Showing posts with label how to. Show all posts
Showing posts with label how to. Show all posts

Sunday, January 7, 2024

বাইনারি যোগ বিয়োগ Addition and Subtraction in Binary System

বাইনারি যোগ বিয়োগ Addition and Subtraction in Binary System

বাইনারি সংখ্যা আমাদের পরিচিত দশমিক সংখ্যার মতোই একটি সংখ্যা পদ্ধতি। পার্থক্যটুকু হচ্ছে যে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ভিত্তি 10 এবং বাইনারিতে ভিত্তি 2।

কাজেই দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে আমরা যেভাবে যোগ এবং বিয়োগ করতে পারি দশমিক পদ্ধতিতেও হুবহু সেভাবে যোগ এবং বিয়োগ করতে পারব।  যেমনঃ- 

তবে যেহেতু বাইনারি সংখ্যার সবচেয়ে বড় ব্যবহার ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে তাই বাইনারি যোগ এবং বিয়োগের প্রয়োগের জন্য আলাদা কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সাধারণ সংখ্যা যোগ-বিয়োগের বেলায় আমাদের কখনোই আমরা কত অঙ্কের সংখ্যা যোগ কিংবা বিয়োগ করছি সেটি আগে থেকে জানার প্রয়োজন হয় না কিন্তু ইলেকট্রনিক সার্কিট ব্যবহার করে বাইনারি যোগ-বিয়োগ করার সময় কত অঙ্কের সংখ্যা যোগ করছি আগে থেকে জানতে হয়। কারণ সার্কিটটি যতগুলো বিট ধারণ করতে পারবে সংখ্যাটিতে তার থেকে বেশি সংখ্যক অঙ্ক থাকলে সেটি ব্যবহার করা যায় না। শুধু তাই নয় যোগ করার পর বিটের নির্ধারিত সংখ্যা থেকে বিটের সংখ্যা বেড়ে গেলে সেটিও সঠিকভাবে ফলাফল দেবে না। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে যেহেতু দুটি ভিন্ন ভিন্ন ভোল্টেজ দিয়ে বাইনারি 0 এবং 1 অঙ্ক দুটি দিয়ে প্রকাশ করা হয় তাই যাবতীয় গাণিতিক অঙ্কও এই অঙ্ক দুটো দিয়েই প্রকাশ করতে হবে।

অনেকে মনে করতে পারে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স করার জন্য বাইনারি সংখ্যা দিয়ে যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং ভাগ এই প্রত্যেকটি প্রক্রিয়াই করার ব্যবস্থা থাকতে হয়। আসলে একটি সংখ্যাকে নেগেটিভ করা এবং যোগ করার সার্কিট থাকলেই অন্য সব গাণিতিক প্রক্রিয়া করা যায়। কোনো একটি সংখ্যা বিয়োগ করতে হলে সংখ্যাটিকে নিগেটিভ করে যোগ করতে হবে। সংখ্যা দিয়ে গুণ করার পরিবর্তে সেই নির্দিষ্ট সংখ্যক বার যোগ করলেই হয়। বার বার বিয়োগ করে ভাগের কাজ চালিয়ে নেয়া যায়। তাই আমরা দেখব একটি সংখ্যাকে নেগেটিভ করার একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি জানা থাকলে শুধু যোগ করার সার্কিট দিয়ে আমরা বিয়োগ, গুণ, এবং ভাগও করতে পারব।

চিহ্নযুক্ত সংখ্যা Signed Numbers

একটি বাইনারি সংখ্যাকে পজেটিভ বা নেগেটিভ হিসেবে দেখানোর একটি সহজ উপায় হচ্ছে MSB টিকে সাইনের জন্য নির্ধারিত করে রাখা। যদি সেটি ০ হয় তাহলে বুঝতে হবে সংখ্যাটি পজেটিভ আর যদি সেটি 1 হয় তাহলে বুঝতে হবে সংখ্যাটি নেগেটিভ। কাজেই ৪ (আট) বিটের একটি সংখ্যার জন্যে 7টি বিট দিয়ে সংখ্যার মান প্রকাশ করা হবে এবং অষ্টম বিটটি সংখ্যার সাইন প্রকাশ করার জন্য আলাদাভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এভাবে সংখ্যা প্রকাশ করার সময় আরো একটি বিষয় সবসময় মেনে চলতে হয়। সংখ্যাগুলোর বিট সংখ্যা সবচেয়ে পরিপূর্ণ রাখতে হবে -এর মাঝে ফাঁকা অংশ থাকতে পারবে না। আট বিটের সংখ্যায় +1 লেখার সময় 01 লেখা যাবে না, 0000001 লিখতে হবে। প্রথম ০টি বোঝাচ্ছে সংখ্যাটি পজেটিভ, পরের সাত বিট দিয়ে 1 লেখা হয়েছে। একইভাবে 1 লিখতে হলে 11 লেখা যাবে না 10000001 লিখতে হবে। প্রথম 1টি বোঝাচ্ছে সংখ্যাটি নেগেটিভ পরের সাতটি বিট দিয়ে সংখ্যার মান (1) প্রকাশ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে কিছু পজিটিভ এবং নিগেটিভ সংখ্যা লিখে দেখানো হলোঃ
এই পদ্ধতিতে সংখ্যাকে পজেটিভ এবং নেগেটিভ হিসেবে প্রকাশ করায় একটি গুরুতর সমস্যা আছে। সমস্যাটি বোঝার জন্য আমরা নিচে চার বিটের দুটি সংখ্যা লিখছি, এক বিট সাইনের জন্য, বাকি তিন বিট মূল সংখ্যাটির মান বোঝানোর জন্যঃ 0000 এবং 1000

