Wednesday, May 18, 2022

What is TENSE? টেনস কি?

What is TENSE? টেনস কি?

ল্যাটিন শব্দ "Tempus" হতে Tense শব্দের উতপত্তি। Tempus শব্দের অর্থ সময়।  এখন অনেকেই ভাবছেন কিসের সময়? উত্তর হলোঃ- ক্রিয়া বা কাজ সম্পন্ন হওয়ার সময়। কোন কাজ হয়েছে, কী হচ্ছে, কী হবে ইত্যাদি বোঝালে Verb-এর রুপের যে পরিবর্তন হয়, তাকে Tense বা কাল বলে। এক কথায়, ক্রিয়া বা কাজ সম্পন্ন হওয়ার সনয়কে Tense বা কাল বলে।

Tense কত প্রকার?

Tense স্বাধারনত ৩ প্রকার হয়ে থাকে যা নিম্নে উল্যেখ করা হলোঃ-

  1. Present Tense
  2. Past Tense
  3. Future Tense

Present টেন্স কাকে বলে?

বর্তমান সময়ে কোনো কাজ হয়, হয়েছে বা হচ্ছে বোঝালে Verb এর যে রুপ হয়, তাকে Present Tense (বর্তমান কাল) বলে। কিছু উদাহরন নিচে উল্যেখ করা হলোঃ-
  • আমি পড়ি -- I read.
  • তুমি পড়ছ -- You are reading.
  • সে পড়ছে -- He has reading.
Past Tense কাকে বলে?
অতীতকালে কোনো কাজ হয়েছিলো বা হচ্ছিল বোঝালে Verb- এর যে রুপ হয়, তাকে Past Tense বলে। Past Tense এর আবার চারটি রুপ আছে! যা নিম্নে উল্যেখ করা হলোঃ-
  1. Past Indefinite/Simple Past
  2. Past Continuous
  3. Past Perfect
  4. Past Perfect Continuous

Future Tense কাকে বলে?

Future মানে হলো ভবিষ্যত, আর Tense মানে কাল! অর্থাৎ ভবিষ্যত কাল। কোনো কাজ পরে হবে বা হতে থাকবে বোঝালে Verb- এর যে রুপ হয়,৷ তাকে Future Tense বলে। Future Tense এর চারটি রুপ আছে, 
  1. Future Indefinite/ Simple Future
  2. Future Continuous 
  3. Future Perfect
  4. Future Perfect চন্তিনুওউস


Sunday, May 15, 2022

এনএফটি কাকে বলে? এনএফটি মার্কেটপ্লেস কি?

এনএফটি কাকে বলে? এনএফটি মার্কেটপ্লেস কি?

NFT ২০২০-২০২১ সালের পর থেকেই সাধারণ মানুষ এটা নিয়ে বেশি জেনেছে, এবং বর্তমান বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০০ মিলিয়নের বেশি মার্কেট সাইজ নিয়ে NFT সবার শির্ষে।  কোননা কোন ভাবে নিশ্চয় আপনি ব্লকচেইনে বা এনএফটি  (NFT) এর কথা শুনেছেন। যদি না শুনে থাকেন কোন সমস্যা নেই কারণ, আজকে এনএফটি কি? এইগুলোর ব্যাবহার ও কাজ? মার্কেট ভ্যালু কেমন? এইসকল তথ্য এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন।  

NFT এর ফুল মিনিং হচ্ছে Non-Fungible Tokens. যদি একটি গভির ভাবে চিন্তা করেন তাহলে দেখুন এখানে কিন্তু ২টা ওয়ার্ড বা টার্মস আছে। যেমন Not-Fungible একটি এবং অন্যটি  হচ্ছে Tokens অতএব এখানে ২টি শব্দ আছে। চলুন প্রথমেই শুরু করা যাক Non-Fungible দিয়ে!

What is non-Fungible?

খুব সহজে যদি আমি এক্সপ্লেইন করতে চাই তাহলে Fungible কে আমি রিপ্লেস করে Replace করি তাহলে হবে Non-Replaceable! অতএব এখানে মানে আসছে হচ্ছে Non-Replaceable. চিলুন এবারে আপনাদের আরো ক্লিয়ার করে বোঝায়। ধরুন আপনি একটা বই কিনলেন, হতে পারে সেটা অনলাইন বা অফলাইন থেকে ও যে কোন ধরনের বই। আমি এতটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি যেই বইটা কিনেছেন বাজারে তার হাজারো কপি রয়েছে। আপনি যদি ৫ মাস পরে একটা দোকান থেকে বইটা কিনেন তাও কিন্তু বইটারর মধ্যে সেম লিখা সেম কাভার পাবেন।  এর অন্যতম কারন হচ্ছে বইটা Replaceable. এটা আপনি যখন তখন যে কোন বইয়ের সাথে রিপ্লেস করতে পারবেন এবং চাইলেই এর হাজারো কপি বের করতে পারবেন। তবে লক্ষ্য করুন আপনি যেই বইটি কিনেছেন সেই বইটি আপনি পড়ার মধ্য দিয়ে কিছু কিছু টেক্সটের উপর মার্ক করলেন, বা কোন কোন যায়গায় হাইলাইট করলেন তখন কিন্তু অই বইটা রিপ্লেসয়াবল (Replaceable) হবে না। কারণ আপনার হাতে থাকা বইটাতে আপনার নোটস, হাইলাইট, স্কিপ্ট মার্ক করা আছে এবং এই কপিটা সুধু আপনার কাছেই আছে। একইভাবে অন্য যে কোন জিনিসে এই সিস্টেমটি প্রসেস করা হয় এবং এটাকেই বলা হয় Non-Replaceable বা Non-Fungible. 

