Showing posts with label Telecom. Show all posts
Showing posts with label Telecom. Show all posts

Sunday, February 19, 2023

প্রিপেইড সিম কী?

প্রিপেইড সিম কী?

 আমাদের দেশে প্রিপেইড সিম সবথেকে জনপ্রিয়। কেননা প্রিপেইড সিম সবথেকে সাশ্রয়ী। প্রিপেইড সিম আসলে কী এই নিয়ে অনেকেরই জানা নেই। প্রিপেইড সিম বলতে আসলে বুঝানো হয়ে যেখানে আপনি সিম সেবা ব্যবহার করার জন্য আগেই পেমেন্ট করে দেন। অর্থাৎ আপনি মোবাইল অপারেটরকে টাকা দেয়ার পরে আপনি তাদের সমস্ত সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। বেশিরভাগ ব্যবহারকারী এই ধরণের সিম ব্যবহার করে থাকেন ব্যবহারের সুবিধার জন্য।

আমরা সবাই মোবাইল রিচার্জ করে থাকি। মূলত প্রিপেইড সিম বলেই রিচার্জ করবার প্রয়োজন হয়। আপনি রিচার্জ করার মাধ্যমে আপনার মোবাইল অপারেটরকে আগে থেকেই পেমেন্ট করে দিচ্ছেন। মোবাইল অপারেটর সেই পরিমাণ অর্থ আপনাকে ব্যালেন্স হিসেবে দিচ্ছে। এবার আপনি এই ব্যালেন্স ব্যবহার করে মোবাইল অপারেটরের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করতে পারছেন। আপনার ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে সিম থেকে আপনি কোন ধরণের সেবাই আর পাবেন না। আপনার আবারও রিচার্জ করার দরকার পড়বে। আর তাই আগে থেকেই আপনি মোবাইল অপারেটরকে পেমেন্ট করছেন বলে এই সিমকে প্রি-পেইড বলা হয়।

যদিও বর্তমানে সব অপারেটর জরুরি সময়ের কথা চিন্তা করে আপনাকে ছোট পরিমাণে ইমারজেন্সি লোন দিয়ে থাকে যেখানে ফি এর বিনিময়ে আগে পেমেন্ট না করলেও আপনার ব্যালেন্সে টাকা যুক্ত হয়ে যায়। এই সেবার মাধ্যমে বিভিন্ন শর্ত মেনে আপনি আগে পেমেন্ট না করেও প্রিপেইড সিমে মোবাইল অপারেটরের সেবা নিতে পারেন। তবে এটিও আসলে প্রিপেইড সিমের একটি সার্ভিস ছাড়া আর কিছু নয়।

অর্থাৎ প্রিপেইড সিম বলতে সেই সিমকেই বুঝানো হচ্ছে যে সিমে আপনি আগে থেকেই মোবাইল অপারেটরের সেবা পেতে পেমেন্ট করে রাখেন।



পোস্টপেইড সিম কী?

পোস্টপেইড সিম কী?

পোস্টপেইড সিম প্রিপেইড সিম থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। এখানে মোবাইল অপারেটর থেকে সেবা গ্রহণ করে এরপর আপনার মোবাইল অপারেটরকে পেমেন্ট করতে হয়। অর্থাৎ বারবার রিচার্জ করা বা ব্যালেন্স শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর মোবাইল অপারেটরকে আপনার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে পেমেন্ট করে দিতে পারবেন।

পোস্টপেইড সিমে আপনার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করেই বিল পেমেন্ট করা হয়। তবে এটি তেমন সাশ্রয়ী নয়। কলরেট কম হলেও আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যবহার করতে হয় যার ফলে সেটা অনেকের কাছে বোঝা মনে হতে পারে। ফলে পোস্টপেইড ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিছুটা কম। পোস্টপেইড এর অর্থই হচ্ছে যেখানে সেবা নিয়ে তার পরে আপনাকে পেমেন্ট করতে হয়। সুতরাং এই ধরণের সিমে আপনি মোবাইল অপারেটরের যে কোন ধরণের সেবা যে কোন সময় ব্যবহার করতে পারবেন কোন বাঁধা ছাড়াই। তবে এই সেবা নেবার জন্য পরবর্তীতে আপনার অপারেটরকে পেমেন্ট করে দিতে হবে।




Thursday, July 28, 2022

জিএসএম সার্ভিস কি?