বোঝাই যাচ্ছে প্রথম সংখ্যাটি +0 এবং দ্বিতীয়টি -0 কিন্তু আমরা সবাই জানি, শূন্য (0) সংখ্যাটির পজেটিভ এবং নেগেটিভ হয় না- কিন্তু এই পদ্ধতিতে +0 এবং -0 মেনে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। +0 এবং -0 এর অস্তিত্বটি কম্পিউটারে জটিল হিসেবে অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।


২-এর পরিপূরক 2's Complement

সাইন বিট দিয়ে সংখ্যার পজেটিভ এবং নেগেটিভ প্রকাশ করার জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি চমৎকার পদ্ধতি রয়েছে। সেটি হচ্ছে 2 -এর পরিপূরক (2's complement) বিষয়টি বোঝার আগে আমরা নেগেটিভ সংখ্যা বলতে কী বোঝাই সেটি বুঝে নেই। একটি সংখ্যার সাথে যে সংখ্যাটি যোগ করলে যোগফল শূন্য হবে সেটিই হচ্ছে তার নেগেটিভ সংখ্যা। কাজেই আমাদেরকে কোনো একটি বাইনারি সংখ্যা দেওয়া হলে আমরা এমন আরেকটি বাইনারি সংখ্যা খুঁজে বের করব, যেটি যোগ করলে যোগফল হবে শূন্য।

আমরা আট বিটের একটি বাইনারি সংখ্যা দিয়ে শুরু করি। ধরা যাক সংখ্যাটি 10110011। এবারে আমরা সংখ্যাটির 1 -এর পরিপূরক (1's complement) নিই অর্থাৎ প্রত্যেকটি 1 কে 0 দিয়ে এবং ০ কে 1 দিয়ে পরিবর্তন করে নিইঃ

এই বাইনারি সংখ্যাটি হচ্ছে আট বিটের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর সাথে 1 যোগ করা হলে সংখ্যাটি আর আট বিটে সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটি হবে ও বিটের একটি সংখ্যা।
আমরা যেহেতু ৪ (আট) বিটের সংখ্যার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই, তাই নবম বিটকে উপেক্ষা করে আমরা বলতে পারি সংখ্যাটি ০০০০০০০০ বা শূন্য। যেহেতু একটা সংখ্যার সাথে শুধু তার নেগেটিভ সংখ্যা যোগ করা হলেই যোগফল হিসেবে আমরা শূন্য পাই, তাই আমরা বলতে পারি যে কোনো বাইনারি সংখ্যার 1 কে ০ এবং ০ কে 1 দিয়ে পরিবর্তন করে (বা 1 এর পরিপূরক নিয়ে) যে সংখ্যা পাব তার সাথে 1 যোগ করে নেয়া হলে সেটি মূল বাইনারি সংখ্যার নেগেটিভ হিসেবে কাজ করবে। এই ধরণের সংখ্যাকে বলা হয় মূল সংখ্যাটির ২-এর পরিপূরক।

আমরা এখন 10110011 -এর নিগেটিভ অথবা 2 -এর পরিপূরক বের করতে পারিঃ
কাজেই আমরা বলতে পারি, আট বিটের একটি সংখ্যা হিসেবে 01001101 হচ্ছে 10110011 এর নেগেটিভ। একটি সংখ্যাকে একবার নেগেটিভ করে আবার সেটিকে নেগেটিভ করা হয় তাহলে আমরা আগের সংখ্যাটি ফিরে পাব। আমরা আমাদের এই উদাহরণটিতে সেটি পরীক্ষা করে দেখতে পারি। 01001101কে আবার 2- এর পরিপূরক করা হলে আমরা পাবঃ
আমরা সত্যি সত্যি মূল সংখ্যাটি ফিরে পেয়েছি, অর্থাৎ 01001101 এবং 10110011 হচ্ছে একটি আরেকটির নেগেটিভ।

এবারে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের বিবেচনা করতে হবে। আমরা 2 -এর পরিপূরক বের করে যে কোনো বাইনারি সংখ্যাকে তার নেগেটিভ করতে পারব, কিন্তু মূল বাইনারি সংখ্যাটি শুরুতে কত ছিল সেটি কি আমরা জানি? যেমন ধরা যাক 1001 একটি চার বিটের বাইনারি সংখ্যা (যার দশমিক মান হচ্ছে 9), খুব সহজেই আমরা দেখাতে পারি 0111 হচ্ছে এর 2 -এর পরিপূরক (যার দশমিক মান হচ্ছে 7)। অর্থাৎ এই সংখ্যাদুটি একে অপরের 2 -এর পরিপূরকঃ

তাহলে আমরা প্রশ্ন করতে পারি, চার বিটের একটি সংখ্যা হিসেবে আমরা কি 1001 কে +9 ধরে নিয়ে এর 2 -এর পরিপূরক হিসেবে 0111কে -9 ধরে নেব? নাকি 0111কে +7 ধরে নিয়ে 2এর পরিপূরক হিসেবে 1001কে -7 ধরে নেব? এই বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পাবার জন্য একটি নিয়ম মেনে চলা হয়। নিয়মটি হচ্ছে MSB যদি 0 হয় শুধু তাহলেই সংখ্যাটি পজেটিভ হবে এবং বাইনারি সংখ্যাটি প্রকৃত মান দেখাবে। MSB যদি 1 হয় তাহলে সংখ্যাটি নেগেটিভ এবং শুধু ২-এর পরিপূরক নিয়ে তার প্রকৃত পজেটিভ মান বের করা যাবে।

এই পদ্ধতিতে কিছু সংখ্যার নেগেটিভ রূপ বের করে দেখানো হলোঃ



ধন্যবাদ আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। 

আরো পড়ুন

Wednesday, December 27, 2023

উইন্ডোজ সিস্টেমে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করে কিভাবে? কম্পিউটারে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করা শিখুন

