Tuesday, February 22, 2022

বাংলালিংক কেন সবার থেকে পিছিয়ে?

বাংলালিংক কেন সবার থেকে পিছিয়ে?

বাংলালিংক

প্রায় ৩৬ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার নিয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম স্যালুলার সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৩য় অবস্থানে থাকলেও একসময় বাংলালিংক ২য় স্যালুলার সার্ভিস প্রোভাইডার স্থান ধরে রেখেছিল। মার্কেটের অন্যান্য অপারেটরদের সাথে প্রতিযোগিতায় কোম্পানিটি প্রাইসিং ও ব্রান্ডিং এর মাধ্যমে ২য় অবস্থানে নিয়েযেতে পারলেও সেই অবস্থান তারা ধরে রাখতে পারেনি। একসময় টিভি বিজ্ঞাপন দিয়ে মাতিয়ে রাখা প্রতিষ্টানটির মিডিয়া প্রেজেন্ট কমে গেছে বেশ গুন। তবে কি হয়েছিল বাংলালিংকের? যে একসময় তরুণসমাজকে মাতিয়ে রাখা প্রতিষ্টানটি দিন দিন পিছিয়ে পরছে? 

বাংলালিংকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে সেবা টেলিকম নামে। সেবা টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেড (Sheba Telecom Pvt. লিমিতেদ) বাংলাদেশের লোকাল ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস লিমিটেড (Integrated Services Limited) এবং মালোসিয়া ভিত্তিক টেকনোলজি রিসার্চ ইন্ডাস্ট্রিস (Technology Reacherch Industries) মধ্যকার একটি জয়েন্ট ভেঞ্জার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। সেই বছরে প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯ টি উপজেলায় টেলি কমিউনিকেশন সার্ভিসের লাইসেন্স পায়। এর পর বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ এবং টেলিকম বোর্ড থেকে ওয়ারলেস  টেলি কমিউনিকেশনের লাইসেন্স ইস্যু করা সুরু হয়।

১৯৯৬ সালে কোম্পানিটি স্যালুলার মোবাইল সার্ভিস এবং রেডিও টেলিফোন সার্ভিস দেওয়া লক্ষ্যে GSM লাইসেন্স সংগ্রহ করে। ওয়ারলেস লোকাল লুপ বা WLL Technology ব্যাবহার করে প্রতিষ্ঠানটি সেবা দিয়ে যেতে থাকে এবং বেশ পরিচিতি লাভ করতে থাকে। 

২০০৪ সালের জুলাই মাসে মিশরিয়া টেমলামাইট ORASCOM টেলিকম রিসার্স ইন্ডাস্ট্রিজ সম্পুর্ন শেয়ার ২৫ মিলিয়নের বিনিময় কিনে নেয়। সেই বছরের অক্টোবর মাসে ORASCOM ৬০ মিলিয়নের বিনিময় শেবা টেলকম কিনে নেয় এবং রি ব্রান্ডিং এর কাজ শুরু করে, সেই বছর শেবা টেলিকমের সাবস্ক্রাইবার বা গ্রাহক ছিলো মাত্র ৫৯ হাজার! ২০০৫ সালের ১০ এ ফেব্রুয়ারি ORASCOM, সেবা টেলিকমকে রিব্রান্ড করে বাংলালিংক নাম দেয়, যা ছিলো কোম্পানিটির জন্য একটি জয়নিং পয়েন্ট, কারন সেই বছরের শেষের দিকে কোম্পানিটির মোট ব্যবহার সংখ্যা দারিয়ে যায় ১ মিলিয়নের বেশি। 


২০০৬ সালে বাংলালিংক প্রথম Postpaid ও Prepaid এ ইনকামিং ফ্রী কলের সুবিধা দিতে থাকে এবং বেশ ভালো সারা পেতে থাকে। ফলে সেই বছরের শেষে ইউজার সংখ্যা ২৫৭ শতাংশ বেড়ে দারায় ৩.৬৪ মিলিয়ন। শুরু থেকেই বাংলালিংক অন্যান্য অপারেটর থেকে কম কল রেট অফার করছিলো। এর পাশাপাশি ২০০৬ সালে বাংলালিংক তাদের  দেশ প্যাকেজটি লঞ্চ করে! প্যকেজটির প্রমোশনের জন্য কোম্পানিটি বেশ কয়েকটি এ্যাডভার্টাইজমেন্ট লঞ্চ করে। সেই সময় বাংলালিংকের অ্যাডভারটাইজিং গুলো বেশ সুন্দর ও আকর্ষনীয় ছিলো যা তরুণ ইউজারদের আকৃষ্ট করতে বেশ সফল হয়েছিল। যার ফলে ২০০৭ সালের শেষের দিকে বাংলালিংক দেশের অন্যন্য অপারেটরদের পেছনে ফেলে সেকেন্ড লার্জেস মার্কেট প্লেয়ার হয়ে যায়। তখন মার্কেট লেডার ছিলো গ্রামিনফোন বাংলালিংক তখন গ্রামিন থেকে কমে কল রেট অফার করছিল বিদায় ইউজাররা প্রতিষ্টানটির প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট হয়েছে।

২০০৮ সালের মার্চ মাসে সেবা টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেড (Sheba Telecom (PVT) Limited) নাম পরিবর্তন করে ORASCOM Telecom Bangladesh Limited রাখা হয়। সেই বছরের জুলাই মাসের মদজ্যে কোম্পানিটির ইউজার সংখ্যা দারায় ১০ মিলিয়নের বেশি, সেই বছরের ২০০৮-০৯ ফেসক্যালিয়ারে প্রথম কুয়াটারে বাংলালিংকের রেভিনিউ ছিলো ১৩২ মিলিয়ন ডলার যা আগের বছরের অইসময়ের ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে কোম্পানিটির মোট গ্রাহক ছিলো ১০.৯০ মিলিয়ন। এইদিকে ২১ মে ২০০৯ সালে ডেইলি স্টারের একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় ৩য় স্থানে থাকা মোবাইল অপারেটর একটেলের সাথে বাংলালিংকের মার্জ হবার সম্ভবনা তৈরি হলেও পরবর্তীতে মার্জটি সফল হয়নি। সেই বছর ২৬.৪৫% মার্কেট শেয়ার নিয়ে বাংলালিংক ছিলো দেশের ২য় বৃহত্তম নেটওয়ার্ক।

