Showing posts with label Website. Show all posts
Showing posts with label Website. Show all posts

Saturday, August 27, 2022

cPanel এর মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস কিবাবে ইন্সটল করে? How to install WordPress on cPanel ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল

cPanel এর মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস কিবাবে ইন্সটল করে? How to install WordPress on cPanel ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল

ওয়ার্ডপ্রেস, বর্তমানে যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট বানানোর কাজেই ব্যাবহার করা হয়, কারণ ওয়ার্ডপ্রেসেস রয়েছে হাজার হাজার থিম ও প্লাগিন। যেই গুলোর মাধ্যমে আপনি প্রতিদিনি আপনার ওয়েবসাইটে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করতে পারবেন। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে দেখানো হবে কিভাবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করবেন সি পেনেলের মাধ্যমে। অনেকেই আছেন যারা নতুন ডোমেইন হোস্টিং কিনেছেন কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত লোকালহোস্টে মেনুয়ালি ইন্সটল করে এসে এখন লাইভ হোস্টে ইন্সটল করতে পারছেন না। তাদের জন্য যাজকের আর্টিকেল খুবই গুরুত্বপূর্ন। 

আসলে সি পেনেলের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা অনেক সহজ, তবে না বুঝলে কঠিন লাগতে পারে। 

তাহলে চলুন এবারে জেনে নেই সিপেনেলের মধ্যে কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করবেন। সিপেনেলের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হলে অবশ্যই আপনার কাছে ডোমেইন ও হোস্টিং থাকা লাগবে, ডোমেইন হোসটিং কেনার পর আপনি যেখান থেকে কিনবেন সেখান থেকে আপনাকে একটি মেইল পাঠানো হবে, উক্ত মেইলটিতে আপনার সিপেনেলে লগিন করার জন্য ইউজার নাম ও পাসয়ার্ড দেওয়া থাকবে। যদি আপনি বিষয়টি না বুঝে থাকেন বা ইউজার না ও পাসওয়ার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি যেখান থেকে ডোমেইন ও হোস্টং কিনেছেন তাদের হেল্প লাইনে যোগাযোগ করুন, অবশ্যই একটি ভালো প্রতিষ্টান হলে আপনাকে হেল্প করবে।

সি পেনেলে লগিন করার পর সি পেনেলের সার্চবারে টাইপ করুন > Softaculous লিখে, যদি না বুঝে থাকেন, নিচের স্ক্রিনশটটি ফলো করুন।
এখান থেকে Softaculous Apps Installer এ ক্লিক করবেন, অথবা WordPress Manager By Softaculous এখানেই ক্লিক করতে পারেন। এখান থেকে আমি Softaculous Apps Installer এ ক্লিক করছি, এবং ক্লিক করার পর আপনাকে অন্য একটি পেইজে নিয়ে যাবে। পেইজটি নিচের স্ক্রিনশটে দেখানো হলো। (ভার্শন অনুযায়ী এটার ডিজাইন পরিবর্তন হতে পারে, তবে ভয় পাবেন না!)

এখান থেকে Installation যেটা ব্লু কালার দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড করা ঠিক তার নিচেই ওয়ার্ডপ্রেস আছে। তবে আমি এখান থেকে বাম পাশের মেনুবার থেকে Blog অপশনে হবার করছি! স্পষ্ট ভাবে বোঝার জন্য নিচের স্ক্রিনশটটি দেখুন।

উপরে দেখানো স্ক্রিনশটটি ভালোভাবে লখ্য করুন, এবার আমি এখান থেকে Install এ ক্লিক করছি! Install এ ক্লিক করার পর ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার মেইন পেইজটি আসবে। মেইন পেইজটি দেখতে ঠিক নিচে দেখানো স্ক্রিনশটে মতো। (ভার্সন আপডেটে চেঞ্জ হতে পারে)

এবার এখানে দেওয়া সমস্ত তথ্য গুলো ভালোভাবে ফিলয়াপ করুন। Choose Installation URL এখানে আপনার ডোমেইন নামটি চয়েজ করুন। যদি ডোমেইন একটি থাকে তাহলে একটি সিলেক্ট করুন। আর যদি সাব ডোমেইন ও এডন ডোমেইন থাকে, তাহলে আপনি যেইটাতে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটোল করতে চান, সেইটা সিলেক্ট করুন। তবে তার সামনে দেখবেন http:// আছে, এইখানে একটা ক্লিক করে https:// বা https://www. সিলেক্ট করবেন। আমি আমার গুলো সব ফিলয়াপ করে নিচে একটি স্ক্রিনশট দিচ্ছি, আপনিও সেম ভাবে করতে পারেন।

সব ফিলয়াপ শেষে সবার নিচে স্ক্রল করলে ইন্সটল বাটন পাবেন।

Install বাটনে ক্লিক করার পর ইন্সটল শুরু হবে।



এবার আপনার সাইটের URL এর সাথে wp-admin দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ডাশবোর্ডে লগিন করুন। 

Friday, August 26, 2022

ওয়েবসাইট এসইও করার উপায়, ওয়েবসাইট র‍্যাংক করাতে এই বিষয়গুলো জানা অত্যান্ত জরুরি! জেনে নিন কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংক করাবেন?

ওয়েবসাইট এসইও করার উপায়, ওয়েবসাইট র‍্যাংক করাতে এই বিষয়গুলো জানা অত্যান্ত জরুরি! জেনে নিন কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংক করাবেন?

SEO বা Search engine optimization একটি ওয়েবসাইটের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা কম বেশি আমরা সবাই জানি। একটি ওয়েবসাইট ব্লগ হোক কিংবা ই-কমার্স, স্ট্যাটিক হোক বা ডাইনামিক, সকল প্রকার ওয়েবসাইটের জন্য SEO করা খুবই জরুরী।

{getToc} $title={Table of Contents}

কারণ- সবাই চাই, তার ওয়েবসাইট লিংক গোগলের প্রথমে পৃষ্টায় আসুক। সবাই চাই, তার ওয়েবসাইট সম্পর্কে সারা দুনিয়া জানুক। সবাই চাই, তার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ুক। সবাই চাই, তার ওয়েবসাইটের রেংকিং রেইট হাই লেবেলের হোক। সবাই চাই, তার ওয়েবসাইট হোক সারা জীবনের উপার্জনের একটি উপযুক্ত মাধ্যম। কিন্তু, এতগুলি চাওয়া একটি মাত্র উপায়ে পাওয়া সম্ভব। আর তা হল, ওয়েবসাইটকে সঠিক পদ্ধতিতে SEO করা। এখানে আমি মাত্র ১০টি টিপস দিয়েছি, যা আপনার ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করলে শতভাগ ফলাফল পাবেন, ইনশা-আল্লাহ।


Develop The Best UI/UX Design 

Develop The Best UI/UX Design এই বিষয়টি SEO এর জন্য সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটি ওয়েবসাইট তৈরী করার পূর্বের কিছু শর্ত নিয়ে গঠিত। এখানে UI Design বলতে User Interface Design বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ এমন একটি ডিজাইন যা ব্যবহারকারীর জন্য সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয়। আরো সহজ ভাবে যদি বলি, ওয়েবসাইটের জন্য এমন একটি ডিজাইন তৈরি করা, যার আউটলুক বা অবয়ব ব্যবহারকারীর জন্য ইন্টারেষ্টিং মনে হয়। যা দেখতে সুন্দর এবং ব্যবহার করা খুবই সহজ হয়। তবে, আউটলুক বেশি সুন্দর করতে গিয়ে ডিজাইনকে কালারপুল করা যাবে না। অত্যান্ত সাদামাটা ডিজাইনের মধ্য ভাল কিছু আউটলুক নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।
UX Design বলতে User Experience Design বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ এমন ডিজাইন যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যায়। যেমনঃ- ফেসবুক, টুইটার সহ অধিকাংশ বা বেশি ব্যবহার হয় এমন সকল ওয়েবসাইটের লগইন বাটন পেজের ডান পাশের কোণায় থাকে। মেনু গুলি পেজের উপরের দিকে থাকে। ব্যবহারকারী সব সময় এমন নিয়ম গুলি দেখে আসেছে। সুতারাং ইউজারের অভ্যাসের সাথে মিল রেখে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে। যেমন মনে করুন, কেউ এমন একটি ডিজাইন করল যার সাইনআপ কোথায়, লগইন কোথায়, অথবা প্রধান মেনু কোথায় ইজার কিছুই বুঝতে পারছে না। এক্ষেত্রে ইউজার একবার আসলে দ্বিতীবার সে আর আসবে না। সুতারাং ইউজারের অভ্যাস অথবা অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা SEO এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

Develop Site For Mobile Devices

বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর চেয়েও মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। এবং প্রায় সবাই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে থাকেন। পৃথিবীর এত বড় সংখ্যক মোবাইল ব্যবহারকারী মানুষকে আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত করা কিছুতেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সুতারাং ওয়েবসাইটকে রেস্পন্সিভ করা একান্ত প্রয়োজন। রেস্পন্সিভ করা মানে, আপনার ওয়েবসাইট ডেক্সটপ, লেপটপ ছাড়াও মোবাইল, টেবলেট ইত্যাদীর আউটলুক যেন সুন্দর এবং ব্যবহার করা সহজ হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। মনে রাখবেন, কম্পিউটার, লেপটপ সবাই সব সময় সংগে নিয়ে ঘুরে না। কিন্তু মোবাইল সবাই নিজের সাথে রাখে। আপনার ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ হলে, যে কেউ যখন ইচ্ছে মোবাইলে আপনার ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারবে। এটা আপনার ওয়েবসাইট রেংকিং এর জন্য খুবই ভাল একটা দিক। এছাড়াও ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ করার আর একটি বড় সুবিদা হচ্ছে যে, Google Voice Search. একটি জরিপ অনুযায়ী পৃথিবীর প্রায় ২০% মানুষ মোবাইলে গোগলের মাইক বা search by voice অপশনটি ব্যবহার করে সার্চ করে থাকে। এবং এটা দৈনন্দিন দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ করার জন্য CSS Media Query জানা থাকতে হবে। অথবা, BootStrap দিয়েও সহজে ওয়েব পেজ রেস্পন্সিভ করা যাবে।

