Friday, July 15, 2022

ফেসবুকের নতুন পলিসি | নতুন রুলস না মানলে আপনার আইডি বন্ধ হয়ে যেতে পারে

ফেসবুকের নতুন পলিসি | নতুন রুলস না মানলে আপনার আইডি বন্ধ হয়ে যেতে পারে

ফেসবুক বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সোসিয়াল প্লাটফর্ম। বিশ্ব ব্যাপী ফেসবুকের নাম শুনে নি এরকম মামুষ আদোতে খুজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যাবহার করে। 

ফেসবুক এত জনপ্রিয় হবার অন্যতম কারণ ফেসবুক একদম ফ্রীতে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যাবহার করতে পারবে, আবার বিভিন্ন নাম করা ব্যাক্তি বিষিষ্ট বা কোন কর্পোরেট এর জন্য কোম্পানির নাম দিয়ে পেইজ খোলা যায়। ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষ তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করেন। 

আমি আমার ব্যাক্তিগত ব্যাবসা এবং আমার কোম্পানির বিজনেস ১০০% পেইজের মাধ্যমেই করে থাকি, আস্তে আস্তে F-Commerce নামে পরিচিত লাভ করেছে ফেসবুকের এই ব্যাবসা।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে ফেসবুকের কিছু নতুব পলিসি বা রুলস, যা অমান্য করলে আপনার ফেসিবুক আইডি ডিজাবল হতে পারে এবং ফেসবুক পেইজ রিজেক্ট হতে পারে। সুতরাং আজকের আর্টিকেল সবাইকে মনোযোগসহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

ফেসবুক আপডেট ২০২২

২০২২ সালে ফেসবুক বেশ কয়েকবার আপডেট করেছেন তাদের UI (User Interface) এবং সিকিউরিটি। যার মিধ্যে সর্বশেষ আপডেট দেওয়া হয় জুন মাসে। জুন মাসের আপডেট অনুসারে জেইসব কাজ করলে আপনার আইডি ডিজাবল বা রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে তার লিস্ট নিম্নে উল্যেখ করা হলো।

১/ কমেন্টে বা কারো সাথে এসএমএস করার সময় কাউকে মা"রার কথা বা কাউকে ইনডাইরেক্টলি বাজে ভাষায় গালি-গালাজ এবং হ-ত্যা করার মত হুমকি দেওয়া যাবেনা। যদি এরকম কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ডিজাবল বা রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে। যদি রেস্ট্রিকটেড হয় তাহলে সর্বোচ্চ ৩ বাস সুযোগ থাকবে। ৩ বার রেস্ট্রিকটেড হলে আইডি ডিজাবল হয়ে যাবে। 

২/ কারো সাথে ফেসবুজ মেসেঞ্জারে এসএমএস করার সময়, বাজে ছবি বা হাড় মাংস ইত্যাদির ছবি কাউকে সেন্ড করবেন না। এটা সম্পুর্ন পলিসির বাহিরে। বিশেষ করে নীল-জগতের কোন ছবি যদি কাউকে সেন্ড করেন তাহলে যে কোন মুহুর্তে আপনার আইডি ডিজাবল হয়ে যাবে। এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। 

৩/ ফেসবুকে আপনি যদি একটা ইমেইল অ্যাকাউন্ট বা একই মোবাইল নাম্বর দিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট করে থাকেন তাহলে আপনার সব গুলো অ্যাকাউন্ট সাস্পেন্ড হতে পারে। বিশেষ করে একই নাম্বর দিয়ে খোলা যদি ২ টি অ্যাকাউন্ট হয় এবং একটি অ্যাকাউন্ট কোন কারণে ডিজাবল বা রেজিসট্রেক্ট হয়ে থাকে তাহলে তার প্রভাব অন্য আইডি গুলোতেও পারবে। যদিও বিষয়টা আপনি যানবেন না তবে ফেসবুক আপনার বেহাবিয়র সবসময় ফলো করবে, তাই সতর্ক থাকা খুব জরুরি।

ফেসবুক মার্কেটিং পলিসি

বর্তমান বাংলাদেশে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করছেন যেমন তার মধ্যে আমি একজন। এবং অনেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করছেন এবং বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে ফ্রীল্যান্সার হিসেবেও কাজ করছেন। তাদের জন্য এই পলিসিটা জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন এই রুলস গুলো আপনি না মানলে আপনার আইডি বা অ্যাড ম্যানেজার এমনকি আপনার বাণিজ্যিক পেইজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

কোন একটি কেম্পেইন রান করার পুর্বে অবশ্যই যথাযথ বাজেট আপনার ব্যাংক কার্ডে রাখুন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ফেসবুক অটো আপডেট নিচ্ছে কিনা। যদি না নিয়ে থাকে তাহলে আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে পেমেন্ট করুন। ২-৩ ডলার ডিউ হলেই সাথে সাথে পেমেন্ট দিন। মনে রাখবেন ২০২২ সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী যদি আপনি ১ সেন অর্থাৎ 0.01 $ ও ডিউ রাখেন তাহলে আপনার বুস্ট কৃত পেইজটি অ্যাডস থেকে রিজেক্ট করা হবে অতএব আপনি আর কখনই বুস্ট চালাতে পারবেন না উক্ত পেইজে। যদিও রিভিউ করে পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট দিয়ে ভেরিফাই করে নিলে আবার হবে তবে ভেরিফাই বর্তমানে ফেসবুক এক্সেপ্ট করেনা। বিশেষ করে রিজেক্ট হবার পর। 

ভায়েরা ও বন্ধুরা আমার এই পর্যন্ত বড় বড় প্রায় ৩ টি পেইজ এরকম হয়েছে আর তার অভিজ্ঞতা থেকেই এই তথ্য গুলো আপনার মাঝে শেয়ার করা হলো। আমার এই তথ্যের মধ্যে কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন।


Tuesday, July 12, 2022

বিকাশের ইতিহাস | মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো?

