Showing posts with label আন্তর্জাতিক. Show all posts
Showing posts with label আন্তর্জাতিক. Show all posts

Monday, February 13, 2023

স্বর্ণের দাম এত বেশি কেন? স্বর্ণ এত দামি কেন?

স্বর্ণের দাম এত বেশি কেন? স্বর্ণ এত দামি কেন?

গোল্ড বা স্বর্ণ প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের সম্পদ, অলংকার এবং বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে আসা একটি মুল্যবান ধাতু! সময়ের সাথে সাথে গোল্ডের ব্যাবহারে নানান পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে গোল্ড অলংকারের পাশাপাশি ব্যাংকিং ও ফাইনান্স এমনকি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসেও ব্যাবহার করা হচ্ছে। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৪ হাজার টনের বেশি গোল্ডের ডিমান্ডের বিপরীতে সাপ্লায়ের পরিমাণ ছিলো প্রায় ৪ হাজার ৭০০ টন। কিন্তু ডিমান্ডের তুলনায় সাপ্লায়ের পরিমাণ বেশি থাকা সত্তেও, গোল্ড প্রাচীনকাল থেকেই অনেক এক্সপেন্সিভ একটি মেটাল। বর্তমানে ১ গ্রাম গোল্ডের দাম প্রায় 60$ ডলার, অর্থাৎ প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দারায় প্রায় 670$। 

অন্যদিকে বাংলাদেশে ২২ কেরেটের প্রতি ১ গ্রাম গোল্ডের দাম প্রায় ৭৫০০/- টাকা। অর্থাৎ প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম, প্রায় ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার টাকা)। সে তুলনায় ২২ কেরেটের প্রতি ভরি রুপার দাম মাত্র ১৫০০ টাকা (এক হাজার পাচশত টাকা) কিন্তু আদোতে স্বর্ণের দাম কেন এত বেশি? 

স্বর্ণের দাম এত বেশি কেন?

প্রাচীন মিশরীয়রা গোল্ডকে দেবতার শরীরের অংশ হিসেবে বিশ্বাস করত! আবার ESTEC এর মতে ইশ্বরের ঘাম থেকে গোল্ডের উৎপত্তি হয়েছিল। গোল্ড নিয়ে যুগে যুগে বিভিন্ন সভ্যতায় ভিন্ন মতে প্রচলন থাকলেও, আধুনিক বিজ্ঞান অনুসারে অন্যান্য হেভি মেটাল গুলোর মত মহাকাশে নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছিলো। যা পৃথিবী সৃষ্টির প্রায় ২০ কোটি বছর পর, উল্কার সাথে ভূপৃষ্ঠে পৌছায়। পরবর্তীতে পৃথিবীর ফর্মেশনের সময় এই গোল্ড, অন্যান্য মেটাল যেমন- লোহা, এ্যালুমিনিয়াম, কোপার এবং রুপার সাথে সাথে ভূপৃষ্ঠের অভ্যান্তরে পৌছে যায়। খ্রিষ্ট পুর্ব ২৪৫০ সালে প্রাচীন মিশরে (Egypt) প্রথম গোল্ড পাওয়া যায়। এবং ধাতুটির উজ্জ্বল রঙের কারণে, মিশরীয়দের কাছে তখন থেকে মুল্যবান একটু ধাতু হিসেবে ব্যাবসা বানিজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন অর্নামেন্ট তৈরির কাজেও গোল্ড ব্যাবহার করা হতো।

World Gold Counsil এর মতে প্রাচীনকাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভুগর্ভ থেকে উত্তলিত গোল্ডের পরিমাণ ২ লক্ষ টনেরও বেশি, যা বিশ্বের মোট গোল্ডের ৩ ভাগের ২ ভাগ। বর্তমানে চীন, রাশিয়া, কানাডা, ইউএসএ, খানা এবং মেক্সিকোতে সব চেয়ে বেশি স্বর্ণ প্রডিউস করা হয়। ২০২১ সালে ৩৩২ টোন বা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৯% স্বর্ণ উতপাদন করে চীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ গোল্ড প্রডিউসার ছিলো। 

চীন ছাড়াও রাশিয়া ৩৩০ টন,, অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৩১৫ টন, এবং কেনাডা ১৯২ টন গোল্ড উৎপাদন করে। উৎপাদন দিক থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ  অবস্থানে রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ প্রার্থনা করার জন্য বানানো মুর্তি থেকে শুরু করে জুয়েলারি হিসেবে গোল্ডের ব্যাবহার করে এসেছে। এরপর ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে গোল্ডের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে কাগজের নোটের ব্যাবহার বাড়তে থাকলে, একটা সময় গোল্ড বিশ্বের কারেন্সি গুলোর ভিত্তি হয়ে ওঠে। যাকে মূলত গোল্ড স্টান্ডার্ড বলা হয়ে থাকে। 



Saturday, August 27, 2022

এশিয়া মহাদেশে মোট কয়টি দেশ আছে? এশিয়া মহাদেশের দেশ কয়টি

এশিয়া মহাদেশে মোট কয়টি দেশ আছে? এশিয়া মহাদেশের দেশ কয়টি

এশিয়া মহাদেশ। বিশ্বের সব থেকে বড় একটি মহাদেশ! এই মহাদেশে অবস্থিত আছে প্রায় ৫০ টি দেশ। যেখানে এশিয়াসহ পৃথিবীর ৭ টি মহাদেশ মিলে দেশ আছে ১৯৫ টি। সুতরাং পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ যায়গা জুরে আছে এই এশিয়া মহাদেশটি।

এশিয়া মহাদেশের দেশ কয়টি, এশিয়া মহাদেশের দেশ কয়টি ও কি কি, এশিয়া মহাদেশের দেশ কয়টি কি কি


আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো এশিয়ায় অবস্থিত ৫০ টি দেশের কথা। এবং প্রত্যেকটা দেশের পতাকা আমাদের বানানো পোস্টারে দেখতে পারবেন। 

এশিয়া মহাদেশের দেশ কয়টি

প্রথমেই শুরু করা যাক এশিয়া মহাদেশের সেন্ট্রাল দেশ কোন গুলো।

এশিয়ার সেন্ট্রাল দেশ?  

