Friday, November 4, 2022

গভীর রাতে স্কুলে প্রশ্ন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লো স্কুল ছাত্রী

গভীর রাতে স্কুলে প্রশ্ন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লো স্কুল ছাত্রী

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গভীর রাতে স্কুলে ঢুকে প্রশ্ন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১টার ওই বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন, সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুর রহীম, শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, মহিউদ্দিন মনির ও ওই ছাত্রীর মা বিদ্যালয়ে গিয়ে নিয়ে আসে তাকে।জানা গেছে, ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী তার এক বান্ধবী (ভূঞাপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী) ও দুই ছেলে বন্ধুর সহায়তায় এসএসসির টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরি করার জন্য শনিবার রাতে বিদ্যালয়ের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। ওই ছাত্রী আগে থেকে বানানো তালার চাবি দিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে কয়েকটি আলমারির তালা ভাঙতে থাকে। এ সময় পাশের রুমে থাকা নাইটগার্ড ফজলু তালা ভাঙার শব্দ পেয়ে ভেতরে গিয়ে ওই ছাত্রীর হাতে ছুরি দেখতে পান। পরে ওই ছাত্রী নাইটগার্ডকে ফাঁসানোর ভয় দেখায়।এদিকে একপর্যায়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসে নাইটগার্ড বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাল মাহমুদের বাসায় নিয়ে যান। এ সময় সেখানে ছাত্রীটি ঘটনার বিস্তারিত বলে। পরে মানবিক বিবেচনায় রাতেই প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীর মা ও ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিনকে বিষয়টি জানালে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে এসে মেয়েকে নিয়ে যান।ভূঞাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাল মাহমুদ বলেন, শনিবার রাত ১টার দিকে প্রশ্নপত্র চুরি করে বিক্রির জন্য, ছেলেদের পোশাক পড়ে বিদ্যালয়ের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে ওই ছাত্রী। পূর্বেই বিদ্যালয়ের তালা-চাবির ছবি তুলে তালা খোলার জন্য আলাদা চাবি বানিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে।


তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের কক্ষের ভেতরে কয়েকটি আলমারির তালা নষ্ট করে। এ সময় নাইটগার্ড শব্দ পেয়ে ভেতরে গিয়ে তাকে ছুরিসহ হাতেনাতে আটক করে। ওই ছাত্রী আমাদের জানিয়েছে এসএসসির টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন চুরি করে বন্ধুদের কাছে বিক্রি করবে। তবে মানবিক কারণে তাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার মাকে জানানো হলে তারা বিদ্যালয়ের এসে তাকে নিয়ে যায়। এ কাজে জড়িত থাকার দায়ে আমাদের বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহীউদ্দিন বলেন, এ ঘটনাটি জানা নেই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রশ্ন চুরির ঘটনা জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ইশরাত জাহান বলেন, খবরটি শুনেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক বার্ষিক পরীক্ষা এখন থেকে ৬০ নম্বরে!

প্রাথমিক বার্ষিক পরীক্ষা এখন থেকে ৬০ নম্বরে!

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির খুদে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ে বার্ষিক বা তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে। আর ক্লাস টেস্ট থেকে ৪০ নম্বর যুক্ত হবে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মোট ১০০ নম্বরের পাঁচটি বিষয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন হবে। এসব ক্লাসটেস্টে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা, জ্ঞানের প্রয়োগ, শোনা, বলা, পড়া ও লেখার দক্ষতার পরিমাপ হবে। দেশের ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই দিনে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। এভাবেই খুদে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন করতে বলেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বর্তমানে প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরের অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হয়।


গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়টি দৈনিক আমাদের বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা এ নির্দেশনা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি।


তিনি জানান, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। তার আগে শিক্ষার্থীদের প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগেই আমরা এনসিটিবির মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন এনেছি। শ্রেণি পরীক্ষার নম্বর ও তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষার নম্বর নিয়ে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন করা হবে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তরে পাঠানো নির্দেশনার কপি দৈনিক আমাদের বার্তার হাতে এসেছে। ওই নির্দেশনা পর্যালোচনা করে জানা গেছে, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এ পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে। প্রতিটি বিষয়ের কমপক্ষে পাঁচটি শ্রেণি পরীক্ষা নিতে হবে শিক্ষকদের। প্রতিটি শ্রেণি পরীক্ষার নম্বর হবে ২০। এ পাঁচটি শ্রেণি পরীক্ষার প্রাপ্ত মোট নম্বরের ৪০ শতাংশ ও তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষার ৬০ নম্বর-এ মোট ১০০ নম্বরে খুদে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন হবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির সমন্বিত প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে শিক্ষকদের। এরপর বিদ্যালয় অভিভাবকদের হাতে ফল তুলে দেবো। 


আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার কথা আছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হলে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা থাকবে না, ধারাবাহিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর আগে চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়নে নতুন এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিভাগীয় উপপরিচালকদের পাঠিয়েছে।

Thursday, November 3, 2022

ক্লাস না করে পার্কে ঘুরছে স্কুল ছাত্র, তার ব্যাগে পাওয়া গেলো কনডম

ক্লাস না করে পার্কে ঘুরছে স্কুল ছাত্র, তার ব্যাগে পাওয়া গেলো কনডম

নারায়ণগঞ্জে একটি পার্কে অভিযান চালিয়ে স্কুল ফাঁকি দিয়ে ঘোরাফেরা করায় পাঁচজন কিশোরকে আটক করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরার নেতৃত্বাধীন একটি দল। এ সময় অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রের ব্যাগে মিলেছে পাঁচটি কনডম। এ ঘটনায় তাদের অভিভাবকদের ডেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।


মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ফতুল্লা পঞ্চবটির অ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্কে এ অভিযান চালানো হয়।


জানা গেছে, বিকেলে অ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্কে ঘোরাফেরা করছিলেন ওই পাঁচ কিশোর। তাদের দেখে পার্ক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ব্যাগ তল্লাশি করেন। তল্লাশিতে তাদের ব্যাগে স্কুলড্রেস পাওয়া যায়। এ সময় ৮ম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রের ব্যাগে পাঁচটি কনডম পাওয়া যায়। স্কুলড্রেস পরে পার্কে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা টি-শার্ট পরে প্রবেশ করেন। এ ঘটনায় তাদেরকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরা জানান, স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীরা পার্কে আসতে পারবেন না। সন্দেহ হওয়ায় তাদের ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। ছাত্রের ব্যাগে কনডম পাওয়া আসলেই বিস্ময়কর। স্কুলশিক্ষক ও অভিভাবকদের ডেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছি।




পুরুষের ৪ বিয়ের সুন্নাতের সাথে যেই গুলো জানা উচিত

পুরুষের ৪ বিয়ের সুন্নাতের সাথে যেই গুলো জানা উচিত

পুরুষের ৪ বিয়ের সুন্নাত, এইটা তো সবাই জানেন!

বাকিগুলা জানেন?

না জানলে আসেন জেনে নেই,


১. বয়স্ক মহিলাকে বিবাহ করা সুন্নাত।


২. ডিভোর্সী নারীকে বিবাহ করা সুন্নাত।


৩. বিধবা নারীকে বিবাহ করা সুন্নাত।


৪. স্ত্রীর সাথে রান্না করার কাজে, পরিস্কারের কাজে, ধোয়া-মোছার কাজে সহায়তা করা সুন্নাত।


৫. ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে স্ত্রীকে মুখে খাবার তুলে খাওয়ানো সুন্নাত।


৬. স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করা সুন্নাত।


৭. স্ত্রীর ভুল ক্ষমা করা সুন্নাত।


৮. স্ত্রীর জন্য নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা সুন্নাত।


৯. স্ত্রীর অনুভূতিগুলো জানার চেষ্টা করা এবং তাকে যখন প্রয়োজন হয় স্বান্তনা দেওয়া সুন্নাত।


১০. স্ত্রীর সাথে খেলা করা, গল্প করা, ঘুরতে নিয়ে যাওয়া সুন্নাত।


১১. স্ত্রীর কোলে আবদ্ধ হওয়া এবং শিথিল করা সুন্নাত।


১২. স্ত্রীকে সুন্দর নাম নিয়ে ডাকা সুন্নাত।


১৩. পরিবারের ব্যক্তিগত সদস্য এবং বন্ধুদের কাছে তার ব্যক্তিগত কথা প্রকাশ না করা সুন্নাত।


