Showing posts with label History. Show all posts
Showing posts with label History. Show all posts

Friday, December 29, 2023

সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কারের ইতিহাস | History of Number System

সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কারের ইতিহাস | History of Number System

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত ভাষা এবং একই সাথে সংখ্যাকেও ব্যবহার করি। আমাদের প্রয়োজনের কারণে ভাষার সাথে সাথে আমরা সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি। সত্যি কথা বলতে কী অনেক প্রাণী এবং পাখিও অল্প কিছু গুণতে পারে। শুনে অবাক হয়ে যেতে হয় যে এখনো পৃথিবীর গহিন অরণ্যে এমন আদিবাসী মানুষ আছে যাদের জীবনে সংখ্যার বিশেষ প্রয়োজন হয় না বলে সেভাবে গুনতে পারে না। ব্রাজিলের পিরাহা নামের আদিবাসীরা এক এবং দুই থেকে বেশি গুনতে পারে না। এর চাইতে বেশি যে কোনো সংখ্যা হলেই তারা বলে 'অনেক'।

সংখ্যা পদ্ধতি কি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কি, পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে, সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কি, সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কি, ৩ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যাপদ্ধতি, নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতির বেস কি

সংখ্যা পদ্ধতির ইতিহাস

আদিম মানুষ যখন শিকারী হিসেবে বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত তখন হিসেব রাখা বা গোনার সেরকম প্রয়োজন ছিল না। যখন তারা কৃষিকাজ করার জন্য স্থিতু হয়েছে, গবাদি পশু পালন করতে শুরু করেছে, শস্যক্ষেত্রে চাষাবাদ করেছে, গ্রাম, নগর-বন্দর গড়ে তুলেছে, রাজস্ব আদায় করা শুরু করেছে তখন থেকে গোনার প্রয়োজন শুরু হয়েছে। সেজন্য সংখ্যা পদ্ধতির ইতিহাস এবং সভ্যতার ইতিহাস খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। আমাদের প্রয়োজনের কারণে এখন আমরা অনেক বড় বড় সংখ্যা ব্যবহার করতে পারি, গণিতের সাহায্যে সেগুলো নানাভাবে প্রক্রিয়া করতে পারি।
আদিম কালে মানুষেরা গাছের ডাল বা হাড়ে দাগ কেটে কিংবা কড়ি, শামুক বা নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে সংখ্যার হিসাব রেখেছে। তবে যখন আরো বড় সংখ্যা আরো বেশি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয়েছে তখন সংখ্যার একটি লিখিত রূপ বা চিহ্ন সৃষ্টি করে নিয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মোটামুটি একই সময়ে সুমেরিয়ান-ব্যবলিয়ান এবং মিশরীয় সভ্যতার শুরু হয় এবং এই দুই জায়গাতেই সংখ্যার প্রথম লিখিত রূপ পাওয়া গেছে।

সংখ্যা পদ্ধতি

সুমেরিয়ান ব্যবলিয়ান সংখ্যা ছিল ষাটভিত্তিক এবং মিশরীয় সংখ্যা ছিল দশভিত্তিক। ব্যবলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতির রেশ পৃথিবীতে এখনো রয়ে গেছে, আমরা মিনিট এবং ঘণ্টার হিসেব করি ষাট দিয়ে এবং কোণের পরিমাপ করি ষাটের গুণিতক দিয়ে। সুমেরিয়ান ব্যবলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান ছিল, মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে ছিল না। দুই পদ্ধতিতেই কোনো কিছু না থাকলে সেটি বোঝানোর জন্য চিহ্ন ব্যবহার করা হতো কিন্তু সেটি মোটেও গাণিতিক সংখ্যা শূন্য ছিল না।

পরবর্তীকালে আরো তিনটি সভ্যতার সাথে সাথে সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে উঠে, সেগুলো হচ্ছে মায়ান সভ্যতা, চীন সভ্যতা এবং ভারতীয় সভ্যতা। মায়ান সংখ্যা পদ্ধতি ছিল কুড়িভিত্তিক, চীন এবং ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি ছিল দশভিত্তিক। (আমাদের দেশে যেসব মানুষ লেখাপড়ার সুযোগ পায়নি তারা কাজ চালানোর জন্য মৌখিকভাবে কুড়িভিত্তিক এক ধরনের সংখ্যা ব্যবহার করে থাকে।) মায়ান এবং ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান ব্যবহার করে।
প্রয়োজনের কারণে সব সংখ্যা পদ্ধতিতেই শূন্যের জন্য একটি চিহ্ন থাকলেও প্রকৃত অর্থে শূন্যকে একটি সংখ্যা হিসেবে ধরে সেটিকে সংখ্যা পদ্ধতিতে নিয়ে এসে গণিতে ব্যবহার করে ভারতীয়রা এবং এই শূন্য আবিষ্কারকে আধুনিক গণিতের একটি অন্যতম যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মায়ান এবং চীন সংখ্যা পদ্ধতি মাত্র দুই-তিনটি চিহ্ন ব্যবহার করে লেখা হতো। কিন্তু হাতে লেখার সময় পাশাপাশি অসংখ্য চিহ্ন বসানোর বিড়ম্বনা থেকে বাঁচার জন্য ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে 1 থেকে 9 পর্যন্ত নয়টি এবং শূন্যের জন্য একটি চিহ্ন- এভাবে দশটি চিহ্ন ব্যবহার করতে শুরু করে। আমরা এই চিহ্নগুলোকে অঙ্ক বা Digit বলি।

সংখ্যা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত

2500 বছর আগে গ্রিকরা ব্যবলিয়ান এবং মিশরীয়দের সংখ্যা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তাদের পূর্ণাঙ্গ 10 ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে তুলেছিল। রোমানরা গ্রিক সভ্যতার পতন ঘটানোর পর গণিতের অভূতপূর্ব বিকাশ থেমে যায়। রোমান সাম্রাজ্যে গণিতের সেরকম প্রয়োজন ছিল না। তাদের সংখ্যাগুলোতে আলাদা রূপ ছিল না এবং রোমান অক্ষর দিয়ে সেগুলো প্রকাশ করা হতো। অনাবশ্যকভাবে জটিল এবং অবৈজ্ঞানিক রোমান সংখ্যা এখনো বেঁচে আছে এবং ঘড়ির ডায়াল বা অন্যান্য জায়গায় মাঝে মাঝে আমরা তার ব্যবহার দেখতে পাই।
ইসলামি সভ্যতার বিকাশ হওয়ার পর ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি আরবদের মাধ্যমে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে, যেটি আমাদের আধুনিক দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এখানে উল্লেখ্য যে শূন্য ব্যবহারের ফলে সংখ্যা পদ্ধতিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি হলেও খ্রিষ্টীয় শাসকেরা শূন্যকে শয়তানের রূপ বিবেচনা করায় দীর্ঘদিন সেটাকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল!