Regular Branding To Improve Visibility

ওয়েবসাইট ডিজাইনের ক্ষেত্রে আরো একটি প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে ব্রান্ডিং। ব্রান্ডিং বলতে ওয়েবসাইটের জন্য একটি উন্নত মানের লোগো ডিজাইন করা। লোগোতে সাধারণত ওয়েবসাইটের পূর্ণনাম বা সংক্ষিপ্ত নাম অথবা বিশেষ কোন চিহ্ন থাকে। এই পূর্ণনাম বা সংক্ষিপ্ত নামকে মাথায় রেখে এমন একটি লোগো ডিজাইন করতে হবে, যা একবার দেখলে যে কোন ইউজারের ব্রেনে লোগোটি বসে যায়। অর্থাৎ পরবর্তীতে সে অন্য কোথাও লোগোটি দেখেই বুঝতে পারে যে লোগোটি কোন ওয়েবসাইটের। লোগো বানিয়ে সেটা আপনার ওয়েবসাইট পর্যন্ত সীমিত রাখলে হবে না, সেটাকে ব্রান্ডিং বা পরিচিত করতে হবে। ফেসবুক, টুইটার, গোগল প্লাস সহ সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার পোষ্ট শেয়ার করার সময় লোগোটিকে সাথে রাখুন, যাতে সবাই আপনার লোগোটিকে চিনতে পারে। লোগোটির সাথে পরিচিত হয়ে, কেউ যদি একবার আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে লাভবান হয়, তাহলে যে কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে সে আপনার শেয়ার করা পোষ্ট দেখলে, পোষ্টের সাথে লোগোটি তাকে টানবে। ফলে সে অন্তত কিছু হলে ও আপনার শেয়ার করা পোষ্টটিতে ক্লিক করে দেখতে চাইবে। সুতারাং SEO এর কিছু দৃশ্যমান উন্নতির জন্য ব্রান্ডিং একান্ত জরুরী।

Improve Website Speed

পেজ স্পীড SEO এর জন্য অন্যতম একটি শর্ত। তাই, পেজ স্পিড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পরবর্তী টিউটোরিয়ালটি পড়ুন। এই টিউটোরিয়ালে পেজ স্পীড বাড়াবার সেরা টিপস গুলো শেখানো হয়েছে। আপাততঃ- এখানে, এমন একটি বিষয় তুলে ধরব যা অনেক ওয়েব ডিজানারের অজানা। আর সেটা হচ্ছে Markup Validation. অর্থাৎ আপনার HTML কোডের মধ্য কোন রকম ERROR বা ত্রুটি বিচ্যুতি আছে কিনা তা যাচায় বাছাই করে নিশ্চিত হতে হবে। Markup Validation করার জন্য W3c এর এই টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। Markup Validation Service এই টুলটির ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার HTML কোডের মধ্য কোন রকম Error আছে কিনা তা সহজে নিশ্চিত করে নিতে পারেন। Markup Validation পেজ স্পিড এবং রেংকিং এর জন্য খুবই জরুরী। আর আপনার ওয়েবসাইটের জন্য যদি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করেন তাহলে, এসব নিয়ে আশা করি ভাবতে হবে না। কারণ, যারা ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করেন ওরা নিশ্চয় এই বিষয়টি জানেন।

Implement SSL Security


ওয়েবসাইট তৈরি হবার পর সব চেয়ে আগে যে বিষয়টি সামনে আসে সেটা হল, ডোমেইন এবং হোষ্টিং। ডোমেইন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার ওয়েবসাইট কিসের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে কি ধরনের কন্টেন্ট দিয়ে সাজাবেন। কন্টেন্টের সাথে মিল রেখে ডোমেইনের একটি নাম দিতে চেষ্টা করবেন। তবে মনে রাখবেন, ডোমেইনের নাম যেন অনেক লম্বা হয়ে না যায়। ছোট্ট একটি নাম যা ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলোর সাথে সম্পর্কিত হয়। যদি আপনার চাহিদা মোতাবেক কোন এক্সপায়ার্ড ডোমেইন ক্রয় করতে পারেন তাহলে খুবই ভাল হয়। কারণ, এক্সপায়ার্ড ডোমেইনের সাথে ডোমেইন অথোরিটি সহ SSL Security থাকে। ডোমেইন অথোরিটি (ডি.এ) বেশি নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং তা ৩০+ হলে ভাল হয়। ডি.এ ১৫ এর নিচে হলে তেমন কোন লাভ হবে না। আর SSL Security পেজ রেংকিং এর জন্য খুবই জরুরী। যদি আপনার ক্রয় ডোমেইনের সাথে SSL Security না থাকে, অর্থাৎ url এর প্রথমে http এর সাথে s যুক্ত না থাকে তাহলে, https বা SSL Security কিনে নিবেন। আমার জানা মতে SSL Security খুব দামী কিছু নয়। কিন্তু SEO এর জন্য মুল্যবান বটে।

Create User Friendly URL

ডোমেইন হোষ্টিং কেনার পর, ওয়েবসাইট যখন অনলাইনে পাবলিশ করে দেবেন, তখন সর্ব প্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হল, User Friendly url. অর্থাৎ ওয়েব পেজ গুলোর url এমন হতে হবে যা ব্যবহারকারী সহজে মনে রাখতে পারে। বিশেষ করে যে পেজে যে ক্যাটেগরীর প্রোডাক্ট বা যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা হবে, সে বিষয় সম্পর্কিত url হতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে যে, url যেন অনেক বড় হয়ে না যায়।

Find The Best Keywords

একটি ওয়েবসাইটের SEO করার প্রথম শর্ত হচ্ছে, সেরা কিছু কী-ওয়ার্ড বাছাই করা। সেরা কী-ওয়ার্ড বলতে আসলে কেমন কী-ওয়ার্ড বুঝানো হয়? মনে করুন, আপনার ছোট বোনের জন্য কিছু কসমেটিক্স আইটেম দরকার যা আপনি অনলাইন বাজার থেকে ক্রয় করার কথা ভাবছেন। কিন্ত আপনি জানেন না, অনলাইনের কোথায় থেকে কিনবেন। এমন অবস্থায় নিশ্চয় আপনি গোগলে গিয়ে কিছু লিখে সার্চ করবেন। এখন আপনাকে যদি প্রশ্ন করি, আপনি গোগলের সার্চ বক্সে কি লিখে সার্চ করবেন? উত্তর খুবই সহজ, আপনি নিশ্চয় লিখবেন, "কসমেটিক্স" অথবা আপনার বোনের জন্য যে আইটেম গুলো দরকার তার পত্যেকটির নাম লিখে সার্চ করবেন। আইটেম যদি একটি হয়, তাহলে সাধারণত সেই আইটেমটির নাম দিয়ে সার্চ করা হবে। আর আইটেম যদি অনেক হয় তাহলে, কী-ওয়ার্ড হিসেবে "কসমেটিক্স" আসাটা স্বাভাবিক।
তাহলে বুঝলাম, সেরা কী-ওয়ার্ড বলতে এমন কিছু কী-ওয়ার্ড যা একজন ইউজার গোগল, ইয়াহু ইত্যাদীতে লিখে সার্চ করবেন। এখন কথা হচ্ছে, প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ গোগলে মিলিয়ন বিলিয়ন কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করছেন, সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আপনি কেমন কী-ওয়ার্ড বাছাই করবেন! এই উত্তরটিকে যদি সহজ করে বলি, তাহলে মনে করুন আপনি বাজারে গিয়েছেন বাজার করতে। বাজারে তো অনেক কিছুর দোকান আছে। এখন আপনার যে জিনিসটির দরকার সেটা বাজারের কোথায় পাওয়া যাবে সেটা আপনি সঠিক জানেন না। এমন অবস্থায়, বাজারের দারোয়ানের কাছে জানতে চাইলে, সে আপনাকে এমন দশটি দোকান দেখাল যেখানে আপনার কাংক্ষিত জিনিসটি পাওয়া যাবে। এখন আপনি কি করবেন! নিশ্চয় এই দশটি দোকানের মধ্য সবচেয়ে নিকটে যে দোকানটি পাবেন, সেখানে আগে যাবেন, এবং আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসটি সেই দোকান থেকেই কিনবেন বলে সম্ভবনা বেশি।