১৪. স্ত্রীর পিতা-মাতাকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা করা সুন্নাত।


১৫. স্ত্রীর এটো খাবার খাওয়া সুন্নাত।


১৬. স্ত্রীর অভিমান ভাঙ্গানো সুন্নাত।


১৭. স্ত্রীর কোলে শুয়ে কুর'আন তিলাওয়াত করা সুন্নাত।


১৮. স্ত্রীকে সালাম দেওয়া সুন্নাত।


অনেক পুরুষই আছেন, যারা এগুলোর একটা সুন্নাতও পালন করতে রাজি হন না।


কিন্ত ৪ বিয়ের সুন্নাতটা পালন করতে তারা সদা প্রস্তুত।

বাকিগুলা জেনে তারপরে ৪টা বিয়া কইরেন..

আর সব স্ত্রীকে আলাদা বাসস্থান, সমান অধিকার না দিলে


কেয়ামতের ময়দানে শুয়ে শুয়ে খোড়ায়ে যেতে হবে রবের সামনে, পারবেন তো?


স্ত্রীর অধিকারগুলা ভালোভাবে আদায় করেন,

দুনিয়াটা জান্নাত হবে

পরকালটাতেও রবের সান্নিধ্য পাবেন

ইন শা আল্লাহ



আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা পূর্ণ নম্বরে হবে!

আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা পূর্ণ নম্বরে হবে!

আগামী ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।


২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে সব বিষয়ে ও পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী ২০২৩ সাল থেকে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে।


তিনি জানান, শিক্ষা বোর্ড সিলেবাস পূনর্বিন্যাস করেছে। সেই সিলেবাসে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  


চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ৬ নভেম্বর থেকে একযোগে শুরু হবে। এই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন।  


২০২২ খ্রিষ্টাব্দের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে দুইটি আবশ্যিক, তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে এবং ৪র্থ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  


পরীক্ষার নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ২৫টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে, সময় ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হবে, সময় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট।


মানবিক ও ব্যবসায় শাখা পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ৩০ টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে, সময় ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ১১টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টির উত্তর দিতে হবে, সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট.


এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। 


এতে বলা হয়, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমসান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।


‘২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। ’


এতে আরও বলা হয়, এসএসসি পর্যায়ে আইসিটি পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর ৫০ এবং অন্যান্য প্রতিটি বিষয়ে ৩ ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর এইচএসসি পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ে ৩ ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


চলতি বছরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে ২ ঘণ্টা অনুষ্ঠিত হয়।



Sunday, October 23, 2022

পিরামিড সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

পিরামিড সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

আজ থেকে 5,000 বছর আগে মিসরে এমন কিছু স্থাপত্য নির্মাণ হয়েছিল যা তখনকার বিজ্ঞান ভাবনার ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব। কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া নিখুঁত এবং নির্ভুল ভাবে অকল্পনীয় স্থাপত্য নির্মাণ করেছিল তারা। আজ যেখানে 20 টনের একটি কংক্রিটের ভার তুলতে ক্রেনের দরকার হয়, সেখানে 5 হাজার বছর আগে কোন ক্রেন ছাড়া 70 টনের চেয়েও ভারী ভারী পাথর এরা বহন করেছিল। কিভাবে সম্ভব? 


এই পিরামিডের গঠন এতটাই আশ্চর্য যে বিজ্ঞানীদের বারে বারে ভাবিয়ে তুলছে, একেকটি পিরামিড তৈরি করতে প্রায় 32 হাজার লাইম স্টোন ব্যবহার করা হয়েছিল। যার প্রত্যেকটি নিখুঁতভাবে কাটা। বিজ্ঞানীরা অনেক খোঁজ করেও পিরামিডের কাছাকাছি কোন পাথরের স্টোর ভান্ডার খুঁজে পায়নি। তো এতো ভারী ভারী পাথর গুলি তারা কোথা থেকে নিয়ে আসত? আর কিভাবে তারা এতো উচু পিরামিডগুলোতে এই ভারী ভারী পাথর গুলো তুলতো? 