এবারে কথা বলা যাক টোকেনের বিষয় নিয়ে। টোকেনের কথা যদি বলি তাহলে ছোট বেলার কথা মনে পরে যাবে, ছোট বেলায় আমরা যদি কোন মেলায় যেতাম তাহলে যে কোন একটি জিনিস দেখার জন্য আমাদেরকে টোকেন নিতে হতো। তারপর আমরা টোকেন গিয়ে কাউন্টারে জমা দিলে আমাদেরকে নির্দিষ্ট খেলা দেখতে দিতো যেমন ধরেন মোটর বাইক। এটাত সুধু একটা এক্সপ্লেইন দিলাম এবার ভালো করে জেনে নেই, টোকেন কি?

What is tokens?

টোকেন ব্যাসিকালি ব্লকচেনের একটি অংশ। ব্লক চেইন কি তা জানতে এখানে ক্লিক করুন। টোকেন মূলত কাজ করে একটা ভেরিফাইড সিস্টেমের মত। ধরুন আপনি যেই বইটা হাইলাইট করেছিলেন, সেই বইটা বাজারে অনেক কপি থাকলেও আপনার কাছে থাকা কপিটা নেই। কিন্তু এইটা যে আপনার নিজের এটা কিভাবে প্রুভ করবেন? কিভাবে মানুষজন জানবে যে এই বইটা মালিক একমাত্র আপনি? এটাই হচ্ছে NFT এবং এখানে টোকেন অর্থ একটি বই বোঝাতে চাচ্ছি। সেটা যে কোন জিনিস হতে পারে। আরো একটু ক্লিয়ার ভাবে বলতে গেলে আপনার বইটার বা আপনি যে একটা জিনিসের মালিক এইটার সম্পুর্ন একটা প্রুভমেন্ট তৈরি করা। যেমনটি ব্লক চেইনে করা হয়েথাকে, যেমন কেউ টাকা ট্রাঞ্জিশন করলে সেটা যেনো পরবর্তিতে আর কেউ এডিট না করতে পারে, একই ভাবে আপনার জিনিসটা আর কোন কপি হবেনা। আর এই প্রত্যেকটা একক জিনিসকেই টোকেন বলা হয়। 

Saturday, May 14, 2022

কালার কাকে বলে? গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কালার বিষয় জানা অত্যান্ত জরুরি

কালার কাকে বলে? গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কালার বিষয় জানা অত্যান্ত জরুরি

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো রঙ কাকে বলে? রং হল রঞ্জক পদার্থ। আমাদের চোখের সামনে যা কিছু দেখি সব কিছুই এক একটি রঙ। তবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য রঙের কিছু প্রকারভেদ আছে যা নিম্নে উল্যেখ করা হলো।

আসলে কোন একটি রঙ বর্ণনা করা সত্যিই কঠিন। ধরুন "লেমন গ্রীন" রঙ্গটি দু'জন লোকের কাছে দু'রকম। আমি বলতে চাচ্ছিনা যে, লেমন গ্রী রঙটি একজনের কাছে লাল, আর অপরজনের কাছে কালো। যা বোঝাতে চাচ্ছি তা হলোঃ- হয়তো বা দুজনই লেমন গ্রীন রংটি কল্পনা করছে। কিন্তু তাদের কল্পনাকৃত রঙের মানের মধ্যে কমবেশি কিছু পার্থক্য রয়েছে। 

বিষয়টি পরিক্ষা করে দেখার জন্য দু'জন ডিজাইনার বন্ধুকে লেমন গ্রীন রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর একটি ডিজাইন তৈরি করতে বলুন। এরপর কোন ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার তৈরি কৃত ডিজাইন দুটির ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে কালার পিক করে দেখুন, মান দু'টোতে কিছু না কিছু পার্থক্য দেখা যাবে। যদিও এ পর্যন্ত কালার বর্ণনা/উপস্থাপনের জন্য অনেক ষ্টান্ডার্ড-ই প্রস্তাবিত হয়েছে।

তবে এর মধ্যে RGB/CMYK এবং CIE Lab Schemes ই সবচেয়ে ভালো কাজ করছে। RGB ম্যাপ কালার মূলত তিনটি কালারের সমন্ময়ে উপস্থাপিত হয়। এগুলো হলোঃ Red, Green এবং Blue। মনিটর বা পর্দায় উপস্থাপনের জন্য এই কালার স্কিমই সবচেয়ে ভালো কাজ করে। কিন্তু প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে যথাযথ ফলাফল প্রদান করতে পারেনা। যে কারণেই CMY আবির্ভাব। এই তিনটি CMY নাম্বার ব্যাবহার করেরি প্রিন্টিং কালারের মান নির্ধারিত হয়ে থাকে। কিন্তু কালার নিপুণতা এবং নির্ভুলতার অভাবে এই তিনটি কালারের মাধ্যমে পুরোপুরি কালো কালারর তৈরি করা যায় না। ফলশ্রুতিতে এই তিন CMY কালারের সাথে একটি অতিরিক্ত/আলাদা কালো Black (K) কালার যোগ করা হয়ে CMYK কালার মডেল তৈরি করেছে। আমরা যে সমস্ত কালার দেখতে পাই তা RGB এবং CMYK উভয় কালার সেটই উপস্থাপন করতে পারে। তবে CIE Lab আরও বেশি কাছাকাছি কালার উপস্থাপন করে, সাধারন দৃষ্টিতে যা নিখুঁঁত বলেই মনে হয়। 



গুগল এ্যাডসেন্স কি?

গুগল এ্যাডসেন্স কি?

গুগল বিশ্বের লিডিং টেক জায়েন্ট কোম্পানি। বর্তমানে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা প্রতিনিয়তই গুগলের উপর নির্ভর করছি। গুগলের রয়েছে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৭০+ টি সার্ভিস যা প্রতিটি দেশের জন্য উন্মুক্ত এবং ফ্রী ব্যাবহারের সুযোগ। গুগলের সার্ভিস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটা সার্ভিস হচ্ছে গুগল এ্যাডসেন্স (Google AdSense)!  গুগল এ্যাডসেন্স সবার অনেক জনপ্রিয় এবং অনলাইনে টাকা উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যমে। বিশেষ করে ইউটুন ও ওয়েবসাইটে এ্যাডসেন্স এপ্রুভাল নিয়ে এ্যডসেন্স থেকে ইনকাম করা হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমি এ্যাডসেন্স বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করবো।

এ্যাডসেন্স কি?