এখন আপনাকে যদি একটি প্রশ্ন করি, এতক্ষণ বাজারে গিয়ে আপনি কি খুঁজতেছিলেন? দারোয়ান আপনাকে কিসের দোকান দেখিয়েছিল? আপনার উত্তর যদি এমন হয়, "আমি স্ট্রবেরি খুঁজতেছিলাম, দারোয়ান আমাকে ফ্রুটের দোকান দেখিয়েছিল।" তাহলে বুঝা গেল, ফ্রুটের দোকানের জন্য "স্টেবেরি" একটি কী-ওয়ার্ড হতে পারে। কারণ, স্টেবেরি হচ্ছে ফ্রুটের একটি আইটেম। এভাবে একটি ওয়েবসাইটের জন্য সেরা কী-ওয়ার্ড কি হতে পারে সেটা নির্ধারিত হয় সেই ওয়েবসাইটের আইটেম বা কন্টেন্টের উপর নির্ভর করে। এখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এমন কিছু কী-ওয়ার্ড বাছাই করুন, যে কী-ওয়ার্ড গুলোর মাঝে আপনার ওয়েবসাইটের প্রধান আইটেম বা কন্টেন্ট গুলোকে ফোকাস করবে। যেমনঃ- কলা একটি ফ্রুট হলেও এটি সাধারণত সব দোকানে পাওয়া যায়। কিন্তু স্ট্রবেরি সব দোকানে পাওয়া যায় না। সুতারং একটি ফ্রুটের দোকানের জন্য কলার চেয়ে স্টেবেরি কী-ওয়ার্ড বেশি প্রযোজ্য।

সুতারাং, আপনার হোম পেজের জন্য এমন কিছু কী-ওয়ার্ড বাছাই করবেন যে কী-ওয়ার্ড গুলোর মাঝে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের প্রধান কন্টেন্ট বা আইটেম গুলোর উপর বেশি ফোকাস হয়। আর আপনার ওয়েবসাইট যদি স্ট্যাটিক হয় তাহলে, যে পেজে যে ক্যাটেগরীর আইটেম গুলো থাকবে অথবা যে পেজে যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা হবে সেই পেজের কী-ওয়ার্ড গুলো আইটেম বা আর্টিকেলের মুল বিষয়টি থেকেই নিতে হবে। যেমনঃ- আপনার ওয়েবসাইট যদি কসমেটিক্স প্রোডাক্টের জন্য হয়ে থাকে তাহলে, যে পেজে লিপেষ্টিক জাতীয় প্রোডাক্ট গুলো সাজাবেন সেই পেজের জন্য লিপেষ্টিক, লিপেষ্টিক ব্রান্ড, লিপেষ্টিক সেট, লিপেষ্টিক রঙ ইত্যাদীর সাথে সম্পর্কিত কিছু কী-ওয়ার্ড বাছাই করে নিবেন। কারণ, গোগলে কেউ ব্রান্ড সহ সার্চ দেবে, কেউ হয়তো বিশেষ কোন রঙের লিপেষ্টিক সার্চ করবে, আবার কেউ হয়তো লিপেষ্টিকের সেট সহ কিনতে চাইলে সে লিপেষ্টিক সেট সার্চ করতে পারে। সুতারাং মূটামুটি ফোকাসের মধ্য যেন সব কিছু চলে আসে তার মত কিছু কী-ওয়ার্ড বাছাই করে নেবেন। আর আপনার ওয়েবসাইট যদি ডাইনামিক হয় তাহলে তো প্রতিটি আইটেমের জন্য নির্দিষ্ট কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করার অপশন থাকবে। বিশেষ করে আইটেমের টাইটেলের মাঝে কিছু কী-ওয়ার্ড লুকানো থাকে। সুতারাং কয়েকটি কী-ওয়ার্ড টাইটেল থেকেও নিতে পারেন। তবে, সর্বোচ্চ ১০-১৫ শব্দের মধ্য কী-ওয়ার্ড রাখাটা শ্রেয়। বেশি কী-ওয়ার্ড ব্যবহারে হিতে বিপরীত হয়। 

Google Schema Rich Snippets

Google Rich Snippets সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে যে বিষয়টি জানা একান্ত প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে Google SERF বা Google Search Engine Result Pages. অর্থাৎ গোগলে আমরা যখন কোন একটি কী-ওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধান করি, তখন গোগলের পক্ষ থেকে যে রেজাল্ট গুলো আমরা পেয়ে থাকি, সেটাকে সংক্ষেপে Google SERF বলা হয়। এখন কথা হচ্ছে, একটি ওয়েবসাইটের জন্য Google SERF কেমন হলে তা SEO এর জন্য নির্ভুল বলে গণ্য হবে? এবং এ সম্মন্ধে গোগল কি বলছে? আসুন জেনে নিই।
গোগলের কথা অনুযায়ী, একটি ওয়েব পেজের টাইটেল অথবা ডেসক্রিপশন অতটুকু হওয়া চাই, যতটুকু Google SERF এ দৃশ্যমান হবে। আর Google SERF এ সবটুকু দৃশ্যমান হওয়ার জন্য টাইটেল সর্বোচ্চ ৭০ ক্যারেক্টর এবং ডেসক্রিপশন সর্বোচ্চ ১৯৪ ক্যারেক্টরের হতে হবে। তবে, প্রতিটি শব্দের পর একটি স্পেসকে একটি ক্যারেক্টর হিসেবে ধরা হবে। গোগলের এই প্রসেসিংকে Google SERP Snippet Optimization বলা হয়। Google SERP Snippet Optimization গোগলের SEO রেংকিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার টাইটেল অথবা ডেসক্রিপশন গোগল রেজাল্ট পেজে কেমন দেখাবে তা দেখার জন্য এই ওয়েবসাইটের টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। Google SERP Snippet Optimization Tool এই টুলটিতে আপনি আপনার পেজ টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন লিখে লাইভ ফলাফল দেখতে পারবেন।
এবার আসি, Schema Rich Snippets কি, এবং SEO এর জন্য Schema Rich Snippets কতটা জরুরী তা জেনে নিই। আমরা যখন গোগলের প্লে ষ্টোর থেকে কোন অ্যাপস ডাউনলোড করতে যায়, তখন সেই অ্যাপস সম্পর্কিত কিছু তথ্য সাথে পাঁচটি ষ্টার দেখতে পাই। এই ষ্টারটির মাধ্যমে অ্যাপসটির রেংকিং কেমন সেটা বুঝানো হয়। ঠিক তেমনি, Google SERF এর উপরের কিছু রেজাল্টে এরকম ষ্টার দেখা যায়। এটাকেই মুলত Schema Rich Snippets বলা হয়। যদি সেটা কোন সফটওয়্যার হয়, তাহলে সফটওয়্যারটি সম্পর্কে কিছু তথ্য ষ্টারটির পাশে দেখানো হয়। যদি সেটা কোন আর্টিকেল হয় তাহলে, আর্টিকেলের লেখক এবং প্রকাশিত তারিখ ইত্যাদী দেখানো হয়। ষ্টার মার্ক দ্বারা সেই আর্টিকেলটি কত বেশি পাঠ করা হয়েছে সেটা সম্পর্কে ইউজারকে একটি ধারনা দিয়ে থাকে। ফলে, ষ্টার চিহ্নিত Google SERF এর প্রতি ইউজার বেশি আকৃষ্ট হয়। এভাবে, ই-কমার্স সাইটের সব চেয়ে বেশি বিক্রয় হয়েছে এমন পণ্যর সাথে ও Schema Rich Snippets যুক্ত থাকে। কিছু কিছু Schema Rich Snippets গোগল রেজাল্ট পেজে পণ্যর ছোট একটি ছবি ও প্রকাশ করে। সুতারাং ওয়েবসাইটের সব খানে, সব কিছুর SEO এর জন্য Schema Rich Snippets উন্নত ভূমিকা পালন করে।

Quality Content Is The King Of SEO

আজকাল প্রায় দেখা যায় বা অনেকে বলে, ১৫দিন বা ১মাসের ভিতর আপনার ওয়েবসাইটকে গোগলে প্রথম পৃষ্টায় এনে দেবে। এই করবে, সেই করবে! আমি মনে করি, এগুলি ভুয়া কিছু ডাইলগ ছাড়া আর কিছুই নয়। যারা SEO সম্পর্কে খুবই কম জানে ওরাই কেবল এধরনের ডাইলগ মারতে পারে। কারণ, SEO এর জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে কন্টেন্ট। কন্টেন্ট বিহীন ওয়েবসাইটের জন্য যত রকম SEO করুন না কেন, কাজের কাজ কিছুই হবে না। যেমনঃ- শহরের অনেক বড় মার্কেটে আপনি একটি জুয়েলারীর দোকান দিয়েছেন, টিভি'তে বিজ্ঞাপন দিলেন, শহর - গ্রাম সবখানে পোষ্টারিং করলেন, অনলাইনে ও ব্রান্ডিং করলেন, প্রচারের কিছুই বাকি রাখলেন না, কিন্তু দোকানে কোন জুয়েলারী মাল নেই। দোকান সম্পুর্ণ খালি অথবা যা আছে তা অনেক পুরাতন মডেলের জুয়েলারী। কাষ্টমার আসে, কিছু পাইনা, ফিরে যায়। ফিরে যাওয়া কাষ্টমার গুলো কি আর আপনার দোকানের দিকে আসবে? কখনোই না। তাহলে, বুঝা গেল একটি জুয়েলারী দোকানের জন্য যেমন দোকান ভর্তি অলংকার থাকা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি একটি ওয়েবসাইটকে উপরে তুলার জন্য অনেক গুলি কন্টেন্ট থাকা জরুরী। কন্টেন্ট বলতে গেলে আর্টিকেল অথবা ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয় সামগ্রী। অর্থাৎ যেমন ওয়েবসাইট তেমন কন্টেন্ট।

