গবেষণা কি?
গবেষণা সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুনইতিহাস সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
গবেষণা সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুনইতিহাস সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
পারমাণবিক বিদ্যুতের যুগে বাংলাদেশ! দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। যেটা স্থাপন করা হয়েছে পাবনার রুপপুরে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থাকা ২ টি ইউনিট থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদ হবে। দেশে জলবিদ্যুৎ, কয়লা বিদ্যুৎ ও গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকলেও, প্রথম বারের মত! পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ যাবে ঘরে ঘরে।
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তুলনামূলক স্বল্প পরিমাণে জ্বালানি থেকে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদ সম্ভব। এর জন্যই সারা বিশ্বে পারমাণবিক বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে।
কিন্তু কি প্রক্রিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এই বিদ্যুৎ উতপন্ন হয়?
পৃথিবীর অনেক যায়গায় ইউরেনিয়াম পাওয়া যায়। স্বল্প পরিমাণে পাথর বা শীলাতে এমনকি সমুদ্রের পানিতেও ইউরেনিয়াম পাওয়া যায়।
ব্যবহার যোগ্য ইউরেনিয়াম মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্ষণিতে আহরণ করা হয়।
পৃথিবীতে যে পরিমাণে ইউরেনিয়াম উত্তলন করা হয়, তার ৮৫% কাজাখস্তান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, নাইজার ও রাশিয়ার বিভিন্ন ক্ষনি থেকে পাওয়া যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই ক্ষণিজের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে মৌলভিবাজারের জুরি উপজেলার হারাগাছা পাহারে প্রথম ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্ত কমিশন সিলেটের জয়িন্তাপুরে ইউরেনিয়ামের সন্ধান পায়।
এখানে ক্লিক করুন
ডায়গনসটিক করার জন্য, কিংবা গর্ভাবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য অথবা পেটে ব্যাথা, টিউমার সনাক্ত এবং হার্টের মত সমস্যা গুলো ধরার জন্য বা রোগ নির্ণয় করার জন্য আমাদেরকে করতে হয় আল্ট্রাসনোগ্রাফি। কিন্তু কি এই আল্ট্রাসনোগ্রাফি? এটা কাজ করে কিভাবে?
আলট্রাসনোগ্রাফি দিয়ে শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্ঙ্গ, মাংসপেশি ইতাদির ছবি তোলা হয়। এটি করার জন্য খুব উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ ব্যবহার করে তার প্রতিধ্বনিকে শনাক্ত করা হয়। শব্দের কম্পাঙ্ক 1-10 মেগাহার্টজ হয়ে থাকে, তাই একে আলট্রাসনোগ্রাফি বলা হয়ে থাকে।
আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রে ট্রান্সডিউসার নামে একটি স্ফটিককে বৈদ্যুতিক শক্তি নিয়ে উদ্দীপ্ত করে উচ্চ কম্পাঙ্কের আলট্রাসনিক তরঙ্গ উৎপন্ন করা হয়। আলট্রাসনিক যন্ত্রে এই তরঙ্গকে একটা সরু বিমে পরিণত করা হয়। শরীরের ভেতরের যে অঙ্গটির প্রতিবিম্ব দেখার প্রয়োজন হয় ট্রান্সডিউসারটি শরীরের উপরে সেখানে স্পর্শ করে বিমটিকে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়, রোগী সে জন্য কোনো ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করে না। যে অঙ্গের দিকে বিমটি নির্দেশ করা হয় সেই অঙ্গের প্রকৃতি অনুযায়ী আলট্রাসনিক তরঙ্গ প্রতিফলিত, শোষিত বা সংবাহিত হয়। যখন বিমটি মাংসপেশি বা রক্তের বিভিন্ন ঘনত্বের বিভেদতলে আপতিত হয় তখন তরঙ্গের একটি অংশ প্রতিধ্বনিত হয়ে পুনরায় ট্রান্সডিউসারে ফিরে আসে। এই প্রতিধ্বনিগুলোকে বৈদুতিক সংকেতে রূপান্তর করে সমন্বিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবিম্ব তৈরি করে।আলট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার স্ত্রীরোগ এবং প্রসুতিবিজ্ঞানে। এর সাহায্যে ভূণের আকার, গঠন, শাতাধিক বা অন্যাতাবিক অবস্থান ইত্যাদি জানা যায়, প্রসুতিবিজ্ঞানে এটি একটি দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
আলট্রাসনোগ্রাফি দিয়ে জরায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য পেলভিক মাসের (Pelvic Mass) উপস্থিতিও শান্ত করা যায়।
পিত্তপাথর, হৃদযন্ত্রের জুটি এবং টিউমার বের করার জন্যও আলট্রাসনোগ্রাম ব্যবহার করা হয়। হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা করার জন্য যখন আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা হয় তখন এই পরীক্ষাকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলে।
এক্স-রের তুলনার আলট্রাসনোগ্রাফি অনেক বেশি নিরাপদ, তবুও এটাকে ঢালাওভাবে ব্যবহার না করে সীমিত সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। ট্রান্সডিউসারটি যেন কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সময়ের জন্য একটানা বিম না পাঠায় সেজন্য আলট্রাসাউন্ড করার সময় ট্রান্সডিউসারটিকে ক্রমাগত নড়াচড়া করাতে হয়।
মেলামাইনের থালা-বাসন, বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড, কার্পেট, পিভিসি পাইপ, পলিথিনের ব্যাগ, পাটের ব্যাগ, সিল্কের কাপড়, উলের কাপড়, সুতি কাপড়, নাইলনের সুতা, রাবর:- এসব জিনিস আমাদের খুবই পরিচিত, আমরা সবসময়েই এগুলো ব্যবহার করছি। এগুলো সবই পলিমার। পলিমার (Polymer) শব্দটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ পলি (Poly) ও মেরোস (Meros) থেকে। পলি শব্দের অর্থ হলো অনেক (Many) এবং মেরোস শব্দের অর্থ অংশ (Part)। অর্থাৎ অনেকগুলো একই রকম ছোট ছোট অংশ জোড়া দিয়ে যে একটি বড় জিনিস পাওয়া যায়, সেটি হচ্ছে পলিমার। তোমরা একটা লোহার শিকলের কথা চিন্তা করতে পার। লোহার ছোট ছোট অংশ জোড়া দিয়ে একটি বড় শিকল তৈরি হয়। অর্থাৎ বড় শিকলটি হলো এখানে পলিমার রসায়ন বিজ্ঞানের ভাষায়, একই ধরনের অনেকগুলো ছোট অণু পর 1 পর যুক্ত হয়ে পলিমার তৈরি করে। যে ছোট অণু থেকে পলিমার তৈরি হয়, তাদেরকে বলে মনোমার (Monomer)।