গুগলের অ্যাডসেন্স গুগলে থেকে আর্নিং করার অন্যতম সোর্স। বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ মিলিয়ন কাস্টমার রয়েছে এ্যাডসেন্সের। এবং এর থেকে প্রতিদিন প্রায় কয়েকশ কোটি টাকা গুগল থেকে ট্রান্সজেকশন হচ্ছে। মূলত বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ইউটুবের মাধ্যমে স্বাধারন পাবলিক গুগল অ্যাডসেন্স এ্যাপ্লাই করে টাকা ইনকাম করে। তবে এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিতিমালা আছে। যার মধ্যে অন্যতম একটি পলিসি হচ্ছে কপিরাইট! কপিরাইট কোন কন্টেন্ট আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটুবে যদি থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি অ্যাডসেন্স পাবেন না। 

ওয়েবসাইটে এ্যাডসেন্স টাকা কেন দেয়? 

আপনার ওয়েবসাইটে যদি এ্যাডসেন্স বসাতে চান সেইক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে নুন্যতম ১০ টি আর্টিকেল ও আর্টিকেল গুলোতে প্রত্যেকটায় কমপক্ষে ১০০০ ওয়ার্ড থাকা লাগবে এবং গুগলে র‍্যাংক করাতে হবে। ওয়েবাসাইটটি এসইও করে অরগানিক ট্রাফিক জেনেরেট করতে হবে। পরবর্তিতে গুগল এ্যাডসেন্স অ্যাপ্লাই করে এ্যাডসেন্স নিতে হবে। এবং যদি আপনি এ্যাডসেন্স পেয়ে যান তাহলে গুগল অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন এ্যাডস যুক্ত করে দিবে। এবং উক্ত অ্যাডসগুলো অরগানিক ট্রাফিকরা যখন দেখবে বা ক্লিক দিবে তখন তার মাধ্যমে আপনি অই অ্যাডভাইজর থেকে কিছু % শেয়ার পাবেন। মূলত এটায় হচ্ছে গুগল এ্যাডসেন্স থেকে আর্নিং হবার একটি প্রসেস। এবং এইভাবে ইউটুবসহ বিভিন্ন ভাবে গুগলের পার্টনারশীপ হয়ে গুগল থেকে ইনকাম করতে পারেন। তবে ইউটুবের কিছু পলিসি আছে যা নিম্নে উল্যখ করা হলো। 

ইউটুবে এ্যাডসেন্স পলিসি

ইউটুব বিশ্বের জনপ্রিয় ও শীর্ষে থাকা একতি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। এবং একটি তথ্যে সুত্রে জানা গেছে ইউটুবে প্রতিমিনিটে প্রায় ৫০০ ঘন্টার ভিডিও আপলোড হয়ে থাকে। যার প্রেক্ষিতে প্রতিদিন ৭ লক্ষ ২০ হাজার ঘন্টা ভিডিও আপলোড ইউটুবে। এবং সার্স ইঞ্জিন হিসেবে গুগলের ঠিক পরের অবস্থান ইউটুবের। ইউটুবে এ্যাডসেন্স নিতে হলে সর্বনিম্ন ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ভিডিও দেখার টাইম এ্যাপ্লাইয়ের পুর্বে এক বছরের মধ্যে হতে হবে। তাহলেই আপনি অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন, তবে শর্ত হলো কোনরম কপিরাইট কিছু থাকা যাবেনা। কারো বিরুদ্ধে যায় বা বাজে কোনরকম ভিডিও আপলোড করা যাবেনা। সম্পুর্ন ভালো ও ইউনিক কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। 

গুগলের এ্যাডস গুলো কিভাবে আসে বা কারা দেয়? 

গুগলের রয়েছে ২৭১টি সার্ভিস যার মধ্যে গুগল তাদের সার্ভিস গুলো প্রোভাইড করে থাকে। এবং বিভিন্ন টেক জায়েন্ট ও বিভিন্ন কোম্পানি এই গুগলের মাধ্যমে এ্যাডস দেয় যার জন্য গুগল কিছু টাকা চার্জ করে এবং তাদের নির্দিষ্ট সার্ভিস গুলোতে এ্যাডস গুলো দেখানো হয়। যার মধ্যে এন্ড্রয়েড এ্যাপ্স, ইউটুব ও ওয়েবসাইট অন্যতম। গুগলে কাস্তমার বা এ্যাডভার্টাইজার থেকে যেই টাকাটা নিয়ে থাকে তার তার থেকে তাদের পার্টনারশীপ যেমন যারা ইউটুব বা ওয়েবসাইটে এ্যাডসেন্স বসিয়েছে তাদেরকে কিছু % শেয়ার দেয়। আমার জানা মতে গুগল ৫১% শেয়ার তাদের পার্টনার শীপদের দেয় এবং বাকিটা তারা নেয়। গুগলে চাইলে আপনিও এ্যাডস দিতে পারেন গুগলে এ্যাডস দেওয়ার জন্য রয়েছে গুগল এ্যাডস মেনেজার।


রাস্টার বা ভেক্টর বলতে কি বোঝায়? ইমেজ Vector and Raster  ছবি জুম করলে ফেটে যায় কেন?

রাস্টার বা ভেক্টর বলতে কি বোঝায়? ইমেজ Vector and Raster ছবি জুম করলে ফেটে যায় কেন?

