আজ থেকে 5,000 বছর আগে মিসরে এমন কিছু স্থাপত্য নির্মাণ হয়েছিল যা তখনকার বিজ্ঞান ভাবনার ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব। কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া নিখুঁত এবং নির্ভুল ভাবে অকল্পনীয় স্থাপত্য নির্মাণ করেছিল তারা। আজ যেখানে 20 টনের একটি কংক্রিটের ভার তুলতে ক্রেনের দরকার হয়, সেখানে 5 হাজার বছর আগে কোন ক্রেন ছাড়া 70 টনের চেয়েও ভারী ভারী পাথর এরা বহন করেছিল। কিভাবে সম্ভব?
এই পিরামিডের গঠন এতটাই আশ্চর্য যে বিজ্ঞানীদের বারে বারে ভাবিয়ে তুলছে, একেকটি পিরামিড তৈরি করতে প্রায় 32 হাজার লাইম স্টোন ব্যবহার করা হয়েছিল। যার প্রত্যেকটি নিখুঁতভাবে কাটা। বিজ্ঞানীরা অনেক খোঁজ করেও পিরামিডের কাছাকাছি কোন পাথরের স্টোর ভান্ডার খুঁজে পায়নি। তো এতো ভারী ভারী পাথর গুলি তারা কোথা থেকে নিয়ে আসত? আর কিভাবে তারা এতো উচু পিরামিডগুলোতে এই ভারী ভারী পাথর গুলো তুলতো?
পিরামিডের অবস্থান আকাশের তারার সাথে সমান্তরাল। যা কোনোভাবেই কাকতালীয় হতে পারে না। আকাশে তারার সাথে সমান্তরালভাবে পিরামিড তৈরি করতে গেলে দরকার ছিল আধুনিক সরঞ্জামের। কিন্তু তখন কার দিনে তারা এসব- প্লেন, রকেট, পাবে কি করে? আর আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া এই সমান্তরালভাবে পিরামিড নির্মাণ ছিল অসম্ভব।
পিরামিডের ভিতরের দেয়ালে যে চিত্র অংকন হয়েছে সেখানে কিছু এলিয়েন যানের চিত্র দেখা গেছে। আর কিছু এলিয়েনের ছবি মিশরীয়রা একেছিল এই পিরামিডে। আমরা জানি যে আমাদের চোখের সামনে চারপাশে যে জিনিস দেখি সেই জিনিস দিয়ে নতুন কোন জিনিসের ভাবনা আমরা পাই। মিশরীয় রা হয়তো এরকম কোন যান দেখেছিল, এরকম কোন এলিয়েনদের দেখেছিল। তাই জন্যই তারা পিরামিডের দেওয়ালে এমন ছবি অংকন করেছিল।
পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে। পাথর খণ্ডের একেকটির ওজন ছিল প্রায় ৬০-৭০ টন। যার দৈর্ঘ্য ছিল 30 থেকে 40 ফুটের মতো। ৫,০০০ বছর আগে এগুলো তারা কিভাবে বা কিসের মাধ্যমে এতো উপরে তুলেছিল সেই প্রশ্ন আজও অজানা।
মিশর প্রায় 5000 বছর ধরে তাঁর বুকে জমা রেখেছে এমন কিছু রহস্যের ভান্ডার।
বিদ্রঃ আমি এলিয়েন বিশ্বাস করি না- তথ্যগুলো ইন্টারনেট থেকে পেয়েছি