বিকাশের ইতিহাস | মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো?

এর পুর্বের একটি আর্টিকেলে জানিয়েছিলাম বাংলাদেশে বিকাশের মার্কেট কত টুকু? এর পর অনেকেই জানতে চেয়েছেন বিকাশের ইতিহাস সম্পর্কে। বিকাশ এর সম্পুর্ন ইতিহাস ও যাত্রা আমাদের আজকের আর্টিকেলে জানানো হবে। আপনি যদি একজন বিকাশ ব্যাবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে এই আর্টিকেল একদমি মিস করা উচিত নয়। তাহলে চলুন এবারে শুরু করা যাক!

বিকাশের ইতিহাস

২০০৯ সালে কামাল কাদির এবং ইকবাল কাদির নামে দুই ভাই USA (United State Of America) তে Money in Motion LLC নামে একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করে। মানি ইন মশন এর সাথে 'নিক হিউজ' নামে একজন যুক্ত ছিলেন যিনি কেনিয়াতে মোবাইল মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ''M-Pesa' লঞ্চ করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো একটি রিলায়েবল কনভিনিয়েন্স মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেওয়া।

সে সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভিসা, মাস্টারকার্ড ও পেপালের মত সার্ভিস গুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যথাযথ টেকনোলজি ও ইনফাক্ট্রেকচরের অভাবে এসব সার্ভিস আসতে পারছিলোনা। অন্যদিকে যেহুতু মোবাইল ফোনের ইউজার বারছিলো তাই তারা বাংলাদেশের মার্কেটে মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছিলো। যেখানে ইন্টারনেট, ATM বা আনুসাংগিক কোন যন্ত্রাংশের প্রয়োজন নেই।

এই চিন্তার কিছুদিন পর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় অন্যান্য ব্যাংক গুলোকে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস অপারেট করার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে ২০১০ সালে ব্রাক ব্যাংক মানি ইন মশনের (Money in Motion) সাথে যৌথ উদ্যগে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস বিকাশ চালু করে।  অন্যান্য ব্যাংক যেখানে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চালু করতে আগ্রহ ছিলোনা সেখানে ব্রাক ব্যাংক এই সুযোগটি কাজে লাগায়। বিকাশের কার্যক্রম শুরু করার জন্য মানি ইন মশন (Money in Motion LLC.) 5 Million Doller বিনিয়োগ করে, এবং কামালকাদিরকে বিকাশের CEO ঘোষনা করা হয়। 

২০১১ সালের জুলাই মাসে Robi Axita Ltd. কে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর সহযোগী হিসেবে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরু করে বিকাশ। এই ছিলো বিকাশের ইতিহাস।

বিকাশের যাত্রাটা মূলত এখান থেকেই শুরু হয়। বিকাশের রেভেনিউ ও মার্কেটিং স্ট্রেটেজিসহ ফাইনান্সিউয়াল রিপোর্ট নিয়ে আমাদের টিম এনালাইসিস করছে যা খুব দ্রুত আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হবে। 



Monday, July 11, 2022

বাংলাদেশে বিকাশ মার্কেট আদোতে কত বড়? How big bkash market in bangladesh

বাংলাদেশে বিকাশ মার্কেট আদোতে কত বড়? How big bkash market in bangladesh

বিকাশের যাত্রাটা খুব বেশিদিনের না। এমনকি কিছুদিন আগেই মোবাইল ব্যাংকিং কনসেপ্টটি আমাদের দেশে একদমই নতুন ছিলো। বর্তমানে ২০২২ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮.২৫ কোটি মোবাইল ব্যাংকি ইউজার আছে কিন্তু এর মধ্যে অ্যাক্টিভ ইউজার আছে প্রায় ২.৬৮ কোটি। তবে এই অ্যাক্টিভ ইউজারের মধ্যে বিকাশের ইউজার আছে ২.২০ কোটি। সুতরাং অ্যাক্টভ ইউজারের দিক থেকে বিকাশের মার্কেট শেয়ার ৮০% এর বেশি। এমনকি ২০১৫ সালে বিকাশ ছিলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি। 

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ২২ শতাংশ মানুষের বিকাশ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০২০ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতিদিন ৬০ লাখেরও বেশি লেনদেন হচ্ছে। যা ২০২২ সালে এসে ১ কোটি ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারনা করা যায়। বলা হয়ে থাকে বিগত বছরগুলোতে অর্থ লেনদেনের জন্য নিরাপদ, সহজ এবমগ দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে বিকাশ বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। 

বিকাশ গ্রাহকদের কাছ থেকে ক্যাশ আউট চার্জ হিসেবে ১৮.৯০ টাকা করে কেটে নেয় যা বিকাশের উল্যেখযোগ্য রিভেনিউ জেনেরেটিং সোর্স। তবে বিকাশ কত টাকা আয় করে ও বিকাশের ইতিহাস এই নিয়ে খুব দ্রুত আমাদের ওয়েবসাইটে আপডেট পাবেন। তাই সকলেই ভিজিট করুন দৈনিকভাবে আমাদের ওয়েবসাইটে।



Saturday, July 9, 2022

পলাশীর যুদ্ধের কারণ কি ছিলো?