আমাদের হাতে দশ আঙুল থাকার কারণে দশভিত্তিক সংখ্যা গড়ে উঠলেও দুই, আট কিংবা ষোলোভিত্তিক সংখ্যাও আধুনিক প্রযুক্তিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।

সংখ্যা পদ্ধতি (Number System)

সংখ্যাকে প্রকাশ করার এবং গণনা করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। সংখ্যাকে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এই প্রতীকগুলোকে দুটো ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যায়।
সংখ্যা পদ্ধতি কি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কি, পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে, সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কি, সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কি, ৩ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যাপদ্ধতি, নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতির বেস কি

Wednesday, December 20, 2023

সেন বংশ (১০৬১-১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ) - বাংলা ইতিহাস

সেন বংশ (১০৬১-১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ) - বাংলা ইতিহাস

পাল বংশের পতনের পর বারো শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলাদেশে সেন রাজবংশের সূচনা হয়। ধারণা করা হয় তাঁরা এদেশে বহিরাগত। তাদের আদি নিবাস ছিল দক্ষিণাত্যের কর্ণাট। কেউ কেউ মনে করেন তারা ছিলেন 'ব্রহ্মক্ষত্রিয়'। যে বংশের লোকেরা প্রথমে ব্রাহ্মণ থাকে এবং পরে পেশা পরিবর্তন করে ক্ষত্রিয় হয়, তাদেরকে বলা হয় 'ব্রহ্মক্ষত্রিয়'। বাংলার সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সামন্ত সেন। তিনি যৌবনে কর্ণাটে বীরত্ব প্রদর্শন করে শেষ বয়সে বসতি স্থাপন করেন রাঢ় অঞ্চলে গঙ্গা নদীর তীরে। তিনি কোনো রাজ্য প্রতিষ্ঠা না করায় সেন বংশের প্রথম রাজার মর্যাদা দেওয়া হয় সামন্ত সেনের পুত্র হেমন্ত সেনকে। ধারণা করা হয় পাল রাজা রামপালের অধীনে তিনি একজন সামন্ত রাজা ছিলেন।
সেন বংশ (১০৬১-১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ)

হেমন্ত সেনের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র বিজয় সেন (১০৯৮-১১৬০ খ্রিষ্টাব্দ) সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর এই সুদীর্ঘ রাজত্বকালেই সেন বংশের শাসন শক্তিশালী ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনিই সম্ভবত সামন্তরাজা থেকে নিজেকে স্বাধীনরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কৈবর্ত্য বিদ্রোহের সময় তিনি রামপালকে সাহায্য করেন। একাদশ শতকে দক্ষিণ রাঢ় শূর বংশের অধিকারে ছিল। এ বংশের রাজকন্যা বিলাসদেবীকে তিনি বিয়ে করেন।

বরেন্দ্র উদ্ধারে রামপালকে সাহায্য করার বিনিময়ে বিজয় সেন স্বাধীনতার স্বীকৃতি পান। আবার দক্ষিণ রাঢ়ের শূর বংশের সঙ্গে বৈবাহিক আত্মীয়তার সূত্র ধরে রাঢ় বিজয় সেনের অধিকারে আসে। এরপর বিজয় সেন বর্ম রাজাকে পরাজিত করে পূর্ব ও দক্ষিণ বাংলা সেন অধিকারে নিয়ে আসেন। শেষ পাল রাজাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিজয় সেন মদনপালকে পরাজিত করে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বাংলা থেকে পালদের বিতাড়িত করে নিজ প্রভুত্ব বিস্তার করেন।

এরপর তিনি কামরূপ, কলিঙ্গ ও মিথিলা আক্রমণ করেন। হুগলী জেলার ত্রিবেণীতে অবস্থিত বিজয়পুর ছিল বিজয় সেনের প্রথম রাজধানী। দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করা হয় বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে। বিজয় সেন পরম মাহেশ্বর, পরমেশ্বর, পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ, অরিরাজ-বৃষভ-শঙ্কর প্রভৃতি উপাধি গ্রহণ করেন। সেন বংশের অধীনেই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলা দীর্ঘকালব্যাপী একক রাজার অধীনে ছিল। ধর্মের দিক থেকে বিজয় সেন ছিলেন শৈব।

বিজয় সেনের পর সিংহাসনে আরোহণ করেন তাঁর পুত্র বল্লাল সেন (১১৬০-১১৭৮ খ্রিষ্টাব্দ)। তাঁর রাজত্বকালে তিনি শুধু পিতৃরাজ্য রক্ষাই করেননি, মগধ ও মিথিলাও সেন রাজ্যভুক্ত করে সেন শাসন শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেন। চালুক্য রাজকন্যা রমা দেবীকে তিনি বিয়ে করেন। অন্যান্য উপাধির সাথে বল্লাল সেন নিজের নামের সাথে 'অরিরাজ নিঃশঙ্ক শঙ্কর' উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে পুত্র লক্ষণ সেনের হাতে রাজ্যভার অর্পণ করে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ত্রিবেণীর নিকট গঙ্গাতীরে বানপ্রস্থ অবলম্বন করে শেষ জীবন অতিবাহিত করেন।

বল্লাল সেন অত্যন্ত সুপণ্ডিত ছিলেন। বিদ্যা ও বিদ্বানের প্রতি তাঁর যথেষ্ট অনুরাগ ছিল। তিনি বেদ, স্মৃতি, পুরাণ প্রভৃতি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেছিলেন। তাঁর একটি বিরাট গ্রন্থাগার ছিল। কবি বা লেখক হিসেবে সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর দান অপরিসীম। তাঁর পূর্বে বাংলার কোনো প্রাচীন রাজা এরূপ লেখনী প্রতিভার পরিচয় দিতে পারেননি। তিনি 'দানসাগর' ও 'অদ্ভুতসাগর' নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। অবশ্য 'অদ্ভুতসাগর' গ্রন্থের অসমাপ্ত অংশ তাঁর পুত্র লক্ষণ সেন সম্পূর্ণ করেছিলেন। গ্রন্থদ্বয় তাঁর আমলের ইতিহাসের অতীব মূল্যবান উপকরণ।

তিনি রামপালে নতুন রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। বল্লাল সেন তন্ত্র হিন্দুধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ফলে তাঁর রাজত্বকালে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায় এবং বৌদ্ধ ধর্ম দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেকে মনে করেন তিনি হিন্দু সমাজকে নতুন করে গঠন করার উদ্দেশ্যে 'কৌলীন্য প্রথা' প্রবর্তন করেছিলেন। এর ফলে সামাজিক আচার-ব্যবহার, বিবাহ অনুষ্ঠান প্রভৃতি বিষয়ে কুলীন শ্রেণির লোকদিগকে কতকগুলো বিশেষ রীতিনীতি মেনে চলতে হতো।

বল্লাল সেনের পর তাঁর পুত্র লক্ষণ সেন (১১৭৮-১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ) প্রায় ৬০ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। পিতা ও পিতামহের ন্যায় লক্ষণ সেনও সুদক্ষ যোদ্ধা ছিলেন এবং রণক্ষেত্রে নৈপুণ্যের পরিচয় দেন। তিনি প্রাগ-জ্যোতিষ, গৌড়, কলিঙ্গ, কাশী, মগধ প্রভৃতি অঞ্চল সেন সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। কিন্তু তাঁর শেষ জীবন খুব সুখের ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিগ্রহ পরিচালনা ও বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ও অন্যান্য কারণে তিনি শেষ পর্যন্ত শাসনের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন এবং পিতার ন্যায় গঙ্গাতীরে দ্বিতীয় রাজধানী নবদ্বীপে বসবাস শুরু করেন। ফলে গৌড় ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ও অন্তর্বিরোধের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং অভ্যন্তরীণ গোলযোগের সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে ১১৯৬ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান সুন্দরবন অঞ্চলে ডোম্মন পাল বিদ্রোহী হয়ে একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

