Showing posts with label Science. Show all posts
Showing posts with label Science. Show all posts

Friday, December 29, 2023

গবেষণা কি? What is Research

গবেষণা কি? What is Research

যে প্রক্রিয়ায় সৃষ্টিশীল মেধা-মনন প্রয়োগ করে পৃথিবীর জ্ঞানভান্ডার বৃদ্ধি বা সমৃদ্ধ করা হয় সেটিই হচ্ছে গবেষণা। উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো গবেষণা। নিয়মিত জ্ঞানচর্চা বা বিজ্ঞানসম্মত অধ্যয়ন গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত। উন্নতকামী দেশ মাত্রই গবেষণার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকে। তাই বিশ্বগ্রাম ধারণায় গবেষণা একটি প্রধান অনুষঙ্গ এবং সেজন্য এখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম।

গবেষণা কি? 

বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া বিজ্ঞানী বা গবেষকেরা গবেষণার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। তথ্য ও উপাত্তের সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া, জটিল হিসাব, সিমুলেশন কিংবা যন্ত্রপাতি পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ, সেগুলো থেকে ডেটা সংগ্রহ এর প্রতিটি ধাপেই তথ্য প্রযুক্তি বড় ভূমিকা রেখে থাকে। বিজ্ঞানী বা গবেষকেরা তাঁদের চিন্তাধারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারেন, আলোচনা করতে পারেন কিংবা নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছেন। শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও একজন গবেষক সেমিনার বা কনফারেন্সে নিজের গবেষণা প্রকাশ করতে পারেন কিংবা অন্যের গবেষণা সম্পর্কে জানতে পারেন।
একসময় জার্নাল বা গবেষণাপত্র, প্যাটেন্ট ইত্যাদি অত্যন্ত দুর্লভ বিষয় ছিল, এবং সেটি ছিল গবেষণার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। আজকাল প্রায় সব জার্নাল ই-জার্নাল হিসেবে প্রকাশিত হয় এবং প্যাটেন্টের বিশাল ডেটাবেসের অনেকটুকুই উন্মুক্ত, কাজের যে কোনো গবেষক সেই বিশাল তথ্যভান্ডার ব্যবহার করতে পারেন। সে কারণে আমরা দেখতে পাই সীমিত সম্পদ নিয়েও আমাদের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের গবেষণা করতে পারে।

গবেষণার বিষয়বস্তু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ব্লগে প্রকাশিত হলে গবেষণার কার্যক্রম আরো গতিশীল ও ত্বরান্বিত হয়। বিজ্ঞানী বা গবেষকদের গবেষণালব্ধ ফলাফল, তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা যাচাই এবং সমগ্র বিশ্বের সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবর্গের নিকট দ্রুততার সাথে প্রচার এবং সেগুলোর উপর পর্যবেক্ষণ, মতামত প্রদান ইত্যাদি প্রতিটি বিষয় বিশ্বগ্রাম ধারণার মাধ্যমে বাস্তবায়ন অত্যন্ত সহজসাধ্য হয়েছে।

গবেষণা সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন
ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
ধন্যবাদ আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য, গবেষণা কি? গবেষণা বা রিসার্চ নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল!

Wednesday, October 11, 2023

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউরেনিয়ামের কাজ কি? ইউরেনিয়াম দিয়ে কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি হয়

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউরেনিয়ামের কাজ কি? ইউরেনিয়াম দিয়ে কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি হয়

পারমাণবিক বিদ্যুতের যুগে বাংলাদেশ! দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। যেটা স্থাপন করা হয়েছে পাবনার রুপপুরে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থাকা ২ টি ইউনিট থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদ হবে। দেশে জলবিদ্যুৎ, কয়লা বিদ্যুৎ ও গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকলেও, প্রথম বারের মত! পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ যাবে ঘরে ঘরে। 

ইউরেনিয়াম দিয়ে কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি হয়?

কনটেন্ট সূচিপত্র: ইউরিনিয়াম দিয়ে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়? 

ইউরেনিয়াম কি?

ইউরেনিয়াম একটি মৌলিক পদার্থ। ইউরেনিয়ামের রাসায়নিক প্রতীক U এবং পারমাণবিক সংখ্যা ৯২! অর্থাৎ একটি ইউরেনিয়াম পরমাণুতে ৯২টি প্রোটন এবং ৯২টি ইলেকট্রন রয়েছে, এরমধ্যে ৬টি যোজ্যতা ইলেকট্রন।

ইউরেনিয়াম দুর্বলভাবে তেজস্ক্রিয় কারণ ইউরেনিয়ামের সকল আইসোটোপ পরিবর্তনশীল। এর প্রাকৃতিকভাবে ঘটা আইসোটোপের অর্ধায়ু ১,৫৯,২০০ বছর থেকে ৪৫০ কোটি বছরের মধ্যে। প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামের সবচেয়ে সাধারণ আইসোটোপগুলি হল ইউরেনিয়াম-২৩৮ (যার মধ্যে ১৪৬ নিউট্রন রয়েছে এবং পৃথিবীর ইউরেনিয়ামের ৯৯% এর বেশি এই আইসোটোপ) এবং ইউরেনিয়াম-২৩৫ (যাতে ১৪৩ নিউট্রন রয়েছে), মূলত ইউরেনিয়াম ২৩৫ দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এর ঘনত্ব সীসার তুলনায় প্রায় ৭০% বেশি এবং সোনা বা টাংস্টেনের তুলনায় কিছুটা কম। এটি প্রাকৃতিকভাবে মাটি, শিলা এবং পানিতে প্রতি মিলিয়নে কয়েক অংশের কম ঘনত্বে পাওয়া যায় এবং বাণিজ্যিকভাবে ইউরেনিয়াম-যুক্ত খনিজ যেমন ইউরেনাইট থেকে নিষ্কাষণ করা হয়।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউরেনিয়ামের কাজ কি?

পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তুলনামূলক স্বল্প পরিমাণে জ্বালানি থেকে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদ সম্ভব। এর জন্যই সারা বিশ্বে পারমাণবিক বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। 

কিন্তু কি প্রক্রিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এই বিদ্যুৎ উতপন্ন হয়? 

পৃথিবীর অনেক যায়গায় ইউরেনিয়াম পাওয়া যায়। স্বল্প পরিমাণে পাথর বা শীলাতে এমনকি সমুদ্রের পানিতেও ইউরেনিয়াম পাওয়া যায়।

ব্যবহার যোগ্য ইউরেনিয়াম মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্ষণিতে আহরণ করা হয়। 

পৃথিবীতে যে পরিমাণে ইউরেনিয়াম উত্তলন করা হয়, তার ৮৫% কাজাখস্তান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, নাইজার ও রাশিয়ার বিভিন্ন ক্ষনি থেকে পাওয়া যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই ক্ষণিজের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

ইউরেনিয়াম কি বাংলাদেশে আছে

বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে মৌলভিবাজারের জুরি উপজেলার হারাগাছা পাহারে প্রথম ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্ত কমিশন সিলেটের জয়িন্তাপুরে ইউরেনিয়ামের সন্ধান পায়। 

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি হচ্ছে "ইউরেনিয়াম ২৩৫" ইউরেনিয়াম হচ্ছে তেজস্ক্রিয় ধাতু ও উচ্চ ঘনত্বের মৌল। ৪৫০০ টনের উচ্চ গ্রেডের কয়লা থেকে যে পরিমানে শক্তি উতপন্ন হয়, একি পরিমাণে শক্তি মাত্র ১ কেজি ইউরেনিয়াম থেকে পাওয়া সম্ভব৷ এছাড়া কার্বনডাইঅক্সাইড নিস্বরণও কম হয়। 

ইউরেনিয়াম দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি হয় কিভাবে

ইউরেনিয়াম থেকে উৎপাদিত শক্তি দিয়ে পানিকে বাষ্পে পরিণত করা হয়। এরপর ঐ বাষ্প দিয়ে টারবাইন ঘোরানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উতপাদনই হচ্ছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ।

নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর কি


নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর বা পারমাণবিক চুল্লি এক ধরনের তাপিয় যন্ত্র। এটিই পারমাণবিক বিদ্যুত কন্দ্রের প্রধান অংশ! এর মাধ্যমে প্রথমে পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম ২৩৫ এর চেইন বিক্রিয়া ঘটিয়ে অত্যাধিক তাপ শক্তি উত্তপন্ন করা হয়।

নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া

নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়ায় ইউরেনিয়ামের নিউট্রোন কণাতে আঘাত করা হয়, এর ফলে আরো দুটি ইলেকট্রন কণা নির্গত হয়। যা অন্য ইউরেনিয়াম পরমাণুকে আঘাত করে। এভাবে নিউট্রন কণা ইউরেনিয়াম পরমাণুকে ক্রমাগত আঘাত করে ভাঙার ফলে প্রচুরপরিমানে শক্তি নির্গত হয়! 