পলাশীর যুদ্ধের কারণ কি ছিলো?

পলাশীর যুদ্ধের বেশকিছু কারণ বিদ্যমান ছিল। এ কারণগুলো আজকের এই আর্টিকেলে আমি শেয়ার করবো। 

পলাশীর যুদ্ধে অনেক কারণ ছিলো, নিম্নে আমি সব গুলো কারণ পর্যায় ক্রমে উল্যেখ করছি। 


প্রথম কারণ

সিরাজ যখন মসনদে বসেন তখন প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী অন্য ইউরোপীয় বণিকগণ উপঢৌকনসহ তাকে অভিনন্দন জানায়, কিন্তু ইংরেজি বণিকরা তা করেনি। এ স্বীকৃত রীতি উপেক্ষা করায় নবাবের প্রতি অসম্মান করা হয়। এতে সিরাজ আপমানিত বোধ করেন ক্ষুব্দ হন।


দ্বিতীয় কারণ

বাণিজ্য শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ইংরেজরা ব্যাক্তিগত ব্যাবসায়ে অবাধে ❝দস্তক❞ ব্যাবহার শুরু করলে এদেশীয় ব্যাবসায়ীরা অত্যান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নবাব বাণিজ্য শর্ত মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করলে ইংরেজরা তা অমান্য করে। ফলে নবাব ইংরেজদের প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন।


তৃতীয় কারণ

ইংরেজরা নবাব আলীবর্দী খানের সময় বাণিজ্য করার অনুমতি পেলেও দুর্গ নির্মাণ করার অনুমতি পায়নি। কিন্তু সিরাজের রাজত্বকালে দাক্ষিণাত্যের যুদ্ধের অজুহাতে ইংরেজরা কলকাতায় এবং ফরাসিরা চন্দননগরে দুর্গ নির্মাণ শুরু করলে সিরাজ তাদের দুর্গ নির্মাণ বন্ধ করতে আদেশ দেন। এ আদেশ ফরাসিরা মান্য করলেও ইংরেজরা তা অমান্য করে। এজন্য নবাব তাদের অপর অত্যান্ত ক্ষুব্দ হন।


চতুর্থ কারণ 

ইংরেজরা নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে সন্ধির যাবতীয় শর্র ভঙ্গ করে জনসাধারণের ওপর অত্যাচার শুরু করে ও নবাবকে কর প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে নবাবের সঙ্গে ইংরেজদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে।


পঞ্চম কারণ

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তার বিরুদ্ধে ষরযন্ত্র করেছিলেন তার খালা ঘসেটি বেগম এবং আরেক খালা মায়মুনার পুত্র পুর্ণিয়ার বিদ্রোহী শাসক শওকত জং। এতে নবাব ইংরেজদের ওপর অসুন্তুষ্ট হন।


ষষ্ট কারণ

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার খালা ঘসেটি বেগমের পক্ষ অবলম্বনকারী রাজা রাজবল্লভের পুত্র কৃষ্ণদাস ও তার পরিবার প্রচুর ধনদৌলতসহ কলকাতায় পালিয়ে গিয়ে ইংরেজদের কাছে আশ্রয় গ্রহণ করে। কৃষ্ণদাসকে নবাব সরাসরি তার নিকট সমর্পণের জন্য নারায়ণ দাসকে দূত হিসেবে ইংরেজদের কাছে পাঠান। কিন্তু ইংরেজ গভর্নর ড্রেক নবাবের দূতকে কলকাতা থেকে অপমানিত করে বের করে দেন এবং কৃষ্ণদাসকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করেন। ইংরেজদের এসব আচরণে নবাব অত্যান্ত ক্ষুব্দ হন।

১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দে নবাব ইংরেজদের ধৃষ্টতায় অতিষ্ঠ হয়ে তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ৪ জুন এক বিরাত সৈনিকবাহীনি নিয়ে কলকাতা অভিমুখে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে নবাব কাশিমবাজারের ইংরেজ কুঠি দখল করেন। নবাবের এ অতর্কিত আক্রমণে বীত হয়ে গভর্নর ড্রেক ও তার সঙ্গীরা ফোর্ট ইউলিয়াম ছেড়ে ফুলতা নামক এক স্থানে আশ্রয় নেয়। ফলে সহজেই নবাব কলকাতা দখল করেন ও আলীবর্দী খানের নামানুসারে এর নাম রাখেন 'আলীনগর'। ১৭৫৬ খ্রীষ্টাব্দের ২০ জুন মি.হলওয়েল ও তার সঙ্গীরা আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।  আত্মসমর্পণের পএ কোনো ইংরেজের ওপর অত্যাচার করা হয়নি। অথচ হলওয়েল মুক্তি পেয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায় যে, নবাবের আদেশে ১৪৬ জন ইংরেজ বন্দিকে ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪.১০ ফুট প্রস্তবিশিষ্ট ছোট একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। জুন মাসের প্রচন্ড গরমে এদের মধ্যে ১২৩ জন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মা-রা যায়। বাকি ২৩ জন কোনো রকএ বেঁচে যায়। হলওয়েল কর্তৃক প্রচারিত এ কাহিনি ইতিহাসে 'অন্ধরুপ হত্যা' নামে পরিচিত। অন্ধরুপ হত্যা কাহিনির পিছনে কোনো ঐতিহাসিক সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় না। ইংরেজদেরকে নবাবের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করাই ছিল এ কল্পিত কাহিনির উদ্দ্যেশ্য।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতা অধিকার করার পর সেনাপতি মানিক চাঁদকে কলকাতা রক্ষার দায়িত্বে রেখে রাজধানী মুর্শিদাবাদ ফিরে যান। ইতোমধ্যে অন্ধরুপ হত্যা কাহিনি এবং নবাব কর্তৃক কলকাতা দখলের সংবাদ মাদ্রাজের পৌঁছালে ইংরেজ সেনাপতি ওয়াটসনবো রবার্ট ক্লাইভ মানিক চাঁদের নামমাত্র প্রতিরোধ ভেঙ্গে কলকাতা পুনরায় দখল করেন। নবাব চারদিকে ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল লক্ষা করে ইংরেজদের সাথে এ অবস্থায় এক অপমানজনক সন্ধি করতে বাধ্য হন। এ সন্ধিই বিখ্যাত 'আলীনগিরের সন্ধী' নামে খ্যাত। এ সন্ধির সর্তানুসারে নবাব দিল্লির সম্রাট কর্তৃক ইংরেজদের প্রদত্ত বাণিজ্য সুযোগ সুবিধা, যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি প্রদান, টাকশাল নির্মাণ এবং দুর্গ সংস্কার করার অনুমতি প্রদান করতে বাধ্য হন। কিন্তু উচ্চাবিলাষী ক্লাইভ এরপরও নবাবের ওপর সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। বাংলায় ইংরেজী কোম্পানির স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য তিনি সিরাজকে সংহাসনচ্যুত করার লক্ষ্যে কিছু স্বার্থান্বেষি, ক্ষমতালোভী কুচক্রী, দেশদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক ব্যাক্তিদের সমন্মে গঠিত একটি শক্তিশালী দলের সাথে গোপনে ষড়যন্ত্র শুরু করলেন। 