লক্ষণ সেন নিজে সুপণ্ডিত ও বিদ্যোৎসাহী ছিলেন। পিতার অসমাপ্ত গ্রন্থ 'অদ্ভুতসাগর' তিনিই সমাপ্ত করেছিলেন। লক্ষণ সেন রচিত কয়েকটি শ্লোকও পাওয়া গেছে। তাঁর রাজসভায় বহু পণ্ডিত ও জ্ঞানী ব্যক্তির সমাবেশ ঘটেছিল।

লক্ষণ সেন পিতা ও পিতামহের শৈব ধর্মের প্রতি অনুরাগ ত্যাগ করে বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। পিতা ও পিতামহের 'পরম মহেশ্বর' উপাধির পরিবর্তে তিনি 'পরম বৈষ্ণব' উপাধি গ্রহণ করেন। তিনি শাস্ত্র ও ধর্ম চর্চায় পিতার উপযুক্ত পুত্র ছিলেন। ঐতিহাসিক মিনহাজ তাঁর দানশীলতা ও ঔদার্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

তেরো শতকের প্রথম দিকে মুসলমান সেনাপতি বস্তিয়ার খন্জি নদীয়া আক্রমণ করেন। বৃদ্ধ লক্ষণ সেন কোনো প্রতিরোধ না করে নদীপথে পূর্ববঙ্গের রাজধানী বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর আশ্রয় গ্রহণ করেন। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বাংলা বখতিয়ার খলজি সহজেই অধিকার করে নেন। লক্ষণাবতীকে (গৌড়) কেন্দ্র করে বাংলায় মুসলিম সামাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় অবস্থান করে লক্ষণ সেন আরও ২/৩ বছর রাজত্ব করেন। খুব সম্ভব ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে (মতান্তরে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দে) তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। লক্ষণ সেনের মৃত্যুর পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন কিছুকাল (১২০৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত) পূর্ব বাংলা শাসন করেন। এভাবে লক্ষণ সেনের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলায় সেন শাসনের অবসান ঘটে।

Tuesday, December 19, 2023

ওয়ারেন হেস্টিংসের বৈদেশিক নীতি (Foreign policy of warren Hastings)

ওয়ারেন হেস্টিংসের বৈদেশিক নীতি (Foreign policy of warren Hastings)

ওয়ারেন হেস্টিংস যখন গভর্নর তখন "ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি" ভারতে সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম না হলেও  বাংলায় তারা বণিক সম্প্রদায় থেকে শাসক সম্প্রদায় এ রূপান্তরিত হয়।" ফলে ভারতের অপরাপর রাজ্য ও রাজনৈতিক শক্তির প্রতি তিনি সুনির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন। তিনি বুঝতে পারেন যে, ভারতে ইংরেজদের অধিপত্যকে স্থায়ী রূপ দিতে হলে দেশীয় রাজাদের ইংরেজদের ওপর নির্ভরশীল করে তোলা প্রয়োজন। 

অযোধ্যা নীতি(Ayodhya policy)

ওয়ারেন হেস্টিংস মারাঠা আক্রমণ থেকে বাংলা ও বিহারকে নিরাপদ রাখার জন্য অযোধ্যাকে মধ্যবর্তী রাজ্য "বাফার স্টেট (Buffer State) হিসেবে পেতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি মারাঠাদের আশ্রয় বাস করার অজুহাতে বারাণসীর সন্ধ্যী দ্বারা মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমকে কারা ও এলাহাবাদ প্রদেশ দুটি ফেরত দিতে বাধ্য করেন। এরপর এ প্রদেশ দুটি ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি অযোধ্যা নবাবের কাছে বিক্রি করে দেন।  এভাবে তিনি অযোধ্যার শক্তি বৃদ্ধি করে একে বাফার স্টেট (Buffer State) হিসেবে ব্যবহার করেন।

রহিলা নীতি (Rohila Policy)

বর্তমান ভারতের যুক্ত প্রদেশ সেকালে রহিল খন্ড নামে পরিচিত ছিল। সেখানে রোহিলা - আফগানগন স্বাধীনভাবে শাসন করতেন। অযোধ্যারা উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এ রাজ্যটির সরদার হাফেজ রহমত খাঁ মারাঠা আক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যার নবাবের সাথে এই মর্মে চুক্তি করেন যে, মালা ছাড়া রোহিলা খন্ড আক্রমণ করলে নবাব তাকে সৈন্য দিতে সাহায্য করবেন এবং বিনিময় নবাবকে ৪০ লক্ষ টাকার দেওয়া হবে। ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে মারাঠারা রহিল খন্ড আক্রমণ করলে অযোধ্যার নবাব সুজন তোলা ইংরেজ কোম্পানির সাহায্য পুষ্ট হয়ে মারাঠাদের বিরুদ্ধে  অগ্রসর হন। খবর পেয়ে মারাঠারা ভীত হয়ে বিনা যুদ্ধে ফিরে যায়। 

নবাব চুক্তি অনুযায়ী ৪০ লক্ষ টাকা দাবি করলে আফগান সরদার হাফেজ রহমত খাতা দিতে অস্বীকার করেন। তিনি যুদ্ধের ব্যয় ছাড়াও ৪০ লক্ষ টাকা প্রদানের বিনিময়ে রহিলাখন্ড দখলে ইংরেজ সহায়তা কামনা করলে হেস্টিংস সানন্দে এ প্রস্তাবে রাজি হন। মনিপুর কাচার যুদ্ধে রোহীনারা পরাজিত হয়, হাফেজ রহমত খান নিহত হন এবং প্রায় ২ লক্ষ রহিলা বিতাড়িত হয়।

প্রথম ইঙ্গ -মারাঠা যুদ্ধ (১৭৭৩ - ১৭৮৩)

First Anglo- Maratha war (1773-1783)

পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠা শক্তির বিপর্যয় ঘটলেও তারা একেবারে ধ্বংস হয়নি। মারাঠা নায়ক বালাজি বাজিরাও- এর পুত্র পেশা মাধব রাওয়ের নেতৃত্বে মারাঠা শক্তির পুনরূপ জীবন ঘটে। কিন্তু মাধব রাওয়ের মৃত্যুর পর পেশোয়া পদের জন্য মাধব রাওয়ের ভাই নারায়ন রাও এবং পিতৃত্ব রঘুনাথ রাওয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা শুরু হয়। মারাঠাদের এই দ্বন্দ্বে অভ্যন্তরীণ ইংরেজরা হস্তক্ষেপ করলে ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ইঙ্গো- মারাঠা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়।

