মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার তৈরির প্রক্রিয়া
ধাপ-১ঃ পরিকল্পনাঃ সফটওয়্যার তৈরির উদ্দেশ্য এবং অডিয়েন্স চিহ্নিত করা
ধাপ-২ঃ ডিজাইনঃ আউটলাইন এবং স্টোরিবোর্ড তৈরি করা
ধাপ-৩ঃ টুল নির্বাচনঃ মাল্টিমিডিয়ায় ব্যাবহৃত বিভিন্ন মিডিয়া তৈরি ও সম্পাদন
মাল্টিমিডিয়া ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া তৈরি, সম্পদনা ও পরিচালনা ক্রয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার মাল্টিমিডিয়া ব্যাবহৃত করতে হয়। টেক্সট তৈরি করার জন্য ওয়ার্ড প্রেসেসর (Word Processor) ডিজিটাল ইমেজ তৈরির জন্য গ্রাফিক্স সফটওয়্যার, ভিডিওর জন্য ভিডিও-ক্যাপচার ও এডিটিং সফটওয়্যার এবং শব্দ ধারণের জন্য অডিও এডিটিং সফটওয়্যার ইত্যাদি ব্যাবহৃত করা হয়।
এইচটিএমএল সাধারনট মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামের মধ্যে ব্যাবহৃত হয়। সে জন্য HTML Editor মাল্টিমিডিয়া ডেভেলপারদের জন্য একটি গুরুতকপূর্ন টূল। একই ভাবে ম্যাক্রোমিডিয়ায় শক ওয়েন ব্যাবহৃত করে ডেভেলপাররা মাল্টিমিডিয়া প্রোডাক্ট এবং ওয়েব-পেইজ অ্যানিমেশন সংযোজন করতে পারে।
$ads={1}
ধাপ-৪ঃ কন্টেন্ট তৈরি করা
এই ধাপে ডেভেলপমেন্ট টিম মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যারের বিষয়বস্ত বা কন্টেন্ট তৈরি করেন। মাল্টিমিডিয়া বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্ত করে, ফলে মাল্টিমিডিয়া তৈরি ও পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে হয়। মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যারটির উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য অডিয়েন্স যাতে সহজেই বিষয়বস্ত জানতে পারে সেভাবেই কন্টেট তৈরি করতে হবে।
ধাপ-৫ঃ মাল্টিমিডিয়া অথরিং
কন্টেন্ট প্রস্তত করার পর এটিকে যে প্রক্রিয়ায় একত্র করা হয় সেই প্রক্রিয়াকে মাল্টিমিডিয়া অথরিং বলা হয়। এই প্রক্রিয়াটি সম্পাদনের জন্য ভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। উদাহরণস্বরুপ ম্যাক্রোমিডিয়া ডিরেক্টর সফটওয়্যারটির বিভিন্ন ধরনের মিডিয়াকে সনাক্ত ও একত্র করতে পারে। তাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে সাজাতে পারে এবং ব্যাবহারকারীর জন্য নেভিগেশন টুল তৈরি করতে পারে।
ধাপ-৬ঃ পরিক্ষা করা
ব্যাবহারকারীর জন্য তৈরি মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামটি পরীক্ষা করা একটি অপরিহার্য বিষয়। টেস্টিং করার মাধ্যমে প্রোগ্রামাররা প্রোগ্রামে কোন ত্রুটি থাকতে তা ধরতে পারবে এবং তা ঠিক করতে পারবে। পরিক্ষা করারা সময় প্রোডাক্টটি যদি ঠিকমত কাজ না করে তখন ডেভেলপারকে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সাইকেলের (Development Cycle) আগের পর্যায় ফিরে যেতে এবং উন্নত সাধন করতে হবে।
উপরে দেখানো এই ৬ টি ধাপে বা এর সাথে সফটওয়্যার অনুযায়ী আরো কিছু ধাপ অ্যাড হতে পারে। এই ধাপ গুলোর মাধ্যমেই একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়।