এই ছিলো যুদ্ধ কেন হয়েছিলো তার মূল ঘটনা। ধন্যবাদ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য। 



Thursday, July 7, 2022

ইন্টারভিউতে ঘটে যাওয়া ৪ টি ঘটনা

ইন্টারভিউতে ঘটে যাওয়া ৪ টি ঘটনা

🍂🍁 ইন্টারভিউতে ঘটে যাইয়া ৪ টি ঘটনা🍁🍂

ঘটনা - ১

ইন্টারভিউ টেবিলের স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন । তারপর, ভারী গলায় বললেন - বাহ ! তোমার সার্টিফিকেট তো বেশ ভালো ! তোমাকে আর প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না । ধরে নাও তুমি চাকরিটি পেয়ে গেছো । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে । এক সপ্তাহের মধ্যে টাকাটা জমা করে দাও । তারপর তোমার নিয়োগ হবে । ছেলেটি ইন্টারভিউ রুম থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানালো, ৫ লাখ টাকা না হলে তার চাকরিটা হবে না । গ্রামের সহজ সরল বাবা নিজের ছেলের চাকরির জন্য ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা জোগাড় করলেন । তারপর বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেটি চাকরি পেয়ে গেলো ।


ঘটনা - ২

আজ বড় স্যারের ছেলের জন্মদিন । বাড়িতে বিশাল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে । তিনি বাড়িতে ঢুকেই তার ছেলের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন । ছেলে কাছে আসতেই বড় স্যার “হ্যাপি বার্থডে মাই সান” বলতে বলতে ছেলের হাতে ৫ লাখ টাকার বাইকের চাবি তুলে দিলেন । বাইক পেয়ে ছেলেটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বললো - আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা ।


ঘটনা - ৩

বড় স্যারের ছেলে আজ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে রাজপথে ছুটে চলেছে বাইক । হঠাৎ ট্রাকের সাথে ধাক্কা সবকিছু থেমে গেলো । বড় স্যারের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো হাসপাতালের বড় ডাক্তার সাহেব জানালেন আপনার ছেলের অবস্থা ভালো না, খুব জটিল একটা অপারেশন করাতে হবে, কাউন্টারে ১০ লাখ টাকা জমা করে দিন । বড় স্যার কোনও উপায় না দেখে মেয়ের বিয়ের জন্যে ব্যাংকে জমিয়ে রাখা টাকাটা কাউন্টারে জমা করে দিলেন ।


ঘটনা - ৪

বড় ডাক্তার সাহেব আজ খুব খুশি । ৩-৪ লাখ টাকার অপারেশনের জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন, পুরোটাই লাভ । খুশিতে তিনি তার একমাত্র মেয়ের জন্য স্বর্ণের নেকলেস কিনে বাসায় ফিরলেন । বাসায় ঢুকেই তিনি তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে মামুনি মামুনি বলে ডাকতে শুরু করলেন । ডাক্তার সাহেবের বউ কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাদের মেয়ে এখনও বাসায় ফেরেনি । বড় ডাক্তার সাহেব তার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন, কোথাও কোনও খোঁজ না পেয়ে তিনি যখন দিশেহারা হয়ে পড়লেন, ঠিক তখনই অপরিচিত এক নাম্বার থেকে ফোন এলো । ফোনেও ঐ প্রান্ত থেকে জানালো, আপনার মেয়ে আমাদের কাছে, মেয়েকে ফেরত পেতে হলে...

এই আর্টিকেলটি আমার এক বড় বোনের থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এখানে কিছু কথা এখনো বাকি আছে যা ভবিষ্যতে পরিবর্তিত হতে পারে।



Wednesday, July 6, 2022

কম্পিউটার বিষয় ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

কম্পিউটার বিষয় ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

আজকের এই পোস্টে আমি শেয়ার করবো ১০০ টিরও বেশি প্রশ্ন এবং প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর। সুতরাং আজকের এই আর্টিকেল পতলে আপনি কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেক জ্ঞান লাভ করতে পারবেন।

কম্পিউটার প্রোগ্রাম কি?

