Tuesday, March 1, 2022

e sim bd

e sim bd

আসসালামু আলাইকুম, আমি মোঃ অন্তর। যারা আসলে আমার মতই অনেকদিন ধরে ই-সিমের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাদের জন্যই আসলে আজকে একটা গুড নিউজ দিবো এ ছাড়াও ই-সিমের সকল সুবিধা অসুবিধা এবং ই-সিম কী?



ই-সিম কী?

ই-সিম আসলে ইম্বাডেড সিম। অনেকে এটাকে ইলেক্ট্রনিক সিম বলে থাকেন। নর্মালি আমরা সিম কিনলে আমাদেরকে একটা সিম কার্ড পাই যা বর্তমান সময়ে ৩ টা ভাগে বিভক্ত। যা আমরা ফিজিকালি সকল মোবাইলেই ব্যাবহার করে থাকি। আরেকটা সিম আছে যেটা মূলত কোম্পানি থেকে ইনবিল্ড করে আপনার ফোনে ইন্সটল থাকে যা মোবাইল বানানোর সময় ফিজিকালি বসানো থাকে এরপরে এটা ব্যাবহার করার জন্য আপনাকে সুধু সিম কোম্পানি থেকে প্রোফাইল আপডেট করে আপনার ডাটা অই ফোনে বসিয়েই আপনি সিমটি ব্যাবহার যোগ্য করে তুলতে পারবেন। এবং এই সিমটাকেই ই-সিম (eSIM) বলা হয়।

ই-সিম কাজ করে কিভাবে?

এটা মুলত সেম টু সেম ফিজিকাল সিমের মতই কাজ করে। সুধু ফিজিক্যাল সিমে আপনাকে একটা সিম কার্ড দেওয়া হতো তবে এটাতে সিম কার্ড থাকবেনা সুধু একটা কিউয়ার কোড (QR Code) থাকবে যেইটা স্ক্যান করে আপনি সিমটা ব্যাবহার করতে পারবেন। এবং এর পরেই সিমটা আপনার মোবাইলে এ্যাক্টিভেট হবার পর আপনি এটা দিয়ে ফিজিক্যাল সিমের মতই সব কিছু করতে পারবেন। 

ই-সিম সুবিধা কি কি? 

ই-সিমের সুবিধা অনেক আমি নিচে কিছু সুবিধা উল্যাখ্য করছি-

  • সিম হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকবেনা।
  • স্বাধারন সিম অনেক কারন বসত ড্যেমজ হতে পারে তবে ই-সিম কোন ভাবে ড্যামেজ হবেনা বা ভেংগে যাবেনা।
  • আপনার মোবাইলে যদি ই-সিম সাপোর্ট থাকে তাহলে আপনি একটা ফোনের মধ্যে অনেক গুলো সিম ব্যাবহার করতে পারবেন।
  • ফিজিক্যাল সিম চেঞ্জ করার জন্য বার বার খোলা লাগতো তবে ই-সিমে এই ঝামেলা একেবারেই নেই।
  • ই-সিম লাগানো কালীন মোবাইল যদি কোন ভাবে চুরি হয়ে যায়, তাহলেও আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। স্বাধারন ফিজিক্যাল সিমের সাথে মোবাইল চুরি করলো তারা সিম খুলে ফেলে দিতো তবে ই-সিম সহ মোবাইল হারিয়ে গেলে তার এটা খুলতে পারবেনা। কোন ভাবে তারা ইন্টারনেক এক্সেস করলেই আপনি তাদের উপর আইন ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারবেন।
সুতরাং সব মিলিয়ে ই-সিম একটি ডিজিটাল সিম, যা আপনাকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে কানেক্টেড করিইয়ে দিবে। 


Sunday, February 27, 2022

ইন্টারনেট কিভাবে আবিষ্কার হয়েছিল?

ইন্টারনেট কিভাবে আবিষ্কার হয়েছিল?

 ইন্টারনেটের মত বিশাল একটা জিনিস যদি একজন মানুষ একা আবিষ্কার করতো আমরা সবাই তার নাম জানতাম এবং বিসিএস এ প্রতিবার তার নাম আসতো পরিক্ষার সময়। ইন্টারনেট আসলে একজন একা আবিষ্কার করেনি! তবে আবিষ্কারের ঘটনাটি বেশ মজার। ১৯০০ সালে নিকোলা টেসলা প্রথম একটা ধারনার কথা বলে। উনি বলেন পুরো দুনিয়াকে যদি তার ছাড়াই কানেক্ট করা যেতো একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারতো তাহলে কেমন হতো? তার পরের ২০ থেকে ৩০ বছর এই নিয়ে অনেক রিসার্স হয় এবং ১৯৬০ সাল পর্যন্ত দেখানোর মত তেমন কোন রেজাল্ট আসেনি এই রিসার্স থেকে। ১৯৬০ সালের পরে দিকে একটা ভয়াবহ ব্যাপার ঘটে MID এর একজন প্রফেসর লিংক লিদার একটা আইডিয়ার ধারনা দেয়, যেই আইডিয়াটার নাম দেওয়া হয় Licklider's Intergalactic Computer Network. তখন কম্পিউটার সবাই চিনে গিয়েছিল। আর তখন মূল উদ্যেশ্য ছিলো একটার সাথে আরেকটার কিভাবে কানেক্ট করা যায়? তার কিছুদিন পরেই পেকেট সুইচিং নামে আরেকটা টেকনলজি আবিষ্কার হয়, যাতে করে খুব সহজেই ডেটা আদান প্রদানের একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। যা আগে কোন ভাবেই করা সম্ভব ছিলোনা।