এশিয়ার সেন্ট্রাল বা কেন্দ্রিয় সকল দেশ নিম্নে লিস্ট দেওয়া হলো-
  1. Tajikistan
  2. Uzbekistan
  3. Kazakhstan
  4. Turkmenistan
  5. Kyrzistan
বলা হয়ে থাকে এই দেশগুলো এশিয়ার কেন্দ্রিয় দেশ।

দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ায় কোন কোন দেশ অবস্থিত?

দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ায় যেই দেশগুলো অবস্থিত নিম্নে তার লিস্ট দেওয়া হলো-
  1. Brunei
  2. Colombia
  3. Laos
  4. Indonesia
  5. Malaysia
  6. Mayanmar
  7. Philippines
  8. Singapore
  9. Thailand
  10. Timor Leste
  11. Vietnam
উপরে উল্যেখিত দেশগুলো দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ার দিকে অবস্থিত।

পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য দেশ কোনটা কোনটা?

পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলো হলো-
  1. Georgia
  2. Armenia
  3. Azerbaijan
  4. Turkey
  5. Cyprus
  6. Syria
  7. Iraq
  8. Oman
  9. Yemen
  10. Kuwait
  11. Bahrain
  12. Qatar
  13. Lebanon
  14. Saudi Arabia
  15. Iran
  16. Israel
  17. Jordan
  18. United Arab Emirates
এবারে দেখা যাক পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো

পূর্ব এশিয়াইয় কোন কোন দেশ অবস্থিত?

  1. China
  2. Mongolia
  3. North Korea
  4. South Korea
  5. Japan
  6. Hongkong
  7. Taiwan
  8. Macau
এবারে জানবো দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত দেশ কোন গুলো?

দক্ষিণ এশিয়া অবস্থিত দেশ

  1. Bhutan
  2. Nepal
  3. Maldives
  4. Sri Lanka
  5. Bangladesh
  6. India
  7. Afghanistan
  8. Pakistan
এই হলো এশিয়ায় অবস্থিত সব গুলো দেশ, এবং এর মধ্যে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ায়। অর্থাৎ আমরা দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দা!

এশিয়া মহাদেশের দেশ কয়টি

নিম্নে দেখানো ছবিতে এশিয়ার প্রত্যেকটা দেশের পতাকা ও নাম দেওয়া আছে। আপনি চাইলে এটা ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। 



Friday, August 26, 2022

BANGLADESH এর পুর্নরূপ কী? Full Form of Bangladesh

BANGLADESH এর পুর্নরূপ কী? Full Form of Bangladesh

BANGLADESH এর তথাকথিত পূর্ণরূপ

B=Blood (রক্তে)

A=Achieve (অর্জিত)

N=Noteworthy (স্মরণীয়)

G=Golden (সোনালী)

L=Land (ভূমি)

A=Admirable (প্রশংসিত)

D=Democratic (গণতান্ত্রিক)

E=Evergreen (চিরসবুজ)

S=Sacred (পবিত্র)

H=Habitation (বাসভূমি)

অর্থাৎঃ

'রক্তে অর্জিত স্মরণীয়

সোনালী ভূমি, প্রশংসিত

গণতান্ত্রিক চিরসবুজ পবিত্র

বাসভূমি'।

পুলিশের পূর্ণরুপ অনেকে এভাবে লেখে-

>>P = Polite (নম্র, ভদ্র)

O = Obedient (বাধ্য, অনুগত)

L = Loyal ( বিশ্বস্ত)

I = Intelligent (বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান)

C = Courageous (সাহসী, নির্ভীক)

E = Efficient (দক্ষ) ...

অনেকে আবেগের ঠ্যালায় (!) এসব ভিত্তিহীন উত্তরে লাইক-কমেন্ট-আপভোটের বন্যা প্রবাহিত করে দেয়।

কেউ কি চাইলে B A N G L A / P O L I C E এর প্রতিটি অক্ষরের বিপরীতে একটি করে খারাপ শব্দ ধরে নিয়ে বদনাম/অপমান করতে পারবে না? পারবে তো। তাহলে?!

২০২২ সালে এসেও যদি এমন মূর্খতা থেকে মুক্ত হতে না পারি তাহলে এটি সত্যিই দুঃখজনক।

আমাকে যারা ধুয়ে দিতে আসবে তাদের জন্যও একবুক সমবেদনা।



Wednesday, August 10, 2022

বাংলাদেশী টাকার মান কমছে কেন? ডলারের বিপরীতে টাকার মান কেন কমছে?

বাংলাদেশী টাকার মান কমছে কেন? ডলারের বিপরীতে টাকার মান কেন কমছে?