পিরামিডের অবস্থান আকাশের তারার সাথে সমান্তরাল। যা কোনোভাবেই কাকতালীয় হতে পারে না। আকাশে তারার সাথে সমান্তরালভাবে পিরামিড তৈরি করতে গেলে দরকার ছিল আধুনিক সরঞ্জামের। কিন্তু তখন কার দিনে তারা এসব- প্লেন, রকেট,  পাবে কি করে? আর আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া এই সমান্তরালভাবে পিরামিড নির্মাণ ছিল অসম্ভব।


পিরামিডের ভিতরের দেয়ালে যে চিত্র অংকন হয়েছে সেখানে কিছু এলিয়েন যানের চিত্র দেখা গেছে। আর কিছু এলিয়েনের ছবি মিশরীয়রা একেছিল এই পিরামিডে। আমরা জানি যে আমাদের চোখের সামনে চারপাশে যে জিনিস দেখি সেই জিনিস দিয়ে নতুন কোন জিনিসের ভাবনা আমরা পাই। মিশরীয় রা হয়তো এরকম কোন যান দেখেছিল, এরকম কোন এলিয়েনদের দেখেছিল। তাই জন্যই তারা পিরামিডের দেওয়ালে এমন ছবি অংকন করেছিল।


পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে। পাথর খণ্ডের একেকটির ওজন ছিল প্রায় ৬০-৭০ টন। যার দৈর্ঘ্য ছিল 30 থেকে 40 ফুটের মতো। ৫,০০০ বছর আগে এগুলো তারা কিভাবে বা কিসের মাধ্যমে এতো উপরে তুলেছিল সেই প্রশ্ন আজও অজানা।


মিশর প্রায় 5000 বছর ধরে তাঁর বুকে জমা রেখেছে এমন কিছু রহস্যের ভান্ডার।


বিদ্রঃ আমি এলিয়েন বিশ্বাস করি না- তথ্যগুলো ইন্টারনেট থেকে পেয়েছি





Thursday, October 13, 2022

গাড়ি বিক্রির চুক্তি পত্র লেখার নিয়ম

গাড়ি বিক্রির চুক্তি পত্র লেখার নিয়ম

গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্রের নমুনাঃ

>> আমরা যখন নিজেদের গাড়িটি অন্যের কাছে বিক্রি করতে চাই বা কারো কাছ থেকে কোনো গাড়ি কিনতে যাই তখন আমাদের ওই গাড়িটি কেনার জন্য একটি চুক্তিপত্র করতে হয়। তো আজকে আমরা জানব কিভাবে গাড়ি বিক্রি করার চুক্তিপত্র (Car sales contract) করতে হয়।

প্রথমেই চুক্তিপত্রটির উপরের “গাড়ি বিক্রয়ের চুক্তিপত্র” কথাটি লিখতে হবে।

তারপর প্রথম পক্ষঃ লিখতে হবে বা না লিখলেও হয়, প্রথম পক্ষ এর লাইন থেকে গাড়ি টি যে বিক্রি করবে তার “নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, পেশা, ভোটার আইডি নাম্বার ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।” এরপর নিচের লাইনে “প্রথম পক্ষ/গাড়ির মালিক বা বিক্রেতা” কথাটি লিখতে হবে।

এখন দ্বিতীয় পক্ষঃ লিখতে হবে পরের লাইনে, তারপর এই লাইনে যে গাড়ি টি কিনবে তার “নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, পেশা, ভোটার আইডি নাম্বার ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে”। এরপর নিচের লাইনে “দ্বিতীয় পক্ষ/গাড়ির ক্রেতা” কথাটি লিখতে হবে।

** লেখাগুলোর ডট ডট গুলোতে গাড়ির তথ্যগুলো দিয়ে দিতে হবে।



তারপর পেইজের নিচে “চলমান পাতা ০২” লিখতে হবে, এটা লেখার কারণ হলো পরে আরো পাতা আছে, মানে পরের পাতাটি ০২ নং পাতা।

এর পর আরেকটি পেইজ শুরু হবে, সেখানে প্রথমেই উপরে “পাতা নং-০২” লিখতে হবে।

এর পরের লাইনে লিখতে হবে- 

“অত্র গাড়ি খানা বিক্রয় করার প্রস্তাব করিলে দ্বিতীয় পক্ষ নিম্ন বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে ক্রয় করিতে উচ্ছুক হইলে আমরা উভয় পক্ষ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে গাড়ীর বর্তমান বাজার দর নির্ধারণ করে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেই।” 