এইসব কিছুর উপর ভিত্তি করে এ্যমেরিকান আর্মি টাকা দিয়ে ১৯৬০ এর দশকে একটা রিসার্স হয় এবং বানানো হয় Advanced Resarch Project Agenecy Network বা সংক্ষেপে অর্পানেট বলা হয়। অর্পানেট প্রথম অনেক গুলো কম্পিউটার একসাথে করে একটা থেকে আরেকটা কম্পিউটারে ডেটা আদান প্রদান করে দেখায় এবং তাকেই প্রথন ইন্টারনেট বলা হয়। এই কাজটা মূলত করা হয় অক্টোবর ২৯শে ১৯৬৯ সালে। এবং এরপর স্ট্যানফোর্ড ল্যাব থেকে ইউসিএল এর একটি ল্যাবে ডেটা পাঠানো হয়। ২ টা কম্পিউটারের সাইজ ছিলো ছোট খাটো একটা এক তলা বাড়ির সমান।

মজার ব্যাপার হলো এই ডেটা কিন্তু পুরাটা যায়নি। একটা ম্যাসেজ পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। স্টানফোর্ড এর ল্যাব থেকে ইউসিএল এর ল্যাবে এবং ছোট্ট একটা ম্যাসেজ পাঠাতে গিয়ে সিস্টেমটা ক্রাশ করে। ক্রাশ করার আগে কিছু ল্যাটার চলে যায় যার মাধ্যমে প্রমানিত হয় 2টা কম্পিউটার আসলেই কানেক্টেড হয়েছে এবং একটা কম্পিউটার থেকে আরেকটা কম্পিউটারে ডেটা পাঠানো সম্ভব।


ঠিক অইদিনি ইন্টারনেট নামে একটা জিনিসের জন্ম হয়েছে। একটা আবিষ্কারের মধ্য দিয়েই পরের আবিষ্কার করার সুযোগ তৈরি হয়। এবং সব কিছু শেষে ইন্টারনেট বর্তমানে মানব জাতীর কাছে সেরা আবিষ্কার।



মোবাইল স্লো হবার কারণ

মোবাইল স্লো হবার কারণ

দিনের ১২ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৮-১০ ঘন্টা আমরা মোবাইল ব্যাবহার করি। বিভিন্ন প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন রকম এ্যাপস ব্যাবহার করে থাকি। এবং হটাত করেই দেখা যায় মোবাইল স্লো হয়ে পরে। বিশেষ করে কোন কাজের সময় যেমন- মোবাইল দিয়ে ভিডিও ইডিট বা ছবি ইডিট, বেশি ব্রাউজিং করা বা গেম খেলা সহ আরো অনেক কিছুর ক্ষেত্রেই মোবাইল স্লো হয়ে পরে। 

মোবাইল স্লো হয় কেন?

মোবাইল স্লো হবার অনেক কারণ আছে যার মধ্যে ক্যাচ (Cache) ডাটা বা স্টোরেজ ফুল অন্যাতম। আমি আমার অভিজ্ঞতায় মনে করে থাকি এই ক্যাচ ডাটাই প্রধান কারণ যার জন্য মোবাইল স্লো হয়ে পরে। 


ক্যাচ ডাটা কী?  

আপনার সারাদিনের হিস্টোরি বা আপনি কখন কন এ্যাপস দিয়ে কি করলেন না করলেন তার সব কিছু একটা নির্দিষ্ট যায়গায় স্টোর থাকে এবং সেইটাকেই ক্যাচ (Cache) ডাটা বলা হয়। ক্যাচ (Cache) ডাটা নির্দিষ্ট স্থানে স্টোর থাকে কিন্তু কোথায় থাকে? ক্যাচ (Cache) Data মূলত আপনি যখন যেই এ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহার করেন সেই এ্যপ্সের মধ্যেই সেভ থাকে। টেকনিক্যালি এইটাকে কুকিজ (Cockie) বলা হয়ে থাকে।  

উদাহরণঃ ফেসবুক আমরা সবাই ব্যাবহার করি। আপনি ফেসবুকে একটা কিছু সার্স করলে দেখবেন এর পর আপনি ফেসবুকে যতবার স্ক্রল করবেন ফেসবুক আপনাকে সেই সার্স করা রিলেটেড তথ্য গুলোই দিবে। এইটা মুলত ক্যাচ ডাটার তথ্যটা ফেসবুক কুকিজের মাধ্যমে কালেক্ট করে থাকে।

মোবাইল ফাস্ট কিভাবে করবো?