সমস্যা সমাধান বা কোন বিশেষ কার্য সম্পাদনে উদ্দেশ্য কম্পিউটার প্রোগ্রামের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে কম্পিউটার প্রোগ্রাম বলে।


মেশিন ভাষা কাকে বলে?

কম্পিউটার সুধু ০ (শূন্য) এবং ১ (এক) চিনতে পারে। আর এই ০ ও ১ দিয়ে লেখা ভাষাকে মেশিন ভাষা বলে।


অ্যাসেম্বলি ভাষা কি? 

অ্যাসেম্বলি ভাষার ক্ষেত্রে নির্দেশ ও ডেটার অ্যড্রেস বাইনারি বা হেক্স সংখ্যার সাহায্যে না দিয়ে সংকেতের সাহায্যে দেওয়া হয়।


অনুবাদ সফটওয়্যার (Translator Software) কি?

উৎস (Source) প্রোগ্রামকে বস্ত (Object) প্রোগ্রামে পরিনিত করতে যে সফটওয়্যারের প্রয়োজন তাকে বলে অনুবাদক।


কম্পাইলার কি জিনিস?

কম্পাইলারের কাজ হাই লেভেল ভাষার উৎস প্রোগ্রামকে বস্তত প্রোগ্রামের অনুবাদ করা। তবে কম্পাইলার যেখানে সম্পুর্ন প্রোগ্রামকে অনুবাদ করে তারপর তা কার্যে পরিণত কর ইন্টারপ্রেটার সেখানে একটি নির্দেশ মেশিনভাষায় অনুবাদ করে তা কার্যে পরিণত ক্রএ, তারপর পরবর্তী নির্দেশে হাত দেয়।


অ্যাসেম্বলার কী?

অ্যাসেম্বলারের কাজ অ্যাসেম্বলি ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষার বস্ত প্রোগ্রামে অনুবাদ করা।

বাগ (Bugs) কি?

প্রোগ্রামের ভূলকে বাগ বলা হয়।

অ্যালগরিদম কাকে বলে?

অ্যালগরিদম শব্দটি আরব দেশের গণিতবিদ ''আল খারিজমী' এর নাম থেকে উৎপত্তি হয়েছে। অ্যালগরিদম অর্থ ধাপে ধাপে সমস্যা সমাধান অর্থাৎ একটি সমস্যাকে কয়েকটি ধাপে ভেংগে প্রত্যেকটি ধাপ পরপর সমাধান করে সমগ্র সমস্যা সমাধান করা।

ফ্লোচার্টিং কি?

প্রোগ্রাম কিভাবে কাজ করবে তাত ছবি একে ফ্লোচার্টে দেখান হয়। ফ্লোচার্ট হলো এমন কতগুলো ছবি যা থেকে বোঝা যায় সমস্যা সমাধান করতে হলে পরপর কিভাবে অগ্রসর হতেত হবে।

সূডোকোড কি?

সুডোকোড দিয়ে একটি প্রোগ্রামকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যা কোনো নির্দিষ্ট কম্পিউটার বা প্রোগ্রামিং ভাষার উপর নির্ভরশীল নয়। এতা সুন্দর ও সহজ ইংরেজী ভাষায় সমস্যা সমাধানের প্রতিটি ধাপ বর্ণনা করে।  

ডেটা বা উপাত্ত কি জিনিস?

সুনির্দিষ্ট আউটপুট বা ফলাফল পাওয়ার জন্যে প্রসেসিংয়ে ব্যাবহৃত কাঁচামাল সমূহকে ডেটা বা উপাত্তত বলে। ডেটা একটি একক ধারণা অর্থাৎ ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম এককই হচ্ছে ডেটা।

ইনফরমেশন কাকে বলে? 

ইনফরমেশন বা তত্থ্য হলো সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো ডেটা যা সহজবোধ্য, কার্যকর ও ব্যাবহারযোগ্য (Useful).

জ্ঞান বা নলেজ কাকে বলে?

জ্ঞান বা নলেজ কোন বিষয়ে ব্যাবহারযোগ্য ইনফরমেশনের উপযুক্ত সংগ্রহ। অন্যভাবে বলা যায় যে, অভিজ্ঞতা অ শিক্ষার মাধ্যমে তাত্বিক ও ব্যাবহারিকভাবে কোন বিষয়ের ইনফরমেশনকে হৃদয়ংগম করে অর্জন করা বিশেষ দক্ষতা ও নৈপুণ্য হলো জ্ঞান।

প্রজ্ঞা বা ইউসডম

অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞান বা নলেজকে হৃদয়ংগম করে তা ব্যাবহার করতে পারলেই অর্জিত হয় প্রজ্ঞা বা ইউসডম।

ডেটা প্রসেসিং কি?

প্রয়োজনীয় বিশ্লেষন, বিন্যাস ইত্যাদির মাধ্যমে ডেটাকে অর্থপূর্ণ তথ্যে বা ইনফরমেশনে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডেটা প্রসেসিং।

ডেটা টাইপ কী?

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর ডেটা নিয়ে কাজ করতে হয়। এই ডেটার টাইপ বা প্রকৃতি আবার বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যথা-টেক্সট বা ক্যারেক্টার, নাম্বর বা নিউমেরিক, ইয়েস/নো বা যুক্তিমূলক, তারিখ/সময়, মেমো, কারেন্সী ইতট্যাদি।

কোয়েরি কাকে বলে?

