Saturday, July 23, 2022

ইলন মাস্ককের জন্য টুইটার ক্ষতি গ্রস্ত

ইলন মাস্ককের জন্য টুইটার ক্ষতি গ্রস্ত

চলতি বছরের এপ্রিলে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বিশ্বের এই শীর্ষ ধনীর সঙ্গে টুইটার বিক্রির চুক্তিতে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি এপ্রিল ও জুন মাসে ৩৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।

টুইটার জানিয়েছে, মাসিক দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৩৭ মিলিয়ন ছাড়ালেও তাদের নেট লোকসান ২৭০ মিলিয়ন ডলার, যা তাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল। এপ্রিল থেকে জুনে টুইটারের রাজস্ব ১ শতাংশ কমে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার হওয়ার ধারণা করছিলেন বিশ্লেষকরা।

গত বছরের একই সময়ের ৩০ মিলিয়ন ডলার অপারেটিং মুনাফার তুলনায় কোম্পানিটি ৩৪৪ মিলিয়ন ডলারের অপারেটিং লোকসান করেছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে টুইটারের আয় ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত ১২ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৪৫ শতাংশ কমেছে।


আয়ের বিবৃতিতে টুইটার হতাশাজনক ফলাফলের জন্য ‘ম্যাক্রোএনভায়রনমেন্টের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞাপন শিল্পের হেডওয়াইন্ডের পাশাপাশি টুইটার অধিগ্রহণের মুলতবি হওয়া চুক্তিটিকে দায়ী করেছে।

ফরেস্টার ফার্মের বিশ্লেষক মাইক প্রউলক্স বলেন, সব নাটকের আসল শিকার হচ্ছে টুইটার নিজেই।

এর আগে ১২ জুলাই টুইটার মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাস্ক টুইটারের সঙ্গে যাচ্ছেতাই আচরণ করেছে। সে ভাবছে চাইলেই যখন-তখন কোনো চুক্তি বাতিল করা যায়, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায়, কোম্পানির স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটানো যায় ও রাতারাতি কথা বদলে চুক্তি বাতিল করা যায়। মাস্কের এ ধরনের আচরণ ন্যায়সংগত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। 

যারা ভাবছেন ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নিয়েছে। তাদের উদ্যশ্য করে বলছি, এলন মাস্ক টুইটার কিনতে চেয়ে ছিলেন এবং ঘোষণা দিয়েছিলো। তবে পরবর্তিতে তা স্তঘিত করেছেন।

সুত্রঃ BBC News


মাইক্রোসফট অফিস ২০১৬ কিভাবে ফ্রীতে ডাউনলোড করা যায়

মাইক্রোসফট অফিস ২০১৬ কিভাবে ফ্রীতে ডাউনলোড করা যায়

মাইক্রোসফট অফিসবিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন। মাইক্রোসফট অফিসের রয়েছে হিসাব সংরক্ষনের জন্য মাইক্রোসফট এক্সেল ও  এক্সেস, কম্পোজ করার জন্য রয়েছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, বিভিন্ন বিষয় উপাস্তাপন করার জন্য রয়েছে মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট সেই সাথে আরো অনেক কিছু। আর এই সব কিছু ব্যাবহার করতে হলে প্রয়োজন হবে মাইক্রোসফট অফিস যার মধ্যে অফিস প্রোগ্রামের সকল কিছু রয়েছে। 

মাইক্রোসফট অফিস যারা ব্যাবহার করেন তারা অনেক সময় নতুন ইউন্ডোজ সেটয়াপ করলে সেটি সকল সফটওয়্যারের সাথে মাইক্রোসফট অফিস ও চলে যায়। আবার নতুন করে বাজারে গিয়ে ৪০-৫০ টাকা দিয়ে ডিস্ক কিনে সেটাপ দিতে হয়। তবে আর যেতে হবেনা কোন দোকানে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখাবো কিভাবে আপনি মাইক্রোসফট অফিস ফ্রিতে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে ব্যাবহার করতে পারেন। 

বিঃদ্রঃ আমাদের আজকের এই পোস্টে যেই অফিস অ্যাপ্লিকেশনটা ডাউনলোড করে দেখানো হবে সেটি মাইক্রোসফট অফিসের ২০১৬ সংস্করন!

How to Download MS Office 2016 for free

মাইক্রোসফট অফিস ২০১৬ ডাউনলোড করা একদম ইজি, কারন আমাদের এই পোস্টে দেওয়া রয়েছে মাইক্রোসফট অফিসের পুরো সেটয়াপ ফাইল গুগল ড্রাইভে আপলোড করে শেয়ারাবল লিংক! যার মধ্যে ক্লিক করে আপনি খুব সহজে মাইক্রোসফট অফিসের ২০১৬ সংস্করন ডাউনলোড করতে পারেন।

মাইক্রোসফট অফিস ২০১৬ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনি গুগল ড্রাইভে আপলোড কৃত ফাইলটি দেখতে পাবেন। এখান থেকে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলেই ডাউনলোড হয়ে যাবে। 

উপরে দেখানো স্ক্রিনশটে যেখানে লাল মার্ক করা এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ডাউনলোড করার পর কিভাবে ইন্সটাল ও সেটয়াপ করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারন করা হয়?

মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারন করা হয়?

স্যামসাং, সিমফোনি, হুয়াওয়ে, সাওমি, ভিভোর মত নামিদামি মোবাইল কোম্পানি গুলো সব ধরনের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে সাধারণত তাদের ফোনগুলো বাজারজাত করে থাকে। একদম কম দাম থেকে মধ্যম দামে এবং সবদিক থেকে উন্নত বেশি দামেও মোবাইল ফোন তারা বাজার জাত করে থাকে। তবে অ্যাপল কোম্পানি একটু আলাদা! তারা সবসময় অভিজাত শ্রেণিকে লখ্য করেই বেশি দামে স্মার্টফোন তৈরি করে থাকে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে একটি মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারণ করা হয়। 

একটি স্মার্টফোন তৈরির আগে প্রথমেই এটির ফিচার ও ডিজাইন কেমন হবে সেই সমস্ত বিষয়গুলো জানার জন্য প্রচুর গবেষণার প্রয়োজন হয়। এজন্য মোবাইল কোম্পানিগুলোর রিচার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট টিম রয়েছে এখানে সদস্যদের উপর কোম্পানি গুলোর আলাভাবে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তবে একটি স্মার্টফোনের মুল্য সবিচেয়ে বেশি নির্ভর করে এর যন্ত্রাংশের উপর। এ অংশগুলো আলাদা ভাবে তৈরি করতে হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এসব আলাদা যন্ত্রাংশগুলো এক সাথে যুক্ত করা হয়।

মোবাইল ফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর ক্যামেরা। সনি এবং স্যামসাং বাজারের অধিকাংশ ক্যামেরার সেন্সর তৈরি করে থাকে। একটি স্মার্টফোন তৈরির ক্ষেত্রে তৈরিকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সেন্সর কিনে মিতে হয়। এছাড়াল মোবাইল ফোনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর ডিস্পলে, ডিস্পলেও মোবাইল কোম্পানিগুলো নিজেরা তৈরি করেনা বরং তৃতীয় কোন কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নেয়। এছাড়াও র‍্যাম, স্টোরেজ, প্রসেসর, ব্যাটারি, টাচস্ক্রিন ইত্যাদি সার্কিটবোর্ডসহ অন্যান্য অনেক যন্ত্রাংশ স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো অন্য কোন প্রস্তুত কৃত কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নেয়।

স্মার্ট উৎপাদনের সময় একটি বিশাল অংক ব্যায় হয় এর যন্ত্রাংশ ক্রয়ের খ্যাতে। যন্ত্রাংশ ক্রয়ের পর কোম্পানিগুল নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে এসব যন্ত্র দিয়ে স্মার্টফোন তৈরি হয়ে থাকে। ফ্যাক্টরি চালানো এবং ফোন উৎপাদন করার জন্য যেই কর্মচারী রাখা হয় তাদের পেছনে উৎপাদনের একটি অংশ খরচ হয়। অধিকাংশ স্মার্টফোন উৎপাদন কারীর কারখানা স্বাধারনত চীনে প্রতিষ্টা করা হয়েছে। কারন সেখানে তুলনামূলক কম মুজুরি দিয়ে দক্ষ শ্রমিক সহজে পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও বর্তমান কোম্পানি গুপো ভারতেও স্মার্টফোন তৈরিতে আগ্রহী হয়েছে। 

নতুন কোন স্মার্টফোন বাজারে আনার পুর্বে প্রমশন করতে হয়। বিজ্ঞাপন করার জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় তারকাদের পেছনে খরচ করতে হয় টাকা। এছাড়াও কোম্পানি গুলো গভার্মেন্ট ভ্যাট/টাক্স দেওয়া লাগে।   এতসব খরচের সাথে একটি নির্দিষ্ট অংকের মুনাফা যোগ করে মূলত স্মার্টফোনের মূল্য নির্ধারন করা হয়। 

তবে সব কোম্পানির নির্দিষ্ট একটি বিক্রয় লখ্য থাকে। তারা সেই লখ্য অর্জন করতে পারলে তাদের উতপাদন খরচ ও পর্যাপ্ত মুনাফা  লাভ করে। তাই লখ্য অর্জন করার পর। অধিকাংশ মোবাইলের ফোনের দাম উল্যেখ যোগ্য ভাবে হ্রাস পায়। 



