Showing posts with label Bangla Grammar. Show all posts
Showing posts with label Bangla Grammar. Show all posts

Thursday, December 14, 2023

উপন্যাসের ধারণা ও সংজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

উপন্যাসের ধারণা ও সংজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

উপন্যাস গদ্যে লেখা এক ধরনের গল্প। মানুষ গল্প বলতে ভালোবাসে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই এটা চলে আসছে। মানুষ তখন মুখে মুখে বলত। লিখে রাখার চল ছিলোনা। পরে এরই ধারাবাহিকতায় আবির্ভার ঘটে উপন্যাসের। তবে উপন্যাস শুধু চোখে দেখা গল্প নয়, সেই সব ঘটনার সঙ্গে লেখকেরা নিজের ভাবনা, কল্পনাকে মিশিয়ে দিয়ে রচনা করেন উপন্যাস। উপন্যাসে তাই আমরা পাই ঐপন্যাসিকের জীবনানুভূতির প্রকাশ। এভাবেই উপন্যাস হয়ে উঠেছে এক ধরনের সৃষ্টিশীল রচনা।

উপন্যাসের ধারণা

মানুষ এরপর যখন লিখে রাখতে শেখে, তখনই আবির্ভাব ঘটে উপন্যাসের। পনেরো শতকে ছাপাখানার আবির্ভাবের পর বিলুপ্তি ঘটে গল্পকথকদের। শুরু হয় আধুনিক উপন্যাসের কাল। প্রথমে এই আধুনিক উপন্যাসের সুত্রপাত ঘটে ইউরোপে, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। শুরু হয় আধুনিক উপন্যাস লেখা।

শুরুতেই বলেছি, উপন্যাসে থাকে একটি প্রধান বা মুল গল্প। এই গল্পটি গড়ে তোলার জন্যে থাকতে পারে আরও কিছু পার্শ্বগল্প। ফলে, উপন্যাসের আকার সাধারনত ছোট হয় না, আবার এটি নিতান্ত ছোট গল্প ও নয়। তবে এর আকার কত টুকু হবে, মূল গল্পটি গড়ে তুলতে গিয়ে পার্শ্বগল্পের আশ্রয় নেওয়া হবে কিনা, এ বিষয়ে সাহিত্য তাত্ত্বিকগণ একমত হতে পারেন নি। এ. এম. ফাস্টার তার আসপেক্টস অব দ্যা নভেল গ্রন্থে বলেছেন, উপন্যাস হচ্ছে 'সুনির্দিষ্ট আয়তনের গদ্যকাহিনি'।

উপন্যাসের সংজ্ঞা

এই আয়তনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, উপন্যাসের শব্দসংখ্যা কমপক্ষে পঁচিশ হাজার হওয়া বাঞ্চনীয়। তবে এর সর্বোচ্চ সংখ্যা কত হবে, ফাস্টর সে সম্পর্কে কিছু বলেন নি। প্রখ্যাত ফরাসি ঐপন্যাসিক মার্সেল প্রুস্তের লেখা একটি উপন্যাসের (In Search of Lost Time) শব্দসংখ্যা বারো লাখের মতো। এটিই এ পর্যন্ত লেখা পৃথিবীর সবচেয়ে পড় উপন্যাস। লেভ তলস্তয়ের ওয়্যার অ্যান্ড পিসের শব্দসংখ্যাও অনেক - পাঁচ লাখ সাতাশি হাজারের মতো।

ইতালির বিখ্যাত নন্দনতাত্ত্বিক ও ঐপন্যাসিক উমবার্তো একো আবার সাত শব্দের এক বাক্যে রচিত একটি লেখাকে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম উপন্যাস বলে দাবি করেছেন শুধু আকার নয়, উপন্যাসের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধেও সাহিদ্য তাত্ত্বিকগণ একমত হতে পারেন নি। এর কাহিনি কিভাবে উপস্থাপন করা হবে, কাহিনির বিষয়-আশয় কী হবে, ভাষারীতির ধরন কেমন হবে- এসব বিষয়ে সাহিত্য তাত্ত্বিকগণ নিজেদের স্বাতন্ত্র প্রকাশের জন্য আলাদা আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন।

উপন্যাস সাধারণভাবে বড় ধারাবাহিক বা বৃহত্তর সময়ে বা স্থানে ঘটিত ঘটনাবল্ল মৌল্য নিয়ে সম্পর্কিত থাকে। এটি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে এবং চরিত্রগুলি কাহিনীটি বাস্তব ও ভাবনামূলক ভূত দেয়।