বর্তমানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রতিদিনি কমছে সেই সাথে খোলা বাজারের মুল্য ছাড়িয়েছে ১৫০+ টাকা, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে আদোতে কেন ডলারের বিপরীতে টাকার মান এত কেন কমছে। সুতরাং সবাইকে মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেলটি পরার জন্য অনুরোধ করা হলো, আজকের এই আর্টিকেলে ইন্টারন্যাশনাল কিছু তথ্য তুলে ধরা হবে যার মাধ্যমে বিশ্বের ডলারের দাম নির্ধারন করা হয়। 

{getToc} $title={Table of Contents}


আন্তর্জাতিক বাজারে মুল্যস্মৃতির কারণ কি?


বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ রেট অনুযায়ী প্রতি ডলার ৯৪-৯৫ টাকা করে বিনিময় করা হচ্ছে। অন্যদিকে খোলা বাজার বা Kerb Market Exchange Rate প্রতি ডলার ১০০-১০৫ টাকা দরে বিনিময় করা হচ্ছে। এমনকি জুলাই মাসের শেষের দিকেও  Kerb Market প্রতি ডলার ১০৫-১২০ টাকা পর্যন্ত বিনিময় করা হয়েছিলো। যদিও এক বছরে আগেও ২০২১ সালের জুলাই মাসেও প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ছিলো ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। এক বছরের ব্যাবদানে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যবান হারিয়েছে ১০ শতাংশ। অথচ ২০১২ থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ৯ বছরে টাকার মান হারিয়েছিলো মাত্র ৩.৩৭ শতাংশ।

শুধু টাকাই নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান থেকে শুরু করে UK, Germany সহ বিশ্বের শীর্ষ ইকোনমি গুলোর কারেন্সিও US Doller এর বিপরীতে নিজেদের মূল্যবান হারিয়েছে। যেমন UK এর Pound Sterling ও Euro এমেরিকান ডলারের বিপরীতে গত এক বছরে মূল্যবান হারিয়েছে। Pound Starling -১৪.২৯ শতাংশ, ও Euro -১৫.৮ শতাংশ। 


কি কারণে ডলারের বিপরীতে বিশ্বের বেশিরভাগ কারেন্সি মূল্যবান হারাচ্ছে?

বিশ্বের ইকোনোমির অবস্থাঃ- ২০২০ সালে শুরু হওয়া পেন্ডামিকের প্রভাবে বিশ্বের উতপাদন এবং আমদানি রপ্তানি মুখি সকল কার্যক্রম চরমভাবে বাহত হয়েছে। যার কারণে বিশ্বব্যাপী Inflation বাড়ছিলো। Inflation বা মুদ্রারস্মৃতি মূলত সময়ের সাথে সাথে মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতাকে হাড়ানোকে বোঝায়। পেন্ডেমিকের কারণে বিশ্বের প্রতিটি ইকোনোমি স্ট্রিমুলেজ প্যাকেজ বা আর্থিকভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনীতির গতিকে  সচল রাখতে গিয়ে একোনোমিতে মানি সাপ্লাই বাড়িয়ে ফেলেছিলো! যার কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়ে গিয়েছিলো। কিন্তু পেন্ডামিকের কারণে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন বাহত হওয়ায় পর্যাপ্ত পণ্যের যোগান না থাকায় Inflation Rate ক্রমাগত বাড়ছিলো। 

২০২১ সালের শেষ থেকে ২০২২ শুরুর দিকে বিশ্বের ইকোনোমি গুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করলেও ফেব্রুয়ারি মাসে রাশীয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ লেগে বসে। যার কারণে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন আরেক দফা বাহত হয়! এই যুদ্ধের প্রভাবে তেল ও জ্বালানি সেক্টরের পাশাপাশি গম, ভুট্টা, বারলি, সানফ্লাওয়ার সিড ও তেল সহ নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম ও ফসফরা ষার সহ বিভিন্ন মূল্যবান মেটাল ও মিনেরালের সাপ্লাই চেইন বাহত হচ্ছিলো। তবে এসব কিছুর মধ্যে তেল ও গ্যাসের সাপ্লাই বাহত হবার কারণে তেল ও গ্যাসের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এছাড়াও কৃষি পণ্য ও ষারের সাপ্লাই চেইন বাহত হওয়ায়  বিশ্বব্যাপী ফুড স্যাফটি নিয়ে তৈরি হয়েছে সজ্ঞা।

যার কারণে বিশ্বের সব দেশেরই জীবন যাত্রার ব্যায় তরতর করে বেড়ে যাচ্ছিলো। 

ডলারের পরিবর্তে টাকার দাম কমার মূল কারণ

US এ তে ২০২২ সালের মে মাসে Inflation Rate 8.5% বেড়ে যায় যা ১৯৮১ সালের পর দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ। দেশটির লেটেস্ট কনসিউমার প্রাইস ইনডেক্স (Consumer Price Index)  যা মুলত বিভিন্ন পণ্য ও সার্ভিসের দাম ইন্ডিকেট করে। তা ফেব্রুয়ারি মাসে ৭.৯% শতাংশ গিয়ে পৌছেচে। যা দেশটির গত ৪০ বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ এনুয়াল ইনফ্লেশন রেট (Inflation Rate)। এছাড়াও মার্চ মাসে দেশটির Gasoline Index Inflation Rate  বেড়ে দারিয়েছে ১৮.৩ শতাংশ, অন্যদিকে Food Index Inflation Rate গত ১২ মাসের তুলনায় ৮.৮ শতাংশ বেড়েছে। যার প্রেক্ষিতে দেশটির ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম (Federal Reserve System) বা কেন্দ্রিয় মনিটারিং পলিসি মেন্টররা ইন্টারেস্ট বাড়ানোর সিদ্বান্ত নেয়, এবং এর পর থেকেই বিশ্বের অন্যান্য কারেন্সি গুলো US Doller এর বিপরীতে নিজেদের মুল্য হারাতে থাকে। 

২০২১ সালের আগস্ট মাসে ১ ডলারের বিপরীত্তে শ্রীলংকান রুপি ছিলো ১৯৯ রুপি, যা গত ১ বছরে বেড়ে দারিয়েছে  ৩৬০ রুপিতে।  

বাংলাদেশী টাকার মান কম?

