Tuesday, May 3, 2022

ই-লার্নিং ও বাংলাদেশ

ই-লার্নিং ও বাংলাদেশ

পৃথিবীতে জ্ঞান অর্জনের একটা সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি দির্ঘদিন থেকে মোটামুটি একইভাবে কাজ করে আসছিলো। তথ্যপ্রযুক্তি উন্নত হওয়ার পির প্রথমবার সেই পদ্ধতির এক ধরনের পরিবর্তন হতে শুরু করছে এবং ই-লার্নিং নামে নতুন কিছু শব্দের সাথে আমরা পরিচিত হতে শুরু করেছি। ই-লার্নিং শব্দটি ইলেক্ট্রনিক লার্নিং কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ এবং এটা বলতে আমরা পাঠদান করার জন্যে সিডি রম, ইন্টারনেট, ব্যাক্তিগত নেটওয়ার্ক কিংবা টেলিভিশন চ্যানেল ব্যাবহার করার পদ্ধতিকে বুঝিয়ে থাকি। মনে রাখতে হবে ই-লার্নিং কিন্তু মোটেও সনাতন পদ্ধতিতে পাঠদানের বিকল্প নয়, এটি সনাতন পদ্ধতির পরিপুরক। উদাহরণ দেওয়ার জন্যে বলা যায়, শ্রেণি কক্ষে বিজ্ঞানের একটা বিষয় পড়ানোর সময় অনেক কিছুই হয়ত হাতে কলমে দেখানো সম্ভব নয়। যেমং সুর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ ইত্যাদি। শ্রেণিকক্ষে পাঠ দিতে দিতে শিক্ষক ইচ্ছে করলেই মাল্টিমিডিয়ার সাহায্য নিয়ে আরো সুন্দরভাবে বিষয়টি দৃশ্যমান উপস্থাপন করতে পারেন। সেটি এমনকি Interactiveg-ও হতে পারে।

বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী বিশাল। সে কারণে স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যাও বিশাল। নানা ধরনের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে আমাদের স্কুলগুলোতে দক্ষ সিক্ষকের অভাব রয়েছে। লেখাপড়ার জন্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ বলতে গেলে নেই। ল্যাবরেটরি অপ্রতুল, ফলে হাতে-কলমে বিজ্ঞানের এক্সপিরিমেন্ট করার সুযোগ খুব কম। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্যে ই-লার্নিং অনেক বড় একটা ভূমিকা রাখতে পারে। দক্ষ একজন শিক্ষকের পাঠদান ভিডিও করে নিয়ে সেটি অসংখ্য স্কুলে বিতরণ করা যেতে পারে। একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে বোঝানোর জন্যে অনেক ধরনের সহায়তা প্রক্রিয়া ছাত্রছাত্রীদের দেয়া যেতে পারে। একজন শিক্ষক চাইলে নিজেই তার পাঠদানে সহায়তা করার জন্যে প্রয়োজনীয় বিষয় তৈরি করতে পারেন এবং সেটি বার বার ব্যাবহার করতে পারেন। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষকই এটি ব্যাবহার করছেন। 

সারা পৃথিবীতেই ই-লার্নিং জন্যে নানা উপকরণ তৈরি হতে শুরু করেছে। পৃথিবীর বড় বড় অনেক বিশ্যবিদ্যালয় অসংখ্য কোর্স অনলাইনে উন্মুক্ত করে দিয়েছে এবং যে কেউ সেই কোর্সটি গ্রহণ করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের পরিক্ষা নিরিক্ষা হচ্ছে এবং অনেক সময়েই একজন সেই কোর্সটি নেয়ার পর তার হোমওয়ার্ক জমা দিয়ে কিংবা অনলাইনে পরিক্ষা দিয়ে সেই কোর্সটির প্রয়োজনীয় ক্রেডিট পর্যন্ত অর্জন করতে পারছে।