আপনার ওয়েবসাইট যদি ই-কমার্স হয়, তাহলে প্রতিটি আইটেমের জন্য একটি টাইটেল, একটি ডেসক্রিপশন, কমপক্ষে তিনটা ছবি, এবং সামগ্রীটি সম্পর্কে একটি আর্টিকেল লিখতে হবে। তাহলে গোগল আপনার ওয়েবসাইটে কি কি আছে সে বিষয়ে জানতে পারবে। এভাবে ব্লগ সাইটে, ইউজারের জন্য নিত্যা নতুন এবং ইন্টারেষ্টিং বেশ কিছু আর্টিকেল লিখতে হবে। এবং মনে রাখতে হবে যে, কন্টেন্টের কোয়ালিটি যেন ঠিক থাকে। কোন রকম কপি পেষ্ট করা যাবে না। হ্যাঁ, একটা কথা সবার ক্ষেত্রে সত্য যে, একটা মানুষ সবজান্তা হয় না। আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন, সর্ব প্রথম বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সে বিষয়ের উপর জ্ঞ্যান আহরণ করুন। তারপর নিজে থেকেই লিখুন। একটি বিষয়ের উপর লিখতে গেলে কিছু কিছু শব্দ বা বাক্য অন্যান্য ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলোর সাথে মিলে যেতে পারে, এটা তেমন বড় কোন সমস্যা নয়, সমস্যা বড় হবে তখন যখন আপনি অন্য জনের লেখা সরাসরি কপি করবেন। কপিরাইট আইনে এটা দন্ডনীয় অপরাধ'তো বটে, গোগল পান্ডার কাছেও আপনি ধরা পড়ে যাবেন। এই ধরনের অপরাধের জন্য আপনি চিরতরে আপনার ওয়েবসাইট হারাতে পারেন। তবে, অনেক বেশি মানুষের জানার প্রয়োজন আছে এরকম আর্টিকেল গুলোর ক্ষেত্রে গোগল কিছুটা ছাড় দেয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আর্টিকেলটির মুল ওয়েবসাইট থেকে গোগলের কাছে কোন রকম রিপোর্ট যায় না, ততক্ষণ পর্যন্ত গোগল খুব একটা ঝামেলা করে না। আমার অনুরুধ থাকবে অন্যের লেখা কপিপেষ্ট করা থেকে একেবারে বিরত থাকবেন। কারণ ভবিশ্যতে আপনি আপনার ওয়েবসাইট'কে গুগল এডসেন্সের সাথে যুক্ত করতে চাইলে গুটি কয়েক কপিপেষ্ট করা লেখার জন্য সব কিছুই হারাতে হবে। সবশেষে বলব, Quality Content Is The King Of SEO. হ্যাঁ SEO এর জন্য নির্ভেজাল এবং গুণগত মানের কন্টেন্ট হচ্ছে এমন এক রাজা, যার তুলনা অন্য কোন কিছুর সংগে হয় না।

Link Building To Improve SEO

পৃথিবীতে অসংখ্যা ওয়েবসাইট আছে। এবং প্রতিদিন কোটি কোটি ওয়েবসাইট নতুন করে অনলাইনের সংগে যুক্ত হচ্ছে। প্রায় সকল ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট আছে। কোয়ালিটি ভাল, সব কিছুই ঠিক আছে, কিন্তু গোগলের রেজাল্ট পেজে কোন্‌ ওয়েবসাইট'টি আগে আসবে? এই প্রশ্নটির সহজ উত্তর হচ্ছে, যে ওয়েবসাইটের Link Building সবচেয়ে বেশি হবে, সেটাই সবার আগে আসবে। Link Building কি? উত্তরটি ছোট্ট একটি উদাহরণের মাধ্যমে জেনে নিই। মনে করুন, অনলাইন শিক্ষা নামে আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। কিন্ত গোগল সেটা জানে না, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কিছু পোষ্ট আপনার পেসবুকে শেয়ার করলেন, বন্ধুরা আপনার পোষ্টটিতে যখন ক্লিক করল তখন ওরা আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসল। এসেই আপনার লেখা গুলো পড়ল, কারো কারো ভাল লাগল, সে তার অন্য বন্ধুদেরকে ও আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানাল, সবাই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে লাগল, গোগল দেখল, এই ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসছে, তখন গোগল তাদের ডাটাবেজে আপনার ওয়েবসাইটের সকল তথ্য নিয়ে জমা করে রাখে। কেউ যখন একটি কী-ওয়ার্ড দিয়ে গোগলে অনুসন্ধান করে তখন গোগলের ডাটাবেজে থাকা আপনার ওয়েবসাইটের তথ্যগুলোর মধ্য সেই কী-ওয়ার্ড পাওয়া গেলে সেটা গোগল রেজাল্ট পেজে প্রদর্শিত হয়। প্রশ্নোত্তর হয় এমন কোন ফোরাম সাইটে গিয়ে রিলেটেড কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলে দিলেন আরো বিস্তারিত জানতে এই পোষ্ট'টি দেখুন। সেখানে আপনার ওয়েব পেজের রিলেটেড পোষ্টের লিঙ্ক দিয়ে দিলেন। এভাবে লিঙ্ক বিল্ডিং করার আরো অনেক পথ আছে। যত বেশি সম্ভব লিঙ্ক বিল্ডিং করুন। তবে, আগে লিংক বিল্ডিং সম্পর্কে অনলাইন থেকে আরো বেশি কিছু জেনে নিন। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিঙ্ক বিল্ডিং স্প্যাম হয়ে হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
একটা সময় ছিল যখন গোগল যে কোন ওয়েবসাইটের কোন্‌ কী-ওয়ার্ডের রেংকিং কত সেটা প্রকাশ করত। তখন সবাই তাদের ওয়েবসাইটের রেংকিং সম্মন্ধে ধারনা নিয়ে সেভাবেই কাজ করে ওয়েবসাইটের রেংকিং বাড়াতে পারত। কিন্ত, পরবর্তীতে গোগল বুঝতে পারল যে, এতে করে তাদের এলগোরিদম লিক হচ্ছে, সুতারাং গোগল এটা বন্ধ করে দেয়। এর পর ওয়েবসাইট রেংকিং এর জন্য সবাই লিংক বিল্ডিং এর প্রতি ঝুকে পড়ে। লিংক বিল্ডিং কিভাবে কাজ করে সেই বিষয়ে আসুন কিছুটা জেনে নিই।

গোগল ক্রোলারের নিয়ম হচ্ছে, সে প্রতিটি ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজ, প্রতিটি কন্টেন্টকে স্ক্যান করে। স্ক্যান করতে করতে সে যখন সেখানে অন্য কোন ওয়েবসাইটের লিংক খুজে পায় তখন সে সেই লিংকটিতে চলে যায়, এবং সেখানকার সব কিছুই সে স্ক্রোল করে দেখে। এবং ওখানে যে কন্টেন্ট গুলো পায় সেগুলিকেও গোগলের ডাটাবেজে সংগ্রহ করে রাখে। গোগলের স্ক্রোলার প্রতিনিয়ত সারা অনলাইন জগতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের ভান্ডারে জমা করতে থাকে। এভাবেই আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যদি সে অন্য কোন ওয়েবসাইটে পায় তাহলে সেখান থেকে ঘুরে সে আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।

সুতারাং যত বেশি পারেন আপনার ওয়েবসাইটের লিংক ছড়িয়ে দিন। অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়ার সবচেয়ে বড় পন্থা হচ্ছে, বড় বড় ব্লগ সাইট গুলিতে ব্লগ লিখে কৌশলে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দেওয়া। অথবা, আপনার ওয়েবসাইটের মধ্য এমন কয়েকটি পেজ আছে যেখানে ট্রাফিক অনেক বেশি হয়, সেখানে ও আপনার অন্যান্য পেজের ভাল কিছু আর্টিকেলের লিংক দিয়ে দিন। ফলে, ইউজার তো যাবেই, গোগল স্ক্রোলার ও যাবে। তবে, লিংক এত বেশি দিবেন না। মনে রাখবেন, বেশি লোভ কোন কিছুর জন্য শুভকর নয়। লিংক বিল্ডিং এর আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে, অনলাইনে খুজলে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি আপনি উইকিপিডিয়া লিখতে পারেন। 


Monday, July 25, 2022

বাল্ক এসএমএস কি? বাল্ক এসএমএস কেন প্রয়োজন? What is bulk sms

বাল্ক এসএমএস কি? বাল্ক এসএমএস কেন প্রয়োজন? What is bulk sms

আমাদের অনেকের কাছেই অজানা যে, Bulk SMS কি !! Bulk একটি ইংরেজি শব্দ এর অর্থ অনেক বা বেশি। তাহলে Bulk SMS দ্বারা কি বুঝানো হয় !

Bulk SMS হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যা দ্বারা একসাথে অনেক গুলো মেসেজ দেয়া যায়।

এখন আপনার কাছে প্রশ্ন হতে পারে তাহলে এক সাথে কয়টা মেসেজ দেয়া যায় ?

এর উত্তর হচ্ছে এর কোনও পরিমাণ নেই , আপনি চাইলে ১০০ মেসেজ ও একসাথে দিতে পারবেন অথবা চাইলে একসাথে ১ লাখ অথবা ১ কোটি মেসেজ ও দিতে পারবেন।

সংক্ষিপ্ত আকারে চিন্তা করুন, আমদের দেশের সিম অপারেটর গুলো আমাদের দৈনিক কতো মেসেজ পাঠায়। তাহলে চিন্তা করুন তাদের সিম অপারেটর তো আর ১-২ হাজার নাহ। আপনি কি জানেন GP এর কতো জন ইউজার অথবা অপারেটর রয়েছে !

বর্তমানে GP user প্রায় ৭ থেকে ৮ কোটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আমি ধরি তাদের ইউজার সংখা ৭ কোটি তার মানে নাম্বারে যদি প্রতিদিন ৩টা মেসেজ আসে তাহলে টোটাল ২১ কোটি মেসেজ তারা পাঠায়।

অর্থাৎ আপনি চাইলে এক ক্লিকের মাধ্যমে ২১ কোটি মেসেজ পাঠিয়ে দিতে পারবেন, ঠিক এই প্রসেসটাই হচ্ছে Bulk SMS

Bulk SMS কেনো প্রয়োজন?