** এই কথাটি সবার জন্যই হয়ে থাকে এই কথাটি পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় না। 

পরের লাইনে ‘শর্তাবলী’ লেখাটি লিখতে হবে। মানে এরপর থেকে নিচে নিচে চুক্তিপত্রের কি কি শর্তাবলী আছে সেগুলোকে উল্লেখ করতে হবে।

১। গাড়ির বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী, গাড়ির মোট মুল্য -……………………/- (…………………..) টাকা মাত্র।

২। দ্বিতীয় পক্ষ ক্রেতা উক্ত গাড়ির ক্রয় বাবদ নগদ -……………………/- (…………………..) টাকা পরিশোধ করিয়া গাড়ি টি বুঝিয়া নিলেন।

৩। অদ্য ……………….. তারিখ হইতে গাড়ি টির সাথে সম্পর্কিত সমস্ত দায় দায়িত্ব ক্রেতা বহন করিবেন।

৪। নাম পরিবর্তনের সময় বাকি -……………………/- (…………………..) টাকা দ্বিতীয়পক্ষ প্রথমপক্ষকে দিবেন। প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষকে নাম পরিবর্তন করে দিতে বাধ্য থাকিবে। প্রথম পক্ষ যদি ব্যর্থ হয় সমস্ত টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে এবং দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে গাড়ি টি ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবে।

** উপরের এই প্রধান ৪টি পয়েন্ট উল্লেখ করে গ্যাপগুলো পূরণ করে দিতে হবে এবং পেইজের নিচে “চলমান পাতা-০৩” দিয়ে আরেকটি পেইজ শুরু করতে হবে। এরপর লিখতে হবে,

এতদ্বার্থে আমরা উভয় পক্ষ অত্র দলিল পড়িয়া ও বুঝিয়া, সুস্থ্য মস্তিস্কে স্বাক্ষীগণের সম্মুখে নিজ নিজ নামে সহি ও স্বাক্ষর করিলাম। 

💥 গাড়ি বিক্রয় চুক্তিনামা নমুনা দেওয়া হলো:

📝 বিক্রয় রশিদ পত্র

ইয়াদিকির্দ্দঃ নামঃ …………………………………………………

পিতা/স্বামীঃ ……………………………………………………………………………..

ঠিকানাঃ……………………………

                                                ………………….. ১ম পক্ষ/ক্রেতা।

লিখিতংঃ নামঃ ……………………………………………………

পিতা/স্বামীঃ………………………………………

ঠিকানাঃ………………………………………

    ………………………… ২য় পক্ষ/বিক্রেতা।

                                                                অপর পাতায় দ্রঃ

(পাতা নং/২)

অস্য বিক্রয় রশিদ পত্র মিদং। আমার নিজ নামীয় ও স্বত্ব দখলীয় একখানা…………………………………………………………………………………., মডেল …………………………….যাহার রেজিস্ট্রেশন নং………………………………..

চেসিস নং…………………………………………

ইঞ্জিন নং………………………………………………………………………………….

অশ্বশক্তি………………..সি. সি, গাড়িখানা মূল্য ... ………… ………… …………………..

(কথায়) …………………………………………………………………………………..

টাকায় আপনি ক্রেতার বরাবরে বিক্রয় করিলাম। আমার গাড়ীর বিরুদ্ধে অতীতে ও বর্তমান কোন মামলা-মোকদ্দমা নাই, যদি কোনো মামল-মোকদ্দমা  থাকিয়া থাকে, তাহার জন্য আমি নিজে দায়ী থাকিব, বি, আর, টি এ অফিস কর্তৃপক্ষ যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে আমি তা মানিয়া নিব।

                                                     অপর পাতায় দ্রঃ

(পাতা নং/৩)

প্রকাশ থাকে যে, উক্ত গাড়িখানা সম্পার্কে আমি কিংবা আমার স্থলবর্তী 

পরবর্তী, উওরাধিকারী কাহারো কোনরুপ দাবী দাওয়া নাই ও রহিল।

    এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে সুস্থির বুদ্ধিতে থাকিয়া অএ বিক্রয় রশিদ পএ সম্পাদন করিলাম।

স্বাক্ষীঃ                           বিক্রেতা/মালিকের স্বাক্ষরঃ

১।

২।

হলফনামা

আমি ………………………………………………………………………………………………………….

পিতা/স্বামীঃ……………………………………………………………………………………………………..