The Daily Star এ প্রকাশীত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভার্নরের একটি আর্টিকেল সুত্রে বাংলাদেশে বর্তমানে Trade Deficit আছে ২৫ বিলিয়ন ডলার। এবং কারেন্ট অ্যাকান্ট Deficit আছে ১৪ বিলিয়ন ডোলার। এছাড়াও এই অর্থবছরে রেমিটেন্স আশার হার ১৮% কমে গিয়েছে। যার কারনে দেশের ফরেন এক্সেঞ্জে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকার ভ্যালুকে সম্মনত রাখতে রিজার্ভ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার রিলিজ করে দিয়েছে ফলস্রুতিতে ফরেন রিজার্ভ কমে দারিয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলারে। 



Tuesday, August 9, 2022

Padma Bridge Paragraph for All Student

Padma Bridge Paragraph for All Student

The longest bridge in Bangladesh is the Padma Multipurpose Bridge.  This dream Padma Bridge biggest project implemented by Bangladesh without any foreign aid. It is the largest project in the country and will be the longest bridge in the country after construction. The bridge is being constructed with concrete and steel. The length of the main bridge is 6.15 km and 18.18 metre wide bridge has a total of 42 pillars and 41 spans have been placed on the pillars. Each of the pillars is 150 metre long. The bridge connecting  Mawa in Munshoganj District to Jajira in Shariatpur District has two layers it has four-lan road at the top and a railway at the bottom.  The Padma Bridge will be used for rail, powerline, gas or fiber optic cable expansion in the future.  The complete design of the Padma Multipurpose Bridge was formed by a team of international  and national consultants led by ECOM. A company called China Major Bridge, a subsidiary of China Rail Way Group Limited.

has been contracted to the build the bridge. Construction began on December 6, 2014, and by November 2020 , 92% of the bridge was completed. The project will directly benefit more than 30 million people (44,000 sq km which is 29% of the total area of Bangladesh). Completion if the bridge at a cost of over 30,000 crore will make a significant contribution to the social, economic and industrial development tof the southern part of Bangladesh. The bridge will play an important role in  regional connectivity between Asia and Southeast Asia. 

The Padma Bridge, the dream of the people of Bangladesh, is on the way to be realized today. Although the World Bank and Donors withdraw due to allegations of corruption the Bangladesh government did not back down. The government decided to build the bridge with is own funds. It will benefit about 3 crore people across 21 south-western district s of Bangladesh. The Padma Bridge is supposed to increase the GDP of the country by more than 1(one) percent I will play an important role in the economy of our country. The bridge is a pride for our nation.



Wednesday, July 27, 2022

বাংলাদেশ হতে চলেছে দেউলিয়া

বাংলাদেশ হতে চলেছে দেউলিয়া

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এর কাছে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে। জাপানের কাছে চেয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ। 

২৬ শে জুলাই কার্ব মার্কেটে ১ ডলার ১১৪ টাকা কিনতে হচ্ছে। দেশের ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ খাতে ২৫ শতাংশ ও জ্বালানি খাতে ২০ শতাংশ ব্যয় কমানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মোটর সাইকেলে একবারে ৪০০ টাকার বেশি তেল ক্রয় করা যাবে না বলে পেট্রোল পাম্পগুলোতে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ১ সপ্তাহে পূর্বে চট্টগ্রামের ইউরিয়া সারকারখানা বন্ধ হবার পর গতকাল থেকে দেশের সবচেয়ে বড় ইউরিয়া সার কারখানা জামালপুরের যমুনায়ও উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

খরচ কমাতে কাগজের উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করার নির্দেশ। (যুগান্তর)

এছাড়াও দেশের অর্থনীতিতে ঘাটতি পরেছে এরকম উল্যেখ যোগ্য কিছু কারণ হচ্ছে।

  1. ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসি আয়ের প্রবিদ্ধি -১৫.১২%
  2. ৯ বছরের মধ্যে সর্বচ্চ মুল্য স্রিতি ৭.৬৫%+
  3. ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি ৩০,০৮১ কোটি ডলার। 
  4. ৫০ বছরে সর্বোচ্চ চলতি হিসেবে ঘাটতি ১,৭২৩.৩০ কোটি ডলার
  5. রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ৩০,০০০ কোটি টাকা (সাময়ীক হিসেবে)
  6. বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার রিলিজ হওয়ায় আর আছে ৪০ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়াও দেশের জ্বালানি ক্ষাতেও দেখা দিয়েছে সংকট। আগস্ট মাসের ৬ তারিখ রাত ১২ টার পর থেকে অর্থাৎ ৭ তারিখ থেকে বাংলাদেশ সরকার অকটেন, ডিজেল, কিরোসিন ও পেট্রোলের দাম বাড়ায়। যার পুর্বের দাম ও নতুন দান নিচে দেওয়া হলো।


সিলেট বিভাগে দিনে ১৩ ঘণ্টার লোড শেডিং এর তালিকা। বর্ষায় এবার বৃষ্টি না হওয়ায় ধান উৎপাদন কমবে আগের তুলনায় অনেক। আপনি অন্ধ, তাই বলে প্রলয় বন্ধ থাকবে না। কম খাওয়া, কম ভোগ, নিজের সাথে আপোষের পর সামনে আসছে কঠিন দুঃসময়ের দিন। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, লাওস, মিয়ানমারের সাথে যেন সিংগাপুর এক কাতারে না যায়, সেজন্য ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি বলে উন্নয়নের পথে আগ বাড়াই।