আমাদের বাংলাদেশেও এতে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা এ ধরনের বেশ কিছু ওয়েব পোর্টাল তৈরি করেছেন এবং সারা পৃথিবী থেকে যে কেউ বাংলা ভাষায় সেই কোর্সগুলো গ্রহণ করতে পারে। বিশেষ করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে প্রশিক্ষন নেয়ার উপযোগী এই ধরনের সাইটগুলো দেশে-বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। 

আমাদের দেশে উত্তম পাঠদানের সীমাবদ্ধতা দূর করার ব্যাপারে ই-লার্নিং অনেক বড় ভূমিকা রাখিতে পারলেও আমাদের সব সময় মনে রাখতে, এটি কিন্তু কোনভাবেই প্রচলিত পাঠদানের বিকল্প নয়। প্রচলিত পাঠদানের সময় একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের সরাসরী দেখতে পারেন। তাদের সাথে কথা বলতে পারে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের নানাভাবে ভাব বিনিময় করতে পারে। শুধু তাই নয়, তারা পাশাপাশি একে অন্যকে সাহায্য কররে পারে, একে অন্যের সহযোগী হয়ে শিখতে পারে। 

ই-লার্নিংয়ের বেলায় এই বিষয়টি সময়ই অনুপস্থিতি থাকে, পুরো প্রক্রিয়ায় মানবিক অংশটুকু না থাকায় পদ্ধতিটা যান্ত্রিক বলে মনে হতে পারে। সে কারণেই ই-লার্নিংকে সফল করতে হলে শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি উদ্যোগী হতে হয়। আমাদের বাংলাদেশে ই-লার্নিংয়ের বড় সুযোগ আছে, কারণ অনেক বড় বড় সীমাবদ্ধ আসলেই ই-লার্নিং ব্যাবহার করে সমাধান করে ফেলা সম্ভন। তবে প্রচলিত ই-লার্নিংয়ের জন্যে ইন্টারনেটে 


স্পিড প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং ই-লার্নিংয়ের শিখনসামগ্রী (Meterials) তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমান সরকার গুরুত্বের সাথে এ ধরনের শিখনসামগ্রী তৈরি করছে। এতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জনে সক্ষম হবে।



Monday, May 2, 2022

ওয়েব Web

ওয়েব Web

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবকে সংক্ষেপে ওয়েব (Web) বলা হয়। ওয়েব ইন্টারনেট এর অংশ। ওয়েব পেজের মধ্যে মূলতঃ তথ্য সজ্জিত থাকে। এছাড়াও ওয়েবের মাধ্যমে ভয়েস মেইল করা, আলাপ করা, পত্র যোগাযোগ এমনকি ব্যাবসা বানিজ্য করা যায়।

সকল কর্মকান্ড কেবলমাত্র দেশের মধ্যেই নয় বাইরের দেশেও করা যায়। ওয়েবে কোন লেখা, অডিও, ভিডিও, ছবি, এনিমেশন ইত্যাদি যে কোন তথ্য নির্দিষ্ট পরিমান টাকার বিনিময়ে রাখা যায়। এরুপ কোন তথ্য সম্মলিত পেজকে ওয়েব পেজ বলে। প্রথমে ঢুকলে যে পেজটি প্রদর্শিত হয় সেটিকে হোম পেজ বলে। এই পেজ এক বা একাধিক পৃষ্ঠার হতে পারে। 

যেমন নিচের চিত্রে গুগল ওয়েবসাইটের হোম পেইজের চিত্র দেখানো হলো। 



মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কী?

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কী?

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে জানতে হলে, প্রথমেই জানতে হবে ওয়ার্ড প্রসেসর (Word Processor) সম্পর্কে।

শ্বব্দ প্রক্রিয়া করণই ওয়ার্ড প্রসেসর। অর্থাৎ যে সকল Software ব্যাবহার করে আমরা Computer এ বিভিন্ন শব্দ নিয়ে সব ধরনের লেখালিখির কাজ করি তাই Word Processor. ধারাবাহিকভাবে সাজিয়ে আকর্ষনীয়ভাবে শব্দ সমূহকে উপস্থাপন করাই Word Processing। বিভিন্ন ধরনের Word Processing Software আমাদের দৈনন্দিন কাজে চিঠিপত্র, ডকুমেন্ট, রিপোর্ট, পত্রিকা, ইত্যাদি টাইপ করা সহজ করে দিয়েছে।

What is Microsoft Word?

