ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ হচ্ছে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণকারী সার্ভারের সঙ্গে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পর্কযুক্ত একাধিক ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিটার সিস্টেম। এ পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি ওয়ার্ক স্টেশনে স্বতন্ত্রভাবে ডেটাবেজ তৈরি, সংষোধন সম্পাদনা ইত্যাদির কাজ করা হয়। এবং সার্ভার রক্ষিত কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ ওয়ার্কস্টেশনগুলোর ডেটাবেজের সর্বশেষ অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তিত বা আপডেট (Update) হয়। সার্ভারের কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ আবার ওয়ার্কস্টেশঙ্গুলোর ডেটাবেজের ডেটা পাঠ, ডেটা বর্ণনার ভাষা ইত্যাদি পরিবর্তন বা পরিমার্জন করতে পারে। এভাবে ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ পদ্ধতিতে সার্ভারের কেন্দ্রীয় ডেটাবেজের মাধ্যমে ওয়ার্ক স্টেশনগুলোর ডেটাবেজ থেকে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ এবং ওয়ার্ক স্টেশনের ডেটাবেজগুলোর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করা যায়। ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ ব্যাবস্থাপনার জন্য ক্লায়েন্টত সার্ভার পদ্ধতিকেই প্রধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজের প্রধান দুইটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-
- ডিস্ট্রিবিউটেড (Distributed)
- লজিক্যাল কোরিলেশন (Logical Correlation)
একটি উদাহরণের মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজের ধারণা দেওয়া যেতে পারে। ধরা যাক, একটি ব্যংকের তিনটি ব্রাঞ্চ তিনটি ভিন্ন অবস্থানে অবস্থিত। প্রতিটি ব্রাঞ্চে তাদের ঞ্জস্ব পৃথক ডেটাবেজ রয়েছে। এখানে এটিএম (ATM) এর সাহায্যে কোন কাস্টমার তার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারে। প্রতিটি ব্রাঞ্চের একাউন্টসমূহের ডেটাবেজ সংরক্ষনের জন্য পৃথক পৃথক কম্পিউটার ব্যাবহার করা হয়। প্রতিটি ব্রাঞ্চের লোকাল ডেটাবেজগুলোকে একত্র করে একটি গ্লোবাল ডেটাবেজ হিসাবে কাজ করা হয়।
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ কি কাজে লাগে?
ব্যাংক, বীমা, সরকারি বা বেসরকারি বড় প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শীল্প কারখানা ইত্যাদি সংগঠনগুলো, যাদের বিভিন্ন যায়গায় অবস্থিত শাখা অফিস বা কেন্দ্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের সার্বক্ষনিক সমন্বয় রক্ষা করার প্রয়োজন হয়, সে সব সংগঠনের জন্য ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ প্রয়োজন হয়।
ডিস্টিবিউটেড ডেটাবেজের উপাদানসমুহঃ
- নেটওয়ার্ক কানেকশন ম্যানেজার (Network Connection Manager)
- ট্রানজেকশন ম্যানেজার (Transaction Manager)
- কোয়েরি প্রসেসর (Query Processor)
- রিকোভারি ম্যানেজার (Recovery Manager)
- সিস্টেম ক্যাটালগ (System Catalog)
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজের সুবিধাঃ
- বিশ্বাসযোগ্যতার উন্নতি (Improved Reliability)
- অধিকতর ডেটা প্রাপ্যতা (Better Availability)
- কম খরচে যোগাযোগ (Lower Communication Cost)
- স্থানীয় স্বায়ত্বশাসন (Local Autonomy)
- অধিকতর দক্ষতা বৃদ্ধি (Better Performance)
- কার্যকারিতার সময় হ্রাস (Reduce Response Time)