ফেসবুক (Facebook) পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৩% ব্যাবহার করে নিয়ে বিস্বের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম, যা গ্লোবাল ভিলেজ কন্সেপ্টকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।
কোটি কোটি ব্যাবহার কারী ফেসবুকে তাদের প্রোফাইল তৈরি করে তাদের ছবি ভিডিও এবং টেক্সট ব্যাবহার করে নিজেদের অনুভুতি প্রকাশের মাধ্যমে কানেকশন তৈরি করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বিজনেস গুলোর জন্য এ্যডভার্টাইজিং ও এনালিটক্সের আধুনিক টুল ব্যাবহার করে প্লাটফর্মটিতে থাকা ডিজার্ড অডিয়েন্সের কাছে পৌছার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
একটি ডম রেন্ট প্রজেক্ট পৃথিবীর সকল কোণায় পৌছে যাওয়া ফেসবুক বর্তমানে ফেসবুক সোসিয়াল মিডিয়া হায়ারার্কির শীর্ষে অবস্থান করছে।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠানা মার্কা জাকার বার্গ (Mark Zukerbark ) ডেন্টিস বাবা এবার্ড জাকার্বার্গের দ্বিতীয় সন্তান যিনি ১৯৮৪ সালের ১৪ ই মে USA এর New York এ জন্ম গ্রহণ করেন।
ছোটবেলা থেকেই মার্ক কম্পিউটারের প্রতি বেশ আগ্রহ ছিলেন পরবর্তিতে তার বাবার কাছ থেকে অল্টিয়ার বেসিক সম্পর্কে ধারনা লাভ করে। মার্ক কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ দেখে সফটওয়্যার ডেভেলপার ডেভিড নিউম্যানকে হায়ার করা হয় মার্ককে প্রোগ্রামিংস শেখানোর জন্য। এরপর মার্ক প্রোগ্রামিং শিখতে থাকে এবং মাত্র ১২ বছর বয়সে মার্ক নিজে Zucknet নামে একটি মেসেজিং প্লাটফর্ম তৈরি করেন।
মার্কের বাবা এই মেসেজিং প্রোগ্রামটি ডেন্টাল চেম্বারে রিসিপশন স্টেশনে যোগাযোগ কাজের জন্য ব্যাবহার করতো, এমনকি তাদের বাসায়ও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য এই প্রোগ্রামটি ব্যাবহার করত। এছাড়াও মার্ক তার বন্ধুদের করা আর্ট থেকেও বিভিন্ন গেম তৈরি করেছে।
ছোট বেলা থেকেই মার্ক ছিলেন একজন জিনিয়াস, তাকে যাই শেখানো হতো সে তাই অল্প সময়ের মধ্যে শিখে ফেলতেন। যার প্রেক্ষিতে মার্ককে মার্সি কলেজে (Mercy College) গ্রাজুয়েট কোর্সের জন্য ভর্তি করা হয়। কিন্তু মার্সি কলেজের কারিকলাম তার কাছে চেলেঞ্জিং মনে না হওয়ায় হাইলি কম্পারেটিং স্কুল Phillips Exceter Academy তে তাকে ভর্তি করা হয়।
নিজের ফ্যসিনেশন থেকে মার্ক নতুন নতুন কম্পিউটার প্রোগ্রাম ডেভলপ করতে থাকে। এক পর্যায় তিনি সিন্যাপ্স যা ছিলো প্যান্ড্রোরা স্ট্রিমিং এ্যাপ্সের আর্লি ভার্শন। এওএল (AOL) এবং মাইক্রোসফট (Microsoft) এর মত জায়েন্ট কোম্পানি গুলো তার এই প্রোগ্রামটি কেনার জন্য ১ মিলিয়ন ডলার অফার করার পাশাপাশি মার্কে তাদের কোম্পানিতে জব করার জন্য অফার করা হয়েছিলো। কিন্তু মার্ক কোম্পানি গুলোর সকল অফার ফিরিয়ে দিয়ে ২০০২ সালে Exceter Academy থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হোন। হার্ভার্ডে গ্রাজুয়েশনের দ্বিতীয় বছরে কোর্স ফেসম্যাস (FaceMash) নামে একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিতি লাভ করে।
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্টুদেন্টরা তাদের কোর্সের ভিত্তিতে ক্লাসের স্কেজুয়াল করতে সহায়তা করত।
ফেসবুকের ইতিহাস শুরুটা হয়েছিলো এই ফেসম্যাশ থেকে অর্থায় ফেসবুকের ইতিহাস নিয়ে বলতে গেলে শুরুতেই চলে আসবে ফেসম্যাশের নাম। এটি মূলত ইউজারদের ভোটের মাধ্যমে হার্ভার্ডের বিভিন্ন স্টুডেন্ট যেমন ফিমেলদের মধ্যে কে বেশি আকর্ষণীয় ছিলো তা ডিটার্মাইন করার একটি ওয়েবসাইট। সাইট হার্ভার্ডে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠে যে হার্ভার্ডের সার্ভার পর্যন্ত ক্রাশ করে।
যার প্রেক্ষিতে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি সিকিউরিটি, কপিরাইট ইস্যু ও প্রাইভাসি ভায়োলেশনের জন্য মার্কে জরিমানা করে।
ফেসম্যাশের এমন সফলতায় হার্ডভার্ডের ৩ সিনিয়র মার্কে খুজে পান। এই ৩ জন তখন হার্ভার্ড কানেকশন (HarvardConnection) নামে একটি সোসিয়াল নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছিলো, এই সাইটটি মূলত হার্ভার্ডের এলিট ক্লাসের ডেটিং সাইট হিসেবে ডিজাইন করা হচ্ছিলো। তবে যেহুতু তারা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং জানতনা তাই তারা কোডার হিসেবে মার্ককে এই প্রজেক্টির সাথে যুক্ত করে। হার্ভার্ডকানেকশনের কাজ করার শুরুতে মার্ক বেশ প্রগ্রেস দেখালেও কিছুদিনের মধ্যেই মার্ক তার নিজের সোসিয়াল সাইট Thefacebook নিয়ে কাজ করার জন্য প্রজেকটি থেকে সরে আসে।
২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে মার্ক ও তার আরো ৩ বন্ধু মিলে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি ডমিটরিতে thefacebook তৈরি করে। তার ৩ বন্ধুদের মধ্যে Edua Afrin নিজে ১০০০ মার্কিন ডলার ইনভেস্ট করে। সে বছরের জুন মাস পর্যন্ত এই সাইটটি ডমিটরি থেকে পরিচালনা করা হয়েছিল। thefacebook যখন লঞ্চ করা হয় তখন friendsten ও myspace নামে এই সোসিয়াল সাইট গুলো বেশ জনপ্রিয় ছিলো।