Showing posts with label Digital Bangladesh. Show all posts
Showing posts with label Digital Bangladesh. Show all posts

Friday, December 15, 2023

সাইবার সিকিউরিটি কি | ডিজিটাল প্রযুক্তির রক্ষণায়ন

সাইবার সিকিউরিটি কি | ডিজিটাল প্রযুক্তির রক্ষণায়ন

সাইবার সিকিউরিটি কি? সাইবার সিকিউরিটি কেন প্রয়োজন?  সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল! সাইবার সিকিউরিটি 

সাইবার সিকিউরিটি

সাইবার সিকিউরিটি বা সাইবার নিরাপত্তা হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় তথ্যের রক্ষণায়ন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া। সাইবার সিকিউরিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা নেটওয়ার্ক, কম্পিউটার, মোবাইল ডিভাইস, ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, ইন্টারনেট ব্যবহার, আরও অনেক কাজে প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রযুক্ত। অর্থাৎ এইসকল সিস্টেমে নিরাপত্তা দেওয়াই সাইবার সিকিউরিটি।
সাইবার সিকিউরিটি কি

কেন গুরুত্বপূর্ণ?

1. সাইবার আক্রমণ ও সাংবাদিকতা

আধুনিক সমাজে তথ্য প্রযুক্তির অভাবে দেশের অর্থনীতি, সংবাদ, ও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তার জন্য সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে সংবাদপত্র, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিতর্ক, আরও অনেক ক্ষেত্রে মার্জিত সংবাদ প্রকাশে হুরুত হয়ে থাকে।

2. ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিরাপত্তা

ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির জন্য তথ্য বা ডেটা একটি অমূল্যবান সম্পদ। এই তথ্যগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, প্রতিষ্ঠানের রহস্যমূল্য তথ্য, বা পরিচিতির সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা সাইবার সিকিউরিটির মাধ্যমে নিরাপদ রাখা হয়।

মৌলিক মাধ্যম

1. করণীয়

সাইবার সিকিউরিটির সুরক্ষার জন্য তথ্যের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীদের কাছে জেনো সরাসরি ডেটার এক্সেস না থাকে বা নির্দিষ্ট ব্যাক্তির তথ্য অন্য কেউ না দেখে এরকম ভাবে ইউজার এক্সপিরিয়েন্স তৈরি করতে হবে।

2. প্রযুক্তি

এনক্রিপশন, ফায়ারওয়াল, অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার, মালওয়্যার স্ক্যানার, এবং আধুনিক সিকিউরিটি সফটওয়্যার দ্বারা সাইবার আক্রমণের প্রতি সুরক্ষা প্রদান করা হয়।

শেষ কথা

সাইবার সিকিউরিটি বদলানো প্রযুক্তি এবং আমাদের ডিজিটাল জীবনের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এটি নিজস্ব জীবনের সাথে সাথে ব্যক্তিগত, প্রতিষ্ঠানিক, ও সামাজিক দিকে আমাদের সম্প্রদায় ও অর্থনীতিক উন্নতির সাথে সংযোজিত। আমাদের এই ডিজিটাল পথে প্রগতির হারানো চেষ্টা করতে হবে না, বরং এটির সাথে সাথে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য সঠিক পথে চলতে হবে।

আরো পড়ুন

সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

সার্চ কোয়েরিঃ সাইবার সিকিউরিটি কি? সাইবার সিকিউরিটি কি, সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার সিকিউরিটি,সাইবার সিকিউরিটি কি,সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট এর ফিউচার কি?,সাইবার সিকিউরিটি কোর্স,সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট কি,সাইবার সিকিউরিটি টিম,সাইবার সিকিউরিটি ক্যারিয়ার,সাইবার সিকিউরিটি,সাইবার সিকিউরিটি প্রফেশনাল,সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট,সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে সচেতনতা,সাইবার ৭১,সাইবার সিকিউরিটিতে বাংলাদেশ,ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার সিকিউরিটি কোর্স,কিভাবে সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট হওয়া যায়,সাইবার এটাক কি

Friday, December 1, 2023

নগদ - নগদের ইতিহাস

নগদ - নগদের ইতিহাস

গত দশকে বাংলাদেশের ফাইনানসিয়াল সেক্টরে সব চেয়ে বেশি গ্রোথ দেখা সেক্টরটি হচ্ছে MFS বা মোবাইল ফাইনান্স সেক্টর। ২০১০-১১ সালে ট্রাস্ট ব্যাংক মোবাইল মানি, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং ও বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশে মোবাইল ফাইনাসিয়াল সার্ভিস শুরু হয়। 

নগদ

এর মধ্য গত দশকে বিকাশ দেশ ব্যাপী মার্কেটিং ক্যাম্পিং ও দেশব্যাপী বিশৃত এজেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে  সর্বচ্চ মার্কেট শেয়ার অর্জন করে নিয়ে এই সেক্টরটির শীর্ষ অবস্থান দখল করে নিয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের MFS সেক্টরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ন প্লেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ বাংলাদেশের পোস্ট অফিস এক্ট ২০১০ এর অধীনে। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ কার্যক্রম শুরু করে নগদ। কার্যক্রম শুরু করার ১ বছরের আগেই ২ কোটি মান্থলি একটিভ ইউজার এবং সাড়ে ৩ কোটি ইউজার নিয়ে ৩০% মার্কেট শেয়ার নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম MFS Provider এখন নগদ। 

নগদ হলো আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ। Nagad অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইন থেকে যে কোন পণ্য কিনতে এবং অনলাইন পেমেন্ট করা, সরকারি কর, এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক লেনদেন করতে সাহায্য করে। এবং এটা সম্পুর্ন হাতের মুঠোয়, একটি মোবাইল দিয়ে সহজেই নগদে লেনদেন করা যায়।

নগদের কথা যদি একটি ভেঙ্গে বলি নগদ বলতে নগদ অর্থকে বোঝায়, অর্থাৎ হ্যান্ড ক্যাশ, তবে হ্যান্ড ক্যাশে অনেক ঝামেলা আছে! যেমন চুরি হওয়ার বা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য, মোবাইল ব্যাংকিং একটি জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠছে। মোবাইল ব্যাংকিং হলো এমন একটি  Service যার মাধ্যমে গ্রাহক তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করতে পারে।

আর এর ধারাবাহিকতায় "নগদ" নামক একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে লঞ্চ করা হয় যা বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার।

নগদের ইতিহাস

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস খুব একটা পুরাতন কাহিনি না, এটা সম্পুর্ন নতুন একটি ইতিহাস। এটি প্রথম ২০০৩ সালে ফিলিপাইনে চালু হয়েছিল। এরপর থেকে, এটি বিশ্বের অনেক দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে, মোবাইল ব্যাংকিং ২০১০ সালে চালু হয়। বর্তমানে, বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি নগদ. অর্থ বা হ্যান্ড ক্যাশ ব অসুবিধাগুলি দূর করে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কিছু সুবিধা হলো:সহজে ব্যবহার করা যায়: মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা খুবই সহজ। এটি ব্যবহারের জন্য কোন বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ: মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনগুলি খুবই নিরাপদ। এগুলি উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।
সুবিধাজনক: মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনগুলি খুবই সুবিধাজনক। এগুলি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে করা যায়।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে মনে করা হয়। এটি নগদ ব্যবহারের প্রবণতাকে হ্রাস করতে পারে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে, এটি আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হয়।

মোবাইল ব্যাংকিং এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, বাংলাদেশের দরিদ্র এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সহজেই অর্থনৈতিক সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যও সহজ হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকদের কাছে সহজেই অর্থ প্রদান এবং গ্রহণ করতে পারছে। এটি ব্যবসায়ীদের ব্যয় কমাতে এবং তাদের কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে সহায়তা করছে।

নগদ এর ইতিহাস

নগদ হলো বাংলাদেশের ডাক বিভাগের একটি মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা। এটি ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে চালু হয়। নগদ এর প্রতিষ্ঠাতা হলো থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড।

নগদ এর ইতিহাস শুরু হয় ২০১২ সালে। তখন বাংলাদেশ ডাক বিভাগ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করার পরিকল্পনা নিচ্ছিল। ২০১৫ সালে, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেডকে নগদ সেবা চালু করার জন্য চুক্তি দেয়।

নগদ এর প্রথম নাম ছিল "পোস্টাল ক্যাশ কার্ড"। ২০১৭ সালে, নগদ এর নাম পরিবর্তন করে "নগদ" রাখা হয়।

নগদ দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০১৯ সালে, নগদ এর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ কোটির বেশি। ২০২৩ সালে, নগদ এর গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটির বেশি।

নগদ এর জনপ্রিয়তার কারণ হলো এর সহজ ব্যবহার, নিরাপত্তা এবং সুবিধাজনক ফি। নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে অর্থ লেনদেন করতে পারে।

নগদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। নগদ এর মাধ্যমে, বাংলাদেশের দরিদ্র এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সহজেই অর্থনৈতিক সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।

নগদ এর সুবিধা

নগদ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। নগদ এর কিছু সুবিধা হলো:সহজে ব্যবহার করা যায়: নগদ ব্যবহার করা খুবই সহজ। এটি ব্যবহারের জন্য কোন বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ: নগদ লেনদেনগুলি খুবই নিরাপদ। এগুলি উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।
সুবিধাজনক: নগদ লেনদেনগুলি খুবই সুবিধাজনক। এগুলি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে করা যায়।

নগদ এর সেবা

নগদ গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে। নগদ এর কিছু সেবা হলো:অর্থ স্থানান্তর: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা যেকোনো নগদ গ্রাহকের কাছে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে।
বিল পরিশোধ: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টেলিফোন, ইত্যাদি বিল পরিশোধ করতে পারে।