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের শীর্ষে থাকা ২ মোবাইল ফোন অপারেটিং কোম্পানি, বাংলালিংক ও গ্রামিন গ্রাম অঞ্চলে নেটওয়ার্ক টাওয়ার বসাবে পরিকল্পনা করে। 


আরো পড়ুনঃ
  1. রবি ইতিহাস

Sunday, February 20, 2022

About Tesla Company টেসলা কোম্পানি

About Tesla Company টেসলা কোম্পানি

টেসলা প্রায় ৮৮৯ বিলিয়ন ডলারের বিশ্ব মার্কেট কেপ নিয়ে বিশ্ব্যের অটো মেকার কোম্পানির শীর্ষে অবস্থান করা একটি ইলেক্ট্রিক কার ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি। ইলেক্ট্রিক কার ম্যানুফেকচারিং এর পাশাপাশা লিথিয়াম আইরন ব্যাটারি, এ্যানার্জি স্টোরেজ এবং সোলার প্যানেল নিয়েও কাজ করছে টেসলা Tesla. 

২০২১ সালে কোম্পানিটি সর্বমোট ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ২২২ টি ইলেক্ট্রিক কার ডেলিভারি করেছে। ২০২১ সালে কোম্পানিটির মোট রেভিনিউ ছিলো প্রায় ৫৩.৮২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

টেসলা আদতে কিভাবে এত রেভিনিউ বা টাকা উপার্জন করছে? 

টেসলার ইতিহাস

২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পলোআল্টোতে মার্ক টার্পেনিং ও মার্টিন ইবার হার্ড ইলেক্ট্রনিক্স কার কোম্পানির উদ্যশ্যে টেসলা মোটরস (Tesla Motors) প্রতিষ্ঠাতা করে। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে Elon Musk এলন মাস্ক টেসলা A Founding Series বা প্রথম ফান্ডে ৬.৩৫ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেন। যার প্রেক্ষিতে কোম্পানিটির সর্বোচ্ছ শেয়ার হোল্ডার হিসেবে Elon Musk এলন মাস্কে টেসলার চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

উত্থান

২০০৬ সালে কোম্পানিটি তাদের প্রথম গাড়ি টেসলা রোস্টারের প্রোটোটাইপ আনবিল্ড করে এবং প্রোডাকশন শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে কোম্পানিটির মেটাল টেকনোলজি এবং ইলেকট্রনিক পাওয়ার ব্যবহার করে রোস্টার গাড়িটি লঞ্চ করা হয়। যা কার ম্যানুফেকচারিং যগতে রেভুলোশন নিয়ে আসে। 

২০১০ সালের জুন মাসে টেসলা (Tesla) নিউ ওয়ার্ক স্টক এজেন্সিতে IQ লঞ্চের মাধ্যমে ২২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। 

২০১২ সালে টেসলা (Tesla) সেভেন সিরিজের টেসলা প্রিমিয়ার ইলেকট্রনিক কার মডেল S লঞ্চ করে। মোডেল S এর সফলতার পর টেসলা (Tesla) Model X, Model 3, Model Y এর মত গাড়ি তৈরি করেন। এর পাশাপাশি কোম্পানিটি সাইবার ট্রাক ও টেসলা সিমিয়ার এর প্রোটোটাইপ আনবুল্ড করেছে। ২০২১ সালে টেসলা স্যাডান সিরিজের প্রিমিয়াম ইলেক্ট্রিক কার মডেল S Blade লঞ্চ করে। যা টেসলার হাইস্ট পার্মোরমেন্স কার হিসেবে প্ররিচিত। 

২০১২ সালে মাত্র ২৬০০ ইলেক্ট্রিক কার ডেলিভারি করলেও ২০২১ সালে কোম্পানিটির কার ডেলিভারি সংখ্যা ছিলো ৯ লক্ষেরও বেশি। অর্থাৎ কোম্পানিটির ডেলিভারির হার প্রতি বছর প্রায় ৮০%+ বৃদ্ধি পাচ্ছে!

 

Saturday, February 19, 2022

গুগল কিভাবে আয় করে? How to make money google?

গুগল কিভাবে আয় করে? How to make money google?

গুগল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সার্স ইঞ্জিনের মধ্যে একটি। সার্জ ইঞ্জিনের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় এবং এখন পর্যন্ত ২৭১ টি সার্ভিস নিয়ে টেক জায়েন্ট কম্পানিগুলোর মধ্যে গুগলের নাম সর্বপ্রথম। এত এত সার্ভিস থাকায় গুগল কিভাবে তাদের ক্লায়েন্দের মেনেজ করে? এবং এই কম্পানিটির দৈনিক ও মাসিক আয় কত?

গুগলের শুরুটা হয়েছিল ৪ই আগস্ট ১৯৯৮ সালে সার্জ ইঞ্জিন দিয়ে তবে বর্তমানে YouTube ও Android OS (Operating System) সহ প্রায় ২৭১ টি সার্ভিস গুগল প্রোভাইড করে। এবং গুগলের প্রতিটি সার্ভিস বেশ জনপ্রিয়। এবং ব্যাক্তি জীবনে প্রযুক্তি খ্যাতে গুগলের ব্যাবহার অপরিসীম। 

YouTube

ইউটুব গুগলের অন্যতম একটি সার্ভিস যাতে প্রতিমাসে ৩ বিলিয়নের বেশি সার্স হয় যা Yahoo, Bing, Ask এর সমন্ময় একত্রের সার্সের যোগ ফল। সেই সাথে প্রতিমাসে গুগলে সার্স হয় ১০০ বিলিইয়নের বেশি। অতএব ইউটুব গুগল ও অন্যান্য সার্স ইঞ্জিনকে কম্পেয়ার করলে ইউটুবের অবস্থান ঠিক গুগলের পরেই। 

Android

এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বা Android OS যা বর্তমানে বিশ্বের ১৯০ টি দেশের ২.৫ বিলিয়ন এ্যাক্টিভ মোবাইল ফোন ব্যাবহার কারী নিয়ে ৬৭% মার্কেট শেয়ার নিয়ে বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় OS. বর্তমানে Iphone, Huawei এবং ইউন্ডোজ ভার্শন মোবাইল বা স্মার্ট ফোন ছাড়া সকল মোবাইল ফোনের এ্যান্ড্রয়েড OS ব্যাবহার করা হয়। এবং বর্তমানে এ্যান্ড্রয়েডের নিজস্ব Play Store এ আজকের তারিখ অনুযায়ী ১.৮৫ মিলিয়ন এ্যাপ উন্মুক্ত আছে প্লে স্টোরে। 

গুগলের সব গুলো ফিচার ও সার্ভিস এখানে উল্যেখ্য করছিনা যার কারন আজকের এই পোস্তের মূল টপিক গুগল কিভাবে আয় করে। তাহলে জানাজাক কিভাবে গুগল ইনকাম করে।

গুগল বিজনেস মডেল

গুগল একটি অনলাইন সার্জ ইঞ্জিন। গুগলের প্রধান আয়ের সোর্স এ্যাডভারটাইজিং। গুগলের সার্স ইঞ্জিন সম্পুর্ন ফ্রী এবং এখন পর্যন্ত প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন সার্স করা হয় গুগলে। গুগলের এ্যাডস মেনেজার থেকে সবাই ডিজিটাল মার্কেটাররা এ্যাড দেয়। এবং এ্যাডস দেওয়ার জন্য কিছু টাকা গুগলে পে করা লাগে। এবং আপনি কাদের কাছে আপনার সার্ভিস পৌছে দিতে চাচ্ছেন ও কিওয়ার্ড সহ সকল কিছুই গুগল এ্যাডস থেকে সেটিং করতে হয়। মূলত এই এ্যাডসের মাধ্যমেই গুগলের ৭০% আয় এসে থাকে। প্রতিদিন গুগলে কয়েক মিলিয়ন সার্স হয় এবং প্রতিটি সার্সে গুগলের এলগরিদম  কাজ করে। এবং আপনার সার্সের রিলেটেড কি ওয়ার্ড ও বিভিন্ন এ্যালগরিদমের মধ্যমে গুগলের এ্যাডস গুলো আপনার আমার সামনে অটোমেটিক চলে আসে। সুধু যে গুগলে সার্স করলেই যে এ্যাড আসে বিষয়টি এরকম নয়। আমি রিসার্স করে যত টুকু জানতে পেরেছি গুগলের ২৭১ টি সার্ভিসের মধ্যে কয়েকটি সার্ভিস ছাড়া সব গুলোতেই গুগল এ্যাডস দেখানো হয়।  এ ছাড়াও আরো ৪-৫টি সেক্টরে গুগল আয় করে থাকে।

অনেকেই ভেবে থাকে এ্যাডস যে তৈরি করলো সেট গুগলে কে টাকারর মাধ্যমেই গুগলের বিভিন্ন সার্ভিসে এ্যাডস গুলো দেখায়। তবে কিছু কিছু সার্ভিস আছে যেমন ইউটুব ও এ্যাপ্স এই গুলোত অন্য কারো তৈরি কৃত সার্ভিস যেমন ধরা যাক আপনি একটি ইউটুবার আপনার ইউটুবে একটি চ্যানেল আছে এবং ভিডিও আপলোড দিলেই ১০-২০ হাজার মানুষ দেখে এখন প্রতিটি ভিডিওতে যদি এ্যাডস দেখায় এবং পাবলিক যদি বিরক্ত হয়ে যায় আর ভিডিও না দেখে তা হলে? 

গুগল সেই চিন্তা মাথায় রেখেই প্রত্যেক গুগল অনুসারে গনের জন্য একটি প্লাটফোর্ম লঞ্চ করেছে যা সবার জন্য উন্মক্ত তবে কিছু রুলস ও পলিসি আছে। প্রত্যেক ইউটুবার ও প্রত্যেক এ্যাপ্স ডেভেলপারদের জন্য একটি প্লাটফর্ম লঞ্চ করেছে। YouTube এর জন্য Google Adsence ও এ্যাপ্সের জন্য Google Admob ২টার কাজ যদিও এক তবে ২টা প্লাটফোর্মের জন্য ২টা সেক্টর ভাগ করেছে। যদিও Admob এ আয় করা টাকা কোন ব্যাক্তি যদি উত্তলন করতে চায় তাহলে আয়কৃত Doller প্রথমেই Google Adsence এ ট্রান্সফার করা লাগবে। 

Google Adsense বা Google  Admob এর সদস্য হতে হলে কি কি করা লাগবে? 

Adsense এর জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি ওয়েবসাইট বা একটি ইউটুবে চ্যানেল প্রয়োজন। ওয়েবসাইটে যদি এ্যাডসেন্স বসাতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার একডি Top Level ডোমেইন লাগবে এবং আপনার ওয়েবসাইট সম্পুর্ন রেস্পন্সিভ হতে হবে। আরর ইউটুবে এ্যাপরুভাল নিতে হলে বর্তমানের নিয়ম অনুসারে 1000 Subscriber এবং 4000 Hours ওয়াচ টাইম লাগবে। এবং সম্পুর্ন কন্টেন্ট নিজের তৈরি করা হতে হবে কোন রকম কপি করা যাবেনা। তবেই আপনি ইলিজিবল হবেন। এবং গুগলের এ্যাডসের থেকে আপনি ৭১% ভাগ পাবেন আর বাকি ২৯% গুগল নিবে। 

Admob মূলত এ্যাডম্বের জন্য কোন  প্রকার রিকুয়েরমেন্ট নেই। তবে বর্তমানে খুব সাব্ধানতার সাথে এ্যাডমব এ্যাকাউন্টের কাজ করা লাগে। আপনি একটি এ্যাপ্স বানিয়ে এ্যাপসের নির্দিষ্ট স্থানে আপনি এ্যাডস বসিয়েও সেম ইউটুব বা ওয়েবসাইটের মত আয় করতে পারেন। আর এর বাহিরে যদি কোন ভাবে আয় করেন সেটা আপনার ব্যাক্তিগত আর্নিং সোর্স হিসেবেই থাকবে।

এছাড়াও গুগল আরো ৫টা সেকটরে আয় করে পরবর্তি পোস্টে আমরা সকল কিছু উল্যেখ্য করবো।  



ইতিহাস

স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ছাত্র থাকাকালীন ল্যারি পেজসের্গেট ব্রিন ১৯৯৮ সালের ৪ই সেপ্টম্বর গুগল নির্মাণ করেন। সেপ্টম্বর ৪, ১৯৯৮ সালে তারা গুগলকে প্রাইভেট কম্পানি হিসেবে অন্তরভুক্ত করেন। আগস্ট ১৯, ২০০৪ সালে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) দেয় ও গুগলপ্লেক্স নামে মাউন্টেন ভিউতে তাদের নতুন সদর দপ্তরে স্থানান্তরিত হয়। 

Friday, February 18, 2022

Completing Sentence

Completing Sentence

 ✪what is completing sentence? 