উপরের লেখা পড়ে এতোক্ষনে হয়তো কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন  যে কেনো Bulk SMS ব্যবহার করা হয়।

ব্যবসায়িক প্রচারনার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে Bulk SMS.

Case 1: ধরুন আপনি কোনো ই-কমার্স সাইটে প্রোডাক্ট সেল করেন।  এখন আপনি ঈদের দিন আপনি আপনার কাস্টোমার এবং সাপ্লাইয়ার  দুজনকেই একসাথে ঈদের শুভেচ্ছা দিতে চাচ্ছেন। এখন আপনার যদি অল্প কিছু ক্লায়েন্ট থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি তাদের মেসেজ দিয়েই ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনার কাস্টোমার বা ক্লাইন্টের সংখা যদি ১০০-২০০ বা তার অধিক হয় সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি তাদের মোবাইল দিয়ে মেসেস দিতে চান এই ক্ষেত্রে সবাইকে ম্যনুয়ালি মেসেজ দিতে আপনার অনেক সময় দরকার হবে এবং অনেক টাকা খরচ হবে।

Case2: ধরুন একটি স্কুল বা কলেজের কমিটি মেম্বার,Teacher, Student, Guardian মিলে মোট ১৬০০ জন। এখন স্কুল বা কলেজের কোনো অনুষ্ঠানের জন্য সবার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখন আপনার কি সম্ভব যে, তাদের কাছে গিয়ে গিয়ে মুখে বলে আসা !  অবশ্যই নাহ।

এখন আপনি বলতে পারেন কেন তাদের কাছে তো চাইলে আমি চিঠি পাঠাতে পারি।

সিরিয়াসলি ! চিঠি পাঠাতে হলে প্রথমে আপনাকে চিঠি লিখতে হবে এর পর সেটা খামে ভরতে হবে। ধরলাম আপনি খাতা- কলমে না লিখে কম্পিউটার দিয়ে প্রিন্ট করিয়েছেন ১৬০০ চিঠি। কিন্তু এর জন্য আপনার প্রচুর অর্থ এবং সময় ব্যয় হবে।

Bulk sms

তাও গেলো কিন্তু এবার চিঠি গুলো পৌছে দিতে আপনার কতজন লোক দরকার হবে সেটা ভেবে দেখেছেন কি !

কারণ একজনের পক্ষে এতো অল্প সময়ে এতোগুলো খাম পৌছে দেয়া অসম্ভব।

তাহলে উপরের Case দুইটি শুনে আশা করি বুঝে গিয়েছেন, Bulk SMS এর মাধ্যমে খুব সহজে আপনি এই প্রবলেম গুলোর সমাধান করতে পারবেন।

এবার আসি Bulk SMS কিভাবে পাবেন বা কিভাবে নিবেন !

লোকাল অথবা ইন্টারন্যাশনাল দুই ভাবেই আপনি Bulk sms পেয়ে থাকবেন। তবে আমার সাজেশন আপনি লোকাল সার্ভিসটি নিন এটা আপনার জন্য বেটার হবে। কারণ ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট থেকে নিতে চাইলে আপনাকে বড় একটা sms প্যাকেজ নিতে হবে। তাই এই ক্ষেত্রে লোকাল মার্কেট থেকে কোনো একটা প্যাকেজ নেয়া আপনার জন্য বেটার হবে।

এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে কোন লোকাল মার্কেট আমার জন্য বেটার হবে?

ওকে সেটা একটু পরে বলছি কিন্তু আসুন তার আগে জানি

Bulk SMS এর প্রকারভেদঃ

Bulk SMS মূলত দুই প্রকার।

Non Masking

Masking

Non Masking: Non Masking অর্থাৎ যার Mask নেই, তাহলে Bulk sms এর ক্ষেত্রে Non Masking কি দ্বারায় !

আপনি যদি Non Masking System এর মাধ্যমে sms send করেন, সেই ক্ষেত্রে যে কোনো Random Number থেকে মেসেজ সেন্ড হবে।

যেমনঃ +8801711111111 বা +8801720000000 বা +880662220000 এভাবে।

এবং আপনার রিসিভারও এই নাম্বার গুলো দেখতে পাবে।

Non Masking এর ক্ষেত্রে অবশ্যই sms এর বডি তে আপনার বিজনেসের নাম উল্লেখ করবেন। তা নাহলে রিসিভার বুঝতে পারবে না sms টি ঠিক কে পাঠিয়েছে।

Non Masking দামে সাশ্রয়ী তাই যারা ছোট ব্যবসা করেন অথবা বাজেট কম তারা Non Masking সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন।

এখানে আপনাকে নূন্যতম ১০০০ SMS কিনতে হবে Non Masking সিস্টেমে প্রচারনা চালানোর জন্য । যত বড় প্যাকেজ কিনবেন খরচ ততো কমে আসবে। তবে একটা নির্দিষ্ট লেভেলের পর প্রাইস আর কমবে নাহ। আর Mr AnTor Ali আপনাকে কাসস্টোমাইজ প্যাকেজের অফার দিয়ে থাকে।

Masking: Mask অর্থাৎ মুখোস , তার মানে দাড়ালো আপনি যখন Masking System ব্যবহার করবেন তখন কোনো একটা নির্দিষ্ট নাম দিয়ে আপনার Message টি যাবে। যেমনঃ কোনো অপারেটর যখন আমাদের সিমে SMS পাঠায় তখন  আমাদের মোবাইলে প্রমোশনাল নাম দেখায় GP Offer, BL offer, Food Panda BD, Bata or Apex এভাবে।

Masking এর ক্ষেত্রে বডি তে আপনবার বিজনেসের নাম উল্লেখ না থাকলেও রিসিভার বুঝতে পারবে যে SMS কে পাঠিয়েছে।

যেহেতু এটা একটু স্পেশাল করে নাম বা আইডি সেট হয় তাই এই ক্ষেত্রে এর দামও  একটু বেশি হয়ে থাকে।

এই ক্ষেত্রে আপনাকে নূন্যতম ৩০০০ SMS এর প্যকেজটা কিনতে হবে। Non Masking এর মতো এটাও  যত বড় প্যাকেজ কিনবেন ততো খরচ কমে আসবে তবে একটা নির্দিষ্ট লেভেলে পর প্রাইস আর কমবে নাহ।

Bulk sms করার সময় আপনাকে যা যা মাথায় রাখতে হবেঃ

আপনি যদি কাস্টমার বেজ তৈরি করতে SMS করতে চান, তবে যেকোনো প্রোভাইডার থেকে টার্গেটেড Region, Age, Gender, প্রফেশন অনুযায়ী নাম্বার কালেক্ট করে মার্কেটিং করতে পারবেন। এতে খরচ একটু বাড়বে, তবে Reach বা Brand Awareness ভাল  হবে।

আপনি যদি শুধু প্রচারণা চালাতে চান তবে সেই ক্ষেত্রে Non Targeted অডিয়েন্স-এর কাছে মার্কেটিং করতে পারেন। তবে, প্রভাইডারকে যদি আলাদা করে নাম্বার দিতে হয়, তাহলে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে  এক্সট্রা পে করতে হবে। আর যদি আপনি নিজে নাম্বার দিতে চান, তাহলে শুধুমাত্র SMS এর খরচ দিলেই আপনার কাজ হয়ে যাবে।

আপনি চাইলে নিজেই Panel বা  SMS Portal থেকে SMS সেন্ড করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে আমরা আপনাকে একটি ভিডিও দিয়ে দিবো। আপনি ভিডিও টি

Wednesday, July 20, 2022

অসাধারণ পোর্টফলিও ওয়েবসাইট এইচটিএমএল টেমপ্লেট

অসাধারণ পোর্টফলিও ওয়েবসাইট এইচটিএমএল টেমপ্লেট

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অনলাইনে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনলাইনে ক্লায়েন্ট পেতে হলে তারা অবশ্যই আপনার পোর্টফলিও দেখতে চাইবে। যার মধ্যে আপনার বিষয় সকল তথ্য দেওয়া থাকবে। বিশেষ করে আপনি কি কাজ করেন? আপনার প্রফেশন কী? আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? এছাড়াও আপনার পুর্বের করা প্রজেক্ট, আপনার কোন টিম থাকলে তাদের ইন্ট্রডাকশন।  আমাদের আজকের এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পরলে আপনি একটি পোর্টফলিও ওয়েবসাইট (এইচটিএমএল) টেমপ্লেট একদম ফ্রীতে পাবেন। যা আপনি ইচ্ছা মত কাস্টমাইজ করতে পারবেন।



কেন পোর্টফলিও ওয়েবসাইট প্রয়োজন?

আমরা সকলেই জানি কোন কোম্পানি বা কোথায় চাকরির জন্য আবেদন করতে গেলে একটি CV বা Resume লাগে। যার মধ্যে বিভিন্ন বিষয় যেমন, পড়াশোনা, স্কিল, বায়োগ্রাফি ইত্যাদি লেখা থাকে। পোর্টফলিওটাও সিভির মতই কাজ করে তবে পর্টফলিও সিভির থেকেও অনেক অ্যট্রাক্টিভ। কারন সিভিতে সুধু টেক্স থাকে এবং কাগজেই বেশি দেখা যায়। তবে পর্টফলিও ওয়েবসাইট একটি ডিজিটাল ওয়েব পেইজের মত কাজ করে। আপনি নিশ্চয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন। আপনার পোর্টফলিওটাও একটি ওয়েবসাইটের মতই কাজ করবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ধরতে গেলে এটা একটি ডিজিটাল সিভিও বলা যায়। যার মধ্যে আপনি সব কিছু উপস্থাপন করতে পারবেন। এতে করে অনলাইন সেক্টরের যে কোন কাজ আপনি খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারেন। পোর্টফলিও ওয়েবসাইট টেমপ্লেট ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন আপনি যদি ফ্রীতে পোর্টফলিও ওয়েবসাইট বানাতে চান এবং লাইভ হোস্ট করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন। 






Saturday, May 21, 2022

ডায়নামিক ওয়েবসাইট কাকে বলে?