কোয়েরির সাহায্যে নির্দিষ্ট ফিল্ডের ডেটা, নির্দিষ্ট শর্তানুসারে প্রদর্শন করা এবং তা ছাপিয়ে উপস্তথাপন করা যায়। কোয়েরিত্তে এক্সপ্রেশন, অপারেটর, ফিল্ড ইত্যাদি ব্যাবহার করে সুবিধামত ডেটা নির্বাচন করা যায়।

ইনডেক্স কি?

ইনডেক্স হচ্ছে সুসজ্জিতভাবে বা সুবিন্যাস্তভাবে তথ্যাবলীর সূচী প্রনয়ন করা। ডেটাবেজ থেকে ব্যাবহারী কোন ডেটা যাতে তাড়াতাড়ি খুজে বের করতে পারে সেজন্য ডেটাকে একটি বিশেষ অর্ডারে সাজিয়ে রাখা হয়। ডেটাবেজের টেবিলের রেকর্ডসমূহকে এরুপ কোন লজিক্যাল অর্ডারে সাজিয়ে রাখাকেই ইনডেক্স বলে।

ডেটবেজের মধ্যে রিলেশন

একটি ডেটা টেবিলের ডেটাত্র সাথে অন্য এক বা একাধিক ডেটা টেবিলের ডেটার সম্পর্কে রিলেশন বলে।

One to One রিলেশন কাকে বলে?

যখন দুটতি ডেটা টেবিলের মধ্যে রেলশন স্থাপন করা হয় এবং ডেটা টেবিলের একটি রেকর্ডের জন্যে অন্য ডেটা টেবিলে কেবলমাত্র একটি রেকর্ড থাকবে।

One to Many রিলেশন কাকে বলে?

কোন ডেটা টেবিলের একটি রেকর্ড অন্য টেবিলের একাধিক রেকর্ডের সাথে রিলেশন রক্ষা করে।

ডেটাবেজ রিপোর্ট কি?

ডেটা টেবিলে বিভিন্ন রকম ডেটা বিভিন্নভাবে সাজানো থাকে। ডেটাবেজ থেকে প্রয়োজনীয় ডেটাসমূহ প্রতিবেদন আকারে প্রদর্শনের ব্যাবস্থাকে রিপোর্ট বলে।




Tuesday, July 5, 2022

এসইওর ইতিহাস SEO History

এসইওর ইতিহাস SEO History

আজকের এই এসইও অনেক পরিবর্তনের ফলাফল, যা আমরা মূলত গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে দেখতে পাই। ১৯৯১ সালে ৬ আগষ্ট Tim Berners Lee এর হাত ধরে প্রথম ওয়েব পেইজ পাবলিশ করা হয়। এর কয়েকবছরপর ১৯৯৭ সালে প্রথম অফিসিয়াল এসইও এর যাত্রা শুরু হলেও ২০০১ সাল থেকে এসইওর গুরুত্ব বৃদ্বি পেতে থাকে। 

Jerry Wang এবং David Filo ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে Yahoo Search Engine প্রতিষ্ঠা করেন। তারা পাশাপাশি Yahoo ডাইরেক্টরি তৈরি করেন। ১৯৯৮ সালে ৪ই সেপ্টম্বর Larry Page এবং Sergey Brin এর হাত ধরে গুগল প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে গুগল Google অন্যতম এবং প্রধান। 

পুরো বিশ্বে প্রতিদিন যা সার্চ হয় তার মধ্যে ৯০% সার্চ গুগলেই করা হয়, এবং এছাড়াও গুগলের রয়েছে জনপ্রিয় কিছু প্রোডাক্ট/সার্ভিস।  

এসইও যার পুর্নরুপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চা ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হলে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে নিজের ওয়েবসাইট ইনডেক্স করতে হবে এবং সেটা টপে নিয়ে আসা লাগবে। যার মাধ্যমে কেউ যদি সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে কোন কিছু সার্চ করে যেটা আপনার ওয়েবসাইটের সাথে মিল আছে তখন যেনো আপনার ওয়েবসাইট সবার প্রথমে আসে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করলে ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়া যায় এবং আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস বেশি বেশি সেল হবার সম্ভবনা থাকে।


Monday, July 4, 2022

ডেটা মার্ট কি? ডেটা মার্ট কি কাজে ব্যাবহৃত হয়? Data Mart

ডেটা মার্ট কি? ডেটা মার্ট কি কাজে ব্যাবহৃত হয়? Data Mart

ডেটা মার্ট (Data Mart) হচ্ছে ডেটা ওয়্যারহাউজের সাধারণরুপ যা একটি একক বিষয় অথবা ব্যাবহারিক ক্ষেত্র যেমন বিক্রয় বা বিপণন, অর্থ অথবা মার্কেটিং ইত্যাদির প্রতি দৃষ্টি প্রদান করে। ডেটা মার্ট একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একক কোন বিভাগ দ্বারা প্রায়ই গঠিত এবং নিয়ন্ত্রিত। ডেটা মার্টকে ডেটা ওয়্যারহাউজের সাবসেট (subset) ও বলা হয়। এটা ডেটা ওয়্যারহাউজ থেকে ডেটার সাপসেট ধরে রাখে যা একটি কোম্পানীর বিশেষ দিক যেমন একোটি ডিপার্টমেন্ট অথবা একটি বিশেষ ব্যাবসা প্রক্রিয়ার দিকে মনোযোগ প্রদান ক্রএ। বিভিন্ন একক বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি প্রদান করে ডেটামার্ট সাধারণত কিছু উৎস থেকে ডেটা উত্তোলন করে। উৎসটি অভ্যন্তিরীণ পরিচালনা পদ্বতি থেকে, কেন্দ্রীয় ডেটা ওয়্যারহাউজ থেকে অথবা বাইরের অনয কোন উৎস থেকে প্রাপ্ত ডেটা হতে পারে।