জিএসএম সার্ভিস কি?

জিএসএম এর প্রাথমিক সার্ভিসের লক্ষ্য হচ্ছে উচু মানের ডিজিটাল ভয়েস ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করা। তাছাড়া জিএসএম এর একটি অন্যতম জনপ্রিয় সার্ভিস এর নাম হল এসএমএস SMS (Short Message Services)। রোমিং সুবিধা থাকলে পৃথিবীর যে কোন জায়গায় এসএমএস করা যায়। মেসেজ ট্রান্সফার সার্ভিসের সর্বোচ্চ ১৬০টি অক্ষর ব্যাবহার করা যায়। সম্প্রতি আমাদের দেশে এমএমএস MMS (Multimedia Message Service) চালু হয়েছে। এমএমএস দ্বারা ছবি বা ইমেজ পাঠানো যায়। নিচে জিএসএম সার্ভিসের অন্যান্য বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা উল্লেখ করা হলো-

জিএসএম এর সুবিধা কি কি? 

  • বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল নেটওয়ার্ক যা ২১৮টি দেশে ব্যাবহৃত হয়। কাজেই আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা বেশী পাওয়া যেতে পারে।
  • সারা বিশ্বের গ্রাহকদের এক বিরাট অংশ জিএসএম ব্যাবহারকারী বিধায় হ্যান্ডসেট প্রস্ততকারক সরবরাহকারী এবং প্রান্তিক ব্যাবহারকারীদের জন্য বৈশ্বিকভাবে অপেক্ষাকৃত ভাল নেটওয়ার্ক ও সেবা পাওয়া সহজ হয়।
  • অধিক দক্ষ এবং কার্যকর ফ্রিকোয়েন্সী। ফলে ভবনের ভিতরেও সিগন্যালের অবনতি অপেক্ষাকৃত কম হয়। 
  • রুপান্তরের স্পন্দন (Pulse) বৈশিষ্ট্যের কারণে জিএসএম ফোনের কথোপকোথন সময়কাল (Talktime) সাধারণত দীর্ঘতর হয়। 
  • সিম সহজলভ্যতার কারণে ব্যাবহারকারীগণ ইচ্ছামত নেটওয়ার্ক হ্যান্ডসেট বা মোবাইল সেট পরিবর্তন করতে পারেন।
  • GPRS ও EDGE সুবিধা প্রদান করে।
  • তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল টেকনোলজির উপযোগী করে ডিজাইন করা।
  • নিরাপদ ডেটা এনক্রিপশন ও উচ্চমানের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। 

জিএসএম এর অসুবিধা কি কি?

  • কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র বিশেষত অডিও এমপ্লিফায়ারে হস্তক্ষেপ করে ইন্টারফারেন্স তৈরি করে। 
  • অংশগ্রহণকারী নির্দিষ্টট কিছু শিল্প উদ্যোক্তার মাঝেই মেধা সম্পদ সীমাবদ্ধ যা নতুনদের অনুপ্রবেশে বাধা সৃষ্টি করছে এবং ফোন প্রস্তুতকারীদের মধ্যেকার প্রতিযোগীতা সীমাবদ্ধ করে তুলছে। 
  • প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে জিএসএম এ ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে সর্বোচ্চ সেল সাইট নির্দিষ্ট করা থাকে। এটা অবশ্য পুর্বে ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
  • বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। গড়ে প্রায় ২ ওয়াট; যেখানে সিডিএমএ টেকনোলজির ক্ষেত্র গড়ে মাত্র ২০০ মাইক্রোওয়াট!