Wednesday, July 20, 2022

অসাধারণ পোর্টফলিও ওয়েবসাইট এইচটিএমএল টেমপ্লেট

অসাধারণ পোর্টফলিও ওয়েবসাইট এইচটিএমএল টেমপ্লেট

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অনলাইনে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনলাইনে ক্লায়েন্ট পেতে হলে তারা অবশ্যই আপনার পোর্টফলিও দেখতে চাইবে। যার মধ্যে আপনার বিষয় সকল তথ্য দেওয়া থাকবে। বিশেষ করে আপনি কি কাজ করেন? আপনার প্রফেশন কী? আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? এছাড়াও আপনার পুর্বের করা প্রজেক্ট, আপনার কোন টিম থাকলে তাদের ইন্ট্রডাকশন।  আমাদের আজকের এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পরলে আপনি একটি পোর্টফলিও ওয়েবসাইট (এইচটিএমএল) টেমপ্লেট একদম ফ্রীতে পাবেন। যা আপনি ইচ্ছা মত কাস্টমাইজ করতে পারবেন।



কেন পোর্টফলিও ওয়েবসাইট প্রয়োজন?

আমরা সকলেই জানি কোন কোম্পানি বা কোথায় চাকরির জন্য আবেদন করতে গেলে একটি CV বা Resume লাগে। যার মধ্যে বিভিন্ন বিষয় যেমন, পড়াশোনা, স্কিল, বায়োগ্রাফি ইত্যাদি লেখা থাকে। পোর্টফলিওটাও সিভির মতই কাজ করে তবে পর্টফলিও সিভির থেকেও অনেক অ্যট্রাক্টিভ। কারন সিভিতে সুধু টেক্স থাকে এবং কাগজেই বেশি দেখা যায়। তবে পর্টফলিও ওয়েবসাইট একটি ডিজিটাল ওয়েব পেইজের মত কাজ করে। আপনি নিশ্চয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন। আপনার পোর্টফলিওটাও একটি ওয়েবসাইটের মতই কাজ করবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ধরতে গেলে এটা একটি ডিজিটাল সিভিও বলা যায়। যার মধ্যে আপনি সব কিছু উপস্থাপন করতে পারবেন। এতে করে অনলাইন সেক্টরের যে কোন কাজ আপনি খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারেন। পোর্টফলিও ওয়েবসাইট টেমপ্লেট ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন আপনি যদি ফ্রীতে পোর্টফলিও ওয়েবসাইট বানাতে চান এবং লাইভ হোস্ট করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন। 






Tuesday, July 19, 2022

সোনায় মোড়ানো আইস্ক্রিম

সোনায় মোড়ানো আইস্ক্রিম

ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে সোনায় মোড়ানো আইস্ক্রিম! তাও আবার যেমন তেমন সোনা নয়, একেবারে ২৪ ক্যেরেটের খাটি সোনায় মোড়িয়ে পরিবেশন করা হবে এই আইস্ক্রিম। তবে সোনায় মোড়ানো এই আইস্ক্রিমের স্বাদ পেতে হলে ক্রেতাদের গুনতে হবে লাখ টাকা। এটি বিক্রি হচ্ছে ঢাকার সারিনা হোটেলে।হোটেলের ১৯ তম বর্ষপুঞ্জিকে স্বরণীয় করে রাখতে চমকপ্রত এই আয়োজন করেছেন তারা। 

গত রবিবার তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে সোনায় মোড়ানো আইস্ক্রিম নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। যাতে বলা ঢাকার সব চেয়ে দামি আইস্ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে ৯৯৯৯৯/- টাকায়। মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। ফেসবুকে অনেকেই এই নিয়ে বন্ধুদেরকে মেনশন ও ট্যাগ করে পোস্ট দিচ্ছেন। সোনায় মোড়ানো চমকপ্রদ এই আইস্ক্রিম প্যাকেজ বিক্রিকে বেশিরভাগ মানুষ স্বাভাবিক ভাবে নিলেও মজা করতেও ছাড়েন না কেউ কেউ।

আইস্ক্রিম বিক্রি বিষয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ যানায় হোটেলের বর্ষপুর্তি স্বরণীয় করে চমক প্রদ এই আয়োজন করেছেন তারা। 

৯৯,৯৯৯ টাকায় সুধু আইস্ক্রিমই নয় সাথে রয়েছে হোটেল সারিনার লাক্সারিয়ান সুইটতে  এক রাত থাকার সুযোগও। হোটেল সারিনার এই লাক্সারিয়াস ইনব্রিলিয়াল সুইটে এক রাত থাকতে গুনতে হয় ৪০,০০০ টাকা, তবে যারা এই আইস্ক্রিম কিনবে তারা এই লাক্সারিয়া ইনব্রিলিয়ায় সম্পুর্ন বিনামুল্যে এক রাত থাকতে পারবেন। এবং ফ্রি দেওয়া হবে সকালের নাস্তা। তবে এর জন্য অবশ্যই ক্রেতাদের আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। আইস্ক্রিমে মোড়ানো সর্ণগুলো সম্পুর্ন রুপে খাওয়া যোগ্য। অনেক দেশেই এরকম খাওয়া উপযোগী সোনার প্রলেব দিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবার পরিবেশন করা হয়। 