তবে ইউরেনিয়াম ২৩৫ কে উচ্চগতিসম্পন্ন অবস্থায় সহজে আঘাত করা যায়না। আঘাতের জন্য এর গতিবেগ কমিয়ে নিতে হয়। আর এই কাজটি করে মডারেটর।

আর কোর হচ্ছে রিয়াক্টরের প্রধান অংশ। এটি জ্বালানি দন্ডে অভিবাচিত জ্বালানি দন্ড গুলোকে চাপ দিয়ে।মিশিয়ে দেয়। এভাবে চুল্লিতে প্রচুর তাও শক্তি উতপন্ন হয়। 

পরামাণু দিয়ে বিদ্যুৎ

উতপাদিত তাপ চুল্লিতে ব্যবহৃত Coolant উত্তপ্ত রাখে। কোল্যান্ট থেকে এই তাপ হিট এক্সচেঞ্জারে চলে যায়! তখন হিট এক্সচেঞ্জার পানিকে বাষ্পে পরিণত করে। আর অবিশিষ্ট পানি শীতল হয়ে পাম্পের সাহায্যে চুল্লিতে চলে যায়। 

হিট এক্সচেঞ্জারে উৎপাদিত বাষ্প প্রচন্ড গতিতে স্টিম টারবাইনকে আঘাত করলে, ঘুর্ণায়ন গতি সৃষ্টি করে। আর যেহুতু টারবাইনের শেফট এবং অল্টারনেটর একই সাথে শেফটের সাথে যুক্ত থাকে সেহুতু ঘুর্ণিয়নের ফলে অলটারনেটরও ঘুরতে থাকে। এর ফলে অলটারনেটর থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি উত্তপন্ন হতে থাকে। 

টারবাইন থেকে বিতারিত বাষ্প কনডেন্সারে চলে যায়, সেখান থেকে বাষ্প ঘনিবত হয়ে ফিড ওয়াটার পাম্পের সাহায্যে হিট এক্সচেঞ্জারে চলে যায়। 

আর অলটারনেটিরে যে বিদ্যুৎ শক্তি উতপাদন হচ্ছে তা সাব স্টেশনে দেওয়া হয়। এরপর ট্রান্সফরমার, সার্কিট ব্রেকার ও আইসিলেটরের মাধ্যমে গ্রাহকের নিকট বিদ্যুৎ পৌছে যায়। 

সাইন্সের আরো তথ্য পেতে
এখানে ক্লিক করুন



Friday, October 6, 2023

আলট্রাসনোগ্রাফি What is Ultrasonography?

আলট্রাসনোগ্রাফি What is Ultrasonography?

ডায়গনসটিক করার জন্য, কিংবা গর্ভাবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য অথবা পেটে ব্যাথা, টিউমার সনাক্ত এবং হার্টের মত সমস্যা গুলো ধরার জন্য বা রোগ নির্ণয় করার জন্য আমাদেরকে করতে হয় আল্ট্রাসনোগ্রাফি। কিন্তু কি এই আল্ট্রাসনোগ্রাফি? এটা কাজ করে কিভাবে?

আলট্রাসনোগ্রাফি দিয়ে শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্ঙ্গ, মাংসপেশি ইতাদির ছবি তোলা হয়। এটি করার জন্য খুব উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ ব্যবহার করে তার প্রতিধ্বনিকে শনাক্ত করা হয়। শব্দের কম্পাঙ্ক 1-10 মেগাহার্টজ হয়ে থাকে, তাই একে আলট্রাসনোগ্রাফি বলা হয়ে থাকে। 

আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রে ট্রান্সডিউসার নামে একটি স্ফটিককে বৈদ্যুতিক শক্তি নিয়ে উদ্দীপ্ত করে উচ্চ কম্পাঙ্কের আলট্রাসনিক তরঙ্গ উৎপন্ন করা হয়। আলট্রাসনিক যন্ত্রে এই তরঙ্গকে একটা সরু বিমে পরিণত করা হয়। শরীরের ভেতরের যে অঙ্গটির প্রতিবিম্ব দেখার প্রয়োজন হয় ট্রান্সডিউসারটি শরীরের উপরে সেখানে স্পর্শ করে বিমটিকে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়, রোগী সে জন্য কোনো ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করে না। যে অঙ্গের দিকে বিমটি নির্দেশ করা হয় সেই অঙ্গের প্রকৃতি অনুযায়ী আলট্রাসনিক তরঙ্গ প্রতিফলিত, শোষিত বা সংবাহিত হয়। যখন বিমটি মাংসপেশি বা রক্তের বিভিন্ন ঘনত্বের বিভেদতলে আপতিত হয় তখন তরঙ্গের একটি অংশ প্রতিধ্বনিত হয়ে পুনরায় ট্রান্সডিউসারে ফিরে আসে। এই প্রতিধ্বনিগুলোকে বৈদুতিক সংকেতে রূপান্তর করে সমন্বিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবিম্ব তৈরি করে।

আলট্রাসনোগ্রাফি: নিচের কাজগুলো করার জন্য ব্যবহার করা হয়:

আলট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার স্ত্রীরোগ এবং প্রসুতিবিজ্ঞানে। এর সাহায্যে ভূণের আকার, গঠন, শাতাধিক বা অন্যাতাবিক অবস্থান ইত্যাদি জানা যায়, প্রসুতিবিজ্ঞানে এটি একটি দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।


আলট্রাসনোগ্রাফি দিয়ে জরায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য পেলভিক মাসের (Pelvic Mass) উপস্থিতিও শান্ত করা যায়।

পিত্তপাথর, হৃদযন্ত্রের জুটি এবং টিউমার বের করার জন্যও আলট্রাসনোগ্রাম ব্যবহার করা হয়। হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা করার জন্য যখন আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা হয় তখন এই পরীক্ষাকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলে।

এক্স-রের তুলনার আলট্রাসনোগ্রাফি অনেক বেশি নিরাপদ, তবুও এটাকে ঢালাওভাবে ব্যবহার না করে সীমিত সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। ট্রান্সডিউসারটি যেন কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সময়ের জন্য একটানা বিম না পাঠায় সেজন্য আলট্রাসাউন্ড করার সময় ট্রান্সডিউসারটিকে ক্রমাগত নড়াচড়া করাতে হয়।

Thursday, October 5, 2023

পলিমার কাকে বলে? What is Polymer?

পলিমার কাকে বলে? What is Polymer?

মেলামাইনের থালা-বাসন, বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড, কার্পেট, পিভিসি পাইপ, পলিথিনের ব্যাগ, পাটের ব্যাগ, সিল্কের কাপড়, উলের কাপড়, সুতি কাপড়, নাইলনের সুতা, রাবর:- এসব জিনিস আমাদের খুবই পরিচিত, আমরা সবসময়েই এগুলো ব্যবহার করছি। এগুলো সবই পলিমার। পলিমার (Polymer) শব্দটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ পলি (Poly) ও মেরোস (Meros) থেকে। পলি শব্দের অর্থ হলো অনেক (Many) এবং মেরোস শব্দের অর্থ অংশ (Part)। অর্থাৎ অনেকগুলো একই রকম ছোট ছোট অংশ জোড়া দিয়ে যে একটি বড় জিনিস পাওয়া যায়, সেটি হচ্ছে পলিমার। তোমরা একটা লোহার শিকলের কথা চিন্তা করতে পার। লোহার ছোট ছোট অংশ জোড়া দিয়ে একটি বড় শিকল তৈরি হয়। অর্থাৎ বড় শিকলটি হলো এখানে পলিমার রসায়ন বিজ্ঞানের ভাষায়, একই ধরনের অনেকগুলো ছোট অণু পর 1 পর যুক্ত হয়ে পলিমার তৈরি করে। যে ছোট অণু থেকে পলিমার তৈরি হয়, তাদেরকে বলে মনোমার (Monomer)।

আমরা যে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করি, তা হলো "ইথিলিন” নামের মনোমার থেকে তৈরি পলিমার। একইভাবে আমরা যে পিভিসি পাইপ (PVC) ব্যবহার করি, তা হলো ভিনাইল ক্লোরাইড নামের মনোমার থেকে তৈরি পলিমার। তবে সব সময় একটি মনোমার থেকেই পলিমার তৈরি হবে এমন কোনো কথা নেই, একের অধিক মনোমার থেকেও পলিমার তৈরি হতে পারে।