Monday, June 20, 2022

জিপিআরএস কাকে বলে? GPRS

জিপিআরএস কাকে বলে? GPRS

জিপিআরএস প্যাকেট সিস্টেম (Packet System) ডেটা আদান প্রদান করে। এটি একটি ননভয়েস সার্ভিস। এর দ্বারা ছবি, ইমেজ এবং ভিডিও পাঠানো যায়। জিপিআরএস এর সর্বোচ্চ গতি ১৭১.২ কিলোবাইট/সেকেন্ড। এই গতি জিএসএম নেটওয়ার্কের সার্কিট সুইচ ডেটার চেয়ে দশ গুন বেশি। এটি ব্যাবহার করার জন্য ডায়াল-আপ মডেম কানেকশনের প্রয়োজন নেই। প্রতিটি জিপিয়ারএস টার্মিনালের একটি নিজস্ব আইপি (IP-Internet Protocol) অ্যাড্রেস থাকে। জিপিআরএস এর ভিত্তি হচ্ছে একটি মডিউলেশন কৌশল বা (GMSK-Gaussian Minimum-Shift Keying) নামে পরিচিত। জিপিআরএস ইন্টারনেট এর ব্যাবহার সহজলভ্য করেছে।
GPRS হচ্ছে ২য় ও ৩য় প্রজন্মের সেলুলার কমিউনিকেশন সিস্টেমের GSM- এ প্যাকেট Oriented একটি ডেটা সার্ভিস। ইউরোপীয়ান টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড ইন্সটিটিউট (European Telecommunications Standards Institute - ETSI) GPRS এর মান নির্ধারণ করে। এটি বর্তমানে তৃতীয় প্রজন্মের পার্টনারশীপ প্রজেক্ট দ্বারা রক্ষণাবেক্ষন করা হয়। 

GPRS এর বৈশিষ্ট্য নিচে বর্ণনা করা হলোঃ-

  1. GPRS সার্কিট সুইচিং ডেটার সাথে ভিন্নভাবে থাকে যেখানে বিশেষত সংযোগ সময়ের প্রতি মিনিটের জন্য বিল করা হয়। ব্যাবহারকারী ঐ সময়ে ডেটা স্থানান্তর করুক বা না করুক তা বিবেচনায় না নিয়ে।
  2. GPRS ডেটা বান্ডেল (Bundle) আকারে সরবরাহ করা হয়। যেমন ঃ প্রতি মাসে ৫ জিবি এর জন্য ফী (fee) নির্ধারন করা থাকে। অথবা ব্যাবহারের উপর ভিত্তি করে বিল প্রদান করতে হয়।
  3. ২য় প্রজন্মবের সিস্টেমে GPRS 56 - 114 কিলোবাইট/সেকেন্ড ডেটা রেট প্রদান করে। ২য় প্রজন্ম সেলুলার প্রযুক্তি GPRS এর সাথে সম্মিলিত ভাবে কাজ ক্রএ থাকে। তাই একে অনেক সময় ২য়  ও ৩য় প্রজন্মের মধ্যকার মোবাইল টেলিফোন প্রযুক্তি বা ২.৫ জি (2.5G) বলা হয়।
  4. অব্যবহৃত টাইল ডিভিশন মাল্টিপল একসেস (Time Division Multiple Access) চ্যানেল ব্যাবহার করে এটি মাঝারি গতির ডেটা স্থানান্তর করে। 
  5. বাইরের নেটওয়ার্ক যেমন ইন্টারনেটে (Internet Protocol) প্যাকেট রুপান্তর (Transmit) করতে GPRS Core Network 2G, 3G এবং WCDMA (Wide Band Code Division Multiple Access) কে অনুমতি প্রদান করে। GPRS সিস্টেম GSM নেটওয়ার্ক সুইচিং সাবসিস্টেমের একীভূত্ত অংশ।
  6. যদি GPRS এর মাধ্যএ SMS করা হয় তবে SMS রুপান্তর (Transmission) গতি ৩০ এসএমএস অর্জন করা যায়। এটা GSM এর মাধ্যমে সাধারণ SMS (গতি প্রতি মিনিটে ৬ থেকে ১০ টি ম্যাসেজ) ব্যাবহারের চেয়ে অনেক দ্রুত।

