ইন্টারনেট ও ওয়ার্ল্ড ওয়াড ওয়েবে মাধ্যমে যখন কোন ব্যাবহারকারী ইনফরমেশন সিস্টেমে ব্যাবহার করতে পারেন তখন সেই ইনফরমেশন সিস্টেমকে ওয়েব বেসড ইনফরমেশন সিস্টেম বলা হয়। এই ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থেকে ক্লায়েন্ট বিশ্বের যে কোন জায়গায় বসে এই ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যাবহার করতে পারেন। এই সিস্টেমে ওয়েব এনাবেল্ড ডেটাবেজ ব্যাবহার করা হয়। ইন্টারনেট ক্লায়েন্ট যখন কোন ইনফরমেশনের অনুরোধ পাঠায়, ওয়েব সার্ভার সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে ক্লায়েন্টের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার যাচাই করার পর বৈধ ক্লায়েন্ট হলে তখন কাংখিত তথ্য ক্লায়েন্টকে পাঠায়।
ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারে রাখা হয়। ওয়েব সার্ভার ও ডেটাবেজ সার্ভারের মাঝে অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারের অবস্থান থাকে। ব্যাবহারকারী ওয়েব সার্ভারের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারের ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যাবহার করে থাকে। ওয়েব বেসড ইনফরমেশন সিস্টেমের নিচের চত্রটি লক্ষ্যণীয়।
বর্তমানে ওয়েব বেসড ইনফরমেশন সিস্টেমের ব্যাপক ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েব বেসড ডেটাবেস রয়েছে যাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এ সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য ব্যানবেইস তৈরি করেছে ওয়েব বেসড ডেটাবেজ।
ওয়েব বেসড ইনফরমেশন সিস্টেমের সুবিধা কী কী?
- ইন্টারনেট সংযুক্ত থেকে বিশ্বের যে কোন যায়গা থেকে ওয়েব বেসড ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যাবহার করা যায়।
- সব সময় এই ইনফরমেশন সিস্টেমে ডেটা আপডেটের বা হালনাগাদ করা অবস্থাত্য থাকে।
- ইনফরমেশন সিস্টেমে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যাবহারকারীর মতামত পাওয়া যায়। ফলে ব্যাবহারকারীরা চাহিদা অনুসারে সিস্টেমকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা সহজতর হয়।
- অনলাইনে সিস্টেমের মেইনটেন্যান্স করা যায়।
- স্মার্ট মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও এই সিস্টেম ব্যাবহার করা যায়।
ওয়েব বেসড ইনফরমেশন সিস্টেমের অসুবিধা কী কী?
- সার্বক্ষণক নিরাপত্তাজনিত ঝুকিতে থাকে। যে কোন সময় হ্যাকারদের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- ইন্টারনেট সংযোফ ব্যাতীত দূরবর্তী স্থান থেক এই ওয়েব বেসড ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যাবহার করা যায় না।
- নেটওয়ার্ক অবকাঠামো, ব্যাবহারকারীর সংখ্যা, সার্ভার ও সফটওয়্যারের কার্যক্ষমতার উপর সিস্টেমের দক্ষতাত নির্ভর করে।