কোন অসমাপ্ত শব্দ  কে  grammar এর নিয়ম- কানুন অনুসরণ করে  সংগতিপূর্ণ  pharase\ clause  দিয়ে সম্পুর্ণ করার প্রতিক্রিয়াকেই Completing Sentence  বলে। 

নিম্নে,  Completing sentence এর গুরুত্তপূর্ণ কিছু গঠন  দেওয়া হলো ;

                    ✪Too...........To..

(a) The man is too week_____.

Ans: He is too weak to walk

(লোকটি এতটা  দুর্বল যে হাঁটতে পারে না।) 

( ব

 (b) He is to honest ______.

Ans: He is too honest too tell a lie.

          *  Too  বা To..... চেনার উপায়,, *

★ adjective এর  আগে  too হই এবং  পরের  অংশ   to + Verb যোগ করে  লেখা  হই।

★ to যূক্ত  অংশ অর্থগতভাবে negative  ধরে  সঙ্গতিপূর্ণ একটি  verb লিখতে হয়।  উভয়   অংশে Verb এর order  একই।   



                ★  Example  ★

(a) It is too difficult ________.

Ans: It is too difficult for me to solve.

(b) the water is too hot ________.

Ans: The water is too hot for me to drink. 

(c) The question is too hard

এইচটিএমএল পরিচিতি Introduction with HTML

এইচটিএমএল পরিচিতি Introduction with HTML

 এইচটিএমএল HTMLবা Hyper Text Mark-up Language এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল এইচটিএমএল যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড উইড ওয়েব (www) ফাইলে ডকুমেন্ট ফরমেট করতে প্রোগ্রামারগণ ব্যাবহার করেন। এটি সত্যিকার অর্থে কোন প্রোগ্রামিং ভাষা নয়। তবে প্রোগ্রামারজ্ঞণ ওয়েব পেইজে টেক্সট, অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্স বা এ্যানিমেশনকে সুন্দরভাবে সাজাতে বা ফরমেট করতে। এই ভাষা ব্যাবহার করেন। এইচটিএমএল ফাইল সাধারণভাবে ওয়েব পেইজ (Web Page) নামে পরিচিত। কার্যকর ভাবে, এইচটিএমএল হল প্লাটফররম স্বনির্ভর সমন্ময়। আরর এই সমন্ময়ের মাধ্যমে World Wide Web ডকুমেন্ট বিভিন্ন ধরনের উপাদান ও উপকরণ ফরমেট করা বা সাজানো যায়। জেনেভায় অবস্থিত CERN এ কাজ করার সময় টিম বার্ণার লী সর্বপ্রথম HTML আবিষ্কার করেন।



HTML ডকুমেন্ট তৈরি ও সংরক্ষন  

যে কোন ধরনের text এডিটর ব্যাবহার করে ওয়েব পেইজের জন্য নিয়ম মাফিক লেখাসমৃদ্ধ HTML ফাইল তৈরি করার যায়। এই ফাইল টেক্সট (Text) বা ASCII নামেও পরিচিত; সুধু ফাইলের এক্সটেনশন পরিবর্তন করে .html বা .htm করা হলে তাই হবে HTML ডকুমেন্ট। 

টেক্সট এডিটর

ইউন্ডোজের নোটপ্যাড, ম্যাকিন্টোশের Simple text বা ইউম্যাক্স মেশিনের Emacs বা VI এডিটর ব্যাবহার করে HTML ডকুমেন্ট তৈরি করা যাবে; তবে সেক্ষেত্রে ডকুমেন্ট সংরক্ষন করার সময় "text only with line breaks" ফরমেট বা Save as HTML অথবা Save as Webpage বেছে নিতে হবে।

উল্যেক্ষ যে, HTML ফাইলের এক্সটেনশন হল .html বা .htm নোট প্যাড বা ওয়ার্ড প্যাডে HTML ফাইল সংরক্ষন করার সময় ফাইলের এই এক্সটেনশন সঠিকভাবে দিতে হয়। অন্যথায় ভুল এক্সটেনশনযুক্ত ফাইল ওয়েব সাইটে আপলোড (Upload) করা হলে তা ঠিকমত কাজ করবে না।

HTML Page Structure 

HTML পেইজের সাধারনত দুইটি প্রধান অংশ থাকে। 
  1. head অংশঃ এই অংশে Title বা শিরোনাম, ধরন, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য কী-ওয়ার্ড ও প্রয়োজনীয় কোদ যা ওয়েব পেইজে তথ্য প্রদর্শনের জন্য দরকার তা থাকে।
  2. Body অংশঃ এটি ডকুমেন্টের মূল অংশ যাতে তথ্য প্রদর্শন করার হয়।

HTML Tag

এইচটিএমএল কে ট্যাগের ভাষায় বলা হয় কারণ বিভিন্ন ট্যাগের সমন্বয়ে ডকুমেন্ট তৈরি হয়। প্রতিটি ত্যাগ তার নিজস্ব নাম অনুসরণ করে কৌণিক (<>) ব্রাকেটে শুরু বা ওপেন হয়। এবং একে শুরু ট্যাগ বা ওপেনিং ট্যাগ বলে। ওপেন হওয়া ট্যাগ কৌণিক (</>) ব্রাকেট অনুসরণ করে ট্যাগের নামে শেষ বা বন্ধ করতে হয়। এবং একে শেষ ট্যাগ বা ক্লোজিং ট্যাগ বলে। লক্ষ্যনীয় যে, ট্যাগ বন্ধ করতে '/' চিহ্ন ব্যাবহৃত হয়। যেমন HTML কোড শুরু করার জন্য প্রথমে <HTML> টাইপ করা হয়। ফলে এ অংশ থেকে পেইজটিকে একটি HTML ডকুমেন্ট বা পেইজ হিসেবে ঘোষনা করা হয়। পেইজের শেষে </HTML> টাইপ করে শেষ বা বন্ধ করতে হয়।