বিশ্বের সব চেয়ে বেশি দামি আসিক্রিম হিসেবে পরিচিত ব্লাক ডায়মন্ড ও সোনার প্রলেব দিয়ে পরিবেশন করা হয়। দুবাইয়ের বিখ্যাত স্কুপি ক্যফেতে পাওয়া যায় এই আইস্ক্রিম। 


Monday, July 18, 2022

কেমন হলো নাথিং ফোন ১

কেমন হলো নাথিং ফোন ১

গত ১২ই জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ করা হয়েছে Nothing Phone 1. বাজারে আসার আগেই আই ফোনের প্রতিদন্দী হয়ে উঠেছে এটি। স্মার্টফোন ব্যাবহারকারীদের ধারনা বদলে দেওয়ায় ঘোষনা দিয়ে বাজারে আসা ফোনটিতে রয়েছে চমৎকার সব ফিচার। ডিজাইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফিচারের দিক থেকে এটি iPhone 14 এর থেকে এগিয়ে রাখছেন অনেকেই। পুর্বের ঘোষনা অনুযায়ী এটি বিশ্ব্বের প্রথম টারন্সপেরেন্ট ফোন। পেছনে থাকা ট্রান্সপেরেন্ট ব্যাক পেনেলের সাহায্যে বাহির থেকে দেখা যাবে ভিতরে কি রয়েছে। ব্যাক পেনেলে ব্যাবহার করা হয়েছে গ্লিফ ইন্টারফেস। যাতে ব্যাবহার করা LED লাইট স্ট্রিপ গুলোর সাহায্যে নটিফিকেশন কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন ব্যাবহারকারীরা। ফলে ফোন না ধরেই ব্যাবহার কারীরা বলতে পারবে তাদের কে কল করেছে অথবা কিসের নটিফিকেশন এসেছে।

নাথিং ফোন ১ এর ডিস্প্লে

Nothing Phone 1 এ ডিস্প্লে হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশরেট এবং কার্নিং গরিলা গ্লাসের সুরক্ষা সহ ৬.৫৫ ইঞ্চির ফুল এইচডি Glass (6.55 Inch Full HD Glass) ও এমুলেটেড ডিস্প্লে (Emulated Display)। ট্রান্সপেরেন্ট ব্যাক পেনেল হওয়ায় ডিস্প্লের মতই ব্যাক পেনেলেও মিলবে কর্নিক গরিল্লা গ্লাসের সুরক্ষা।


নাথিং ফোন ১ ব্যাক ক্যামেরা

ফটোগ্রাফি লাভারদের জন্য ফোনটির ব্যাক পেনেলে রয়েছে ৫০ মেগা পিক্সেলের সেন্সর যুক্ত ডুয়াল ক্যামেরা সেটয়াপ। ঝকঝকে ছবি সহ এনেরোমা নাইট মোড, পোর্টরেইট মোড, সিন ডিটেকশন নাইট মোড, এক্সট্রিম নাইট মোড, স্মার্ট মোড সহ বিভিন্ন মোডে ছবি তোলা যাবে। মেইন কেমেরাতে ব্যাবহার করা হয়েছে সনির IMX 466 SENSOR যা অপটিকাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন ও ইলেক্ট্রনিক ইমেজ স্টেবিলাইজেশনের সুবিধাও দিতে থাকবে। অন্যদিকে দ্বিতীয় কেমেরায় ব্যাবহার করা হয়েছে SAMSUNG JN1 ULTRA-WIDE ANGLE LENS এতে রয়েছে ১১৪ ডিগ্রির ফিল্ড অফ ভিউ সুবিধা। 


নাথিং ফোন ১ ফ্রন্ট কেমেরা

সেলফি তোলার জন্য এর ফ্রন্ট কেমেরায় ব্যাবহার করা হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সনি SONY IMX 471 SENSOR CAMERA।


নাথিং ফোন ১ চিপসেট ও মেমরি এবং পারফর্মেন্স

নাথিং ফোন ১ এর চিপসেট হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে Qualcomm Snapdragon 778G.