১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে সুরাটের সন্ধি অনুযায়ী বোম্বাইয়ের ইংরেজ সরকার রঘুনাথ রাওকে পেশোয়া দ্বিতীয় মাধব রাওয়ের বিরুদ্ধে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে সম্পাদন অনুযায়ী ইংরেজ সরকার এই সন্ধি বাতিল করে দেয় এবং সানসেট বন্দরের বিনিময়ে  পুরন্দরের সন্ধি সম্পাদন করেন। 

১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ বাহিনী বোম্বাই হতে "পুনা"এবং সানসেট অভিমুখে রওনা হয় কিন্তু তেলিগাঁও এর যুদ্ধে মারাঠাদের কাছে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। ফোলে ওয়াদগাঁও এর সন্ধি দ্বারা ইংরেজরা সকল বিজিত স্থান প্রত্যাহার্পন করতে এবং আশ্রিত রঘুনাথরাওকে হস্তান্তর করতে স্বীকৃত হয়। এরপর ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় যুদ্ধের গাডার্ডের নেতৃত্বে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যান।

 তবে মধ্য ভারতের ইংরেজরা সেনাপতি ও পপহামের নেতৃত্বে সিন্ধিয়ার গোয়ালিয়র অধিকার করলে সিন্ধিয়ার প্রচেষ্টায় ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে ইঙ্গো - মারাঠা স্বাক্ষরিত হয়।  এর সন্ধি অনুযায়ী ইংরেজরা বিজিত রাজ্যগুলো মারাঠাদের ফেরত দেয়, বিনিময়ে "সলসেট" বন্দর লাভ করে। ইংরেজরা মাধব রাও নারায়নকে পেশোয়া বলে স্বীকার করে নেয়। রঘুনাথ রাওকে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। এভাবে প্রথম ইঙ্গো- মারাঠা যুদ্ধে অবসান ঘটে।

Friday, December 15, 2023

নিটিং কাকে বলে? নিটিং এর ইতিহাস । নিটিং কিভাবে করে? What is Knitting?

নিটিং কাকে বলে? নিটিং এর ইতিহাস । নিটিং কিভাবে করে? What is Knitting?

নিটিং নিয়ে যত প্রশ্নের উত্তর আজকের আর্টিকেলটি পড়লেই উত্তর জানতে পারবেন। নিটিং কি? নিটিং কিভাবে কাজ করে? নিটিং কিভাবে করে? নিটিং এর মূল কাজটি কি?  নিটিং এর ইতিহাস, নিটিং মেশিন, সার্কুলার নিটিং, নিটিং করতে কি কি প্রয়োজন? এরকম যাদের প্রশ্ন রয়েছে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।
What is Knitting, History of Knitting
তো প্রথমেই আমরা জেনে নেই নিটিং কি?

নিটিং কি?

যে প্রক্রিয়ায় মেশিন বা হস্ত দ্বারা এক ধরনের বিশেষ সূচ ব্যবসা করে বিশেষ নিয়মে লুপ তৈরি করে উক্ত লুপগুলোতেই পরস্পরের সাথে লম্বালম্বি বা সমান্তরালভাবে সংযোজিত করে কাপড় তৈরি কয়া হয় তাকে নিটিং বলে।

এক কথায় নিটিং বলতে সুতা (Yarn) এবং সুচ (Needle) এর মাধ্যমে লুপ (Loop) তৈরি করে কাপড় তৈরি করাকে বুঝায়।

নিটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সুতা থেকে কাপড় তৈরি করা হয়। এটি একটি প্রাচীন শিল্প যা হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিটিং মূলত দুই ভাবে করা হয়, যেমন-
  1. হাত দিয়ে নিটিং
  2. মেশিন দিয়ে মেশিন দিয়ে নিটিং

হাত দিয়ে নিটিং

হাত দিয়ে নিটিং করার জন্য, নিটাররা একটি বড় ও মজবুত রড বা এ জাতিয় কিছুর সাথে সংযুক্ত একাধিক সুতা লাগায় এবং লুপ তৈরি করে। তারপর সেই লুপগুলিকে একটির সাথে আরেকটি সংযুক্ত করে। তারপর কাপড় তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ধরণের হাতের নিটিং রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সোয়েটার নিটিং, মোজা নিটিং এবং স্কয়ার নিটিং।

মেশিন দিয়ে নিটিং

মেশিন দিয়ে নিটিং করার জন্য, নিটাররা একটি নিটিং মেশিন ব্যবহার করে। এই মেশিনগুলিতে অনেকগুলো সুতা যুক্ত করা হয় যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লুপ তৈরি করে এবং তারপর সেই লুপগুলিকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করে। এরপর কাপড় বা ফেব্রিক্স তৈরি করা হয়। মেশিন দিয়ে নিটিং বিভিন্ন ধরণের কাপড় তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে টি-শার্ট, স্কার্ট, এবং প্যান্ট।

নিটিং এর ইতিহাস (History of Knitting)

নিটিং (Knitting) কোথায় এবং কখন উৎপত্তি হয়েছে তার ইতিহাস এখনও অস্পষ্ট। তবে ১৭৬৯ সালে প্রথম নিটিং মেশিন ব্যবহার করে কাপড় তৈরি করা হয়েছিল। ইউলিয়াম লি নামক ধর্ম ধর্মযাজক প্রথম হস্তচালিত নিটিং মেশিন আবিষ্কার করেন।  প্রবর্তীকালে ফ্রান্স ও আফ্রিকায় দুইটি পার্টস তৈরি করা হয়। পরে টর্নমাউন্টেড নামে জনৈক ইংরেজ অটোমেটিক নিটিং মেশিন (Automatic Knitting Machine) আবিষ্কার করেন। 
Knitting Machine
১৭৯৮ সালে ফ্রান্সে প্রথম সার্কুলার নিটিং মেশিন আবিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে লেচ নিডিল (Latch needle) আবিষ্কারের ফলে এর সাহায্যে প্রথম ফেন্সি ডিজাইন তৈরি করা হয়। ধীরে ধীরে এই মেশিনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের সার্কুলার নিটিং মেশিন আবিষ্কার এবং ব্যবহার শুরু হয়।
Circular Knitting Machine
বর্তমানে বহুলভাবে ব্যবহৃত আধুনিক মেশিনগুলোর মধ্যে নিম্ন লিখিত মেশিনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

১. সার্কুলার নিটিং মেশিন (Circular knitting machine)
২. ডালায় সিলিন্ডার নিটিং মেশিন (Dial cylinder knitting machine)
৩. সিংকার হুইল নিটিং মেশিন (Sinker wheel knitting machine)
৪. ডাবল সিলিন্ডার নিটিং মেশিন (Double cylinder knitting machine)
৫. ফুটওয়্যার নিটিং মেশিন (Foot wear knitting machine)

নিটিং একটি বহুমুখী এবং আকর্ষণীয় শিল্প যা বিভিন্ন ধরণের কাপড় তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। নিটিং একটি শিথিল এবং আনন্দদায়ক ক্রিয়াকলাপও বটে, যা লোকেদের তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে দেয়।