ডায়নামিক ওয়েবসাইট কাকে বলে?

যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করছেন ও শুরু করেছেন বা করবেন ভাবছেন, তাহলে আমি এত টুকু গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি কোননা কোন ভাবে Dynamic Website বা Static Website অথবা Landing Page এইসবের নাম শুনেছেন বা ভবিষ্যতে শুনবেন। এইসবের মানে কি অনেকেই জানেনা, যেমন আজকে আমি ফেসবুকে ওয়েব ডেভলপমেন্ট গ্রুপে পোস্ট পরছিলাম এবং কমেন্টে দেখলাম একভাই জানতে চাচ্ছেন ডায়নামিক ওয়েবসাইট সম্পর্কে। কিন্তু কেউ তাকে পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারছেনা। মূলত যারা ওয়েব সেক্টরে নতুন তাদের এই বিষয়টি জানা অত্যান্ত জরুরি। আজকের এই পোস্টে ডায়নামিক, স্ট্যাটিক ও ল্যান্ডিনং পেইজ নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

What is Static Website? স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট কি?

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এমন একটি সাইট যেই সাইটে সকল ধরনের তথ্য থাকে কিন্তু একজন স্বাধারন মানুষ কোনভাবেই ঐ সাইট আক্সেস করতে পারবে না। তবে হ্যা যদি আপনি সাইটের এ্যাডমিন হয়ে থাকেন এবং সাইট যদি CMS ভিত্তিক হয়। তাহলে আপনি এ্যাডমিন হিসেবে যা খুশি করতে পারেন, আর এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে পোর্টফলিও ওয়েবসাইট গুলো স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট হয়ে থাকে। 

What is Dynamic Website? ডায়নামিক ওয়েবসাইট কি?

যেই ওয়েবসাইটে কোড এডিট করা ছাড়াই সব কাজ করা যা ও অ্যাকাউন্ট করা যায় তাকে ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলে। ডায়নামিক ওয়েবসাইটে আপনি সকল ধরনের সুবিধা পাবেন। যেমনঃ- অ্যাকাউন্ট তৈরি করা এবং সাইটের একজন রেজিস্টার মেম্বার হওয়া। মূলয় ই-কমার্স ও লার্নিং ওয়েবসাইট গুলো ডায়নামিক ওয়েবসাইট হয়ে থাকে। যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন, এই সমস্ত সাইট গুলো অ্যাকাউন্ট তৈরি, প্রোডাক্ট চয়েজ, প্রোডাক্ট কার্টে এ্যাড করা এবং সেটি আজীবন আপনার অ্যাকাউন্টে দেখানো, এবং কোন কিছু অর্ডার করা এই সকল কাজই ডায়নামিক ওয়েবসাইট দ্বারা সম্ভব।

What is Landing Page?

কোন একটা জিনিস খুব সুন্দর করে সুধু একটা পেইজের মধ্যে ডিস্পলে করানোকে ল্যান্ডিং পেইজ বলে। যেমন ধরুন আপনার একটি প্রোডাক্ট আছে, সেটা হতে পারে যে কোন জিনিস ধরে নিলাম আপনার কাছে Samsung S22 মোবাইল রয়েছে স্টোকে অনেক গুলো। এখন এই গুলো আপনি বিশ্বব্যাপী সেল করতে চাচ্ছেন। এর জন্য প্রয়োজন আপনার মার্কেটিং করা এবং লোকজনকে অই মোবাইল সম্পর্কে ভালো আইডিয়া দেওয়া। এইসমস্ত জিনিস গুলো আপনি একটা ল্যান্ডিং পেইজেএ মাধ্যমে ডিস্পলে করবেন। এতে করে ক্লায়েন্ট এক পেইজেই সকল ডিটেইলস জেনে যাবে। ল্যান্ডিং পেজ এবং স্ট্যটিক ওয়েবসাইট ২ টাই প্রায় সেম। এই সমস্ত ল্যান্ডিং পেজ গুলো প্রায় সবই মার্কেটিং এর জন্য তৈরি করা হয়। এবং বেশির ভাগ ল্যান্ডিং পেজ সিংগেল পেজেরও হয়ে থাকে।



Sunday, May 8, 2022

ওয়েবসাইটে ডেটাবেজ কেন প্রয়োজন? Web Enabld database

ওয়েবসাইটে ডেটাবেজ কেন প্রয়োজন? Web Enabld database

ইন্টারনেট ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের কোন ক্লায়েন্ট সাধারণত TCP/IP প্রটোকল ব্যাবহার করে ওয়েব সার্ভারের কাছে কোন উপাত্ত বা তথ্য চেয়ে অনুরোধ (Request) পাঠায়। ক্লায়েন্টের অনুরোধগুলো সাধারণত ওয়েব ব্রাউজারেএ মাধ্যমে পাঠানো হয় এবং অনুরোধের ফলাফল ওয়েবসার্ভার থেকে প্রাপ্ত হয় যা সাধারণত ওয়েব ব্রাউজারেই প্রদর্শিত হয়। TCP/IP প্রটোকল এক ধরনের কমিউনিকেশন প্রটোকল যা ইন্টারনেটে ব্যাবহার করা হয়।

প্রটোকল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

ওয়েব সার্ভার এক বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার যা এক সাথে অনেক ক্লায়েন্টকে সেবা প্রদান করতে পারে।  বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় ওয়েব সার্ভার হলো Apache যা বিশ্বের প্রায় ৬০ ভাগেরও অধিক ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হয়। ওয়েব সার্ভারের সাথে ডেটাবেজ সার্ভার যুক্ত থেকে একত্রে ওয়েব এনাবেল্ড সার্ভার হিসেবে কাজ করে। কাজেই ওয়েব এনাবেল্ড ডেটাবেজ হলো ইন্টারনেট বা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ব্যাবহারযোগ্য কোন ডেটাবেজ যাতে বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম থেকে সহজেই ডেটা এক্সেস করা যায়। যেমন- বাংলাদেশ সরকারে সকল ধরনের ফরম forms.gov.bd এড্রেসে পাওয়া যায়। জনগনের সুবিধার্থে একটি ওয়েব এনাবেল্ড ডেটাবেইসে বাংলাদেশ সরকারেএ যাবতীয় প্রয়োজনীয় ফরম সংরক্ষিত আছে যা ইন্টারনেটে যেকেউ ঐ ঠিকানা থেকে এক্সেস করতে পারে। 

বিভিন্ন পর্যায়ের মিডলওয়্যার এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যাবহারের৷ মাধ্যমে ব্যাবহারকারীরা কোন ক পূর্বে থেকে রক্ষিত ডেটা ইন্টারনেটের বা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এক্সেস করতে পারে। যেমন একজন ক্রেতা তার কাংখিত দ্রব্যের দাম জানার জন্য অনলাইনে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে বিভিন্ন বিক্রেতার ওয়েব এনাবেল্ড ডেটাবেজের মাধ্যমে তৈরি করা ওয়েবসাইটের মাধ্যে সার্চ করতে পারে। এমনকি ক্রেতা তার বাসায় বসে থেকে ওয়েব ব্রাউজার সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রেতার ওয়েবসাইট এক্সেস করতে পারে। সাধারনতঃ ওয়েব ব্রাউজার সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেজ থেকে ডেটা এক্সেস করে গ্রাহকের কম্পিউটারে প্রদর্শিত হয়। 

বর্তমানে বহুল প্রচলিত ওয়েব এনাবেল্ড কিছু ডেটাবেজ সার্ভারের নাম নিম্নরুপ-

  1. মাইএসকিউএল (MySQL)
  2. মাইক্রোসফট এসকিউএল সার্ভার (SQL Server)
  3. ওরাকল (Oracle)
  4. ডিবি২ (DB2)
  5. ইনফরমিক্স (Informix)
  6. ম্যাংগো ডিবি (MangoDB)

এদের মধ্যে মাইএসকিউএল MySQL ডেটাবেজ হলো ওপেনসোর্স যা বিনা মূল্যে ব্যাবহার করা যায়।



Thursday, March 24, 2022

হোস্টিং কী? What is hosting?

হোস্টিং কী? What is hosting?

হোস্টিং কী? হোস্টিং কেন প্রয়োজন? হোস্টিং কি কাজে লাগ? আজকে এই সকল প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন। আমি আজকে হোস্টিং বিষয় সকল কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। 

হোস্টিং কি? এটা জানার পুর্বে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে ওয়েবসাইট কী? ও ডোমেইন কি?  যারা ওয়েবসাইট কী? ও ডোমেইন কি এই বিষয় জানতে ইচ্ছুক তারা আমাদের ওয়েবসাইটে ডোমেইন বা ওয়েবসাইট লিখে সার্স করলেই এই সংক্রান্ত আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল কথায় আসি।



হোস্টিং কী?