আমেরিকার বিখ্যাত Microsoft Corporation কর্তৃক তৈরিকৃত মাইক্রোসফট অফিস গ্রুপের মধ্যে একটি বহুল ব্যাবহৃত Word Processing Software হলো মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word). একে সংক্ষেপে MS-Word বলা হয়। IBM বা IBM Compatible মেশিনের জন্য বিভিন্ন সময় এর বিভিন্ন সংস্করন বাজারে ছেড়েছে। এর মধ্যে Microsoft Word 98 সবচেয়ে আলোচিত Word Processing Sofotware.



এ ছাড়াও পরবর্তিতে আরো ৩টি ভার্শন বাজারে এসেছে সেগুলো হচ্ছে, Microsoft 2000,  Microsoft XP, Vista এখানে উল্লেখ্য যে কিছু পরিবর্তন ছাড়া এক সংস্করন হতে অন্য সংস্করণের তেমন পার্থক্য থাকে না।


মাইক্রোসফট এক্সেস কী? What is Microsoft Access?

মাইক্রোসফট এক্সেস কী? What is Microsoft Access?

Microsoft Access হচ্ছে এমেরিকার ভিখ্যাত মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কর্তৃক তৈরীকৃত মাইক্রোসফট অফিস গ্রুপের মধ্যে একটু বহুল পরিচিত Database প্রোগ্রাম। Access ইউন্ডোজ ভিত্তিক একটি শক্তিশালী রিলেশনাল ডেটাবেজ মেনেজমেন্ট সিস্টেম যা দিয়ে ডেটাবেজের বিভিন্ন টেবিল তৈরি করে ডেটা এন্ট্রির জন্য সহবোধ্য ও আকর্ষণীয় ফর্ম ডিজাইন করা যায়। এর মাধ্যমে এক বা একাধিক টেবিলে সংরক্ষিত লক্ষ লক্ষ ডেটা থেকে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ডেটাগুলোকে নিয়ে পছন্দমত সাজানো যায় এবং চূরান্ত রিপোর্ট তৈরি করা যায়।

Access শব্দের অর্থ প্রবেশ। কম্পিউটার ফাইলে তথ্য নিবেদিত করা বা ফাইল থেকে তথ্য উদ্ধারের প্রক্রিয়া। কোন প্রোগ্রামে ডেটা এন্ট্রি করার প্রবেশাধিকার পাওয়া। নেটওয়ার্কভূক্ত অন্য কম্পিউটারে প্রবেশ করা। সংরক্ষিত তথ্য সমূহ সংশোধন ও পড়ার অনুমতি লাভ করা।

Access প্রোগ্রামটি অন্যান্য ডেটাবেস প্রোগ্রামের তুলনায় যে কোন সমস্যার সমাধান খুব সহজে দিতে পারে৷ এই জন্য প্রোগ্রামটির নাম এক্সেস (Access) দেওয়া হয়েছে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডেটাবেস প্রোগ্রাম আছে। Foxpro, d-Base, Access, Oracle ইত্যাদি।

Microsoft Access এর ব্যাবহার

Microsoft Access এ যে সমস্ত কাজ করা যায় তা সংক্ষেপে নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

  • টেবিলের সাথে পারস্পারিক সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন ধরনের টেবিল এবং ডেটাবেস তৈরি করা যায়।
  • বিপুল পরিমাণ তথ্য থেকে বিভিন্ন উপায়ে কাংখিত যে কোন তথ্যকে খুজে এনে তা প্রিন্ট করা যায়।
  • অসংখ্য আকৃতি ও ফরমেটের রিপোর্ট এবং মেইলিং লেবেল তৈরি করে প্রিন্ট করা যায়।
  • নিউমেরিক উপাত্তগুলোর গানিতিক ক্রিয়াকলাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটাবেজে সম্পন্ন হয়।
  • পছন্দমত গ্রাফ, চার্ট, এবং ছবি রিপোর্টে সংযোজন করা যায়।

Access এর জন্য কি পরিমাণ সিস্টেমের প্রয়োজন?

এক্সেস (Access) ইউন্ডোজ ভিত্তিক একটি শক্তিশালী রিলেশনাল ডেটাবেজ মেনেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS) যার জন্য প্রয়োজন ইউন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ৯৫/৯৮, সর্বনিম্ন ১২ মেগাবাইট র‍্যাম, ১৪ মেগাবাইট হার্ডডিস্ক। তবে Access 2003 এর জন্য প্রয়োজন ৬৪ MB র‍্যাম ও ইউন্ডোজ ২০০০ বা এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম নুন্যতম 400 মেগাহার্টজের প্রসেসর 3500 MB ফ্রি হার্ডডিস্ক স্পেস। এবং এইভাবেই দিন যত যাচ্ছে নতুন ভার্শন আসছে এবং রিকুয়েরমেন্ট ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিঃদ্রঃ যে কোন সফটওয়্যার ব্যাবহারের পুর্বে সেই সফটওয়্যার ভার্শন ও রিকুয়েরমেন্ট অবশ্যই পরে নিবেন। 






 কৃষিপণ্য (Agricultural products)

কৃষিপণ্য (Agricultural products)

কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা 2014 অনুযায়ী, 2012 -13  অর্থবছরের জিডিপি তে কৃষিখাতের অবদান প্রায় 13% । এ দেশের শ্রমশক্তির মোট 47 দশমিক 50 শতাংশ কৃষি খাতে নিয়োজিত । কৃষি খাতের প্রধান পূর্ণ হচ্ছে হিমায়িত খাদ্য , কাঁচা পাট , পাটজাত দ্রব্য , চা প্রভৃতি । 


                   বাংলাদেশের কৃষিজ ফসল                                        ¡____________________________¡

1/  খাদ্যশস্য ,( ধান , গম , ডাল , তেলবাজ ,  আলু , ভুট্টা , সবজি , ফলমূল )

2/ অর্থকারী ফসল ,( পাট , চা ,   ইক্ষু ,   তুলা , তামাক , ফুল )

                *  খাদ্য-শস্য ( food crops )*                      


 ধান ( rice ):   বাংলাদেশের খাদ্য শস্যের মধ্যে প্রধান হল ধান ।  এই দেশে আউশ , আমন ,  ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের ধান চাষ করা হয় । বাংলাদেশের সকল জেলায় ধান উৎপাদিত হয় ।  রংপুর , কমিল্লা , সিলেট , যশোর , কিশোরগঞ্জ , রাজশাহী ,  বরিশাল , ময়মনসিংহ , বগুড়া , দিনাজপুর , ঢাকা , ইত্যাদি অঞ্চলে ধান চাষ বেশি হয় ।


  গম (wheat):  বর্তমানে খাদ্যশস্যের প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই গম চাষ হয় । উত্তরাঞ্চলের জেলা কোন কোন চাষের জন্য উপযোগী । যেমন :  দিনাজপুর , রংপুর , পাবনা , রাজশাহী , কুষ্টিয়া , যশোর , বগুড়া ইত্যাদি অঞ্চলে গম চাষ অনেক ভালো হয় ।


                     অর্থকারী ফসল ( cash of comical  crops )

   যে সকল ফসল সরাসরি বিক্রির জন্য চাষ করা হয় তাকে অর্থকারী ফসল বলা ।

 পাট ( jute ):  পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল । বাংলাদেশের দুই প্রকার পাট চাষ করা হয় ,1/ দেশি  এবং 2/ তোষা  পাট । রংপুর , ময়মনসিংহ , ফরিদপুর , কুমিল্লা , ইত্যাদি অঞ্চলে পাট চাষ অনেক ভালো হয় ।


   চা (Tea):  বাংলাদেশের অর্থকরী ফসলের মধ্যে চা অন্যতম । পানি নিষ্কাশন বিশিষ্ট ঢালু জমিতে   চা  ভাল হয়  । মৌলভীবাজার , হবিগঞ্জ , সিলেটে সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে ।