একটি ভালো উপন্যাস তার পাঠকদের উত্তেজনা এবং ভাবনার সাথে জড়িত করতে সক্ষম হতে হবে, এবং সামাজিক বা ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তার মূল ধারণা বোঝাতে হবে।




Tuesday, February 14, 2023

ব্যাকরণ কাকে বলে

ব্যাকরণ কাকে বলে

"ব্যাকরণ" একটি সংস্কৃত শব্দ যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করা। কোন ভাষাকে বিশ্লেষণ করলে সেই ভাষার উপকরণ এবং উপাদানগুলোকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করে ভাষার অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা সম্পর্কে জানা যায়। ব্যাকরণ ভাষার শৃঙ্খলা রক্ষা করে নিয়ম-কানুন প্রণয়ন করে এবং তা প্রয়োগের রীতি সুত্রবদ্ধ করে। সুতরাং, ব্যাকরণকে ভাষার আইন বলা যায়।

যে শাস্ত্রের সাহায্যে ভাষার স্বরূপ ও গঠণপ্রকৃতি নির্ণয় করে সুবিন্যস্ত করা যায় এবং ভাষা শুদ্ধরূপে বলতে, পড়তে এবং লিখতে পারা যায়, তাকে ব্যাকরণ বলে। প্রত্যেক ভাষার মতো বাংলা ভাষারও নিজস্ব ব্যাকরণ আছে।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, “যে শাস্ত্র জানলে বাংলাভাষা শুদ্ধরূপে লিখতে, পড়তে ও বলতে পারা যায় তার নাম বাংলা ব্যাকরণ। “ সব ভাষার ব্যাকরণের মতো বাংলা ব্যাকরণেও চারটি আলোচ্য বিষয় আছে। যেমন: ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology), শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology), বাক্যতত্ত্ব (Syntex) এবং অর্থতত্ত্ব (Semantics)



Saturday, May 7, 2022

বিশেষ্য পদ

বিশেষ্য পদ

বিশেষ্য পদ ছয় প্রকার:

১|সংজ্ঞা বা নামবাচক বিশেষ্য (prper Noun).

২|জাতিবাচক বিশেষ্য (common Noun).

৩|বস্তূ বা দ্রব্য বাচক বিশেষ্য (Metarial Noun).

৪|সমষ্টিবাচক বিশেষ্য (collective Noun).

৫|ভাববাচক বিশেষ্য (verbal Noun).

৬|গুণবাচক বিশেষ্য (Abstract Noun).

                               বিশেষ্য পদ                                                                 _ _____________

১. নামবাচক।            ২. জাতিবাচক।

৩. দ্রব্য বাচক।            ৪. সমষ্টিবাচক।

৫. ভাববাচক।              ৬. গুণবাচ।

১. নামবাচক বিশেষ্য: যে পথ দিয়ে কোন ব্যক্তির, ভৌগোলিক স্থান এবং গ্রন্থের নাম বিজ্ঞাপিত হয়, তখন তাকে নাম বাচক বিশেষ্য বলে ‌। যেমন:

(ক) ব্যক্তির নাম: মনি, অন্তর, অন্তরা, মনিরা।

(খ) ভৌগোলিক স্থান: ঢাকা, দিল্লি, লন্ডন, মক্কা।

(গ) ভৌগোলিক সংজ্ঞা: (নদী, পর্বত, সমুদ্র ইত্যাদি)                মেঘনা, হিমালয়, আরব সাগর।

(ঘ) গ্রন্থের নাম: গীতাঞ্জলি, অগ্নিবীণা, দেশেবদেশে,                               বিশ্বনবী।


২|জাতিবাচক বিশেষ্য: যে পদ্ম কোন প্রাণী বা পদার্থের নাম বোঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন:

মানুষ, গরু, ছাগল, পাখি, মাছ, পর্বত, নদী, ইংরেজ।

৩|বস্তুবাচক বা দ্রব্য বাচক বিশেষ্য: যে-পথ কোন উপাদান বাচক পদার্থের নাম বোঝায় তাকে বস্তুবাচক ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন:

  কলম, থালা, বাটি, মাটি, চাল, চিনি।

৪|সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: জেপদে অনেক কিছু সংখ্যক ব্যাক্তি বা প্রানীর সমষ্টি বোঝায় তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন:

  সভা, জনতা, সমিতি, পঞ্চায়েত, মাহফিল।

৫|ভাববাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ এ কোন ক্রিয়ার ভাব বা কাজ প্রকাশিত হয় তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন:

      গমন, দর্শন, ভজন, শয়ন, দেখা।

৬| গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য দ্বারা কোন বস্তুর দোষ গুণ নাম বোঝায় তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন:

     মধুরতা, তরল, তিক্ত, ভালো।