Saturday, July 23, 2022

ইলন মাস্ককের জন্য টুইটার ক্ষতি গ্রস্ত

ইলন মাস্ককের জন্য টুইটার ক্ষতি গ্রস্ত

চলতি বছরের এপ্রিলে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বিশ্বের এই শীর্ষ ধনীর সঙ্গে টুইটার বিক্রির চুক্তিতে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি এপ্রিল ও জুন মাসে ৩৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।

টুইটার জানিয়েছে, মাসিক দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৩৭ মিলিয়ন ছাড়ালেও তাদের নেট লোকসান ২৭০ মিলিয়ন ডলার, যা তাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল। এপ্রিল থেকে জুনে টুইটারের রাজস্ব ১ শতাংশ কমে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার হওয়ার ধারণা করছিলেন বিশ্লেষকরা।

গত বছরের একই সময়ের ৩০ মিলিয়ন ডলার অপারেটিং মুনাফার তুলনায় কোম্পানিটি ৩৪৪ মিলিয়ন ডলারের অপারেটিং লোকসান করেছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে টুইটারের আয় ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত ১২ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৪৫ শতাংশ কমেছে।


আয়ের বিবৃতিতে টুইটার হতাশাজনক ফলাফলের জন্য ‘ম্যাক্রোএনভায়রনমেন্টের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞাপন শিল্পের হেডওয়াইন্ডের পাশাপাশি টুইটার অধিগ্রহণের মুলতবি হওয়া চুক্তিটিকে দায়ী করেছে।

ফরেস্টার ফার্মের বিশ্লেষক মাইক প্রউলক্স বলেন, সব নাটকের আসল শিকার হচ্ছে টুইটার নিজেই।

এর আগে ১২ জুলাই টুইটার মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাস্ক টুইটারের সঙ্গে যাচ্ছেতাই আচরণ করেছে। সে ভাবছে চাইলেই যখন-তখন কোনো চুক্তি বাতিল করা যায়, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায়, কোম্পানির স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটানো যায় ও রাতারাতি কথা বদলে চুক্তি বাতিল করা যায়। মাস্কের এ ধরনের আচরণ ন্যায়সংগত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। 

যারা ভাবছেন ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নিয়েছে। তাদের উদ্যশ্য করে বলছি, এলন মাস্ক টুইটার কিনতে চেয়ে ছিলেন এবং ঘোষণা দিয়েছিলো। তবে পরবর্তিতে তা স্তঘিত করেছেন।

সুত্রঃ BBC News


মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারন করা হয়?

মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারন করা হয়?

স্যামসাং, সিমফোনি, হুয়াওয়ে, সাওমি, ভিভোর মত নামিদামি মোবাইল কোম্পানি গুলো সব ধরনের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে সাধারণত তাদের ফোনগুলো বাজারজাত করে থাকে। একদম কম দাম থেকে মধ্যম দামে এবং সবদিক থেকে উন্নত বেশি দামেও মোবাইল ফোন তারা বাজার জাত করে থাকে। তবে অ্যাপল কোম্পানি একটু আলাদা! তারা সবসময় অভিজাত শ্রেণিকে লখ্য করেই বেশি দামে স্মার্টফোন তৈরি করে থাকে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে একটি মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারণ করা হয়। 

একটি স্মার্টফোন তৈরির আগে প্রথমেই এটির ফিচার ও ডিজাইন কেমন হবে সেই সমস্ত বিষয়গুলো জানার জন্য প্রচুর গবেষণার প্রয়োজন হয়। এজন্য মোবাইল কোম্পানিগুলোর রিচার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট টিম রয়েছে এখানে সদস্যদের উপর কোম্পানি গুলোর আলাভাবে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তবে একটি স্মার্টফোনের মুল্য সবিচেয়ে বেশি নির্ভর করে এর যন্ত্রাংশের উপর। এ অংশগুলো আলাদা ভাবে তৈরি করতে হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এসব আলাদা যন্ত্রাংশগুলো এক সাথে যুক্ত করা হয়।

মোবাইল ফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর ক্যামেরা। সনি এবং স্যামসাং বাজারের অধিকাংশ ক্যামেরার সেন্সর তৈরি করে থাকে। একটি স্মার্টফোন তৈরির ক্ষেত্রে তৈরিকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সেন্সর কিনে মিতে হয়। এছাড়াল মোবাইল ফোনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর ডিস্পলে, ডিস্পলেও মোবাইল কোম্পানিগুলো নিজেরা তৈরি করেনা বরং তৃতীয় কোন কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নেয়। এছাড়াও র‍্যাম, স্টোরেজ, প্রসেসর, ব্যাটারি, টাচস্ক্রিন ইত্যাদি সার্কিটবোর্ডসহ অন্যান্য অনেক যন্ত্রাংশ স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো অন্য কোন প্রস্তুত কৃত কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নেয়।