পণ্য এবং পরিষেবা কেনাকাটা: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা পণ্য এবং পরিষেবা কেনাকাটা করতে পারে।
অর্থ জমা এবং উত্তোলন: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা অর্থ জমা এবং উত্তোলন করতে পারে।

নগদ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

নগদ এর ভবিষ্যৎ

নগদ এর ভবিষ্যৎ উজ্বল বলে মনে করা হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে, নগদ এর ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হয়।

নগদ এর ভবিষ্যতে আরও বেশি নতুন সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও, নগদ এর আউটলেট এবং এজেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।

Thursday, November 9, 2023

এন আই ডি কার্ড, What is NID Card

এন আই ডি কার্ড, What is NID Card

এন আই ডি কার্ড হল বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক পরিচয়পত্র (National ID Card), যা ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সরকারি ভাবে আপনার এই NID তৈরি করতে হয়। NID এর ফুল মিনিং হচ্ছে National ID Card যাকে শর্টকার্টে NID কার্ড বলা হয়ে থাকে। NID Card তৈরি ও সরবরাহ করাসহ এর নানান তথ্য হালনাগাদ করে থাকতো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, তবে ১২ জুন ২০২৩ এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নথিভুক্ত করণ ও আইডি কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

English Queries:
nid, nid bd, nid service, nid card download, nid card, nid card chek, nid service bangladesh, nid download

এন আই ডি কার্ডের মূল উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশী নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত করা। এবং এই কার্ড সরাসরি গভার্নমেন্টের প্রত্যেকটা কাজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তাছাড়া, ভোটার তালিকা তৈরি, সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণ, ব্যাংকিং লেনদেন, বিদেশে ভ্রমণ ইত্যাদির সকল কাজেই এই কার্ড প্রয়োজন বা এই কার্ড থেকেই সরাসরি তথ্য নিয়ে থাকে। ১৮ বছরের নিচে বয়স হলে এই কাজগুলো জন্মনিবন্ধনের কাগজ বা স্কুল সার্টিফিকেট দিয়ে করা হয়।

NID Card

এন আই ডি কার্ডের আকার ৮৫ মিমি x ৫৪ মিমি 

এন আই ডি কার্ডে নিম্নলিখিত তথ্যগুলো থাকেঃ

  • নাগরিকের নাম
  • জন্ম তারিখ
  • লিঙ্গ
  • পিতা ও মাতার নাম
  • স্বামী/স্ত্রীর নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ঠিকানা
  • ছবি
  • স্বাক্ষর
  • আইডি নম্বর
এন আই ডি কার্ডের মেয়াদ ১০ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হতো। তবে বর্তমামে স্মার্টকার্ড আসার পর তা আজীবন করা হয়েছে। 

Nid Card Download

এন আই ডি কার্ডের জন্য আবেদন করার জন্য নিচে দেওয়া কাগজপত্র প্রয়োজন:
  • জন্ম সনদ
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ছবি
  • স্বাক্ষর
এন আই ডি কার্ডের আবেদনপত্র বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। আবেদনপত্র পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। তবে বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দায়িত্ব চলে যাওয়াই নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছিনা কোন ওয়েবসাইট থেকে এক্সেস পাবেন। আপনি গুগল সার্চ করতে পারেন "Nid Registration Online" তাহলে আশা করি পাবেন। 

এন আই ডি কার্ড


এন আই ডি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটা আপনার পরিচয় নির্দিষ্ট করে। তাই এটা প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিকের কাছে থাকা উচিত।


Sunday, October 29, 2023

ক্যাশলেস বাংলাদেশ - নগদবিহীন অর্থ লেনদেন

ক্যাশলেস বাংলাদেশ - নগদবিহীন অর্থ লেনদেন

২০২৭ সালের মধ্যে দেশের ৭৫% আর্থিক লেনদেন কাগজের টাকার পরিবর্তে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেয় সরকার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ার কথা বলা হয়। ২জুন ২০২৩ তার বাস্তবায়ন কীভাবে হবে সেই ধারণা দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার

২০২৭ সালের মধ্যে দেশের ৭৫% আর্থিক লেনদএন কাগজের টাকার পরিবর্তে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সেই লক্ষ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে চারটি জেলায় পাইলট কর্মসূচি চলছে। সম্প্রতি Interoperable Digital Transaction Platform (IDTP) উদ্ভোধন করা হয়েছে। যার ফলে একটা মাত্র মেশিনে যেকোনো পেমেন্ট কোম্পানি থেকে একটা কোড দিয়ে টাকা নেওয়ে যায়। তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংল্কের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড প্রণয়নের উদ্যোগের কথা জানান গভর্নর।

বর্তমানে ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ডের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের ব্যাংকগুলোতে অভ্যান্তরীণ ও আন্তরজাতিক পর্যায়ে লেনদেন করতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সেবা দিচ্ছে।

ক্যাশলেস মানে কি?

ক্যাশলেস নামক বিপ্লবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বর্তমান চিত্র দেখলে আমরা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল বিশ্ব থেকে অনেক পিছিয়ে। মার্কেট মার্চেন্টের বিশ্লেষণকৃত তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৫৪টি দেশ সম্পূর্ণ ক্যাশলেস হওয়ার পক্ষে আছে আর ৩২টি দেশ এখনো নগদ অর্থের মাধ্যমে বিনিময় করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সবচেয়ে বেশি ক্যাশলেস লেনদেন করা দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে অনেক আগে থেকেই। 

ক্যাশলেস বলতে কি বোজায়? আসলে ক্যাশলেস বলতে বোঝায় নগদ অর্থবিহীন লেনদেন। যেমন টাকা ফিজিক্যালি স্পর্শ ছাড়াই লেনদেন। যেখানে ক্যাশ বা নগদ অর্থ ব্যবহার ছাড়াই লেনদেন করা হয়। নগদবিহীন লেনদেনের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডেড, বিট কার্ড, MFS পেমেন্ট যেমন- বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ইত্যাদি ডিজিটাল ওয়ালেট এবং অন্য যেকোনো মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করাকে ক্যাশলেস বা নগদবিহীন বলে।
Cashless Mobile Payment

ক্যাশলেস সোসাইটি বা বাংলাদেশকে ক্যাশলেস লেনদেরনের দিকে এগিয়ে নিতে ইতি মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ৫২টি আবেদন থেকে দুটিকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

লাইসেন্স পাওয়া ডিজিটাল ব্যাংক দুটি হচ্ছে- নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি এবং এসিআই-এর কড়ি ডিজিটাল পিএলসি।

ডিজিটাল ব্যাংক

১ জুন ২০২৩ অর্থমন্ত্রী আহম্মেদ মুস্তফা কামাল, জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তিতায় ডিজিটাল ব্যাংকিং চালুর ঘোষণা দেন। এরপর ২৪ জুন ২০২৩ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ দেশে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের নীতিমালা অনুমোদন করে।

১. পরিচালনা পদ্ধতি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রধান কার্যালয় থাকবে। তবে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন। অর্থাৎ এই ব্যাংক কোনো ওভার দ্যা কাউন্টার (OTC) সেবে দেবে না। এর নিজস্ব কোন শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম অথবা সিআরএমও থাকবেনা। সব সেবাই হবে অ্যাপ-নির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে। দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই সেবা মিলবে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোন উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পন্য দিতে পারবে। 

লেনদেনের জন্য কোন প্রকার প্লাস্টিক কার্ড দিতে পারবেনা। ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ঋণপত্র LC খুলতে পারবেনা। বড় এবং মাঝারি শিল্পেও কোনো ঋণ দিতে পারবে না। শু ছোট ঋণ দিতে পারবে। 

ডিজিটাল ব্যাংক স্তাপনের শর্ত

ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের অন্য নূন্যতম মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা। ডিজিটাল ব্যাংকের প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা মূলধন দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক লাইসেন্স দেওয়ার ৫ বছরের মধ্যে এই ব্যাংককে দেশের পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব IPO ছাড়তে হবে। ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার CEO ব্যাংকিং পেশায় কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

Friday, October 6, 2023

বাংলাদেশে বিদ্যমান কর্মক্ষেত্র সমূহ

বাংলাদেশে বিদ্যমান কর্মক্ষেত্র সমূহ

সময় গতিশীল। সময়ের এই গতিময়তার সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় সমাজ, পরিবর্তিত হয় আমাদের চারপাশ, কাজের পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট। আমাদের দেশের কর্মক্ষেত্রেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। আজ থেকে চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগেও আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের পেশা ছিল কৃষিকাজ কিংবা কৃষিভিত্তিক শিল্পে শ্রম দেওয়া।

{getToc} $title={Table of Contents}

আজ বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপক বৈচিত্র্য। আজকের দিনে আমাদের দেশে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কী কী ধরনের কাজের সুযোগ আছে, কোন কোন পেশা গ্রহণ করা সম্ভব তা আজকের আর্টিকেলে জানাবো। পাশাপাশি, আমাদের জন্য ভবিষ্যতে কী ধরনের কাজের সুযোগ তৈরি হতে পারে, সে বিষয়েও জানার চেষ্টা করব। কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে গভীরভাবে জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তবেই আমরা স্বপ্ন ও আগ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পেশা গ্রহণ করতে পারব।

আর্টিকেলের সূচিপত্রঃ চাকরি



Thursday, August 31, 2023

কিভাবে ট্রেনের পুরো একটি কোচ রিজার্ভ করবেন?

কিভাবে ট্রেনের পুরো একটি কোচ রিজার্ভ করবেন?

