Showing posts with label ICT. Show all posts
Showing posts with label ICT. Show all posts

Sunday, October 6, 2024

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি? What is Genetic Engineering

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি? What is Genetic Engineering

আমরা জানি, প্রতিটি জীবদেহ অসংখ্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষ ক্রোমোজম 'নিউক্লিয়াস দিয়ে গঠিত। প্রত্যেকটি কোষের মাঝে থাকে ক্রোমোজোম (Chromosome), যেগুলো তৈরি হয় ডিএনএ (DNA: Deoxyribo Nucleic Acid) ডাবল হেলিক্স দিয়ে। এই ডিএনএ'র ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ সেই প্রাণীর জীবনের বৈশিষ্ট্যকে বহন করে এবং সেগুলো জিন (Gene) হিসেবে পরিচিত।

জিনোম কাকে বলে

একটি ক্রোমোজোমে অসংখ্য জিন থাকতে পারে, মানবদেহে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার জিন রয়েছে। এ ধরনের এক সেট জিনকে জিনোম বলা হয়।


জিনোম হলো জীবের বৈশিষ্ট্যের নকশা বা বিন্যাস। জিনোম সিকোয়েন্স দিয়ে বোঝায় কোষের সম্পূর্ণ ডিএনএ বিন্যাসের ক্রম; জিনোম যত দীর্ঘ হবে, তার ধারণ করা তথ্যও তত বেশি হবে। জিনোমের উপর নির্ভর করে ঐ প্রাণী বা উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য কীরূপ হবে। যেহেতু একটি জিন হচ্ছে একটি প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের বাহক, তাই কোনো প্রাণীর জিনোমের কোনো একটি জিনকে পরিবর্তন করে সেই প্রাণীর কোনো একটি বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা সম্ভব।

যেহেতু জিনগুলো আসলে ডিএনএ'র একটি অংশ, তাই একটা জিনকে পরিবর্তন করতে হলে ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ'র সেই অংশটুকু কেটে আলাদা করে অন্য কোনো প্রাণী বা ব্যাকটেরিয়া থেকে আরেকটি জিন কেটে এনে সেখানে লাগিয়ে দিতে হয়।

গবেষণার মাধ্যমে যখন একটি জিন পরিবর্তন করে সেখানে অন্য জিন লাগানো হয় তাকে বলা হয় রিকম্বিনেট ডিএনএ বা RDNA। এসব RDNA সমৃদ্ধ জীবকোষকে বলা হয় Genetically Modified ওরগানিস্ম(GMO)।

জিন জোড়া লাগানো বা রিকম্বিনেট ডিএনএ বা আরডিএনএ সত্যিকার অর্থে কী কাজে যথার্থভাবে ব্যবহার করা যায় সেটি বের করার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছেন। বস্তুত জীবপ্রযুক্তির এই অত্যাধুনিক শাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোনো জীবের নতুন ও কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐ জীবের জিন পৃথক করে অন্য জীবের জিনের সাথে সংযুক্ত করে নতুন জিন বা ডিএনএ তৈরি করা।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সংজ্ঞা

তাই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সংজ্ঞা হিসেবে আমরা বলতে পারি, জীবদেহে জিনোমকে প্রয়োজন অনুযায়ী সাজিয়ে কিংবা একাধিক জীবের জিনোমকে জোড়া লাগিয়ে নতুন জীবকোষ সৃষ্টির কৌশলই হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। উচ্চফলনশীল জাতের ধান ও অন্যান্য ফসল এবং প্রাণীর জিনের সাথে সাধারণ জিন জোড়া লাগিয়ে নতুন ধরনের আরো উচ্চফলনশীল বা হাইব্রিড জাতের শস্য, প্রাণী ও মৎস্য সম্পদ উৎপাদিত হয়েছে। এটিই সহজ ভাষায়, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা

বিশ্বের অনেক দেশেরই জনসংখ্যার তুলনায় খাদ্য ঘাটতি একটি সাধারণ সমস্যা, যার জন্য খাদ্য আমদানি করতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়। এই সমস্যা সমাধানে বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগ করে বহুগুণে খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এই বিষয়টি হাইব্রিড নামে বহুল পরিচিত। প্রাণীর আকার এবং মাংসবৃদ্ধি, দুধে আমিষের পরিমাণ বাড়ানো এইধরনের কাজ করেও খাদ্য সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

কৌশলগতভাবে পরিবর্তিত E.Coli ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্ট হতে মানবদেহের ইনসুলিন তৈরি, হরমোন বৃদ্ধি, এবং বামনত্ব, ভাইরাসজনিত রোগ, ক্যান্সার, এইডস ইত্যাদির চিকিৎসায় জিন প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে জিন স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য অল্প সময়ে সুচারুরূপে স্থানান্তর করা সম্ভব হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবক বা উদ্যোক্তাগণের নিকট প্রচলিত প্রজননের তুলনায় এ প্রযুক্তিটি অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।

আমাদের দেশেও এ প্রযুক্তির উপর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, আখ গবেষণা ইনস্টিটিউট ইত্যাদি বেশ কিছু সংস্থা কাজ করে অনেক উচ্চফলনশীল জাতের শস্যবীজ উৎপাদন করেছে। এসব বীজ ব্যবহার করে শস্যও কয়েকগুণ বেশি হারে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরই আমাদের দেশে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ ফলনশীল ব্রি (BRRI) জাতের বহু ভ্যারাইটির ধানের বীজ উদ্ভাবন করেছে। এই ইনিষ্টিটিউটে উদ্ভাবিত পার্পল কালার (বেগুনি রঙের)-এর উফশী ধান দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

সম্প্রতি পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করেও আমাদের দেশের সোনালি আঁশকে বিশ্বের দরবারে হারানো ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ভুট্টা, ধান, তুলা, টমেটো, পেঁপেসহ অসংখ্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো, আগাছা সহিষ্ণু করা, পোকামাকড় প্রতিরোধী করা এবং বিভিন্ন জাতের মৎস্য সম্পদ (বিশেষত মাগুর, কার্প, তেলাপিয়া ইত্যাদি) বৃদ্ধির জন্য জিন প্রকৌশলকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বহুমাত্রিক ব্যবহারের পাশাপাশি এর কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তার মাঝে উল্লেখযোগ্যগুলো হচ্ছ, জীববৈচিত্র্য হ্রাসের কারণে জীবজগতে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি, অনৈতিক বা অযাচিতভাবে জিনের স্থানান্তর, মানবদেহে প্রয়োগযোগ্য এন্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস ও অ্যালার্জির উদ্ভব কিংবা ভয়াবহ ও জীববিধ্বংসী প্রজাতি বা ভাইরাস উদ্ভবের আশঙ্কা ইত্যাদি।

Sunday, December 31, 2023

ক্লাউড কম্পিউটিং কী | Cloud Computing

ক্লাউড কম্পিউটিং কী | Cloud Computing

আমরা সবাই জানি, তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার দরুন আজকের যুগে আমরা নিজের ঘরের কোণে বসে নিজস্ব ছোট্ট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটারকে ভাড়ার মাধ্যমে যথেচ্ছা ব্যবহার করতে পারি এবং আমাদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণও করতে পারি। এই বিশালাকার কম্পিউটারের ধারণাটিই ক্লাউড কম্পিউটিং।

আজকের এই আর্টিকেলে "ক্লাউড কম্পিউটিং কী?" এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

{getToc} $title={Table of Contents}

ক্লাউড কম্পিউটিং কি

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিগত সবকিছুই চলছে এই ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণার উপর ভিত্তি করে। 'ক্লাউড' শব্দটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যে কোনো ব্যবহারকারী পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সুবিশাল তথ্যভান্ডার দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার এবং সংরক্ষণ করতে পারেন। 