যেমন:

বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড বা বৈদ্যুতিক সুইচ হলো বাকেলাইট নামের একটি পলিমার, যা তৈরি হয় ফেনল ও ফরমালডিহাইড নামের দুটি মনোমার থেকে। আবার মেলামাইনের থালা-বাসন হলো মেলামাইন রেজিন নামের পলিমার, যা তৈরি হয় মেলামাইন ও ফরমালডিহাইড নামের দুটি মনোমার থেকে। শুরুতে আমরা পলিমারের যে উদাহরণগুলো দেখেছি, তাদের মধ্যে কিছু কিছু প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। এদেরকে আমরা বলি প্রাকৃতিক পলিমার।

প্রাকৃতিক পলিমার

পাট, সিল্ক, সুতি কাপড়, রাবার, এগুলো প্রাকৃতিক পলিমার। অন্যদিকে মেলামাইন, রেজিন, বাকেলাইট, পিভিসি, পলিথিন—এগুলো প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না, শিল্প-কারখানায় কৃত্রিমভাবে তৈরি করতে হয়। তাই এরা হলো কৃত্রিম পলিমার।

পলিমার কিভাবে তৈরি করা হয়?

মনোমার থেকে পলিমার তৈরি হয় নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মনোমার সংযুক্ত করে পলিমার তৈরি হয়, তাকেই বলে পলিমারকরণ প্রক্রিয়া। সাধারণত পলিমারকরণে উচ্চ চাপ এবং তাপের প্রয়োজন হয়। যদি দুটি মনোমার একসাথে যুক্ত হয় তাহলে উৎপন্ন পদার্থটি কেমন হবে? বুঝতেই পারছ তাহলে উৎপন্ন পদার্থটিতে দুটির বেশি মনোমার থাকতে পারবে না। আমরা এটিকে এভাবে লিখতে পারি:-

১টি মনোমার + ১টি মনোমার→মনোমার-মনোমার

কিংবা এটাকে আমরা অন্যভাবেও লিখতে পারি ( মনোমার) 2 তিনটি মনোমার হলে উৎপন্ন পদার্থটিতে তিনটি মনোমার থাকবে অর্থাৎ আমরা লিখতে পারি:

১টি মনোমার + ১টি মনোমার + ১টি মনোমার→ মনোমার - মনোমার - মনোমার বা (মনোমার) 3

আমরা যদি n সংখ্যক মনোমার নিয়ে একটি পলিমার বানাতে চাই, তাহলে পলিমারকরণ প্রক্রিয়াটি নিম্নলিখিত উপায়ে দেখানো যায়:

মনোমার + মনোমার + মনোমার → (মনোমার) n কিংবা n মনোমার → (মনোমার)

আমরা পলিথিনের কথা বলেছি, তোমরা কি জান কিভাবে পলিথিন তৈরি হয়? ইথিলিন গ্যাসকে ১০০০-১২০০ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে ২০০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে পলিথিন পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে পলিমারকরণ দ্রুত করার জন্য প্রভাবক হিসেবে অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

তবে উচ্চ চাপ পদ্ধতি সহজসাধ্য না হওয়ায় বর্তমানে পদ্ধতিটি তেমন জনপ্রিয় নয়। এখন টাইটেনিয়াম ট্রাইক্লোরাইড (TiCl) নামক প্রভাবক ব্যবহার করে বায়ুমণ্ডলীয় চাপেই পলিথিন তৈরি হয়।

Wednesday, August 16, 2023

জমির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত

জমির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত

কত কাঠায় কত বিঘা? ১ কাঠায় কত বর্গফুট? ১ বিঘায় কত শতাংশ? ১ একর মানে কী? এরকম আরো প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। 

১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট = ৮০ বর্গগজ

১ কাঠা = ৬৬.৮৯ বর্গমিটার

১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ

১ কাঠা = ১৬ ছটাক

১ কাঠা = ৩২০ বর্গহাত

২০ কাঠা = ১ বিঘা

৬০ কাঠা = ১ একর

১৪৮২০ কাঠা = ১ বর্গকিলোমিটার

১৪৮.২ কাঠা = ১ হেক্টর

কানি পরিমাপক

১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট = ১৬১৯ বর্গমিটার = ৪০০০০ বর্গলিংক = ৮০ করা