বছরের প্রায় শেষের দিকে শুরু হয় পিকনিক ও বিয়ের সিজন। আমাদের অনেকেরই তখন মনে হয়-পুরো কোচটি রিজার্ভ করতে পারলে ভালো হতো। রেলওয়ে কিন্তু সেই সুযোগ রেখেছে! তবে তার জন্য আপনাকে অফিশিয়ালি এগোতে হবে এবং অবশ্যই মাসখানেক সময় হাতে রেখে।

প্রথমে, পারিবারিক ভ্রমণ বা অফিশিয়াল ভ্রমণ সেটি জানিয়ে একটি দরখাস্ত প্রস্তুত করুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের প্যাডে হতে হবে সেটি। তাতে উল্লেখ থাকতে হবে যে বিষয়গুলোঃ- ট্রেনের নাম ও নম্বর, কবে, কোন শ্রেণির কতটি টিকেট। যিনি টিকেটগুলো কালেক্ট করবেন তার পরিচয় ও মোবাইল নম্বর অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে তাতে। খুবই সিম্পল একটি এপ্লিকেশন যথেষ্ট। তারপরেও যাদের প্রয়োজন হতে পারে তাদের জন্য আমার এই কপিটি সংযুক্ত করে দিলাম, কিছুটা ঢেকেঢুকে। 

এবার কমপক্ষে ১৫-২০ দিন আগে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে। আপনি যদি ঢাকায় থাকেন, তাহলে রেলভবনে দরখাস্তটি জমা দিবেন “এডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল/অপারেশন” বরাবরে। তিনি এটি ফরোয়ার্ড করবেন চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার/পূর্ব অথবা পশ্চিম বরাবরে। তবে আপনি যদি চট্টগ্রাম বা রাজশাহীতে থাকেন, তবে সরাসরি এড্রেস করে জমা দিতে পারবেন সিসিএম/পূর্ব অথবা পশ্চিম অফিসে যথাক্রমে।

আপনি যেখানেই এপ্লিকেশনটি জমা দিন না কেন, এবার বলে দেয়া তারিখ মোতাবেক আপনাকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। কারন এবার আপনার জন্য একটি অনুমতিপত্র ইস্যু করা হবে সিসিএম সাহেবের অফিস থেকে এবং আপনাকে সেটি কালেক্ট করতে হবে। সাধারনত সেটির একটি কপি আপনাকে এবং আরেকটি কপি স্টেশন ম্যানেজার বা স্টেশন সুপারিনটেন্ডেন্টদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সাধারনতঃ কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়, তবে আপনার অনুরোধে হাতে হাতেও সেটি পাবার সুযোগ রয়েছে। 

নির্ধারিত তারিখে সেটি কালেক্ট করে নিয়ে এবার চলে যাবেন রেলস্টেশনে স্টেশন ম্যানেজার/সুপারিনটেন্ডেন্টের কাছে। তার নির্দেশনা আপনাকে অনুসরন করতে হবে। খেয়াল রাখবেন, যিনি টিকেট কালেক্ট করবেন মর্মে এপ্লিকেশনে নাম্বার দিয়েছিলেন, তিনিই যেন উপস্থিত থাকেন তখন। তো আপনি নির্ধারিত দিন ও সময়ে তার নির্দেশিত কাউন্টারে পুরো টাকা জমা দিয়ে আপনার জন্য বরাদ্দকৃত আসনগুলোর বিপরীতে টিকেট সংগ্রহ করবেন।

অন্যান্য দিন আপনি চাহিদার সব কয়টি টিকেটই পাবেন আশা করা যায়, তবে বৃহস্পতিবার ও রবিবার এবং এরকম ছুটির পাল্লা থাকলে রাতের ট্রেনে আপনার ডিমান্ডের সকল টিকেট নাও দেয়া হতে পারে। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছিল তা হলো আমি এসি কেবিন কোচ চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে দেয়া হয়েছিল ননএসি কেবিন কোচ। আমি আবারও বলছি  আপনার ক্ষেত্রে সেরকম নাও হতে পারে, এবং এসব ক্ষেত্রে রেলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। 

সবশেষ অনুরোধ থাকবে, সদলবলে ভ্রমণ করলে দয়া করে কোচের চেয়ার-টেবিলের কোন রকম ক্ষতি করবেন না। কোনো রকম উছশৃঙ্খলতা করে সহযাত্রীদের বিড়ম্বনা তৈরী করবেন না। এটেনডেন্টকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন। রাতের ট্রেনের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন। 

ধন্যবাদ। নিরাপদ ও আনন্দময় ভ্রমণের জন্য রেলের থেকে বেস্ট আর কিছু হতে পারে না।

Tuesday, August 29, 2023

পাসপোর্ট করার উপায় : কোথায় করবেন, কি লাগবে? পাসপোর্ট করার নিয়ম

পাসপোর্ট করার উপায় : কোথায় করবেন, কি লাগবে? পাসপোর্ট করার নিয়ম

বিদেশ ভ্রমণে প্রথমে যে জিনিসটা প্রয়োজন তা হল “পাসপোর্ট”। এই পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া অনেকের কাছে বেশ জটিল মনে হলেও আসলে এত জটিল কিছু নয়। দেশে ই-পাসপোর্ট চালুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। তাই প্রচলিত এমআরপি MRP (Machine Readable Passport) পাসপোর্টই সবার জন্য প্রযোজ্য। আর আজকের এই আর্টিকেল তাদের জন্য যারা প্রথম পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন।


পাসপোর্ট করার ধাপসমূহঃ পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ আছে যা ক্রমান্বয়ে নিচে দেওয়া হল-  

পাসপোর্ট করার নিয়ম

১) পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

২) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা

৩) পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ

৪) পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা

৫) আবেদন ফর্ম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া

৬) পাসপোর্ট টোকেন সংগ্রহ ও পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা

৭) পুলিশ ভেরিফিকেশন

৮) পাসপোর্ট সংগ্রহ করা

১. পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

পাসপোর্টের প্রথম কাজ শুরু হয় পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে। পাসপোর্টের ফি দুই ভাবে জমা দেওয়া যায়। আপনি যদি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে ফি জমা দিতে হবে ব্যাংকে। যদি আপনি সরাসরি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে অনলাইনে আবেদন পক্রিয়া শেষে সেখান থেকেই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার অপশন আছে। পাসপোর্ট ফি বা খরচ কত তা নির্ভর করে কতদিনের ভিতর আপনি পাসপোর্ট পেতে চান তার উপর। MRP পাসপোর্ট পাওয়ার জন্যে দুই ধরণের সুযোগ আছে। একটা হচ্ছে সাধারণ পাসপোর্ট যা পেতে আপনাকে কমপক্ষে ২১ দিন অপেক্ষা করতে হবে (সর্বমোট ৩৪৫০ টাকা ফি) এবং আরেকটি হচ্ছে জরুরী পাসপোর্ট যা আপনি ৭ দিন পর পাবেন (সর্বমোট ৬,৯০০ টাকা ফি)। আপনি কোন ধরণের পাসপোর্ট পেতে চান সেই মত আপনাকে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে।

১.১ ব্যাংকে ফি জমা দেওয়া

অফলাইনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের দ্বারা নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে হবে। ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্টের টাকা জমা দিবেন এটা বললেই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্লিপ দিবে। স্লিপে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে স্লিপ সহ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। টাকা জমা হবার পর একটি রশিদ পাবেন যার দুইটি পার্ট থাকে। এক পার্ট কাস্টমার কপি যা নিজের কাছে থাকবে আর আরেক পার্ট পাসপোর্ট অফিসের কপি যা পাসপোর্ট আবেদন ফর্মের উপর আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন –

যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করাবেন সে এলাকার ব্যাংকের শাখায় টাকা জমা দেওয়া ভালো।

স্লিপে যেভাবে নাম লিখবেন পাসপোর্টেও সেই একই নাম হবে তা না হলে পেমেন্ট ভেরিফিকেশনে ঝামেলা হবে।

টাকা জমা দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে অবশ্যই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে তা না হলে ৬ মাস পার হলে আবার নতুন করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।

মানি রিসিটের ট্রানজেকশন নাম্বারটি কোথাও টুকে রাখুন এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

রিসিটে কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকে যা পরবর্তীতে পাসপোর্টের ফর্মের জন্য কাজে লাগবে তাই রিসিটের নির্দেশনা গুলো ভালো ভাবে পড়বেন।

আর যে যে ব্যাংকে পাসপোর্ট করার টাকা জমা দিতে পারবেন তা হল-  

১. সোনালি ব্যাংক

২. প্রিমিয়ার ব্যাংক

৩. ব্যাংক এশিয়া

৪. ট্রাস্ট ওয়ান ব্যাংক

৫. ঢাকা ব্যাংক

৬. ওয়ান এশিয়া

তবে সোনালি ব্যাংকের ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু শাখাতেই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। পাসপোর্ট অফিস থেকেই এই ব্যাপারে জানতে পারবেন। আর অন্যান্য ব্যাংকের যেকোনো শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন।

১.২ অনলাইনে আবেদন শেষে ফি জমা দেওয়া

অনলাইনে পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, www.passport.gov.bd এর সাইটে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করে শেষের দিকে বিভিন্ন ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে (যেমন ব্যাংকের কার্ড, বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে) পেমেন্ট করতে পারবেন। আর খুব সামান্য কিছু চার্জ ব্যাংক তাদের ফি হিসেবে ( ৩-৫ টাকা) কেটে রাখে। এই ক্ষেত্রে টাকা পে করার পর একটি চালান ফর্ম পাবেন। এই ফর্মটি এক পেজে দুইটা প্রিন্ট করে একটা নিজের জন্য ও অন্যটা পাসপোর্ট ফর্মের জন্য ব্যবহার করবেন।