Cloud Computing

আমরা বর্তমানে যারা কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করি তাদের প্রায় সবারই Facebook, E- mail বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্ট রয়েছে। আমরা ইচ্ছানুযায়ী এসব একাউন্টের মাধ্যমে স্টেটাস দিচ্ছি কিংবা মেইল আদান-প্রদান করে থাকি। এসব সেবা গ্রহণের জন্য আমাদেরকে কোনো টাকা খরচ করতে হয় না। কেননা, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এইসব সার্ভিস বা সেবা প্রদানকারী বেশকিছু কোম্পানীর বিপলু সংখ্যক সার্ভার রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা অসংখ্য ক্লায়েন্টকে একই সময়ে সার্ভিস প্রদান করে যাচ্ছেন। আবার কিছু সংখ্যক সার্ভিস রয়েছে যেগুলো অর্থের বিনিময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা দান করে থাকেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস

বিনামূল্যের এবং অর্থের বিনিময়ে উভয় প্রকার সার্ভিস ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের অন্তর্গত। এক্ষেত্রে কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকে, ক্রেতা বা ব্যবহারকারী নিজস্ব কম্পিউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্ভিসদাতা সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে প্রয়োজনীয় কম্পিউটিংয়ের কাজ সমাধা করে থাকে। ক্লাউড কম্পিউটিংকে কোনো সুনির্দিষ্ট টেকনোলজি হিসেবে গণ্য করা হয় না, এটি মূলত একটি ব্যবসায়িক মডেল, যার দ্বারা ব্যবহারকারী এবং সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হয়ে থাকেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং পদ্ধতিকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

যথা-

১। প্রাইভেট ক্লাউড Private Cloud

একক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় কিংবা থার্ড পার্টির ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় যাতে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, এ ধরনের ক্লাউডকে প্রাইভেট ক্লাউড বলে। এ সব পরিচালনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, তবে অনেক বড়ো প্রতিষ্ঠানের অনেক শাখায় ডেটা সেন্টার না বসিয়ে একটিমাত্র ক্লাউড ডেটা সেন্টার স্থাপন করলে প্রতিষ্ঠানটির জন্য সাশ্রয়ী হয়।

২। পাবলিক ক্লাউড Public Cloud

জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ক্লাউডকে পাবলিক ক্লাউড বলে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত সকলের বিনামূল্যে বা স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত অ্যাপ্লিকেশন, স্টোরেজ এবং অন্যান্য রিসোর্স ইত্যাদির সার্ভিসযুক্ত ক্লাউড-ই পাবলিক ক্লাউড। Amazon, Microsoft এবং Google ইত্যাদি তাদের নিজস্ব ডেটা সেন্টারে পাবলিক ক্লাউডের অবকাঠামো স্থাপন ও পরিচালনা করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে।

হাইব্রিড ক্লাউড Hybrid Cloud

দুই বা ততোধিক ধরনের ক্লাউড (প্রাইভেট, পাবলিক বা কমিউনিটি) - এর সংমিশ্রণই হলো হাইব্রিড ক্লাউড। বিভিন্ন ধরনের ক্লাউড পৃথক বৈশিষ্ট্যের হলেও এক্ষেত্রে একই সাথে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে। ক্লাউড সার্ভিসের ক্ষমতাবৃদ্ধির জন্য একাধিক ক্লাউডকে একীভূত করা হয়ে থাকে।
ওয়াইম্যাক্স কি WiMax

ওয়াইম্যাক্স কি WiMax

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় ভিজিটর আজকের আর্টিকেলটি নেটওয়ার্ক প্রেমিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা ইতিমধ্যে নেটওয়ার্কিং শিখছেন বা ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে চান তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। আজকের আর্টিকেলে জানাবো- ওয়াই ম্যাক্স কি?, WiMax এর স্পিড কত?, wimax কি কাজে ব্যবহার হয়?, এবং WiMax কি?
ওয়াইম্যাক্স

ওয়াইম্যাক্স কোন ধরনের নেটওয়ার্ক

এটি দ্রুতগতির একটি যোগাযোগ প্রযুক্তি যেটি প্রচলিত DSL (Digital Subscriber Line) এবং তারযুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে। Worldwide Interoperability for Microwave Access -এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে WiMax

এটি সাধারণত 2 থেকে 66 Ghz ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে এবং 80 Mbps থেকে 1Gbps পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রদানে সক্ষম।

WiMax এর প্রধান অংশ দুটি:

১। বেস স্টেশন, যেটি ইনডোর ডিভাইস এবং
আউটডোর টাওয়ার নিয়ে গঠিত। প্রতিটি বেস স্টেশনের কভারেজ এরিয়া 50 থেকে 80 km পর্যন্ত হয়ে থাকে।
২। অ্যান্টেনাযুক্ত WiMax রিসিভার, যা কম্পিউটারে সংযুক্ত করা হয় যেটি ওয়্যারলেস নির্ভর হওয়ায় পরিবহনযোগ্য।

এই প্রযুক্তিতে একটি একক বেস স্টেশনের মাধ্যমে বিশাল ভৌগোলিক এলাকায় হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া যায়। ওয়্যারলেস হওয়ায় পোর্টেবলিটির সুবিধা পাওয়া যায় এবং এর রিসিভার সহজে বহনযোগ্য। বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের মাধ্যমে শহর এবং গ্রামে পোর্টেবল ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান করে।

ওয়াইম্যাক্স এর স্ট্যান্ডার্ড কত

WiMax নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। অনেক বিস্তৃত নেটওয়ার্ক হওয়ায় অন্যান্য নেটওয়ার্কের তুলনায় এটি ব্যয়বহুল এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি।
Bluetooth, Wi-Fi এবং WiMax -এই তিনটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তির তুলনামূলক কার্যকারিতার ছক দেওয়া হলো:

আরো পড়ুন
জানানোর চেষ্টা করলাম "WiMax" সম্পর্কে😊

Friday, December 29, 2023

সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কারের ইতিহাস | History of Number System

সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কারের ইতিহাস | History of Number System

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত ভাষা এবং একই সাথে সংখ্যাকেও ব্যবহার করি। আমাদের প্রয়োজনের কারণে ভাষার সাথে সাথে আমরা সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি। সত্যি কথা বলতে কী অনেক প্রাণী এবং পাখিও অল্প কিছু গুণতে পারে। শুনে অবাক হয়ে যেতে হয় যে এখনো পৃথিবীর গহিন অরণ্যে এমন আদিবাসী মানুষ আছে যাদের জীবনে সংখ্যার বিশেষ প্রয়োজন হয় না বলে সেভাবে গুনতে পারে না। ব্রাজিলের পিরাহা নামের আদিবাসীরা এক এবং দুই থেকে বেশি গুনতে পারে না। এর চাইতে বেশি যে কোনো সংখ্যা হলেই তারা বলে 'অনেক'।

সংখ্যা পদ্ধতি কি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কি, পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে, সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কি, সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কি, ৩ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যাপদ্ধতি, নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতির বেস কি

সংখ্যা পদ্ধতির ইতিহাস

আদিম মানুষ যখন শিকারী হিসেবে বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত তখন হিসেব রাখা বা গোনার সেরকম প্রয়োজন ছিল না। যখন তারা কৃষিকাজ করার জন্য স্থিতু হয়েছে, গবাদি পশু পালন করতে শুরু করেছে, শস্যক্ষেত্রে চাষাবাদ করেছে, গ্রাম, নগর-বন্দর গড়ে তুলেছে, রাজস্ব আদায় করা শুরু করেছে তখন থেকে গোনার প্রয়োজন শুরু হয়েছে। সেজন্য সংখ্যা পদ্ধতির ইতিহাস এবং সভ্যতার ইতিহাস খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। আমাদের প্রয়োজনের কারণে এখন আমরা অনেক বড় বড় সংখ্যা ব্যবহার করতে পারি, গণিতের সাহায্যে সেগুলো নানাভাবে প্রক্রিয়া করতে পারি।
আদিম কালে মানুষেরা গাছের ডাল বা হাড়ে দাগ কেটে কিংবা কড়ি, শামুক বা নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে সংখ্যার হিসাব রেখেছে। তবে যখন আরো বড় সংখ্যা আরো বেশি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয়েছে তখন সংখ্যার একটি লিখিত রূপ বা চিহ্ন সৃষ্টি করে নিয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মোটামুটি একই সময়ে সুমেরিয়ান-ব্যবলিয়ান এবং মিশরীয় সভ্যতার শুরু হয় এবং এই দুই জায়গাতেই সংখ্যার প্রথম লিখিত রূপ পাওয়া গেছে।

