ডায়মন্ড বা হীরা মূলত কার্বনেরই সলিড ফার্ম যা মূলত অত্যাধিক তাপ, প্রেসার, ও একটি নির্দিষ্ট কন্ডিশনে অনেক সময় থাকার কারনে ফর্ম হয়। বেশিরভাগ নেচেরাল ডায়মন্ড পৃথিবীর পৃষ্ঠ হতে ১০০ মাইলেরও বেশি গভিরে, ২০০০+ ফাহ্রেনহেইট এর বেশি তাপ ও সাত লক্ষ পচিশ হাজার (৭২৫,০০০) পাউন্ড পার ইঞ্চিরও বেশি চাপে কার্বন এটম থেকে ডায়মন্ডে রুপান্তর হয়।
ডায়মন্ড
এছাড়াও কার্বন এটম থেকে ডায়মন্ডে রুপান্তর হওয়ার সময়ও একটি বড় ফেক্টর। কার্বন এটম নেচেরাল ডায়মন্ডে রুপান্তর হতে ১ বিলিয়ন থেকে ৩.৫ বিলিয়ন সময় লেগে যায়! সুতরাং সময়টা অনেক বেশি। তবে এরপরও সকল ডায়মন্ডই জেম কুয়ালিটি বা মূল্যবান রত্ন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনা। যেসব হীরা জেম কুয়ালিটি হতে পারেনা। সেই গুলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে ব্যাবহৃত হয়।
মিডিয়াম ডক কমের একটি আর্টিকেল অনুযায়ী প্রথম রেকর্ডেড হিস্ট্রি হিসেবে সংশ্লিষ্ট লিপিতে খ্রিষ্ট-পুর্ব ৪ শতকে ইন্ডিয়াতে ডায়মন্ডের বিষয় জানা যায়। সেসব লিপি অনুযায়ী ইতিহাসবিদরা ধারনা করেন, খ্রিষ্ট-পুর্ব ১ হাজার বা তারও আগে দ্রাবিড় জাতি হীরা আবিষ্কার করে। প্রাচীন সেই লিপিতে মুদ্রা হিসেবে হীরার বিনিময়টি উল্যেখ ছিলো।
ডায়মন্ড নাকফুল
বাণিজ্যের মাধ্যম হিসেবে ডায়মন্ডের ব্যাবহারের কারণে আর ইন্ডিয়া ও চায়নার সাথে প্রাচীণ ড্রেড রোড গুলোর কানেকশন থাকায় এই মূল্যবান পাথরটি ধিরে ধিরে পৌছে যায় গ্রিক ও রোমান সম্রাজ্য পর্যন্ত।
এরপরের কয়েকশতকে এই মূল্যবান রত্ন পাথরটি ততকালীন রাজপরিবার এবং প্রভাবশালী পরিবারের কাছে একধরনের স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে উঠে।
১৩০০ শতকে বিশ্বখ্যাত কোহিনুর হীরা আবিষ্কার হয় যা এই পর্যন্ত বেশ কয়েকবার হাত বদলের পর অবশেষে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের ক্রাউন জুয়েলারি হিসেবে যায়গা করে নেয়।
১৮০০ শতক পর্যন্ত ধারণা করা হতো ডায়মন্ড শুধু মাত্র ইন্ডিয়াতেই পাওয়া যায়। ১৮০০ শতের ইন্ডিয়ার ডায়মন্ড ডিপোজিট প্রায় শেষের দিকে চলে এলে ডায়মন্ডের অল্টারনেটিভ সোর্স খোজা শুরু হয়। যার প্রেক্ষিতে ১৭২৫ সালে ব্রাজিলে ডায়মন্ডের ছোট একটি ডিপোজিট পাওয়া গেলেও, তা তৎকালিন বৈশিক ডিমান্ড পুরনে পর্যাপ্ত ছিলোনা।