আমরা যে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করি, তা হলো "ইথিলিন” নামের মনোমার থেকে তৈরি পলিমার। একইভাবে আমরা যে পিভিসি পাইপ (PVC) ব্যবহার করি, তা হলো ভিনাইল ক্লোরাইড নামের মনোমার থেকে তৈরি পলিমার। তবে সব সময় একটি মনোমার থেকেই পলিমার তৈরি হবে এমন কোনো কথা নেই, একের অধিক মনোমার থেকেও পলিমার তৈরি হতে পারে।যেমন:
বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড বা বৈদ্যুতিক সুইচ হলো বাকেলাইট নামের একটি পলিমার, যা তৈরি হয় ফেনল ও ফরমালডিহাইড নামের দুটি মনোমার থেকে। আবার মেলামাইনের থালা-বাসন হলো মেলামাইন রেজিন নামের পলিমার, যা তৈরি হয় মেলামাইন ও ফরমালডিহাইড নামের দুটি মনোমার থেকে। শুরুতে আমরা পলিমারের যে উদাহরণগুলো দেখেছি, তাদের মধ্যে কিছু কিছু প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। এদেরকে আমরা বলি প্রাকৃতিক পলিমার।
পাট, সিল্ক, সুতি কাপড়, রাবার, এগুলো প্রাকৃতিক পলিমার। অন্যদিকে মেলামাইন, রেজিন, বাকেলাইট, পিভিসি, পলিথিন—এগুলো প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না, শিল্প-কারখানায় কৃত্রিমভাবে তৈরি করতে হয়। তাই এরা হলো কৃত্রিম পলিমার।
মনোমার থেকে পলিমার তৈরি হয় নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মনোমার সংযুক্ত করে পলিমার তৈরি হয়, তাকেই বলে পলিমারকরণ প্রক্রিয়া। সাধারণত পলিমারকরণে উচ্চ চাপ এবং তাপের প্রয়োজন হয়। যদি দুটি মনোমার একসাথে যুক্ত হয় তাহলে উৎপন্ন পদার্থটি কেমন হবে? বুঝতেই পারছ তাহলে উৎপন্ন পদার্থটিতে দুটির বেশি মনোমার থাকতে পারবে না। আমরা এটিকে এভাবে লিখতে পারি:-
১টি মনোমার + ১টি মনোমার→মনোমার-মনোমার
কিংবা এটাকে আমরা অন্যভাবেও লিখতে পারি ( মনোমার) 2 তিনটি মনোমার হলে উৎপন্ন পদার্থটিতে তিনটি মনোমার থাকবে অর্থাৎ আমরা লিখতে পারি:
১টি মনোমার + ১টি মনোমার + ১টি মনোমার→ মনোমার - মনোমার - মনোমার বা (মনোমার) 3
আমরা যদি n সংখ্যক মনোমার নিয়ে একটি পলিমার বানাতে চাই, তাহলে পলিমারকরণ প্রক্রিয়াটি নিম্নলিখিত উপায়ে দেখানো যায়:
মনোমার + মনোমার + মনোমার → (মনোমার) n কিংবা n মনোমার → (মনোমার)
আমরা পলিথিনের কথা বলেছি, তোমরা কি জান কিভাবে পলিথিন তৈরি হয়? ইথিলিন গ্যাসকে ১০০০-১২০০ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে ২০০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে পলিথিন পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে পলিমারকরণ দ্রুত করার জন্য প্রভাবক হিসেবে অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
তবে উচ্চ চাপ পদ্ধতি সহজসাধ্য না হওয়ায় বর্তমানে পদ্ধতিটি তেমন জনপ্রিয় নয়। এখন টাইটেনিয়াম ট্রাইক্লোরাইড (TiCl) নামক প্রভাবক ব্যবহার করে বায়ুমণ্ডলীয় চাপেই পলিথিন তৈরি হয়।