ছবি জুম করলে বা কোন একটা গ্রাফিক্স জুম করলে ফেটে যায় এটা কোন নতুন কথা নয়! তবে কিছু কিছু ছবি বা গ্রাফিক্স আছে যা জতই জুম করেন ফাটবেনা। মূলত যেই ছবি গুলো জুম করলে ফাটেনা সেটাকেই ভেক্টর গ্রাফিক্স বলা হয়। এবং যেটা ফেটে ও ঝাপসা দেখায় অইটাকে বলা হয় বিটম্যাও ইমেজ। বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমি ভেক্টর ও বিটম্যাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সবাই মনোযোগ সহকারে পরবেন।

ভেক্টর গ্রাফিক্স কাকে বলে?

ড্রয়িং উপাদানের উপর ভিত্তি করে ভেক্টর ইমেজ গঠিত। ভেক্টর পদ্ধতি অর্থাৎ গাণিতিক্রেখা এবং বক্ররেখার মাধ্যমে তৈরি গ্রাফিক্সকে ভেক্টর গ্রাফিক্স বলা হয়। জ্যামিতিক বৈশিষ্ট অনুসারে ভেক্টর গ্রাফিক্স বর্ণিত হয়। যেমনঃ বাইসাইকেলের টায়ার আকার জন্য ভেক্টর গ্রাফিক্সে নির্দিষ্ট গাণিতিক সুত্র ব্যাবহার করে নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধবিশিষ্ট বৃত্ত তৈরি করা হয়, নির্দিষ্ট অবস্থানে (x স্থানাংক X স্থানাংক) স্থাপন করা হয় এবং নির্দিষ্ট রঙ দ্বারা পূর্ন করা হয়। এক্ষেত্রে কম্পিউটার প্রতিটি বিটের অবস্থান এবং রংয়ের মানকে ধারন করার পরিবর্তে ছবির প্রতিটি রেখা বা বৃত্তের গাণিতিক সুত্রে ধারণ করে ফলে ভেক্টর ছবির মান বেশ ভালো হওয়া সত্তেও বাইট সংখ্যা অত্যান্ত কম হয়ে যায়। 

ভেক্টর গ্রাফিক্স রেজ্যুলেশন সব সময় ও সব অবস্তনে একই থাকে। তাই এটিকে যে কোন সাইজে পরিবর্তন করা যায় এবং এর বিস্তারিত সব কিছু পরিষ্কারভাবে যে কোন আউটপুট ডিভাইসে প্রিন্ট করা যায়। বিশেষ করে ছোট ফন্ট তৈরি করার জন্য ভেক্টর গ্রাফিক্স হলো সর্বাধিক পছন্দের। বিখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা অ্যাডবি ইন কর্পোরেশন অ্যাডবি ইলাস্ট্রেটর দিয়ে ভেক্টর গ্রাফিক্স তৈরি করা যায়। 

বিটম্যাপ ইমেজ কি জিনিস?

বিটম্যাপ ইমেজকে রাস্টার ইমেজও বলা হয়। ইমেজের ক্ষুদ্র অংশ পিক্সেল দিয়ে বিটম্যাপ ইমেজ তৈরি হয়। প্রত্যেকটি পিক্সেল নির্দিষ্ট অবিস্থান এবং কালার ভেল্যু নির্দিষ্ট করে। যেমনঃ বিটম্যাপ ইমেজে একটি বাইসাইকেলের টায়ার ঐ অবস্থানে অনেকগুলো পিক্সেলকে জোড়া লেগে অংকিত হয়। বিটম্যাপ ইমেজে কাজ করার সময় অবজেক্ট অথবা শেপ পরিবর্তনের পরিবর্তে এর পিক্সেলকে এডিট করা যায়। বিটম্যাপ ইমেযে রেজ্যুলেশন নির্ভর নির্দিষ্ট সংখ্যক পিক্সেল দ্বারা এর ইমেজ ডেটা তৈরি করা হয়। ফলে কম রেজ্যুলেশনে প্রিন্ট করলে অথবা পর্দায় বড় করে দেখলে বিটম্যাপ ইমেজ এর সঠিকস্বরুপ হারায় এবং অমসৃণ দেখায়। ফটোগ্রাফি অথবা রঙইন চিত্রাংকনের মতো ছায়াযুক্ত ইমেজের ক্ষেত্রে বিটম্যাপ ইমেজ সর্বাধিক পছন্দের। গ্রাফিক্স তৈরি এবং ইমেজ এডিটিংয়ে সেরা সফটওয়্যার এ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে বিটম্যাপ ইমেজ তৈরি করা যায়। 

একটি বিটম্যাপ ইমেজকে সংরক্ষন করতে কতটুকু যায়গা লাগবে তা পিক্সেল সংখ্যার উপর নির্ভর করে।




আইপি অ্যাড্রেস কি? আইপি অ্যাড্রেস কেন প্রয়োজন?

আইপি অ্যাড্রেস কি? আইপি অ্যাড্রেস কেন প্রয়োজন?

বিশ্বের প্রতিটি মানুষের নিজের পরিচয়ের জন্য একটি নাম আছে। এক নামে এক গ্রামে বা এক দেশে একাধিক লোক থাকতে পারে, কিন্তু প্রত্যেক মানুষের জন্যই আলাদা-আলাদা ঠিকানা থাকে। টেলিফোনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ফোনের জন্য যেমন একটি নাম্বর আছে ঠিক তেমনই ইন্টারনেটে প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য একটি আইডেন্টিটি থাকে যা IP (Internet Protocol) অ্যাড্রেস নামে পরিচিত। বর্তমানে ইন্টারনেট প্রোটকল ভার্সন ৪ বা IPV4 চালু আছে।


IPV4 সিস্টেমের প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মোট চারটি অকটেট (৮ বিটের বাইনারি) সংখ্যা প্রয়োজন। কাজেই সম্পুর্ন ঠিকানা প্রকাশের জন্য ৩২ বিট প্রয়োজন। প্রতিটি অকটেট ডট (.) দ্বারা পৃথক করা হয়। 

আইপি অ্যাড্রেসের প্রথম ২ টি অকটেট নেটওয়ার্ক আইডি এবং পরের দুটি অকটেট হোস্ট আইডি প্রকাশ করে।  