স্টোরেজ সুবিধা হিসেবে এতে ব্যাবহার করা হয়েছে ১২৪ এবং ২৬৫ জিবি মেমরি ব্যাবহার করা হয়েছে।

ব্যাটারি হিসেবে এতে ব্যাবহার করা হয়েছে ৪৫০০ MaH ব্যাটারি ব্যাবহার করা হয়েছে। ৩৩ ওয়াটের টাইপ সি ফাস্ট চার্জিং সুবিধা পাশাপাশি ফোনের ব্যাক পাশে রয়েছে ১৫ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং কানেক্টর সুবিধা। মজার ব্যাপার হচ্ছে এতে ৫ ওয়াটের রিভার্স চার্জিং সুবিধাও রয়েছে। 

অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড থাকলেও রয়েছে নাথিং ইউ আই! যা একজন অ্যাড্রয়েড ব্যাবহারকারীদের স্মুথ এক্সপিরিয়েন্স দিবে। এছাড়াও ইন-ডিস্প্লে ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর সহ রয়েছে ফেস রেকগনিশন সুবিধা। পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে ফোনটি। 

বর্তমানটি নাথিং ফোনটি বিশ্বের ২৬ টি দেশে পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই ইতিমধ্যে মোবাইলটি কিনেও নিয়েছেন। তবে কিছুদিন ব্যাবহারের পর সবার রিভিউ দেখেই বোঝা যাবে যে আসলে এই মোবাইল আইফোনকে টেক্কা দিতে পারবে কিনা।

ধন্যবাদ আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ার জন্য। 




মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন পোশাক তৈরি করেনা? ইউরোপ ও আমেরিকা জামা কাপড় তৈরি করেনা কেন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন পোশাক তৈরি করেনা? ইউরোপ ও আমেরিকা জামা কাপড় তৈরি করেনা কেন?

আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ ইউরোপীয় সকল দেশগুলো চাইলে আমাদের থেকে ভালো জামা কাপড় তৈরি করতে পারে। আমাদের থেকেও ঝকঝকে কাপড় বানিয়ে রপ্তানি করতে পারে। আর্মস্টেক প্রোডাক্ট বিক্রি করে বিলিয়ন ডলার আয় করলেও নিজেরা কাপড় কেন বানায় না জানেন? জানলে আপনি বুঝবেন আমরা কতটা বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি দোহর করিয়ে রেখেছি।  তাহলে চলুন জানা যাক

আমেরিকানরা কেন জামাকাপড় তৈরি করেনা?

বাংলাদেশে একজন গার্মেন্ট শ্রমিকের বেতন ৫ হাজার থেকে ১০-১২ বা ১৫-২০ হাজার টাকার আশে পাশে, তাকে ভরে ঘুম থেকে জাগতে হয়, কিসের কি রান্না করে খেলো তার আগেই পীপড়ার মত দল বেধে গার্মেন্ট গুলোতে ঢুকে পরে। বিকেল পর্যন্ত বা দুপুরের লাঞ্চ টাইপ পর্যন্ত সবাই রবটের মতন কাজ করে। আগে বনাস ছিলোনা, এখন কেউ কেউ দেয়! আগে বেতনটাও ঠিকঠাক দিতনা, এখন হয়ত সবাই পাচ্ছে। এই (ভয়ংকর) দৈনিক মুজুরি, শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনি চলে। কোন ডে অফ নাই, কোন ছুটি নাই। গার্মেন্টস শ্রমিকরা দুই ঈদে লোকাল বাসে বা ট্রেনে করে বাড়িতে ফিরে। সবার শেষে যায় এবং সবার আগে ফেরে। বছরের অন্য সময় তাদের গ্রামের বাসায় তারা ভুলেও ফিরে যায়না। তারা বাচ্চা জন্ম দিতে ভয় পায়, দেখবে কে? সামি স্ত্রী ভর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে। যদি ভুলেও বাচ্চা জন্ম হয় গ্রাম থেকে তাদের মায়েরা চলে আসে! ছোট্ট ঘরে বাচ্চাদের বেড়ে উঠতে হয় দাদি নানির কোলে। সামি স্ত্রীর সন্তানদের সাথে আরেকটা বৃদ্ব্য মানুষের জীবন বন্দি হয়ে যায়, অথবা দুধ ছাড়াও পর বাচ্ছাদের গ্রামের বাসায় দাদি বাড়িতে পাঠানো হয়।  

যারা এই গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে চাকড়ি করেন, তাদের বাসা থেকে সবাই আসা বাদি- সামি স্ত্রী কাজ করে হয়ত একদিন গ্রামে টাকা নিয়ে ফিরবেন এবং ভালো একটি ব্যাবসা বাণিজ্য করবে এবং নিজ গ্রামে কাটিয়ে দিবে। তবে আমার আমার এক্সপ্রিয়েন্স থেকে বলতে পারি, এইসব গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি করে কেউ ফিরে এসে দারাতে পারেনি। নিশ্য হয়ে আবার ফিরে যায় সেই গার্মেন্টসে। 