Friday, May 13, 2022

সেলুলার নেটওয়ার্ক কাকে বলে? সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যখ্যা

সেলুলার নেটওয়ার্ক কাকে বলে? সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যখ্যা

সেলুলার নেটওয়ার্কে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী ব্যাবহার করা হয়। সেলুলার রেডিও সিস্টেম রেডিও সার্ভিসের সাথে ভূমি এলাকায় সিগন্যাল বা সংকেত সরবরাহ করা হয়, যা নিয়মিত আকারের সেল (Cell) ভিভক্ত।

সেল ষড়ভূজাকার, বার্গাকার, বৃত্তাকার বা অন্য কোন অনিয়মিত আকারের হতে পারে, যদিও ষড়ভূজাকারই প্রথাগত বা প্রচলিত। প্রত্যেক সেলের জন্য বহু সংখ্যক ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ রয়েছে যা সমতুল্য রেডিও বেস স্টেশন রয়েছে। রি ফ্রিকোয়েন্সীসমুহের একটি শ্রেনী পুনরায় ব্যাবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে একই ফ্রিকোয়েন্সী প্রতিবেশী বা পাশাপাশি সেলে পুনর্ব্যাবহৃত না হয়। 

সম্পুর্ন ভিন্ন ট্রান্সমিশনের জন্য বিভিন্ন এলেকায় একই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী পুনরায় ব্যাবহার করা যেতে পারে। যদি একটি মাত্র সাধারণ ট্রান্সমিটার থাকে তবে যে কোন প্রদেয় ফ্রিকোয়েন্সীতে কেবলমাত্র একটি ট্রান্সমিশন ব্যাবহার করা যেতে পারে। একই ফ্রিকোয়েন্সী পুনরায় ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে একটি মানসম্পন্ন FDMA সিস্টেমের বিভিন্ন সেলের মধ্যে কমপক্ষে এক সেল বিরতি অবশ্যই থাকতে হবে।



Monday, April 11, 2022

রবির ইতিহাস Robi History

রবির ইতিহাস Robi History

রবি প্রায় ৫১ মিলিয়ন গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শীর্ষ টেলিকম অপারেটর। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম ভিত্তিক AKK (AK Khan & Company) এবং টেলিকম মালেসিয়ার একটি জায়েন্ট ভেনচারে AkTEL নামে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ২০১০ রবি নামে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে কোম্পানিটি। ২ দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিচালনা করার পর ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ ৫২৩ কোটি টাকা IPO নঞ্চের মাধ্যমে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টোক মার্কেটে আত্বপ্রকাশ করে। 

বিঃদ্রঃ রবি এবং এয়ারটেল/একটেল এইগুলো সব একি কোম্পানি।

সাবস্ক্রাইবার সংখ্যার ভিত্তিতে কোম্পানিটির মার্কেট শেয়ার বর্তমানে ২৯.৭%। টেলিকম সার্ভিস দেওয়ার পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরটি গ্রাহকদের বিভিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস ও দিয়ে আসছে। এছাড়াও কোম্পানিট তার B2B Business inspection এর লক্ষ্যে Cloud, Analytics এবং মোবাইলের বিভিন্ন ডিজিটাল সার্ভস প্রোভাইড করছে। 