নিচে একটি সরল HTML পেইজের কোড দেওয়া হল।

  
উপরের HTML কোডগুলোর নোটপ্যাড বা ওয়ার্ডপ্যাড ব্যাবহার করে .html যুক্ত ফাইলে সংরক্ষন করে যে কোন ব্রাউজার যেমন- ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার দ্বারা ওপেন করা হলে নিচের ওয়েব পেইজটি দেখা যাবে।

Thursday, February 17, 2022

ফটোশপে ইমেজ স্ক্যান করা Image scan in photoshop

ফটোশপে ইমেজ স্ক্যান করা Image scan in photoshop

গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বা ওয়েব ডেভেলপার, উভয়ের কাছেই গ্রাফিক্স একটি অত্যাশ্যকীয় উপাদান। কিন্তু সব সময় কি আপনি আপনার প্রয়োজনীয় গ্রাফিক্সটি খুজে পান?

মূলত বিভিন্ন গ্রাফিক্স, এলিপ্স, এলিমেন্ট ইত্যাদি যেই গুলো সহজে পাওয়া যায়না। বা কোন একটা ডকুমেন্টের বিভিন্ন ভুল সংশোধন করতেই স্ক্যানার তৈরি করা। 



ফটোশপে স্ক্যানিং করার জন্য প্রথমত আপনাকে একটি স্ক্যানার আপনার কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করতে হবে। 

এর পর ফটোশপের সবার উপরের মেনুতে File নামে এই অপশনে ক্লিক দিতে হবে এবং মাঝামাঝি পয়েন্ট গেলে Import নামে একটা অপশন পাবেন। ইম্পোর্টে ক্লিক দিলে আরো ৪-৫ টা অপশন আসবে। 

1. PDF Image..

2. Annotations..

3. WIA Support..

এখানে আপনার স্ক্যানারের নাম থাকবে। অবশ্যই তা লক্ষ করে দেখে নিবেন।

স্ক্যানার দাম ও ফিচার

বর্তমানে বিভিন্ন মানের স্ক্যানার পাওয়া যায়। দামের দিক থেকে এগুলো আপনার আওতার মধ্যে। এদের ফিচারে বেশ কিছু ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেলেও কিছু সাধারণ বিষয়ে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

আপনার কাজের জন্য কোন স্ক্যানারটি প্রয়োজন তা নিরুপন করতে হলে প্রথমেই নির্ধারণ করুন যে আপনি স্ক্যানারটিকে কোন ধরনের ইমেজ স্ক্যান করার কাজে ব্যাবহার করবেন এবং সেগুলো কোথায় ব্যবহৃত হবে। 

ধরুন আপনি একজন ওয়েব পেজে ব্যবহারের জন্য ইমেজে স্ক্যান করতে একটি স্ক্যানার কিনতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে 600 dpi (Dots per inch) রেজ্যুলিউশনের একটি 8.5" x 14" সাইজের ফ্লাট বেড স্ক্যানার কেনাই আপনার জন্য যথেষ্ট। যদিও বর্তমানের  প্রায় সব স্ক্যানারই ৪২ বিট স্ক্যান করতে পারে তবে সত্যিকার অর্থে এক্ষেত্রে আমাদের ৩০-বিটই যথেষ্ট। সাধারণত ওয়েবের জন্য ৬০০ DPI রেজ্যুলেশনের উপর ইমেজ প্রয়োজন হয়না।

প্যারারাল, USB এবং SCSI পোর্টের স্ক্যানার বাজারে বিদ্যমান। এ সমস্ত ইন্টারফেসের উপর ভিত্তি করে স্ক্যানারের দাম কিছুটা বাড়ে কমে। তবে যেহেতু USB পোর্টের ডাটা ট্রান্সফার রেট প্যারারাল পোর্টের চেয়ে বেশী এবং বর্তমানের প্রায় সকল কম্পিউটারের সাথে এই পোর্টসমূহ থাকে যেহুতু একটি USB পোর্টের স্ক্যানার কেনায় উত্তম। 

তবে আরও ভালো পারফরমেন্সের জন্য SCSI পোর্টের স্ক্যানার কিনতে পারেন। তবে সেজন্য আপনার কম্পিউটার একটি স্ক্যানিং ইন্টারফেস/কার্ড থাকতে হবে। আর আপনার স্ক্যান করার হার যদি একেবারেই কম হয় অর্থাৎ দিনে দু-চারটি ছবি স্ক্যান করার প্রয়োজন পরে সেক্ষেত্রে প্যারারাল পোর্টের স্ক্যানার কিনলেও কোন ক্ষতি নেই। যদিও এর স্ক্যান করার গতি কিছুটা কম, তাতে কি দু-চারটি ছবি স্ক্যান করতে ১০-১৫ সেকেন্ড বেশী লাগলে তা ধর্তব্য নয়। 

Tuesday, February 15, 2022

ইনফরমেশন সিস্টেম Information System

ইনফরমেশন সিস্টেম Information System

 অতি প্রাচীনকাল থেকেই সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের ধরন এবং পদ্বতি স্তরে স্তরে পরিবর্তিত হয়ে আসছে।

কৃষি ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা এবং শিল্পভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার সমান্তরাল অধুনা আমরা রক নতুন সমাজ ব্যবস্থায় পা দিয়েছি। আর এই সমাজ ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে তথ্যভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা যা Information age নামে বহুল পরিচিত। পৃথিবীতে ইনফরমেশন এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান বিষয়। যে দেশের তথ্য ভান্ডার যত বড় হবে এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে সেই তথ্যকে কাজে লাগাতে পারবেন সে দেশই বিশ্ব অর্থনৈতিতে নেতৃত্ব দিবে। 

প্রকৃত পক্ষে ইনফরমেশন সিস্টেম নতুন কোন বিষয় নয়। প্রাচীনকাল থেকেই ইনফরমেশন সিস্টেম চালু ছিল তবে এর জটিলতা ও মেনুয়াল পদ্ধতির কারণে তখন জনপ্রিয় ছিল না। বর্তমানে কম্পিউটার ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে অতি সহজে কম্পিউটার নির্ভর ইনফরমেশন সিস্টেম (Computer Based Information System) CBIS প্রতিষ্ঠা করা যায়। তবে এখনও কিছু মেনুয়াল ইনফরমেশন সিস্টেম Manual Information System চালু আছে।