আজকের আর্টিকেলটি পড়লে যেই সকল বিষয় জানতে পারবেন-  নিটিং কি? নিটিং কাকে বলে? নিটিং এর ইতিহাস, নিটিং লুপ, সার্কুলার নিটিং, নিটিং এর ইতিহাস, সার্কুলার মেশিনের ইতিহাস ইত্যাদি।
বিঃদ্রঃ আমার দেওয়া কোন তথ্যে ভুলত্রুটি থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন😊
টেক্সটাইল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন

Friday, December 1, 2023

নগদ - নগদের ইতিহাস

নগদ - নগদের ইতিহাস

গত দশকে বাংলাদেশের ফাইনানসিয়াল সেক্টরে সব চেয়ে বেশি গ্রোথ দেখা সেক্টরটি হচ্ছে MFS বা মোবাইল ফাইনান্স সেক্টর। ২০১০-১১ সালে ট্রাস্ট ব্যাংক মোবাইল মানি, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং ও বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশে মোবাইল ফাইনাসিয়াল সার্ভিস শুরু হয়। 

নগদ

এর মধ্য গত দশকে বিকাশ দেশ ব্যাপী মার্কেটিং ক্যাম্পিং ও দেশব্যাপী বিশৃত এজেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে  সর্বচ্চ মার্কেট শেয়ার অর্জন করে নিয়ে এই সেক্টরটির শীর্ষ অবস্থান দখল করে নিয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের MFS সেক্টরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ন প্লেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ বাংলাদেশের পোস্ট অফিস এক্ট ২০১০ এর অধীনে। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ কার্যক্রম শুরু করে নগদ। কার্যক্রম শুরু করার ১ বছরের আগেই ২ কোটি মান্থলি একটিভ ইউজার এবং সাড়ে ৩ কোটি ইউজার নিয়ে ৩০% মার্কেট শেয়ার নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম MFS Provider এখন নগদ। 

নগদ হলো আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ। Nagad অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইন থেকে যে কোন পণ্য কিনতে এবং অনলাইন পেমেন্ট করা, সরকারি কর, এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক লেনদেন করতে সাহায্য করে। এবং এটা সম্পুর্ন হাতের মুঠোয়, একটি মোবাইল দিয়ে সহজেই নগদে লেনদেন করা যায়।

নগদের কথা যদি একটি ভেঙ্গে বলি নগদ বলতে নগদ অর্থকে বোঝায়, অর্থাৎ হ্যান্ড ক্যাশ, তবে হ্যান্ড ক্যাশে অনেক ঝামেলা আছে! যেমন চুরি হওয়ার বা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য, মোবাইল ব্যাংকিং একটি জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠছে। মোবাইল ব্যাংকিং হলো এমন একটি  Service যার মাধ্যমে গ্রাহক তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করতে পারে।

আর এর ধারাবাহিকতায় "নগদ" নামক একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে লঞ্চ করা হয় যা বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার।

নগদের ইতিহাস

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস খুব একটা পুরাতন কাহিনি না, এটা সম্পুর্ন নতুন একটি ইতিহাস। এটি প্রথম ২০০৩ সালে ফিলিপাইনে চালু হয়েছিল। এরপর থেকে, এটি বিশ্বের অনেক দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে, মোবাইল ব্যাংকিং ২০১০ সালে চালু হয়। বর্তমানে, বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি নগদ. অর্থ বা হ্যান্ড ক্যাশ ব অসুবিধাগুলি দূর করে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কিছু সুবিধা হলো:সহজে ব্যবহার করা যায়: মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা খুবই সহজ। এটি ব্যবহারের জন্য কোন বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ: মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনগুলি খুবই নিরাপদ। এগুলি উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।
সুবিধাজনক: মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনগুলি খুবই সুবিধাজনক। এগুলি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে করা যায়।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে মনে করা হয়। এটি নগদ ব্যবহারের প্রবণতাকে হ্রাস করতে পারে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে, এটি আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হয়।

মোবাইল ব্যাংকিং এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, বাংলাদেশের দরিদ্র এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সহজেই অর্থনৈতিক সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যও সহজ হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকদের কাছে সহজেই অর্থ প্রদান এবং গ্রহণ করতে পারছে। এটি ব্যবসায়ীদের ব্যয় কমাতে এবং তাদের কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে সহায়তা করছে।

নগদ এর ইতিহাস

নগদ হলো বাংলাদেশের ডাক বিভাগের একটি মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা। এটি ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে চালু হয়। নগদ এর প্রতিষ্ঠাতা হলো থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড।

নগদ এর ইতিহাস শুরু হয় ২০১২ সালে। তখন বাংলাদেশ ডাক বিভাগ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করার পরিকল্পনা নিচ্ছিল। ২০১৫ সালে, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেডকে নগদ সেবা চালু করার জন্য চুক্তি দেয়।

নগদ এর প্রথম নাম ছিল "পোস্টাল ক্যাশ কার্ড"। ২০১৭ সালে, নগদ এর নাম পরিবর্তন করে "নগদ" রাখা হয়।

নগদ দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০১৯ সালে, নগদ এর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ কোটির বেশি। ২০২৩ সালে, নগদ এর গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটির বেশি।

নগদ এর জনপ্রিয়তার কারণ হলো এর সহজ ব্যবহার, নিরাপত্তা এবং সুবিধাজনক ফি। নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে অর্থ লেনদেন করতে পারে।

নগদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। নগদ এর মাধ্যমে, বাংলাদেশের দরিদ্র এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সহজেই অর্থনৈতিক সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।

নগদ এর সুবিধা

নগদ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। নগদ এর কিছু সুবিধা হলো:সহজে ব্যবহার করা যায়: নগদ ব্যবহার করা খুবই সহজ। এটি ব্যবহারের জন্য কোন বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ: নগদ লেনদেনগুলি খুবই নিরাপদ। এগুলি উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।
সুবিধাজনক: নগদ লেনদেনগুলি খুবই সুবিধাজনক। এগুলি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে করা যায়।

নগদ এর সেবা

নগদ গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে। নগদ এর কিছু সেবা হলো:অর্থ স্থানান্তর: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা যেকোনো নগদ গ্রাহকের কাছে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে।
বিল পরিশোধ: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টেলিফোন, ইত্যাদি বিল পরিশোধ করতে পারে।

পণ্য এবং পরিষেবা কেনাকাটা: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা পণ্য এবং পরিষেবা কেনাকাটা করতে পারে।
অর্থ জমা এবং উত্তোলন: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা অর্থ জমা এবং উত্তোলন করতে পারে।

নগদ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

নগদ এর ভবিষ্যৎ

নগদ এর ভবিষ্যৎ উজ্বল বলে মনে করা হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে, নগদ এর ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হয়।

নগদ এর ভবিষ্যতে আরও বেশি নতুন সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও, নগদ এর আউটলেট এবং এজেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।

Sunday, October 1, 2023

ইয়ামাহার ইতিহাস  History of Yamaha

ইয়ামাহার ইতিহাস History of Yamaha

ইয়ামাহার ইতিহাস নিয়ে বলতে গেলে যেই ব্যাক্তির কথা প্রথমেই আসবে তিনি হচ্ছেন "Torakusu Yamaha" যিনি ছিলেন পেশায় একজন "ওয়াচ মেকার" ওয়াচ মেকার হিসেবে ব্যাবসায়ীক কর্মকান্ড শুরু করলেও এই ব্যবসায় তিনি সেভাবে সাফল্য লাভ করতে পারেনি। 

এরপর তিনি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট রিপেয়ারের কাজ করতে থাকেন। যার ফলে তাকে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছিল! এমনি একটি শহরে অবিস্থান কালীন সময়ে, সে সময়ের স্কুলের প্রিন্সিপাল ইয়ামাহাকে তাদের মিউজিক্যাল টিমের অর্গানটি ঠিক করতে দেন। 

অর্গানটি ঠিক করতে গিয়ে তিন। মিউজিক্যাল অর্গানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন, এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি নিজেই একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করে ফেলেন।

প্রোটোটাইপটি তৈরি হওয়ার পর ইয়ামাহা সেটি একটি মিজিক্যাল ইন্সটিটিউটে নিয়ে গেলে প্রোটোটাইপের টিউনিং ঠিক না থাকায় তাকে অনেক ক্রিটিসিসিজেমের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এত কিটিসি সিজমের পরেও দমে যাননি তোরা কুছু ইয়ামাহা। 

তারা চার মাস মিউজিক থিওরি ও টিউনিং নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার এক পর্যায় উপযুক্ত বাদ্যযন্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হন। 

সফলভাবে রিড অর্গানের উন্যত প্রোটোটাইপ উৎপাদনের সক্ষম হওয়ার পর তোরা কুছু ইয়ামাহা ১৮৮৯ সালে জাপানের Hamamatsu শহরে Japanese প্রথম ওয়েস্টার্ন মিজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি "Yamaha Organ Manufacturing Company" প্রতিষ্ঠা করে। 

ওয়েস্টার্ন মিউজিক কালচারের প্রতি জাপানিস সরকারের আগ্রহ জাপানের ইন্সট্রুমেন্ট এর প্রসারও বেশ উল্যেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলো। যার ফলশ্রুতিতে ফ্যাক্টরি চালু করার ২ বছরের মধ্যেই ফ্যাক্টরি কর্মি সংখ্যা দারায় ১০০ জন! আর সে সময় ইয়ামাহা বছরে ২৫০টি বাদ্য যন্ত্র ম্যানুফ্যাকচার করছিলো। অর্গান ম্যানুফ্যাকচারিং এর ব্যবসায় ইয়ামাহা বেশ ভালো করছিলো এবং তার ধারাবাহিকতায় অন্য ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর দিকে ফোকাস করছিল। 

১৮৯৭ সালে তিনি নতুন আরেকটি প্লান্ট ওপেন করে এবং সেখানে তার হেড কোয়াটার রি-লোকেট করে, এবং কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখেন, Nippon Gakki Company Ltd. 

১৯০০ সালে কোম্পানিটি প্রথম Apart Piano ম্যানুফ্যাকচার করে। যার ধারাবাহিকতায় ১৯০২ সালে কোম্পানিটি, Grand Piano ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করে। 

১৯০৩ সালে কোম্পানিটি ২৩ পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচারিং করেছিলো। পরবর্তী দশকগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ম্যানুফ্যাকচার করা পিয়ানো ও অর্গান গুলোর জন্য বেশ কিছু এওয়ার্ড জিতে নেয়! যার মধ্যে ১৯০৪ সালে St. Luies Word Acosition অন্যতম! 

এদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ব শুরু হলে জাপানে, জার্মান হার্মনিয়াম মেকারদের সেলস কমতে থাকে। যা ইয়ামাহা অপর্চুনুটি হিসেবে নেন এবং ধীরে ধীরে তার প্রোডাক্ট লাইন-আপ বাড়াতে থাকেন৷ 

১০১৪ সালে Nippon Gakki Harmonica প্রস্তুত করা শুরু করে। নতুন প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির এক্সিটিং প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে যে ধরনের রো ম্যাটারিয়ালস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং স্কিল প্রয়োজন পরে? সেরকমই নতুন লাইন-আপের ব্যবসা এক্সপেন্ড করা। 

যুদ্ধ চলা কালীন সময় হুট করে Yamaha মারা গেলে, ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব প্রাপ্ত হোন ভাইস প্রেসিডেন্ট Chiyomary Amano - President, Nippon Gakki. 

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ জাপানের ইন্ডাস্ট্রি গুলোকে গ্রো করতে বেশ সাহায্য করে। নিপ্পোম গাক্কিও অন্যদের মত বেশ গ্রো করছিলো। ইনফেক্ট ১৯২০ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটির ১০০০ জন কর্মী ছিলো। এবং প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১০,০০০ অর্গান ও ১২০০ পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচার করছিলো। 

এরপর ১৯২২ সালে অডিও ইকুইপমেন্ট সহ অন্যান্য মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট উতপাদনের দিকে মনোযোগ দিতে থাকেন, নিপ্পোন গাক্কি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট চিওমানারি আমানোর দায়িত্বের শেষ ৫ বছরে কোম্পানিটি প্রায় ব্যাংক ক্রাফট হতে বসেছিলো। 

এর কারণ হিসেবে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের মূল্য বৃদ্ধি একটি বড় কারণ ছিল! কেননা মুদ্রার ভ্যালু বেরে যাওয়ায় মার্কেটের অন্যান্য প্রোডাক্টের তুলনায় নিপ্পোন গাক্কির প্রোডাক্ট কম্পিটিটিভ প্রাইসিং করতে পারছিলনা।

এছাড়াও ১৯২২ সালে তাদের মুল প্লান্টের পাশাপাশি আরো একটি প্লান্ট আগুনে পুড়ে যায়। এতসব কিছুর মধ্যে কোম্পানি ভালোভাবে রিকোভার করার আগেই লেবার ইউনিয়নের স্ট্রাইকের কারণে প্রতিষ্ঠানটির রিজার্ভ কমতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য ডিরেক্টরদের অনুরোধে আরেকজন বীর্ড মেম্বার Kaichi Kawakami ১৯২৭ সালে, নিপ্পোন গাক্কির প্রেসিডেন্ট সিট গ্রহণ করে।

তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে রিমার্কেবল পরিবর্তন এনে মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির টোটাল ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করে ফেলতে সক্ষম হোন। তিনি মূলত প্রতিষ্ঠানটিকে ঠেলে সাজিয়ে ও প্রোডাকশন কোস্ট কমিয়ে আনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে ঘুরে দারাতে সাহায্য করেছেন। 

শুধুমাত্র দামের ক্ষেত্রেই নিজেদের কম্পিটিটিভ না রেখে কোয়ালিটিতে ডিফারেন্সিয়াল আনার জন্য ১৯৩০ সালে তিনি একুয়েস্টিভ ল্যাব ও রিসার্চ সেন্টার চালু করেন। 

এছাড়াও ১৯৩০ এর দশকে জাপানে পাবলিক স্কুল সিস্টেমের গ্রোথের সাথে সাথে ওয়েস্টার্ন মিউজিক্যার মার্কেটও এক্সপান্ড হচ্ছিলো। 

যার ফলে নিপ্পন গাক্কি সুলভ মুল্যের একোর্ডিয়ন্স ও গিটার উতপাদন শুরু করেছিল নতুন এই মার্কেটটি ধরার জন্য। 

এর মধ্যে ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিপ্পন গাক্কি তাদের প্লান্টগুলোতে ফাইটার প্লেনের জন্য প্রোভলার, ফুয়েল ট্যাংক আর উড়জাহাজের ইউং পার্টস উৎপাদন করতে বাধ্য হয়েছিলো। 

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার এইসব কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানটির ভবিশ্যত এক্সপানসেশনের গ্রাউন্ডার তৈরি করে দেয়। যদিও যুদ্ধে নিপ্পন গাক্কির কেবলনাত্র একটি ফ্যাক্টরি অখ্যত ছিলো। 

যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফাইনান্সিয়াল এসিস্ট্যান্টস পাওয়ার পর, ২ মাসের মধ্যেই হার্মোনিকা ও জাইলোফোন ম্যানুফ্যাকচার শুরু করে। ৬ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি আগের মত কার্যক্রম শুরু করতে থাকে। 

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি এর প্রথম অডিও কম্পোনেন্ট ফোনোগ্রাফ তৈরি করে! তবে ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর নিপ্পন গাক্কির র‍্যাপিড এক্সপেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি হেল্প করেছে? সেটি হলো ১৯৪৮ সালে জাপানে এডুকেশন মিনিস্ট্রি, মিউজিক এডুকেশন বাধ্যতামূলক করে দেয়।

ফলোশ্রুতিতে জাপানে মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টের চাহিদা বেড়ে যায় বেশ কয়েকগূন! 




Friday, July 7, 2023

What is Neuralink?

What is Neuralink?

Neuralink is a neurotechnology company founded by Elon Musk in 2016. It is developing implantable brain–computer interfaces (BCIs), which are devices that can record and stimulate neural activity in the brain. The company's goal is to develop BCIs that can be used to treat neurological disorders, such as paralysis and blindness, and to improve human cognitive abilities.

Neuralink's first prototype BCI, called the N1 Link, is a small, flexible device that is implanted in the brain using a minimally invasive surgical procedure. The N1 Link is composed of a thin film of electrodes that are threaded into the brain, a biocompatible enclosure that protects the electrodes, and a small battery that powers the device.

The N1 Link is designed to record neural activity from the brain and transmit that data to a computer or mobile device. This data could then be used to control devices, such as a wheelchair or a computer cursor, or to provide feedback on the user's thoughts and emotions.

Neuralink has not yet begun human trials of the N1 Link, but the company has tested the device on monkeys. In a 2020 presentation, Neuralink showed a video of a monkey playing a video game using only its thoughts. The monkey was able to control the game by moving its cursor with its mind, and it was able to play the game at a level that was comparable to a human player.

Neuralink is still in the early stages of development, but the company has the potential to revolutionize the way we interact with technology and with each other. If Neuralink's BCIs are successful, they could one day be used to treat a wide range of neurological disorders and to improve human cognitive abilities.

Here are some of the potential benefits of Neuralink's technology:

  • Treatment of neurological disorders: Neuralink's BCIs could be used to treat a variety of neurological disorders, such as paralysis, blindness, and Alzheimer's disease. By recording and stimulating neural activity, Neuralink's BCIs could help to restore lost function and improve quality of life for millions of people.
  • Improved cognitive abilities: Neuralink's BCIs could also be used to improve human cognitive abilities. For example, they could be used to help people learn new languages, improve their memory, or focus their attention.
  • Direct brain-to-brain communication: Neuralink's BCIs could also be used to enable direct brain-to-brain communication. This could allow people to share thoughts and ideas with each other in a way that is faster and more efficient than traditional communication methods.

Of course, there are also some potential risks associated with Neuralink's technology. These risks include:

  • Infection: Neuralink's BCIs are implanted in the brain, which is a sensitive organ. There is a risk that the surgical procedure could introduce infection into the brain.
  • Damage to neural tissue: Neuralink's BCIs use electrodes to record and stimulate neural activity. There is a risk that these electrodes could damage neural tissue.
  • Privacy concerns: Neuralink's BCIs could collect a lot of data about a person's brain activity. This data could be used to track a person's thoughts and emotions, which could raise privacy concerns.

Overall, Neuralink's technology has the potential to revolutionize the way we interact with technology and with each other. However, there are also some potential risks associated with this technology. It is important to weigh the potential benefits and risks before deciding whether or not to use Neuralink's technology.


Thursday, April 27, 2023

Nikola Tesla - Learn Nikola Tesla History

Nikola Tesla - Learn Nikola Tesla History

Nikola Tesla was a Serbian-American inventor, electrical engineer, mechanical engineer, and futurist best known for his contributions to the design of the modern alternating current (AC) electricity supply system.

Tesla was born and raised in the Austrian Empire, present-day Croatia. He received his degree in engineering from the Realschule Karlstadt in 1876. After working in telephony and at Continental Edison in the new electric power industry, Tesla emigrated to the United States in 1884. He was soon hired by Thomas Edison, but the two men parted ways after a dispute over pay.


In 1888, Tesla invented the alternating current (AC) induction motor. This invention revolutionized the electric power industry, as it made it possible to transmit electricity over long distances more efficiently than with direct current (DC). Tesla's AC system quickly became the standard for electric power generation and distribution.


Tesla also made significant contributions to the development of radio communication. In 1893, he gave a public demonstration of radio transmission, two years before Guglielmo Marconi. Tesla also developed the Tesla coil, a high-voltage transformer that is used in radio technology and other applications.


In addition to his work on electricity and radio, Tesla also made significant contributions to the fields of robotics, artificial intelligence, and wireless power transmission. He was a visionary who dreamed of a future where machines would do all the work and humans would be free to pursue their creative passions.


Tesla's work has had a profound impact on the world we live in today. His inventions have made it possible for us to enjoy modern conveniences like electricity, radio, and television. He was a true genius who helped to shape the modern world.


Here is a more detailed look at some of Tesla's most important inventions:


  • Alternating current (AC) induction motor: This invention revolutionized the electric power industry, as it made it possible to transmit electricity over long distances more efficiently than with direct current (DC). Tesla's AC system quickly became the standard for electric power generation and distribution.
  • Tesla coil: This high-voltage transformer is used in radio technology and other applications. Tesla also used the Tesla coil to conduct experiments with wireless power transmission.
  • Radio communication: In 1893, Tesla gave a public demonstration of radio transmission, two years before Guglielmo Marconi. Tesla also developed a number of other radio technologies, including the Tesla oscillator and the Tesla spark gap transmitter.
  • Robotics: Tesla was a visionary who dreamed of a future where machines would do all the work and humans would be free to pursue their creative passions. He made significant contributions to the field of robotics, developing a number of early robots that could perform simple tasks.
  • Artificial intelligence: Tesla also made significant contributions to the field of artificial intelligence, developing a number of early AI systems that could learn and adapt to their environment.
  • Wireless power transmission: Tesla was a pioneer in the field of wireless power transmission, developing a number of systems that could transmit power over long distances without the use of wires.


Tesla's work has had a profound impact on the world we live in today. His inventions have made it possible for us to enjoy modern conveniences like electricity, radio, and television. He was a true genius who helped to shape the modern world.


In addition to his work on technology, Tesla was also a visionary who dreamed of a better future for humanity. He believed that technology could be used to improve the lives of all people, and he worked tirelessly to develop new technologies that would benefit society. Tesla was also a strong advocate for peace and understanding, and he believed that technology could be used to bring people together.


Tesla's life and work are an inspiration to us all. He was a true genius who helped to shape the modern world, and he left us a legacy of hope for the future.

Tuesday, April 25, 2023

Paypal Mafia History

Paypal Mafia History

The PayPal Mafia is a group of former employees and founders of PayPal who have gone on to found or invest in other successful technology companies. The group is often credited with helping to shape the Silicon Valley tech scene in the early 2000s.


The PayPal Mafia was founded by Peter Thiel and Max Levchin, who met while attending Stanford University. The two men were frustrated with the lack of security and convenience of online payments at the time, and they decided to start their own company to solve the problem.

PayPal was founded in 1999, and it quickly became one of the most popular online payment processors in the world. The company was acquired by eBay in 2002 for $1.5 billion, and many of its employees and founders went on to found or invest in other successful tech companies.

Some of the most notable members of the PayPal Mafia include:

  • Elon Musk: Musk is the co-founder of Tesla, SpaceX, and Neuralink. He is also a venture capitalist and angel investor.
  • Reid Hoffman: Hoffman is the co-founder of LinkedIn, a social networking site for professionals. He is also a venture capitalist and angel investor.
  • David Sacks: Sacks is the co-founder of Yammer, a business social networking site. He is also a venture capitalist and angel investor.
  • Chad Hurley: Hurley is the co-founder of YouTube, a video-sharing website. He is also a venture capitalist and angel investor.
  • Steve Chen: Chen is the co-founder of YouTube, a video-sharing website. He is also a venture capitalist and angel investor.
  • Jawed Karim: Karim is the co-founder of YouTube, a video-sharing website. He is also a venture capitalist and angel investor.

The PayPal Mafia has been credited with helping to shape the Silicon Valley tech scene in the early 2000s. The group's success has inspired other entrepreneurs to start their own companies, and it has helped to create a culture of innovation in Silicon Valley.

The PayPal Mafia is a group of successful entrepreneurs who have made a significant impact on the tech industry. The group's story is one of innovation, risk-taking, and success. It is a story that continues to inspire entrepreneurs around the world.

In addition to the companies mentioned above, the PayPal Mafia has also been involved in the founding or investment of several other successful tech companies, including:

  • Affirm: Affirm is a financial technology company that provides point-of-sale installment loans to consumers.
  • Slide: Slide was a social networking app that was acquired by Google in 2014.
  • Kiva: Kiva is a non-profit organization that provides microloans to entrepreneurs in developing countries.
  • Palantir Technologies: Palantir is a data analytics company that provides software to governments and businesses.
  • SpaceX: SpaceX is a private space exploration company that is developing reusable rockets and spacecraft.

The PayPal Mafia is a group of talented and successful entrepreneurs who have made a significant impact on the tech industry. The group's story is one of innovation, risk-taking, and success. It is a story that continues to inspire entrepreneurs around the world.

Monday, April 24, 2023

Larry Page or Google History

Larry Page or Google History

Larry Page is an American computer scientist and Internet entrepreneur. He is best known as co-founder of Google with Sergey Brin.

Page was born in East Lansing, Michigan, on March 26, 1973. He attended East Lansing High School, where he was a National Merit Scholar and a member of the debate team. He received a bachelor's degree in computer engineering from the University of Michigan in 1995.

After graduating from the University of Michigan, Page went on to Stanford University, where he earned a master's degree in computer science in 1997. While at Stanford, Page and Brin developed a search algorithm that ranked websites based on their popularity. They called their algorithm "BackRub" and used it to create a new search engine called "Google."

Google was officially launched in 1998. The company quickly grew in popularity, and by 2004 it had become the most popular search engine in the world. In 2004, Page was named CEO of Google. He served in this role until 2015, when he stepped down to become CEO of Alphabet Inc., Google's parent company.

Page is a visionary leader who has helped to shape the future of the Internet. He is also a strong advocate for open source software and innovation. In 2011, he was named one of Time magazine's 100 most influential people in the world.

Here is a brief history of Google:

  • 1996: Larry Page and Sergey Brin develop the BackRub search algorithm while students at Stanford University.
  • 1998: Google is founded in Menlo Park, California.
  • 1999: Google launches its first advertising program, AdWords.
  • 2004: Google goes public.
  • 2005: Google acquires YouTube.
  • 2007: Google launches the Android mobile operating system.
  • 2010: Google launches the Chrome web browser.
  • 2012: Google acquires Motorola Mobility.
  • 2015: Google reorganizes its structure and creates Alphabet Inc. as its parent company.
  • 2016: Google launches the Pixel smartphone.
  • 2017: Google launches the Google Home smart speaker.
  • 2018: Google launches the Google Stadia cloud gaming service.
  • 2019: Google launches the Pixel 4 smartphone.

Google has had a major impact on the way we use the Internet. The company's search engine is the most popular in the world, and its other products and services, such as Gmail, Google Maps, and YouTube, are used by billions of people around the globe. Google is constantly innovating and expanding its offerings, and it remains one of the most influential companies in the world.

Monday, January 16, 2023

ইজিপ্ট Egypt কে কেন বাংলায় মিশর বলা হয়? ইজিপ্ট নাকি মিশর

ইজিপ্ট Egypt কে কেন বাংলায় মিশর বলা হয়? ইজিপ্ট নাকি মিশর

পৃথিবীর প্রায় সব দেশের নাম একটিই ব্যবহার হয়ে থাকলেও ভারত এবং মিশর সহ আরো কয়েকটি দেশ ব্যতিক্রম। আমরাই ভারত কে কখনো ভারত আবার কখনো ইন্ডিয়া বলি। মিশর কেও যখন বাংলায় বলি বা লিখি তখন ব্যবহার করি মিশর। আবার যখন ইংরেজি তে লিখি তখন লিখি ইজিপ্ট। কিন্তু আমাদের মনে কি কখনো প্রশ্ন এসেছে এসব দেশ গুলোর এরকম দুই নামের কারণটা কি। মিশর কে কেন Egypt বলা হয়?

মিশর নামকরণ

মিশর (M-i-s-r) ইতিহাস, রহস্য কালজয়ী ফারাও রাজাদের স্মৃতি নিয়ে সগৌরবে দাড়িয়ে থাকা একটি দেশ। শত শত বছরের এ ইতিহাস জুড়ে প্রচলিত ছিল ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম এবং ভিন্ন ভিন্ন নাম। বর্তমানে দেশটির প্রাতিষ্ঠানিক নাম জুনহুরিয়াহ মিশর আল অ্যারাবিয়া (Junhuriyah Misr Al-Arabiyah) বা আরব প্রজাতান্ত্রিক মিশর।

মিশর