Showing posts with label Virus. Show all posts
Showing posts with label Virus. Show all posts

Saturday, November 26, 2022

AIDS রোগের কারণ কী? এইডস রোগ কী?

AIDS রোগের কারণ কী? এইডস রোগ কী?

সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী রোগ হচ্ছে  'এইডস'। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানাবো AIDS রোগ সম্পর্কে ও এইডস রোগ কেন হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

এইডস রোগ কী?

সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী রোগ হচ্ছে 'এইডস'। এটি একটি সংক্রমক রোগ। ১৯৮১ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম আমেরিকায় AIDS চিনহিত হয় এবং তখন থেকে সারা বিশ্বে AIDS মরণব্যাধি হিসেবে পরিগনিত হয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে এর প্রকোপ সব চেয়ে বেশি।

প্রাকৃতিক নিয়মে সব মানুষের দেহেই রোগ-জীবাণু আক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে। একে ইমিউনিটি বলা হয়। আমাদের রক্তের মধ্যে এমন কিছু ব্যাবস্থা আছে, যার মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক সবরকম জীবাণুর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারি। রক্তের লিম্ফোসাইট এ্যান্টিবডি প্রস্তুতের মাধ্যমে জীবাণুর আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। AiDS- এ আক্রান্ত ব্যাক্তির নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষনতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় এবং একসময় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ঘটে। এ জন্য এই রোগটির নাম দেওয়া হয়েছে "অ্যাকুয়ার্ড ইম্যুন ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রম" যা সংক্ষেপে AIDS (Acquired Immune Deficiency Syndrome)। এক ধরনের ভাইরাস, যার নাম Human Immuno Deficiency Virus. এবং যাকে সংক্ষেপে HIV বলা হয়, এই AiDS রোগের সংক্রমন করে থাকে Hiv.

AIDS রোগের কারণ?

HIV দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। দেহের রক্ত স্রোতে প্রবেশ করার পর HIV রক্তের শ্বেত কণিকার T- লিম্ফোসাইট কে আক্রমণ করে। এ কারণে এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে নানা রকমের বিরল রোগের সংক্রমণ ঘটে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, মস্তিষ্কের রোগ পুরিতন্ত্রের রোগ এবং টিউমার। দেখা গেছে HIV ভাইরাস সংক্রমণের পর প্রথম পাঁচ বছর পর্যন্ত মানুষের দেহে কোন রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় না এসব মানুষ তখনই এই রোগ বাহক হিসেবে কাজ করে এবং  তখন তারা অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে।

এ রোগে কারা বেশি আক্রান্ত হতে পারে সে সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক তথ্যই জানা গেছে। প্রধানত যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে HIV সুস্থ ব্যক্তির দেহের সংক্রামিত হয়। সমকামী কিংবা নারী-পুরুষের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত আনপ্রোটেক্টেড যৌন সংযোগের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। গর্ভবতী নারী এ রোগে আক্রান্ত হলে তার সন্তানদের মধ্যে এ রোগ দেখা দিতে পারে। মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে আক্রান্ত নারীর দেহ থেকে সদ্যজাত শিশুর দেহে HIV সঞ্চয়িত হতে পারে। এছাড়া রক্ত সঞ্চালনের সময় এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে কিংবা ড্রাগ ব্যবহারকারীদের শিরিঞ্জের মাধ্যমে হিপ সঞ্চয়িত হয়ে থাকে। খাদ্য, পানি, মশা বা কীটপতঙ্গ অথবা এইডস রোগীর সাধারণ স্পর্শের দ্বারা এ রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না। তবে রক্ত, বীর্য, লালা, অশ্রু ইত্যাদি শারীরিক তরলের মাধ্যমে AIDS সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

এইডস প্রতিরোধ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হিব (HIV) সংক্রমণ কিভাবে ঘটে সে সম্বন্ধে সবাইকে শিক্ষা দেওয়া। অন্যকে সংক্রমিত না করার ব্যবস্থা অবলম্বন করা এবং নিজেকে হিভ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখা। রক্তদান বা গ্রহণ অনিয়ন্ত্রিত আনপ্রোটেক্টেড যৌন সম্পর্ক এবং ড্রাগ ব্যবহারকারীদের সইরিঞ্জের মাধ্যমে হিভ সংক্রমনের ঝুঁকি সম্বন্ধে অবহিত করে এইডস রোগের বিস্তার কমানো যায়। সরকার এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্থাগুলো মরণব্যাধি AIDS- এর সংক্রমণ কীভাবে ঘটে সে সম্বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে এ রোগ থেকে জনসাধারণকে মুক্ত করা যেতে পারে।