উইন্ডোজ সিস্টেমে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করে কিভাবে? কম্পিউটারে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করা শিখুন

কম্পিউটারে সময় ও তারিখ কিভাবে ঠিক করে? কম্পিউটারের তারিখ ও সময় পরিবর্তন করা শিখুন, কম্পিউটারের সময় ঠিক করে কিভাবে? কম্পিউটারের টাইম ঠিক করে কিভাবে? How to change date & time in computer

কম্পিউটারের সময় ও তারিখ পরিবর্তন

সাধারণত কম্পিউটারে ঘন ঘন সময় ও তারিখ পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়না। তবে কখনও যদি মাদারবোর্ডের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে নতুন ব্যাটারি সংযোজনের সময়, অপারেটিং সিস্টেমের সময় ও তারিখ ঠিক করে নিতে হয়। আবার অনেক সময় ব্যবহারকারীকে নিজের সুবিধামত সময় ও তারিখ সেট করতে হয়। আজকের আর্টিকেলে আমরা শিখাবো কিভাবে আপনি কম্পিউটারের সময় ও তারিখ পরিবর্তন করতে পারেন।

কম্পিউটারে টাইম ঠিক করে কিভাবে

যেহুতু আমরা কম্পিউটারের সময় ঠিক করা বা পরিবর্তন করা শিখবো তাই আমাদের প্রয়োজন পরবে একটি কম্পিউটারের। এবং যেই কম্পিউটারের সময় ও তারিখ পরিবর্তন করবেন সেই কম্পিউটারে কি কি জিনিস থাকা লাগবে তার একটি লিস্ট দিলাম।

১. হার্ডওয়্যারঃ একটি কম্পিউটার
২. সফটওয়্যারঃ অপারেটিং সিস্টেম (উইন্ডোজ ১১ / উইন্ডোজ ১০ / উইন্ডোজ ৮ / উইন্ডোজ ৭)
৩. ব্যবহারঃ কম্পিউটারে সময় ও তারিখ সফলভাবে পরিবর্তন করতে নিচে স্টেপ গুলো ফলো করতে হবে।

বিঃদ্রঃ আমি আজকের এই আর্টিকেলে উইন্ডোজ ১১ - দিয়ে কিভাবে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করতে হয় তা দেখানোর চেষ্টা করেছি। তবে সেম পদ্ধতিতে আপনি উইন্ডোজের আপডেট ভার্শনগুলোতে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করতে পারেন। (Windows XP ছাড়া)

ধাপ-১ঃ কম্পিউটারের সময় ও তারিখ দেখা

কম্পিউটার রিস্টার্ট দেওয়ার পর কম্পিউটার অন হলে ডান পাশে দেখতে পাবেন সময় এবং তার নিচে তারিখ রয়েছে।

যদি আপনার সময় বা তারিখ ঠিক না থাকে তাহলে আপনি নিচে ধাপগুলো অনুস্বরণ করতে পারেন।

Thursday, December 14, 2023

ডেটাবেজ কিভাবে তৈরি করা হয়? How to Create Database

ডেটাবেজ কিভাবে তৈরি করা হয়? How to Create Database

ডেটাবেজ কিভাবে তৈরি করা হয়? কিভাবে ডেটাবেস তৈরি করবেন? How to create a Database? "CREATE" কুয়েরি দিয়ে কিভাবে ডেটাবেস তৈরি করা হয়? আজকের আর্টিকেল সম্পুর্ন পড়লে আপনি নিজেই ডেটাবেস তৈরি করতে পারবেন। Database,What is,ডেটাবেজ কি, ডেটাবেজ কাকে বলে, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিজিটর। আজকের টপিক তা ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গেছেন। ডেটাবেস কিভাবে তৈরি করা হয় তার আগে আমরা ডেটাবেসের বেসিক কিছু বিষয় জেনে নেই। 

ডেটাবেজ কি?

ডেটাবেজ হচ্ছে এক ধরনের তথ্য ভান্ডার যেখানে অগনিত ডেটা থাকে। যা কম্পিউটার স্টোরেজে ডেটাবেজ আকারে তথ্য উপাত্ত সঞ্চিত থাকে। এবং এই ডেটাগুলো এক্সেস করার জন্য রয়েছে ডেটাবেস ল্যাঙ্গুয়েজ। ডেটাবেজ স্বাধারনত ২ ধরনের একটি হচ্ছে টেবিল ফরমেটে কাজ করে যেটাকে SQL বলে সবাই চিনে থাকে। অপরটি হচ্ছে No-Sql যেটা টেবিল ফরমেটে থাকেনা বরং ডকুমেন্ট আকারে থাকে যেমন MongoDB। ডেটাবেজের ধরণ অনুযায়ী আলাদা আলাদা ভাষা ব্যবহার করা হয়। তবে আমরা আজকে শিখবো SQL Language দিয়ে ডেটাবেস তৈরি করা। 

ডেটাবেজ কিভাবে তৈরি করে?

