Showing posts with label Agricultural. Show all posts
Showing posts with label Agricultural. Show all posts

Sunday, April 23, 2023

ভালো উন্নত বীজ নির্বাচন

ভালো উন্নত বীজ নির্বাচন

বীজ একটি মৌলিক কৃষি উপকরণ। বীজের মাধ্যমে উদ্ভিদের বংশ বিস্তার ঘটে। উদ্ভিদ বিজ্ঞান অনুযায়ী পরিপক্ব নিশিক্ত ডিম্বককে (Mature Fertilized Ovule) বীজ বলে। আমরা জানি উদ্ভিদের অনান্য অঙ্গ ব্যবহার করেও বংশ বিস্তার সম্ভব। কৃষিতত্ত্ব এগুলোকেও বীজ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কৃষিবিদগণ কৃষিতাত্ত্বিক বীজ বলেন আর নিষিক্ত পরিপক্ব ডিম্বাককে বলা হয় সত্যিকার বীজ (True Seed) বা যৌন বীজ (Sexual Seed)। বীজের মাধ্যমে উদ্ভিদের অঙ্গ ব্যবহার করা হল্প তার গুণাগুন পরবর্তী বংশধরে প্রকাশ ঘটতে পারে। অপর দিকে যৌনে বীজে মাতা ও পিতা উভয়ের গুণের একটি যৌক্তিক মিশ্রণ নিয়মানুসারে ঘটে। এ ক্ষেত্রে অসুবিধা এই যে আত্মা-নিষিক্ত (Self fertilized) না হলে, মা গাছের সকল গুণাগুণ পরবর্তী প্রজন্মে নাও পাওয়া যেতে পারে। তবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দুইটি আলাদা জাতের (একই ফসলের) মধ্যে সংকরায়ন (Hybridization) ঘটিয়ে তৃতীয় জাত তৈরি করা যায় যাতে মাতার কিছু এবং পিতার কিছু ভালো গুণের সমাহার ঘটতে পারে। এইভাবে বীজের বংশগতিগত (Genetic) উন্নয়ন সম্ভব, যাকে বলা হয় সংকরায়ন।

কৃষক চাষাবাদের জন্য উন্নত গুণাগুণসম্পন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের উন্নত বীজ ব্যবহার করে লাভবান হতে চায়। কৃষি গবেষণা সংস্থাগুলো বীজ উন্নয়নের কাজ করে, বীজ প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ উন্নতজাতের বীজের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় এবং বি.এ.ডি.সি (BADC)-এর মতো রাষ্ট্রীয় কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিভিন্ন স্বীকৃত প্রতিনিধির মাধ্যমে কৃষকদের উন্নত বীজ সরবরাহ করে। চলতি কোনো ফসলের জাতের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কিছু কাঙ্ক্ষিত গুণের ভিত্তিতে ক্রমাগত বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও বীজের উন্নতি বা জাতের উন্নতি ঘটানো যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে উন্নয়নকে বলা হয় চয়ন-প্রজনন (Selection Breeding)। পর্যবেক্ষণ ও বাছাই এখানে মূল কৌশল। সংকরায়ণের পরও বেশ কয়েক প্রজন্ম (Generation) পর্যবেক্ষণ ও বাছাই করা হয়।

চাষি পর্যায়ে উন্নত বীজ নির্বাচনের আগে আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় নিতে হয় । যেমন-

  • চাষির কৃষি পরিবেশ অঞ্চলের জন্য ফসলের কোন কোন জাত উপযুক্ত।
  • ঐ জাতগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে কম সময়ে ফলন দেয়।
  • ঐ জাতগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে কম খরচে সবচেয়ে বেশি ফলন দিতে পারে ।
  • কোন জাতটির রোগ-বালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি ।
  • কোন জাতটির মাঠ পরিচর্যা সহজতর।

যদিও উচ্চ ফলনশীলতা উন্নত জাতের একটি বিশেষ গুণ। কিন্তু উন্নত জাতের বীজ হলেই উচ্চ ফলন পাওয়া নিশ্চিত হয় না, চাষির প্রয়োজন উন্নত জাতের ভালো বীজ। ভালো বীজের আরও কিছু ভালো গুণ থাকা প্রয়োজন যেমন-
  1. মিশ্রণহীন বীজ
  2. অন্তত ৮০% অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা সম্পন্ন
  3. চারার উচ্চমানের সতেজতা
  4. পরিচ্ছন্নতা
  5. সুস্থ বীজ (রোগজীবাণুর দূষণ ও সংক্রমণমুক্ততা)
সহজাতের ও বিশ্বাসযোগ্য পরীক্ষার মাধ্যমে বীজের উল্লিখিত গুণগুলো আছে কি না তা নির্ধারণ করা যায়। এই গুণগুলোর ঘাটতি থাকলেও যে কোনো বীজও উচ্চ ফলন দিতে ব্যর্থ হয়। তাই উন্নত ভালো বীজ নির্বাচন উচ্চ ফলন পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। বীজের অঙ্কুরোদগম এবং চারার সতেজতা পরিক্ষা:

উপরের চিত্রের ব্লটার পরীক্ষা এবং পেপার টাওয়েল পরীক্ষার মাধ্যমে বীজের অঙ্কুরোদগম এবং চারার সতেজতা নির্ণয় করা যায়। ব্লটার পরীক্ষায় একটি পেট্রিডিসের মধ্যে ব্লটিং পেপার বিছিয়ে পানি দিয়ে বীজ স্থাপন করে উপযুক্ত পরিবেশে রেখে বীজের অঙ্কুরোদগম পরীক্ষা করা হয়। একই ভাবে একটি ট্রের মধ্যে কয়েক স্তর নিউজ পেপার বিছিয়ে পানি দিয়ে ভিজিয়ে বীজ স্থাপন করে অঙ্কুরোদগম ঘটানো হয়। কয়েকদিন রেখে চারাগুলোর বৃদ্ধি পরীক্ষা করে বীজের তেজ বা চারার সতেজতা নির্ণয় করা যায়। অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা এবং চারার সতেজতা শতকরা হারে নির্ণয় করা যায়।

Monday, May 2, 2022

 কৃষিপণ্য (Agricultural products)

কৃষিপণ্য (Agricultural products)

কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা 2014 অনুযায়ী, 2012 -13  অর্থবছরের জিডিপি তে কৃষিখাতের অবদান প্রায় 13% । এ দেশের শ্রমশক্তির মোট 47 দশমিক 50 শতাংশ কৃষি খাতে নিয়োজিত । কৃষি খাতের প্রধান পূর্ণ হচ্ছে হিমায়িত খাদ্য , কাঁচা পাট , পাটজাত দ্রব্য , চা প্রভৃতি । 


                   বাংলাদেশের কৃষিজ ফসল                                        ¡____________________________¡

1/  খাদ্যশস্য ,( ধান , গম , ডাল , তেলবাজ ,  আলু , ভুট্টা , সবজি , ফলমূল )

2/ অর্থকারী ফসল ,( পাট , চা ,   ইক্ষু ,   তুলা , তামাক , ফুল )

                *  খাদ্য-শস্য ( food crops )*                      


 ধান ( rice ):   বাংলাদেশের খাদ্য শস্যের মধ্যে প্রধান হল ধান ।  এই দেশে আউশ , আমন ,  ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের ধান চাষ করা হয় । বাংলাদেশের সকল জেলায় ধান উৎপাদিত হয় ।  রংপুর , কমিল্লা , সিলেট , যশোর , কিশোরগঞ্জ , রাজশাহী ,  বরিশাল , ময়মনসিংহ , বগুড়া , দিনাজপুর , ঢাকা , ইত্যাদি অঞ্চলে ধান চাষ বেশি হয় ।


  গম (wheat):  বর্তমানে খাদ্যশস্যের প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই গম চাষ হয় । উত্তরাঞ্চলের জেলা কোন কোন চাষের জন্য উপযোগী । যেমন :  দিনাজপুর , রংপুর , পাবনা , রাজশাহী , কুষ্টিয়া , যশোর , বগুড়া ইত্যাদি অঞ্চলে গম চাষ অনেক ভালো হয় ।


                     অর্থকারী ফসল ( cash of comical  crops )

   যে সকল ফসল সরাসরি বিক্রির জন্য চাষ করা হয় তাকে অর্থকারী ফসল বলা ।

 পাট ( jute ):  পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল । বাংলাদেশের দুই প্রকার পাট চাষ করা হয় ,1/ দেশি  এবং 2/ তোষা  পাট । রংপুর , ময়মনসিংহ , ফরিদপুর , কুমিল্লা , ইত্যাদি অঞ্চলে পাট চাষ অনেক ভালো হয় ।


   চা (Tea):  বাংলাদেশের অর্থকরী ফসলের মধ্যে চা অন্যতম । পানি নিষ্কাশন বিশিষ্ট ঢালু জমিতে   চা  ভাল হয়  । মৌলভীবাজার , হবিগঞ্জ , সিলেটে সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে ।


 ইক্ষু ( Sugarcane):  চিনি,গুড় উৎপাদনের জন্য  বাংলাদেশে  ইক্ষু  গুরুত্বপূর্ণ ফসল । ইক্ষু চাষের জন্য সমতলভূমি এর প্রয়োজন । রাজশাহী , রংপুর , দিনাজপুর , পাবনা ,, ফরিদপুর, ইত্যাদি  ইক্ষু চাষের জন্য প্রধান অঞ্চল ।