হোস্টিং হচ্ছে একধরনের স্টোরেজ যা অনলাইন ভিত্তিক সকল প্লাটফোর্মে ব্যাবহার করা লাগে। যেমন যারা ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানেন তারা এটাও জানেন যে ডোমেইন ও হোস্টিং একটি ওয়েবসাইট বানাতে সর্বপ্রথম প্রয়োজন। এটা আমরা প্রায় সকলেই জানি কিন্তু আমরা এটা জানিনা হোস্টিংটা আসলে কি এবং এটা কিভাবে কাজ করে? কোন একটি ওয়েবসাইট আমরা যখন বানাতে যাই অভিয়াসলি তার মধ্যে অনেক ফাইল ও ফটো রাখতে হয়। যেমন বিভিন্ন স্ক্রিপ্ট, ফাইল, ফটো, ভিডিও এবং অন্যান্য যে কোন MB/KB ভিত্তিক কোন না কোন ডাটা থাকে, যা স্বাধারনত একটি ওয়েবসাইট বানানোর সময় আমরা আমাদের কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারে রাখি। আপনিকি কখনো নিজেকে প্রশ্ন করেছেন যে এই ফাইল গুলো ওয়েবসাইটের ঠিক কোন স্থানে রাখা হয়? জ্বী হ্যা এই সকল ডাটা হোস্টিং এর মধ্যে সংরক্ষন করা হয়। 

হোস্টীং মূলত কম্পিউটার হার্ড-ডিস্কট এর মত, তবে এটা অনলাইনে থাকে এবং দিন ২৪ ঘন্টা ও সপ্তাহের ৭ দিন অন থাকে। এটা কোন ভাবেই বন্ধ করা হয়না। অর্থাৎ এই স্টোরেজ গুলো যেই যায়গা থেকে সার্ফ করা হয় তাদের কম্পিউটার গুলো এতটাই সক্তিশালী যা ২৪ ঘন্টা চালু থাকে। আর এইসব কম্পিউটার গুলোকে সুপার কম্পিউটার বলা হয়ে থাকে। 

সুপার কম্পিউটার কোথায় রাখা হয়?

সুপার কম্পিউটার সব দেশে দেখা যায়না, হাতে গনা অল্প কিছু দেশেই এর অস্তিত্য আছে যা সব থেকে বেশি ইউরোপীয় কাউন্ট্রী ও এমেরিকাতেই রয়েছে এবং গবেষনায় দেখা যায় বিশ্বের ৭০% ডাটা কানাডার সার্ভার বা সুপার কম্পিউটারে রয়েছে। এইসব সুপার কম্পিউটার গুলো খুব যত্ন সহকারে রাখা হয়।

ডোমেইন ও হোস্টিং ২টাত আলাদা কিন্তু একত্রিত কিভাবে করে?
জ্বী হ্যা ডোমেইন হোস্টিং আলাদা তবে এটা এক না করলে আপনার ওয়েবসাইট স্বাধারন মানুষ খুজে পাবেনা। এর জন্য ডোমেইন ও হোস্টিংকে একত্রিত করা লাগে যা DNS দ্বারা করা হয়। 

হোস্টিং কত প্রকার?

হোস্টিং অনেক প্রকার আছে। তবে সব থেকে মেইন ফিচার গুলো নিয়ে ৪ প্রকার হোস্টিং সব থেকে বেশি জনপ্রীয়। এই হোস্টিং গুলো বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার হয় অবশ্যই কাজের উপর ভিত্তি করেই এই ৪ প্রকার হোস্টিং। ৪ প্রকার হোস্টিং এর তালিকা নিচে দেওয়া হলো। 
  1. Shared Hosting
  2. VPS (Virtual Private Server) Hosting
  3. Dedicated Hosting
  4. Cloud Hosting

আরো পরুনঃ

Sunday, March 20, 2022

ডোমেইন কেন প্রয়োজন? ডোমেইন কি কাজে ব্যাবহার হয়

ডোমেইন কেন প্রয়োজন? ডোমেইন কি কাজে ব্যাবহার হয়

আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট বানানোর কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার সর্বপ্রথম প্রয়োজন একটি ডোমেইন। যারা ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে বা বানিয়ে দেয় তাদের সাথে আপনি যখন কমিউনিকেশন করবেন তখন অবশ্যই শুনে থাকবেন ডোমেইন হোস্টিং কে দিবে? বা ডোমেইন নাম বলুন ও হোস্টিং কত জিবি?

মূলত আজকের এই পোস্টে আমি ডোমেইন বিষয় বিত্যান্ত আলোচনা করবো। আমার এই আর্টিকেলটি পুরোটা পরলে ডোমেইন কি? কেন প্রয়োজন? কি কাজে কখন ব্যাবহার হয়? ডোমেইন কত প্রকার? এইসকল কিছু আজকে জানতে পারবেন।

ডোমেইন কী?

ডোমেইন কীঃ ডোমেইন হচ্ছে একটি নাম বা একটি ঠিকানা। বিষয়টা ক্লিয়ার হতে একটু রিয়ালিটিতে আশা যাক। ধরুন আপনার বাসায় আমাকে যেতে বললেন, কিন্তু ঠিকানা দিলেন না! এখন এই পর্যায় আপনার বাসায় যেতে হলে অবশ্যই আপনার ঠিকানা আমাকে জানতে হবে তারপর আমি আমার গন্তব্যে পৌছাতে পারবো। একিভাবে ডোমেইন কাজ করে। আপনার ওয়েবসাইটে আপনি যখন ভিজিট করবেন অবশ্যই সার্সবারে আপনার ওয়েবসাইটের URL বা Address যেটাকে সবাই ডোমেইন বলি সেটা দিতে হবে। এরপর আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন। যেমন আমার ওয়েবসাটের ডোমেইন হচ্ছে www.mrantorali.com এটা একটি ডোমেইন বা ওয়েবসাইট এড্রেস। এটা আপনি সার্স করলে ১০০% আমার ওয়েবসাইট সামনে আসবে।  




বিঃদ্রঃ একটি ডোমেইন নেইম একবার মাত্র ব্যাবহার যোগ্য এবং যতক্ষন অইটার সময় বা Expired না হবে ততক্ষন অইটা আর কেউ ব্যাবহার করতে পারবেনা।

ডোমেইন গঠন 

একটী ডোমেইন কিছু অংশ নিয়ে গঠিত হয়। যেমন ধরুন google এর ওয়েবসাইটের নাম google.com বা https://www.google.com এখানে এই ডোমেইনটিতে ৪টি অংশে ভাগ করা। এটা যদি সহজে বুঝতে চান নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন।



ডোমেইন এক্সটেনশন

ডোমেইন এক্সটেনশন এটা হয়ত অনেকেই জানেন না। ডোমেইন এক্সটেনশন কোনটাকে বলা হয়? আমার ওয়েবসাইট mrantorali.com এখানে আমার নামের পর অর্থাৎ mrantorali এরপরে যেই ওয়ার্ড আছে অইটাই হচ্ছে এক্সটেনশন। এখানে আকি যেটা ইউজ করেছি সেটি হচ্ছে  .Com তবে মার্কেটে এরকম হাজারো রকম এক্সটেনশন পাওয়া যায়। 

ডোমেইন নেইম কত প্রকার? 

ডোমেইন নেম অনেক প্রকার। বর্তমানে বাজারে কয়েকহাজারেরো বেশি এক্সটেনশন পেয়ে যাবেন। যার মধ্যে .Com .Net .Info .Org ইত্যাদি সব থেকে জনপ্রিয়। এবং এর বাহিরে কাউন্ট্রি বেসেড অনেক ডোমেইন এক্সটেনশন পাওয়া যায় এবং নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা এক্সটেনশন আছে। 
  1.  .Gov (Government)
  2.  .Info (Information)
  3.  .Edu (Education)
  4.  .biz (Business) 
এই গুলো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য করা হয়েছে এর পাশাপাশি নিজ দেশের জন্য আলাদা আলাদা ডোমেইন আছে
  1.   .Bd (Bangladesh)
  2.   .in (India)
  3.   .Cn (China)
  4.   .us (United State)
  5.   .uk (United Kingdom)
এরকম প্রত্যেক দেশের জন্য আলাদা আলাদা ডোমেইন আছে। এবং প্রত্যেকটা ডোমেইন অর্থবহন করে।

আজ থেকে কয়েক দশক আগে এই ডোমেইন নেইম ছিলোনা তখনকার যুগে এটা IP Address দিয়ে করা হতো। আইপি এ্যড্রেসের সংখ্যার মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঢোকা যেতো। কিন্তু অতিরিক্ত সংখ্যা যা নামের তুলোনায় মনে রাখা কঠিন তাই পরবর্তিতে এটা নাম হিসেবে এক্সেস করার সিস্টেম তৈরি করা হয়। এবং বর্তমানে আমাদের মনে রাখার মতো আমরা ডোমেইন নেইম দেই তবে এর পিছনে এখনো একটি আইপি কাজ করে। আপনার হোস্টিং সার্ভার যেখানেই থাকুক তার সার্ভার এক্সেস করতে অবশ্যই আইপি এড্রেস দিয়ে কল করা হয়।

যেমন গুগল ওয়েবসাইট https://www.google.com এটা লিখে সার্স করলে ওপেন হয় তবে আপনি চাইলে এই সেম কাজ আইপি দ্বারাও করতে পারেন। যেমন এটার আইপি  হচ্ছে 142.250.72.110


হোস্টিং এবং ডোমেইন একসাথে কানেক্ট করার জন্য DNS Name Server ব্যাবহার করা হয়।

আরো পড়ুন

Tuesday, March 15, 2022

পেমেন্ট গেটওয়ে কি? ওয়েবায়াইট পেমেন্ট গেটওয়ে What is payment gateway?

পেমেন্ট গেটওয়ে কি? ওয়েবায়াইট পেমেন্ট গেটওয়ে What is payment gateway?