 ইক্ষু ( Sugarcane):  চিনি,গুড় উৎপাদনের জন্য  বাংলাদেশে  ইক্ষু  গুরুত্বপূর্ণ ফসল । ইক্ষু চাষের জন্য সমতলভূমি এর প্রয়োজন । রাজশাহী , রংপুর , দিনাজপুর , পাবনা ,, ফরিদপুর, ইত্যাদি  ইক্ষু চাষের জন্য প্রধান অঞ্চল ।



কম্পিউটার সফটওয়্যার

কম্পিউটার সফটওয়্যার

কম্পিউটারের যে কোন যন্ত্র বা যন্ত্রাংশকেই হার্ডওয়্যার (Hardware) বলা হয়। তেমনি কম্পিউটারে ব্যাবহৃত সকল প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টিকে সফটওয়্যার বলা হয়। 

সফটওয়্যার হচ্ছে অদৃশ্য। মানুষের শরিরকে যদি হার্ডওয়্যার (Hardware) ধরা হয়, তাহলে সফটওয়্যার হচ্ছে মানুষের প্রাণ। প্রাণ ছাড়া দেহ যেমন কিছুই করতে পারেনা তেমনি সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ অর্থাৎ হার্ডওয়্যারও কিছুই করতে পারেনা। সফটওয়্যার প্রধানত ২ ধরনের। এর একটিকে বলা হয় অপারেটিং সফটওয়্যার বা সিস্টেম সফটওয়্যার যাহা কম্পিউটার চালনার জন্য প্রযোজ্য। যেমন- ডস, ইউন্ডোজ, লিন্যাক্স, ইউনিক্স ইত্যাদি। অন্যটি হল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা ব্যাবহারিক সফটওয়্যার। যেমন- এমএস ওয়ার্ড (Microsoft Word),  এক্সেল (Excel), একসিস (Access), ইলাস্ট্রেটর (Illustrator) ইত্যাদি।

বর্তমানে ব্যাংক, বীমা, বিদ্যুৎ অফিস, রেলওয়ে, বিমান ইত্যাদিতে প্রোগ্রামার দ্বারা সফটওয়্যার তৈরি করে কারে পরিচালনা করা হয়।



কম্পিউটার কী? What is computer?

কম্পিউটার কী? What is computer?

কম্পিউটার শব্দটি গ্রীক শ্বব্দ জতে এসেছে। Compute শ্বব্দ থেকে Computer শব্দের উতপত্তি। কম্পিউটার শব্দের আভিধানিক অর্থ গণনাকারী। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে কম্পিউটার কেবল গণনাই করেনা এটা মানুষের চেয়েও নির্ভুল গানিতিক, যৌক্তিক ও সিদ্ধান্তমূলক কাজে অতি দ্রুত সমাধান দিতে পারে। অর্থাৎ কম্পিউটার হলো একগুচ্ছ বৈদতিক যন্ত্রের সমাহার, যা বৈদ্যুতিক প্রবাহের মাধ্যমে যৌক্তিক কার্যাবলি নিজস্ব সংকেতে রূপান্তর করে দ্রুত সমাধান করে থাকে। সভ্যতার ক্রম্বিকাশের বর্তমান পর্যায়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে কম্পিউটার।

মূলত কম্পিউটার এলটি ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র, এটা অনেক গুলো নির্দেশ তার সৃতি বা মেমোরিতে ধরে রাখতে পারে এবং প্রয়োজনে সে নির্দেশসমূহ নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে পারে। তবে কম্পিউটারের নিজের কোন কাজ করার ক্ষমতা নেই। কম্পিউটার আবিষ্কারকগণ এবং ব্যাবহারীগণ বলে দেয় কম্পিউটারে কি করতে হবে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত কম্পিউটার একটি নির্বোধ ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র।

আরো পড়ুনঃ


Sunday, May 1, 2022

What is Database? ডেটাবেস কী? ডেটা বেস কাকে বলে?