ডেটা সংগ্রহ, এর সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রসেস, উপস্থাপনা ও আপডেট করে আউটপুট হিসেবে তথ্য সরবারহ করাই হল ইনফরমেশন সিস্টেম। ইনফরমেশন সিস্টেম ইনপুট হিসেবে ডেটা গ্রহণ করে এবং ডেটাকে প্রসেস করে আউটপুট হিসাবে ইনফরমেশন উতপন্ন করে।



বিভিন্ন লেখক বিভিন্নভাবে ইনফরমেশন সিস্টেমকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এই আর্টিকেলে আমি কিছু সংজ্ঞা উল্লেখ্য করছি।

ইনফরমেশন সিস্টেম হল এক সেট আন্তঃসম্পর্কিয় উপাদান যা সংঘটনের সিদ্বান্ত গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য ডেটা সংগ্রহ বা উদ্ধার প্রসেস, সংরক্ষন, ও বন্টন করে থাকে। ম্যানেজার ও কর্মীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমন্ময় এবং নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইনফরমেশন সিস্টেম সমস্যা বিশ্লেষণ, জটিল বিষয় অনুধাবন এবং নতুন পণ্য তৈরিতে সহযোগিতা করে।

Information system can be defined technically as a set of interrelated components that collect or retrieve process, store, and distribute information to support decision making and control in an organization. In addition to supporting decision making, coordination, and control, information systems may also help managers and workers analyze problems, visualize complex subjects, and create new products.

ইনফরমেশন সিস্টেম হল মানুষ, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক,  এবং ডেটার একটি সুসংগঠিত জোট যা ডেটা সংগ্রহ ও রুপান্তর করে প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে। 

An Information system can be any organized combination of people, hardware, software, communications networks, and data resources that collects, transforms, and disseminates information in an organization.

ইনফরমেশন সিস্টেম এমনই একটি কার্য পদ্ধতি যা ডটা সংগ্রহ, প্রেরণ, সংরক্ষণ, পুনররোদ্ধান, ম্যানুপুলেশন এবং প্রদর্শনের কাজের জন্য উৎসর্গকৃত এবং তা অন্যান্য কার্য পদ্ধতিকে সমর্থন করে। 

An information system is a working system whose business process is devoted to capturing, transmitting, storing, retrieving, manipulating and displaying information, thereby supporting work systems.

ফটোশপ সাপোর্টেড ফাইল ফর্মেট - Photoshop Supported File

ফটোশপ সাপোর্টেড ফাইল ফর্মেট - Photoshop Supported File

গ্রাফিক্সের  ফাইল ফরমেট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। কেননা গ্রাফিক্স ফরমেটের তারতম্যের জন্য একি ইমেজ প্রিন্টিং কিংবা ভিজ্যুয়ালাইজেশন ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল প্রদান করে, অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন দেখায়। তাছাড়া সংরক্ষণের সময় ফরমেট নির্বাচনে অজ্ঞানতার জন্য আপনি বিপদেও পরে যেতে পারেন। যেমনঃ-  অনেক ফরমেটই আছে যেগুলো লেয়ার, ট্রান্সপারেন্সি আলফা চ্যানেল স্পট চ্যানেল ইত্যাদি সমর্থন করে না। আপনি যদি ফোটশপে করা কনো ফাইল সেই সমস্ত ফর্মেটে একবার সংরক্ষন করে ফেলেন এবং পরবর্তীতে যদি তা এডিট করার  প্রোয়োজন হয়ে পরে তবে সেক্ষেত্রে আপনি পরবেন বিপদে। কেননা, সে সমস্ত ফরমেটে আপনি লেয়ারগুলোকে আলাদা আলাদা এবং এডিট্যাবল অবস্তায় পাবেন না। সে কারণেই গ্রাফিক্স ফাইল  সংরক্ষণের সময় এ বিষয়টি অত্যান্ত গ্ররুত্বের সাথে খেয়াল রাখতে হবে। তারর উপর প্রিন্টিং বা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু ফরমেট ভালো ফলাফল প্রদান করে। একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে অবশ্যই এই ফরমেট গুলো চেনা জরুরী। 


PSD (Photoshop Format)

Photoshop Document (PSD) ফরমেট হলো ফটোশপের  ডিফল্ড ফাইল ফরমেট। এই ফরমেটের সবচেয়ে বড় ফিচার হলো এটিই একমাত্র ফর্মেট যা ফটোশপের সমস্ত ফিচার সাপোর্ট করে। তবে Large document formet ( PSB ) ফরমেটের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা যায়। তাছাড়া এডোবিপরিবারে অন্যান্য সদস্য (যেমনঃ Adobe Illustrator, Adobe InDesign, Adobe  Premiere, Adobe After Effects এবং Adobe GoLive) ইন্টিগ্রেশন থাকার কারণে খুব সহজেই PSD ফরমেটের ফাইলসমূহকে অনেক ফটোশপ ফিচারকে সংরক্ষিত রেখে এসব প্রোগ্রামে ইমপোর্ট করা যায়। 

BMP File Format 

ডস ( DOS) এবং উইন্ডোজ কম্প্যাটিবল কম্পিউটারসমূহে BMP ফরমেটটি একটি স্ট্যান্ডার্ড ইমেজ ফরমেট। এটি RGB ( RED , GREEN , BLUE ) Indexed Color, Grayscale এবং Bitmap কালার মোড সমর্থন করে। আপনি এ ফরমেটে  Windows বা OS/2 ফরমেট এবং এর পথ নির্ধারণ করে দিতে পারেন। তবে আপনি কেবল ৪ বিট এবং ৮ বিট উইন্ডোজ ফরমেট বিটম্যাপ ইমেজসমূহের ক্ষেত্রে RLE কম্প্রেশন প্রয়োগ করতে পারবেন। 