অনলাইন পাসপোর্ট পূরণ

২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দরকারী বিষয় হল প্রয়োজনীয় কাগজ রেডি করা। অনেক সময় পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার পর দেখা যায় সব ডকুমেন্ট ঠিকভাবে রেডি করা নেই সেই ক্ষেত্রে বাড়তি অনেক ঝামেলা হয় আর পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতেও দেরি হয়ে যায়। তাই পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার আগেই সব ডকুমেন্ট ঠিকমতো আছে কিনা তা চেক করে দেখা উচিত। যে সব ডকুমেন্ট লাগবে পাসপোর্ট করার জন্য- 

পাসপোর্ট ফর্ম ২ কপি (তবে সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং ১৫ বছরের কম বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে একটি ফর্ম)

সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি

ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপির সত্যায়িত কপি। তবে যাদের NID কার্ড নেই বা ১৮ বছরের নিচে বয়স তাদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপির সত্যায়িত ফটোকপি। তবে বর্তমানে ১৮ বছর হলে অবশ্যই NID কার্ড লাগবে।

পেশাগত সার্টিফিকেটের ফটোকপির সত্যায়িত কপি

সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ব্যাক্তির কর্মস্থল থেকে ইস্যু করা NOC (No Objection Certificate) বা জিও GO ( Govt. Order) জমা দিতে হবে।

৩. পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ

দুই ভাবে পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড বা সংগ্রহ করে নিজে নিজে হাতে পূরণ করে। অথবা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে।

৩.১ অফলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ

এই ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্টের ফর্ম চাইলে অফিস থেকে তা বিনামুল্যে দিয়ে দিবে, আবার www.passport.gov.bd এই লিঙ্কের Download Form অপশনে গিয়ে DIP Form 1 ফর্ম ওপেন করে PDF ফরম্যাটে ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন।

৩.২ পাসপোর্ট ফর্ম

হাতে লিখে ফর্ম ফিল আপ করার সময় খুব সাবধানে করবেন তাই কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখলে ভালো তাতে লেখার সময় কাটাকাটি হলেও সমস্যা নেই। আর সব জায়গায় নিজের সাইন একই রকম দিবেন। যেভাবেই পাসপোর্ট পূরণ করেন অবশ্যই ভাল মত তথ্য যাচাই, বানান দেওয়া, সঠিক তথ্য দেওয়া এই ব্যাপার গুলো খেয়াল রাখবেন। কোন কিছু ভুল হলে আপনাকে এই জন্যে ঝামেলা পোহাতে হবে।

৪. পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা

ফর্ম ফিল আপ শেষ হলে পুরো ফর্মটি দুই সেট প্রিন্ট করে নিবেন। এক কপি পাসপোর্ট অফিসের জন্য ও আরেক সেট SB OFFICE এ পাঠানো হবে।

ফর্ম প্রিন্ট হলে ফর্মের ছবির জায়গায় পাসপোর্ট সাইজের একটি সদ্য তোলা ছবি লাগাতে হবে। আর দুই কপি ফর্মের যেকোনো একটাতে ব্যাংকের রশিদের পাসপোর্ট অফিসের কপিটা কেটে ডান পাশে লাগাতে হবে।

পাসপোর্টের ফর্ম পূরণ করে, ছবি ও মানি রিসিট লাগিয়ে ফর্মের সাথে জন্ম নিবন্ধন বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পেশাগত সার্টিফিকেট ও নাগরিক সনদের (এই সনদের ব্যাপারে কোথাও নির্দিষ্ট করে বলা নেই তবে অনেক সময়ই এই সনদ দেখতে চায়) ফটোকপির সত্যায়িত কপি পিন দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে।

৫. পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম জমা দেওয়া

এই ক্ষেত্রে ফর্ম হাতে পূরণ করলে নিজের বর্তমান ঠিকানা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে হলে রিজিওনাল অফিস আর সিটি কর্পোরেশনের বাইরে হলে আঞ্ছলিক অফিসে জমা দিতে হবে। আর অনলাইনে জমা দিলে ফর্মেই লেখা থাকবে কোন অফিসে জমা দিতে হবে।

সরাসরি ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, ফর্ম প্রথমে জমা নিয়ে কম্পিউটার সফট ওয়্যারে ফর্মের তথ্য গুলো নিবে তারপর ফর্মে সিল মেরে আবার ফর্ম আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে। তারপর ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিকের জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার জন্য ফর্ম নিয়ে অন্য একটি রুমে যেতে হবে। এখানে বেশ কয়েকটি ধাপ আছে। সব প্রক্রিয়া শেষ হতে মোটামুটি বেশ সময় লাগে। এছাড়া জমা দেওয়ার সিরিয়াল যদি দীর্ঘ হয় তাহলে সময় আরও বেশি লাগবে। তাই জমা দিতে গেলে সকাল সকাল চলে যাওয়া ভালো।

৬. পাসপোর্ট টোকেন সংগ্রহ ও স্ট্যাটাস চেক করা

ফর্ম জমা দেওয়া শেষ হলে কম্পিউটারে প্রিন্ট করা একটি টোকেন দেওয়া হবে যেখানে আপনার তথ্য, পাসপোর্ট ডেলিভারির সময়সহ অন্যান্য কিছু তথ্য থাকবে। এই টোকেনের তথ্য গুলো খুব ভালো ভাবে চেক করবেন কারন এই তথ্য অনুসারেই পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হবে।

কোনও ভুল ধরা পড়লে তখনই সাথে সাথে জানাবেন তাহলে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর টোকেনটি যত্ন সহকারে রেখে দিবেন কারণ এই টোকেন দেখিয়েই পরবর্তীতে পাসপোর্ট নিতে হবে।

আর পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য www.passport.gov.bd এই সাইটের Application Status অপশনে গিয়ে এনরোলমেন্ট আইডি ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। পাসপোর্ট টোকেনে Enrollment ID (EID) দেওয়া থাকে।

আর মেসেজ অপশনের ক্ষেত্রে, MRP<SPACE<EID NO লিখে ৬৯৬৯ নাম্বারে সেন্ড করে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস জানা যাবে।

পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকলে এই স্ট্যাটাস চেক করে আপনি জানতে পারবেন। তবে সব কাজ শেষ হবার পরও পাসপোর্টের স্ট্যাটাস ঠিকমতো না পেলে কিছুদিন অপেক্ষা করবেন কারন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্যই মূলত পাসপোর্ট পেতে সময় লাগে বা পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

৭. পুলিশ ভেরিফিকেশন

ফর্ম জমা হওয়ার কিছু দিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ বাসায় ও আসতে পারে আবার ফোন করে তাদের অফিসেও আপনাকে যেতে বলতে পারে। এই ক্ষেত্রে পুলিশ বিভিন্ন কাগজ রেডি করে রাখতে বলে যেমন- প্রোপার্টি পেপার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।

৮. পাসপোর্ট সংগ্রহ

সব টিক থাকলে আপনার পাসপোর্টের ধরণ অনুযায়ী ১ সপ্তাহ বা ২০-৩০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। পাসপোর্ট রেডি হলে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে আপানকে জানানো হবে। অথবা অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করেও জেনে নিতে পারবেন।

পাসপোর্ট করতে খরচ ও সময়

পাসপোর্টের ধরণখরচকতদিন সময় লাগে
সাধারনসর্বমোট খরচ ৩৪৫০ টাকা২১ দিন সময় লাগে
জরুরীসর্বমোট খরচ ৬,৯০০ টাকা৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

১) সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে সাধারন ফি জমা দিয়েও জরুরী সুবিধা পাওয়া যাবে।

২) সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ২১ দিনের ভিতর হয়ে যাবে বলা হলেও অনেক সময় তার চেয়েও বেশীদিন লাগে। জরুরী পাসপোর্টের বেলাতেও দিন অনেক সময় বেশি লাগে।

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

  • অনেকেই মনে করে দালাল ছাড়া বা প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি টাকা না দিলে পাসপোর্ট করা যায় না বা করতে অনেক ঝামেলা হয়, এই কথা পুরোপুরি সঠিক না। বর্তমানে অযৌক্তিক  হয়রানি অনেক কমে গিয়েছে আর সরকারিভাবে পাসপোর্টের পুরো প্রক্রিয়াও অনেক সহজ করা হয়েছে আগের চেয়ে। তাই দালালের মাধ্যমে বাড়তি টাকা খরচ না করে নিজেই পাসপোর্টের কাজ গুলো করে নিতে পারবেন।
  • কোনও মাধ্যম বা কারো সাহায্য ছাড়া নিজে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে পাসপোর্টের কাজ শুরু করবেন। আর তাই জরুরী প্রয়োজনে নিজে না করে অন্য কোনও মাধ্যমের সাহায্য নিয়েই পাসপোর্ট করা ভালো।
  • পাসপোর্টের ফর্ম ফিল আপা করার আগে ও ফিল আপ করার পরে পুরো ফর্মের কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখবেন।
  • পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সকল ডকুমেন্টের ইনফরমেশন অবশ্যই সঠিক হতে হবে।
  • নামের বানানের ক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। এক এক ডকুমেন্টে নামের বানান যেন ভিন্ন ভিন্ন না হয়।  বিশেষ করে NID কার্ডের তথ্য গুলো যেন একই থাকে। তা না হলে পাসপোর্ট করার জন্য বাড়তি অনেক ঝামেলা হবে।
  • পাসপোর্ট করার আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সময় সব সার্টিফিকেটের মূল কপি সাথে নিয়ে যাবেন।
  • অনলাইন থেকে পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে দুটো পেজের উভয় দিকেই প্রিন্ট করতে হবে যা হাতে লেখার ফর্মের ফরমেটের মতো হবে বা এই ক্ষেত্রে একটা ফরমেট অনলাইনে দেখে নিতে পারেন।
  • পাসপোর্ট অফিসে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১.৩০ টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ফর্ম জমা নেয়। তবে অবশ্যই আগে আগে যাওয়া ভালো কারন অনেক লম্বা লাইন থাকে।      
  • ফর্মে ছবি ও মানি রিসিট অবশ্যই আঠা দিয়ে লাগাবেন, স্ট্যাপল পিন দিয়ে লাগাবেন না।
  • ফর্ম জমা নেওয়ার সময় কিছু প্রশ্ন করা হয় যার উত্তর যথেষ্ট আত্নবিশ্বাসের সাথে দেওয়ার চেষ্টা করবেন আর সবসময় সঠিক তথ্য জানাবেন।
  • ফর্ম জমা দেওয়ার সময় ছবি তোলার জন্য সাদা রঙ বাদে অন্য কোনও রঙের কাপড় পড়বেন।
  • অনেক সময় ফর্ম জমা নেওয়ার সময় অযৌক্তিক প্রশ্ন করে বা ফর্ম কোনও কারন ছাড়াই জমা নিতে চায় না সেই ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কোনও কর্মকর্তাকে বা অফিসের সহকারী পরিচালক এর সাথে কথা বললে সাহায্য পাবেন।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশনে অনেক সময় টাকা চাওয়া হয়, ঝামেলা এড়াতে চাইলে কিছু টাকা দিয়ে দেওয়াই ভালো। যদিও এই টাকা দেওয়াটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
  • যারা নতুন ভাবে পাসপোর্ট করবে শুধু মাত্র তারাই অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
  • আরও বিশেষ কিছু নির্দেশনা জানার জন্য www.dip.gov.bd ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও খোঁজ নিতে পারেন। 