নিচের ধামগুলো মানলেই আপনি ডেটাবেস তৈরি করতে পারবেন।

ধাপ ১: ডেটাবেজ ডিজাইন করা

ডেটাবেস তৈরি করার আগে, ডেটাবেজ ডিজাইন করতে হবে। ডেটাবেস ডিজাইনের মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে আপনি কি ধরনের ডেটা সংরক্ষণের করতে চান সেই অনুযায়ী জেনো ডেটাবেসে ডেটা এন্ট্রি করাতে পারেন। 

ধাপ ২: টেবিল তৈরি করা

ডেটাবেসে তথ্য সংরক্ষণের জন্য আপনাকে টেবিল তৈরি করতে হবে। আপনি যত ইচ্ছা তত টেবিল তৈরি করতে করতে পারেন তবে আপনার তথ্য ইনপুট কি কি হবে সেই অনুযায়ী টেবিল বানাতে হবে।

ধাপ ৩: স্কিমা ডিফাইন করা

প্রতিটি টেবিলে কোন কোন ফিল্ড থাকবে তা নির্ধারণ করতে হবে এবং এটা করার জন্য আপনি স্কিমা ডিফাইন করতে পারেন। স্কিমা হচ্ছে  প্রতিটি ফিল্ডের ধরণ, মান, ইনডেক্স, ডেটাটাইপ ইত্যাদি।

ধাপ ৪: ডেটাবেজ তৈরি করা

এবার SQL কোড ব্যবহার করে ডেটাবেস তৈরি করতে পারেন। কোড দেখে একদম ঘাবরাবেন না। আমি পরবর্তীতে সব এক্সপ্লেইন করে দিবো কোন লিখাটার জন্য কি ধরনের কাজ হয়। নীচে আমি সাধারণ এক লাইন কোড লিখে দিয়েছি যা লিখলে একটি ডেটা বেস তৈরি হবে আপনার সার্ভারে।
CREATE DATABASE your_database_name;
CREATE DATABASE এটা যেহুতু SEQUEL এখানে `your_database_name` হলো আপনার ডেটাবেসের নাম।

ধাপ ৫: টেবিল তৈরি করুন

টেবিল তৈরি করার জন্য নীচের মতো একটি SQL কোড ব্যবহার করতে পারেন:
CREATE TABLE your_table_name (
    column1 datatype1,
    column2 datatype2,
    column3 datatype3,
    ...
);
এখানে `your_table_name` হলো আপনার টেবিলের নাম, এবং `column1`, `column2`, `column3` হলো আপনার টেবিলের ফিল্ড গুলির নাম। `datatype1`, `datatype2`, `datatype3` হলো প্রতিটি ফিল্ডের ধরণ, যেমন `INT`, `VARCHAR`, `DATE` ইত্যাদি।

এই ভাবে, আপনি একটি বেসিক ডেটাবেজ তৈরি করতে পারবেন। এরপর, আপনি আপনার ডেটাবেসে ডেটা বা তথ্য ইনপুট করতে পারবেন এবং রিট্রিভ করতে করতে পারেন SQL কোড ব্যবহার করে।

কিভাবে ডেটা রিট্রিভ করতে হয় তা জানতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং কোন কোড বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন মতামত।
ডেটাবেজ সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন

ডেটাবেজ সম্পর্কে নিত্য নতুন তথ্য জানতে ও জানাতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন নিচের কন্টাক্ট ফর্মের মাধ্যমে।

ডেটাবেজ কি? ডেটাবেজ কিভাবে তৈরি করা হয়? এই নিয়েই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেলটি। যদি কারো কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।😊




Thursday, August 31, 2023

কিভাবে ট্রেনের পুরো একটি কোচ রিজার্ভ করবেন?

কিভাবে ট্রেনের পুরো একটি কোচ রিজার্ভ করবেন?

বছরের প্রায় শেষের দিকে শুরু হয় পিকনিক ও বিয়ের সিজন। আমাদের অনেকেরই তখন মনে হয়-পুরো কোচটি রিজার্ভ করতে পারলে ভালো হতো। রেলওয়ে কিন্তু সেই সুযোগ রেখেছে! তবে তার জন্য আপনাকে অফিশিয়ালি এগোতে হবে এবং অবশ্যই মাসখানেক সময় হাতে রেখে।

প্রথমে, পারিবারিক ভ্রমণ বা অফিশিয়াল ভ্রমণ সেটি জানিয়ে একটি দরখাস্ত প্রস্তুত করুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের প্যাডে হতে হবে সেটি। তাতে উল্লেখ থাকতে হবে যে বিষয়গুলোঃ- ট্রেনের নাম ও নম্বর, কবে, কোন শ্রেণির কতটি টিকেট। যিনি টিকেটগুলো কালেক্ট করবেন তার পরিচয় ও মোবাইল নম্বর অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে তাতে। খুবই সিম্পল একটি এপ্লিকেশন যথেষ্ট। তারপরেও যাদের প্রয়োজন হতে পারে তাদের জন্য আমার এই কপিটি সংযুক্ত করে দিলাম, কিছুটা ঢেকেঢুকে। 

এবার কমপক্ষে ১৫-২০ দিন আগে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে। আপনি যদি ঢাকায় থাকেন, তাহলে রেলভবনে দরখাস্তটি জমা দিবেন “এডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল/অপারেশন” বরাবরে। তিনি এটি ফরোয়ার্ড করবেন চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার/পূর্ব অথবা পশ্চিম বরাবরে। তবে আপনি যদি চট্টগ্রাম বা রাজশাহীতে থাকেন, তবে সরাসরি এড্রেস করে জমা দিতে পারবেন সিসিএম/পূর্ব অথবা পশ্চিম অফিসে যথাক্রমে।

আপনি যেখানেই এপ্লিকেশনটি জমা দিন না কেন, এবার বলে দেয়া তারিখ মোতাবেক আপনাকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। কারন এবার আপনার জন্য একটি অনুমতিপত্র ইস্যু করা হবে সিসিএম সাহেবের অফিস থেকে এবং আপনাকে সেটি কালেক্ট করতে হবে। সাধারনত সেটির একটি কপি আপনাকে এবং আরেকটি কপি স্টেশন ম্যানেজার বা স্টেশন সুপারিনটেন্ডেন্টদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সাধারনতঃ কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়, তবে আপনার অনুরোধে হাতে হাতেও সেটি পাবার সুযোগ রয়েছে। 

