Wednesday, August 10, 2022

বাংলাদেশী টাকার মান কমছে কেন? ডলারের বিপরীতে টাকার মান কেন কমছে?

বর্তমানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রতিদিনি কমছে সেই সাথে খোলা বাজারের মুল্য ছাড়িয়েছে ১৫০+ টাকা, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে আদোতে কেন ডলারের বিপরীতে টাকার মান এত কেন কমছে। সুতরাং সবাইকে মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেলটি পরার জন্য অনুরোধ করা হলো, আজকের এই আর্টিকেলে ইন্টারন্যাশনাল কিছু তথ্য তুলে ধরা হবে যার মাধ্যমে বিশ্বের ডলারের দাম নির্ধারন করা হয়। 

{getToc} $title={Table of Contents}


আন্তর্জাতিক বাজারে মুল্যস্মৃতির কারণ কি?


বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ রেট অনুযায়ী প্রতি ডলার ৯৪-৯৫ টাকা করে বিনিময় করা হচ্ছে। অন্যদিকে খোলা বাজার বা Kerb Market Exchange Rate প্রতি ডলার ১০০-১০৫ টাকা দরে বিনিময় করা হচ্ছে। এমনকি জুলাই মাসের শেষের দিকেও  Kerb Market প্রতি ডলার ১০৫-১২০ টাকা পর্যন্ত বিনিময় করা হয়েছিলো। যদিও এক বছরে আগেও ২০২১ সালের জুলাই মাসেও প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ছিলো ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। এক বছরের ব্যাবদানে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যবান হারিয়েছে ১০ শতাংশ। অথচ ২০১২ থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ৯ বছরে টাকার মান হারিয়েছিলো মাত্র ৩.৩৭ শতাংশ।

শুধু টাকাই নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান থেকে শুরু করে UK, Germany সহ বিশ্বের শীর্ষ ইকোনমি গুলোর কারেন্সিও US Doller এর বিপরীতে নিজেদের মূল্যবান হারিয়েছে। যেমন UK এর Pound Sterling ও Euro এমেরিকান ডলারের বিপরীতে গত এক বছরে মূল্যবান হারিয়েছে। Pound Starling -১৪.২৯ শতাংশ, ও Euro -১৫.৮ শতাংশ। 


কি কারণে ডলারের বিপরীতে বিশ্বের বেশিরভাগ কারেন্সি মূল্যবান হারাচ্ছে?

বিশ্বের ইকোনোমির অবস্থাঃ- ২০২০ সালে শুরু হওয়া পেন্ডামিকের প্রভাবে বিশ্বের উতপাদন এবং আমদানি রপ্তানি মুখি সকল কার্যক্রম চরমভাবে বাহত হয়েছে। যার কারণে বিশ্বব্যাপী Inflation বাড়ছিলো। Inflation বা মুদ্রারস্মৃতি মূলত সময়ের সাথে সাথে মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতাকে হাড়ানোকে বোঝায়। পেন্ডেমিকের কারণে বিশ্বের প্রতিটি ইকোনোমি স্ট্রিমুলেজ প্যাকেজ বা আর্থিকভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনীতির গতিকে  সচল রাখতে গিয়ে একোনোমিতে মানি সাপ্লাই বাড়িয়ে ফেলেছিলো! যার কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়ে গিয়েছিলো। কিন্তু পেন্ডামিকের কারণে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন বাহত হওয়ায় পর্যাপ্ত পণ্যের যোগান না থাকায় Inflation Rate ক্রমাগত বাড়ছিলো। 

২০২১ সালের শেষ থেকে ২০২২ শুরুর দিকে বিশ্বের ইকোনোমি গুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করলেও ফেব্রুয়ারি মাসে রাশীয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ লেগে বসে। যার কারণে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন আরেক দফা বাহত হয়! এই যুদ্ধের প্রভাবে তেল ও জ্বালানি সেক্টরের পাশাপাশি গম, ভুট্টা, বারলি, সানফ্লাওয়ার সিড ও তেল সহ নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম ও ফসফরা ষার সহ বিভিন্ন মূল্যবান মেটাল ও মিনেরালের সাপ্লাই চেইন বাহত হচ্ছিলো। তবে এসব কিছুর মধ্যে তেল ও গ্যাসের সাপ্লাই বাহত হবার কারণে তেল ও গ্যাসের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এছাড়াও কৃষি পণ্য ও ষারের সাপ্লাই চেইন বাহত হওয়ায়  বিশ্বব্যাপী ফুড স্যাফটি নিয়ে তৈরি হয়েছে সজ্ঞা।

যার কারণে বিশ্বের সব দেশেরই জীবন যাত্রার ব্যায় তরতর করে বেড়ে যাচ্ছিলো। 

ডলারের পরিবর্তে টাকার দাম কমার মূল কারণ

US এ তে ২০২২ সালের মে মাসে Inflation Rate 8.5% বেড়ে যায় যা ১৯৮১ সালের পর দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ। দেশটির লেটেস্ট কনসিউমার প্রাইস ইনডেক্স (Consumer Price Index)  যা মুলত বিভিন্ন পণ্য ও সার্ভিসের দাম ইন্ডিকেট করে। তা ফেব্রুয়ারি মাসে ৭.৯% শতাংশ গিয়ে পৌছেচে। যা দেশটির গত ৪০ বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ এনুয়াল ইনফ্লেশন রেট (Inflation Rate)। এছাড়াও মার্চ মাসে দেশটির Gasoline Index Inflation Rate  বেড়ে দারিয়েছে ১৮.৩ শতাংশ, অন্যদিকে Food Index Inflation Rate গত ১২ মাসের তুলনায় ৮.৮ শতাংশ বেড়েছে। যার প্রেক্ষিতে দেশটির ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম (Federal Reserve System) বা কেন্দ্রিয় মনিটারিং পলিসি মেন্টররা ইন্টারেস্ট বাড়ানোর সিদ্বান্ত নেয়, এবং এর পর থেকেই বিশ্বের অন্যান্য কারেন্সি গুলো US Doller এর বিপরীতে নিজেদের মুল্য হারাতে থাকে। 

২০২১ সালের আগস্ট মাসে ১ ডলারের বিপরীত্তে শ্রীলংকান রুপি ছিলো ১৯৯ রুপি, যা গত ১ বছরে বেড়ে দারিয়েছে  ৩৬০ রুপিতে।  

বাংলাদেশী টাকার মান কম?

The Daily Star এ প্রকাশীত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভার্নরের একটি আর্টিকেল সুত্রে বাংলাদেশে বর্তমানে Trade Deficit আছে ২৫ বিলিয়ন ডলার। এবং কারেন্ট অ্যাকান্ট Deficit আছে ১৪ বিলিয়ন ডোলার। এছাড়াও এই অর্থবছরে রেমিটেন্স আশার হার ১৮% কমে গিয়েছে। যার কারনে দেশের ফরেন এক্সেঞ্জে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকার ভ্যালুকে সম্মনত রাখতে রিজার্ভ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার রিলিজ করে দিয়েছে ফলস্রুতিতে ফরেন রিজার্ভ কমে দারিয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলারে। 




শেয়ার করুন