তথ্যসূত্রঃ www.dip.gov.bd


Saturday, April 29, 2023

Best E-commerce Platform in Bangladesh

Best E-commerce Platform in Bangladesh

The best e-commerce platform in Bangladesh is a matter of opinion, but some of the most popular and well-respected platforms include:

  • Daraz is a leading online retailer in Bangladesh, offering a wide range of products from electronics to fashion to home goods. Daraz is a subsidiary of Alibaba, and it has a strong reputation for reliability and customer service.
  • Rokomari is another popular online retailer in Bangladesh, specializing in books and other educational materials. Rokomari is known for its wide selection of products and its commitment to providing quality customer service.
  • Chaldal is a relatively new online retailer in Bangladesh, but it has quickly become one of the most popular platforms for grocery shopping. Chaldal offers a wide range of fresh produce, meat, and other grocery items, and it delivers orders quickly and reliably.
  • Pickaboo is an online retailer that specializes in electronics and gadgets. Pickaboo offers a wide selection of products from top brands, and it offers competitive prices and fast delivery.
  • Ajkerdeal is a general merchandise retailer that offers a wide range of products at discounted prices. Ajkerdeal is a good option for shoppers who are looking for a bargain.

Ultimately, the best e-commerce platform in Bangladesh is the one that best meets your needs and preferences. Consider the factors that are important to you, such as the selection of products, the price, the shipping speed, and the customer service, when making your decision.



Tuesday, March 7, 2023

গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান - বিসিএস প্রশ্ন

গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান - বিসিএস প্রশ্ন

১। সংসদে সাংবাদিকদের আসন কতটি ?

উত্তরঃ ৮০টি

২। ১৪৪ ধারা কি ?

উত্তরঃ মানুষ চলাচল এবং আচরণের কর্মকান্ডের নিষেধজ্ঞা

৩। তিতুমীর কে ছিলেন?

উত্তরঃ ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম শহীদ বাঙ্গালী বীর

৪। উয়ারী বটেশ্বর কোথায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ নরসিংদী

৫। দেশের ১১তম শিক্ষা বোর্ড কোথায় হতে যাচ্ছে ?

উত্তরঃ ময়মনসিংহ

৬। বাংলাদেশের সরকারি নাম ইংরেজিতে লিখুন?

উত্তরঃThe people’s Republic of Bangladesh

৭। গ্রীনিচ থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

উত্তরঃ ৯০ ডিগ্রি পুর্ব দিকে।

৮। বাংলাদেশের কোন জেলায় মধুপুর ও ভাওয়াল গড় অবস্থিত?

উত্তরঃ টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর।

৯। বাংলাদেশের কোন জেলা সমতল থেকে সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত?

উত্তরঃ দিনাজপুর।

১০। ঢাকার প্রতিপাদ স্থান কোথায়?

উত্তরঃ চিলির নিকটে প্রশান্ত মহাসাগরে।

১১। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ কত?

উত্তরঃ ৭১১ কি.মি.

১২। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড কি?

উত্তরঃ বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি খাত(প্রস্থ ১৪ কি মি)

১৩। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নামসহ উচ্চতা কত?

উত্তরঃ তাজিংডং বা বিজয়, ১২৩১ মিটার বা ৪০৩৯ ফুট।

১৪। আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে কত?

উত্তরঃ ৯৪তম (দক্ষিন এশিয়ার ৫ম)

১৫। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসিমা কত?

উত্তরঃ ১২ নটিক্যাল মাইল।

১৬। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তি জেলা কতটি?

উত্তরঃ ৩০টি

১৭। পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা কতটি?

উত্তরঃ ৩টি।

১৮। পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন জেলার সাথে ভারতের সীমানা নেই?

উত্তরঃ বান্দরবান।

১৯। ঢাকার সাথে নদী পথে কোন জেলার সরাসরি যোগাযোগ নেই?

উত্তরঃ রাঙ্গামাটি।

২০। বরিশাল বিভাগের জেলার সংখ্যা কত?

উত্তরঃ ৬টি।

২১। বাংলাদেশের সর্বপূর্বে স্থানের নাম কি?

উত্তরঃ আখাইন্ঠং

২২। বাংলাদেশের আয়তনে সবচেয়ে বড় থানা কোনটি?

উত্তরঃ শ্যামনগর (সাতক্ষিরা)

২৩। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যাকর হয় কবে?

উত্তরঃ ১ আগষ্ট, ২০১৫ইং

২৪। ছিটমহল বেষ্ঠিত জেলা বলা হয় কোন জেলা কে?

উত্তরঃ লালমনিরহাট

২৫। কোন পাহাড় হিন্দুদের তীর্থস্থানের জন্য বিখ্যাত?

উত্তরঃ চন্দ্রনাথ পাহাড়(সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম)

২৬। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ দ্বীপটির নাম কী এবং বর্তমানে মালিকানা কোন দেশের?

উত্তরঃ দক্ষিন তালপট্টি দ্বীপ, ভারত

২৭। নিঝুম দ্বীপটি কোন নদীর মোহনায় অবস্থিত?

উত্তরঃ মেঘনা (নোয়াখালী)

২৮। দ্বীপ জেলা বলা হয় কোন জেলাকে?

উত্তরঃ ভোলা।

২৯। ভবদহ বিল কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ যশোর

৩০। ক্রিসেন্ট লেক কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ ঢাকা(জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে)

৩১। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে হাওড়ের সংখ্যা বেশী?

উত্তরঃ সিলেট

৩২। বাংলাদেশের সাগর কণ্যা বলা হয় কোন স্থানকে?

উত্তরঃ কুয়াকাটা, পটুয়াখালী

৩৩। বাংলাদেশের প্রথম হাইটেক পার্ক নির্মান করা হচ্ছে কোথায়?

উত্তরঃ কালিয়াকৈর, গাজীপুর

৩৪। বাংলাদেশে একমাত্র শীতলপানির ঝর্ণা কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ হিমছড়ি, কক্সবাজার

৩৫। বিল ডাকাতিয়া কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ খুলনা।

৩৬।‘দুবলার চর’ কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ সুন্দরবনের দক্ষিনে।

৩৭। বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ীর নাম ও তারিখ লিখুন?

উত্তরঃ নিশাত মজুমদার, ২১ মে, ২০১২

৩৮। SPARSO কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে?

উত্তরঃ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

৩৯। বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগৃহে কেন্দ্রে কোথায় স্থাপিত হয়?

উত্তরঃ বেতবুনিয়া রাঙ্গামাটি।

৪০। বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান জন্মে?

উত্তরঃ ময়নসিংহ

৪১। রাবার বাগানের জন্য বিখ্যাত স্থান কোনটি?

উত্তরঃ রামু, কক্সবাজার।

৪২। সম্প্রতি বাংলাদেশের উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতের নাম কি?

উত্তরঃ সুপার রাইস।

৪৩। নদী ছাড়া যমুনা কী?

উত্তরঃ উন্নত জাতের মরিচের নাম।

৪৪। মাছ গবেষনা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ চাদপুর।

৪৫। বাংলাদেশের জাতীয় ও একক বৃহত্তম বনভূমি কোনটি?

উত্তরঃ সুন্দরবন।

৪৬। সুন্দরবনকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের’ অংশ হিসেবে কোন সংস্থা কত তারিখ ঘোষণা করে?

উত্তরঃ ইউনেস্কো, ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭(৭৯৮তম)

৪৭। সুনেত্র গ্যাস ক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা

৪৮।‘Black Gold’ কি?

উত্তরঃ তেজস্ক্রিয় বালু(কক্সবাজারে পাওয়া যায়)

৪৯। তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া

৫০। বাংলাদেশের কোথায় কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে?

উত্তরঃ বড়পুকুরিয়া, দীঘিপাড়া, দিনাজপুর

৫১। বাংলাদেশের একমাত্র জ্বালানী তেল শিধানাগারের নাম কি?