আমেরিকান, ইটালিয়ান, ব্রিটিশিয়ান, মেক্সিকো সহ আরো অনেক পশ্চিমা দেশের মানুষজন বাংলাদেশে এসে ব্যাবসা পরিচালনা করে, কেন জানেন? এখানে শ্রমের দাম কম, উৎপাদন খরচ কম, এখানে জীবনে মূল্য নেই। এই কাজ গুলো ইউরোপ আমেরিকাতে করা যাবেনা। ঐখানে শ্রমিকের দাম বেশি। প্রোডাকশনের পিছনে অনেক টাকা চলে যাবে। এই জন্যই কম দামে জীবন কিনে নিয়ে যায় বাংলাদেশ থেকে। ওয়ার্ল্ডকাপে, আর্জেন্টি ও ব্রাজিলের জার্সিতে যখন বাংলাদেশের নাম দেখবেন। (Made in Bangladesh) আপনি এখন আর আনন্দিত হতে পারবেন না। প্রত্যেক্টা সুতার ভাজে ভাজে অনেক গুলো বাংলাদেশের শ্রমিকের জীবন শেলাই করে "বে'ধে" রাখা আছে। 





Saturday, July 16, 2022

নিউরোলিংক কি? নিউরো লিংক কিভাবে কাজ করবে?

নিউরোলিংক কি? নিউরো লিংক কিভাবে কাজ করবে?

নিউরোলিংক এমন একধরনের প্রযুক্তি যা মানুষের মস্তিষ্ক ও কম্পিউটারের মধ্যে সমন্বয় ঘটাবে। আমাদের মস্তিষ্ক হয়ে উঠবে একটি স্বয়ংক্রীয় কম্পিউটার। মানুষ হয়ে উঠবে অতি মানব, যার ফলে শুধু মাত্র চিন্তা ভাবনার সাহায্যে কম্পিউটার বা মোবাইলের মত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পরিচালনা করা সম্ভব হবে। কম্পিউটারের মত বিভিন্ন ছবি, গান, মুভি কিংবা ডকস ফাইল সরাসরি মস্তিষ্কে ডাউনলোড করে রাখা যাবে। স্কুল কলেজে আর নতুন করে কিছু শেখানো লাগবে না। শিখতে হবেনা নতুন কোন স্কিল। শুধু মাত্র মস্তিষ্কে ডাউনলোড করেই ব্যাবহার করা যাবে সব কিছু।

আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানাবো নিউরো লিংক সম্পর্কে তাই সবাইকে মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। এবং সাতজেই থাকুন Mr AnTor Ali ওয়েবসাইটের সাথে।

কোন কিছু জানার জন্য আর গুগল করতে হবেনা। প্রশ্ন এলেই উত্তরটা ঘুরপাক খাবে আপনার মাথায়। শারিরিক ভাবে অক্ষত একজন ব্যাক্তি শুধু মাত্র চিন্তা ভাবনার সাহায্যে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যাবহার করে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন। মানুষের অতিতের কোন কিছু আর ভুলবেনা সব কিছু সারাজীবন মনে রাখতে পারবে। আবার চাইলে নিজের ম্যামরিকে অন্য কোন ডিভাইস বা অন্য কোন শরিরে সংরক্ষন করে রাখা যাবে। 

মানুষকে অতি মানব বানাতে এলন মাস্কের নিউরোলিংক তৈরি করছে এমনি এক ব্রেইন মেসিন ইন্টারফেস। যা আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকে কয়েকগুন বারিয়ে দিবে। 

কিভাবে কাজ করবে নিউরোলিংক?

আমাদের মস্তিষ্ক নিউরোনের তৈরি। একজন মানুষের শরিরে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরোন রয়েছে। যেগুলো তথ্য আদান প্রদানের কাজ করে। একটি নিউরোনের ৩ টি অংশ থাকে। সেগুলো হলো-
  1. ডেনরাইড
  2. ছোমা
  3. এক্সন
ডেনরাইড বিভিন্ন সিগনাল গ্রহণ করে আর ছোমা সেগুলোকে বোঝার চেষ্টা করে। এক্সন সেই সিগনালকে আবার অন্য একটি নিউরোনের ডেনরাইডে পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ একটি নিউরোনের ডেনরাইড আরেকটি নিউরোনের এক্সনের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এতে সংযোগ স্থলকে বলে সাইনেপ্স! ডেনরাইড ও এক্সনের সংযোগের সময় সাইনেপ্সে এক ধরনের আনুবিকণার সৃষ্টি হয় যে গুলো নিউরোনের মধ্যে এক প্রকার তরিত প্রবাহের সৃষ্টি করে। এ ক্ষেত্রে বাইরে থেকে একটি ইলেক্ট্রর যদি এই নিউরোন গুলোর সংযোগ স্থলে বসানো হয় তাহলে সেই ইলেক্ট্রিক সিগনালকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। আর এই কাজটি করতে নিউরোলিংক মানুষের মস্তিষ্কে একটি চিপসেট স্থাপন করবে যা নিউরো থেকে আসা সিগনাল শনাক্ত করতে পারবে। এবং সেই হিসেবে নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্য যেই বৈদ্যুতিক এমপস তৈরি করতে হয় সেটা উতপন্ন করবে। এর ফলে নউরোনটি সক্রিয় হবে এবং সেই কাজ করতে পারবে। 