রবির ইতিহাস

১৯৯৬ সালে টেলিকম মালেসিয়া এবং চট্টগ্রামের AKK মধ্যকার জয়েন্ট ভেঞ্চারে প্রতিষ্ঠিত হয় TM International Bangladesh Ltd. এই কোম্পানিটিতে যথাক্রমে ২ কোম্পানির শেয়ার ছিলো। যার মধ্যে TM (Telecom Malysia) ছিলো ৭০% এবং AKK এর ছিলো ৩০%। সে বছর বাংলাদেশ সরকার Grameenphone, Sheba Telecom এবং TM International Ltd কে বাংলাদেশে GSM টেকনোলজি অপারেটর সার্ভিস হিসেবে চালু করার লাইসেন্স প্রোভাইড করে।

রবি ১৯৯৭ সালের ইতিহাস

১৯৯৭ সালের ১৫ নভেম্বর জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানিটি AkTEL নামে ঢাকায় সেলুলার সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তিতে ২৬ মার্ভ ১৯৯৮ সালে AkTEL চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করে। একি বছর কোম্পানিটি তাদের কার্যক্রম নারায়নগঞ্জ ও কক্সবাজার এক্সপেইন করে। 

রবি ১৯৯৯ সালর ইতিহাস

১৯৯৯ সালে  এক্টেল প্রিপেইড সার্ভিসের পাশাপাশি প্রথমবারের মত এসএমএস সার্ভিস চালু করে। এদিকে গ্রাহকদের নিরুবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটেল ঢাকা এবং চট্টগ্রাম হাইওয়েতে সিমলেস নেটওয়ার্ক কাভারেজ প্রতিষ্টা করে, যা CDC বা Chittagong Dhaka Carridor হিসেবে পরিচিত ছিল। 

২০০১ সালের রবি

২০০১ সালে AKTEL ওয়ান প্রিপেইড (One Prepaid) চালু করে এবং বাংলাদেশের টেলিকম মার্কেটে সর্বপ্রথম পুর্নাঙ্গ ইন্ট্রিগ্ররেটেড ভোয়েস রেস্পন্স ভিত্তিক কল সেন্টার সেবা প্রদান করতে শুরু করে।

২০০২ সালের রবি 

২০০২ সালে AKTEL প্রথম BTTB Incoming সেবা চালু করে। The Lawyers n Jurists এর একটি আর্টিকেল সুত্রে ২০০২ সালে AKTEL প্রথম দেশের উত্তর অঞ্চলে রংপুর এবং দিনাজপুরে সেলুলার সার্ভিস দিতে শুরু করে। এছাড়াও সে বছরি প্রতিষ্ঠানটি POST Paid কাস্টমারের জন্য পেমেন্ট রিকুএস্ট (Payment Request) ও Automatic Bill Generation সার্ভিস দিতে শুরু করে। 

২০০৪ সালে রবির ইতিহাস

২০০৪ সালে AKTEL (একটেল) দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে চট্টগ্রামের ৩ টি জেলা ছাড়া বাকি ৬১ জেলাতে সফল ভাবে অপারেট করার পাশাপাশি ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবের মাইলফলক অতিক্রম করে। তাছাড়া সে বছরেই তারা Inter Operator এর SMS Service এবং International Roaming Service চালু করে করে। 


আরো পড়ুনঃ

বাংলালিংক কেন সবার থেকে পিছিয়ে? 

Wednesday, March 9, 2022

5G Network in Bangladesh পঞ্চম জেনেরেশন নেটওয়ার্ক

5G Network in Bangladesh পঞ্চম জেনেরেশন নেটওয়ার্ক

বিশ্বের অন্যান্য ব্রান্ড টেকনলোজির মত মোবাইল টেকনোলজিও প্রতিনিয়তী আপডেট হচ্ছে। আর এই আপডেটের অংশ হিসেবেই 5G বা Fifth Generation 5G Data নেটওয়ার্কে রেভুলিউশন্স নিয়ে আসছে।

একটি স্টান্ডার্ড 4G Connectivity সর্বোচ্চ 100Mbps অফার করতে পারে যেখানে 5G Data Connectivity 10Gbps পর্যন্ত পৌছাতে সক্ষম, যা 4G থেকে প্রায় ১০০ গুন ফাস্টার!