সংখ্যা পদ্ধতি

সুমেরিয়ান ব্যবলিয়ান সংখ্যা ছিল ষাটভিত্তিক এবং মিশরীয় সংখ্যা ছিল দশভিত্তিক। ব্যবলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতির রেশ পৃথিবীতে এখনো রয়ে গেছে, আমরা মিনিট এবং ঘণ্টার হিসেব করি ষাট দিয়ে এবং কোণের পরিমাপ করি ষাটের গুণিতক দিয়ে। সুমেরিয়ান ব্যবলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান ছিল, মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে ছিল না। দুই পদ্ধতিতেই কোনো কিছু না থাকলে সেটি বোঝানোর জন্য চিহ্ন ব্যবহার করা হতো কিন্তু সেটি মোটেও গাণিতিক সংখ্যা শূন্য ছিল না।

পরবর্তীকালে আরো তিনটি সভ্যতার সাথে সাথে সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে উঠে, সেগুলো হচ্ছে মায়ান সভ্যতা, চীন সভ্যতা এবং ভারতীয় সভ্যতা। মায়ান সংখ্যা পদ্ধতি ছিল কুড়িভিত্তিক, চীন এবং ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি ছিল দশভিত্তিক। (আমাদের দেশে যেসব মানুষ লেখাপড়ার সুযোগ পায়নি তারা কাজ চালানোর জন্য মৌখিকভাবে কুড়িভিত্তিক এক ধরনের সংখ্যা ব্যবহার করে থাকে।) মায়ান এবং ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান ব্যবহার করে।
প্রয়োজনের কারণে সব সংখ্যা পদ্ধতিতেই শূন্যের জন্য একটি চিহ্ন থাকলেও প্রকৃত অর্থে শূন্যকে একটি সংখ্যা হিসেবে ধরে সেটিকে সংখ্যা পদ্ধতিতে নিয়ে এসে গণিতে ব্যবহার করে ভারতীয়রা এবং এই শূন্য আবিষ্কারকে আধুনিক গণিতের একটি অন্যতম যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মায়ান এবং চীন সংখ্যা পদ্ধতি মাত্র দুই-তিনটি চিহ্ন ব্যবহার করে লেখা হতো। কিন্তু হাতে লেখার সময় পাশাপাশি অসংখ্য চিহ্ন বসানোর বিড়ম্বনা থেকে বাঁচার জন্য ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে 1 থেকে 9 পর্যন্ত নয়টি এবং শূন্যের জন্য একটি চিহ্ন- এভাবে দশটি চিহ্ন ব্যবহার করতে শুরু করে। আমরা এই চিহ্নগুলোকে অঙ্ক বা Digit বলি।

সংখ্যা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত

2500 বছর আগে গ্রিকরা ব্যবলিয়ান এবং মিশরীয়দের সংখ্যা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তাদের পূর্ণাঙ্গ 10 ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে তুলেছিল। রোমানরা গ্রিক সভ্যতার পতন ঘটানোর পর গণিতের অভূতপূর্ব বিকাশ থেমে যায়। রোমান সাম্রাজ্যে গণিতের সেরকম প্রয়োজন ছিল না। তাদের সংখ্যাগুলোতে আলাদা রূপ ছিল না এবং রোমান অক্ষর দিয়ে সেগুলো প্রকাশ করা হতো। অনাবশ্যকভাবে জটিল এবং অবৈজ্ঞানিক রোমান সংখ্যা এখনো বেঁচে আছে এবং ঘড়ির ডায়াল বা অন্যান্য জায়গায় মাঝে মাঝে আমরা তার ব্যবহার দেখতে পাই।
ইসলামি সভ্যতার বিকাশ হওয়ার পর ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি আরবদের মাধ্যমে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে, যেটি আমাদের আধুনিক দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এখানে উল্লেখ্য যে শূন্য ব্যবহারের ফলে সংখ্যা পদ্ধতিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি হলেও খ্রিষ্টীয় শাসকেরা শূন্যকে শয়তানের রূপ বিবেচনা করায় দীর্ঘদিন সেটাকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল!

আমাদের হাতে দশ আঙুল থাকার কারণে দশভিত্তিক সংখ্যা গড়ে উঠলেও দুই, আট কিংবা ষোলোভিত্তিক সংখ্যাও আধুনিক প্রযুক্তিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।

সংখ্যা পদ্ধতি (Number System)

সংখ্যাকে প্রকাশ করার এবং গণনা করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। সংখ্যাকে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এই প্রতীকগুলোকে দুটো ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যায়।
সংখ্যা পদ্ধতি কি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কি, পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে, সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কি, সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কি, ৩ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যাপদ্ধতি, নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতির বেস কি
গবেষণা কি? What is Research

গবেষণা কি? What is Research

যে প্রক্রিয়ায় সৃষ্টিশীল মেধা-মনন প্রয়োগ করে পৃথিবীর জ্ঞানভান্ডার বৃদ্ধি বা সমৃদ্ধ করা হয় সেটিই হচ্ছে গবেষণা। উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো গবেষণা। নিয়মিত জ্ঞানচর্চা বা বিজ্ঞানসম্মত অধ্যয়ন গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত। উন্নতকামী দেশ মাত্রই গবেষণার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকে। তাই বিশ্বগ্রাম ধারণায় গবেষণা একটি প্রধান অনুষঙ্গ এবং সেজন্য এখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম।

গবেষণা কি? 

বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া বিজ্ঞানী বা গবেষকেরা গবেষণার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। তথ্য ও উপাত্তের সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া, জটিল হিসাব, সিমুলেশন কিংবা যন্ত্রপাতি পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ, সেগুলো থেকে ডেটা সংগ্রহ এর প্রতিটি ধাপেই তথ্য প্রযুক্তি বড় ভূমিকা রেখে থাকে। বিজ্ঞানী বা গবেষকেরা তাঁদের চিন্তাধারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারেন, আলোচনা করতে পারেন কিংবা নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছেন। শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও একজন গবেষক সেমিনার বা কনফারেন্সে নিজের গবেষণা প্রকাশ করতে পারেন কিংবা অন্যের গবেষণা সম্পর্কে জানতে পারেন।
একসময় জার্নাল বা গবেষণাপত্র, প্যাটেন্ট ইত্যাদি অত্যন্ত দুর্লভ বিষয় ছিল, এবং সেটি ছিল গবেষণার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। আজকাল প্রায় সব জার্নাল ই-জার্নাল হিসেবে প্রকাশিত হয় এবং প্যাটেন্টের বিশাল ডেটাবেসের অনেকটুকুই উন্মুক্ত, কাজের যে কোনো গবেষক সেই বিশাল তথ্যভান্ডার ব্যবহার করতে পারেন। সে কারণে আমরা দেখতে পাই সীমিত সম্পদ নিয়েও আমাদের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের গবেষণা করতে পারে।

গবেষণার বিষয়বস্তু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ব্লগে প্রকাশিত হলে গবেষণার কার্যক্রম আরো গতিশীল ও ত্বরান্বিত হয়। বিজ্ঞানী বা গবেষকদের গবেষণালব্ধ ফলাফল, তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা যাচাই এবং সমগ্র বিশ্বের সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবর্গের নিকট দ্রুততার সাথে প্রচার এবং সেগুলোর উপর পর্যবেক্ষণ, মতামত প্রদান ইত্যাদি প্রতিটি বিষয় বিশ্বগ্রাম ধারণার মাধ্যমে বাস্তবায়ন অত্যন্ত সহজসাধ্য হয়েছে।

গবেষণা সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন
ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
ধন্যবাদ আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য, গবেষণা কি? গবেষণা বা রিসার্চ নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল!