মোবাইল ফাস্ট করার জন্য সব সময় চেষ্টা করতে হবে স্টোরেজ খালি রাখার জন্য। 

উল্যেখ্য

  • ৮ জিবি ফোন মেমরি হলে মিনিমাম ২ জিবি খালি রাখা প্রয়োজন
  • ১৬ জিবি ফোন মেমরি হলে মিনিমাম ৩-৪ জিবি খালি রাখা প্রয়োজন
  • ৩২ জিবি ফোন মেমরি হলে মিনিমাম ৬-৮০ জিবি খালি রাখা প্রয়োজন
  • ৬৪ জিবি ফোন মেমরি হলে মিনিমাম ১০-১৫ জিবি খালি রাখা প্রয়োজন
  • ১২৮ জিবি ফোন মেমরি হলে মিনিমাম ১৫-২৫ জিবি যায়গা খালি রাখা প্রয়োজন
অনেক সময় মোবাইল কিছু না থাকলেও এমনি এমনিতেই যায়গা ভরে যায় এবং মেমরি ফুল দেখায় এইটা মুলত ক্যাচ ডাটার কারনে হয়ে থাকে। এবং আমার দেখা ময়ে IMO/Facebook/Massenger/Google Chorome ইত্যাদির মত এ্যাপ্সে ক্যাচ ডাটা বেশি হয়ে থাকে। 

ক্যাচ ডাটা কিভাবে ডিলিট করবো? How to delete cache data

ক্যাচ ডাটা (Cache Data) ডিলিট করার জন্য আপনার মোবাইলের সেটিংস ওপেন করুন এবং Application নামের অপশনে ক্লিক দিন। 

বিঃদ্রঃ বিভিন্ন মোবাইল বিভিন্ন ভাবে লিখা থাকতে পারে যেমনঃ- Apps and Notification, Application, System, Apps ইত্যাদি। অনুগ্রহ করে এটা খুজে নিবেন।

এরপর নিচে দেখানো ছবির মত স্ক্রিন দেখতে পাবেন। এখানে আপনার সকল রিসিন্ট এ্যাপস বা পুর্বে ব্যাবহৃত এ্যপস দেখতে পাবেন। আপনি যে কোন একটি এ্যাপসে ক্লিক দিন। আমি মেসেঞ্জার ক্লিক দিচ্ছি

এইবার আরেকটা স্ক্রিনে নিয়ে যাবে যেখানে এ্যাপস বিভিন্ন বিশয় উল্যেক্ষ্য আছে। এখান থেকে Storage এ ক্লিক করুন। তাহলেই আপনি ক্যাচ ডাটা দেখতে পাবেন।


Storage এ ক্লিক দেওয়ার পর ক্যাচ ডাটার অপশন পাবেন আপনি চাইলেই এখান থেকে Clear Cache ক্লিক করে আপনার ব্যাবহার কৃত ডাটা বা হিস্টোরি ডিলিট দিতে পারেন।

বিঃদ্রঃ CLEAR DATA এই অপশনে ক্লিক দিলে এ্যাপসের সকল ডাটা চলে যাবে এবং একটি এ্যাপস ইন্সটল অবস্থায় যেমন থাকে তেমন হয়ে যাবে।  



Saturday, February 26, 2022

ভিপিএন কী জিনিস?

ভিপিএন কী জিনিস?

ভিপিএন কাকে বলে?

VPN বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (Virtual Private Network) হলো পাবলিক নেটওয়ার্কে নিরাপদে তথ্য আদান প্রদানের জন্য একটি ইনক্রিপ্টেড কানেকশন, যার মাধ্যমে ইউজার নিজের আইডেন্টিটি গপন রেখে ইন্টারনেট এক্সেস করতে পারে। এতে করে কোন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট ইউজারের ইন্টারনেট এ্যাক্টিভিটি ট্রাক করতে পারেনা। VPN এর আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে, এটি ইউজারদের ব্লক ওয়েবসাইট বা ব্লক কন্টেন্ট দেখার সুযোগ করে দেয়। Surfshark এর ডেটা অনুযায়ী, মোট ৩১% ইন্টারনেট ব্যবহার কারী বর্তমানে বিভিন্ন সাইট ও কন্টেন্টের এক্সেস এক্টিভিটি ও সিকিউরিটির জন্য ভিপিএন VPN ব্যাবহার করছে।

বিশ্বজুরে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীরা তাদের প্রাইভেসি ও সিকিউরিটির নিয়ে সচেতন হচ্ছেন যার ফলে ইউজারদের মধ্যে ভিপিএন ব্যাবহারের প্রবনতাও বাড়ছে। 

ভিপিএন এর ইতিহাস

ভিপিএন এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সাল। সে সময় মাইক্রোসফটের কিছু এম্পলয় একধরনের Peer to Peer Tunneling Protocol বা PPTP ডেভেলপ করে। 

PPTP কি জিনিস?

PPTP মূলত একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের মধ্যে সিকিউর প্রাইভেট কানেশন মেন্টেন করতে সহায়তা করে। শুরুর দিকে ভিপিএন সুধু ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন দেশের গভার্মেন্ট ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক থেকে ডেটা সিকিউর করার জন্য ব্যাবহার করত।  সময়ের সাথে সাথে এই পিপিটিপি (PPTP) টেকনলোজির পেছনের কন্সেপ্টি রেভুলোশনের মাধ্যমে বর্তমানের ভিপিএন VPN ডেভেলপ হয়েছে। 

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের ব্যাবহার বাড়ার সাথে সাথে VPN স্বাধারন মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠতে শুরু করে। 



Friday, February 25, 2022

মোবাইল দিয়ে কোডিং করার উপায়

মোবাইল দিয়ে কোডিং করার উপায়

যারা ওয়েব ডিজাইন শিখতে ইচ্ছুক তবে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের জন্য পারছন না। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। মূলত আমি ফেসবুকে সারাদিন এ্যাক্টিভ থাকি ইভেন আমার অফিসের সময় আমি চেষ্টা করি ফেসবুকে থাকার আর পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রুপেও এ্যাড আছি। আমি আজকে একটা গ্রুপে দেখতে পেলাম একটি ছেলে গ্রুপে পোস্ট করেছে এবং তাতে লিখা ছিলো সে ওয়েবডিজাইন করবে তবে তার কাছে ল্যাপ্টপ বা কম্পিউটার নেই তাই তিনি কোডিং শিখতে পারছেনা। 