এর পাশাপাশি 4G নেটওয়ার্কের একটি কমান্ডের রেস্পন্স টাইম যেখানে ০.০৫০ মিলি সেকেন্ড সেখানে 5G ০.০০১ মিলি সেকেন্ডের কম সময়ে কমান্ড দিতে সক্ষম। 

South Koriya থেকে শুরু করে- China, Japan, USA, UK, Suiger Land & Philippines এর মত দেশগুলো এখন 5G নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করছে। এর পাশাপাশি ভারত এবং অস্ট্রলিয়ার মত বেশ কয়েকটি দেশ 5G Network তৈরির কাজ করছে।

সম্প্রতি ২০২১ সালের ১২ই ডিসেম্বর BTRC ঢাকার রেভিয়েন্স ব্লু হটেলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর, টেলিটকের সাথে কলাব্রেশনে বাংলাদেশে 5G নেটওয়ার্কের ইনিশিয়াল লঞ্চ করে। 



Tuesday, March 1, 2022

e sim bd

e sim bd

আসসালামু আলাইকুম, আমি মোঃ অন্তর। যারা আসলে আমার মতই অনেকদিন ধরে ই-সিমের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাদের জন্যই আসলে আজকে একটা গুড নিউজ দিবো এ ছাড়াও ই-সিমের সকল সুবিধা অসুবিধা এবং ই-সিম কী?



ই-সিম কী?

ই-সিম আসলে ইম্বাডেড সিম। অনেকে এটাকে ইলেক্ট্রনিক সিম বলে থাকেন। নর্মালি আমরা সিম কিনলে আমাদেরকে একটা সিম কার্ড পাই যা বর্তমান সময়ে ৩ টা ভাগে বিভক্ত। যা আমরা ফিজিকালি সকল মোবাইলেই ব্যাবহার করে থাকি। আরেকটা সিম আছে যেটা মূলত কোম্পানি থেকে ইনবিল্ড করে আপনার ফোনে ইন্সটল থাকে যা মোবাইল বানানোর সময় ফিজিকালি বসানো থাকে এরপরে এটা ব্যাবহার করার জন্য আপনাকে সুধু সিম কোম্পানি থেকে প্রোফাইল আপডেট করে আপনার ডাটা অই ফোনে বসিয়েই আপনি সিমটি ব্যাবহার যোগ্য করে তুলতে পারবেন। এবং এই সিমটাকেই ই-সিম (eSIM) বলা হয়।

ই-সিম কাজ করে কিভাবে?

এটা মুলত সেম টু সেম ফিজিকাল সিমের মতই কাজ করে। সুধু ফিজিক্যাল সিমে আপনাকে একটা সিম কার্ড দেওয়া হতো তবে এটাতে সিম কার্ড থাকবেনা সুধু একটা কিউয়ার কোড (QR Code) থাকবে যেইটা স্ক্যান করে আপনি সিমটা ব্যাবহার করতে পারবেন। এবং এর পরেই সিমটা আপনার মোবাইলে এ্যাক্টিভেট হবার পর আপনি এটা দিয়ে ফিজিক্যাল সিমের মতই সব কিছু করতে পারবেন। 

ই-সিম সুবিধা কি কি? 

