন ই-কমার্স প্লাটফর্ম পরিচালনার পাশাপাশি টেকনোলজি ভিত্তিক বিভিন্ন সার্ভিস দিয়ে আসছে। 

Statista এর একটি তথ্য সুত্রে মার্কেট ক্যাপিটালাইজ এর দিক থেকে আলিবাবা বিশ্বের সপ্তম (7th) বৃহত্তম কোম্পানি! 

২০০০ সালের .com bubble crsuh এর পর সানের সফটব্যাংক ৯৩ শতাংশ মার্কেট ভ্যালুএশন হারিয়ে প্রায় ব্যাংক ক্রাপ্সের দ্বার অরান্তে পৌছে যায়। ডট কম (.com crsuh) ক্রাশের ফলে মাসাওশি সান তার ব্যাক্তিগত ৭৮ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৭০ বিলিয়নের বেশি হারান! কিন্তু এতসব লসের মধ্যেও সান একের পর এক ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানি গুলোতে ইনভেস্ট করে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি সেই সময় সফটব্যাংক জাপানের হাই স্পীড গিগাবাইট ইন্টারনেট বিল্ড করে যাচ্ছিলেন।

এছাড়াও সফটব্যাংক জাপানের vodafone কে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময় একুয়ার করে নেয়। এছাড়াও ২০১৩ সালে ২১.৬ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে US এর তৃতীয় বৃহত্তম ওয়ারলেস কেরিয়ার Sprint কে একুয়ার করে নেয় সফটব্যাংক। ২০১৩ সালের অক্টোবরে সফটব্যাংক ফিনিশ গ্যাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান SUPERCELL এর ৫১% স্টোক কিনে নেয় ২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়। 

Comming soon more Information...



Wednesday, November 9, 2022

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন কিভাবে? How to invest in share market

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন কিভাবে? How to invest in share market

শেয়ার বাজার বা শেয়ার মার্কেট, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ার বাজারের মার্কেট বেশ ভালো হলেও বাংলাদেশও খুব একটা কম নয়। তবে আমাদের স্বাধারন মানুষের অনেকেই জানেন না শেয়ার বাজারে কিভাবে ইনভেস্ট করতে হয় এবং শেয়ার বাজারে নিজের নাম কিভাবে লিখাতে হয়। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে শেয়ার করবো শেয়ার বাজারে কিভাবে ইনভেস্ট করতে হয়। 

বাংলাদেশে শেয়ারে ইনভেস্ট করতে চাইলে বিনিয়োগ কারীকে প্রথমেই একটি BO Account ওপেন করতে হবে। BO ফুল ফর্ম Beneficiary Owner। BO Account স্টোক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরদের জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মত কাজ করে। ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে যেমন কেউ টাকা জমা রাখতে পারে, তেমনি বিও এ্যাকাউন্টে ইনভেস্টরের বিনিয়োগ কৃত টাকা অথবা সেই টাকা দিয়ে কেনা শেয়ার জমা থাকে। মূলত এই বিও অ্যাকাউন্টটি ব্যাবহার করে ইনভেস্টর তার শেয়ার কেনা বেচা করে। 

তবে বিও অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য ইনভেস্টরের নিজের নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হয় যেটি তার বিও অ্যাকাউন্ট এর সাথে লিংক করা থাকে। 

BO Account টি Central Depository Bangladesh Limited বা CDBL নামের একটি প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয়। ইনিভেস্টরের সকল লেনদেনের হিসাব CDBL এর অ্যাকাউন্টে মেন্টেইন করা হয়। 

ইনভেস্টরের এই বিও অ্যাকাউন্ট কোন একটি ব্রোকারেজ হাউজের (BROKERAGE HOUSE) মাধ্যমে ওপেন করতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩০২ টি লাইসেন্স ব্রোকারেজ রয়েছে। যদিও এদের মধ্যে ২৫০ টির ও কম ব্রোকার কমার্সিয়ালি ট্রেডিং করে। 

একজন আগ্রহী ইনভেস্টর DSE (Dhaka Stock Exchange) বা CSE (Chittagong Stock Exchange) এর ওয়েবসাইট থেকে তার সুবিধামত লিস্টেড যে কোন একটি ব্রোকারেজ হাউজ সিলেক্ট করে সহজেই একটি BO Account ওপেন করতে পারে। 

BO Account একজন আগ্রহী ইনভেস্টর একক ভাবে অথবা যৌথভাবে ওপেন করতে পারেন। 

CDBL এর ২০২১ সালে জুলাই মাসের ডেটা অনুযায়ী দেশে এ্যাক্টিভ বিও অ্যাকাউন্ট গুলোর মধ্যে ব্যাক্তিগত বা একক BO Account এর পরিমান ১৬ লক্ষেরও বেশি। যৌথ অ্যাকাউন্ট এর পরিমাণ ৮.৫ লক্ষ এবং বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত অ্যাকাউন্টের পরিমান ১৫ হাজারটি। 

একটি BO Account ওপেন করতে পাসপোর্ট সাইজে ছবি, NID বা পাসপোর্টের ফটোকপি, এবং আবেদন কারীর ব্যাংক ডিটেইলস ইত্যাদি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও আবেদন কারীর নমিনির পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং NID এর ফটোকপিও প্রোভাইড করতে হয়। 

অ্যাকাউন্ট অপেনিং চার্জ ব্রোকারেজ ভেদে ৪৫০ থেকে ১০০০ টাকা হতে পারে, তাছারাও প্রতিবছর BO Account রিনিউ করার জন্য DSE এর নির্ধারিত ৪৫০/- টাকা পরিশোধ করতে হয়। সাধারনত ফর্ম ফিলাপ এবং চার্জ পে করার ১-২ দিনের মধ্যে আবেদনকারী তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বর পেয়ে যান। এসব কাজ বর্তমানে খুব সহজেই অনলাইনে করা সম্ভব। 

BO Account ওপেন হয়ে গেলে যে কেউ সহজে স্টোক এক্সচেঞ্জে ট্রেডিং শুরু করে দিতে পারেন। 

BO Account অপেনের পর ইনিভেস্টরের তার ফান্ড BO Account এ ট্রান্সফার করতে হয়। অথবা তিনি যে পরিমানে টাকা ইনিভেস্ট করতে চান সে পরিমান টাকা অ্যাকাউন্টটিতে জমা করতে হয়। 

টাকা জমা জরার পর সাধারনত ৩ ভাবে স্টোক ক্রয় করা সম্ভব। নিজে ব্রোকারেজ হাউজে উপস্থিত হয়ে। ব্রকারকে কল করে বা মেসেজ করে এবং স্টোক এক্সচেঞ্জের মোবাইল অ্যাপ ব্যাবহার করে।