স্মার্ট উৎপাদনের সময় একটি বিশাল অংক ব্যায় হয় এর যন্ত্রাংশ ক্রয়ের খ্যাতে। যন্ত্রাংশ ক্রয়ের পর কোম্পানিগুল নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে এসব যন্ত্র দিয়ে স্মার্টফোন তৈরি হয়ে থাকে। ফ্যাক্টরি চালানো এবং ফোন উৎপাদন করার জন্য যেই কর্মচারী রাখা হয় তাদের পেছনে উৎপাদনের একটি অংশ খরচ হয়। অধিকাংশ স্মার্টফোন উৎপাদন কারীর কারখানা স্বাধারনত চীনে প্রতিষ্টা করা হয়েছে। কারন সেখানে তুলনামূলক কম মুজুরি দিয়ে দক্ষ শ্রমিক সহজে পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও বর্তমান কোম্পানি গুপো ভারতেও স্মার্টফোন তৈরিতে আগ্রহী হয়েছে। 

নতুন কোন স্মার্টফোন বাজারে আনার পুর্বে প্রমশন করতে হয়। বিজ্ঞাপন করার জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় তারকাদের পেছনে খরচ করতে হয় টাকা। এছাড়াও কোম্পানি গুলো গভার্মেন্ট ভ্যাট/টাক্স দেওয়া লাগে।   এতসব খরচের সাথে একটি নির্দিষ্ট অংকের মুনাফা যোগ করে মূলত স্মার্টফোনের মূল্য নির্ধারন করা হয়। 

তবে সব কোম্পানির নির্দিষ্ট একটি বিক্রয় লখ্য থাকে। তারা সেই লখ্য অর্জন করতে পারলে তাদের উতপাদন খরচ ও পর্যাপ্ত মুনাফা  লাভ করে। তাই লখ্য অর্জন করার পর। অধিকাংশ মোবাইলের ফোনের দাম উল্যেখ যোগ্য ভাবে হ্রাস পায়। 



Monday, July 18, 2022

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন পোশাক তৈরি করেনা? ইউরোপ ও আমেরিকা জামা কাপড় তৈরি করেনা কেন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন পোশাক তৈরি করেনা? ইউরোপ ও আমেরিকা জামা কাপড় তৈরি করেনা কেন?

আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ ইউরোপীয় সকল দেশগুলো চাইলে আমাদের থেকে ভালো জামা কাপড় তৈরি করতে পারে। আমাদের থেকেও ঝকঝকে কাপড় বানিয়ে রপ্তানি করতে পারে। আর্মস্টেক প্রোডাক্ট বিক্রি করে বিলিয়ন ডলার আয় করলেও নিজেরা কাপড় কেন বানায় না জানেন? জানলে আপনি বুঝবেন আমরা কতটা বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি দোহর করিয়ে রেখেছি।  তাহলে চলুন জানা যাক

আমেরিকানরা কেন জামাকাপড় তৈরি করেনা?

বাংলাদেশে একজন গার্মেন্ট শ্রমিকের বেতন ৫ হাজার থেকে ১০-১২ বা ১৫-২০ হাজার টাকার আশে পাশে, তাকে ভরে ঘুম থেকে জাগতে হয়, কিসের কি রান্না করে খেলো তার আগেই পীপড়ার মত দল বেধে গার্মেন্ট গুলোতে ঢুকে পরে। বিকেল পর্যন্ত বা দুপুরের লাঞ্চ টাইপ পর্যন্ত সবাই রবটের মতন কাজ করে। আগে বনাস ছিলোনা, এখন কেউ কেউ দেয়! আগে বেতনটাও ঠিকঠাক দিতনা, এখন হয়ত সবাই পাচ্ছে। এই (ভয়ংকর) দৈনিক মুজুরি, শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনি চলে। কোন ডে অফ নাই, কোন ছুটি নাই। গার্মেন্টস শ্রমিকরা দুই ঈদে লোকাল বাসে বা ট্রেনে করে বাড়িতে ফিরে। সবার শেষে যায় এবং সবার আগে ফেরে। বছরের অন্য সময় তাদের গ্রামের বাসায় তারা ভুলেও ফিরে যায়না। তারা বাচ্চা জন্ম দিতে ভয় পায়, দেখবে কে? সামি স্ত্রী ভর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে। যদি ভুলেও বাচ্চা জন্ম হয় গ্রাম থেকে তাদের মায়েরা চলে আসে! ছোট্ট ঘরে বাচ্চাদের বেড়ে উঠতে হয় দাদি নানির কোলে। সামি স্ত্রীর সন্তানদের সাথে আরেকটা বৃদ্ব্য মানুষের জীবন বন্দি হয়ে যায়, অথবা দুধ ছাড়াও পর বাচ্ছাদের গ্রামের বাসায় দাদি বাড়িতে পাঠানো হয়।  

যারা এই গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে চাকড়ি করেন, তাদের বাসা থেকে সবাই আসা বাদি- সামি স্ত্রী কাজ করে হয়ত একদিন গ্রামে টাকা নিয়ে ফিরবেন এবং ভালো একটি ব্যাবসা বাণিজ্য করবে এবং নিজ গ্রামে কাটিয়ে দিবে। তবে আমার আমার এক্সপ্রিয়েন্স থেকে বলতে পারি, এইসব গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি করে কেউ ফিরে এসে দারাতে পারেনি। নিশ্য হয়ে আবার ফিরে যায় সেই গার্মেন্টসে। 