ই-সিমের সুবিধা অনেক আমি নিচে কিছু সুবিধা উল্যাখ্য করছি-

  • সিম হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকবেনা।
  • স্বাধারন সিম অনেক কারন বসত ড্যেমজ হতে পারে তবে ই-সিম কোন ভাবে ড্যামেজ হবেনা বা ভেংগে যাবেনা।
  • আপনার মোবাইলে যদি ই-সিম সাপোর্ট থাকে তাহলে আপনি একটা ফোনের মধ্যে অনেক গুলো সিম ব্যাবহার করতে পারবেন।
  • ফিজিক্যাল সিম চেঞ্জ করার জন্য বার বার খোলা লাগতো তবে ই-সিমে এই ঝামেলা একেবারেই নেই।
  • ই-সিম লাগানো কালীন মোবাইল যদি কোন ভাবে চুরি হয়ে যায়, তাহলেও আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। স্বাধারন ফিজিক্যাল সিমের সাথে মোবাইল চুরি করলো তারা সিম খুলে ফেলে দিতো তবে ই-সিম সহ মোবাইল হারিয়ে গেলে তার এটা খুলতে পারবেনা। কোন ভাবে তারা ইন্টারনেক এক্সেস করলেই আপনি তাদের উপর আইন ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারবেন।
সুতরাং সব মিলিয়ে ই-সিম একটি ডিজিটাল সিম, যা আপনাকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে কানেক্টেড করিইয়ে দিবে। 


Tuesday, February 22, 2022

বাংলালিংক কেন সবার থেকে পিছিয়ে?

বাংলালিংক কেন সবার থেকে পিছিয়ে?

বাংলালিংক

প্রায় ৩৬ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার নিয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম স্যালুলার সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৩য় অবস্থানে থাকলেও একসময় বাংলালিংক ২য় স্যালুলার সার্ভিস প্রোভাইডার স্থান ধরে রেখেছিল। মার্কেটের অন্যান্য অপারেটরদের সাথে প্রতিযোগিতায় কোম্পানিটি প্রাইসিং ও ব্রান্ডিং এর মাধ্যমে ২য় অবস্থানে নিয়েযেতে পারলেও সেই অবস্থান তারা ধরে রাখতে পারেনি। একসময় টিভি বিজ্ঞাপন দিয়ে মাতিয়ে রাখা প্রতিষ্টানটির মিডিয়া প্রেজেন্ট কমে গেছে বেশ গুন। তবে কি হয়েছিল বাংলালিংকের? যে একসময় তরুণসমাজকে মাতিয়ে রাখা প্রতিষ্টানটি দিন দিন পিছিয়ে পরছে? 

বাংলালিংকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে সেবা টেলিকম নামে। সেবা টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেড (Sheba Telecom Pvt. লিমিতেদ) বাংলাদেশের লোকাল ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস লিমিটেড (Integrated Services Limited) এবং মালোসিয়া ভিত্তিক টেকনোলজি রিসার্চ ইন্ডাস্ট্রিস (Technology Reacherch Industries) মধ্যকার একটি জয়েন্ট ভেঞ্জার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। সেই বছরে প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯ টি উপজেলায় টেলি কমিউনিকেশন সার্ভিসের লাইসেন্স পায়। এর পর বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ এবং টেলিকম বোর্ড থেকে ওয়ারলেস  টেলি কমিউনিকেশনের লাইসেন্স ইস্যু করা সুরু হয়।

১৯৯৬ সালে কোম্পানিটি স্যালুলার মোবাইল সার্ভিস এবং রেডিও টেলিফোন সার্ভিস দেওয়া লক্ষ্যে GSM লাইসেন্স সংগ্রহ করে। ওয়ারলেস লোকাল লুপ বা WLL Technology ব্যাবহার করে প্রতিষ্ঠানটি সেবা দিয়ে যেতে থাকে এবং বেশ পরিচিতি লাভ করতে থাকে। 