What is Database? ডেটাবেস কী? ডেটা বেস কাকে বলে?

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ডেটাবেস খুবি দরকারি একটা জিনিস। কিন্তু ডেটাবেস আসলে কী? কিভাবে কাজ করে? ডেটাবেসের ব্যাবহার কী এটা আমরা অনেকেই জানিনা। আজকের আর্টিকেলে ডেটাবেসের খুটিনাটি সকল বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। 

ডেটাবেস Database এখানে ব্যাবহৃত হয়েছে ২ টা ওয়ার্ড, একটি হলো Data অর্থাৎ তথ্য এবং অন্যটি হলো Base যার অর্থ হচ্ছে ভিত্তি। 

What is Database? 

ডেটাবেস তথ্যউপাত্তের একটা যায়গা যেখানে সকল ধরনের ডেটা বা উপাত্ত রাখা হয়। বইয়ের ভাষায় বলতে গেলে A database is collection of related data that is stored in a computer system.

ডেটা কোন একটি তথ্যের একটা ছোট উপাত্ত যা কোন ব্যাক্ত, বস্তু বা কোন একটি জিনিসের সাথে সাদৃশ্য হয়ে থাকে। যেমনঃ কোন একটা ব্যাক্তির নাম, উচ্চতা, ওজন, বয়স ইত্যাদি এইসব কিছু কোন একটা ব্যাক্তির ডেটা।

ডেটা আলাদা আলাদা কয়েক প্রকার হতে পারে, যেমনঃ টেক্স, নিউমেরিক, আলফানিউমেরিক, ইমেইজ, ফাইল, গ্রাফ ইত্যাদি। যখন এইসকল ডেটাগুলোকে একসাথে অর্গানাইজ করা হয় তখন সেটা ইনফরমেশন হয়ে যায়। অর্থাৎ ডেটা হচ্ছে একটা এরকম ছোট উপাত্ত যার কোন মিনিং হয়না এবং সহজবোধ্য না। কিছু ডেটা একত্রিত হয়ে তথ্যে রুপান্তর হয়। যা সহজেই যে কেউ বুঝতে পারে। আর এইসকল তথ্য নিয়েই ডেটাবেস গঠিত হয়। 

ডেটাবেসে ডেটা ও ইনফরমেশন গুলোকে এনালাইসিস করে রাখা হয়, যাতে প্রয়োজন অনুসারে কোন একটি ইনফরমেশনকে খুব সহজে এক্সেস করা যেতে পারে এবং অই তথ্যকে মেনেজ, ডিলিট ও আপডেট করা যায়। 

একটা ডেটাবেসে সকল প্রকার ডাটা স্টোর থাকে যা নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তি ছাড়া এক্সেস করতে পারেনা। ইনফরমেশন গুলোকে স্টোর করার জন্য কিছু সফটওয়্যার ব্যাবহার করা হয়। 




কম্পিউটার কি-বোর্ড Computer Keyboard

কম্পিউটার কি-বোর্ড Computer Keyboard

কম্পিউটারের তথ্য প্রদানে ব্যাবহৃত বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইস গুলোর মাঝে কি-বোর্ড অন্যতম।

মাইক্রো কম্পিউটারে ব্যাবহৃত এ কীবোর্ডের কী-গুলোর সাথে টাইপ রাইটারের কী-গুলোর একটি কাঠামোগত সাদৃশ্য আছে। তবে, এতে কী বা স্যুইচের সংখ্যা টাইপ রাইটারের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। কী-গুলো সব ইলেক্ট্রনিক স্যুইচের ন্যায় এবং প্রতিটি কী এর উপর এক বা একাধীক পরিচিতি লেখা থাকে।