ঠিকানাঃ………………………………………............………………………………………………

এই মর্মে পবিত্রতা সহকারে হলফ পূবর্ক ঘোষণা করিতেছি যে, আমার নিজ নামীয় ও স্বত্ব দখলীয় একখানা……………………………………………………………………….

রেজিস্ট্রেশন নং………………………………………………

মডেল……………………………………………

চেসিস নং…………………………………………………………………………………………………………

ইঞ্জিন নং……………………………………

অশ^শক্তি………………………………………………………………………………………….সি,সি গড়িখানা

জনাব/জনাবা……………………………………………………………………………………………………

পিতা/স্বামীঃ………………………………………………………………………………………………………

ঠিকানাঃ………………………………………………………………………………………………………….

এর নিকট………………………………………………………………………………………….টাকায় বিক্রয় করিলাম। আমার গাড়ির বিরুদ্ধে অতীতে ও বর্তমানে কোন মামলা-মোকদ্দমা নাই, যদি কোন মামলা-মোকদ্দমা থাকিয়া থাকে, তাহার জন্য আমি নিজে দায়ী থাকিব,

     অপর পাতায় দ্রঃ

(পাতা নং/২)

বি, আর, টি, এ অফিস কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকিবে না এবং আমার হেন কৃতকাজের জন্য বিআরটিএ অফিস কর্তৃপক্ষ যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে আমি তা মানিয়া নিব।

উক্ত গাড়িখানার মালিককানা স্বত্ব ক্রেতার অনুকূলে মালিকানা বদলি করিতে আমার কোনোরুপ আপত্তি নাই ও রহিল না।

অত্র হলফনামা আমার জানামতে সত্য ও সঠিক।

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে সুস্থির বুদ্ধিতে থাকিয়া অত্র হলফনামায় আমার নিজ নাম দস্তখত সম্পাদন করিলাম।

………………………………………………………………..

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ

১।                                                                                                                 প্রথম পক্ষের স্বাক্ষর

২।

                                                                                                                      দ্বিতীয় পক্ষের স্বাক্ষর

৩।

হলফকারী আমার পরিচিত। তিনি আমার সামনে দস্তখত প্রদান করিয়াছেন।

*** উপরের লেখাগুলো লেখার পর ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্প পেপারে তিনটি পেইজ প্রিন্ট দিতে হবে। পেইজের মার্জিনে পেইজ সেটাপে উপরে ৪.৫ ইঞ্চি জায়গা খালি রাখতে হবে এবং নিচের দিকে ১.৫ ইঞ্চি জায়গা খালি রাখতে হবে ও দুই সাইটে ১ ইঞ্চি ১ ইঞ্চি জায়গা খালি রাখলেই হবে।

বি. দ্র.: এই চুক্তিপত্রটি গাড়ি চুক্তিপত্র (Car Deed) দেখানো হলো, কিন্তু আপনি যদি মোটর সাইকেল এর চুক্তিপত্র করতে চান তাহলে গাড়ির জায়গায় মোটর সাইকেল লাগালেই হয়ে যাবে এবং মোটর সাইকেল এর তথ্যগুলো দিলেই হবে, বাকি সব ঠিক থাকবে।

Tuesday, October 11, 2022

কলিংবেল বাজিয়ে ঘরে ঢুকে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

কলিংবেল বাজিয়ে ঘরে ঢুকে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

সোমবার (১০ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাঘারপাড়া থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ।


আরিফ হোসেন বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের ইউনুস শিকদারের ছেলে।

মামলায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেছেন, উপজেলায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন তারা। মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাসার সামনেই আরিফের চায়ের দোকান। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় প্রায়ই আরিফ মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দিতেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে তিনি বাড়ির বাইরে যান। বাড়িতে মেয়েটি একাই ছিল। রাত ৯টার দিকে আরিফ তাদের বাসায় কলিংবেল বাজালে মেয়েটি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আরিফ ঘরে ঢুকে যান। এরপর মেয়েটির মুখ চেপে তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করা করা হবে বলে যাওয়ার সময় তিনি মেয়েটিকে হুমকি দিয়ে যান। সে কারণে তারা বাড়ি ফেরার পরও ভয়ে মেয়েটি তাদের কিছু জানায়নি।
গত শনিবার (০৮ অক্টোবর) হঠাৎ মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় তার কাছে জানতে চাইলে সে ঘটনা খুলে বলে। এরপর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মেয়েটি চিকিৎসাধীন।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আরিফ হোসেনকে সোমবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

