ইক্যাব বা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়াশন অফ বাংলাদেশ ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে (ই-ক্যাব) মূলত অনলাইন ভিত্তিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বা ই-কমার্স ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর কথা চিন্তা করেই এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে।
ই-ক্যাব দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশের ই-কমার্স উদ্যোক্তা এবং অনলাইন ব্যাবসাকে ই-ব্যাবসায় রুপান্তর করতে সারাদেশে ই-ব্যাবসা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ই-ক্যাব ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের সম্প্রসারণ এবং আন্তরজাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিদেশে আমাদের স্থানীয় ব্যাবসা করার জন্যও কাজ করছে।
বর্তমানে ই-ক্যাবে প্রায় ২০০০+ ট্রেডিং মেম্বার রয়েছে যারা সবাই অনলাইন বিজনেস বা ই-ব্যাবসা করে আসছে। অ্যাসোসিয়াশন বাংলাদেশে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের বিকাশ ও সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত সেমিনার, কর্মশালা এবং প্রশিক্ষনের আয়োজন করে।
ই-ক্যাব বাংলাদেশ গভার্মেন্টের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অনলাইন বিজনেস বা ই-ব্যাবসা যারা করে তাদেরকে ভালো মেইনটেইন করা। যেমন একজন ব্যাক্তি একটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক। এখন সে এই অনলাইন বিজনেসের মাধ্যমে কাউকে ঠকাচ্ছে কিনা? ভালো সার্ভিস দিচ্ছে কিনা? পাবলিকেদ টাকা আবার মেদে খাচ্ছেনাত? এরকম আরো অনেক ধরনের সমস্যা থেকে স্বাধারন পাবলিকদের মুক্ত রাখার জন্য সরকার ২০১৫ সালে ই-ক্যাব নামে এই প্রতিষ্ঠান করেন।
এখন অনলাইনে কেউ যদি বেশ ভালোভাবে আইনের বাধা ছাড়া ব্যাবসা করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই ই-ক্যাব মেম্বার হতে হবে।
এখন আসি ই-ক্যাব মেম্বার কেন হবো? বা সুবিধা কি? এটার উত্তর না বললেই নয়। ই-ক্যাব বাংলাদেশ গভার্মেন্ট একটি প্রতিষ্ঠান যা তৈরি করা হয়েছে ই-বিজনেস ভালোভাবে করার জন্য। এবং সেই প্রেক্ষাপটে উল্যেক্ষ্য একটি উদাহরন হচ্ছে ধরুন হটাত কোন কারনে লগডাউন ঘোষনা হলো তাও পুরো বাংলাদেশ তবে আপনার ব্যাবসা অনলাইনে। এখন আপনি স্বাধারন মানুষের থেকে যেই অর্ডার গুলো অনলাইনে নিবেন এইগুলো অবশ্যই ফিজিক্যালি ডেলিভারি দিতে হবে। আর এই ডেলিভারি লিগডাউনে দিতে হলে অনেক জবাদিহি করতে হবে এবং এর জন্য আলিনার জেল জরিমানা হতে পারে। তবে যদি ই-ক্যাব মেম্বার হোন তাহলে আপনার প্রোডাক্ট ডেলিভারি কৃত গাড়ি কেউ আটকাবেনা এবং আপনার জবাবদিহি করতে হবেনা। এর বাহিরেও আরো অনেক ফ্যাসিলিটি আছে।