Monday, May 30, 2022

ব্যাবসায় ই-কমার্স ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন?

একটি দেশের বিকাশ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বানিজ্যের কোন বিকল্প নেই। ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ, ইন্টারনেটের উদ্ভবন ও বিকাশ এবং কাগজের মুদ্রার বাইরেও ইলেক্ট্রিক বিনিময় প্রথা চালু হওয়ার ফলে বানিজ্যেরও একটি বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে। এখন ইলেক্ট্রিক মাধ্যমে ও বানিজ্য করা যায়, যার প্রচলিত নাম ই-কমার্স বা ইবাণিজ্য। 

যেকোনো পণ্য বা সেবা বাণিজ্যের কয়েকটি শর্ত থাকে। প্রথমত বিক্রেতার কাছে পণ্য থাকা। দ্বিতীয় ক্রেতা কর্তৃক তার বিনিময় মুল্য পরিশোধ করা। এর প্রধান পদ্ধতি হলো বিক্রেতার সংগে ক্রেতার সরাসরি যোগাযোগ। কিন্তু ইন্টারনেটের যুগে একজন বিক্রেতা তার পণ্যের ছবি ভিডিও দিয়ে ইন্টারনেটেই তার দোকানটি খুলে বসতে পারে। যাকে সহজ ভাষায় ই-কমার্স বিজনেস বলা হয়। এবং ই-কমার্স ব্যাবসার জন্য একজন ক্রেতার অবশ্যই একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট (স্বল্প বাজেটে যে কোন ওয়েবসাইট বানাতে এখানে ক্লিক করুন) প্রয়োজন। এবং সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে তার সকল পণ্য আপলোড করে রাখবে এবং প্রত্যেকটা পণ্যর ছবি বা ভিডিও এবং ডেস্ক্রিপশন ইন-ডিটেইলস লিখে রাখতে হবে। কোন কাস্টমার বা ক্রেতা যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে তখন তার সামনে যদি পছন্দের প্রোডাক্টটি আসে এবং অইটায় যদি ক্লিক করে তাহলে অইখানে যেনো সে পণ্য বিষয়ক সকল তথ্য পেয়ে যায়। এবং কাস্টমারের চাহিদা অনুসারে পছন্দের পন্যটি অর্ডার করে। একজন কাস্টমার অর্ডার করার পর সাইটের যে অ্যাডমিন বা যারা মেন্টেন করে তাদের দায়িত্ব প্রোডাক্ট সুন্দর করে প্যাকেজিং করে কুরিয়ারের মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে পার্সেল্টি পৌছে দেওয়া।

এছাড়াও ক্রেতা খুব সহজেই পণ্যের নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে ও ইন্টারন্যাশনালি কিছু পেমেন্ট গেটওয়ে আছে যাদের মাধ্যমে একটা পেমেন্ট সিস্টেমে আপনি সকল ব্যাংকের পেমেন্ট এক্সেপ্ট করতে পারবেন এবং সেই সাথে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট ও এক্সেপ্ট করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশে ৯০% অনলাইন শপিং ক্যাশ অন ডেলিভারির মাধ্যমে হয়ে থাকে।

অনেক সময় আমরা ব্যাবসার হিসাব ঠিক মত রাখতে পারিনা। ফিজিক্যালি হিসাব রাখতে অনেক ঝামেলা হয় তবে এর সমাধান আপনাকে একটি ওয়েবসাইট দিতে পারে। একটি ওয়েবসাইটের মালিক হিসেবে আপনি পেয়ে যাবেন একটি ডাশবোর্ড এবং এই ডাশবোর্ডে আপনার প্রতিদিনের অর্ডার গুলো বিভিন্ন ভাবে আপডেট করবেন যেমন অর্ডার প্রসেসিং, হোল্ড, কম্পলিট বা ক্যানসেল। এই সকল জিনিস গুলো আপনি ওয়েবসাইটে বলে দিবেন। এর পর মান্থলি যখন আপনি হিসাব করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইট অটোমেটিক আপনার হিসাব বের করে দিবে। আর আরেকটি কথা হচ্ছে যিদি ওয়েবসাইটের বাহিরে কোন অর্ডার হয় সেই ক্ষেত্রে আপনি কাস্টম ভাবে আপনার ওয়েবসাইটে অর্ডার তৈরি করবেন। এতে করে হিসাবে কোন ঝামেলা হবেনা।


বাংলাদেশ ও ইকমার্স

বাংলাদেশে ই-কমার্স যাত্রা শুরু হয় অনেক আগেই তবে ২০১১-২০১২ সালের পর থেকে ক্রমাগত ভাবে ইবাণিজ্য বৃদ্ধি লাভ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০+ বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে দারাজ, চালডাল, ফুডপান্ডা, বিডিশোপ, আজকেরডিল, ক্লিকমার্ট ইত্যাদি অন্যতম। 


 

শেয়ার করুন