বিঃদ্রঃ পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।



উদ্যেশ্য

আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের মাঝে এমন একটি এ্যাপস নিয়ে কথা বলবো যা মোবাইল দিয়ে কোডিং করার জন্য একদম পার্ফেক্ট একটি চয়েজ। ইভেন আমি নিজে আমার অবসর টাইমে মাঝে মাঝে চেষ্টা করি অই এ্যাপ্স দিয়ে কোডিং প্রেক্টিস রাখার জন্য। সুতরাং আমি আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই এ্যাপস্টির সকল ফিচার তুলে ধরার চেষ্টা করবো। অনুগ্রহ করে সবাই মনযোগ সহকারে আমার আর্টিকেলটি পরবেন।

Mobile Coding App

এন্ড্রয়েড দিয়ে কিভাবে কোডিং করবো

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমি আমার ব্যাক্তিত নলেজ থেকে মনে করি এর একমাত্র কারণ এন্ড্রয়েড মোবাইল বা স্মার্টফোন। বর্তমানে নেট দুনিয়াকে ঘাটলে বোঝাযাবে এন্ড্রয়েড বা স্মার্টফোনের অবদান কত তুকু। এন্ড্রয়েড গুগলের এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম যা দ্বারা কম্পিউটারের প্রায় ৮০% কাজ করা যায়। এবং তার মধ্যে একটি হচ্ছে কোডিং যা আইটি রিলেটেড সবাই পছন্দ করে থাকে কারন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার সব যাগায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব না তবে এন্ড্রয়েড মোবাইল সব সময় পকেটে থাকে। আজকে আমি যেই এ্যপস্টির কথা বলবো তার নাম হচ্ছে SPCK Code Editor  এটি আমার অনেক পছন্দের এ্যাপ্স। কিভাবে কাজ করে কিভাবে কোডিং লিখতে হয় সেই সব কিছু আজকের আর্টিকেলে স্টেপ বায় স্টেপ পাবেন? সেই সাথে আউটপুট নিয়ে কোন চিন্তা নেই।

SPCK

spck ব্যাবহার করার জন্য আপনার একটি স্মার্ট ফোন প্রয়োজন যাতে মিনিমাম 1GB Ram এবং স্ক্রিন 5" স্ক্রিন আছে। এরপর আপনার মোবাইল গুগল প্লে-স্টোর সাপোর্ট থাকা লাগবে এবং ইন্টারনেট সংযোগ মাস্ট। এরপর নিচের ধাপ গুলো ফলো করতে পারেন।

কিভাবে কোথা থেকে ইন্সটল করবো?

ইন্সটল করার জন্য গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সার্স বারে টাইপ করতে হবে SPCK এই নামে এবং সবার প্রথম এ্যাপস যেমনটি নিচে দেখতে পারছেন। এরপর INSTALL বাটনে ক্লিক করে ইন্সটল করবেন।



ইন্সটল করার পর এ্যাপস্টি ওপেন করবেন Open বাটনে ক্লিক করে


SPCK কিভাবে ব্যাবহার করবো? 

SPCK Code Editor ব্যাবহার করার জন্য এ্যাপস্টি প্রথমেই ওপেন করে নিতে হবে। এরপর নিচের নেভিগেশনবার থেকে Workplace  ক্লিক দিলে Workplace স্ক্রিন ওপেন হবে। 



এরপর নিচে মার্ক করে দেখানো Create এ ক্লিক দিতে হবে। 

এর পর আপনি একটা নতুন পেইজ পাবেন এবং এইচটিএমএল লিখতে পারবেন

আর বাকি লিখা গুলো খুন শিগ্রহ পেতে কমেন্টে জানান!

 
অ্যামাজন কত বড়? Amazone

অ্যামাজন কত বড়? Amazone

 অ্যামাজন, প্রায় ১.৬ ট্রিলন ডলার মার্কেট কেপ নিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃত্তম টেক জায়েন্ট। ওয়েব কম্পিউটিং, ডিজিটাল কন্টেন্ট স্ট্রিমিং, এ.আই পাওয়ার ভয়েস এসিস্টেন এবং গ্রোসারি ফ্রেশ ফুড সেগমেন্ট গুলোর মত প্লাটফর্ম অপারেট করলে অ্যামাজন মূলত ই-কমার্স এর জন্যই বিশ্বে সু পরিচিত। এবং মার্কেট কেপের দিক থেকে বিশ্বের ই-কমার্স জায়েন্টের মধ্যে সবার শীর্ষে। Insider Intelligence এর তথ্য সুত্রে ২০২১ সালে কোম্পানিটির সেলসের পরিমান ছিলো ৬১৪.০৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। 

প্রায় ৩ দশক আগে অনলাইনে বই বিক্রির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে অ্যামাজন কঞ্জিউমার ইলেক্ট্রনিক্স, ক্লথিং এবং ফ্যাশন, বিউটি এবং পার্সোনাল কেয়ার, স্পোর্টস ও আউটডর এ্যাক্টিভিটি প্রোডাক্ট থেকে শুরু করে পেট কেয়ার, খেলনার মত ডায়বার্স ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট বিশ্বের ১৩০ টি দেশের ইউজারদের ডেলিভারি করছে। 

বইশ্বব্যাপি ৩৩০ মিলিয়ন রেজিস্টার কাস্টমার নিয়ে অ্যামাজন আদতে কেন এত জনপ্রিয়? 

