ওয়ালটন বাংলাদেশের অন্যতম ইলেক্টরনিক্স নির্মাতা ব্রান্ড। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রি যেমন- ফ্রিজ, টিভি, এসি থেকে শুরু করে ফ্যান, লাইট, অটোমেটিক চুলা এবং কিচেন গেজেডে সব কিছুই রয়েছে ওয়ালটনের। নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত এইসব পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের টোটাল রেফ্রিজারেটরের মার্কেটের প্রায় ৭৫% এর বেশি মার্কেট শেয়ার রয়েছে ওয়ালটনের দখলে।
২০২০ সালে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টোক এক্সচেঞ্জের লিস্টে ওয়ালটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড স্টোক মার্কেটে যাত্রা শুরু করে। এরপরই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের স্টোক মার্কেটেড লিস্টেড কোম্পানির মধ্যে শির্ষ মূল ধনি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠে।
ওয়ালটন তাদের প্রোডাক্ট কুয়ালিটি, ডিজাইন এবং এফর্ডাবল প্রাইসের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং দেশের বাহিরেও নিজেদের কাস্টমার বেইস তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ৪০+ টি দেশে ওয়ালটনের তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে এবং ৩০ হাজারের ও বেশি কর্মী কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
ইতিহাস
ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা Nazrul Alhaz বা S.M Nazrul Islam. ২০২৯ সালে টাংগাইল জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে। ছোট বেলা থেকেই সৎ নেয়পরায়ন ও স্বাধীন চেতা মানুষ S.M Nazrul Islam ১৯৭৭ সালে, পারিবারিক ব্যাবসা ছেড়ে দিয়ে, নিজেই ব্যাবসা শুরু করেন। সে বছরেই জনাব নজরুল ইসলামের বড় ২ ছেলে S.M NURUL ALAM REZVI এবং S.M SHAMSUL ALAM তাদের পারিবারিক ব্যাবসায় যোগ দেন। তাদের ব্যাবসাহীক দুর্দশায় ওয়ালটন গ্রুপের নতুন যুগের সুচনা ঘটে।
১৯৯১ সালে ৩য় ছেলে S.M ASHRAFUL ALAM এবং ১৯৯২ সালে চতুর্থ ছেলে S.M MAHBUBUL ALAM ব্যাবসায় যোগ দিলে, ঢাকায় ওয়ালটনের ব্রাঞ্চ সম্পচারণ করা হয়।
১৯৯৬ সালে পঞ্চম ছেলে S.M REZAUL ALAM চট্টগ্রামে ওয়ালটনের আরো একটি শাখা স্থাপন করেন। পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময়ে ব্যাবসার সম্প্রচারনের মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে ওয়ালটন ইলেক্ট্রনিক্স বিজনেস সোর্স যুক্ত হয়।
২০০৭ সালে ওয়ালটন গাজীপুরে, ওয়ালটন টিভি, ফ্রিজ, এসি এবং মোটর বাইকের জন্য নিজস্ব ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা করে। ট্রায়েল প্রোডাকশন শেষে পরবর্তী বছরেই বানিজ্যিক উৎপাদন ও বিক্রির কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ওয়ালটনের অন্যতম প্রতিষ্ঠান Walton High Tech Industry Ltd.