উত্তরঃ ইস্টার্ণ রিফাইনারী লিঃ, চট্টগ্রাম

৫২। দেশের সবচেয়ে বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম ও অবস্থান?

উত্তরঃ ভেড়ামারা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কষ্টিয়া

৫৩। ভারত – বাংলাদেশের পানি চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?

উত্তরঃ ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯৬

৫৪। বাংলাদেশের নাব্যতম ওঁ প্রশস্ততম নদীর নাম?

উত্তরঃ মেঘনা।

৫৫। বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী কোনটি?

উত্তরঃ হাড়িয়াভাঙ্গা।

৫৬। পদ্মার অপর নাম?

উত্তরঃ কীর্তিনাশা

৫৭। পদ্মা ও যমুনা কোথায় মিলিত হয়েছে?

উত্তরঃ গোয়ালন্দ

৫৮। পদ্মা নদীর উৎপত্তি স্থল কোথায়?

উত্তরঃ হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিম্বাহ থেকে

৫৯। মংলা সমুদ্রবন্দর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

উত্তরঃ পশুর।

৬০। বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্পের নাম কি?

উত্তরঃ তিস্তা সেচ প্রকল্প

৬১। জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান?

উত্তরঃ ৮ম।

৬২। চাকমা উপজাতির বসবাস বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে বেশি?

উত্তরঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে

৬৩। বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরমুক্ত গ্রামের নাম কি?

উত্তরঃ কৃষ্টপুর, কচুবাড়ি, ঠাকুরগাও

৬৪। বাংলাদেশের কোন জেলায় শিক্ষার হার বেশি?

উত্তরঃ বরগুনা।

৬৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মুসলমান ও উপমহাদেশের প্রথম ভি সি কে?

উত্তরঃ স্যার এ.এফ. রহমান

৬৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন হলে এক সময়ে সংসদ কার্যক্রম হত?

উত্তরঃ জগন্নাত হল

৬৭। দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে বড় ডায়বেটিক্স হাসপাতালের নাম কি?

উত্তরঃ বারডেম।

৬৮।‘মূসক’ দিবস কবে পালন করা হয়?

উত্তরঃ ১০ জুলাই।

৬৯। বাংলাদেশ কবে ভ্যাট চালু হয়?

উত্তরঃ ১৯৯১ সালের ১ জুলাই



Sunday, February 12, 2023

পদ্মা সেতু সম্পর্কে জেনে নিন

পদ্মা সেতু সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু, পদ্মা বহুমুখী সেতু। কোনাে রূপ বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত সর্ববৃহৎ প্রকল্প এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটা দেশের বৃহত্তম প্রকল্প এবং এটা দেশের সর্ববৃহৎ সেতু। 

পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া থেকে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পর্যন্ত সংযুক্ত এই সেতুটি দুই স্তর বিশিষ্ট। এর উপরের স্তরে রয়েছে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি রেলপথ।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর সম্পূর্ণ নকশা এইসিওএমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি দল তৈরি করে। সেতুটি তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এর আওতাধীন চায়না মেজর ব্রীজ নামক একটি কোম্পানী। 

কাজ শুরু হয় ২৬ নভেম্বর ২০১৪ এবং ২৩ জুন, ২০২২ পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। এই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহন করেন এবং এর মাধ্যমে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়।

পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযােগে বিশ্বব্যাংক ও দাতাগােষ্ঠী সরে গেলেও বাংলাদেশ সরকার পিছু হটেনি। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ করা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে বাংলাদেশের কেন্দ্রের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি হয়। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কিঃমিঃ (১৭,০০০ বর্গ মাইল) বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯% অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। ফলে প্রকল্পটি দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এই সেতুটি নির্মিত হলে বাংলাদেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নে আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যোগাযোগের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।

Wednesday, January 11, 2023

Metro rail Dhaka - ঢাকা মেট্রোরেল

Metro rail Dhaka - ঢাকা মেট্রোরেল

মেট্রোরেলে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁওয়ের ভাড়া ৬০ টাকা।  কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস নেই। ভাড়া লাগবে না যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুটের কম উচ্চতার শিশুদের। স্মার্ট কার্ডে ভাড়া পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রীরা।

বিনা ভাড়ায় বা অতিরিক্ত ভ্রমণ করলে ১০ গুণ জরিমানা গুনতে হবে। এ ছাড়া ট্রেন ও স্টেশনে ধূমপান, পান খাওয়া নিষেধ। পোষা প্রাণী নিয়ে চড়া যাবে না মেট্রোতে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে নানা সুবিধা। নারী ও শিশুদের জন্য থাকছে বিশেষ সুবিধা।

মেট্রোরেল চলবে বিদ্যুতে। জাতীয় গ্রিড থেকে পাঁচটি বিকল্প সংযোগ রয়েছে। তাই লোডশেডিংয়ের শঙ্কা নেই।

টিকিট কাটবেন যেভাবে

মেট্রোরেলে দুই ধরনের টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একটি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের এমআরটি পাস, অন্যটি দিয়ে চড়া যাবে একবার। শুরুতে কেবল মেট্রোরেল স্টেশনের কাউন্টার থেকে নির্দিষ্ট জামানত দিলে মিলবে এমআরটি পাস।

আর একবারের যাত্রার জন্য টিকিট মিলবে স্টেশনে থাকা কাউন্টার এবং পাশের স্বয়ংক্রিয় ‘টিকিট মেশিন’ থেকে। যাত্রা শেষে নির্ধারিত মেশিনে টিকিট কার্ডটি ফেরত দিলে তবেই স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন যাত্রীরা।

মেট্রোরেলের নির্মাণ খরচ

মেট্রোরেলের প্রথম পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ২০০৫ সালে। রাজধানীর জন্য তৈরি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (এসটিপি) বলা হয়েছিল মেট্রোরেলের কথা। মেট্রোরেলের মোট ব্যয় প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৯ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাকি ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর। পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরের মধ্যে।



Thursday, January 5, 2023

E- learning

E- learning

E-learning is the use of electronic media and communication technologies in education. Bernard Luskin, a pioneer of e- learning, says that the 'e' should be interpreted to mean "exciting, energetic, enthusiastic, emotional, extended, excellent, and educational" in addition to ' Electronic'. E-learning includes numbers types of media for delivering text, audio, images, animation and streaming video etc. E-learning can take place in or if the classroom. It is suited to distance learning and flexible learning. There are many advantage in online and computer based learning when compared to traditional face-to-face course and lectures. Class work can be scheduled around work and family. It reduces travel time and transportation costs for students. 

Student's can study anywhere, if they have access to a computer and internet connection. Student's may select their level of knowledge and interest. They can develop knowledge of the internet and computer skills that will help learner's throughout their lives and careers.

Successful completion of online or computer based course builds self-confidence in students. There are a few disadvantages as well. Learner's with bad study habits may fall behind. Student's may feel isolated from the instructor and classmates. Instructor may not always be available when students are studying or need help. However, in addition to traditional learning, e-learning can help learner's in many ways.



Sunday, November 27, 2022

বিন সার্টিফিকেট কিভাবে বাতিল করে?

বিন সার্টিফিকেট কিভাবে বাতিল করে?

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়মঃ

কোন কারণে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই উপকর অফিসে গিয়ে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য আবেদন করতে হবে। কারণ টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে তৈরি করা গেলেও এর বাতিল করার কাজ আপনাকে অফিসে গিয়ে সম্পাদন করতে হবে।

সেক্ষেত্রে আপনাকে যে সব কাগজপত্র সাথে করে নিতে হবেঃ

১) আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ।

২) আপনার আয়করের ফটোকপি।

৩) আপনার টিন সার্টিফিকেট।

৪) মালিক মৃত হলে তার সনদ।

৫) বাতিলের প্রকৃত কারণ (উপযুক্ত প্রমাণসহ)।


উল্লেখিত সকল কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে উপকর বিভাগের অধীনে জমা দিতে হবে। সেখানে আপনাকে একটি ফর্ম দিবে।আপনার কাগজের তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনি ফরম পূরণ করে জমা দিবেন। ৩ থেকে ৫ কার্য দিবসের মধ্যেই টিন সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত কপি আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে। অথবা আপনি নিজে গিয়ে জেনে নিতে পারেন আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা। আর বাতিল হয়েছে কিনা। উপরোক্ত নিয়ম মেনে আপনি খুব সহজে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারবেন। 


এজন্য সরকারকে কোন ফি পরিশোধ করতে হয় না।

Thursday, November 24, 2022

BSTI কী? বিএসটিআই কি? What is BSTI?

BSTI কী? বিএসটিআই কি? What is BSTI?