১৯৯৫ সালে জেফবেজস একটি ভার্চুয়াল বুক স্টোর প্রতিষ্ঠা লক্ষ্যে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করে। কার্যকর শুরু প্রথম ২ মাসেই এ্যামেরিকার ৫০ টি স্টেট সহ বিশ্বের ৪৫ টি দেশে বই বিক্রি করতে সক্ষম হয়। ১৯৯৮ সালে অ্যামাজন বইয়ের পাশাপাশি ১ লক্ষ ২৫ হাজার মিউজিক টাইটেল নিয়ে CD এবং DVD বিক্রি করতে শুরু করে। শুরুর দিকে নিজস্ব প্রোডাক্ট সেল করলেও ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্লাটফর্মটি থার্ডপার্টি সেলারদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

২০০৫ সালে অ্যামাজন তাদের প্রাইম সার্ভিস চালু করে। ২০০৬ সালে অ্যামাজন আনবক্স নামে একটা ভিডিও অনলাইন ভিডিও সার্ভিস লঞ্চ করা হয়। বর্তমানে যা অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও নামে সু পরিচিত। একি বছর অ্যামাজন তাদের নিজস্ব ক্লাউড কম্পিউটিং কোম্পানি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস বা AWS লঞ্চ করে। শুরুতে প্লাটফর্মটি নিজেদের ওয়েবসাইটের জন্য তৈরি করা হলেও পরবর্তীতে অন্যান্য বিজনেস প্লাটফর্ম জন্য আইটি ইন্সট্রাক্টর সার্ভিস প্রোভাইড করে (Amazon Web Services) 

বর্তমানে বিশ্বব্যাপি অ্যামাজনের ৩৩০ মিলিয়নের বেশি রেজিস্টার কাস্টমার রয়েছে যার মধ্যে ২০০ মিলিয়নের বেশি অ্যামাজন প্রাইম ইউজার।

macrotrends এর একটি তথ্য সুত্রে ২০২১ সালের তৃতীয় কুয়াটা শেষে কোম্পানিটির রেভিনিউ পরিমান ৩৩২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। প্রতিমাসে ১৯৭ মিলিয়ন মানুষ অ্যামাজনের ওয়েবসাইট ভিজিট করে। OBERLO  একটি তথ্য সুত্রে সুধুমাত্র US থেকে অ্যামাজন প্রতি মিনিটে ৪০০০ টি আইটেম সেল হয়। এছাড়াও ৮৯% US কাস্টমার অনলাইন শপি এর ক্ষেত্রে অন্যান্য প্লাটফর্ম তুলনায় অ্যামাজনকে বেশি গুরুত্ব দেয়। 
অনলাইন প্লাটফর্মে কাস্টমারের ইন্ট্রডাকশন মেন্টেন করার জন্য বেটার ইউজার এক্সপিরিয়েন্স খুব গুরুত্বপূর্ন বিষয়। অ্যামাজন এই বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি কনসার্ট যে কারনে কোম্পানিটি একটু ফুলফ্লেন্স একটি ইউজার এক্সপিরিয়েন্স টিম ইনক্লুড করেছে। যা তাদের দৈনিক শপিং এক্সপিরিয়েন্সকে আরো কনভিনেন্স করে তুলেছে। এই টিমটি বিভিন্ন সার্স ইঞ্জিনে কাস্টমারদের সার্স করা হিস্টোরি এবং পার্চেজিং প্যাটার্ন এনালাইসিস করে এমন ভাবে তাদের প্রোডাক্ট ডকুমেন্ট সেকশনটি সাজায় যা থেকে কাস্টমাররা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে। 

তাছাড়া অ্যামাজনের সার্স রেজাল্টে বিভিন্ন প্রোডাক্টের টাইপ, ক্যাটাগর, কাস্টমার রেটিং এবং প্রাইস এবিলিবিটির পাশাপাশি ব্রান্ড অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শো করে। ফলে কাস্টমাররা নিজেদের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট সহজেই খুজে পায়। 



  

Thursday, February 24, 2022

কিভাবে BIN Certificate করা যায়?

কিভাবে BIN Certificate করা যায়?

BIN Certificate কি

প্রতিটি ব্যবসায় একটি অদ্বিতীয় বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (BIN) থাকে। এই নম্বরটি বিন নম্বর বলা হয়। এই নাম্বরটি পেতে হলে জাতীয় রাজস্ববোর্ড থেকে নিবন্ধন করতে হয়।

বাংলাদেশে প্রথমে /৯ ডিজিটের এ্যানালগ বিন সার্টিফিকেট ছিল। এরপর ২০২৮ সালে অনলাইন হওয়ারপর সেটা ১১ ডিজিট করা হয়েছিল। বর্তমানে নতুন ভ্যাট আইনের অধীনে সকল বিন সার্টিফিকেট ১৩ ডিজিটের।

যে সকল ব্যাবসায়ীরা পূর্বের কোন বিন সার্টিফিকেট নিয়েছে, তাদেরকেও অবশ্যই ১৩ ডিজিটের এই বিন সার্টিফিকেট নিতে হবে। 

কেন BIN করতে হয়? 