ক্রায়োসার্জারি কি? What is Cryosurgery

ক্রায়োসার্জারি কি? What is Cryosurgery

ক্রায়োসার্জারি একধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ক্রায়োসার্জারিতে চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ হয়ে থাকে।

এ পদ্ধতির চিকিৎসায় প্রথমেই সিম্যুলেটেড সফটওয়্যার দ্বারা ক্যান্সার ইত্যাদিতে আক্রান্ত কোষগুলোর অবস্থান ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত কোষটিতে আইসিটি যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রিত মাইক্রো-ক্যামেরাযুক্ত নল দিয়ে ক্ষতস্থান শনাক্ত করা হয় এবং অত্যন্ত সূক্ষ্ম সুচযুক্ত ক্রায়োপ্রোব প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজনিক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়।

তাপমাত্রা অত্যধিক হ্রাস পেয়ে -41 থেকে -196 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে আসার কারণে নির্বাচিত টিস্যুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঐ নিম্নতম তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সম্ভব না হওয়ার দরুন রোগাক্রান্ত টিউমার টিস্যুর ক্ষতিসাধন হয়। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় টিউমারের ধরন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট শীতলতায় পৌঁছানোর জন্য তরল নাইট্রোজেন, আর্গন, অক্সিজেন বা কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। এই তরল গ্যাসগুলো ক্রায়োজনিক এজেন্ট নামে পরিচিত।

ক্রায়োসার্জারিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা অনেক বেশি, যেমন আক্রান্ত কোষ বা টিস্যুর অবস্থান নির্ণয়ে এবং সমস্ত কার্যাবলী পর্যবেক্ষণের কাজে সারাক্ষণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয়। সেজন্য ক্রায়োসার্জারিতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অভিজ্ঞ করে তুলতে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হয়।

রোগীর তথ্য, চিকিৎসার গবেষণার ফলাফল ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য কম্পিউটার ডেটাবেজ সিস্টেম প্রয়োজন হয়। 

ক্রায়োসার্জারির অনেক সুবিধা রয়েছে। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ক্যান্সার ও নিউরোসার্জারি চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি অনেক সাশ্রয়ী এবং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় কম লাগে। এ পদ্ধতিতে কোনো জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, ব্যথা, রক্তপাত অথবা অপারেশনজনিত কাটা-ছেঁড়ার কোনো জটিলতা নেই।

রোগীকে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয় না এবং অনেকক্ষেত্রে সার্জারি শেষে রোগীকে হাসপাতালেও থাকতে হয় না। তবে আক্রান্ত কোষের সঠিক অবস্থান নির্ণয়ে ব্যর্থ হলে ক্রায়োসার্জারি ব্যবহারে জীবাণু শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে লিভার ও ফুসফুসের স্বাভাবিক গঠন বিনষ্ট কিংবা স্নায়বিক সমস্যার উদ্ভব হতে পারে।


রোবটিক্স কি? Robotics Ki

রোবটিক্স কি? Robotics Ki

আজকের আর্টিকেলটি টেকনলোজি প্রেমিদের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ আর্টিকেল। আজকের আর্টিকেলে জানাবো রোবটিক্স সম্পর্কে!

রোবোটিক্স কি?

রোবট শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত, এই শব্দটি দিয়ে আমরা এমন একধরনের যন্ত্রকে বোঝাই যেটি মানুষের কর্মকাণ্ডের অনুরূপ কর্মকাণ্ড করতে পারে। বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে বিষয়টি রোবটের ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম কিংবা ব্যবহার বাস্তবায়ন করতে পারে তাকে রোবটিক্স বলা হয়ে থাকে।

রোবট কত প্রকার

রোবট কথাটি বলা হলে যদিও সাধারণভাবে আমরা মানুষের আকৃতির একটি যন্ত্র কল্পনা করি, কিন্তু প্রকৃত রোবট তার কাজের উপর নির্ভর করে যে কোনো আকারের বা আকৃতির হতে পারে। আজ থেকে এক যুগ আগেও রোবটের মূল ব্যবহার গাড়ির ওয়েল্ডিং কিংবা স্ক্রু লাগানোর মাঝে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে রোবটের কার্যপরিধিও বেড়ে যেতে শুরু করেছে এবং এমন কোনো কাজ নেই যেখানে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে না।

রোবটিক্সের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেলেও তার গঠনে তিনটি নির্দিষ্ট বিশেষত্ব রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে:
  1. একটি রোবট যে নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি হয়, তার উপর নির্ভর করে একটি বিশেষ যান্ত্রিক গঠন হয়ে থাকে।
  2. রোবটের যান্ত্রিক কাজ করার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকতে হয়।
  3. রোবটকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
রোবট শিল্প এখনো তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও এটি সাগরের গভীর থেকে শুরু করে মহাকাশ পর্যন্ত সব জায়গায়, যেখানে মানুষের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়, সেখানে কাজ করে যাচ্ছে।

রোবটের ব্যবহার  ব্যবহার (Application)

১. বিপজ্জনক কাজে

মানুষের পক্ষে যে সব কাজ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ, যেমন সমুদ্রের তলদেশে, যে কোনো অনুসন্ধানী কাজে, মাইন ইত্যাদি বিস্ফোরক দ্রব্য নিষ্ক্রিয়করণে, নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্রে, খনির অভ্যন্তরের কোনো কাজে, নদী-সমুদ্রের নিচে টানেল নির্মাণ ইত্যাদি কার্যক্রমে রোবট ব্যবহৃত হয়।

২. শিল্প-কারখানায়

শিল্পোৎপাদন কাজে, শিল্প-কারখানার ভারী বস্তু নড়াচড়া করানো, প্যাকিং, সংযোজন, পরিবহন ইত্যাদি শ্রমসাধ্য কাজ ছাড়াও কম্পিউটার এইডেড কাজে রোবটিক্স-এর ব্যবহার রয়েছে।

৩. সুক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কাজে

মাইক্রোসার্কিটের উপাদান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষণ কাজ এবং ইলেকট্রনিক আইসি, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড ইত্যাদির তৈরির জন্য রোবট ব্যবহৃত হয়।

৪. চিকিৎসা ক্ষেত্রে

সার্জারি, জীবাণুমুক্তকরণ, ওষুধ বিতরণ ইত্যাদি কাজে রোবট ব্যবহৃত হয়।

৫. সামরিক ক্ষেত্রে

বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্তকরণ, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ, যুদ্ধক্ষেত্রে এবং অন্যান্য মিলিটারি অপারেশনে রোবট ব্যবহৃত হয়।

৬. শিক্ষা ও বিনোদনে

শারীরিকভাবে অসুস্থ, পঙ্গু বা অটিস্টিক শিক্ষার্থীদেরকে বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থায় রোবটের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। শিশুদের চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রে খেলনা রোবট এবং মিডিয়া আর্টের ক্ষেত্রেও রোবট ব্যবহৃত হয়।

৭. নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ

নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার জন্য, অন্ধকারে কোনো আগন্তুককে পর্যবেক্ষণ করার জন্য, দুষ্কৃতকারী কিংবা বিপজ্জনক আসামীকে ধরার কাজে এবং পর্যবেক্ষণ ইত্যাদিতে পুলিশকে রোবট সহায়তা দিতে থাকে।

৮. মহাকাশ গবেষণা

মহাকাশ গবেষণায় মহাকাশে কিংবা অন্য গ্রহ-উপগ্রহ সম্পর্কিত নানাবিধ তথ্যানুসন্ধান ও বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য বা মহাকাশ যান প্রেরণ করার সময় ব্যাপকহারে রোবটের ব্যবহার আছে।

৯. ঘরোয়া কাজে

দৈনন্দিন ঘরোয়া কাজে, গৃহকর্মী হিসেবে নিত্যনৈমিত্তিক কার্যাদি সম্পাদনের জন্য রোবট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ভবিষ্যতে রোবটের সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরো ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করে রোবটকে অনেক নতুন নতুন কাজে ব্যবহার করা হবে। 

Sunday, December 24, 2023

বায়োইনফরমেটিক্স কি? What is Bioinformatics

বায়োইনফরমেটিক্স কি? What is Bioinformatics

বায়োইনফরমেটিক্স জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশান ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত এবং পরিসংখ্যানের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিষয়। মূলত এই বিষয়টির জন্ম হয়েছে জীববিজ্ঞানের বিশাল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করে সেগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য।