১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের জারীকৃত অধ্যাদেশ ৩৭ (The Bangladesh Standards and Testing Institution Ordinance, 37 of 1985) এর মাধ্যমে সেন্ট্রাল টেস্টিং ল্যাবরেটরী (CTL)  এবং বাংলাদেশ স্ট্যন্ডার্ডস ইন্সটিটিউশন (BDSI) কে একীভূত করে  শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যন্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (BSTI) প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি পণ্য বিপণন ও শ্রেনীবিন্যাস পরিদপ্তরটিও (Department of Agricultural Grading and Marking) বিএসটিআই’র সঙ্গে একীভূত হয়।

ভিশনঃ  মান প্রণয়ন ও মানসম্মত পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে যুগোপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে রুপান্তর।   

মিশনঃ  পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন,  গুণগতমান ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত সেবাসমূহকে আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক মানদন্ডে উন্নীতকরণ এবং সেবাগ্রহীতাদের স্বার্থ রক্ষাক্রমে  জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে  সহায়তা ।

বিএসটিআই’র দায়িত্ব 

দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসটিআই’র মূল দায়িত্ব হচ্ছেঃ

ক) দেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্য, বৈদ্যুতিক ও প্রকৌশল পণ্য, খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়া ও পরীক্ষণ পদ্ধতির জাতীয় মান প্রণয়ন।

খ) প্রণীত মানের ভিত্তিতে পণ্যমাসগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষণ/বিশে­­ষণ এবং পণ্যের গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান।

গ) দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন, বাস্তবায়নসহ ওজন ও পরিমাপের  সঠিকতা তদারকি ও নিশ্চিতকরণ।

সুষ্টুভাবে এ সকল কর্মকান্ড সম্পাদনের মাধ্যমে দেশে শিল্পের বিকাশ, মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য মানকে  বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রতিযোগিতায় উপযোগী করে তোলা বিএসটিআই’র লক্ষ্য। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে অবাধ বাণিজ্যের পরিবেশে পণ্য মানকে আন্তর্জাতিক বাজারের উপযোগী করে তুলতে বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে।

জাতীয় মান প্রতিষ্ঠান (National Standards Body) হিসেবে বিএসটিআই জনসেবামূলক যেসব কাজ করছে সংক্ষেপে তা নিম্নে দেয়া হলোঃ

১)       মান উইং দেশের আর্থ সামাজিক প্রযুক্তি, কারিগরী জ্ঞান এবং রপ্তানী বাণিজ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে কৃষি ও খাদ্য, পাট ও বস্ত্র, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, রসায়ন ও প্রকৌশল এ পাঁচটি বিভাগের মাধ্যমে পণ্যের  জাতীয় মান প্রণয়ন করে থাকে। ৬টি  বিভাগীয় কমিটির অন্তর্গত ৭২ টি শাখা কমিটি/কারিগরী কমিটি জাতীয় মান প্রণয়নের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিএসটিআই ১৯৭৪ সালে আইএসও সদস্যপদ লাভ করে। National Standards Body (NSB) হিসেবে বিএসটিআই  ISO, Codex, AFIT এর ফোকাল পয়েন্ট।

২)       সার্টিফিকেশন মার্কস কার্যক্রমের মাধ্যমে পণ্যসামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণ ও গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়। উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও গুণগত মান উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণ ও পরামর্শ প্রদানও এ উইং এর  দায়িত্ব। স্বেচ্ছা ও বাধ্যতামূলক উভয় পদ্ধতিতেই এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত সরকার কর্তৃক গেজেটের মাধ্যমে ১৬৬ টি পণ্যকে বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেশন মার্কস এর আওতায় আনা হয়েছে। গুণগতমান সনদ কিংবা গুণগতমানের প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার ছাড়া এ সকল পণ্য বাজারজাতকরণ আইনত দন্ডনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতকল্পে বাজার আকাষ্মিক পরিদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য মান যাঁচাই করা হয়। এ ছাড়া  নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমান আদালত  পরিচালনার  মাধ্যমে নকল/ ভেজাল পণ্য  চিহ্নিতকরণ ও  নিম্নমানের  পণ্য উৎপাদন/ আমদানী ও বাজারজাতকরণ  বন্ধ করার  কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

৩।      ‘The Standards of Weights and Measures Ordinance, ১৯৮২’ অধ্যাদেশের মাধ্যমে সারাদেশে ওজন ও পরিমাপের মেট্রিক পদ্ধতি প্রচলন ও বাস্তবায়ন তদারকি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিতকরণ ছাড়াও ক্যালিব্রেশন ও ভেরিফিকেশন কাজ সম্পাদন করা হয়। এ কার্যক্রমের আওতায় বিএসটিআই সারাদেশে বাটখারা, দাঁড়িপাল­­া, মিটার, লিটার ইত্যাদি যন্ত্রপাতির ভেরিফিকেশন কাজও করে থাকে।

৪।       পরীক্ষণ উইং এর মাধ্যমে পণ্যের সঠিকতা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডর্ডস বা মান অনুযায়ী সঠিক আছে কিনা তা যাঁচাই করা হয়।

৫।       বিএসটিআই’র সেবামূলক কার্যক্রম জনগনের নিকট পৌছানোর লক্ষ্যে বিএসটিআই প্রধান অফিস ছাড়াও ৫টি আঞ্চলিক অফিস কাজ করে যাচ্ছে। ঐ সকল অফিসের মাধ্যমে অধিকতর জনগোষ্ঠী বিএসটিআই এর সেবা গ্রহনে সক্ষম হচ্ছেন।

৬।      জনসাধারন/ভোক্তা সাধারণকে বিভ্রান্তি ও হয়রানির হাত হতে রক্ষার্থে  সকল প্যাকেটজাত পণ্যের উপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড ওজন এবং পরিমাপ (পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৭’’ শিরোনামে একটি বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত বিধিমালা অনুযায়ী পণ্যের  মোড়কে উৎপাদিত পণ্যের উপাদান, প্রকৃত ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, খুচরা বিক্রয়মূল্য ইত্যাদি সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা বাধ্যতামূলক  করা হয়েছে।

৭।      বিএসটিআই’র  সেবামূলক কার্যক্রম আরো স্বচ্ছ ও ত্বরান্বিত করতে সিটিজেন চার্টার (নাগরিক অধিকার সনদ) তৈরী করা হয়েছে। যেখানে বিএসটিআই’র সেবা ধর্মী কার্যক্রম সম্পাদনের সময়সীমা নির্ধারন  এবং এসব সেবা পেতে কি হারে ফি দিতে হবে তার উলে­­খ রয়েছে। সিটিজেন চার্টারটি জনগনের জন্য বিএসটিআই ওয়েবসাইটে সন্নিবেশ করা আছে। 

৮।       ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার :

নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী সকল সেবা এক জায়গা থেকে প্রদানের লক্ষ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০০৮ তারিখ থেকে বিএসটিআইতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে। এ  সেন্টারের সেবা সমূহঃ

ক)      জনসাধারণকে সিটিজেন  চার্টার মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে  পন্য পরীক্ষণ প্রতিবেদন প্রদান  নিশ্চিত করা;

খ)       অকৃতকার্য পণ্যের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অকৃতকার্যতার  কারণসহ  পরীক্ষণ ফলাফল গ্রাহককে  অবহিত/সরবরাহ নিশ্চিতকরণ;

গ)       এসএমই শিল্প এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের দ্রুত সেবা প্রদান;

ঘ)       পণ্যের গুণগত মানের  লাইসেন্স দ্রুত প্রদান;

ঙ)       মিডিয়া সেলের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনয়ন;

চ)       মান বিক্রয়।

ছ)       স্বেচ্ছায় লাইসেন্স গ্রহনেচ্ছু উদ্যোক্তাদের জন্য (V.P.C.S ) বিশেষ কাউন্টার স্থাপন এবং সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ।



Monday, November 21, 2022

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটি

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটি

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন কর্মক্ষেত্রে আইসিটির বহুমুখী প্রভাব ও ব্যাবহার লক্ষা করা যাচ্ছে। এই প্রভাব ও পরিসর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। কর্মক্ষেত্রে আইসিটির দুই ধরনের প্রভাব লক্ষা করা যায়। প্রথমত প্রচলিত কর্মক্ষেত্রগুলোতে আইসিটির প্রয়োগের ফলে কর্মদক্ষতার বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণ, অন্যদিকে আইসিটি নিজেই নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে। 

প্রচলিত কর্মক্ষেত্র এবং পুরাতন ব্যাবসা বাণিজ্য আইসিটি ব্যাবহারের ফলে কর্মীদের দক্ষতা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা বেড়েছে। অন্যদিকে এর ফলে সেবার মানও উন্নত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে আইসিটি ব্যাবহারের সাধারণ দক্ষতা একটি প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। 

ব্যাংক, বিমা থেকে শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি, সরকারি দপ্তরে কাজ করার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর থেকে উপস্থাপনা সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং থেকে ই-মেইল, নানান ধরনের বিশ্লেষণী সফটওয়্যার ইত্যাদিতে দক্ষ হতে হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষায়িত সফটওয়্যার (যেমনঃ ব্যাংকিং সফটওয়্যার) ব্যাবহারেরও পারদর্শিতা অর্জন কররে হয়।

অন্যদিকে আইসিটি নিজেই একটি বড় আকারের কর্মবাজার সৃষ্টি করেছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি এখন নতুন দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি বিরাট কর্মক্ষেত্র। কেবল দেশে নয়, আইসিটিতে দক্ষ কর্মীরা দেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানে অথবা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে পারে। এই কাজের একটি বড় অংশ দেশে বসেই সম্পন্ন করা যায়। আউটসোর্সিং করে এখন অনেকেই বাংলাদেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। 

Thursday, November 3, 2022

আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা পূর্ণ নম্বরে হবে!

আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা পূর্ণ নম্বরে হবে!

আগামী ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।


২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে সব বিষয়ে ও পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী ২০২৩ সাল থেকে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে।


তিনি জানান, শিক্ষা বোর্ড সিলেবাস পূনর্বিন্যাস করেছে। সেই সিলেবাসে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  


চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ৬ নভেম্বর থেকে একযোগে শুরু হবে। এই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন।  


২০২২ খ্রিষ্টাব্দের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে দুইটি আবশ্যিক, তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে এবং ৪র্থ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  


পরীক্ষার নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ২৫টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে, সময় ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হবে, সময় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট।


মানবিক ও ব্যবসায় শাখা পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ৩০ টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে, সময় ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ১১টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টির উত্তর দিতে হবে, সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট.


এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। 


এতে বলা হয়, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমসান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।


‘২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। ’


এতে আরও বলা হয়, এসএসসি পর্যায়ে আইসিটি পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর ৫০ এবং অন্যান্য প্রতিটি বিষয়ে ৩ ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর এইচএসসি পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ে ৩ ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


চলতি বছরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে ২ ঘণ্টা অনুষ্ঠিত হয়।



Saturday, September 24, 2022

৬৪ টি জেলার নাম । ৬৪ জেলার নাম

৬৪ টি জেলার নাম । ৬৪ জেলার নাম

আসুন জেনে নেই বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যা। আর এই ১৭ কোটি মানুষ বসবাস করেন ৬৪ জেলাতে। দেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে এই ৬৪ জেলা অবস্থিত। 

৬৪ জেলার নাম, 64 Jelar name, বাংলাদেশে মোট কয়টি জেলা? ৬৪ জেলার নাম কি কি, ৬৪ জেলার তালিকা, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম

৬৪ জেলার নাম | বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম

1. Chittagong (চিটাগাং)

2. Bandarban (বান্দরবন)

3. Barguna (বরগুনা)

4. Barisal (বরিশাল)

5. Bagerhat (বাগেরহাট)

06.Chuadanga (চুয়াডাঙ্গা)

7. Brahmanbaria (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

08.Dhaka (ঢাকা)

9. Sylhet (সিলেট)

10. Bhola (ভোলা)

৬৪ জেলার নাম

11. Cumilla (কুমিল্লা)

12. Cox's Bazar (কক্সবাজার)

13.Chandpur (চাঁদপুর)

14. Dinajpur (দিনাজপুর)

15. Faridpur (ফরিদপুর)

16. Feni (ফেনী)

17. Gaibandha (গাইবান্ধা)

18. Gazipur (গাজীপুর)

19. Gopalganj (গোপালগঞ্জ)

20. Habiganj (হবিগঞ্জ)

৬৪ জেলার নাম

21. Jaipurhat (জয়পুরহাট)

22. Jamalpur (জামালপুর)

23. Jessore (যশোর)

24. Jhalakathi (ঝালকাঠী)

25. Jhinaidah (ঝিনাইদাহ)

26. Khagrachari (খাগড়াছড়ি)

27. Khulna (খুলনা)

28. Kishoreganj (কিশোরগঞ্জ)

29. Kurigram (কুড়িগ্রাম)

30. Kushtia (কুষ্টিয়া)

৬৪ জেলার নাম

31. Lakshmipur (লক্ষ্মীপুর)

32. Lalmonirhat (লালমনিরহাট)

33. Madaripur (মাদারীপুর)

34. Magura (মাগুরা)

35. Manikganj (মানিকগঞ্জ)

36. Meherpur (মেহেরপুর)

37. Moulavibazar (মৌলভীবাজার)

38. Munshiganj (মুন্সীগঞ্জ)

39. Mymensingh ( ময়মনসিংহ)

40. Naogaon (নওগাঁ)

৬৪ জেলার নাম

41. Narayanganj (নারায়ণগঞ্জ)

42. Narsingdi (নরসিংদী)

43. Natore (নাটোর)

44. Nawabgonj (নওয়াবগঞ্জ)

45. Netrokona (নেত্রকোনা)

46. Nilphamari (নীলফামারী)

47. Noakhali (নোয়াখালী)

48. Norail (নড়াইল)

49. Pabna (পাবনা)

50. Panchagarh (পঞ্চগড়)

51. Patuakhali (পটুয়াখালী)

52. Pirojpur (পিরোজপুর)

53. Rajbari (রাজবাড়ী)

54. Rajshahi (রাজশাহী)

55. Rangamati (রাঙ্গামাটি)

56. Rangpur (রংপুর)

57. Satkhira (সাতক্ষীরা)

58. Shariyatpur (শরীয়তপুর)

59. Sherpur (শেরপুর)

60. Sirajgonj (সিরাজগঞ্জ)

৬৪ জেলার নাম

61. Sunamganj (সুনামগঞ্জ)

62. Bagura (বগুড়া)

63.Thakurgaon(ঠাকুরগাঁও)

64.Tangail( টাঙ্গাইল)


৬৪ জেলার নাম

Friday, September 16, 2022

বাংলা ভাষা

বাংলা ভাষা

বাঙালি জনগোষ্ঠী যে ভাষা দিয়ে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে তার নাম বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষায় কথা বলে প্রায় ত্রীশ কোটি মানুষ। এর মধ্যে বাংলাদেশে ষোলো কোটি এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দশ কোটি মানুষের বাস। এছাড়া ত্রিপুরা, আসাম, বিহার, ঝরখন্ড, ওড়িশাসহ ভারতের অন্যান্য প্রদেশে প্রায় তিন কোটি এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আরো প্রায় এক কোটি বাংলাভাষী মানুষ রয়েছে। মাতৃভাষী মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাংলা পৃথিবীর 6ষ্ট বৃহত্তম ভাষা। এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা। 

পৃথিবির ভাষাগুলোকে ইন্দো-ইউরোপীয়, চীনা-তিব্বতীয়, আফ্রিকীয়, সেমীয়-হেমীয়, দ্রাবিড়ীয়, আস্ট্রো-এশীয় প্রভৃতি ভাষা পরিবারে ভাগ করা হয়ে থাকে। ইংরেজি, জার্মান, ফরকসি, হিস্পানি, রুশ, পর্তুগিজ, ফারসি, হিন্দি, উর্দু, নেপালি, সিংহলি প্রভৃতি ভাষার মতো বাংলা ভাষাও ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের সদস্য। বাংলা ভাষার নিকটতম আত্মীয় আহমীয়বো ওড়িয়া। দ্রুপদি ভাষা সংস্কৃত এবং পালির সঙ্গে বাংলা ভাষার রয়েছে ঘনিষ্ট সম্পর্ক।

ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের আদি ভাষা বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার পরিণত হয়েছে। এই বিবর্তনে যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্তর বাংলা ভাষাকে অতিক্রম করতে হয়েছে, সেগুলো হলো ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ভারতীয় আর্য, প্রাকৃত, বাংলা। আনুমানিক এক হাজার বছর আগে পুর্ব ভারতীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে। বাংলা ভাষার লিখিত রুপের প্রাচীনতম নিদর্শন 'চর্যাপদ'।

বাংলা ভাষার রয়েছে কালগত ও স্বাতন্ত্র। এক হাজার বছর আগেকার ভাষা, পাচঁশো বছর৷ আগেকার ভাষা, এমনকি উনিশ শতকে প্রচলিত ভাষার সঙ্গে বর্তমান কালের ভাষা আলাদা। আবার ভৌগোলিক এলাকাভেদে বাংলা ভাষার নানা বৈচিত্র লক্ষ করা যায়। ভাষার এই আঞ্চলিক বৈচিত্র্যকে বলা হয় উপভাষা। 

বাংলা ভাষার নিজস্ব লিপি রয়েছে। এই লিপির নাম বাংলা লিপি। বাংলা লিপিতে মূল বর্নের সংখ্যা ৫০ টি, স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যাঞ্জনবর্ন ৩৯ টি। 

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে উপমহাদেশে ব্রাম্মী লিপির জন্ম হয়। ব্রাম্মী লিপির পুর্ব-ভারতীয় শাখা দশম শতক নাগাদ কুটিল লিপি নামে পরিচিত লাভ করে। বাংলা লিপি এই কুটিল লিপির বিবর্তিত রুপ। আহমিয়া, বোড়ো, মনিপুরি প্রভৃতি ভাষাও বাংলা লিপিতে লেখা হয়। সংস্কৃত এবং মৈথিলি ভাষা এক সময়ে এই লিপিতে লেখা হতো। 

বাংলাদেশের জীবনযাত্রার প্রায় সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যাবহারের বিষয়টি সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক।  এছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা প্রদেশের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা বাংলা। 



Friday, August 26, 2022

BANGLADESH এর পুর্নরূপ কী? Full Form of Bangladesh

BANGLADESH এর পুর্নরূপ কী? Full Form of Bangladesh

BANGLADESH এর তথাকথিত পূর্ণরূপ

B=Blood (রক্তে)

A=Achieve (অর্জিত)

N=Noteworthy (স্মরণীয়)

G=Golden (সোনালী)

L=Land (ভূমি)

A=Admirable (প্রশংসিত)

D=Democratic (গণতান্ত্রিক)

E=Evergreen (চিরসবুজ)

S=Sacred (পবিত্র)

H=Habitation (বাসভূমি)

অর্থাৎঃ

'রক্তে অর্জিত স্মরণীয়

সোনালী ভূমি, প্রশংসিত

গণতান্ত্রিক চিরসবুজ পবিত্র

বাসভূমি'।

পুলিশের পূর্ণরুপ অনেকে এভাবে লেখে-

>>P = Polite (নম্র, ভদ্র)

O = Obedient (বাধ্য, অনুগত)

L = Loyal ( বিশ্বস্ত)

I = Intelligent (বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান)

C = Courageous (সাহসী, নির্ভীক)

E = Efficient (দক্ষ) ...

অনেকে আবেগের ঠ্যালায় (!) এসব ভিত্তিহীন উত্তরে লাইক-কমেন্ট-আপভোটের বন্যা প্রবাহিত করে দেয়।

কেউ কি চাইলে B A N G L A / P O L I C E এর প্রতিটি অক্ষরের বিপরীতে একটি করে খারাপ শব্দ ধরে নিয়ে বদনাম/অপমান করতে পারবে না? পারবে তো। তাহলে?!

২০২২ সালে এসেও যদি এমন মূর্খতা থেকে মুক্ত হতে না পারি তাহলে এটি সত্যিই দুঃখজনক।

আমাকে যারা ধুয়ে দিতে আসবে তাদের জন্যও একবুক সমবেদনা।