নির্ধারিত তারিখে সেটি কালেক্ট করে নিয়ে এবার চলে যাবেন রেলস্টেশনে স্টেশন ম্যানেজার/সুপারিনটেন্ডেন্টের কাছে। তার নির্দেশনা আপনাকে অনুসরন করতে হবে। খেয়াল রাখবেন, যিনি টিকেট কালেক্ট করবেন মর্মে এপ্লিকেশনে নাম্বার দিয়েছিলেন, তিনিই যেন উপস্থিত থাকেন তখন। তো আপনি নির্ধারিত দিন ও সময়ে তার নির্দেশিত কাউন্টারে পুরো টাকা জমা দিয়ে আপনার জন্য বরাদ্দকৃত আসনগুলোর বিপরীতে টিকেট সংগ্রহ করবেন।

অন্যান্য দিন আপনি চাহিদার সব কয়টি টিকেটই পাবেন আশা করা যায়, তবে বৃহস্পতিবার ও রবিবার এবং এরকম ছুটির পাল্লা থাকলে রাতের ট্রেনে আপনার ডিমান্ডের সকল টিকেট নাও দেয়া হতে পারে। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছিল তা হলো আমি এসি কেবিন কোচ চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে দেয়া হয়েছিল ননএসি কেবিন কোচ। আমি আবারও বলছি  আপনার ক্ষেত্রে সেরকম নাও হতে পারে, এবং এসব ক্ষেত্রে রেলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। 

সবশেষ অনুরোধ থাকবে, সদলবলে ভ্রমণ করলে দয়া করে কোচের চেয়ার-টেবিলের কোন রকম ক্ষতি করবেন না। কোনো রকম উছশৃঙ্খলতা করে সহযাত্রীদের বিড়ম্বনা তৈরী করবেন না। এটেনডেন্টকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন। রাতের ট্রেনের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন। 

ধন্যবাদ। নিরাপদ ও আনন্দময় ভ্রমণের জন্য রেলের থেকে বেস্ট আর কিছু হতে পারে না।

Tuesday, August 29, 2023

পাসপোর্ট করার উপায় : কোথায় করবেন, কি লাগবে? পাসপোর্ট করার নিয়ম

পাসপোর্ট করার উপায় : কোথায় করবেন, কি লাগবে? পাসপোর্ট করার নিয়ম

বিদেশ ভ্রমণে প্রথমে যে জিনিসটা প্রয়োজন তা হল “পাসপোর্ট”। এই পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া অনেকের কাছে বেশ জটিল মনে হলেও আসলে এত জটিল কিছু নয়। দেশে ই-পাসপোর্ট চালুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। তাই প্রচলিত এমআরপি MRP (Machine Readable Passport) পাসপোর্টই সবার জন্য প্রযোজ্য। আর আজকের এই আর্টিকেল তাদের জন্য যারা প্রথম পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন।


পাসপোর্ট করার ধাপসমূহঃ পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ আছে যা ক্রমান্বয়ে নিচে দেওয়া হল-  

পাসপোর্ট করার নিয়ম

১) পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

২) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা

৩) পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ

৪) পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা

৫) আবেদন ফর্ম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া

৬) পাসপোর্ট টোকেন সংগ্রহ ও পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা

৭) পুলিশ ভেরিফিকেশন

৮) পাসপোর্ট সংগ্রহ করা

১. পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

পাসপোর্টের প্রথম কাজ শুরু হয় পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে। পাসপোর্টের ফি দুই ভাবে জমা দেওয়া যায়। আপনি যদি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে ফি জমা দিতে হবে ব্যাংকে। যদি আপনি সরাসরি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে অনলাইনে আবেদন পক্রিয়া শেষে সেখান থেকেই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার অপশন আছে। পাসপোর্ট ফি বা খরচ কত তা নির্ভর করে কতদিনের ভিতর আপনি পাসপোর্ট পেতে চান তার উপর। MRP পাসপোর্ট পাওয়ার জন্যে দুই ধরণের সুযোগ আছে। একটা হচ্ছে সাধারণ পাসপোর্ট যা পেতে আপনাকে কমপক্ষে ২১ দিন অপেক্ষা করতে হবে (সর্বমোট ৩৪৫০ টাকা ফি) এবং আরেকটি হচ্ছে জরুরী পাসপোর্ট যা আপনি ৭ দিন পর পাবেন (সর্বমোট ৬,৯০০ টাকা ফি)। আপনি কোন ধরণের পাসপোর্ট পেতে চান সেই মত আপনাকে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে।

১.১ ব্যাংকে ফি জমা দেওয়া

অফলাইনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের দ্বারা নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে হবে। ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্টের টাকা জমা দিবেন এটা বললেই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্লিপ দিবে। স্লিপে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে স্লিপ সহ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। টাকা জমা হবার পর একটি রশিদ পাবেন যার দুইটি পার্ট থাকে। এক পার্ট কাস্টমার কপি যা নিজের কাছে থাকবে আর আরেক পার্ট পাসপোর্ট অফিসের কপি যা পাসপোর্ট আবেদন ফর্মের উপর আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন –

যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করাবেন সে এলাকার ব্যাংকের শাখায় টাকা জমা দেওয়া ভালো।

স্লিপে যেভাবে নাম লিখবেন পাসপোর্টেও সেই একই নাম হবে তা না হলে পেমেন্ট ভেরিফিকেশনে ঝামেলা হবে।

টাকা জমা দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে অবশ্যই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে তা না হলে ৬ মাস পার হলে আবার নতুন করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।