হেলো, সবাই কেমন আছে? আশা করি ভালো আছেন। আজকের এই আর্টিকেলে পেমেন্ট গেটওয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। প্রথমেই জানবো পেমেন্ট গেটওয়ে কি? 



What is payment gateway?

Payment Gateway বা পেমেন্ট গেটওয়ে হচ্ছে একধরনের ফিনানশিয়ালি সার্ভিস যা কোন সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রোভাইড করা হয়। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কাস্টমার বা ক্লায়েন্ট থেকে ডিজিটালি পেমেন্ট নিয়ে থাকে। মূলত অনলাইনে এই পেমেন্ট রিসিভ করার জন্যই পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যাবহার করা হয়। আপনি আপনার কাস্টমার থেকে খুব সহজেই পেমেন্ট নিতে পারবেন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে! 

দেশি বিদেশি অনেক পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানি রয়েছে। যেই কোম্পানি থেকে আপনি পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিয়া ক্রয় করবেন, তারা আপনাকে একটি সফটওয়্যারের এক্সেস দিবে। সেই সফটওয়্যারটিকে আপনি আপনার সফটওয়্যারের সাথে কানেক্টেড করবেন। হতে পারে সেটা ওয়েবায়াইট, এন্ড্রয়েড অ্যাপ্স বা আইওএস। সাক্সেসফুল্লি কানেক্ট হবার পর, আপনার কাস্টমার আপনার সার্ভিস ক্রয়ের সময় আপনার ওয়েবাসাইট বা অ্যাপ্সেই পেমেন্ট করতে পারবে। তারা তাদের বিকাশ, মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড, পেপাল ও ব্যাংক ট্রান্সফার যে কোন ভাবে পেমেন্ট করতে পারবে। 

পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম কিভাবে কাজ করে❓এরকম প্রশ্ন যদি মাথায় এসে থাকে তাহলে নিচের ছবিতে দেওয়া চক্রটা লক্ষ করুন।


পেমেন্ট গেটওয়ে কাদের কাছ থেকে নিবো?

পৃথিবীতে ইন্টারন্যাশনাল ভাবে কিছু পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম আছে যাদের লিস্ট আমি নিচে দিচ্ছি।

  1. Paypal
  2. Stripe
  3. 2Checkout
  4. SSLCommerz
এই গেটওয়ে গুলোর মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন এবং আপনার কাস্টমার যে কোন যায়গা থেকে পেমেন্ট করতে পারবে। 

আপনি যদি একজন বাংলাদেশি হয়ে থাকেন তাহলে পেপাল, স্ট্রাইপ ও ২চেকয়াউট থেকে বিরত থাকুন। কারন এইগুলো সব ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে যা বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সাপোর্টেড না। 

বাংলাদেশের জন্য সব থেকে ভালো পেমেন্ট গেটওয়ে হচ্ছে SSLCommerze যা দিয়ে প্রায় সকল পেমেন্ট আপনি খুব সহজে রিসিভ করতে পারবেন। SSLCOMERZE দেশিও একটি পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম যা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। 

বন্ধুরা আপনাদের মতামত কি? SSLCOMMERZE কি বাংলাদেশের জন্য বেস্ট? নাকি এর বিপরিতে অন্যকিছু আছে তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।


Friday, March 11, 2022

ওয়েব ডিজাইনারের দরকারি কিছু ওয়েবসাইট Must useful website for web designer

ওয়েব ডিজাইনারের দরকারি কিছু ওয়েবসাইট Must useful website for web designer

একজন ওয়েব ডিজানার হিসাবে আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ডেমো অথবা লাইভ ওয়েবসাইট থেকে ইন্সপেক্ট কররে ছবি ডাউনলোড করতে হয়। যা খুবি সময় সাপেক্ষ ও বিরক্তিকর! কিন্তু আপনি চাইলেই খুব সহজেই অনলাইন থেকে ফ্রী সব ছবি একবারে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

এমনি বিভিন্ন কাজকে সহজে ও খুব কম সময়ে সম্পন্ন করার ৭টি দারুন ওয়েবসাইট আপনাদের সাথে আজকের এই পোস্টে শেয়ার করবো। আশা করি সবাই উপকৃত হবেন বিশেষ করে যারা নতুন ওয়েব ডিজাইন শুরু করেছেন। 

বিঃদ্রঃ সবুগুলো ওয়েবসাইট ফ্রী ব্যাবহার যোগ্য।  

  1. যেকোন ছবি ডাউনলোড এক ক্লিকেই।  ওয়েবসাইট নাম Unsplash
    লিংকঃ https://unsplash.com/
  2. পোস্টার, ব্যানার, কভার ফটোসহ ফাইবার গিগের ছবি বা ডিজাইনের জন্য Canva.
    লিংকঃ https://www.canva.com/
  3. কোন ওয়েবসাইটের ছবি যদি কোথায় না পেয়ে থাকেন সরাসরি অই ওয়েবসাইটের ছবি ডাউনলোড দিতে পারেন সেই ক্ষেত্রে Toolsbug Website Best.
    লিংকঃ https://www.toolsbug.com/images-downloader-online.php 
  4. কোন কালারের সাথে কোন কালার ম্যাচ করবে? বা কালার কোড কপি করার জন্য এই সাইটটি দারুন।
    লিংকঃ https://coolors.co/palettes/trending
  5. বক্স শেডো বানিয়ে নেন নিমিষেই।
    লিংকঃ https://html-css-js.com/css/generator/box-shadow/
  6. নিমিষেই ছবির ব্যাকগ্রান্ডন রিমুভ করুন, RemoveBG লিংকঃ https://www.remove.bg/upload
  7. বিভিন্ন আইকনের জন্য pngitem
    লিংকঃ https://www.pngitem.com/


এরকম আরো ইন্টারেস্টিং আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে

Monday, March 7, 2022

What is DNS? ডোমেইন নেইম সার্ভার

What is DNS? ডোমেইন নেইম সার্ভার

DNS বা ডোমেইন নেইম সার্ভার এটা আবার কি ভাই? What is DNS? যদি আপনি ইন্টারনেট ব্যাবহার করে থাকেন বা আইটি সমর্কে জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে এটা জানা অনেক গুরুত্বপূর্ন। আজকের এই আর্টিকেলে ডোমেনি নেইম সার্ভার কী? কেন? কখন? কোথায় ব্যাবহার হয়ে থাকে এইসকল কিছু শেয়ার করবো।

ডোমেইন নেইম সার্ভার কী? 

DNS যারর ফুল মিনিং হচ্ছে Domain Name System বা Domain Name Server অনেকে আবার Domain Name Service বলে থাকে। আমাদের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট এই গুলো সব একটার সাথে আরেকটা কানেক্ট থাকে। সব গুলো অটোমেটিক একটা আরেকটার সাথে কানেকটেড। এই আর্টিকেলটা আপনি যেইখান্ থেকেই পরেন না কেন এই সব গুলো সার্ভারের সাথে কানেক্ট আছে। আপনার মোবাইল সিম, যেমন- এয়ারটেল, রবি, গ্রামিন, বাংলালিংক এই সকল কিছু DNS এর মাধ্যমে কানেক্ট থাকে। 

আমরা খুব আরামেই গুগল, ফেসবুক, ইউটুব এই সকল ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকি। কিন্তু বাস্তবে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার Google.com, facebook.com বা youtube.com এই গুলো চিনেনা। তারা চিনে IP Address যখন আপনি কোন ব্রাউজারে google.com লিখে এন্ট্রি করেন তখন গুগলের সাইট ওপেন হয়। এটা আসলে কাজ করে IP এর মাধ্যমে। যখন কোন ব্যাক্তি ব্রাউজারে কন কিছু এন্টার করে তখন DNS এ কল করা হয় এবং কয়েক মিলি সেকেন্ডে একটা IP Address আসে এবং পুনরায় আইপি এড্রেসে ব্রাউজার DNS রিকুয়েস্ট করে এবং আপনার সামনে অই আইপি এড্রেসের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট চলে আসে।  

ডোমেইন নেইম সিস্টেম উদাহরণ

ধরুন আপনি আমাদের ওয়েবসাইট mrantorali.com এ ভিজিট করতে কোন একটি ব্রাউজার যেমন ক্রম এর সার্সবারে টাইপ করলেন, এরপর ব্রাউজার যদিও আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে চাচ্ছে কিন্তু সাথে সাথে তার মধ্য দিয়ে একটি আইপি চলে আসে এবং সেই আইপি ধরেই ব্রাউজার সার্ভারের কাছে রিকুয়েস্ট পাঠায় এবং সার্ভার থেকে ওয়েব পেইজ গুলো আপনার ব্রাউজে প্রদর্শন করানো হয়।







সুতরাং আইপি এড্রেস ছাড়া কোনদিন কোন ওয়েবসাইটকে এক্সেস করা সম্ভব নয়। 

আমাদের হিউম্যান অপরচনিটি হচ্ছে আমরা সব কিছু পার্ফেক্টলি মনে রাখতে পারিনা। আর পারলেও নামের দিকে তা বেশি এগিয়ে কিন্তু এত এত আইপি এড্রেসের নাম্বর যা মনে রাখা প্রায় অসম্ভব। এর জন্য মূলত আইপির পরিবর্তে ডোমেইন নেইম সিস্টেম অন করা হয়। যেমন আমার ওয়েবসাইটে এখন কেউ ইন্টার করলেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছে যার অন্য তল রিজন ব্রাউজার অটোমেটিক আমার ওয়েবসাইটের আইপি ট্রাক করতে পারছে। 

আরো পরুনঃ