ডেটা মার্ট দুই ধরনের হয়। এরা হলো-
  1. নির্ভরশীল ডেটামার্ট (Dependent Data Mart)
  2. স্বাধীন ডেটামার্ট (Independent Data Mart)
নির্ভরশীল ডেটামার্ট কেন্দ্রীয় ডেটা ওয়্যারহাউজ থেকে ডেটা উত্তোলন করে যা ইতঃপুর্বে সৃষ্ট। নির্ভরশীল ডেটামার্ট প্রক্রিয়া কিছুটা সহজ কারণ বিন্যাসকৃত এবং সারসংক্ষেপকৃত (পরিষ্কার) ডেটা ইতঃপুর্বে কেন্দ্রীয় ডেটা ওয়্যারহাউজে বোঝাই করা হয়েছে।

নির্ভরশীল এবং স্বাধীন ডেটামার্টের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো কিভাবে ডেটামার্ট পপুলেট (Populate) করা হয় অর্থাৎ কিভাবে ডেটা উৎসে প্রবেশ করান হয় এবং ডেটা মার্ট থেকে তা বের করে আনা হয়। এই পদক্ষেপকে বলা হয় এক্সাট্রাকশন - ট্রান্সফরমেশন - লোডিং (Extraction - Transformation - Loading) বা (ELT) প্রক্রিয়া যেখানে পরিচালনামূলক পদ্বতি (Operational System) থেকে ডেটা সরানো, পরিস্রুতকরণ এবং ডেটা মার্টে বোঝাই করা হয়। 

নির্ভরশীল ডেটামার্টের জন্য ELT  প্রক্রিয়া হচ্ছে বাছাইকৃত ডেটা মার্ট বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ডেটার সঠিক সাপসেট চিহ্নিতকরণ এবং এর একটি অনুলিতি সারাংশ আকারে সরানোর একটি প্রক্রিয়া।

স্বাধীন ডেটা মার্ট অনেকটা কেন্দ্রীয় ডেটা ওয়্যারহাউজের মতই ELT প্রক্রিয়ার সকল দিক নিয়ম কাজ করে। এর উৎস সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম এবং ডেটা মার্টের সাথে সম্পৃষ্ট ডেটারপরিমান ডেটা ওয়্যারহাউজ থেকে কম। এটা একটি বিষয়ের দিক সৃষ্টি প্রদান করে।

এই দুই ধরনের ডেটা মার্ট সৃষ্টির পিছনে যে উদ্বুদ্বকরণ কাজ করে তাও বিশেষত ভিন্ন। নিরদিষ্ট বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট ডেটার স্থানীয় অ্যাকসেস ফলস্বরুপ নির্ভরশীল ডেটা মার্ট সাধারণত স্বল্পতর টেলিযোগাযোগ খরচ, অপাক্ষাকৃত ভালো নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাপ্যতা ও উন্নয়ন পারফরম্যান্স অর্জনের জন্য নির্মাণ করা হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধানের প্রয়োজনে স্বাধীন মার্ট সৃষ্টি হয়।

ডেটা ওয়্যারহাউজ প্রায়ই সংগঠনব্যাপী হিসেবে অবহিত করা হয়। এটা সংগঠন ট্রাকের সকল তথ্যের সরমর্ম ধারন করে। নিরাপত্তা জনিত বা অন্য কোন কারণে কিছু লকের ডাটা ওয়্যারহাউজ তথ্যের কেবল একটি অংশে প্রবেশাওধিকার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একটি সংগঠনেক বা একাধিক ডেটামার্ট সৃষ্টি করতে পারে।


Sunday, July 3, 2022

ইন্টারনেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন Internet Introduction

ইন্টারনেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন Internet Introduction

ইন্টারনেট পৃথিবীর বিস্তৃত একটি ওয়াইড এরিয়া কম্পিউটার। এটি অসংখ্য LAN, MAN, এবং WAN নেটওয়ার্কের সংযোগ তৈরি একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত নেটওয়ার্কে সংখ্যা বর্তমানে হাজার হাজার এবং সংযুক্ত কম্পিউটারের সংখ্যা প্রায় দশ কোটির বেশি, আর এসব সংখ্যা দ্রুত বেড়েই চলেছে।

আরপানেট (ARPANET) দিয়ে ইন্টতারনেটের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ একটি গবেষনা প্রকল্পের আওতায় দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষামূলক কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়। এ নেটওয়ার্কের নাম আর্পানেট। প্রাথমিক অবস্থায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এ নেটওয়ার্কের ব্যাবহার উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু এ অবস্থা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

১৯৮২ সালে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগের উপযোগী টিসিপি/আইপি (TCP/IP Transmission Control Protocol/Internet Protocol) প্রোটোকল উদ্ভাবনের সাথে ইন্টারনেট শব্দটি চালু হয়। ১৯৮৩ সালের আরপানেটে টিসিপি/আইপি প্রোটোকল ব্যাবহার শুরু হয়। এর পর ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়। 