মানি রিসিটের ট্রানজেকশন নাম্বারটি কোথাও টুকে রাখুন এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

রিসিটে কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকে যা পরবর্তীতে পাসপোর্টের ফর্মের জন্য কাজে লাগবে তাই রিসিটের নির্দেশনা গুলো ভালো ভাবে পড়বেন।

আর যে যে ব্যাংকে পাসপোর্ট করার টাকা জমা দিতে পারবেন তা হল-  

১. সোনালি ব্যাংক

২. প্রিমিয়ার ব্যাংক

৩. ব্যাংক এশিয়া

৪. ট্রাস্ট ওয়ান ব্যাংক

৫. ঢাকা ব্যাংক

৬. ওয়ান এশিয়া

তবে সোনালি ব্যাংকের ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু শাখাতেই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। পাসপোর্ট অফিস থেকেই এই ব্যাপারে জানতে পারবেন। আর অন্যান্য ব্যাংকের যেকোনো শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন।

১.২ অনলাইনে আবেদন শেষে ফি জমা দেওয়া

অনলাইনে পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, www.passport.gov.bd এর সাইটে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করে শেষের দিকে বিভিন্ন ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে (যেমন ব্যাংকের কার্ড, বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে) পেমেন্ট করতে পারবেন। আর খুব সামান্য কিছু চার্জ ব্যাংক তাদের ফি হিসেবে ( ৩-৫ টাকা) কেটে রাখে। এই ক্ষেত্রে টাকা পে করার পর একটি চালান ফর্ম পাবেন। এই ফর্মটি এক পেজে দুইটা প্রিন্ট করে একটা নিজের জন্য ও অন্যটা পাসপোর্ট ফর্মের জন্য ব্যবহার করবেন।

অনলাইন পাসপোর্ট পূরণ

২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দরকারী বিষয় হল প্রয়োজনীয় কাগজ রেডি করা। অনেক সময় পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার পর দেখা যায় সব ডকুমেন্ট ঠিকভাবে রেডি করা নেই সেই ক্ষেত্রে বাড়তি অনেক ঝামেলা হয় আর পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতেও দেরি হয়ে যায়। তাই পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার আগেই সব ডকুমেন্ট ঠিকমতো আছে কিনা তা চেক করে দেখা উচিত। যে সব ডকুমেন্ট লাগবে পাসপোর্ট করার জন্য- 

পাসপোর্ট ফর্ম ২ কপি (তবে সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং ১৫ বছরের কম বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে একটি ফর্ম)

সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি

ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপির সত্যায়িত কপি। তবে যাদের NID কার্ড নেই বা ১৮ বছরের নিচে বয়স তাদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপির সত্যায়িত ফটোকপি। তবে বর্তমানে ১৮ বছর হলে অবশ্যই NID কার্ড লাগবে।

পেশাগত সার্টিফিকেটের ফটোকপির সত্যায়িত কপি

সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ব্যাক্তির কর্মস্থল থেকে ইস্যু করা NOC (No Objection Certificate) বা জিও GO ( Govt. Order) জমা দিতে হবে।

৩. পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ

দুই ভাবে পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড বা সংগ্রহ করে নিজে নিজে হাতে পূরণ করে। অথবা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে।

৩.১ অফলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ

এই ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্টের ফর্ম চাইলে অফিস থেকে তা বিনামুল্যে দিয়ে দিবে, আবার www.passport.gov.bd এই লিঙ্কের Download Form অপশনে গিয়ে DIP Form 1 ফর্ম ওপেন করে PDF ফরম্যাটে ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন।

৩.২ পাসপোর্ট ফর্ম

হাতে লিখে ফর্ম ফিল আপ করার সময় খুব সাবধানে করবেন তাই কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখলে ভালো তাতে লেখার সময় কাটাকাটি হলেও সমস্যা নেই। আর সব জায়গায় নিজের সাইন একই রকম দিবেন। যেভাবেই পাসপোর্ট পূরণ করেন অবশ্যই ভাল মত তথ্য যাচাই, বানান দেওয়া, সঠিক তথ্য দেওয়া এই ব্যাপার গুলো খেয়াল রাখবেন। কোন কিছু ভুল হলে আপনাকে এই জন্যে ঝামেলা পোহাতে হবে।

৪. পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা

ফর্ম ফিল আপ শেষ হলে পুরো ফর্মটি দুই সেট প্রিন্ট করে নিবেন। এক কপি পাসপোর্ট অফিসের জন্য ও আরেক সেট SB OFFICE এ পাঠানো হবে।

ফর্ম প্রিন্ট হলে ফর্মের ছবির জায়গায় পাসপোর্ট সাইজের একটি সদ্য তোলা ছবি লাগাতে হবে। আর দুই কপি ফর্মের যেকোনো একটাতে ব্যাংকের রশিদের পাসপোর্ট অফিসের কপিটা কেটে ডান পাশে লাগাতে হবে।

পাসপোর্টের ফর্ম পূরণ করে, ছবি ও মানি রিসিট লাগিয়ে ফর্মের সাথে জন্ম নিবন্ধন বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পেশাগত সার্টিফিকেট ও নাগরিক সনদের (এই সনদের ব্যাপারে কোথাও নির্দিষ্ট করে বলা নেই তবে অনেক সময়ই এই সনদ দেখতে চায়) ফটোকপির সত্যায়িত কপি পিন দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে।

৫. পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম জমা দেওয়া

এই ক্ষেত্রে ফর্ম হাতে পূরণ করলে নিজের বর্তমান ঠিকানা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে হলে রিজিওনাল অফিস আর সিটি কর্পোরেশনের বাইরে হলে আঞ্ছলিক অফিসে জমা দিতে হবে। আর অনলাইনে জমা দিলে ফর্মেই লেখা থাকবে কোন অফিসে জমা দিতে হবে।