বিন সার্টিফিকেট করার অনেক ভালো দিক আছে আছে নিচে আমি কিছু দিক উল্যেক্ষ্য করছি।
  • ব্যাবসা পরিচালনার জনয যে কোন ধরনের সার্ভিস প্রদানের জন্য।
  • টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করার জন্য
  • ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য
  • আমদানি ও রপ্তানির সকল ক্ষেত্রে

বিন সার্টিফিকেট করতে কি কি লাগে? 

বিন সার্টিফিকেট করতে প্রয়োজনীয় যেই ডকুমেন্ট লাগে নিচে তার লিস্ট দেওয়া হলো।
  1. ট্রেড লাইসেন্স
  2. জাতীয়পত্র
  3. টিন সার্টিফিকেট
  4. বাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট
  5. লিমিটেড কোম্পানি বা পার্টনারশীপ ফার্ম হলে অন্যান্য ডকুমেন্ট

বিন সার্টিফিকেট করার পর ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হবে কি?

বিন সার্টিফিকেট করার পর আপনাকে প্রত্যেক মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে গতমাসের বিক্রয়ের উপর হিসেব করে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হবে। ভ্যাট আসুক বা না আসুক, রিটার্ন আপনাকে অনলাইন এবং অফলাইনে অবশ্যই দাখিল করিতে হবে।



রিটার্ন দাখিল না করলে কি হবে? 

রিটার্ন দাখিল না করলে অনলাইনে আপনার তৈরিকৃত সার্টিফিকেটের বিপরীতে অটোমেটিক মাসিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্ত হয়ে যাবে। যেটা যে কোন সময় ভ্যাত অফিস আপনার থেকে আদায় করতে পারবে। 
ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার হতে হলে কি কি শিখতে হবে? How to become back-end developer

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার হতে হলে কি কি শিখতে হবে? How to become back-end developer

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার (Back-End) ডেভেলপার। ওয়েব ইন্ডাস্ট্রিজে দিন দিন ব্যাক-এন্ড এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। আমার দেখা মতে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও বিভিন্ন সোসিয়াল সাইটে এই নিয়ে সকলেই কনফিউস যে ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার হতে হলে কি কি শিখতে হবে? এবং তার দ্বারাবাহিকতায় আজকের এই পোস্টটি করা। 

একটি ওয়েবসাইট বানাতে হলে সর্বপ্রথম UI (User Interface) রেডি করা লাগে এবং এর পর ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার  UI দেখে ফ্রন্ট-এন্ড ডিজাইন করে। ফ্রন্ট-এন্ড ডিজাইন করা শেষ হলে ব্য্যাক-এন্ড সব থেকে গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ। আপনি যদি জাস্ট ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করতে চান সেই ক্ষত্রে ব্যাক-এন্ড না হলেও চলে তবে একটি ডায়নামিক ও ইউজার এক্সপিরিয়েন্স সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে অবশ্যই ব্যাক-এন্ড টেকনোলজি অবলম্বন করতে হবে।

ব্যাক-এন্ডের কাজ কি? Why use back-end? 

ফ্রন্ট-এন্ড শেষ হলে ব্যাক-এন্ড হচ্ছে সব  থেকে গুরুত্বপূর্ন। ব্যাক-এন্ড মূলত আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো ডাটাবেজের সাথে কানেক্ট করে। এবং এর জন্য বিভিন্ন স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজ ও API ব্যাবহার করা লাগে। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে! যা HTML, CSS, JS এর মত কিছু ভাষা দিয়ে বানানো এখন অইখানে কিছু এমন জিনিস আছে যা আপনার জানা একান্তই গুরুত্বপূর্ন। যেমন একতি ফোর্ম আছে। আপনি চাচ্ছেন কোন ইউজার যখন ফোর্মটি ফিলয়াপ করবে তখন সাথে সাথে আপনার কাছে তার দেওয়া তথ্য গুলো আসবে। স্বাধারনত এইচটিএমএল সিএসএস দিয়ে যদিও ফোর্মটি বানানো তবে ব্যাক-এন্ড প্রোগ্রামিং ছাড়া তা কার্যকারী নয়।

মূলত এই কাজ গুলো ব্যাক-এন্ড প্রগ্রামিং বা API দিয়ে করা হয়। আবার ধরুন নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তি যখন এ্যকাউন্ট খুলবে তখন তার দেওয়া ডাটা গুলো আপনার ডাটাবেজে অটো সেভ হবে এবং সেই ব্যাক্তি চাইলেই তার ইউজার নাম আর পাসওয়ার্ড দিয়ে আবার অই তথ্য গুলো এ্যাক্সেস করতে পারবে। 

How to become backend developer?

