আসসালামু আলাইকুম, আমি মোঃ অন্তর। যারা আসলে আমার মতই অনেকদিন ধরে ই-সিমের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাদের জন্যই আসলে আজকে একটা গুড নিউজ দিবো এ ছাড়াও ই-সিমের সকল সুবিধা অসুবিধা এবং ই-সিম কী?
ই-সিম কী?
ই-সিম আসলে ইম্বাডেড সিম। অনেকে এটাকে ইলেক্ট্রনিক সিম বলে থাকেন। নর্মালি আমরা সিম কিনলে আমাদেরকে একটা সিম কার্ড পাই যা বর্তমান সময়ে ৩ টা ভাগে বিভক্ত। যা আমরা ফিজিকালি সকল মোবাইলেই ব্যাবহার করে থাকি। আরেকটা সিম আছে যেটা মূলত কোম্পানি থেকে ইনবিল্ড করে আপনার ফোনে ইন্সটল থাকে যা মোবাইল বানানোর সময় ফিজিকালি বসানো থাকে এরপরে এটা ব্যাবহার করার জন্য আপনাকে সুধু সিম কোম্পানি থেকে প্রোফাইল আপডেট করে আপনার ডাটা অই ফোনে বসিয়েই আপনি সিমটি ব্যাবহার যোগ্য করে তুলতে পারবেন। এবং এই সিমটাকেই ই-সিম (eSIM) বলা হয়।
ই-সিম কাজ করে কিভাবে?
এটা মুলত সেম টু সেম ফিজিকাল সিমের মতই কাজ করে। সুধু ফিজিক্যাল সিমে আপনাকে একটা সিম কার্ড দেওয়া হতো তবে এটাতে সিম কার্ড থাকবেনা সুধু একটা কিউয়ার কোড (QR Code) থাকবে যেইটা স্ক্যান করে আপনি সিমটা ব্যাবহার করতে পারবেন। এবং এর পরেই সিমটা আপনার মোবাইলে এ্যাক্টিভেট হবার পর আপনি এটা দিয়ে ফিজিক্যাল সিমের মতই সব কিছু করতে পারবেন।
ই-সিম সুবিধা কি কি?
ই-সিমের সুবিধা অনেক আমি নিচে কিছু সুবিধা উল্যাখ্য করছি-
- সিম হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকবেনা।
- স্বাধারন সিম অনেক কারন বসত ড্যেমজ হতে পারে তবে ই-সিম কোন ভাবে ড্যামেজ হবেনা বা ভেংগে যাবেনা।
- আপনার মোবাইলে যদি ই-সিম সাপোর্ট থাকে তাহলে আপনি একটা ফোনের মধ্যে অনেক গুলো সিম ব্যাবহার করতে পারবেন।
- ফিজিক্যাল সিম চেঞ্জ করার জন্য বার বার খোলা লাগতো তবে ই-সিমে এই ঝামেলা একেবারেই নেই।
- ই-সিম লাগানো কালীন মোবাইল যদি কোন ভাবে চুরি হয়ে যায়, তাহলেও আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। স্বাধারন ফিজিক্যাল সিমের সাথে মোবাইল চুরি করলো তারা সিম খুলে ফেলে দিতো তবে ই-সিম সহ মোবাইল হারিয়ে গেলে তার এটা খুলতে পারবেনা। কোন ভাবে তারা ইন্টারনেক এক্সেস করলেই আপনি তাদের উপর আইন ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারবেন।