Showing posts with label Health. Show all posts
Showing posts with label Health. Show all posts

Thursday, October 10, 2024

 মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম, সঠিক পণ্য ও ব্যবহারের কৌশল

মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম, সঠিক পণ্য ও ব্যবহারের কৌশল

মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল একটি সাধারণ সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, অসুস্থতা এবং জেনেটিক কারণগুলো এর জন্য দায়ী। এই দাগগুলি অনেক সময় আপনার সৌন্দর্যে প্রভাব ফেলে এবং আপনি অসুস্থ বা ক্লান্ত দেখাতে পারেন। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ বাজারে বেশ কিছু কার্যকর ক্রিম রয়েছে যা এই সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে।

মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম

১. কার্যকর উপাদান

কালো দাগ দূর করার জন্য ক্রিম নির্বাচন করার সময় কিছু বিশেষ উপাদান খোঁজ করা উচিত:

  • কফিন: এটি চোখের চারপাশের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
  • ভিটামিন ক: এই উপাদানটি ত্বকের টোন সমান করে এবং রক্তবহিকাগুলির দৃশ্যমানতা কমায়।
  • হায়ালুরোনিক অ্যাসিড: এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং নরম করে।
  • রেটিনল: ত্বকের ক্ষতি মেরামত করে এবং নতুন কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

২. জনপ্রিয় ক্রিমের উদাহরণ

বাজারে বেশ কিছু জনপ্রিয় ক্রিম পাওয়া যায় যা ডার্ক সার্কেল কমাতে কার্যকর:

  • Olay Eyes Brightening Cream: এই ক্রিমটি ভিটামিন ক ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ত্বককে উজ্জ্বল করে।
  • Neutrogena Rapid Dark Circle Repair Cream: এটি দ্রুত ফলাফল দেয় এবং চোখের নিচের দাগ কমাতে সহায়ক।
  • Kiehl's Creamy Eye Treatment: এটি গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ত্বককে মসৃণ রাখে।

৩. ব্যবহারের পদ্ধতি

কালো দাগ দূর করার জন্য ক্রিম ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি:

  • মুখ পরিষ্কার করুন: প্রথমে আপনার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন এবং টোনার ব্যবহার করুন।
  • আঙুলের ডগায় লাগান: চোখের নিচে খুব কম পরিমাণ ক্রিম আঙুলের ডগায় নিন।
  • আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন: ক্রিমটি চোখের নিচের ত্বকে আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন, যেন এটি সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয়।
  • রাতের বেলা ব্যবহার করুন: রাতে ব্যবহার করলে এর কার্যকারিতা বাড়ে।
আরো পড়ুন:

৪. পাশাপাশি যত্ন

কেবল ক্রিম ব্যবহার করলেই নয়, পাশাপাশি কিছু নিয়মিত যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ:

  • পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
  • প্রচুর পানি পান করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করুন।
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, কারণ সূর্যের UV রশ্মি ত্বকে ক্ষতি করতে পারে।

উপসংহার

মেয়েদের চোখের নিচের কালো দাগ একটি সাধারণ সমস্যা হলেও সঠিক পণ্য ও যত্নের মাধ্যমে এটি দূর করা সম্ভব। বাজারে বিভিন্ন ক্রিমের বিকল্প পাওয়া যায়, কিন্তু ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি ও নিয়মিত যত্ন নেওয়া নিশ্চিত করতে পারে ভালো ফলাফল। তাই, আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত পণ্যটি খুঁজে বের করুন এবং চোখের নিচের ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখুন!

Sunday, October 6, 2024

কিভাবে ২ দিনে ডার্ক সার্কেল দূর করবেন

কিভাবে ২ দিনে ডার্ক সার্কেল দূর করবেন

কিভাবে ২ দিনে ডার্ক সার্কেল দূর করবেন

দ্রুত ডার্ক সার্কেল দূর করার উপায়

ডার্ক সার্কেল, যা চোখের নিচে কালো দাগ হিসেবে পরিচিত, আমাদের সৌন্দর্য্য এবং আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। যদিও এটি সম্পূর্ণভাবে ২ দিনে দূর করা সম্ভব নয়, কিছু কার্যকরী উপায় অবলম্বন করে এটি হালকা করা যেতে পারে।

ঠান্ডা শসা

শসার ঠান্ডা স্লাইস ডার্ক সার্কেল দূর করার একটি অত্যন্ত কার্যকরী ঘরোয়া উপায়। শসা চামড়ায় প্রাকৃতিক আর্দ্রতা যোগায় এবং শীতল অনুভূতি প্রদান করে, যা চোখের নিচের ফোলাভাব এবং কালো দাগ কমাতে সহায়তা করে। শসার স্লাইস ১০-১৫ মিনিট ধরে চোখের উপরে রাখুন এবং এরপর ধুয়ে ফেলুন।

টি ব্যাগ (Tea Bags)

ঠান্ডা গ্রীন টি ব্যাগ ব্যবহার করলে চোখের নিচে কালো দাগ দ্রুত হালকা হয়। গ্রীন টি-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ট্যানিন চোখের ফোলাভাব কমাতে এবং ডার্ক সার্কেল হালকা করতে সহায়ক।

আলুর রস

আলুর রসও ডার্ক সার্কেল দূর করতে সহায়তা করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং চামড়ার রঙ উজ্জ্বল করে তোলে। এক টুকরো আলু গ্রেট করে এর রস বের করে তুলোর সাহায্যে চোখের নিচে লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

রোজ ওয়াটার

রোজ ওয়াটার ত্বককে সতেজ রাখে এবং চোখের নিচের কালো দাগ হালকা করে। তুলোতে রোজ ওয়াটার ভিজিয়ে চোখের উপরে ১০ মিনিট ধরে রাখুন। এটি প্রতিদিন করলে উপকার পাওয়া যাবে।

ডার্ক সার্কেল দূর করার ঘরোয়া ৬টি উপায়

ডার্ক সার্কেল দূর করার ঘরোয়া ৬টি উপায়

ডার্ক সার্কেল দূর করার ঘরোয়া ৬টি উপায়

ডার্ক সার্কেল দূর করার ঘরোয়া ৬টি উপায়

ডার্ক সার্কেল (Dark Circles) বা চোখের নিচে কালো দাগ অনেকের জন্যই একটি বিরক্তিকর সমস্যা। এটি অনেক সময় ক্লান্তি, ঘুমের অভাব, স্ট্রেস, বা বয়সের প্রভাবের কারণে হয়ে থাকে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে, যা ডার্ক সার্কেল দূর করতে সহায়ক হতে পারে। এই প্রবন্ধে, আমরা ডার্ক সার্কেল কমানোর কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।

১. ঠান্ডা চা ব্যাগ ব্যবহার

ঠান্ডা চা ব্যাগ ডার্ক সার্কেল দূর করতে একটি প্রাচীন এবং কার্যকরী উপায়। চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন রক্তনালীর সংকোচন ঘটিয়ে চোখের ফোলা এবং কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে।

ব্যবহার পদ্ধতি:

  • ২ টি টি-ব্যাগ (সবুজ বা কালো চা) ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
  • এগুলো ১৫-২০ মিনিট ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন।
  • চোখের উপরে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

২. শসার টুকরা

শসা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভালো প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বককে ঠান্ডা করে এবং চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে সহায়তা করে।

ব্যবহার পদ্ধতি:

  • শসা কেটে ফ্রিজে ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা করে নিন।
  • চোখের উপর শসার টুকরা ১০-১৫ মিনিট রাখুন।
  • শসার রস শুষে নেওয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

৩. আলুর রস

আলুর মধ্যে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান আছে, যা ত্বকের রং হালকা করতে সাহায্য করে। এটি ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য একটি ভালো ঘরোয়া উপায়।

ব্যবহার পদ্ধতি:

  • ১টি আলু কুরিয়ে রস বের করে নিন।
  • একটি তুলা নিয়ে আলুর রসে ডুবিয়ে চোখের নিচে লাগান।
  • ১০-১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. নারকেল তেল

নারকেল তেল ত্বককে আর্দ্র এবং নরম করে, যা ডার্ক সার্কেল কমাতে সহায়ক হতে পারে। এটি ত্বকের টান এবং ফোলা কমাতেও সাহায্য করে।

ব্যবহার পদ্ধতি:

  • রাতে ঘুমানোর আগে কিছুটা নারকেল তেল নিয়ে চোখের নিচে মালিশ করুন।
  • সারারাত রেখে সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫. গোলাপ জল

গোলাপ জল প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের জন্য খুবই আরামদায়ক। এটি চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ব্যবহার পদ্ধতি:

  • তুলায় গোলাপ জল লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট চোখের উপর রাখুন।
  • পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

৬. পর্যাপ্ত ঘুম এবং পানি পান

ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়ের পাশাপাশি, পর্যাপ্ত ঘুম এবং সঠিক হাইড্রেশনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো এবং পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক সুস্থ থাকে এবং ডার্ক সার্কেল কমে যায়।

উপসংহার

ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য এসব ঘরোয়া উপায় খুবই কার্যকরী হতে পারে। তবে, এগুলো প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় ত্বকের ধরনের উপর নির্ভর করে ফলাফল ভিন্ন হতে পারে। যদি ডার্ক সার্কেল দীর্ঘমেয়াদী হয় বা বাড়তি সমস্যা দেখা দেয়, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি? What is Genetic Engineering

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি? What is Genetic Engineering

আমরা জানি, প্রতিটি জীবদেহ অসংখ্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষ ক্রোমোজম 'নিউক্লিয়াস দিয়ে গঠিত। প্রত্যেকটি কোষের মাঝে থাকে ক্রোমোজোম (Chromosome), যেগুলো তৈরি হয় ডিএনএ (DNA: Deoxyribo Nucleic Acid) ডাবল হেলিক্স দিয়ে। এই ডিএনএ'র ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ সেই প্রাণীর জীবনের বৈশিষ্ট্যকে বহন করে এবং সেগুলো জিন (Gene) হিসেবে পরিচিত।

জিনোম কাকে বলে

একটি ক্রোমোজোমে অসংখ্য জিন থাকতে পারে, মানবদেহে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার জিন রয়েছে। এ ধরনের এক সেট জিনকে জিনোম বলা হয়।


জিনোম হলো জীবের বৈশিষ্ট্যের নকশা বা বিন্যাস। জিনোম সিকোয়েন্স দিয়ে বোঝায় কোষের সম্পূর্ণ ডিএনএ বিন্যাসের ক্রম; জিনোম যত দীর্ঘ হবে, তার ধারণ করা তথ্যও তত বেশি হবে। জিনোমের উপর নির্ভর করে ঐ প্রাণী বা উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য কীরূপ হবে। যেহেতু একটি জিন হচ্ছে একটি প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের বাহক, তাই কোনো প্রাণীর জিনোমের কোনো একটি জিনকে পরিবর্তন করে সেই প্রাণীর কোনো একটি বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা সম্ভব।

যেহেতু জিনগুলো আসলে ডিএনএ'র একটি অংশ, তাই একটা জিনকে পরিবর্তন করতে হলে ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ'র সেই অংশটুকু কেটে আলাদা করে অন্য কোনো প্রাণী বা ব্যাকটেরিয়া থেকে আরেকটি জিন কেটে এনে সেখানে লাগিয়ে দিতে হয়।

গবেষণার মাধ্যমে যখন একটি জিন পরিবর্তন করে সেখানে অন্য জিন লাগানো হয় তাকে বলা হয় রিকম্বিনেট ডিএনএ বা RDNA। এসব RDNA সমৃদ্ধ জীবকোষকে বলা হয় Genetically Modified ওরগানিস্ম(GMO)।

জিন জোড়া লাগানো বা রিকম্বিনেট ডিএনএ বা আরডিএনএ সত্যিকার অর্থে কী কাজে যথার্থভাবে ব্যবহার করা যায় সেটি বের করার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছেন। বস্তুত জীবপ্রযুক্তির এই অত্যাধুনিক শাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোনো জীবের নতুন ও কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐ জীবের জিন পৃথক করে অন্য জীবের জিনের সাথে সংযুক্ত করে নতুন জিন বা ডিএনএ তৈরি করা।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সংজ্ঞা

তাই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সংজ্ঞা হিসেবে আমরা বলতে পারি, জীবদেহে জিনোমকে প্রয়োজন অনুযায়ী সাজিয়ে কিংবা একাধিক জীবের জিনোমকে জোড়া লাগিয়ে নতুন জীবকোষ সৃষ্টির কৌশলই হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। উচ্চফলনশীল জাতের ধান ও অন্যান্য ফসল এবং প্রাণীর জিনের সাথে সাধারণ জিন জোড়া লাগিয়ে নতুন ধরনের আরো উচ্চফলনশীল বা হাইব্রিড জাতের শস্য, প্রাণী ও মৎস্য সম্পদ উৎপাদিত হয়েছে। এটিই সহজ ভাষায়, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা

বিশ্বের অনেক দেশেরই জনসংখ্যার তুলনায় খাদ্য ঘাটতি একটি সাধারণ সমস্যা, যার জন্য খাদ্য আমদানি করতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়। এই সমস্যা সমাধানে বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগ করে বহুগুণে খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এই বিষয়টি হাইব্রিড নামে বহুল পরিচিত। প্রাণীর আকার এবং মাংসবৃদ্ধি, দুধে আমিষের পরিমাণ বাড়ানো এইধরনের কাজ করেও খাদ্য সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

কৌশলগতভাবে পরিবর্তিত E.Coli ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্ট হতে মানবদেহের ইনসুলিন তৈরি, হরমোন বৃদ্ধি, এবং বামনত্ব, ভাইরাসজনিত রোগ, ক্যান্সার, এইডস ইত্যাদির চিকিৎসায় জিন প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে জিন স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য অল্প সময়ে সুচারুরূপে স্থানান্তর করা সম্ভব হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবক বা উদ্যোক্তাগণের নিকট প্রচলিত প্রজননের তুলনায় এ প্রযুক্তিটি অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।

আমাদের দেশেও এ প্রযুক্তির উপর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, আখ গবেষণা ইনস্টিটিউট ইত্যাদি বেশ কিছু সংস্থা কাজ করে অনেক উচ্চফলনশীল জাতের শস্যবীজ উৎপাদন করেছে। এসব বীজ ব্যবহার করে শস্যও কয়েকগুণ বেশি হারে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরই আমাদের দেশে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ ফলনশীল ব্রি (BRRI) জাতের বহু ভ্যারাইটির ধানের বীজ উদ্ভাবন করেছে। এই ইনিষ্টিটিউটে উদ্ভাবিত পার্পল কালার (বেগুনি রঙের)-এর উফশী ধান দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

সম্প্রতি পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করেও আমাদের দেশের সোনালি আঁশকে বিশ্বের দরবারে হারানো ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ভুট্টা, ধান, তুলা, টমেটো, পেঁপেসহ অসংখ্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো, আগাছা সহিষ্ণু করা, পোকামাকড় প্রতিরোধী করা এবং বিভিন্ন জাতের মৎস্য সম্পদ (বিশেষত মাগুর, কার্প, তেলাপিয়া ইত্যাদি) বৃদ্ধির জন্য জিন প্রকৌশলকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বহুমাত্রিক ব্যবহারের পাশাপাশি এর কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তার মাঝে উল্লেখযোগ্যগুলো হচ্ছ, জীববৈচিত্র্য হ্রাসের কারণে জীবজগতে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি, অনৈতিক বা অযাচিতভাবে জিনের স্থানান্তর, মানবদেহে প্রয়োগযোগ্য এন্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস ও অ্যালার্জির উদ্ভব কিংবা ভয়াবহ ও জীববিধ্বংসী প্রজাতি বা ভাইরাস উদ্ভবের আশঙ্কা ইত্যাদি।

Friday, December 29, 2023

ক্রায়োসার্জারি কি? What is Cryosurgery

ক্রায়োসার্জারি কি? What is Cryosurgery

ক্রায়োসার্জারি একধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ক্রায়োসার্জারিতে চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ হয়ে থাকে।

এ পদ্ধতির চিকিৎসায় প্রথমেই সিম্যুলেটেড সফটওয়্যার দ্বারা ক্যান্সার ইত্যাদিতে আক্রান্ত কোষগুলোর অবস্থান ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত কোষটিতে আইসিটি যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রিত মাইক্রো-ক্যামেরাযুক্ত নল দিয়ে ক্ষতস্থান শনাক্ত করা হয় এবং অত্যন্ত সূক্ষ্ম সুচযুক্ত ক্রায়োপ্রোব প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজনিক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়।

তাপমাত্রা অত্যধিক হ্রাস পেয়ে -41 থেকে -196 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে আসার কারণে নির্বাচিত টিস্যুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঐ নিম্নতম তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সম্ভব না হওয়ার দরুন রোগাক্রান্ত টিউমার টিস্যুর ক্ষতিসাধন হয়। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় টিউমারের ধরন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট শীতলতায় পৌঁছানোর জন্য তরল নাইট্রোজেন, আর্গন, অক্সিজেন বা কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। এই তরল গ্যাসগুলো ক্রায়োজনিক এজেন্ট নামে পরিচিত।

ক্রায়োসার্জারিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা অনেক বেশি, যেমন আক্রান্ত কোষ বা টিস্যুর অবস্থান নির্ণয়ে এবং সমস্ত কার্যাবলী পর্যবেক্ষণের কাজে সারাক্ষণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয়। সেজন্য ক্রায়োসার্জারিতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অভিজ্ঞ করে তুলতে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হয়।

রোগীর তথ্য, চিকিৎসার গবেষণার ফলাফল ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য কম্পিউটার ডেটাবেজ সিস্টেম প্রয়োজন হয়। 

ক্রায়োসার্জারির অনেক সুবিধা রয়েছে। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ক্যান্সার ও নিউরোসার্জারি চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি অনেক সাশ্রয়ী এবং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় কম লাগে। এ পদ্ধতিতে কোনো জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, ব্যথা, রক্তপাত অথবা অপারেশনজনিত কাটা-ছেঁড়ার কোনো জটিলতা নেই।

রোগীকে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয় না এবং অনেকক্ষেত্রে সার্জারি শেষে রোগীকে হাসপাতালেও থাকতে হয় না। তবে আক্রান্ত কোষের সঠিক অবস্থান নির্ণয়ে ব্যর্থ হলে ক্রায়োসার্জারি ব্যবহারে জীবাণু শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে লিভার ও ফুসফুসের স্বাভাবিক গঠন বিনষ্ট কিংবা স্নায়বিক সমস্যার উদ্ভব হতে পারে।