নিউরো লিংক এর চিপসেটটির সাথে অনেকগুলো ইলেকট্রিক তার যুক্ত থাকবে। মানুষের চুলের চাইতেও কয়েকগুন পাতলা তার গুলোলে মানুষের মাথায় নিউরো সার্জারির সাহায্যে স্থাপন করা হবে। এই জটিল কাজটি সহজ করতে একটি রবট বানিয়েছে নিউরো লংক। মাত্র এক ঘন্টায় নিউরো সার্জারির মাধ্যমে চিপসেটটি মানুষের মাথায় স্থাপন করতে পারবে। 

ইতি মধ্যে এই চিপসেটটি একটি বানরের উপরে পরিক্ষা করে সফল হয়েছে নিউরোলিংক, এবং খুব দ্রুত তারা মানুষের উপর এটা পরিক্ষা চালাবেন। 


Friday, July 15, 2022

ফেসবুকের নতুন পলিসি | নতুন রুলস না মানলে আপনার আইডি বন্ধ হয়ে যেতে পারে

ফেসবুকের নতুন পলিসি | নতুন রুলস না মানলে আপনার আইডি বন্ধ হয়ে যেতে পারে

ফেসবুক বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সোসিয়াল প্লাটফর্ম। বিশ্ব ব্যাপী ফেসবুকের নাম শুনে নি এরকম মামুষ আদোতে খুজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যাবহার করে। 

ফেসবুক এত জনপ্রিয় হবার অন্যতম কারণ ফেসবুক একদম ফ্রীতে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যাবহার করতে পারবে, আবার বিভিন্ন নাম করা ব্যাক্তি বিষিষ্ট বা কোন কর্পোরেট এর জন্য কোম্পানির নাম দিয়ে পেইজ খোলা যায়। ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষ তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করেন। 

আমি আমার ব্যাক্তিগত ব্যাবসা এবং আমার কোম্পানির বিজনেস ১০০% পেইজের মাধ্যমেই করে থাকি, আস্তে আস্তে F-Commerce নামে পরিচিত লাভ করেছে ফেসবুকের এই ব্যাবসা।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে ফেসবুকের কিছু নতুব পলিসি বা রুলস, যা অমান্য করলে আপনার ফেসিবুক আইডি ডিজাবল হতে পারে এবং ফেসবুক পেইজ রিজেক্ট হতে পারে। সুতরাং আজকের আর্টিকেল সবাইকে মনোযোগসহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

ফেসবুক আপডেট ২০২২

২০২২ সালে ফেসবুক বেশ কয়েকবার আপডেট করেছেন তাদের UI (User Interface) এবং সিকিউরিটি। যার মিধ্যে সর্বশেষ আপডেট দেওয়া হয় জুন মাসে। জুন মাসের আপডেট অনুসারে জেইসব কাজ করলে আপনার আইডি ডিজাবল বা রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে তার লিস্ট নিম্নে উল্যেখ করা হলো।

১/ কমেন্টে বা কারো সাথে এসএমএস করার সময় কাউকে মা"রার কথা বা কাউকে ইনডাইরেক্টলি বাজে ভাষায় গালি-গালাজ এবং হ-ত্যা করার মত হুমকি দেওয়া যাবেনা। যদি এরকম কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ডিজাবল বা রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে। যদি রেস্ট্রিকটেড হয় তাহলে সর্বোচ্চ ৩ বাস সুযোগ থাকবে। ৩ বার রেস্ট্রিকটেড হলে আইডি ডিজাবল হয়ে যাবে। 

২/ কারো সাথে ফেসবুজ মেসেঞ্জারে এসএমএস করার সময়, বাজে ছবি বা হাড় মাংস ইত্যাদির ছবি কাউকে সেন্ড করবেন না। এটা সম্পুর্ন পলিসির বাহিরে। বিশেষ করে নীল-জগতের কোন ছবি যদি কাউকে সেন্ড করেন তাহলে যে কোন মুহুর্তে আপনার আইডি ডিজাবল হয়ে যাবে। এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। 

৩/ ফেসবুকে আপনি যদি একটা ইমেইল অ্যাকাউন্ট বা একই মোবাইল নাম্বর দিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট করে থাকেন তাহলে আপনার সব গুলো অ্যাকাউন্ট সাস্পেন্ড হতে পারে। বিশেষ করে একই নাম্বর দিয়ে খোলা যদি ২ টি অ্যাকাউন্ট হয় এবং একটি অ্যাকাউন্ট কোন কারণে ডিজাবল বা রেজিসট্রেক্ট হয়ে থাকে তাহলে তার প্রভাব অন্য আইডি গুলোতেও পারবে। যদিও বিষয়টা আপনি যানবেন না তবে ফেসবুক আপনার বেহাবিয়র সবসময় ফলো করবে, তাই সতর্ক থাকা খুব জরুরি।