ইন্টারনেট সম্প্রসারণের প্রক্রিয়াকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। ১৯৬৯ হতে ১৯৮৩ পর্যন্ত পরিক্ষামূলক পর্যায়, এ সময়ে নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ হয় ধীর গতিতে এবং এ পর্যায়ের শেষে বিশটি দেশে সংযুক্ত কম্পিউটারের সংখ্যা ছিল প্রায় দুইশত। 

সম্প্রসারণের দ্বিতীয় পর্যায় হলো আশির দশক। ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সায়েন্স ফাউন্ডেশন নেটওয়ার্ক (NSFNET) প্রতিষ্ঠার ফলে আরপানেটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি ইন্টারনেট নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৯ সালে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা সার্ভিস প্রোভাইডার চালুর ফলে সকলে জন্য ইন্টারনেট ব্যাবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ১৯৯২ সালে ইন্টারনেট সোসাইটি (ISOC) প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইন্টারনেট ব্যাবহারের জন্য প্রধানত নিম্নলিখিত জিনিসগুলো প্রয়োজন-
  1. কম্পিউটার বা ডিজিটাল কোন ডিভাইস
  2. মডেম
  3. টেলিফোন
  4. ইন্টারনেট সংযোগ
  5. সফটওয়্যার
এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর প্রয়োজনবোধে ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রিন্টার, স্ক্যানার ইত্যাদি ব্যাবহার করা যেতে পারে।

কম্পিউটার

ইন্টারনেট সংযুক্তির জন্য নুন্যতম ৮০৩০৬ প্রসেসরযুক্ত কোন কম্পিউটার, ৪ মেগবাইট র‍্যাম এবং অপারেটিং সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার দরকার পড়ে। তবে আধুনিক ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার ব্যাবহার করা হলে ইন্টারনেট বিচরণ স্বাচ্ছন্দ হয়। অনেকেই এজন্য বর্তমানে ১ গিগাবাইট বা তদুর্ধ্ব র‍্যাম সম্পন্ন পেন্টিয়াম কম্পিউটার ব্যাবহার করে থাকেন। ইন্টারনেট থেকে তথ্যবলী ডাউনলোড করে সংরক্ষন করার জন্য কম্পিউটার মেমরিতে অর্থাৎ হার্ডডিস্কে ফাঁঁকা যায়গা থাকা প্রয়োজন। 

মডেম

ইন্টারনেট ব্যাবহার করার জন্য মডেম আরেকটি অপরিহার্য হার্ডওয়্যার। মডেম কম্পিউটার এবং টেলিফোন লাইন, মোবাইল ফোনের সংযোগের জন্য ব্যাবহার করা হয়। মডেম বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যদি ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইনের মাধ্যমে সংযোগ নেওয়া হয় তাহলে DSL মডেম প্রয়োজন। রেডিও লিংকের মাধ্যমে সংযোগ নেওয়া হলে ওয়ারলেস মডেম প্রয়োজন।


টেলিফোন লাইন বা মোবাইল ফোন বা অন্য কোন নেটওয়ার্ক

টেলিফোন লাইন তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কম্পিউটারে সংযুক্ত মডেমকে টেলিফোন লাইনের সাথে সংযুক্ত করা হয়। এ লাইনের মাধ্যমে ISP এর সার্ভারের সাথে সংযোগ করা যায়। এ্যানালগ বা ডিজিটাল যে কোন ধরনের টেলিফোন লাইনের ইন্টারনেট ব্যাবহার করা সম্ভব। তবে ব্যাবহারকারী সরাসরি যে সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে চান তা একই এলাকায় হলে লোকাল টেলিফোন, অন্য এলাকায় হলে এসটিডি টেলিফোন কিংবা অন্য দেশে হলে আই এস ডি লাইন প্রয়োজন হবে। টেলিফোন লাইন ছাড়াও ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন কিংবা রেডিও লিংক কিংবা অন্য কোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়া যায়।


সফটওয়্যার

ইন্টারনেট ব্যাবহার করার জন্য উহার কাজের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। যেমন- সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্য সফটওয়্যার, ইমেইল প্রেরণ বা গ্রহণ করার জন্য সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার জন্য সফটওয়্যার ইত্যাদি। সাধারনত সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্য TCP/MAN ডায়াল-আপ নেটওয়ার্ক, ইমেইলের জন্য ইন্টারনেট মেইল, ইউডোরা প্রো, ব্রাউজিং করার জন্য নেটস্কোপ নেভিগেটর, নেটস্কোপ গোল্ড, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, রিয়াল টাইম চ্যাটের জন্য MIRC ইত্যাদি সফটওয়্যার ব্যাবহৃত হয়।

বর্তমানে অনলাইনে ইন্টারনেট সম্পুর্ন আইপি অ্যাড্রেসের উপর বেস করেই কন্ট্রল করা হয়।
About Dmand Fashion Shoe online shop

About Dmand Fashion Shoe online shop

Dmand Fashion Shoe, a reliable company for online shoe shopping. Dmand Fashion Shoe has been successfully operating online and offline for over 1 year now.

"Dmand Fashion shoes" has been providing all types of quality shoes at the most affordable prices. We provide high quality shoe in-stock service for men & women through which you will get all our services at home. We have skilled workers, we import quality shoes product from different countries including Italy, China and serve the wholesale / showroom traders all over Bangladesh by skilled workers.
We believe time is valuable to our fellow Dhaka residents, and that they should not have to waste hours in traffic, brave bad weather and wait in line just to buy basic necessities like eggs! This is why "Dmand Fashion shoes" delivers everything you need right at your door-step and at no additional cost.

All in all, their service is much better. If you want to shop online, you can order shoes online from Dmand Fashion Shoe.