কত কাঠায় কত বিঘা? ১ কাঠায় কত বর্গফুট? ১ বিঘায় কত শতাংশ? ১ একর মানে কী? এরকম আরো প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।
১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট = ৮০ বর্গগজ
১ কাঠা = ৬৬.৮৯ বর্গমিটার
১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ
১ কাঠা = ১৬ ছটাক
১ কাঠা = ৩২০ বর্গহাত
২০ কাঠা = ১ বিঘা
৬০ কাঠা = ১ একর
১৪৮২০ কাঠা = ১ বর্গকিলোমিটার
১৪৮.২ কাঠা = ১ হেক্টর
কানি পরিমাপক
১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট = ১৬১৯ বর্গমিটার = ৪০০০০ বর্গলিংক = ৮০ করা
১ কানি = ৭৬৮০ বর্গহাত = ১৯৩৬ বর্গগজ = ১২০ শতাংশ
১ কানি = ২০ গন্ডা = ৪০ শতাংশ
১ কানি = ২০ গন্ডা = ৪০০০০ বর্গলিংক
১ কানি = ২৪ কাঠা
বিঘা পরিমাপক
১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ = ১ পাকি
১ বিঘা = ২০ কাঠা
১ বিঘা = ৬৪০০ বর্গহাত
১ বিঘা = ৩৩০০০ বর্গলিংক
১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ
১ বিঘা = ১৪৪০০ বর্গফুট = ১৩৩৮ বর্গ মিটার
১ বিঘা = ১৬ গন্ডা ২ করা ২ ক্রান্তি
৩ বিঘা = ১ একর (মোটামুটি) = ১৬০০ বর্গইয়ার্ড
৭৪১ বিঘা = ১৪৮২০ কাঠা = ১০৬৭০৪০০ বর্গফুট = ৯৯১৬৭২ বর্গমিটার = ১ বর্গকিলোমিটার =
২৪৭একর
৭.৪১বিঘা = ১৪৮.২কাঠা = ১০৬৭০৪ বর্গফুট = ৯৯১৩ বর্গমিটার = ১ হেক্টর = ২.৪৭ একর
জেনে নিন
খতিয়ান, পর্চা, চিটা, দখলনামা, বয়নামা, জমাবন্দি, দাখিলা, হুকুমনামা, জমা খারিজ, মৌজা কি?
পাকি পরিমাপক
১ পাকি = ১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ
১ পাকি = ২০ কাঠা = ৩৩ শতাংশ
শতাংশ নির্ণয়ের সুত্র
১.৬৫ শতাংশ = ১ কাঠা = ১৬৫ অযুতাংশ = ৭২০ বর্গফুট (মোটামুটি)
১ শতাংশ = ১ শতক = ৪৩৫.৬ বর্গফুট (মোটামুটি)
১ শতাংশ = ১০০ অযুতাংশ = ১০০০ বর্গলিংক
৩৩ শতাংশ = ১ পাকি = ১ বিঘা = ২০ কাঠা
১ শতাংশ = ১৯৩.৬ বর্গহাত
২৪৭.১০৫ শতাংশ = ১ আয়ের
একর পরিমাপক
১ একর = ১০ বর্গচেইন = (৬৬*৬৬০) = ৪৩৫৬০ বর্গফুট
১ একর = ১০০ শতক = ৪৩৫৬৯ বর্গফুট
১ একর = ১০০ শতক = ১০০০০০ বর্গলিংক
১ একর = ১৯৩৬০ বর্গহাত
১ একর = ৪৮৪০ বর্গগজ
১ একর = ৪০৪৭ বর্গ মিটার = ০.৬৮০ হেক্টর
৬৪০ একর = ১ বর্গমাইল
১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক
১ একর = ৬০.৫ কাঠা
১ একর = ২ কানি ১০ গন্ডা ( ৪০ শতক কানি অনুসারে)
২৪৭ একর = ১ বর্গকিলোমিটার
হেক্টর পরিমাপক
১ হেক্টর = ২.৪৭ একর
১ হেক্টর = ৭.৪১ বিঘা
১ হেক্টর = ১৪৮.২ কাঠা
১ হেক্টর = ১০৬৭০৪ বর্গফুট
১ হেক্টর = ১০০০০ বর্গমিটার = ৯৯১৩ বর্গমিটার
১ হেক্টর = ১১৯৬০ বর্গগজ
১ হেক্টর = ১.৪৭ একর
১ আয়ের = ২৮.৯ বিঘা
১ হেক্টর = ২৪৭.১০৫ শতক
১ হেক্টর = ৪৭৮৯.৫২৮ বর্গহাত
১ হেক্টর = ১০৭৬৩৯ বর্গফুট
১ হেক্টর = ১১৯৫৯.৮৮২ বর্গগজ
১ হেক্টর = ৭.৪৭৪ বিঘা
১ হেক্টর = ১০০ আয়ের গন্ডা পরিমাপক ১ গন