ফেসবুক মার্কেটিং পলিসি

বর্তমান বাংলাদেশে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করছেন যেমন তার মধ্যে আমি একজন। এবং অনেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করছেন এবং বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে ফ্রীল্যান্সার হিসেবেও কাজ করছেন। তাদের জন্য এই পলিসিটা জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন এই রুলস গুলো আপনি না মানলে আপনার আইডি বা অ্যাড ম্যানেজার এমনকি আপনার বাণিজ্যিক পেইজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

কোন একটি কেম্পেইন রান করার পুর্বে অবশ্যই যথাযথ বাজেট আপনার ব্যাংক কার্ডে রাখুন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ফেসবুক অটো আপডেট নিচ্ছে কিনা। যদি না নিয়ে থাকে তাহলে আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে পেমেন্ট করুন। ২-৩ ডলার ডিউ হলেই সাথে সাথে পেমেন্ট দিন। মনে রাখবেন ২০২২ সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী যদি আপনি ১ সেন অর্থাৎ 0.01 $ ও ডিউ রাখেন তাহলে আপনার বুস্ট কৃত পেইজটি অ্যাডস থেকে রিজেক্ট করা হবে অতএব আপনি আর কখনই বুস্ট চালাতে পারবেন না উক্ত পেইজে। যদিও রিভিউ করে পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট দিয়ে ভেরিফাই করে নিলে আবার হবে তবে ভেরিফাই বর্তমানে ফেসবুক এক্সেপ্ট করেনা। বিশেষ করে রিজেক্ট হবার পর। 

ভায়েরা ও বন্ধুরা আমার এই পর্যন্ত বড় বড় প্রায় ৩ টি পেইজ এরকম হয়েছে আর তার অভিজ্ঞতা থেকেই এই তথ্য গুলো আপনার মাঝে শেয়ার করা হলো। আমার এই তথ্যের মধ্যে কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন।


Tuesday, July 12, 2022

বিকাশের ইতিহাস | মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো?

বিকাশের ইতিহাস | মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো?

এর পুর্বের একটি আর্টিকেলে জানিয়েছিলাম বাংলাদেশে বিকাশের মার্কেট কত টুকু? এর পর অনেকেই জানতে চেয়েছেন বিকাশের ইতিহাস সম্পর্কে। বিকাশ এর সম্পুর্ন ইতিহাস ও যাত্রা আমাদের আজকের আর্টিকেলে জানানো হবে। আপনি যদি একজন বিকাশ ব্যাবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে এই আর্টিকেল একদমি মিস করা উচিত নয়। তাহলে চলুন এবারে শুরু করা যাক!

বিকাশের ইতিহাস

২০০৯ সালে কামাল কাদির এবং ইকবাল কাদির নামে দুই ভাই USA (United State Of America) তে Money in Motion LLC নামে একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করে। মানি ইন মশন এর সাথে 'নিক হিউজ' নামে একজন যুক্ত ছিলেন যিনি কেনিয়াতে মোবাইল মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ''M-Pesa' লঞ্চ করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো একটি রিলায়েবল কনভিনিয়েন্স মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেওয়া।

সে সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভিসা, মাস্টারকার্ড ও পেপালের মত সার্ভিস গুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যথাযথ টেকনোলজি ও ইনফাক্ট্রেকচরের অভাবে এসব সার্ভিস আসতে পারছিলোনা। অন্যদিকে যেহুতু মোবাইল ফোনের ইউজার বারছিলো তাই তারা বাংলাদেশের মার্কেটে মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছিলো। যেখানে ইন্টারনেট, ATM বা আনুসাংগিক কোন যন্ত্রাংশের প্রয়োজন নেই।

এই চিন্তার কিছুদিন পর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় অন্যান্য ব্যাংক গুলোকে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস অপারেট করার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে ২০১০ সালে ব্রাক ব্যাংক মানি ইন মশনের (Money in Motion) সাথে যৌথ উদ্যগে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস বিকাশ চালু করে।  অন্যান্য ব্যাংক যেখানে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চালু করতে আগ্রহ ছিলোনা সেখানে ব্রাক ব্যাংক এই সুযোগটি কাজে লাগায়। বিকাশের কার্যক্রম শুরু করার জন্য মানি ইন মশন (Money in Motion LLC.) 5 Million Doller বিনিয়োগ করে, এবং কামালকাদিরকে বিকাশের CEO ঘোষনা করা হয়। 

২০১১ সালের জুলাই মাসে Robi Axita Ltd. কে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর সহযোগী হিসেবে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরু করে বিকাশ। এই ছিলো বিকাশের ইতিহাস।

বিকাশের যাত্রাটা মূলত এখান থেকেই শুরু হয়। বিকাশের রেভেনিউ ও মার্কেটিং স্ট্রেটেজিসহ ফাইনান্সিউয়াল রিপোর্ট নিয়ে আমাদের টিম এনালাইসিস করছে যা খুব দ্রুত আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হবে।