বায়োইনফরমেটিক্সের প্রথম বড় সাফল্য এসেছিল যখন 13 বছরের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মানব জিনোম প্রথমবার সিকোয়েন্স করা হয়েছিল এবং সেই তথ্য অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল যেন সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা সেটি পেতে পারে।

এখন প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে কয়েক ঘণ্টার ভেতর পুরো মানব জিনোম সিকোয়েন্স করা সম্ভব। বায়োইনফরমেটিক্সের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হচ্ছে ক্যান্সারের উপর গবেষণা। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা মানুষের জন্য আলাদা আলাদাভাবে তার নিজস্ব ওষুধ ব্যবহৃত হবে, সেটিও সম্ভব হবে বায়োইনফরমেটিক্সের গবেষণার ফলে। প্রোটিনের গঠন বহুদিন থেকে বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বায়োইনফরমেটিক্স এই ব্যাপারেও মূল গবেষণায় বড় ভূমিকা পালন করছে। বিজ্ঞানে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিবর্তন। এই বিবর্তনের রহস্য উন্মোচনে বায়োইনফরমেটিক্স অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করছে।

সাধারণত নিচের চারটি ভিন্ন ভিন্ন শাখার উপাদান ও কৌশলের সমন্বয়ে বায়োইনফরমেটিক্স পদ্ধতি কাজ করে থাকে:

১. আণবিক জীববিদ্যা ও মেডিসিন: ডেটা উৎস বিশ্লেষণের কাজ করে।
২. ডেটাবেজ : টেক্সট মাইনিং ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন করে থাকে। ৩. প্রোগ্রাম: উপাত্ত বিশ্লেষণ অ্যালগরিদম যার মাধ্যমে বায়োইনফরমেটিক্স কঠোরভাবে সুনির্দিষ্ট করা হয়।
৪. গণিত ও পরিসংখ্যান: এর সাহায্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়।

বায়োইনফরমেটিক্সের ব্যবহার

মূলত জৈবিক পদ্ধতি বিশ্লেষণ সম্পর্কে সম্যক এবং সঠিক ধারণা অর্জন করার ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত হয়। আর এই জৈবিক তথ্য হিসাব-নিকাশ এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যার সমাধানে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহারও অপরিহার্য। তবে জিনোম সিকোয়েন্স, প্রোটিন সিকোয়েন্স ইত্যাদি গঠন উপাদানের ইলেকট্রনিক ডেটাবেজ গঠনে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়াও মলিকুলার মেডিসিন, জিনথেরাপি, ওষুধ তৈরিতে, বর্জ্য পরিষ্কারকরণে, জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণায়, বিকল্প শক্তির উৎস সন্ধানে, জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে, ডিএনএ ম্যাপিং ও অ্যানালাইসিস, জিন ফাইন্ডিং, প্রোটিনের মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত হয়।

Wednesday, October 4, 2023

সি প্রোগ্রামিং C Programming

সি প্রোগ্রামিং C Programming

'সি' প্রোগ্রামিং ভাষা (Programming Language C 'সি' ভাষার প্রাথমিক ধারণা (Primary Concept of C Language) আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরির ডেনিস রিচি ১৯৭০ সালে এ ভাষার উদ্ভাবন করেন। ভাষাটির নাম 'C' রাখা হয়েছে কারণ, B নামের অপর একটি ভাষা আগেই তৈরি হয়েছে।

C যাতে তার গুণাগুণ না হারায় সে জন্য ১৯৮৩ সালে কম্পাইলার এবং সফটওয়্যার প্রস্তুতকারকদের একটি গ্রুপ আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট (ANSI)-কে C এর জন্য একটি নীতি নির্ধারণের আবেদন জানান। অতঃপর ১৯৮৯ সালের শেষের দিকে নির্ধারিত কমিটি C এর জন্য ANSI নীতি নির্ধারণ করে। সিস্টেম প্রোগ্রামিং-এর ক্ষেত্রে এ ভাষা অধিক হারে ব্যবহৃত হয় । উপাত্ত সঞ্চালনের বর্ণনার জন্য এ ভাষার সুবিধা অনেক বেশি বলে ভাষাটি অন্যান্য ভাষার চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় । C ভাষাকে কম্পিউটার ভাষার জনক বলা হয়ে থাকে। এ ভাষারও অনেক সংস্করণ রয়েছে। যেমন C, C++, ANSI C, Visual C, Turbo C প্রভৃতি। বর্তমানকালের অধিকাংশ প্যাকেজ প্রোগ্রামই এ ভাষার মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে। যে কোনো সফটওয়্যার উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ ভাষা ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ভাষার সাহায্যে সাধারণত নিম্নলিখিত ধরনের প্রোগ্রাম লেখা যায়।

  • Operating System
  • Editors
  • Assemblers
  • Database
  • Programme Compilers
  • Games
  • Interpreters
  • Virus and Antivirus ইত্যাদি

কম্পিউটার প্রোগ্রামের সকল ভাষার কাজ প্রায় একই রকমের । প্রতিটি ভাষাই ডাটা গ্রহণ করে, গৃহীত ডাটা প্রক্রিয়াকরণ করে এবং ফলাফল প্রদান করে। প্রতিটি ভাষারই কিছু লাইব্রেরি ফাংশন থাকে। ডাটা গ্রহণ, ডাটা প্রক্রিয়াকরণ এবং ফলাফল প্রদানের জন্য C, BASIC এবং FORTRAN এর Library Function-এর তুলনামূলক পার্থক্য দেখানো হলো-



Tuesday, October 3, 2023

ইউনিকোড কাকে বলে?

ইউনিকোড কাকে বলে?

বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোড ভুক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলো একটি মান তৈরি করেছেন যাকে ইউনিকোড বলা হয়। ইউনিকোড এর পূর্ণ অর্থ Universal Code বা সার্বজনীন কোড। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত আসকি কোডের পাশাপাশি ইউনিকোড সিস্টেম চালু হয়েছে।

ইউনিকোড হচ্ছে ১৬ বিট কোড। বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টার ও টেক্সটকে প্রকাশ করার জন্য ইউনিকোড ব্যবহার করা হয়। ইউনিকোডের মাধ্যমে ২×১৬ = ৬৫৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায় । পৃথিবীর সব ভাষাভাষীর জন্য তাদের ভাষায় কম্পিউটিং করা সহজ করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে অ্যাপল কম্পিউটার কর্পোরেশন এবং Xerox Corporation-এর একদল কম্পিউটার প্রকৌশলী যৌথভাবে ইউনিকোড উদ্ভাবন করেন। Unicode Consortium-এর সদস্য হয়ে বাংলা ভাষাও ইউনিকোডভুক্ত হয়েছে।

ইউনিকোডের বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা (Advantages of Uni Code)

  1. এটা ১৬ বিট বিশিষ্ট কোড ফলে ৬৫,৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়।
  2. বিশ্বের ছোট বড় সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোডভুক্ত করা যায় । 
  3. ক্যারেক্টারকে কোড করার জন্য ১৬ বিটই ব্যবহার করা হয়।
  4. ইউনিকোড ASCII কোডের সাথে কম্প্যাটিবল। অর্থাৎ ইউনিকোডের প্রথম ২৫৬টি কোড অ্যাসকি ২৫৬টি কোডের অনুরূপ।
  5. ইউনিকোড থেকে অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ড কোডে পরিবর্তন করা যায় ।

ASCII কোড ও ইউনিকোড (Uni Code) এর মধ্যে পার্থক্য




Monday, November 21, 2022

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটি

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটি

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন কর্মক্ষেত্রে আইসিটির বহুমুখী প্রভাব ও ব্যাবহার লক্ষা করা যাচ্ছে। এই প্রভাব ও পরিসর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। কর্মক্ষেত্রে আইসিটির দুই ধরনের প্রভাব লক্ষা করা যায়। প্রথমত প্রচলিত কর্মক্ষেত্রগুলোতে আইসিটির প্রয়োগের ফলে কর্মদক্ষতার বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণ, অন্যদিকে আইসিটি নিজেই নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে। 