Monday, October 10, 2022

সিলিং ফ্যান যেন মাথার উপরে না পরে এর জন্য লোহার বেড়া

সিলিং ফ্যান যেন মাথার উপরে না পরে এর জন্য লোহার বেড়া

ভারতের রাজস্থানে একটি হোস্টেলের ফ্যানে লোহার বেড়া দেওয়ার এক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।


রাজ্যটির কোচিং সেন্টারের জন্য নামকরা কোটা শহরের এক হোস্টেল থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে।


ভারতের সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।


ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যায়, সিলিংয়ে ফ্যানটি ঝুলছে। আর সেটির নিচে লোহার বেড়া দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে।   


এদিকে ছবিটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই।


অনেকে বলছেন, আত্মহত্যা রোধ করতে এমনটা করা হয়েছে। তবে আরেকপক্ষের মত, ফ্যান যাতে ভেঙ্গে না পড়ে সে জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই যুক্তির ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাদের মতে এই লোহার বেড়াতেও তো আত্মহত্যা করা যেতে পারে।


আবার অনেকেই হোস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তারা বলছেন, সিলিং ফ্যানে আত্মহত্যা ঠেকানোর পন্থা যদি এটি হয়, তা হলে এর থেকে খারাপ সমাধান আর কিছু হতে পারে না।



Wednesday, October 5, 2022

ফাইভার এবং ফ্রিল্যান্সারদের ভবিষ্যৎ - ফাইভারের ভবিষ্যৎ

ফাইভার এবং ফ্রিল্যান্সারদের ভবিষ্যৎ - ফাইভারের ভবিষ্যৎ

আমার মতে কোন অনলাইন মার্কেটপ্লেস নতুনদেরকে কোন সুযোগ দেয় না একমাত্র ফাইভার ছাড়া। অনেক মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে আপনি এক্সপার্ট না হলে একাউন্ট খুলতেই দেবে না। আবার অনেক মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশ থেকে একাউন্টই খুলতে দেয় না। তবে আমার মনে হচ্ছে আস্তে আস্তে ফাইভারও নতুনদের রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে। এমনকি আপনি যদি পুরাতন হন এবং এক্সপার্ট হন তাহলেও আপনার একই অবস্থা হতে পারে।

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরকে বলা যায় ফাইভারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে, সরকারী লার্নিং আরনিং প্রোজেক্ট বলেন, কোর্স বিক্রেতা, টেস্ট বা রিভিউ বিক্রেতা বলেন, আইটি ইন্সটিটিউট অথবা নতুন ফ্রিল্যান্সার, সবারই টার্গেট Fiverr. ফলে ফাইভারকে নিয়ে যে পরিমাণ ধান্দাবাজি আর স্কামিং হয় সেটা কল্পনারও বাহিরে। আমি আর সেদিকে গেলাম না।

কাজেই ফাইভার আমাদের প্রতি কঠোর হবে এটাই স্বাভাবিক।  ফাইভারের রিসেন্ট আপডেটের পর বেশ কিছু গুরুতর সমস্যা নিয়ে অনেকেই পোষ্ট দিচ্ছেন, এর মধ্যে কমন কিছু সমস্যা হচ্ছে

১. নতুন প্রোফাইল খুলতে গেলে বায়ার প্রোফাইল হয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে সেলার প্রোফাইল খুলতে গেলে, অনুমতি দিচ্ছে না। সোজা কথা একাউন্ট খুলতে দিচ্ছে না। (কেউ এই সমস্যায় পড়লে কমেন্ট করেন)

২. নতুন গিগ খুলতে গেলে সেটা পাবলিশ করতে দিচ্ছে না।

৩. বায়ার রিকইয়েস্ট অপশন উধাও হয়ে গেছে, (সবার ক্ষেত্রে না)