একটি তারের মাধ্যমে কম্পিউটারের মূল প্রক্রিয়াকরণ অংশের সাথে এটি সংযুক্ত থাকে এবং ব্যাবহারের সময় নির্দিষ্ট কী-টি একবার চাপ দিয়ে ছেড়ে দিতে হয়। ৮৪, ৮৫, ১০৮, ১১০ এরুপ বিভিন্ন সংখ্যার কী/বাটন সমৃদ্ধ কী-বোর্ড বাজারে প্রচলিত। বর্তমানে ইউন্ডোজ ৯৮/২০০০/xp প্রোগ্রামে ব্যাবহারের সুবিধার্থে ১০৪ কী/বাটন এবং মাল্টিমিডিয়া পরিচালনার ১১০ বা ততোধিক কী-সম্পন্ন কী-বোর্ড পাওয়া যায়। 



কার্যক্রমের ভিভক্তি অনুসারে একটি সাধারণ কি-বোর্ডের কী-সমুহকে নিম্নোক্ত পাচঁটি শ্রেণীতে ভিভক্ত করা যায়ঃ-

১. ফাংশন কী (Function Key)

কী-বোর্ডের উপরিস্থিতি সারির F1, F2,.......F12 পরিচিতিযুক্ত কী-সমূহ। স্বসন্ত্র প্রোগ্রামের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট নির্দেশ বা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ সকল কী ব্যাবহৃত হত। যেমন, ইউন্ডোজ প্রোগ্রামে F1 - কী চাপ দেয়া হলে সাহায্য সংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শিত হয়।

২. নিউমেরিক কী (Numeric Key)

কী-বোর্ডের উপর দিক হতে দ্বিতীয় সারি এবং ডান পার্শ্বে 1 হতে 0 পর্যন্ত এবং +,-,*,/,=, ইত্যাদি যুক্তচিনহ কি সমূহ। গানিতিক তথ্য টাইপ করা এবং এ সংক্রান্ত কাজে বিশেষ চিনহ টাইপ করার জন্য নিউমেরিক কী ব্যাবহৃত হয়।

৩. আলফাবেটিক কী (Alphabetic Key)

কী-বোর্ডের কেন্দ্রস্থলে টাইপ রাইটারের ন্যায় বিন্যাসস্কৃত A,S,D,F,G অথবা ব,ক,ত,দ প্রভৃতি কী সমুহ্। টাইপ করার ক্ষেত্রে এই কী ব্যাবহার করা হয়। বাংলা প্রোগ্রাম ব্যাবহার করে এসকল কী সমূহ দ্বারাই বিভিন্ন প্রোগ্রামে বাংলা টাইপ করা যায়।

৪. কার্সর মুভমেন্ট কী (Arrow Key)

কম্পিউটার স্ক্রিনে ব্যাবহারকারীর কাজের অবস্থান চিনহিতকারী কার্সর চিনহটিকে স্ক্রিনের বিভিন্ন স্থানাস্তরের জন্য কী বোর্ডের তীর চিনহ কী সমুহ্ম

৫. স্পেসিয়াল কী (Special Key)

উল্লেখিত কীগসমুহ ব্যতীত কীগবোর্ডের অন্যান্য সকল কী-সমুহ, এর মাজগে উল্লেখিত কয়েকটি কী-এর কাজ নিম্বে বর্ণনা করা হলো।

গুগল কী?

গুগল কী?

গুগল এল এল ছি (Google LLC) একটি এমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল টেকনলোজি কোম্পানি। মূলত কোম্পানিটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সার্স ইঞ্জিন, অনলাইন এ্যাডভার্টাইজিং, ক্লাউড কম্পিউটিং, কম্পিউটার সফটওয়্যার, কুয়ান্টাম কম্পিউটিং, ই-কমার্স এবং কঞ্জিউমার ইলেক্ট্রনিক্স সার্ভিস প্রোভাইড করে থাকে। 

বলা যায় পুরো বিশ্বের মধ্যে সব থেকে পাওয়ারফুল কোম্পানি এবং পৃথিবীর সব থেকে ভ্যালুবল ব্রান্ড হচ্ছে গুগল। গুগল কোম্পানি বিশ্বের ডাটা কালেকশন এবং টেকনলোজিক্যাল এডভান্টেজ ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে অনলাইন মার্কেট ডমিনস করছে।

কোম্পানিটি বিশ্বের আর ৫ টি বড় কোম্পানির মধ্যে সবার শীর্ষে।