ডেটা
Datum শব্দের বহুবচন হলো ডেটা (Data) যার অর্থ ফ্যাক্ট (Fact) কোন ধারণা (Idea), বস্ত (Object), শর্ত (Condition), অবস্থান (Situation), ইত্যাদির ফ্যাক্ট, চিত্র (Figure) বা বর্ণনা (Description) ডেটার অন্তরভুক্ত। প্রতিটি কার্যকলাপ ডেটার জন্ম দেয়। কোন ঘটনায় (Event) বহু ডেটা জড়িত থাকে। ডেটা এক বা একাধিক বর্ণ চিহ্ন বা সংখ্যা বিশিষ্ট হতে পারে।
কম্পিউটারের নুন্যতত্ম সময়ে শ্বল্প মেমরি ব্যাবহার করে ডেটা প্রসেসিং করার সুবিধার্থে ডেটার শ্রেণিবিভাগ করা হয়। কারণ বিভিন্ন ধরনের ডেটার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ মেমরি দরকার এবং প্রসেসিংয়ের সময় এবং কাজেরও তারতম্য হয়। বিভিন্ন লেখক বিভিন্নভাবে ডেটার শ্রেণীবিভাগ করেছেন। অধিকাংশ লেখকের মতে ডেটা প্রধানত তিন ধরনের, যা নিম্নে উল্যেখ করা হলো।
- নিউমেরিক (Numeric) ডেটা
- অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ডেটা
- বুলিয়ান বা লজিক্যাল (Boolean) ডেটা
নিউমেরিক (Numeric) ডেটা
যে সকল ডেটা কোন পরিমাণ বা সংখ্যা প্রকাশ করে তাদেরকে নিউমেরিক ডেটা বলে। যেমনঃ 20, 100.25, 445.75 ইত্যাদি। নিউমেরিক ডেটাকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা-ইন্টিজার (Integer) বা পুর্ন সংখ্যা এবং ভগ্নাংশ সংখ্যা (Floating Point).
অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ডেটা
যে সকল ডেটা কোন পরিমাণ বা সংখ্যা প্রকাশ করে না তাদেরকে অ-নিউমেরিক ডেটতা বলে। যেমন- M, Y, a, c ইত্যাদি ক্যারেক্টর কিংবা মানুষ, দেশ, জীবিকা, জাতি ইত্ত্যাদির নাম, কোন ছবি, শব্দ ও ভিডিও প্রভৃতি।
অ-নিউমেরিক ডেটা বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যথা ক্যারেক্টর (Character), স্ট্রিং (String), এবং অবজেক্ট। M, Y, a, c ইত্যাদি ক্যারেক্টর ডেটা। কতগুলো ক্যারেক্টার ডেটা একত্রে নিলে স্ট্রিং ডেটা হয়। মিরাজ, সুমাইয়া, ঢাকা, ইত্যাদি স্ট্রিং ডেটার উদাহরণ। ছবি, শব্দ ও ভিডিওকে অবজেক্ট ডেটা বলা হয়।
বুলিয়ান বা লজিক্যাল ডেটা
যে সকল ডেটার শুধুমাত্র দুটি অবস্থা থাকতে পারে যেমন সত্ত্য বা মিথ্যা, হ্যা বা না, ০ অথবা ১ ইত্যাদি। সে সকল ডেটাকে বুলিয়ান বা লজিক্যাল ডেটা বলে।