২০০৪ সালের জুলাই মাসে মিশরিয়া টেমলামাইট ORASCOM টেলিকম রিসার্স ইন্ডাস্ট্রিজ সম্পুর্ন শেয়ার ২৫ মিলিয়নের বিনিময় কিনে নেয়। সেই বছরের অক্টোবর মাসে ORASCOM ৬০ মিলিয়নের বিনিময় শেবা টেলকম কিনে নেয় এবং রি ব্রান্ডিং এর কাজ শুরু করে, সেই বছর শেবা টেলিকমের সাবস্ক্রাইবার বা গ্রাহক ছিলো মাত্র ৫৯ হাজার! ২০০৫ সালের ১০ এ ফেব্রুয়ারি ORASCOM, সেবা টেলিকমকে রিব্রান্ড করে বাংলালিংক নাম দেয়, যা ছিলো কোম্পানিটির জন্য একটি জয়নিং পয়েন্ট, কারন সেই বছরের শেষের দিকে কোম্পানিটির মোট ব্যবহার সংখ্যা দারিয়ে যায় ১ মিলিয়নের বেশি। 


২০০৬ সালে বাংলালিংক প্রথম Postpaid ও Prepaid এ ইনকামিং ফ্রী কলের সুবিধা দিতে থাকে এবং বেশ ভালো সারা পেতে থাকে। ফলে সেই বছরের শেষে ইউজার সংখ্যা ২৫৭ শতাংশ বেড়ে দারায় ৩.৬৪ মিলিয়ন। শুরু থেকেই বাংলালিংক অন্যান্য অপারেটর থেকে কম কল রেট অফার করছিলো। এর পাশাপাশি ২০০৬ সালে বাংলালিংক তাদের  দেশ প্যাকেজটি লঞ্চ করে! প্যকেজটির প্রমোশনের জন্য কোম্পানিটি বেশ কয়েকটি এ্যাডভার্টাইজমেন্ট লঞ্চ করে। সেই সময় বাংলালিংকের অ্যাডভারটাইজিং গুলো বেশ সুন্দর ও আকর্ষনীয় ছিলো যা তরুণ ইউজারদের আকৃষ্ট করতে বেশ সফল হয়েছিল। যার ফলে ২০০৭ সালের শেষের দিকে বাংলালিংক দেশের অন্যন্য অপারেটরদের পেছনে ফেলে সেকেন্ড লার্জেস মার্কেট প্লেয়ার হয়ে যায়। তখন মার্কেট লেডার ছিলো গ্রামিনফোন বাংলালিংক তখন গ্রামিন থেকে কমে কল রেট অফার করছিল বিদায় ইউজাররা প্রতিষ্টানটির প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট হয়েছে।

২০০৮ সালের মার্চ মাসে সেবা টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেড (Sheba Telecom (PVT) Limited) নাম পরিবর্তন করে ORASCOM Telecom Bangladesh Limited রাখা হয়। সেই বছরের জুলাই মাসের মদজ্যে কোম্পানিটির ইউজার সংখ্যা দারায় ১০ মিলিয়নের বেশি, সেই বছরের ২০০৮-০৯ ফেসক্যালিয়ারে প্রথম কুয়াটারে বাংলালিংকের রেভিনিউ ছিলো ১৩২ মিলিয়ন ডলার যা আগের বছরের অইসময়ের ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে কোম্পানিটির মোট গ্রাহক ছিলো ১০.৯০ মিলিয়ন। এইদিকে ২১ মে ২০০৯ সালে ডেইলি স্টারের একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় ৩য় স্থানে থাকা মোবাইল অপারেটর একটেলের সাথে বাংলালিংকের মার্জ হবার সম্ভবনা তৈরি হলেও পরবর্তীতে মার্জটি সফল হয়নি। সেই বছর ২৬.৪৫% মার্কেট শেয়ার নিয়ে বাংলালিংক ছিলো দেশের ২য় বৃহত্তম নেটওয়ার্ক।

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের শীর্ষে থাকা ২ মোবাইল ফোন অপারেটিং কোম্পানি, বাংলালিংক ও গ্রামিন গ্রাম অঞ্চলে নেটওয়ার্ক টাওয়ার বসাবে পরিকল্পনা করে। 


আরো পড়ুনঃ
  1. রবি ইতিহাস