মানব জাতিকে হেদায়াতের জন্য কুরআন নাজিল হয়েছে। এ কুরআনে স্রষ্টার অস্তিত্ব ও সৃষ্টির উদ্দেশ্যসহ মানুষ কিভাবে ইবাদত করবে, কল্যাণ চাইবে, অকল্যাণ থেকে নাজাত পাবে, পাপ-পংকিলতা থেকে মুক্তি মিলবে, সর্বোপরি কিভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে তা উল্লেখ করেছেন। যুগে যুগে নবি-রাসুলগণ কিভাবে আল্লাহ্র কাছে দোয়া করতেন, কী কী বিষয় প্রার্থনা করতেন তা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর অনুসারিগণ যেভাবে দোয়া করতেন। তা এই-
رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَ إِلَيْكَ أَنَبْنَا وَ إِلَيْكَ الْمَصِيْرُ رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَ اغْفِرْلَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُউচ্চারণ : রাব্বানা- আ’লাইকা তাওয়াককালনা- ওয়া ইলাইকা আ’নাবনা ওয়া ইলাইকাল মাচি-র। রাব্বানা লা- তাঝআ’লনা- ফিতনাতান লিল্লাজি-না কাফারু- ওয়াগফিরলানা- রাব্বানা ইন্নাকা আংতাল আ’যি-যুল হাকি-ম।
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমারই ওপর নির্ভর করেছি, তোমারই অভিমুখী হয়েছি এবং প্রত্যাবর্তন তো তোমারই নিকট। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে কাফিরদের পীড়নের পাত্র কর না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের ক্ষমা কর; তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা মুমতাহিনা : আয়াত ৪-৫)
নবি-রাসূলগণ কাফিরদের সীমা লঙ্ঘন থেকে বেঁচে থাকতে এ দোয়া করতেন-
رَبَّنَا اغْفِرْلَنَا ذُنُوْبَنَا وَ إِسْرَافَنَا فِيْ أَمْرِنَا وَ ثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَ انْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ
উচ্চারণ : রাব্বানাগফিরলানা- জুনু-বানা- ওয়া ইসরা-ফানা- ফি- আমরিনা- ওয়া ছাব্বিত আক্বদা-মানা- ওয়াংচুরনা- আ’লাল ক্বাওমিল কাফিরি-ন।
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ এবং আমাদের কাজে সীমা লঙ্ঘন তুমি ক্ষমা কর, আমাদের পা সুদৃঢ় রাখ এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য কর।’ (সূরা ইমরান : আয়াত ১৪৭)
সুতরাং ফিতনা-ফাসাদের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেতেই উপরোক্ত ভাষায় আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা উচিত। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবি-রাসুলগণের শিখানো ভাষায় কল্যাণ কামনাসহ তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনে অবনত মস্তকে ক্ষমা প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। আমিন