Ai বা Adobe illustrator 

AI বা এডোবি ইলাস্ট্রেটর ফর্মেটটি মূলত একটি ভেক্টর ফাইল ফরমেট যা এডোবি ইলাস্ট্রেটরের ডিফল্ট ফরমেট। এটি Grayscale, RGB, HSB, CMYK কালার মোড সমর্থন করে। পাশাপাশি একাধিক লেয়ারও সমর্থন করে এই ফরমেটটি. প্রিন্টিং-এর ক্ষেত্রে এটি একটি কমন ফরমেট।  কেননা এটি একটি ভেক্টর উপাদানের জন্য একটি সর্বমাত্রীয় রেজ্যুলেশন ধারণ করতে পারে। 

EPS Encapsulated Postscript

ডিটিপি  বা কমার্শিয়াল আউটপুটের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবরিত আকটি ফরমেট হলো EPS। এটি ভেক্টর এবং রাস্টার ইমেজকে একই সঙ্গে ধারন করতে পারে।  ইপিএস ফরমেট Lab, CMYK, RGB , Index Color, Grayscale, Duotone এবং বিটম্যাপ কালার মোডসমূহ সমর্থন করে। এটি আলফা চ্যানেল সাপোর্ট করে না। তবে এটি ক্লিপিং পাথ সমর্থন করে। এধরণের ফাইল প্রিন্ট করতে আপনার একটি পোস্টস্ক্রিপ্ট প্রিন্টার থাকতে হবে। কোয়ার্ক এক্সপ্রেস ইলাস্ট্রেটর পেজ মেকার, এডোবি ইন ডিজাইন ইত্যাদি সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে এটি একটি রিকমান্ডেড ফরমেট। EPS ফাইল সমূহ আকৃতিতে বেশ বড় হয়।    


Monday, February 14, 2022

YouTube History in Deatils ইউটুব ইতিহাস

YouTube History in Deatils ইউটুব ইতিহাস

 ইউটুব বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফোর্ম। বিশ্ব ব্যাপি প্রায় ২.৩ বিলিয়ন ইউজার নিয়ে গুগলের সব চেয়ে জনপ্রিয় এই সার্ভিসটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর সোসিয়াল প্লাটফর্ম। এছাড়াও সার্স ইঞ্জিন হিসেবে এই ভিডিও প্লাটফর্মটি প্রতি মাসে ৩ বিলিয়নের  বেশি সার্স প্রসেস করে যা Yahho, Aol, Ask, Bing এর সম্মেলিত সার্স এর সমান। এবং সার্স ইঞ্জিনের দিক থেকে ইউটুবের অবস্থান গুগলের ঠিক পরেই। 

ইউজার জেনেরেটেড কন্টেন্ট হিসেবে ইউটুব শির্ষ ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। ইউটুবে প্রতি মিনিটে ৫০০ ঘন্টার ও বেশি কন্টেন্ট আপলোড করা হয়। ইউজার ছাড়াও ব্রান্ড ও বিজনেসের জন্য ইউটুবে বেশ জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। যার ফলে প্রায় ৬২% মার্কেটিং ইউটুবের মাধ্যনেই করা হয়। 

বর্তমানে ইউটুবে ৩৭ মিলিয়নের ও বেশি চ্যানেল রয়েছে। এবং ব্যাবহারকারীরা প্রতিদিন প্রায় ১ বিলিয়ন ঘন্টার ও বেশি ভিডিও দেখে থাকে। 

ইউটুবের শুরুওটা হয় ৩ এক্সপার্ট ব্যাক্তিদের সাহায্যে! যাতে ছিলেনঃ- ছাড হার্লি, স্টিভ চেন, জাওয়েদ করিম। ছাড হার্লি ১৯৭৭ সালের ২৪ জানুয়ারি পেন্সিলভানির রিডিং শহরে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৯৯ সালে পেন্সিলভারনিয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে ছাড হার্লি গ্রাজুয়েশন শেষ করে পেপালে যোগ দেন। সেখানেই তার সাথে ইউটুবের অন্য ২ ফাউন্ডার স্টিভ চেন ও জায়েদ করিম সাথে পরিচিত হয়। 

স্টিভ চেন - ১৯৭৮ সালের ২৫ এ আগষ্ট তাইওয়ানের তাইবি সহড়ে জম্ন গ্রহণ করে। ২০০২ সালে University of Ellinios থেকে কম্পিউটার সাইন্স এর গ্রাজুয়েশন শেষে তিনিও পেপালে যোগ দেন। এছাড়াও ফেসবুকের প্রথম ২০ জন এমপ্লয়ের মধ্যে স্টিভ চেন ছিলেন একজন। তবে কয়েকমাস পরেই তিনি ছাড হার্লি ও জায়েদ করিমের সাথে ইউটুব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফেসবুকের চাকরি ছেড়ে দেন। 

বাংলাদেশি বংশগত জায়েদ করিম - ১৯৮৮ সালের ২৮ অক্টোবর দক্ষিন জার্মানির মার্স প্রাস সহড়ে জন্ম গ্রহণ করেন। University of ellinios থেকে কম্পিউটার সাইন্স পড়াকালীন সময় তিনিও পেপালে যোগ দেন। 

২০০৪ সালে চেড হার্লি, স্টিভ চেন ও জায়েদ করিম একটি ভিডিও ডেটিং ওয়েবসাইট নিয়ে মেনুলি পার্ক কেলিফোর্নিয়ার হার্লি ক্যারেজে কাজ শুরু করে দেয়। এই আইডিয়াটা কিছু ইউজারকে এ্যাট্রাক্ট করলেও তেমন সফলতা পায়নি। তাই নতুন আইডিয়া খুজতে গিয়ে জাওয়াদ করিম খেয়াল করলেন ইন্টারনেটের কোথাও বিভিন্ন ভিডিও যেমন টিউটোরিয়াল, মুভি, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ক ভিডিও গুলো নেই। সেখান থেকেই মূলত ইউজার জেনেরেটেড ভিডিওর পাশাপাশি খুব সহজেই যেনো যে কোন ভিডিও খুজে পাওয়া যাবে এমন একটি প্লাটফর্মের আইডিয়া আসে। 