১ কানি = ৭৬৮০ বর্গহাত = ১৯৩৬ বর্গগজ = ১২০ শতাংশ

১ কানি = ২০ গন্ডা = ৪০ শতাংশ

১ কানি = ২০ গন্ডা = ৪০০০০ বর্গলিংক

১ কানি = ২৪ কাঠা

বিঘা পরিমাপক

১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ = ১ পাকি

১ বিঘা = ২০ কাঠা

১ বিঘা = ৬৪০০ বর্গহাত

১ বিঘা = ৩৩০০০ বর্গলিংক

১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ

১ বিঘা = ১৪৪০০ বর্গফুট = ১৩৩৮ বর্গ মিটার

১ বিঘা = ১৬ গন্ডা ২ করা ২ ক্রান্তি

৩ বিঘা = ১ একর (মোটামুটি) = ১৬০০ বর্গইয়ার্ড

৭৪১ বিঘা = ১৪৮২০ কাঠা = ১০৬৭০৪০০ বর্গফুট = ৯৯১৬৭২ বর্গমিটার = ১ বর্গকিলোমিটার =

২৪৭একর

৭.৪১বিঘা = ১৪৮.২কাঠা = ১০৬৭০৪ বর্গফুট = ৯৯১৩ বর্গমিটার = ১ হেক্টর = ২.৪৭ একর

জেনে নিন

খতিয়ান, পর্চা, চিটা, দখলনামা, বয়নামা, জমাবন্দি, দাখিলা, হুকুমনামা, জমা খারিজ, মৌজা কি?

পাকি পরিমাপক

১ পাকি = ১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ

১ পাকি = ২০ কাঠা = ৩৩ শতাংশ

শতাংশ নির্ণয়ের সুত্র

১.৬৫ শতাংশ = ১ কাঠা = ১৬৫ অযুতাংশ = ৭২০ বর্গফুট (মোটামুটি)

১ শতাংশ = ১ শতক = ৪৩৫.৬ বর্গফুট (মোটামুটি)

১ শতাংশ = ১০০ অযুতাংশ = ১০০০ বর্গলিংক

৩৩ শতাংশ = ১ পাকি = ১ বিঘা = ২০ কাঠা

১ শতাংশ = ১৯৩.৬ বর্গহাত

২৪৭.১০৫ শতাংশ = ১ আয়ের

একর পরিমাপক

১ একর = ১০ বর্গচেইন = (৬৬*৬৬০) = ৪৩৫৬০ বর্গফুট

১ একর = ১০০ শতক = ৪৩৫৬৯ বর্গফুট

১ একর = ১০০ শতক = ১০০০০০ বর্গলিংক

১ একর = ১৯৩৬০ বর্গহাত

১ একর = ৪৮৪০ বর্গগজ

১ একর = ৪০৪৭ বর্গ মিটার = ০.৬৮০ হেক্টর

৬৪০ একর = ১ বর্গমাইল

১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক

১ একর = ৬০.৫ কাঠা

১ একর = ২ কানি ১০ গন্ডা ( ৪০ শতক কানি অনুসারে)

২৪৭ একর = ১ বর্গকিলোমিটার

হেক্টর পরিমাপক

১ হেক্টর = ২.৪৭ একর

১ হেক্টর = ৭.৪১ বিঘা

১ হেক্টর = ১৪৮.২ কাঠা

১ হেক্টর = ১০৬৭০৪ বর্গফুট

১ হেক্টর = ১০০০০ বর্গমিটার = ৯৯১৩ বর্গমিটার

১ হেক্টর = ১১৯৬০ বর্গগজ

১ হেক্টর = ১.৪৭ একর

১ আয়ের = ২৮.৯ বিঘা

১ হেক্টর = ২৪৭.১০৫ শতক

১ হেক্টর = ৪৭৮৯.৫২৮ বর্গহাত

১ হেক্টর = ১০৭৬৩৯ বর্গফুট

১ হেক্টর = ১১৯৫৯.৮৮২ বর্গগজ

১ হেক্টর = ৭.৪৭৪ বিঘা

১ হেক্টর = ১০০ আয়ের গন্ডা পরিমাপক ১ গন

জমির পরিমাণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধারনা