আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো রঙ কাকে বলে? রং হল রঞ্জক পদার্থ। আমাদের চোখের সামনে যা কিছু দেখি সব কিছুই এক একটি রঙ। তবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য রঙের কিছু প্রকারভেদ আছে যা নিম্নে উল্যেখ করা হলো।
আসলে কোন একটি রঙ বর্ণনা করা সত্যিই কঠিন। ধরুন "লেমন গ্রীন" রঙ্গটি দু'জন লোকের কাছে দু'রকম। আমি বলতে চাচ্ছিনা যে, লেমন গ্রী রঙটি একজনের কাছে লাল, আর অপরজনের কাছে কালো। যা বোঝাতে চাচ্ছি তা হলোঃ- হয়তো বা দুজনই লেমন গ্রীন রংটি কল্পনা করছে। কিন্তু তাদের কল্পনাকৃত রঙের মানের মধ্যে কমবেশি কিছু পার্থক্য রয়েছে।
বিষয়টি পরিক্ষা করে দেখার জন্য দু'জন ডিজাইনার বন্ধুকে লেমন গ্রীন রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর একটি ডিজাইন তৈরি করতে বলুন। এরপর কোন ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার তৈরি কৃত ডিজাইন দুটির ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে কালার পিক করে দেখুন, মান দু'টোতে কিছু না কিছু পার্থক্য দেখা যাবে। যদিও এ পর্যন্ত কালার বর্ণনা/উপস্থাপনের জন্য অনেক ষ্টান্ডার্ড-ই প্রস্তাবিত হয়েছে।
তবে এর মধ্যে RGB/CMYK এবং CIE Lab Schemes ই সবচেয়ে ভালো কাজ করছে। RGB ম্যাপ কালার মূলত তিনটি কালারের সমন্ময়ে উপস্থাপিত হয়। এগুলো হলোঃ Red, Green এবং Blue। মনিটর বা পর্দায় উপস্থাপনের জন্য এই কালার স্কিমই সবচেয়ে ভালো কাজ করে। কিন্তু প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে যথাযথ ফলাফল প্রদান করতে পারেনা। যে কারণেই CMY আবির্ভাব। এই তিনটি CMY নাম্বার ব্যাবহার করেরি প্রিন্টিং কালারের মান নির্ধারিত হয়ে থাকে। কিন্তু কালার নিপুণতা এবং নির্ভুলতার অভাবে এই তিনটি কালারের মাধ্যমে পুরোপুরি কালো কালারর তৈরি করা যায় না। ফলশ্রুতিতে এই তিন CMY কালারের সাথে একটি অতিরিক্ত/আলাদা কালো Black (K) কালার যোগ করা হয়ে CMYK কালার মডেল তৈরি করেছে। আমরা যে সমস্ত কালার দেখতে পাই তা RGB এবং CMYK উভয় কালার সেটই উপস্থাপন করতে পারে। তবে CIE Lab আরও বেশি কাছাকাছি কালার উপস্থাপন করে, সাধারন দৃষ্টিতে যা নিখুঁঁত বলেই মনে হয়।