বাইনারি সংখ্যা মনে রাখা অসুবিধাজনক বিধায় এর সমকক্ষ ডেসিমাল সংখ্যা দিয়েও আইপি অ্যাড্রেস লেখা হয়। 10000000.10101000.00001011.00000001 আইপি অ্যাড্রেসের ডেসিমেল সমকক্ষ হলো 192.168.11.01 নিচে আইপি অ্যাড্রেসসহ একটি নেটওয়ার্ক দেখানো হলো-


ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির কারণে IPV4 এর ৩২ বিট অ্যাড্রেস অপ্রতুল হিয়ে গেছে। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে IPV6 নামে ১২৮ বিট আইপি অ্যাড্রেস চালু হয়েছে। IPV6 চালু হওয়ার ফলে পর্যাপ্ত আইপি অ্যাড্রেস পাওয়া যাচ্ছে।

Friday, May 13, 2022

সেলুলার নেটওয়ার্ক কাকে বলে? সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যখ্যা

সেলুলার নেটওয়ার্ক কাকে বলে? সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যখ্যা

সেলুলার নেটওয়ার্কে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী ব্যাবহার করা হয়। সেলুলার রেডিও সিস্টেম রেডিও সার্ভিসের সাথে ভূমি এলাকায় সিগন্যাল বা সংকেত সরবরাহ করা হয়, যা নিয়মিত আকারের সেল (Cell) ভিভক্ত।

সেল ষড়ভূজাকার, বার্গাকার, বৃত্তাকার বা অন্য কোন অনিয়মিত আকারের হতে পারে, যদিও ষড়ভূজাকারই প্রথাগত বা প্রচলিত। প্রত্যেক সেলের জন্য বহু সংখ্যক ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ রয়েছে যা সমতুল্য রেডিও বেস স্টেশন রয়েছে। রি ফ্রিকোয়েন্সীসমুহের একটি শ্রেনী পুনরায় ব্যাবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে একই ফ্রিকোয়েন্সী প্রতিবেশী বা পাশাপাশি সেলে পুনর্ব্যাবহৃত না হয়। 

সম্পুর্ন ভিন্ন ট্রান্সমিশনের জন্য বিভিন্ন এলেকায় একই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী পুনরায় ব্যাবহার করা যেতে পারে। যদি একটি মাত্র সাধারণ ট্রান্সমিটার থাকে তবে যে কোন প্রদেয় ফ্রিকোয়েন্সীতে কেবলমাত্র একটি ট্রান্সমিশন ব্যাবহার করা যেতে পারে। একই ফ্রিকোয়েন্সী পুনরায় ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে একটি মানসম্পন্ন FDMA সিস্টেমের বিভিন্ন সেলের মধ্যে কমপক্ষে এক সেল বিরতি অবশ্যই থাকতে হবে।



Tuesday, May 10, 2022

ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রী ল্যান্সিং কেন শিখবেন? ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি শিখা লাগে?

ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রী ল্যান্সিং কেন শিখবেন? ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি শিখা লাগে?

হেলো সবাইকে, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে যা কিছু জানার আছে সব কিছু জানবো। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করে? ফ্রিল্যান্সিং কেন শিখবেন? ফ্রিল্যান্সিং না করলে কি হবে? ফ্রিল্যান্সিংয়ে কি কি করা হয়? ফ্রি ল্যান্সিংয়ে কাজ দেয় কে? এরকম আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর আজকের এই একটি পোস্টে পেয়ে যাবেন। আশা করি আর্টিকেলটি সবাই মনোযোগ সহকারে পরবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং কী?

ফ্রীল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্ত পেশা। আমি যদি কোথাটাকে এভাবে বলি যে, কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করাকেই ফ্রী ল্যান্সিং বলা হয়। আর এই পেশার সাথে যারা যুক্ত থাকে তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার বা স্বাধীন পেশাজীবী। বাংলাদেশের বর্তমানে অনেকেই এই পেশাটি বেছে নিচ্ছে এবং ফ্রী ল্যান্সিং করছেন। 

কেন ফ্রিল্যান্সিং করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ২টি প্রধান কারণ আছে। কারন ২টি হলো Freedom ও Money! এখানে ফ্রীডম ও টাকা দুইটাই খুব গুরুত্বপূর্ন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং করলে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করবেন তেমনি আপনি যে কোন সময় ডলারের কাজ করতে পারবেন। ফ্রীল্যান্সিংকে যদি একটি চাকরির সাথে তুলনা করা হয় তাহলে? কোথায় চাকরি করলে হয়তবা সপ্তাহে ৫-৬ দিন বাধ্যতামূলত আপনাকে কাজ করতে হবে এবং প্রতিদিন টাকা ৯-১০ ঘন্টা কাজ করা লাগবে। কিন্তু ফ্রীল্যান্সিং এর মধ্যে আপনি যে কোন টাইমে কাজ করতে পারেন। আবার চাকরি করলে প্রতিদিন হয়ত একই কাজ করতে হবে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনি প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে পারবেন। আর তাছারা পরিবারের সাথে পর্যাপ্ত টাইম স্পেন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজটা কি? কি কি করা লাগে? 

ফ্রিল্যান্সিং এ আমার মনে হয়না এমন কোন কাজ আছে যেটা করা হয়না, বিশেষ করে ডিজিটাল যুগের কাজ। ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক রকম কাজ করা যায় তবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বে পপুলার এরকম কিছু কাজের তালিকা আমি নিচে উল্যেখ করছি। 
  1. Web Design (Front-End)
  2. Web Development (Back-End)
  3. Web Development (Full-Sack)
  4. UI/US Design
  5. PHP Project
  6. CMS Software Development
  7. WordPress Website
  8. WP Plugin  Development
  9. E-Commerce
  10. Discord Live Chat
  11. Logo Design
  12. Banner Design
  13. Promotional Video 
  14. Advertising Video
  15. Digital Marketing
  16. Lead Generation
এরকম আরো হাজার হাজার কাজ রয়েছে যা অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন টেকনিশিয়ানরা করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় করা হয়?