৪. অনেকের গিগ প্রোমোশন অপশন বন্ধ করে দিয়েছে কোন কারণ ছাড়াই

৫. অনেকের সেলার প্লাস অপশন বন্ধ করে দিয়েছে, চাইলেও নেয়া যাচ্ছে না।

৬. গিগের র‍্যাঙ্ক কোন কারণ ছাড়াই চলে যাচ্ছে, আবার ফেরত আসতে অনেক সময় নিচ্ছে।


এভাবে বলতে গেলে আসলে পোষ্ট অনেক লম্বা হয়ে যাবে। কিছু কিছু পুরাতন ফ্রিল্যান্সারদের দেখছি এসব সমস্যা দেখে, বেশ খুশি হচ্ছেন, বলছেন ফাইভার উচিৎ কাজ করছে, নতুনেরা কাজ না শিখে এসে মার্কেটপ্লেস নষ্ট করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে, এতে আমাদের জন্য ভাল।

পুরাতনদেরকেও বলছি এটা নিয়ে এত খুশি হবার কিছু নেই, বাঁশ আমাদের মত পুরাতনদের জন্যও সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে। আমার নিজের উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা ক্লিয়ার করতে পারি। আমি ফাইভারে টপ রেটেড হিসাবে আছি প্রায় ১ বছর ধরে।

আমার গিগ প্রোমোশন অপশন কোন কারণ ছাড়াই ১ মাস আগে বন্ধ করে দিয়েছে। এই মাসে ভাবলাম সেলার প্লাস নিয়ে সাকসেস ম্যানেজারের সাথে আলাপ করি। কিন্তু দেখালাম সেই অপশনও আমার জন্য বন্ধ। সাপোর্টে যোগাযোগ করেছি তারা সেই গৎবাঁধা উত্তর দিচ্ছে, আমার সার্ভিসের মান আরও উন্নতি করতে হবে তাদের কিছু করার নেই। আমি একই সার্ভিস ৭ বছর ধরে দিয়ে যাচ্ছি, কি আর উন্নতি করব।

গত ১ মাসে আমি কোন নেগেটিভ খাইনি তবে বাজেট নিয়ে কিছু বায়ারের সাথে ঝামেলা হয়েছিল, আর কিছু সমস্যার কারণে আমার ডেলিভারি টাইম কয়েকবার বাড়াতে হয়েছিল। বুঝতে পারছি বায়ারেরা কেউ হয়ত  হিডেন রিভিউ খারাপ দিয়েছিল।  কিন্তু গত ১ মাসে এতগুলো ৫ স্টার রিভিউ নিয়ে কাজ শেষ করার পরেও ১/২ জন বায়ারের জন্য যদি এমন হয় তবে আর কিছু বলার নেই। আজকে ১টা কাজের ডেলিভারি দেয়ার পরে, আমার হাতে কোন কাজ থাকবে না। যেটা গত ৪ বছরে কখনো হয়নি।

আল্লাহর রহমতে আমার প্রফাইলে এখন পর্যন্ত কোন ওয়ারনিং নেই, আমি যে কাজ পারি না সেই কাজ ভুলেও নেই না, বায়ারকে সরবচ্চ হেল্প করার চেষ্টা করি। তারপরেও  আমার মত একজন টপ রেটেড সেলারের সাথে যদি এমন হয়, তবে আপনারা পুরাতন যারা এসব দেখে খুশি হচ্ছেন, তাদের এত আনন্দিত হবার কিছু নেই।

আমার মতে ফাইভারে আমাদের সামনের দিনগুলো খুব কঠিন হতে যাচ্ছে, কাজেই সবার এই বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভাল। নতুনদেরকে বলব শুরু থেকেই ফাইভারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে, ফাইভারের পাশাপাশি কিভাবে মার্কেটপ্লেসের বাহির থেকে বায়ার পাওয়া যায়, সেই ব্যাপারে চেষ্টা করে যাওয়া। সবাইকে বলব ফাইভারকে মেইন অপশন ধরে কোন কিছু না করা। সরাসরি নিয়মিত বায়ারের সাথে কাজ করার জন্য চেষ্টা করা।

আর ফাইভারের কাজ করার সময় বায়ারকে সর্বচ্চ সন্তুষ্ট রাখা, কোন মতেই নেগেটিভ কোন কিছু যেন প্রফাইলে উপর না পড়ে সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকা। দেশি গ্রুপ এবং ইউটিউব দেখে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে, বেশি বেশি ফাইভার ফোরাম এবং ফাইভার ব্লগ পড়ে নিজেকে আপডেট রাখা। এসব করতে পারলে আশা করা যায় আপনি ফাইভারে ভাল করবেন।