প্রচলিত কর্মক্ষেত্র এবং পুরাতন ব্যাবসা বাণিজ্য আইসিটি ব্যাবহারের ফলে কর্মীদের দক্ষতা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা বেড়েছে। অন্যদিকে এর ফলে সেবার মানও উন্নত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে আইসিটি ব্যাবহারের সাধারণ দক্ষতা একটি প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। 

ব্যাংক, বিমা থেকে শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি, সরকারি দপ্তরে কাজ করার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর থেকে উপস্থাপনা সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং থেকে ই-মেইল, নানান ধরনের বিশ্লেষণী সফটওয়্যার ইত্যাদিতে দক্ষ হতে হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষায়িত সফটওয়্যার (যেমনঃ ব্যাংকিং সফটওয়্যার) ব্যাবহারেরও পারদর্শিতা অর্জন কররে হয়।

অন্যদিকে আইসিটি নিজেই একটি বড় আকারের কর্মবাজার সৃষ্টি করেছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি এখন নতুন দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি বিরাট কর্মক্ষেত্র। কেবল দেশে নয়, আইসিটিতে দক্ষ কর্মীরা দেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানে অথবা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে পারে। এই কাজের একটি বড় অংশ দেশে বসেই সম্পন্ন করা যায়। আউটসোর্সিং করে এখন অনেকেই বাংলাদেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। 

Saturday, August 13, 2022

করপোরেট ডেটাবেজ কি? করপোরেট ডেটাবেজ কাকে বলে?

করপোরেট ডেটাবেজ কি? করপোরেট ডেটাবেজ কাকে বলে?

বৃহত এন্টারপ্রাইজের একাধিক ব্যাবসা-বাণিজ্য থাকতে পারে। প্রতিটি ব্যাবসায়ের জন্য সাধারণত একাধিক বিভাগ বা অনুবিভাগ থাকে। যেমন-উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরন, বিপগণ, গবেষণা ও উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, গ্রাহক সেবা, হিসাব ও অডিট, আইটি ইত্যাদি।
বৃহৎ এন্টারপ্রাইজে সাধারণত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরবরাহকারী, ক্রেতা বা ভোক্তা ইত্যাদি থাকেন যারা বিভিন্ন দেশ বা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাবসা এবং অফিস কাজ করেন। প্রতিটি ব্যাবসার জন্য একটি প্রধান অফিস বা কার্য্যালয় রয়েছে যেখান থেকে সার্বিক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রিত হয়। সাধারনত কোন একটি নেটওয়ার্কের সাথে করপোরেটের সকল বিভাগ বা অনুবিভাগ সংযুক্ত থাকে। এই সকল বিভাগ বা অনুবিভাগ বিভিন্ন ভৌগলিক দুরত্বে অবস্থান করতে থাকতে পারে। কোন বৃহৎ এন্টারপ্রাইজ বা করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগ বা অনবিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের ডেটা নিয়ে তৈরি হয় করপোরেট ডেটাবেজ। নিচের ছবিটিতে করপোরেট ডেটাবেজের সম্ভাব্য বিভিন্ন বিভাগ বা অনুবিভাগের নাম উল্লেখ করা হল।
এই সকল বিভাগ বা অনুবিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রচুর ডেটা থাকে যা ব্যাবস্থাপনার বিভিন্ন স্তরে সিদ্বান্ত গ্রহণের কাজে কিংবা গবেষনার কাজে ব্যাবহৃত হয়। কাজেই করপোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজন অনুসারে নিচের যে কোন এক বা একাধিক বা সবগুলো বাইওয়ের জন্য ডেটাবেজ তৈরি করতে পারে। যেমন কাস্টমার সার্ভিসের জন্য কাস্টমার রিলেশনশীপ ম্যানেজমেন্ট ডেটাবেজ। মানব সম্পদ ব্যাবস্থাপনার জন্য এইচআরএম বা হিউম্যাযন রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডেটাবেজ, অর্থ ব্যাবস্থাপনা ও হিসাবের জন্য একাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম ডেটাবেজ ইত্যাদি।







Thursday, August 11, 2022

প্রিন্টার কি? What is printer?

প্রিন্টার কি? What is printer?

প্রিন্টার (Printer) কম্পিউটারের একটি আউটপুট ডিভাইস। কম্পিউটারের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ফলফালকে লিখিত আকারে পাওয়ার জন্য প্রিন্টার ব্যাবহার করা হয়। পার্সোনাল কম্পিউটারের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রিন্ট কাজের জন্য মুলত তিন প্রযুক্তির প্রিন্টার ব্যাবহার করা হয়। যার নিম্নে উল্যখ করা হলো।
  1. Do Matrix Printer
  2. Ink Jet Printer
  3. Laser Printer

ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার

এ ধরনের প্রিন্টারে একটি প্রিন্ট হেড (Head) এ মেট্রিক্স (Matrix) পদ্বতিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক পিন সাজনো থাকে। নির্দিষ্ট একটি প্রিন্ট লাইনে এই হেড এবং পিনগুলো সচল থেকে প্রিন্ট রিবন (Ribon) এ অনবরত এবং দ্রুত ডট দিয়ে কাগজে অক্ষর ফুটিয়ে তোলে। নিখুঁত এবং দ্রুত ছাপার জন্য বাজারে বিভিন্ন সংখ্যক পিনযুক্ত প্রিন্টার পাওয়া যায়। পিন-এর সংখ্যা বেশি হলে ছাপার মানও ভালো হয়।


ইংক জেট প্রিন্টার 

ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভালোমানের আরেকটি প্রিন্টার জচ্ছে ইংক জেট প্রিন্টার। বিভিন্ন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান একে বাবলজেট (Bubble Jet) বা ডেস্কট জেট (Desk Jet) প্রিন্টার নামেও আখ্যায়িত করেন। এ ধরনের প্রিন্টার একটি তরল কালিযুক্ত কার্টিজ (Cartridge) দ্বারা ইলেক্ট্রনিক সার্কিটের প্রিন্ট হেড এর মাধ্যমে কাগজে তথ্য বা চিত্র ছাপানোর কাজটি সম্পাদন করে। ছাপানো প্রক্রিয়ায় এ প্রিন্টারটি মোটামুটি শব্দহীনভাবে কাজ করতে পারে।



লেজার প্রিন্ট 

উপরোক্ত দু'টি প্রযুক্তির প্রিন্টারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত নিখুঁত ছাপার জন্য লেজার প্রিন্টার ব্যাবহৃত হয়। এ প্রিন্টারের কালি পাউডারের ন্যায় শুকানো অবস্থায় একটি কার্টিজ বা টোনার (Toner) এ থাকে এবং কম্পিউটার হতে কোন তথ্য বা চিত্র প্রিন্ট করার নির্দেশ দেয়া হলে লেজার রশ্মি (Laser Beam) ব্যাবহার করে প্রিন্টার অতি দ্রুত গতিতে কাগজে ছাপার কাজটি সম্পাদন করে।
স্ক্যানার কী?

স্ক্যানার কী?

কাগজ, কাপড় বা এ ধরনের কোন স্থির উপাদান হতে কোন ছবি, চিত্র বা এ জাতীয় কোন বিষয় ফটোকপির ন্যায় হুবহু চিত্রের আকারে কম্পিউটারে প্রবেশ কারনোর জন্য ব্যাবহৃত একটি জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস হচ্ছে স্ক্যানার। প্রকাশনা শিল্পে অ ছবি প্রিন্টিং প্রেস এ ডিভাইসটি সার্বাধিক ব্যাবহৃত হইয়।
এছাড়াও ট্যাকবল, জয়স্টিক, লাইটপেন, ডিজিটাইজার, ওএময়ার, মাইক্রোফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা প্রভৃতি অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত ইনপুট ডিভাইস। কম্পিউটারে তথ্য প্রদান ও গ্রহণ দ্বিমুখী কাজে ডিস্ক, সিডি, মডেম, পেন ড্রাইভ প্রভৃতি সরঞ্জাম  একই সাথে ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইসে রুপে ব্যাবহৃত হয়।

এছাড়াও বর্তমানে অনেক ডিজিটাল স্ক্যানার আছে যেমন মানুষের বডি স্ক্যান করার জন্য MRI ও CT Scan বহুল পরিচিত। এর বাহিরেও রয়েছে অনেক ধরনের স্ক্যানার যেমন প্রোডাক্ট স্ক্যান করার জন্য রয়েছে Product Scanner

Thursday, July 28, 2022

জিএসএম সার্ভিস কি?