সরাসরি ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, ফর্ম প্রথমে জমা নিয়ে কম্পিউটার সফট ওয়্যারে ফর্মের তথ্য গুলো নিবে তারপর ফর্মে সিল মেরে আবার ফর্ম আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে। তারপর ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিকের জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার জন্য ফর্ম নিয়ে অন্য একটি রুমে যেতে হবে। এখানে বেশ কয়েকটি ধাপ আছে। সব প্রক্রিয়া শেষ হতে মোটামুটি বেশ সময় লাগে। এছাড়া জমা দেওয়ার সিরিয়াল যদি দীর্ঘ হয় তাহলে সময় আরও বেশি লাগবে। তাই জমা দিতে গেলে সকাল সকাল চলে যাওয়া ভালো।

৬. পাসপোর্ট টোকেন সংগ্রহ ও স্ট্যাটাস চেক করা

ফর্ম জমা দেওয়া শেষ হলে কম্পিউটারে প্রিন্ট করা একটি টোকেন দেওয়া হবে যেখানে আপনার তথ্য, পাসপোর্ট ডেলিভারির সময়সহ অন্যান্য কিছু তথ্য থাকবে। এই টোকেনের তথ্য গুলো খুব ভালো ভাবে চেক করবেন কারন এই তথ্য অনুসারেই পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হবে।

কোনও ভুল ধরা পড়লে তখনই সাথে সাথে জানাবেন তাহলে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর টোকেনটি যত্ন সহকারে রেখে দিবেন কারণ এই টোকেন দেখিয়েই পরবর্তীতে পাসপোর্ট নিতে হবে।

আর পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য www.passport.gov.bd এই সাইটের Application Status অপশনে গিয়ে এনরোলমেন্ট আইডি ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। পাসপোর্ট টোকেনে Enrollment ID (EID) দেওয়া থাকে।

আর মেসেজ অপশনের ক্ষেত্রে, MRP<SPACE<EID NO লিখে ৬৯৬৯ নাম্বারে সেন্ড করে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস জানা যাবে।

পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকলে এই স্ট্যাটাস চেক করে আপনি জানতে পারবেন। তবে সব কাজ শেষ হবার পরও পাসপোর্টের স্ট্যাটাস ঠিকমতো না পেলে কিছুদিন অপেক্ষা করবেন কারন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্যই মূলত পাসপোর্ট পেতে সময় লাগে বা পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

৭. পুলিশ ভেরিফিকেশন

ফর্ম জমা হওয়ার কিছু দিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ বাসায় ও আসতে পারে আবার ফোন করে তাদের অফিসেও আপনাকে যেতে বলতে পারে। এই ক্ষেত্রে পুলিশ বিভিন্ন কাগজ রেডি করে রাখতে বলে যেমন- প্রোপার্টি পেপার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।

৮. পাসপোর্ট সংগ্রহ

সব টিক থাকলে আপনার পাসপোর্টের ধরণ অনুযায়ী ১ সপ্তাহ বা ২০-৩০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। পাসপোর্ট রেডি হলে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে আপানকে জানানো হবে। অথবা অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করেও জেনে নিতে পারবেন।

পাসপোর্ট করতে খরচ ও সময়

পাসপোর্টের ধরণখরচকতদিন সময় লাগে
সাধারনসর্বমোট খরচ ৩৪৫০ টাকা২১ দিন সময় লাগে
জরুরীসর্বমোট খরচ ৬,৯০০ টাকা৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

১) সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে সাধারন ফি জমা দিয়েও জরুরী সুবিধা পাওয়া যাবে।

২) সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ২১ দিনের ভিতর হয়ে যাবে বলা হলেও অনেক সময় তার চেয়েও বেশীদিন লাগে। জরুরী পাসপোর্টের বেলাতেও দিন অনেক সময় বেশি লাগে।

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

  • অনেকেই মনে করে দালাল ছাড়া বা প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি টাকা না দিলে পাসপোর্ট করা যায় না বা করতে অনেক ঝামেলা হয়, এই কথা পুরোপুরি সঠিক না। বর্তমানে অযৌক্তিক  হয়রানি অনেক কমে গিয়েছে আর সরকারিভাবে পাসপোর্টের পুরো প্রক্রিয়াও অনেক সহজ করা হয়েছে আগের চেয়ে। তাই দালালের মাধ্যমে বাড়তি টাকা খরচ না করে নিজেই পাসপোর্টের কাজ গুলো করে নিতে পারবেন।
  • কোনও মাধ্যম বা কারো সাহায্য ছাড়া নিজে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে পাসপোর্টের কাজ শুরু করবেন। আর তাই জরুরী প্রয়োজনে নিজে না করে অন্য কোনও মাধ্যমের সাহায্য নিয়েই পাসপোর্ট করা ভালো।
  • পাসপোর্টের ফর্ম ফিল আপা করার আগে ও ফিল আপ করার পরে পুরো ফর্মের কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখবেন।
  • পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সকল ডকুমেন্টের ইনফরমেশন অবশ্যই সঠিক হতে হবে।
  • নামের বানানের ক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। এক এক ডকুমেন্টে নামের বানান যেন ভিন্ন ভিন্ন না হয়।  বিশেষ করে NID কার্ডের তথ্য গুলো যেন একই থাকে। তা না হলে পাসপোর্ট করার জন্য বাড়তি অনেক ঝামেলা হবে।
  • পাসপোর্ট করার আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সময় সব সার্টিফিকেটের মূল কপি সাথে নিয়ে যাবেন।
  • অনলাইন থেকে পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে দুটো পেজের উভয় দিকেই প্রিন্ট করতে হবে যা হাতে লেখার ফর্মের ফরমেটের মতো হবে বা এই ক্ষেত্রে একটা ফরমেট অনলাইনে দেখে নিতে পারেন।
  • পাসপোর্ট অফিসে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১.৩০ টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ফর্ম জমা নেয়। তবে অবশ্যই আগে আগে যাওয়া ভালো কারন অনেক লম্বা লাইন থাকে।      
  • ফর্মে ছবি ও মানি রিসিট অবশ্যই আঠা দিয়ে লাগাবেন, স্ট্যাপল পিন দিয়ে লাগাবেন না।
  • ফর্ম জমা নেওয়ার সময় কিছু প্রশ্ন করা হয় যার উত্তর যথেষ্ট আত্নবিশ্বাসের সাথে দেওয়ার চেষ্টা করবেন আর সবসময় সঠিক তথ্য জানাবেন।
  • ফর্ম জমা দেওয়ার সময় ছবি তোলার জন্য সাদা রঙ বাদে অন্য কোনও রঙের কাপড় পড়বেন।
  • অনেক সময় ফর্ম জমা নেওয়ার সময় অযৌক্তিক প্রশ্ন করে বা ফর্ম কোনও কারন ছাড়াই জমা নিতে চায় না সেই ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কোনও কর্মকর্তাকে বা অফিসের সহকারী পরিচালক এর সাথে কথা বললে সাহায্য পাবেন।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশনে অনেক সময় টাকা চাওয়া হয়, ঝামেলা এড়াতে চাইলে কিছু টাকা দিয়ে দেওয়াই ভালো। যদিও এই টাকা দেওয়াটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
  • যারা নতুন ভাবে পাসপোর্ট করবে শুধু মাত্র তারাই অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
  • আরও বিশেষ কিছু নির্দেশনা জানার জন্য www.dip.gov.bd ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও খোঁজ নিতে পারেন। 

তথ্যসূত্রঃ www.dip.gov.bd


Thursday, August 17, 2023

How to Speed Up Your Android Phone's Internet Connection

How to Speed Up Your Android Phone's Internet Connection

A slow internet connection can be frustrating, especially when you're trying to do something important like streaming a video or downloading a file. Here are a few tips to help you speed up your Android phone's internet connection:

  1. Reset your network settings. This will clear any corrupted or outdated network data that may be causing the problem. To do this, open the Settings app, tap on System, then tap on Reset options. Finally, tap on Reset Wi-Fi, mobile & Bluetooth and follow the on-screen instructions.
  2. Clear the cache and data of your web browser. When you browse the web, your browser stores data such as images, cookies, and cached files to speed up loading times. However, this data can also take up space and slow down your internet connection. To clear the cache and data of your web browser, open the browser, tap on the three dots in the top right corner, and select Settings. Then, tap on Privacy & security and select Clear cache and Clear data.
  3. Move closer to your router. The closer you are to your router, the stronger the signal will be, which will improve your internet speed. If you can, try moving your phone closer to the router.
  4. Use a wired connection instead of Wi-Fi. If possible, connect your phone to your router using an Ethernet cable. This will provide a more stable and faster connection than Wi-Fi.
  5. Upgrade your internet plan. If you're still having trouble with your internet speed, you may need to upgrade your internet plan. Talk to your internet service provider to see what options are available.

In addition to these tips, there are a few other things you can do to improve your Android phone's internet connection:

  • Make sure your phone is up to date with the latest software.
  • Close any unnecessary apps and programs that are running in the background.
  • Disable any features that you're not using, such as Bluetooth and location services.
  • Scan your phone for viruses and malware.

By following these tips, you can improve your Android phone's internet connection and get the most out of your online experience.

Thursday, August 10, 2023

How to create an NFT?

How to create an NFT?

NFT is a non-fungible token is a unique digital identifier that is recorded on a blockchain, and is used to certify ownership and authenticity. It cannot be copied, substituted, or subdivided. The ownership of an NFT is recorded in the blockchain and can be transferred by the owner, allowing NFTs to be sold and traded.

Here are the steps on how to create an NFT:

  1. Figure out what you want to create. NFTs can be anything digital, such as art, music, videos, or even tweets. You can also create an NFT for a physical item, such as a painting or a collectible.
  2. Choose a blockchain. NFTs are stored on a blockchain, which is a secure and transparent ledger. The most popular blockchains for NFTs are Ethereum, Solana, and Tezos.
  3. Set up an NFT wallet. You will need an NFT wallet to store your NFTs and to pay for the gas fees associated with minting your NFT. Some popular NFT wallets include MetaMask, Coinbase Wallet, and Rainbow Wallet.
  4. Choose an NFT platform. There are many different NFT platforms where you can create and sell your NFTs. Some popular NFT platforms include OpenSea, Rarible, and SuperRare.
  5. Create the NFT. Once you have chosen a blockchain, an NFT wallet, and an NFT platform, you can start creating your NFT. The specific steps for creating an NFT will vary depending on the platform you choose.
  6. List the NFT for sale. Once your NFT is created, you can list it for sale on the NFT platform. You will need to set a price for your NFT and choose a payment method.

Here are some additional tips for creating an NFT:

  • Make sure your digital asset is high quality and unique.
  • Do your research on different blockchains and NFT platforms before choosing one.
  • Set a fair price for your NFT.
  • Promote your NFT on social media and other online channels.

It is important to note that creating an NFT can be expensive, as you will need to pay gas fees to mint your NFT and list it for sale. The cost of gas fees can vary depending on the blockchain you choose and the current traffic on the network.