আমেরিকান, ইটালিয়ান, ব্রিটিশিয়ান, মেক্সিকো সহ আরো অনেক পশ্চিমা দেশের মানুষজন বাংলাদেশে এসে ব্যাবসা পরিচালনা করে, কেন জানেন? এখানে শ্রমের দাম কম, উৎপাদন খরচ কম, এখানে জীবনে মূল্য নেই। এই কাজ গুলো ইউরোপ আমেরিকাতে করা যাবেনা। ঐখানে শ্রমিকের দাম বেশি। প্রোডাকশনের পিছনে অনেক টাকা চলে যাবে। এই জন্যই কম দামে জীবন কিনে নিয়ে যায় বাংলাদেশ থেকে। ওয়ার্ল্ডকাপে, আর্জেন্টি ও ব্রাজিলের জার্সিতে যখন বাংলাদেশের নাম দেখবেন। (Made in Bangladesh) আপনি এখন আর আনন্দিত হতে পারবেন না। প্রত্যেক্টা সুতার ভাজে ভাজে অনেক গুলো বাংলাদেশের শ্রমিকের জীবন শেলাই করে "বে'ধে" রাখা আছে। 





Monday, June 27, 2022

পদ্মা সেতুর টোল এত বেশী কেন? দেশের অর্থে তৈরি পদ্মাতে কেন টোল দিতে হবে? Why Padma Bridge Toll So High?

পদ্মা সেতুর টোল এত বেশী কেন? দেশের অর্থে তৈরি পদ্মাতে কেন টোল দিতে হবে? Why Padma Bridge Toll So High?

বাংলাদেশের প্রতিটি মেগা প্রজেক্টই দেশের উন্নয়ন ও দেশের মানুষের জীবনকে আরো সহজ করে তোলার জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতুটি নির্মাণ প্রকল্পটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি ড্রিম প্রজেক্ট, যা সম্পুর্ন দেশীয় অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিন আঞ্চলের ১৯টি জেলা রাজধানী ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে নিরবিচ্ছিন সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থার আহতায় আসাতে উক্ত অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার পরিবর্তন এসেছে।

দক্ষিন অঞ্চলের জেলা গুলোর সাথে দেশের অন্যান্য জেলা গুলোর ব্যাবসা বাণিজ্য বেড়েছে যা দেশের অভারঅল GDP বৃদ্ধিতে কন্ট্রিবিউট করছে। সেতুটি উদ্ভবনের পুর্বে ২০২২ সালের মে মাসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পদ্মা সেতুতে চলাচলের জন্য বিভিন্ন ক্লাসের পরিবহনের হার নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সেতুতে টোলের পাড়াপাড় হার নির্ধারণ এর পর টোলের হার নিয়ে দেশের জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছে অনেক প্রশ্ন। বেশিরভাগ জনগণেরই ধারনা পদ্মা সেতুর টোলের হার অনেক বেশী। এছাড়া সম্পুর্ন দেশীয় অর্থায়নে তৈরি এই সেতুতে কেন টোল দিতে হবে? এটা নিয়েও চলছে অনেক কথা বাত্রা। আমার আজকের এই আর্টিকেলে আমি জানাবো কেন পদ্মা সেতুতে টোল দিতে হচ্ছে এবং টোলের হার কেন এত বেশি?


২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্বোচ্ছ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত মেগা প্রজেক্ট পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষনা দেয়। ২০১৪ সালে মূল সেতু নির্মাণে China Major Bridge Engineering Co. Ltd  এবং রিভার ট্রেনিং এর জন্য Sinohydro Corporation Limited এর সাথে চুক্তির মাধ্যমে সে বছরের ডিসেম্বর মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। 

পদ্মা সেতুটি নির্মাণ কাজে ব্যায় হয়েছে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা। মূল সেতু ও মূল সেতুটির মোট দৈর্ঘ ৯.৩০ কিলোমিটার। এছাড়াও সেতুটির জন্য ১২ কিলোমিটার আপ্রোচ রোডের পাশাপাশি এ প্রকল্পের জন্য ব্রিজের ২ পাশে ১৪৭১ হেক্টোরস জমি অধিগ্রহণ এবং ১৪ কিলোমিটারের রিভার ট্রেনিংয়ের কাজ করা হয়। প্রজেক্টির মেইন ব্রিজের উভয় পাশে আপ্রোচরোড, সার্ভিস এরিয়া ও জমি অধিগ্রহণ সহ আরো অনেক কিছু বাস্তবায়নের কাজ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। দ্বিতল হওয়ায় পদ্মা সেতুর উপরের অংশে চলছে বাস ও যানবাহন এবং নিচের অংশে চলবে রেইল। 

পদ্মা ব্রিজ পাড়াপাড়ে প্রতিটি যানবাহনের জন্য নির্দিষ্ট টোল ফি রাখা হয়েছে। যা নিম্নে উল্যেখ করা হলো।
নাম টোল রেট
বাইক ১০০৳
কার বা জী ৭৫০৳
মাইক্রোবাস ১৩০০৳
ছোট বাস ১৪০০৳
বড় বাস ২৪০০৳
পিকয়াপ ১২০০৳
৫ টোনের ছোট ট্রাক ১৬০০৳
৩ এক্সেলের বড় ট্রাক ৫৫০০৳
৩ এক্সেলের বেশি বড় ট্রাক ৬০০০৳
পদ্মা সেতুর টোলের হার বর্তমানে পদ্মা  নদীতে চলমান ফেরীর ভাড়ার চেয়ে গড়ে প্রায় দের গুন বেশি। অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় দৈর্ঘতম ৪.৮ কিলোমিটারের বংগবন্ধু সেতুর টোলের তুলনায় পদ্মা সেতুর টোল প্রায় দ্বিগুন! 

পত্রপত্রিকা সহ সোসিয়াল মিডিয়াতে রয়েছে পদ্মা সেতুর টোল নিয়ে নানা প্রশ্ন ও মোতামোত দেখা গেছে। অনেকেই কনফিউসড যে দেশের অর্থায়ন তৈরি পদ্মা  সেতুতে টোল কেন দিতে হবে? আর দিলেও তা কেন এত বেশি। 

এবারে এক্সপ্লেইন করা যাক আসলেইকি পদ্মা সেতুর টোল বেশি? আর বেশি হলেও অন্যান্য টোলের তুলনায় এত বেশি কেন?