জিএসএম সার্ভিস কি?

জিএসএম এর প্রাথমিক সার্ভিসের লক্ষ্য হচ্ছে উচু মানের ডিজিটাল ভয়েস ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করা। তাছাড়া জিএসএম এর একটি অন্যতম জনপ্রিয় সার্ভিস এর নাম হল এসএমএস SMS (Short Message Services)। রোমিং সুবিধা থাকলে পৃথিবীর যে কোন জায়গায় এসএমএস করা যায়। মেসেজ ট্রান্সফার সার্ভিসের সর্বোচ্চ ১৬০টি অক্ষর ব্যাবহার করা যায়। সম্প্রতি আমাদের দেশে এমএমএস MMS (Multimedia Message Service) চালু হয়েছে। এমএমএস দ্বারা ছবি বা ইমেজ পাঠানো যায়। নিচে জিএসএম সার্ভিসের অন্যান্য বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা উল্লেখ করা হলো-

জিএসএম এর সুবিধা কি কি? 

  • বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল নেটওয়ার্ক যা ২১৮টি দেশে ব্যাবহৃত হয়। কাজেই আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা বেশী পাওয়া যেতে পারে।
  • সারা বিশ্বের গ্রাহকদের এক বিরাট অংশ জিএসএম ব্যাবহারকারী বিধায় হ্যান্ডসেট প্রস্ততকারক সরবরাহকারী এবং প্রান্তিক ব্যাবহারকারীদের জন্য বৈশ্বিকভাবে অপেক্ষাকৃত ভাল নেটওয়ার্ক ও সেবা পাওয়া সহজ হয়।
  • অধিক দক্ষ এবং কার্যকর ফ্রিকোয়েন্সী। ফলে ভবনের ভিতরেও সিগন্যালের অবনতি অপেক্ষাকৃত কম হয়। 
  • রুপান্তরের স্পন্দন (Pulse) বৈশিষ্ট্যের কারণে জিএসএম ফোনের কথোপকোথন সময়কাল (Talktime) সাধারণত দীর্ঘতর হয়। 
  • সিম সহজলভ্যতার কারণে ব্যাবহারকারীগণ ইচ্ছামত নেটওয়ার্ক হ্যান্ডসেট বা মোবাইল সেট পরিবর্তন করতে পারেন।
  • GPRS ও EDGE সুবিধা প্রদান করে।
  • তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল টেকনোলজির উপযোগী করে ডিজাইন করা।
  • নিরাপদ ডেটা এনক্রিপশন ও উচ্চমানের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। 

জিএসএম এর অসুবিধা কি কি?

  • কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র বিশেষত অডিও এমপ্লিফায়ারে হস্তক্ষেপ করে ইন্টারফারেন্স তৈরি করে। 
  • অংশগ্রহণকারী নির্দিষ্টট কিছু শিল্প উদ্যোক্তার মাঝেই মেধা সম্পদ সীমাবদ্ধ যা নতুনদের অনুপ্রবেশে বাধা সৃষ্টি করছে এবং ফোন প্রস্তুতকারীদের মধ্যেকার প্রতিযোগীতা সীমাবদ্ধ করে তুলছে। 
  • প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে জিএসএম এ ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে সর্বোচ্চ সেল সাইট নির্দিষ্ট করা থাকে। এটা অবশ্য পুর্বে ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
  • বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। গড়ে প্রায় ২ ওয়াট; যেখানে সিডিএমএ টেকনোলজির ক্ষেত্র গড়ে মাত্র ২০০ মাইক্রোওয়াট!


Wednesday, June 22, 2022

ICT Dependent Production System

ICT Dependent Production System

Today I am going to tell you about some significant role of ICT In production system.

Telecommunications services in production system

No Industry production system can be imagined today without Telecommunication. Large or small industries require communication with different people at different stages, from different suppliers or buyers. Telecommunications system is playing an important role in coordinating the production system. Services are being  introduced for industries and communication.

Internet on production system

Industrial production system without Internet is obsolete today. Internet has to be used in case of sending mail to different people for different purposes. Those whose organizations are located at different distances may even be scattered in different parts of the world. In this case, the internet based technologies help to maintain control over the organizations by bridging the gap.


Use of Robotics in industry

Computer aided Manufacturing (CAM) robotics is widely used. In particular, the use of robotics in car and vehicle manufacturing plants, labor welding factories, loading and unloading of heavy goods,etc.is noticeable.

Products Quality control

The quality of the products produced by the factory can be ascertained from the computer by verifying the data. Computer can also be used to check whether the equipment used in the production is working properly. Various types of chemicals factories, steel plants, power plants can be controlled with the help of computer. 

Collecting data

To ensure a peaceful place in industry, CT is needed to collect correct information and data.  Proper information of Temperature, using chemical resources etc. Information can be retained through computer. 

Ensuring a risk free environment in production

It is possible to reduce the risk of production by taking precautionary measures in the field of production using information technology.  In this case, the risk of accidents can be greatly reduced by implementing office automation systems. As a precautionary measure, information technology should be used to preserve the fingerprints, rerating etc. Of the workers in the database. Various automatic systems such as, automatic fire extinguisher, message delivery can be implemented.

The use of CAD Or CAM

The use of computer aided design  cards has removed the conventional sketch .And engineering drawings used to visualise products and communicate with design information has replaced computer graphics. On the other hand engineering designs are converted into finished products using computer. The manager assists the manufacturing engineering and production workers by automating the various types of production activities of the computer. 

Contribution of defense industry

Defense industry is one of the economic units of the country .They have developed and expanded their defense industry so much that they are exporting all weapons to other countries. There is strong link between ICT and defense industry. 

Use of virtual reality

Ict Is currently playing an important role in building a skilled workforce using virtual reality. They are creating skilled manpower in the development of the country. 

Industrial production system of today's world is almost entirely dependent on information and communication technology. From the very beginning of creation  of any product to the design, procurement, use, production  and marketing of raw materials, there has always been information and communication technology involvement in one way or another. Computers are the main collaborators of people in industries. The use of information technology in the field of equipment, design, equipment control etc. Has brought success...Moreover the importance of ICT In online payments for various types of online trading business is now immense...

Tuesday, May 24, 2022

ব্লুটুথ কি? What is bluetooth

ব্লুটুথ কি? What is bluetooth

ব্লুটুথ হচ্ছে তারবিহীন পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Personal Aria Network - PAN) প্রটোকল যা স্বল্প দুরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যাবহৃত হয়। এর দুরুত্ব সাধারণত ১০ থেকে ১০০ মিটার হয়ে থাকে। বর্তমানে ল্যাপটপ, ট্যাব, পিডিএ, স্মার্ট ফোন ইত্যাদি ডিভাইসে ব্লুটিথ বিল্ড ইন আকারে থাকে।

তাছাড়াও ইউএসবি ব্লুটিথ অ্যাডাপ্টারের সাহায্যে যে কোন কম্পিউটারে ব্লুটুথ সক্রিয় করা যায়। এটি বর্তমানে বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় ডেটা কমিউনিকেশন প্রটোকল। এর ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রায় ১ মেগাবাইট/সেকেন্ড বা তারচেয়ে বেশি। ব্লুটুথ ব্যাবহার করে একই সাথে একাধিক ডিভাইসে সংযোগ দেইয়া যায়। এ যাবত ব্লুটুথের অনেক ভার্সন ভাজারে বের হয়েছে, তবে বর্তমানে ব্লুটুথ ভার্সন ৪.০ বিদ্যমান এবং তা ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে।

বিভিন্ন ভার্সনে ডেটা ট্রান্সফারের বৃদ্ধি ঘটেছে। নিম্নে ভার্সন অনুযায়ী ডেটা ট্রান্সফারের লিস্ট দেওয়া হলোঃ-

ব্লুটুথ ভার্সন ডেটা রেট
1.2 1 Mbit/s
2.0 + EDR 3 Mbit/s
3.0 + HR 3 Mbit/s
4.0 26 Mbit/s

Saturday, May 21, 2022

ডায়নামিক ওয়েবসাইট কাকে বলে?