এই কাজগুলো, অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করানো হয় যেইগুলো বলা হয় মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করলে অনেক সুযোগ সুবিধা আছে যেমন ৯৯% সিউর থাকতে পারেন যে আপনি পেমেন্ট পাবেন। একটা ভালো পলিসি আছে যেমন টাকা দিবে আর আপনি তার সার্ভিসটি ডেলিভারি দিবেন। মার্কেটপ্লেসগুলো আপনার ইনকাম থেকে কিছু % শেয়ার রাখছে হতে পারে সেটা ইনকাম বুঝে বা মোন গোড়া। বিশ্বের জনপ্রিয় কিছু মার্কেট প্লেসের নাম নিচে উল্যেখ করছি।
  1. Fiverr
  2. Freelancer
  3. Behance
  4. Upwork
  5. Drible
মূলত এই ৫টি সাইটে বেশি বেশি কাজ করা হয়। 







Monday, May 9, 2022

Google CEO Sundor Pichai সুন্দর পিচাই সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

Google CEO Sundor Pichai সুন্দর পিচাই সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

১৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে মাইক্রোসফট রাতারাতি গুগলকে প্রায় শেষ করে দিয়েছিলো। ২০০৬ সালে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার (Internet Explorer) সব থেকে বেশি ব্যাবহৃত ব্রাউজার ছিলো তখন মাইক্রোসফট (Microsoft) গুগলকে (Google) সরিয়ে বিং (Bing) কে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডিফল্ট সার্স ইঞ্জিন বানিয়ে দেয়। যার কারনে এক রাতেই গুগল তাদের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন কাস্টমার হারিয়ে ফেলে। আর এটা বললে ভুল হবেনা যে, যদি সুন্দর পিচাই ঐ টাইমে গুগলে না থাকলে  হয়ত আজকে আমরা গুগলকে চিন্তামওনা। পিচাই একজন লোয়ার ক্লাস ফ্যামিলির ছেলে যার ঘড়ে ছোট বেলায় দেখার মত কোন টিভি ছিলোনা। সুন্দর পিচাই অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে এবং বর্তমানে পিচাই মাল্টিবিলিয়ন ডলার কোম্পানি গুগল এবং সেই সাথে গুগলের পেরেন্ট কোম্পানি আলফাবেটেরও সি.ই.ও।

আজকের এই পোস্টে খুবি টেলেন্টেড এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যাক্তি  Mr. Sundor Pichai এর জীবনী একটু গভির ভাবে জানবো, এবং আই আর্টিকেল পরলে আপনি পুরো ধারনা পাবেন যে গুগলে সুন্দর পিচাইয়ের অবদান কতটুকু। 

সুন্দর পিচাই জীবনী

পিচাই সুন্দরাজন যাকে আমরা সকলে সুন্দর পিচাই বলেই চিনি। পিচাই ১৯৭২ সালে তামিল নাড়ুর একটা সহর মাধুরাতে একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। সুন্দর পিচায়ের পিতা মিঃ রেঘুনাথা পিচাই GDC নামে একটা কোম্পানিতে ইলেক্ট্রক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলো। আর পিচাইয়ের মাতা মিসেস লাক্সমি পিচাইয়ের জন্মের আগে স্টেনোগ্রাফার এর কাজ করত। একটি সাধারন ফ্যামিলির মতই পিচাইয়ের পরিবার ২ রুম বিশিষ্ট রুমে থাকত। আর সেই সময় তাদের পরিবারের ফাইনান্সিয়াল অবস্থা এতটায় খারাপ ছিলো যে, তার পিতা যদি একটি স্কুটার কিনতে চাইত তাহলে তার ৩ বছরের স্যালারি একত্রিত করা লাগত। যখন পিচাই ১৪ বছরের হয় তখন তাদের ঘরে ল্যান লাইন টেলিফোন আসে।

সুন্দর পিচাইয়ের পড়াশোনা

পিচাই ছোট বেলা থেকেই অনেক চঞ্চল এবং ইন্টেলিজেন্স স্টূডেন্ট ছিলো এবং সুন্দর পিচাই ১৯৯৩ B.Tech From IIT Kharagpur থেকে ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পলিট করে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষে পিচাই স্টান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি (Standford University) থেকে স্কোলারশীপ পায়। এবং মেটেরিয়াল সাইন্স এবং সেমি কন্টাক্টর ফিজিক্সে MS করার জন্য US চলে যায়। তবে আরেকটি কথা না বললেই নয় পিচাই যখন US যায় তখন পিচাইয়ের পিতার পুরো ১ বছরের স্যালারির টাকা লেগেছিলো। সুন্দর পিচাইয়ের ফ্যামিলি পিচাইকে অনেক সাপোর্ট করছিলো এবং পিচাই US চলে যায়। পিচাইয়ের তখন চিন্তা ছিলো MS Degree পরার শেষেই পিচাই PSD এর পড়া শুরু করবে। 

US এ পিচাই পড়ার মধ্য দিয়েই এই চিন্তা বাদ দিয়ে দেয় যে সে PSD করবে, এবং ১৯৯৫ সালে Applied Material নামে একটি কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার ও প্রোডাক্ট মেনেজার হিসেবে কাজে জয়েন করে। কিন্তু এই কোম্পানিতে সুন্দর পিচাই বেশি দিন কাজ করেনি কারন তিনি MBA করতে চাচ্ছিলো এবং তিনি আবার MBA পড়ার জন্য এই চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর Wharton University of Penchyveniya তে MBA এর জন্য এ্যাডমিশন নিয়ে নেয়, এবং পচাই ২০০২ সালে এখান থেকে MBA পড়া কম্পিট করেন। 