পদ্মা সেতুতে টোল এত বেশি কেন?

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সুত্রে স্বাধারণত বিদেশী অর্থায়নে তৈরি সেতু নির্মাণ করা হলে, সেতুর টোল হার নির্ধারনে দাতা সংস্থা বা ঋণ প্রদান কারী রাষ্ট্রের বিভিন্ন শর্ত ও পরামর্শ থাকে। কিন্তু দেশীয় অর্থায়নে সেতু নির্মিত সেতুর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন বাধ্যকথা থাকেনা! যার প্রেক্ষিতে স্বাধারণত সেতু চালু হবার আগে ফেরীতে যে হার ভাড়া নেওয়া হতো, সেই অনুযায়ী সেতুর টোলের হার নির্ধারন করে থাকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। তবে প্রথম আলোর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচীব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান- বিদ্যমান ফেরীর চেয়ে সেতুর টোলের হার দেরগুন নির্ধারন করাটা স্টান্ডার্ড প্রেক্টিস। তবে টোল হার বেশী হলে সরকার তা কমাতেও পারে। 

অর্থাৎ ফেরী ভাড়ার চেয়ে পদ্মা সেতুর টোলের যে পার্থক্য তা সরকারি স্টান্ডার্ড মেনেই ঠিক করা হয়েছে। তবে ফেরীর চেয়ে উচ্চ মূল্য হলেও আদতে টোল হার বেশী নয়। আর সেতুতে টোল কালেকশন সুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং বিশ্বের ছোট বড় প্রায় সব দেশেই টোল কালেকশন করা হয়। এমনকি বিভিন্ন দেশের এক্সপ্রেস ওয়ে থেকেও টোল আদায় করা হয়। 

যেমন-Financial Express এর একটি তথ্য সুত্রে ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের হাইওয়ে গুলো থেকে ৩৮ হাজার কোটি রুপিরও বেশি টোল কালেকশন করা হয়েছে। এছাড়াও US এর বিভিন্ন এক্সপ্রেস ওয়ে ও ছোট খাটো ব্রিজ থেকেও টোল নেওয়া হয়।  

বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেস ওয়ে ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতেও রয়েছে টোল। 

সবই বুঝলাম কিন্তু এই টোলের টাকা কি করা হবে?

পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে সেতু বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয় সেতুটি নির্মাণের জন্য ১% ইন্টারেস্টে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা ঋন হিসেবে দিয়েছে সেতু বিভাগকে, যা আগামী ৩৫ বছরে অর্থমন্ত্রণালয়কে ফেরত দিবে সেতু বিভাগ! প্রথম আলোর একটি রিপোর্ট অনুসারে জাপান সরকারের ঋণ মওকুফ ফান্ডের ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবেনা। সুতরাং সেতু বিভাগকে আসল  ২৯,৯০০+ কোটি টাকা এবং ১% ইন্টারেস্ট সহ মোট পরিশোধ করতে হবে ৩৬,৪০৩ কোটি টাকা। তার মধ্যে প্রথম বছরেই সরকারকে ৬০০ কোটি টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া সেতুটি রক্ষণা বেক্ষনায় প্রতি বছরেই ব্যায় করতে হবে। 

পদ্মা সেতুতে প্রতিবছর বিভিন্ন  সার্ভিসিং করতে হবে। যার খরচ টোল আদায়ের মধ্য দিয়েই হবে। সব মিলিয়ে আমার মতে একটি দেশের GDP ঠিক রাখতে হলে যেমন ইনভেস্ট প্রয়োজন ঠিক তেমনি যেই প্রজেক্টে ইনভেস্ট করা হচ্ছে সেই প্রজেক্ট থেকে কিছু অংশ ইন্টারেস্ট দেশের ভবিশ্যতের জন্য অবশ্যই আশা করা যায়।  

Tuesday, June 21, 2022

বাংলাদেশ থেকে মালোশিয়া কর্মী প্রতি ১ লাখ টাকা

বাংলাদেশ থেকে মালোশিয়া কর্মী প্রতি ১ লাখ টাকা

সরাসরি ২৫ টি প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিবে মালোশিয়া। ব্যাবসাহীদের একাংশই অভিযোগ এ প্রক্রিয়ায় মালোশিয়ায় সিন্ডিকেত সহায়তা কারীদের কর্মী প্রতি ১ লাখ টাকা করে ঘুষ দিতে হবে, ফলে বিনা কিংবা কম খরচে কর্মী পাঠানোর সুযোগ থাকছেনা। তবে তা অস্বিকার করেছে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান গুলো। 

বাংলাদেশ থেকে ২০১৮ সালে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালোশিয়া, মাত্র ১০ টি প্রতিষ্ঠানে সিন্ডিকেটে কর্মী পাঠাতে অনিয়ম ও দুর্নিতির অভিযোগে। এবার মালোশিয়া নিজেরাই এ পথে হাটছে। দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রী ঘষনা দিয়েছেন- সব নয় সরাসরি ২৫ টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিবেন তারা। তাদের অধীনে কাজ করতে পারবে ২৫০ টি এজেন্সি। শ্রমবাজারটিতে আবারও সিন্ডিকেট হওয়ায় আগের মতি দুর্নিতী হবে অভিযোগ ব্যাবসায়ীদের। 

সোর্সঃ Business Report Machranga