ডায়নামিক ওয়েবসাইট কাকে বলে?

যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করছেন ও শুরু করেছেন বা করবেন ভাবছেন, তাহলে আমি এত টুকু গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি কোননা কোন ভাবে Dynamic Website বা Static Website অথবা Landing Page এইসবের নাম শুনেছেন বা ভবিষ্যতে শুনবেন। এইসবের মানে কি অনেকেই জানেনা, যেমন আজকে আমি ফেসবুকে ওয়েব ডেভলপমেন্ট গ্রুপে পোস্ট পরছিলাম এবং কমেন্টে দেখলাম একভাই জানতে চাচ্ছেন ডায়নামিক ওয়েবসাইট সম্পর্কে। কিন্তু কেউ তাকে পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারছেনা। মূলত যারা ওয়েব সেক্টরে নতুন তাদের এই বিষয়টি জানা অত্যান্ত জরুরি। আজকের এই পোস্টে ডায়নামিক, স্ট্যাটিক ও ল্যান্ডিনং পেইজ নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

What is Static Website? স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট কি?

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এমন একটি সাইট যেই সাইটে সকল ধরনের তথ্য থাকে কিন্তু একজন স্বাধারন মানুষ কোনভাবেই ঐ সাইট আক্সেস করতে পারবে না। তবে হ্যা যদি আপনি সাইটের এ্যাডমিন হয়ে থাকেন এবং সাইট যদি CMS ভিত্তিক হয়। তাহলে আপনি এ্যাডমিন হিসেবে যা খুশি করতে পারেন, আর এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে পোর্টফলিও ওয়েবসাইট গুলো স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট হয়ে থাকে। 

What is Dynamic Website? ডায়নামিক ওয়েবসাইট কি?

যেই ওয়েবসাইটে কোড এডিট করা ছাড়াই সব কাজ করা যা ও অ্যাকাউন্ট করা যায় তাকে ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলে। ডায়নামিক ওয়েবসাইটে আপনি সকল ধরনের সুবিধা পাবেন। যেমনঃ- অ্যাকাউন্ট তৈরি করা এবং সাইটের একজন রেজিস্টার মেম্বার হওয়া। মূলয় ই-কমার্স ও লার্নিং ওয়েবসাইট গুলো ডায়নামিক ওয়েবসাইট হয়ে থাকে। যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন, এই সমস্ত সাইট গুলো অ্যাকাউন্ট তৈরি, প্রোডাক্ট চয়েজ, প্রোডাক্ট কার্টে এ্যাড করা এবং সেটি আজীবন আপনার অ্যাকাউন্টে দেখানো, এবং কোন কিছু অর্ডার করা এই সকল কাজই ডায়নামিক ওয়েবসাইট দ্বারা সম্ভব।

What is Landing Page?

কোন একটা জিনিস খুব সুন্দর করে সুধু একটা পেইজের মধ্যে ডিস্পলে করানোকে ল্যান্ডিং পেইজ বলে। যেমন ধরুন আপনার একটি প্রোডাক্ট আছে, সেটা হতে পারে যে কোন জিনিস ধরে নিলাম আপনার কাছে Samsung S22 মোবাইল রয়েছে স্টোকে অনেক গুলো। এখন এই গুলো আপনি বিশ্বব্যাপী সেল করতে চাচ্ছেন। এর জন্য প্রয়োজন আপনার মার্কেটিং করা এবং লোকজনকে অই মোবাইল সম্পর্কে ভালো আইডিয়া দেওয়া। এইসমস্ত জিনিস গুলো আপনি একটা ল্যান্ডিং পেইজেএ মাধ্যমে ডিস্পলে করবেন। এতে করে ক্লায়েন্ট এক পেইজেই সকল ডিটেইলস জেনে যাবে। ল্যান্ডিং পেজ এবং স্ট্যটিক ওয়েবসাইট ২ টাই প্রায় সেম। এই সমস্ত ল্যান্ডিং পেজ গুলো প্রায় সবই মার্কেটিং এর জন্য তৈরি করা হয়। এবং বেশির ভাগ ল্যান্ডিং পেজ সিংগেল পেজেরও হয়ে থাকে।



Friday, May 13, 2022

সেলুলার নেটওয়ার্ক কাকে বলে? সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যখ্যা

সেলুলার নেটওয়ার্ক কাকে বলে? সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যখ্যা

সেলুলার নেটওয়ার্কে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী ব্যাবহার করা হয়। সেলুলার রেডিও সিস্টেম রেডিও সার্ভিসের সাথে ভূমি এলাকায় সিগন্যাল বা সংকেত সরবরাহ করা হয়, যা নিয়মিত আকারের সেল (Cell) ভিভক্ত।

সেল ষড়ভূজাকার, বার্গাকার, বৃত্তাকার বা অন্য কোন অনিয়মিত আকারের হতে পারে, যদিও ষড়ভূজাকারই প্রথাগত বা প্রচলিত। প্রত্যেক সেলের জন্য বহু সংখ্যক ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ রয়েছে যা সমতুল্য রেডিও বেস স্টেশন রয়েছে। রি ফ্রিকোয়েন্সীসমুহের একটি শ্রেনী পুনরায় ব্যাবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে একই ফ্রিকোয়েন্সী প্রতিবেশী বা পাশাপাশি সেলে পুনর্ব্যাবহৃত না হয়। 

সম্পুর্ন ভিন্ন ট্রান্সমিশনের জন্য বিভিন্ন এলেকায় একই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী পুনরায় ব্যাবহার করা যেতে পারে। যদি একটি মাত্র সাধারণ ট্রান্সমিটার থাকে তবে যে কোন প্রদেয় ফ্রিকোয়েন্সীতে কেবলমাত্র একটি ট্রান্সমিশন ব্যাবহার করা যেতে পারে। একই ফ্রিকোয়েন্সী পুনরায় ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে একটি মানসম্পন্ন FDMA সিস্টেমের বিভিন্ন সেলের মধ্যে কমপক্ষে এক সেল বিরতি অবশ্যই থাকতে হবে।



Saturday, May 7, 2022

অপটিক্যাল মাউস কাকে বলে

অপটিক্যাল মাউস কাকে বলে

আজকাল বল মাউসের পরিবর্তে অপটিক্যাল মাউস ব্যাবহৃত হচ্ছে। একটি অপটিক্যাল মাউসে বলের পরিবর্তে নড়াচড়ার মুভমেন্ট সনাক্ত করার জন্য ব্যাবহার করা হয় সেন্সর (Sensor)। সাথে থাকে অপটিক্যাল এনকোডার (Optical Encoder) যা হরিজন্টাল (Horizontal) এবং ভার্টিক্যাল (Vertical) পজিশন এনকোড করে।

এইসব মাউস গুলোতে লাইট সোর্স ব্যাবহৃত হয়, এই লাইট গুলো এনার্জি সরবরাহ করে। এনকোডার এর প্রতিটি Window দিয়ে আসা লাইট ডিটেক্ট করে লাইট সেন্সর। 

উল্ল্যেখ যে, এই সেন্সর থেকে সিগনাল নিয়ে কোর্সর মুভমেন্ট (Coursor Movement) সহ কমান্ড এক্সিকিউট সিগনাল (Command Execute Signal) পাঠায়। 

কোন কমান্ড সিলেকশনের পর পুশ বাটন বা সুইচে ক্লিক করলেই উপরোক্ত যায়গায় মাউস ক্লিক হয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। 

একটি মাউসে সাধারণত ২ টি বাটন থাকে, একটি ডান দিকের অন্যটি বাম দিকের। এবং সাথে একটি স্ক্রোলিং বার বা হুইল থাকে যা দিয়ে কোন একটি পেইজ বা ডকুমেন্ট আপ-ডাউন করা যায়।