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার হতে হলে অবশ্যই টুকটাক এইচটিএমএল ও সিএসএস জানা লাগবে কারন ফ্রন্ট-এন্ড করা এইচটিএমএল স্ট্রাকচার ব্যাক-এন্ড সাথে নাও সেট হতে পারে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে স্ট্রাকচার ঠিক করে তারপর ব্যাক-এন্ডের বিভিন্ন কোড ম্যাথড ইত্যাদি লিখা লাগবে। 

ব্যাক-এন্ডের জন্য অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ আছে। যার মধ্যে বিগিনারদের জন্য PHP বেস্ট এবং সহজ ভাষা। ব্যাক-এন্ডের জন্য বর্তমানে অনেক প্রোগ্রামিং আছে , আমি নিচে কিছু প্রোগ্রামিং এর লিস্ট দিচ্ছি দেখে নিতে পারেন সেই সাথে ডাটাবেজ টেকনোলজিত মাস্ট। আর পাশা পাশি যা API ও JSON শিখা লাগবে।

  1. JavaScript - জাভাস্ক্রিপ্ট
  2. Python - পাইথন
  3. PHP - পিএইচপি
  4. Java - জাভা
  5. Ruby - রুবি
  6. Golang - গোল্যং 

Database

ইউজারের ডাটা সেভ ও আপনার কন্টেন্ট মেনেজমেন্ট সহ সকল কিছুই ডাটাবেজ থেকেই কন্ট্রল করা হয়। তবে প্রোগ্রামিং করে সব অটোমেটিক করা হয়। আপনাকে ডাটাবেজে হাত ও দিতে হবেনা। 
  1. Oracle
  2. My Sql
  3. MS SQL server
  4. PostgreSQL
  5. MongoDB
  6. IBM DB2
  7. Redis
  8. ElastricSearch
  9. Cassandra
  10. MariaDB
  11. OrientDB
  12. SQlite
  13. DynamoDB
  14. Neo4j
  15. FirebirdSQL

সবাইকে ধন্যবাদ মাদের পোস্ট গুরুত্বসহকারে পরার জ্ন্য।



Wednesday, February 23, 2022

ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে কি কি শিখতে হবে? How to become a front-end developer

ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে কি কি শিখতে হবে? How to become a front-end developer

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, বা ওয়েব এ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট। বাংলাদেশের যুব সমাজ দিন দিন ওয়েব ডেভেলপমেন্টের দিকে ঝুকে পরছে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট মূলত ২টি সেকটরে ভাগ করার হয়েছে যথা-

  1. ফ্রন্ট-এন্ড (Front-End)
  2. ব্যাক-এন্ড (Back-end)
২টা জিনিস ২ ভাবে কাজ করে এবং ২টা সেক্টরের জন্য আলাদা আলাদা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ফ্রন্ট এন্ড কী?

ফ্রন্ট-এন্ড মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সর্ব প্রথম ধাপ। একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে? কালার কী কী থাকবে? কোন বাটনের কালার কি হবে? কোথায় কোন ছবি বসবে কোথায় লিংক বসবে ইত্যাদি এই সকল কিছু তৈরি করে ফ্রন্ড-এন্ড ডেভেলপার। তবে যদি UI ডিজাইনার আগে থেকে কোন  ডিজাইন করে রাখে তাহলে ফ্রন্ট-এন্ডের কাজ আরো সহজ হয়ে যায়। UI (User Interface) ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট-এন্ড দেখতে কেমন হবে ও কি কি থাকবে কোথায় থাকবে ইত্যাদি এই গুলো সব আগে থেকে কেউ একটা UI টুল দিয়ে UI ডিজাইনার বানিয়ে রাখে এবং ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার তা দেখে দেখে ফ্রন্ট-এন্ড ডিজাইন করে।

ফ্রন্ট-এন্ড ডিজাইন করতে কি কি প্রোগ্রামিং শিখতে হবে?

ফ্রন্ট-এন্ড ডিজাইন বা ওয়েবডিজাইন করতে গেলে সর্ব প্রথম আপনাকে HTML শিখতে হবে। এইচটিএমএল দিয়ে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন এলিমেন্ট এ্যাড করা হয়। এর পর আপনাকে সিএসএস (CSS) শিখতে হবে। এইচটিএমএল দিয়ে আপনি যেই এলিমেন্ট বা ব্লক ওয়েব পেইজে প্রদর্শন করবেন তা দেখতে কেমন হবে? যেমন কালার, পেডিং, মার্জিন, ব্যাকগ্রাউন্ড, এ্যালাইন ইত্যাদি এই সকল কিছু সিএসএস (CSS) দিয়ে করতে হবে। আর একটু ক্লিয়ার ভাবে বোঝাতে গেলে ধরুন আপনি একতি রবট বানাচ্ছেন, রবটের বিভিন্ন পার্টস এনে দিবে এইচটিএমএল  এবং কোনটা কোথায় থাকবে এবং কালার ও ডিজাইন কেমন হবে এই সব কিছু সিএসএস দ্বারা করতে হবে। এইচটিএমএল সিএসএস শেখার পর জাভাস্ক্রিপ্ট! জাভাস্ক্রিপ্ট একটি পাওয়ারফুল ওয়েব ব্রাউজার ভিত্তিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। এইচটিএমএল সিএসএস দিয়ে বানানো ওয়েবসাইটে জান দিবে জাভাস্ক্রিপ্ট যেমন কোন একটি বাটনে ইভেন্ট সেট করা। আপনি চাচ্ছেন বাতকে ক্লিক দিলে একতা এ্যালার্ট মেসেজ আসবে বা একটি লিখার উপর ক্লিক দিলে লিখা চেঞ্জ হয়ে যাবে এরকম নানান ফিচার যা চিন্তার বাহিরে সব কিছুই জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে করা হয়। তাই ভালো ফ্রন্ট-এন্ড এক্সপার্ট হতে হলে জাভাস্ক্রিপ্ট শিখতে হবে। 

এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট এই গুলো শেখা শেষ হলে আপনি সিএসএস ও জাভাস্ক্রিপ্টের ফ্রেমওয়ার্ক শিখতে পারেন। যেমন সিএসএস এর জন্য- ট্যালওয়েন্ড সিএসএস বা সাস কিংবা বুটস্ট্রাপ ও জাভাস্ক্রিপ্টের জন্য Jquery বা রিয়াক্টসহ আরো পপুলার ফ্রেমওয়ার্ক।

স্পেসিয়ালি 

ভালোভাবে সিএসএস পারলে সিএসএস এর ফ্রেমওয়ার্ক না শিখলেও হবে তবে ভালো ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার হতে হলে জাভাস্ক্রিপ্টের ফ্রেমওয়ার্ক JQuery বা React শিখতে পারেন। রিয়াক্ট সমপুর্ন ভিন্ন একটা লাইব্রেরি তাই আপনি ফ্রন্ট-এন্ডের জন্য Jquery শিখতে পারেন। JQuery এনিমেশনের জন্য বেস্ট জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেমওয়ার্ক।

আশা করে সবাই বেশ ভালোভাবে বিষয়েতি বুঝতে পেরেছেন ধন্যাবাদ।



Tuesday, February 22, 2022

গুগল ড্রাইভ কিভাবে ব্যাবহার করবো? How to use google drive

গুগল ড্রাইভ কিভাবে ব্যাবহার করবো? How to use google drive

গুগল ড্রাইভ একটি গুগলের ফ্রী ও প্রিমিয়াম স্টোরেজ সার্ভিস। যা ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল লঞ্চ করা হয়। গুগল ড্রাইভ ওয়েবসাইট বানানো হয়েছে মূলত ফাইল হোস্টিং এর জন্য। এবং তাদের ওয়েবসাইট drive.google.com  এই ডোমেইন এর মাধ্যমে লঞ্চ করা হয় এবং গুগল প্লে-স্টোরে ও এপল স্টোরে Google Drive নামে একটি মোবাইল এ্যপ্লিকেশন লঞ্চ করা হয়। গুগল প্লে স্টরের রিপর্ট অনুযায়ী দেখা যায় এ্যাপস্টি রিলিজ করা হয় ২৭ এ এপ্রিল ২০১১ সালে তবে ইউকিপিডিয়ার একটি তথ্য সুত্রে গুগল ড্রাইভ রিলিজ হয় ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল। এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের এখনো পর্যন্ত কোন তথ্য পায়নি আশা করি এই বিষয় খুব দ্রুত আপডেট পাবেন।

গুগল ড্রাইভ কিভাবে ব্যাবহার করবেন? 

গুগল ড্রাইভ নিত্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও বিভিন্ন ফাইলসহ অডিও, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি যে কোন ধরনের ফাইল রাখার জন্য সব থেকে গুরুত্বপুর্ন একটি ওয়েব বেসেড এ্যাপ্লিকেশন যা গুগল প্রোভাইড করে থাকে। 
এ্যাপস্টি মোবাইল ব্যাবহার করতে কিছু স্টেপ ফলো করতে হবে।

প্রথম স্টেপ - গুগল ড্রাইভ মোবাইলে ইন্সটল করা!



গুগল প্লে-স্টোর যেতে হবে ও সার্সবারে টাইপ করতে হবে Google Drive লিখে। এই নামটি লিখে সার্স করলে আপনি সর্ব প্রথমেই পেয়ে যাবেন গুগল ড্রাইভ (Google Drive)।

দ্বিতীয় স্টেপ - গুগল ড্রাইভ ইন্সটল

Install বাটনে ক্লিক দিয়ে ড্রাইভ ইন্সটল করে নিতে হবে। এবং ইন্সটল শেষে এ্যাপস্টি ওপেন করতে হবে।

চতুর্থ স্টেপ - লগিন/রেজিস্টার



এবারে ফাইনাল স্টেপ গুগলের নিজস্ব মেইল সার্ভিস Gmail দিয়ে এখনে লগিন দিন অথবা এ্যাকাউন্ট নতুন তৈরি করুন। জীমেইল দিয়ে লগিন করার পর আপনি ড্রাইভের ইন্টারফেস পাবেন।
এবারে আপনি যে কোন ফাইল সহজেই গ্যালারি থেকে বা ফাইল ম্যানেজার থেকে শেয়ার ক্লিক করে ড্রাইভ শেয়ার ক্লিক দিয়ে এখানে আপলোড দিতে পারেন অথবা এ্যাপসের + আইকনে ক্লিক দিয়েও আপলোড করতে পারেন।

ফ্রীতে গুগল ড্রাইভে ১৫ জিবি স্টোরেজ পাবেন (লাইফটাইমের জন্য). আপনার মোবাইল কোন কারনে যদি নষ্ট বা চুরি হয়ে যা তাও কোন সমস্যা নেই কারন গুগল ড্রাইভ পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে এ্যাক্সেস করতে পারবেন। এবং কোন প্রকার ডাটা লস ছাড়াই আপনি গুগল ড্রাইভে আপলোড কৃত ফাইল ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলেই গুগল ড্রাইভের স্টোরেজ বায় করতে পারেন।

অবশ্যই গুগল ড্রাইভ ব্যাবহার করা জি-মেইল ও পাসওয়ার্ড (Gmail or Password) মনে রাখবে।

ধন্যবাদ।