MBA করার পরেই পিচাই MCKINSEY কোম্পানিতে মেনেজমেন্ট কন্সাল্টেন্ট হিসেবে জয়েন করেন এবং কিছুদিন পরেই তার IIT এর ব্যাচমেন্ট ও গার্লফ্রেন্ড আঞ্জলির সাথে বিয়ে করে নেয়, এবং ফাইনালি ২০০৬ সালে প্রেসিডেন্ট অফ প্রোডাক্ট মেনেজমেন্ট কোর্স করে গুগলে জয়েন করেন। এবং অই বছরি গুগল তাদের ফ্রী মেইল সার্ভিস Gmail লঞ্চ করেছিলো। 

এবারে বলবো গুগলে সুন্দর পিচাই আসল জার্নিটা কিভাবে শুরু করে এবং কিভাবে গুগলে ফাউন্ডার ও অন্যান্য এম্পলয়ের চোখে চলে আসে। 

পিচাইয় গুগলের সি.ই.ও কিভাবে হলো?

গুগলে জয়েন করার পর পিচাইয়ের প্রথম প্রজেক্ট দিয়েছিলো একটি টুলবারের, একটি টুলবার অইসময় অনেক জরুরি ছিলো, কারণ এই টুলবারের সাহায্যে মানুষ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে গুগলকে ডিফল্ট সার্স ইঞ্জিন বানানাতে পারত। তখন এরেক্স মিক্স গুগলের সি.ই.ও ছিলো। ঐসময় পিচাই এরেক্স মিক্স এবং ল্যারি পেজকে বলেন, যে গুগল টুলবারত লাগবে ঠিক আছে কিন্তু আমাদের একটা নিজস্ব ব্রাউজার বানানো প্রোয়োজন! এটা শুনে এরেক্স মিথ ও ল্যারি পেজ বেশি খুশি ছিলোনা। এই সুন্দর পিচাইয়ের এই আইডিয়া তারা রিজেক্ট করে দেয় এবং মজা করে। তখন পিচাই বলে উঠে যে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আজকে গুগলকে ডিফল্ট সার্স ইঞ্জিন থেকে সরিয়ে দিয়েছে হয়তবা কালকে তারা নিজস্ব সার্স ইঞ্জিন ও বানিয়ে ফেলবে। তখন ল্যারি পেজ বলেন মার্কেটে অলরেডি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার অনেক ভালো একটা পজিশনে আছে, সুতরাং আমরা যদি এখন একটি ব্রাউজার বানাই তাহলে তেমন কোন কিছুই করতে পারবোনা। এর জন্য আপাতত সুধু গুগল টুলবারের দিকেই ফোকাস করো আর এই প্রোডাক্ট কম্পলিট করো।  এরপর পিচাই এটা নিয়ে আর কথা না বাড়িয়ে তার টূলবার নিয়ে কাজ শুরু করে। এবং তার প্রজেক্ট কমপ্লিট করার পর গুগলে হারিয়ে যাওয়া ৮০% কাস্টমার ফিরে আসে কিন্তু এরপরই ঠিক তাই হলো যেমনটি পিচাই বলেছিলো! মাইক্রোসফট কোম্পানি তাদের নিজস্ব সার্স ইঞ্জিন Yahoo বানিয়ে ফেলে। এবং তাদের ব্রাউজারে মাইক্রোসফট ইয়াহুকে ডিফল্ট ও প্রাইমারি সার্স ইঞ্জিন হিসেবে ব্যাবহার শুরু করে।

মাইক্রোসফট ইয়াহু বানানোর পর লেরি পেজ (গুগল সি.ই.ও)  বুঝতে পারেন পিচাইয়ের অবদান। এরপর পিচাইকে প্রমশন দেওয়া হয় এবং তাকে প্রোডাক্ট মেনেজারের পদে রাখা হয়। এবং পিচাইকে গুগলে ব্রাউজার বানাতে অনুমতি দেওয়া হয়। এবং পিচাই ও তার টিম খুব দ্রুত এটা প্রস্তত করেন এবং এভাবে আস্তে আস্তে গুগলের সকল এমপ্লয়ের চোখে পরেন সুন্দর পিচাই। এবং গুগলের ব্রাউজার গুগল ক্রম সেপ্টম্বরের ২ তারিখ ২০০৮ সালে পিচাই নিজে মঞ্চে এসে লঞ্চ করেন। 

এরপর পিচাইকে অনেক কোম্পানি থেকে সি.ই.ওর পদ দেওয়া হয় কিন্তু সে সব ফিরিয়ে দিয়েছে। এবং বিখ্যাত টেক কোম্পানি IBM, Microsoft এর মত বেশ কিছু কোম্পানি পিচাইকে CEO হিসেবে নিযুক্ত করে কিন্তু পিচাই তাও গুগলেই থেকে যায়। এবং পিচাইকে এক পর্যায় এন্ড্রয়েড হেড, ও গুগল প্রোডাক্টের হেড বানানো হয় এবঞ্জগ পর্যায় ক্রমে ভিবিন্ন সার্ভিস নিয়ে আসে গুগল। 

একটা পর্যায় এরকম হয় যে, লেরি পেইজ থেকে বেশি সবাই পিচাইকে সি.ই.ও ফাউন্ডার মানতে শুরু করে। এবং একটা ১৫ বছর জব করার পর গুগলে পিচাইকে সি.ই.ও হিসেবে নিযুক্ত করে 2015 সালে। এবং ২০১৯ সালে গুগলে পেরেন্ট কোম্পানি আলফাবেটের ও সি.ই.ও হয় গুগল। 



দারাজের ইতিহাস | দারাজ বাংলাদেশে কেন এত জনপ্রিয়? দারাজের মূল প্রতিষ্টাতা কে? দারাজের সকল তথ্য Daraz History in Details

দারাজের ইতিহাস | দারাজ বাংলাদেশে কেন এত জনপ্রিয়? দারাজের মূল প্রতিষ্টাতা কে? দারাজের সকল তথ্য Daraz History in Details

