Saturday, April 30, 2022

যোগাযোগ ও আইসিটি

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে বসবাস করার জন্য সামাজিক যোগাযোগের প্রয়োজন। তবে আইসিটিতে সামাজিক যোগাযোগ বলতে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের মানুষের মিথস্ক্রিয়া কে বঝায়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যোগাযোগ ও ভাব প্রকাশের জন্য যা কিছু সৃষ্টি , বিনিময় বা আদান-প্রদান করে তাই সামাজিক যোগাযোগ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের ফলে মেইল,মোবাইল ফোন ও মেসেজ ইন সিস্টেম, ব্লগিং এবং সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্ম সমূহ ব্যবহার করে বর্তমানে আইসিটি ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ অনেকাংশ সহজ। 



ইন্টারনেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু মাধ্যমের নাম নিচে উল্যেখ করা হলো

  1. ফেসবুক 
  2. টুইটার
  3. ইন্সটাগ্রাম
  4. হোয়াটসঅ্যাপ

ফেসবুক (www.facebook.com)  

ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট। ফেসবুক ২০০৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি মার্ক জুগারবার্গ ও তার বন্ধুদের  নিয়ে এই ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করেন। এ ফেসবুক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য বলি প্রকাশ আদান-প্রদান ও হালনাগাদ করতে সক্ষম হয়। এছাড়া এই ওয়েবসাইটটিতে অডিও এবং ভিডিও প্রকাশ করা যায়। www.stastica.com  এর রিপোর্ট অনুযায়ী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৮ অনুযায়ী বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২.৭বিলিয়ন। 

টুইটার (www.twitter.com) 

ফেসবুকের মত  টুইটারো একটি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট। কিন্তুু  ফেসবুক ও টুইটারের মাঝে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।  টুইটার ব্যবহারকারী  সর্বোচ্চ ১৪০,character-  এর মধ্যে মনোভাব প্রকাশ ও আদান প্রদান করতে হয় ।এই জন্য এটিকে মাইক্রোব্লগিংয়ের  একটি ওয়েবসাইট বলা হয়।  ১৪০ এর এই বার্তাকে টুইট ( tweet) বলা হয় । টুইটারে সদস্য অন্য সদস্য কে টুইট করার জন্য অনুসরণ  বা (Follow)করে। আর যারা অনুসরণ করে তাদের অনুসরণকারী বা (Follower)বলে।

ইন্সটাগ্রাম (www.instagram.com)

সোয়াসিয়াল প্লাটফর্ম ফেসবুকের অধিনে থাকা আরেকটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। এই সোসিয়াল এপ্লিকেশনটি মূলত ইন্ডিয়াতে সব থেকে বেশি ব্যাবহৃত হয়। যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার সমান। যদিও বাংলাদেশের ইন্সটাগ্রাম খুব একটা ভালো যায়গা করতে পারেনি তবে মেটা কোম্পানির ফেসবুকে বাংলাদেশে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।



শেয়ার করুন