২০০৫ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি চেড হার্লি CEO হিসেবে ইউটুবের ট্রেডমার্ক, লোগো এবং ডোমেইন রেজিস্ট্রার করে অল্প পরিসরে প্লাটফর্মটিকে লঞ্চ করে। সে বছর এপ্রিলের ২৩ তারিখে জায়েদ করিম নিজে me at the zoo নামে একটি ১৮ সেকেন্ডের পরিক্ষা মূলক ভিডিও আপলোড করেন। এবং এটি ইউটিউবে পাবলিশ করা সর্ব প্রথম ভিডিও। সেপ্টেম্বরে ভেনশর ক্যাপিটাল ফার্মা সেক্লো ক্যাপিটালইজ থেকে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন A রাউন্ড সিরিজের ইনভেস্ট সংগ্রগ করে ইউটুব। 




Friday, February 11, 2022

What is imo? imo history in bangla! ইমুর ইতিহাস

What is imo? imo history in bangla! ইমুর ইতিহাস

 IMO ইন্সটেন্ট মেসেজিং এর বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফ্রি অডিও ভিডিও কলিং এর একটি ফ্রী মাল্টি প্লাটফোর্ম এ্যপ। BBC এর একটি তথ্য সুত্রে বিশ্ব ব্যাপি ১৫০ টিরো বেশি দেশ জুড়ে ২০০ মিলিয়নের ও বেশি মানুষ IMO (ইমু) ব্যাবহার করে। যার মধ্যে মধ্য প্রাঞ্চ ও এশিয়া মহাদেশে অন্যতম মার্কেট।  

বর্তমানে অ্যাপটিতে মোট ২০ টি ভাষা ব্যাবহার করা যায়। DhakaTribune এর একটি তথ্য সুত্রে ২০২১ সালেই IMO (ইমু) বাংলাদেশি ব্যাবহারকারীরা ৯৬ বিলিয়ন মেসেজ ও ২৬ বিলিয়ন অডিও ভিডিও কল করেছে। যদিও IMO সাইং আপ ও মেসেজিং এবং অডিও ভিডিও কলিং এর মত সার্ভিস ব্যাবহার করার জন্য কোন প্রকার চার্জ করা হয়না। 

ইমুর ইতিহাস

২০০৫ সালে একদিন থ্রুজিয়েন্স ও তার ভাই এবং জরজেস হ্যারিকের হাত ধরেই US এর California তে ইন্সটেন্ট ম্যাসেজিং IMO (ইমু) এর যাত্রা সুরু করে। এর আগে জরজেস হ্যারিক ১৯৯৯ সাল থেকে গুগলে কাজ করেছিলেন এবং র‍্যালফ হেরিফ Oracle এ কর্মরত ছিলেন। গুগলে থাকা কালিন Gmail, Picasa, Talk, Google Adsense, Adword এর মত অনলাইন প্রযুক্তির সাথে জড়িত থাকার ফলে এ্যন্ড্রয়েডের উপর জরজেস বেশ এক্সপিরিয়েন্সড (Experienced) ছিলেন। গুগলে চাকরির মধ্য দিয়ে জরজেস ইন্সটেন্ট ম্যাসেজিং এ্যাপলিকেশনের ভবিশ্যৎ নিয়ে বেশ আশা বাদি ছিলেন। এবং তিনি তার ভাইকে উৎসাহিত করেন একটি ইউজার ইন্টারফেসের অধিনে মাল্টিপল ইন্সটেন্ট ম্যাসেজিং  এ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহার করতে সক্ষম এমন একটি ওয়েব বেসেড এ্যাপ ডেভলপ করতে। সে সময় ম্যাসেজিং সার্ভিস গুলো সুধু Windows, Mac এর জন্যই ডেভলপ করা হত। ফলে লিনাক্স অপারেটিং ব্যাবহার কারিরা ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং এ্যপলিকেশন গুলা এ্যক্সেস করতে পারতোনা। মূলত অপারেটিং সিস্টেম যাই থাকুক না কেন ব্যাবহার কারীরা যেন একটি প্লাটফোর্ম থেকেই সকল ধরনের ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং প্লাটফোর্ম ব্যাবহার করতে পারে।

এই জন্যই IMO (ইমু) কে একটি ওয়েব ভিত্তিক এ্যাপ্লিকেশনে ডেভেলপ করা হয়েছিল। কিন্তু IMO (ইমু) এমন একটি ওয়েব ভিত্তিক এ্যাপ ছিলো যা সব OS ইউজার IMO এর ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং এর পাশা পাশি সকল ধরনের ম্যাসেজিং প্ল্যাটফোর্ম ব্যাবহার করা যেতো। এরপর তারা ধীরে ধীরে IMO (ইমু) Development এর কাজ করতে থাকে। এবং এ্যাপটিতে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ইয়াহু ম্যাসেজ ও গুগল টক সহ স্কাইপ এর মত জনপ্রিয় ম্যাসেজিং প্লাটফোর্ম এ্যাড করেন। 

২০১০ সালে 10.3 Million USD A সিরিজের ফান্ডিং ও ২০১৩ সালে CO-Founder জরজ হ্যারিকের কাছ থেকে 13.3 Million USD B Round ফান্ডিং পায় IMO (ইমু)।  একি বছরে IMO একটি ব্রডকাস্টিং সিস্টেম লঞ্চ করেছিল যাতে ছিলো নির্দিষ লোকেশনে থাকা ব্যাবহার কারিরা একে অপরের সাথে চ্যাট করতে পারতো। 

2013 সালে IMO (ইমু) ৫০ মিলিওন ম্যাসেজ ও ৭ লাখ ৫০ হাজার এ্যাক্টিভ ভিজিটর ও ৭ মিলিইয়ন ডাউনলোড করে রেকর্ড করেছে। পরের বছর IMO (ইমু) একটি মারটি প্লাটফোর্ম ভিডিও কলিং সার্ভিস চালু করে। যদিও ২০১৪ সালের মার্চ মাসে IMO (ইমু) এর সকল থার্ড পার্টির ম্যাসেজিং সাপোর্ট বন্ধ করার ঘোষনা দেয় এবং নিজেদের Instant Messaging ও Instant Calling এর দিকে ফোকাস করতে থাকে। ১০১৮ সালে কম্পানিটি ৫০০ মিলিয়ন ডাউনলোডের মেইল ফলক অতিক্রম করে। 

সব মিলিয়ে ইমু দেশ বিদেশে যোগাযোগের জন্য জনপ্রিয় একটি মাধ্যম!