Daraz দক্ষিন এশিয়া ও পুর্ব এশিয়ার একটি লজিস্টিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এবং বর্তমানে বাংলাদেশের লিডিং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হচ্ছে দারাজ। দক্ষিন এশিয়ার মোট ৫ টি দেশে দারাজ প্রতিনিয়ত তাদের কার্যক্রম করে যাচ্ছে। The Daily Star এর একটি তথ্য সুত্রে দারাযে প্রতিদিন ৫০,০০০ এরও বেশি অর্ডার হচ্ছে। এছাড়াও দারাজে রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি সেলার যার মধ্যে সুধু মাত্র বাংলাদেশের রয়েছে ৩৩ হাজার এক্টিভ সেলার। আমাদের আজকের এই পোস্ট/আর্টিকেলে শেয়ার করবো দারাজ নিয়ে বিস্তারিত। এবং শেয়ার করবো দারাজের ইতিহাস, কে বা কারা দারাজ প্রতিষ্টা করে, দারাজের দৈনিক সেল ও বছরের গর আয় ও সেলসহ আরো অনেক কিছু। সুতরাং আজকের এই আর্টিকেল আমি মনে করি অনেক ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে। 

দারাজের ইতিহাস

দারাজের যাত্রাটা শুরু হয় ২০১২ সালে। সেই সময় রকেট ইন্টারনেটের একজন এম্পলয় যার নাম মুবীন ময়ুর প্রধান প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী-প্রতিষ্টাতা ফরিস শাহয়ের হাত ধরে দারাজ প্রতিষ্টিত হয়। এই ২ জন মিলে ফ্যাশন জাতীয় প্রোডাক্ট খুচরা বিক্রি করার লক্ষ্যে দারাজ প্রতিষ্টা করেন। সেই সময় মুনীব রকেট ইন্টারনেটে কাজ করতেন এবং দারাজের প্রাথমিক অর্থায়ন এবং কাজ রকেট ইন্টারনেট করছিল। এবং ২০১২ সাল নাগাদ প্রথম তারা পাকিস্তানেই যাত্রা শুরু করে। 

রকেট ইন্টারনেট একটি ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান ছিলো। এবং ইউরোপ ও এমেরিকার মত দেশে ততদিনে এ্যামাজন, আলিবাবা, আলি-এক্সপ্রেসের মত বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রো হতে থাকে তাই ইউরোপীয়রা দক্ষিন এশিয়ার পাকিস্তানকে টার্গেট করে দারাজ ২০১২ সালে প্রথমবারের মত পাকিস্তানে লঞ্চ করে এবং পর্যায় ক্রমে Bangladesh, Nepal, Srilanka, Myanmar এর মত দেশগুলোতেও তাদের কার্যক্রম শুরু করে। 

দারাজ বাংলাদেশের ইতিহাস

২০১৫ সালে "দারাজ বাংলাদেশ" নামে বাংলাদেশে দারাজের কার্যক্রম শুরু করে। কার্যক্রম শুরু পর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ততকালীন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এর শুভেচ্ছা দূত হন।  দারাজ গ্রাহকের সেবা বৃদ্ধিতে ২০১৫ সালেই অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন ব্যাবহারকারীদের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করে। 


সফলতা ও সাপোর্ট

২০১৫ সালের সেপ্টম্বরে দারাজ প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন ফাইনান্স ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট থেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ পায়। এবং ঠিক তার পরের বছর ২০১৬ সালের জুলাই মাসে দারাজ কায়মুকে অধিগ্রহণ করে। দারাজ তখনো অব্দি খুব একটা সারা না ফেলতে পারলেও বাংলাদেশে আসার পর দারাজ বাংলাদেশ ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ব্রান্ড ও ফাস্টেড গ্রোইং লিডার হিসেবে বাংলাদেশ থেক অ্যায়ার্ড পায়।

দারাজ কেন এত জনপ্রিয়

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ লিডিং ই-কমার্স কোম্পানি দারাজ। যেখানে বাংলাদেশের মত দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পন্য কেনা বেশ ঝামেলা বটে সেখানে বিদেশি সেলারদেরও প্রোডাক্ট সরসারি বাংলাদেশে ডেলিভারি করারও ব্যাবস্থা করে দিচ্ছে দারাজ। এছাড়াও ৭ দিনের ইজি রিটার্ন এবং দেশীয় পণ্য ২-৩ সর্বোচ্চ ৫ দিনে ডেলিভারির সুযোগ এবং সেই সাথে ঢাকার মধ্যে দারাজ মার্ট দিচ্ছে ২৪ ঘন্টা বা সেম ডে ডেলিভারি সুবিধা। দারাজ নিত্য নতুন সব ক্যাম্পিং বিভিন্ন স্পন্সরশীপে কাজ করে আসছে। এছাড়াও লোকাল কোন দোকানদার বা ব্যবসায়ী চাইলে দারাজে তার প্রোডাক্ট দেশে দেশের বাইরে সেল করতে পারবে। এত এত সব ফিচারের জন্য সবাই বাংলাদেশ ই-কমার্স বলতে সবাই দারাজকেই চিনে থাকে। 

দারাজের বর্তমান মালিক আলিবাবা?

ই-বানিজ্যের দানব হচ্ছে আলিবাবা, ২০১৮ সালের ৯মে আন্তরজাতিক দারাজগ্রুপকে কিনে নেয়। এবং আলিবাবা সম্পুর্ন মালিকানা লাভ করে। আলিবাবা যখন দারাজকে একুয়ার করে নেয় ঠিক তারপর পরই দারাজ আরো গ্রো করতে থাকে এবং দারাজ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার, থাইলেন্ড, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, হংকং সহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে দারাজ ও লাজাডা নামে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। 

দারাজের প্রত্যেকটি দেশেই রয়েছে হেডকুয়াটার। দারাজের বিভিন্ন অফিস ও হেডকুয়াটারের ঠিকানা জানতে এখানে ক্লিক করুন।